হে বোন ও খালাম্মাবৃন্দ ! ঈদের নামাজ পড়ার জন্য মানষিকভাবে প্রস্ত্তত হচ্ছেন তো ? জেনে রাখুন, ঈদের নামাজ পড়া মেয়েদের জন্য ওয়াজিব এবং কুরবানী দিলে অবশ্যই ঈদের নামাজ পড়তে হবে ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৬ জুলাই, ২০১৪, ১২:৩৫:০১ দুপুর
সূচনা :
রাসুলের (স) যুগ হতে মেয়েরা মসজিদে নামাজ পড়তো। মেয়েরা মসজিদে কোন কাতারে দাঁড়াবে এবং কিভাবে মসজিদে আসবে - এসব বিষয়ে অনেক হাদীস আছে । বাংলাদেশেও অনেক মসজিদে মেয়েদের নামাজের জায়গা আছে । মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতেও মেয়েদের নামাদের জায়গা আছে ।
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাত অনুযায়ী, যারা মসজিদ বানায় তাদের দায়িত্ব হচ্ছে মেয়েদের জন্যও জায়গা রাখা। এ সুন্নাত বাংলাদেশে ৬১০ সাল হতে ১৬১০ সাল পর্যন্ত পুরোপুরি বজায় ছিল । বাংলাদেশের প্রাচীন রাজধানী সোনারগাও-এ সুলতানি আমলে তৈরী করা মসজিদগুলোতে মেয়েদের নামাজ পড়ার স্হান নির্ধারিত ছিল ।
কাশ্মীরের এক মসজিদে ঈদের নামাজ অংশগ্রহণরতাদের একাংশ
রাসুলুল্লাহ (সা.) মেয়েদের মসজিদে আসতে বাধা দিতে নিষেধ করছেন । উমার (রা) তার স্ত্রীকে মসজিদে যেতে নিষেধ করে ছিলেন। তখন তার স্ত্রী তাকে জবাব দিয়েছিলেন যে, আমাকে বাধা দেয়া না হলে আমি মসজিদে যাব। উমার (রা) বাধা দিতে পারেননি, কারন রাসুল (স) বাধা দিতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসার এক শ্রেণীর হুজুর মেয়েদের মসজিদের ত্রিসীমানায় যেতেই দেয় না ।
আমার অভিজ্ঞতা :
কয়েক বছর আগে আমার এক বন্ধুর কাছে গেলাম । দিনটা ছিল শুক্রবার । আমার বন্ধু কোন এক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আমাকে ডাকলো । না বলতে পারলাম না । অনেক দিন পর গেলাম ।
আমার এই বন্ধু বিবাহিত । তার স্ত্রীকে আমরা পিউ ভাবী বলে ডাকি । বন্ধুর সাথে কথা হলে বলি ভাবী ভাল আছেন তো?
ভাবী টিভি দেখছেন । পরে ভুল ভাঙ্গলো । টিভি না ডিভিডি প্লেয়ারে "দিল মিল গায়ি" নামক একটা টি ভি সিরিয়ালের রেকর্ড করা কোন পর্ব দেখছেন । যেটা ২০১০ সালে স্টার প্লাসে দেখাতো । ভাবী শুধু আমার সাথে অনর্গল কথা বলে যাচ্ছেন । আমাকে কোন কথা বলার সুযোগই দিচ্ছেন না । বাড়িতে অনেক বই আছে । বইগুলোও দেখতে পারছি না । আবার কথা না বলাটা অসৌজন্যতা হয়ে যাবে । তিনি বলতে শুরু করলেন : দেখো কি রোমান্টিক সিন ।
হঠাৎ আমার বন্ধু বল্লো : কিরে নামাজ পড়বি না । আজ শুক্রবার । তাড়াতাড়ি বের হই ।
মিশরের এক ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ অংশগ্রহণরতাদের একাংশ
আমি হঠাৎ ভাবনার জগতে হারিয়ে গেলাম ।ভাবতে লাগলাম । আমরা জুমার নামাজে যাচ্ছি । ভাবী আমাদের সাথে কেন যাচ্ছেন না ? আমি যদি বলি : ভাবী জুমার নামাজ পড়তে চলেন, তাহলে তো তিনি না করতে পারতেন না ?
আমি ভাবতে লাগলাম । মনে পড়লো রিমার কথা । আমি আমার বন্ধু মিঠুর বাসায় ছিলাম । সেদিনও ছিল শুক্রবার । তার আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগ পর্যন্ত সময় অসময় তার বাড়িতে যেতাম । সেদিন হঠাৎ রিমা আসলো এবং পাশের রুমে মিঠুর সাথে এমনভাবে কথা বলতে লাগলো যে এখনি মিঠুকে তার সাথে বের হতে হবে । মিঠু আর রিমা আমার কাছে আসলো ।
মিঠু বল্লো : দোস্ত ! একটা উপকার করতে হবে । পুরান ঢাকায় রিমার সাথে যেতে হবে । ও একা যেতে পারছে না । অনেক টাকা আনার প্রয়োজন । দেশের যা অবস্হা । নিরাপত্তার ব্যাপার আছে না । এরকম ক্ষেত্রে তুইও তো কাউকে নিতি । যা সিএনজি ঠিক করছি । তোরা যা । আমার যাওয়া সম্ভব না । বিকেলে আবার আসবি তোরা । স্টার কাবাবে যাবো । তারপর বারবিকিউ.. ।
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদের এক মসজিদে ঈদের নামাজ অংশগ্রহণরতাদের একাংশ
আমরা বের হলাম সিএনজিতে করে । যদিও শুক্রবার । খুব একটা জ্যাম নেই । মনিপুরী পারা থেকে পুরানা পল্টন পৌছতে বেশী সময় লাগলো না । রিমার সাথে কথা বলে বুঝলাম টাকার পরিমান অনেক । তাই কাউকে সাথে থাকা দরকার । রিমার বাসা যদিও মিঠুর বাসার কাছে আমাকেই যেতে হলো ।
জুমার নামাজের সময় হলো । আমি বল্লাম : আমি জুমার নামাজ বায়তুল মুকাররমে পড়বো । একটু ২০ মিনিট বিরতি নেই অন্তত । তুমি নয়ত সোনার দোকানগুলো আর ইসলামী বইয়ের দোকানগুলো ঘুরে দেখো । বেশী সময় লাগবে না ।
আমাকে অবাক করে দিয়ে রিমা বল্লো : এখানে আমি নামাজ পড়তে পারবো । নামাজ এর আগে আমি এখানে পড়েছি । খারাপ ভালোর কাহিনি বাদ দাও তো ।
ও তার নামাজের জায়গায় গেলো । আমি মসজিদের হল রুমে গেলাম । খতিব ওবায়দুল হক বলছেন : “এভাবে আর কত দিন । সারা জীবন সুদ না খাওয়া লোকগুলো পেনশনের সময় প্রবিডেন্ট ফান্ডের সুদী টাকা আর অবসরের পর সঞ্চয় পত্রের নামে সুদের কারবার করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত । মৃত্যুর মাধ্যমেই এই সুদের কারবার শেষ হয় ।“ লোক জন মুখ চাওয়া চাওয়ী করতে লাগলো । অনেকে ফিসফাস করা শুরু করলো । অনেক বলতে থাকলো যে আর সুদী ব্যাংকে টাকা রাখবো না । সুদের কারবার করবো না ।
খুতবার পর দুই রাকাত নামাজ পর মনাজাত হলো । তারপর চার রাকাত নামাজ পড়লাম । মুনাজাত করে বের হলাম ।
ইন্দোনেশিয়ার ইশতেকলাল মসজিদে ঈদের নামাজে অংশগ্রহণরতাদের একাংশ
সেল ফোনের রিং বেজে উঠলো । রিমার কল ।
ধরতেই : নামাজ পড়া শেষ হলো ।
আমি বল্লাম : হলো ।
: চলে এসো আমিন জুয়েলার্সের সামনে ।
আমরা এসে দেখি, এসএনজির চালক এখনো ফিরেননি । আমরা আমিন জুয়েলার্সের সামনে দাড়িয়ে কথা বলতে থাকলাম । এদিকটায় মুছল্লীদের সোরগোল নেই ।
রিমা আমাকে বলছে : আজ জানলাম প্রভেডেন্ট ফান্ড আর সঞ্চয় বন্ড হারাম ।
(আমি ভাবছি,তুমিও হালাল হারাম নিয়ে ভাবছো । ভালই ! হুজুরের ওয়াজ মানু্ষের উপর প্রভাব পড়েছে । একথা বলার কারণটাও আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে । আমি একদিন নাজমুলকে বলেছিলাম. " তুমি রিমাকে বলো তো , তোমার সাথে তো ওর ভীষণ ভাব । এতো পাতলা কাপড়ের ওড়না পড় কেন ? তা না পড়লেই হয় ।"
কাতারের শীর্ষ আলেম ইউসুফ আল কারদাভীর সাথে খালেদা জিয়ার আবেগময় মুহুর্ত
এর উত্তরে রিমা নাজমুলকে বলেছিলো : খালেদা জিয়া যাই পড়ে, আমিও তাই পড়ি । আমি তার সাপোর্টার । কি অদ্ভুত যুক্তি ! রিমার চাল চলন ও কথার ধরণও খালেদা জিয়ার মতো ।
আমাদের এলাকায় এক ছেলে অবিকাল মাওলানা দিলওয়ার হোসেন সাঈদী সেজে চলাফেরা করে । আগে মাস্তান ছিল । এখন মাওলানা সাজার জন্য শাহ আলী মাদ্রাসায় যাতায়াত করে । কি অদ্ভুত ! কি অন্ধ অনুকরণ !
তিনি যদি ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়তেন, তাহলে দেশের অনেক মেয়েই শালীন পোষাক পড়তো । এতে তার নিজেরও অনেক ছোয়াব হতো । তার শাহাদাত প্রাপ্ত স্বামীর কবর আযাবও কিছুটা মাফ হতো । এবং বিদেশেও বাংলাদেশের হিজাবী প্রধানমন্ত্রী ও মুসলিম বিশ্বের অবিসংবাদিত নেত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারতেন । পরে রিমার চৈতন্যোদয় হয় । মোটা কাপড়ের ওড়না পড়ে ক্লাস করতো ।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহরের ইশতেকলাল মসজিদে ঈদের নামাজে অংশগ্রহণরতাদের একাংশ
নাজমুল আর রিমা একই এলাকার । বিয়ের পর এখন হিজাবী । বলা যায় মহিলা হুজুর । কারণ স্বামীটা আবার তাবলীগি হুজুর । শুনেছি প্রতি বছর নাকি ঈমান ও আমলের মেহনতের জন্য তিন চিল্লা দেয় । আর নাকি মসজিদগুলোতে নামাজ শেষে বলে, ঈমান ও আমলের বয়ান হবে । আসুন ভাই । আমরা সব্বাই বসি । বহুত ফায়দা হবে । তাও আবার মার্কিন দেশে ।)
প্রভেডেন্ট ফান্ড আর সঞ্চয় বন্ড হারাম না হালাল - এসব নিয়ে আমার ভাবনা নেই । কীভাবে সময় পার করবো তাই ভাবছি ।
আমি রিমার কথায় হ্যা হু করে যাচ্ছি ।
: আচ্ছা ফখরুল !এভাবে জুমার নামাজ ছাড়াও বাকি সব নামাজ এমনকি ঈদের নামাজ মেয়েরা পড়তে পারবে । আমার সম্বিত ফিরে এলো ।
আমি বল্লাম : পারবে । কিন্তু বাংলাদেশের কিছু লোক তালেবানী আদর্শে বিশ্বাস করে । আর কিছু লোক ধর্ম ব্যবসায়ী । এদের জন্য তোমরা অদুর ভবিষ্যতে কখনো নামাজ পড়া তো দুরে থাক ঘর থেকেই বের হতে পারবে না । দেখবে ঢাকার মসজিদগুলোর গেটে লেখা থাকে : " মহিলাদের প্রবেশ নিষেদ ।" যেন মহিলারা অপবিত্র । আমাদের এলাকার মসজিদুল আকবর কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্হানে একথাটা লেখা আছে । অথচ কমপ্লেক্সের বাহিরের সব দান বাক্সে গার্মেন্টেসের মেয়েরা দান বাক্সে টাকা ফেলে । যারা এধরনের নোটিশ লাগিয়েছে তারা তাবলীগ জামাত. কওমী মাদ্রাসা আর দেওবন্দের লোক । এরা আমাদের ধর্মকে পশ্চাদপদ ও সেকেলেভাবে উপস্হাপন করছে । এই মসজিদের হুজুর মুফতি দিলওয়ার হোসেন আফগানিস্তান থেকে এসব প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন । তিনি দেওবন্দ আর করাচীতে পড়েছেন । তার কথা শুনলে মনে হয় তিনি মহিলা ছাড়া পৃথিবীতে এসেছেন ।
এসব লোকদের কারণে আমরা গঠণমূলক কাজ করতে পারছি না । আমি বিভিন্ন পত্রিকায় "মেয়েদের মসজিদে নামাজ পড়ার প্রয়োজনীয়তা" নামক লেখা দিয়েছিলাম । তারা তো ছাপেইনি,বরং এসব পত্রিকার ইসলাম বিষয়ক পৃষ্ঠার সহসম্পদাকরা আমাকে বলেছেন : নতুন ইসলাম আমদানি করতে এসেছেন, লামাযহাবি মনে হচ্ছে আপনাকে, আপনি নিজে লিখেছেন লেখাটা, না অন্য কোন শয়তান হুজুর, আপনি তো মাওলানা না - কেন এটা লিখলেন, আপনার কি জীবনের মায়া আছে,আপনার হয়তো নেই…আমরা যদি এসব ছাপি কওমী,দেওবন্দী ও তাবলীগী হুজুররা আমাদের ভবলিলা সাংগ করে দিবে, না হয় ইসলাম বিকৃতির কথা বলে রাস্তা মাত করবে । আর না হোক, আমাদের কিল মারতে আসবে । আপনার লেখা ছাপা হলে আমরা কিল খেলে আপনি কিল ঠেকাতে পারবেন ? বা ঠেকাতে আসবেন ? বলুন ।
রিমা বল্লো : ব্যাপারটি খুবই আতংকের । এদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে আমাদের দেশ অনেক পিছিয়ে যাবে এবং ইসলাম ধর্মের বদনাম হবে ।
এক সময় না এক সময় মেয়েরা নামাজ পড়তে পারবে । কারণ খালেদা জিয়া এবারের ইলেকশনে জেতার পর সৌদি আরবে গিয়েছিলেন এবং সেখানে যেয়ে বলেছিলেন, প্রতিটা উপজেলায় একটা করে বড় মসজিদ বানানো হবে যাতে মেয়েরাও ছেলেদের পাশাপাশি নামাজ পড়তে পারবে ।এজন্য সৌদি আরবকে অর্থ সাহায্য করার অনুরোদ করেছিলেন ।
সিএনজির চালক আসলে বল্লাম কতক্ষণ লাগে নামাজ পড়তে । আমরা তো পড়ে আসলাম । ভাই নামাজ পড়ার পর সুরা মূলক আর সূরা ইয়াসিন পড়লাম । আমাগো এলাকার হুজুর কইছে শুক্রবার এই দুই সুরা পড়ার ফজিলত আছে । আমি আর কথা বারালাম না । রিমা জায়গা মতো গেলো । বেশীক্ষণ সময় নষ্ট করলো না । টাকাগুলো নিয়ে ফিরলো । রিমা জানালো । তার এক ভাই স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ফ্লিম এন্ড মিডিয়া-তে পড়ে । টিউশন ফির টাকা না দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে ডকুমেন্টারি ফ্লিম বানানোর ব্যবসা করছে । তাই এতো টাকা জমা পড়েছে ।
মিঠুর বাসায় ফিরলাম । স্টার কাবাবে গেলাম । বাড়ি ফিরলাম । মেয়েদের "মসজিদে নামাজ পড়ার প্রয়োজনীয়তা" লিখাটা আবার পড়লাম । ভাবলাম এসব লিখে কি হবে ? বলে নিবন্ধের কাগজটা ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেল্লাম । হঠাৎ আম্মা আসলো । বল্লো ঈসার নামাজ পড়তে আজ মসজিদে যাওনি । কাগজ ছিড়ে ঘর নোংড়া করেছো কেন ? রুমের কি ছিরি করেছো ।
আজ এসব ভাবছিলাম । আর নেট সার্চ দিলাম । লেখাটাতো আর নেই । তবে তা মনের মাঝে গেথে আছে । কিন্তু প্রায় দশ বারটা বই খুজে বের করতে হবে । কারণ রেফারেণ্স ছাড়া লেখলে তো আমার খবর করে ফেলবে । তবে আপাতত দেখি বিশ্বের সব দেশে মসজিদে মেয়েরা নামাজ না পড়লেও অন্তত ঈদের নামাজ পড়ার জন্য বিভিন্ন দেশে জড়ো হয়ে ছেলেদের সাথে পৃথকভাবে নামাজ পড়ে কি না একটু দেখি । দেখলাম । চোখ কপালে উঠে গেলো । আপু আপনারাও দেখেন । বিবেচনা করেন ।
মেয়েদের ঈদের নামাজ ও মসজিদে নামাজ পড়া সম্পর্কিত তথ্য :
ইসলাম চায় নারী জাতি যাতে কোন কল্যাণ থেকে বঞ্চিত না হয়। তাই-তো মুসলিমদের উল্লেখযোগ্য ইবাদত আনন্দঘন পরিবেশ ও ইমামদের দিক-নির্দেশনামূলক বক্তৃতা থেকে যাতে নারী-পুরুষ সমানভাবে উপকৃত হতে পারে সেজন্য মানবতার মুক্তিদূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহিলাদেরকেও আদেশ করেছেন ঈদগাহে উপস্থিত হতে।
ইন্দোনেশিয়ার বান্দা আচেহ শহরের এক ঈদগাহ মাঠে ঈদে নামাজে অংশগ্রহণরতাদের একাংশ
এব্যাপারে রাসুল সা. – এর মহিলা সাহাবি উম্মে আতিয়্যা রা. বলেন :
عن أم عطية رضي الله عنها قالت : أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم أن نخرجهن في الفطر والأضحى العواتق والحيّض وذوات الخدور . فأما الحيّض فيعتزلن الصلاة
وفي لفظ : المصلى . ويشهدن الخير ودعوة المسلمين] رواه الجماعة[
وفي بعض ألفاظه : فقالت إحداهن : يا رسول الله لا تجد إحدانا جلباباً تخرج فيه، فقال صلى الله عليه وسلم : لتلبسها أختها من جلبابها.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় ঈদগাহে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বৃদ্ধা, ঋতুবতী ও পর্দানশীল সকলের জন্য আদেশটি বহাল ছিল। তবে ঋতুবতী নারী ঈদের নামাজ থেকে বিরত থাকবে এবং কল্যাণ (নসিহত শ্রবণ) ও মুসলিমদের সাথে দুআয় শামিল থাকবে। তিনি বললেন: হে আল্লাহর রাসূল; আমাদের মধ্যে কারো বড় ওড়না না থাকলে সে কী করবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : তার কোন বোন তাকে নিজের ওড়না পরিধান করতে দেবে। ( সহিহ মুসলিম )
আল্লাহ তাআলা নারী-পুরুষ উভয়কে সৃষ্টি করেছেন। তিনি তাদের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের জন্য সর্বযুগের ও সর্বশ্রেষ্ঠ জীবন ব্যবস্হা ইসলাম দান করেছেন । ইসলাম চায় নারী জাতি যাতে কোন কল্যাণ থেকে বঞ্চিত না হয়।
এজন্য মুসলিমদের উল্লেখযোগ্য ইবাদতের আনন্দঘন পরিবেশ এবং ইমামের দিক-নির্দেশনামূলক বক্তৃতা হতে যাতে নারী-পুরুষ সমানভাবে উপকৃত হওয়ার জন্য মানবতার মুক্তিদূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহিলাদেরকেও আদেশ করেছেন ঈদগাহে উপস্থিত হতে।
এই হাদিস হতে বোঝা যায় :
নারীদেরকেও ঈদের নামাজে শামিল হওয়া অবশ্য করণীয় ও বরকতময় আমল । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে মহিলারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে জামাআতে অংশগ্রহণ করতেন এবং ঈদের নামাজও পড়তেন । উম্মে আতিয়্যা রা. এর হাদীসে জানা যাচ্ছে আবাল, বৃদ্ধা, বণিতা সকলকেই নির্বিশেষে ঈদগাহে উপস্থিত হওয়ার আদেশ করা হয়েছিল। যেখানে ঋতুবতী নারীর উপর থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দায়িত্ব রহিত করা হয়েছে, সেখানে তাকেও ঈদাগাহে উপস্থিত হয়ে মুসলমানদের কাতারে শামিল হওয়ার আদেশ করা হয়েছে। তাছাড়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ একাকীও আদায় করা সম্ভব। কিন্তু ঈদের নামাজ জামাআত ছাড়া আদায় করা সম্ভব না। সুতরাং নারীরা এত বড় কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হওয়া কোন মতেই উচিৎ হবে না। কারণ ঈদের নামজ জামায়াতে পড়া ওযাজিব । ওয়াজিব কাজ বাদ দিলে কবিরা গুনাহ হয় ।
ঈদের নামাজ পড়া মেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক :
ঈদের নামাজ প্রত্যেক মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক, এমনকি শিশু ও নারীদের জন্যেও, যদিও হোক সে ঋতুমতী।
হাদীসে বর্ণিত আছে, “উম্মে আতিয়া (রা.) বলেন, আমরা নির্দেশিত হয়েছিলাম যে প্রত্যেক নারীকে ঈদের নামাজের জন্যে যেতে হবে যদিও সে ঋতুমতী হয়। থেকে দূরে থাকা উচিত।” (বুখারী, সালাত,৩৫১)
মুছান্নাফ ইবনে শায়বা’র ৫৭৮৬ নং হাদীসে বলা হয়েছে যে, “ইবনে ওমর ঈদের দিনে তার পরিবারের সকলকে নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করতে যেতেন।” সুতরাং ঋতুমতী হওয়া সত্ত্বেও নারীদের ঈদের মাঠে যাওয়া উচিত।
অন্যান্য দেশে মসজিদে মেয়েদের নামাজ পড়া ও ঈদের নামাজ পড়া :
বিশ্বের প্রায় সব দেশের আপুরা ঈদের নামাজ কেন পাচ ওয়াক্ত সালাত পড়ার জন্য মসজিদে যাচ্ছেন এবং খতিব ও নেতৃবৃন্দের দিকনির্দেশনা পেয়ে উজ্জীবিত হওয়ার সাথে সাথে ইবাদতগুলোও যথাযথভাবে করতে পারছেন ।
অন্যান্য মুসলিম দেশে বিয়ের অনুষ্ঠান হয় মসজিদে । আর এজন্য মেয়েরা মসজিদে তো যানই । কিন্তু বাংলাদেশে আপুদের বিয়ে মসজিদে হয় না যা সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী কাজ হচ্ছে । শুদ্ধতম হাদিসে বলা হয়েছে মেয়েদের বিয়ে হবে বাবা বা বৈধ অভিভাবকের উপস্হিতিতে মসজিদে ।
মেয়েদের মসজিদে নামাজ পড়া ও মসজিদে যথাসময়ে বিয়ে করতে যাওয়ার জন্য আমাদের শুধু ভাবলেই হবে না বলিষ্ট হয়ে জনমত গঠণ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে ।
হে বোনেরা । আপনার যারা এবছরই ঈদের নামাজে শরিক হতে চান । তাদের বলছি : আপনাদের আব্বু, ভাইয়া ও স্বামীদের এবিষয়টির কথা বলতে পারেন । তারা আপনাদের হয়ত সাহায্য করতে পারবেন ।
পাকিস্তানের করাচি শহরের এক ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজে অংশগ্রহণরতাদের একাংশ
মেয়েদের মসজিদ ও ঈদগাহে নামাজ পড়তে বাধা দেওয়া খারাপ কাজ :
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেছিলেন:
"আমি রাসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি- তোমাদের স্ত্রীগণ যখন তোমাদের কাছে মসজিদে যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে তখন তাদেরকে বাধা দিও না।" তার ছেলে বেলাল বললেন: আল্লাহর কসম! অবশ্যই বাধাঁ দেব। অতঃপর তিনি তার কাছে গিয়ে তাকে ভৎসনা করলেন; তাকে কটু কথা বললেন; যা তার কাছ থেকে আমি (বর্ণনাকারী; সালেম বিন আব্দুল্লাহ বিন উমার) কখনও শুনিনি। আর বললেন: আমি বলছি রাসুল (সাঃ) এর কথা আর তুমি বলছ অবশ্যই বাধা দেব???!!! (মুসলিম শরীফ: হাদীস নং ৪৪২)
মুসনাদে আবি ইয়ালা তে এসেছে- তখন তিনি ছেলেকে থাপ্পড় দিয়েছিলেন। (হাদীস নং ২০০৬)
রাসূল সা - এর কথার উপর অন্য কারো কথা গুরুত্বপূর্ণ নয় । কারণ আল্লাহ বলেছেন :
يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا أَطيعُوا اللَّهَ وَرَسولَهُ وَلا تَوَلَّوا عَنهُ وَأَنتُم تَسمَعونَ
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না। ( সুরা আনফাল : ২০)
مَن يُطِعِ الرَّسولَ فَقَد أَطاعَ اللَّهَ
যে রাসুলের হুকুম মান্য করলো সে আল্লাহর হুকুম মান্য করলো । ( সুরা নিসা : ৮০ )
মেয়েরা ছেলেদের মতো মসজিদে যাবে, সেখানে নামাজ পড়বে এবং সব ইবাদত ও দুনিয়ার প্রয়োজনীয় কাজ সেখানে করবে ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেয়েরা জুমার নামাজসহ বিভিন্ন নামাজ মসজিদে যেয়ে পড়ছে । বাংলাদেশে কিছু মসজিদে পড়ছেও । বাংলাদেশের সব মসজিদে জুমার নামাজ কেন সব নামাজ পড়ার জন্য মেয়েদের জন্য মসজিদে আলাদা অংশ বানানোর জন্য জনমত গঠণ করতে হবে ।
মহিলারা তাদের প্রয়োজনে ও ইসলামের প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে ।
ষাট এর দশক হতে মহিলারা ঘরের বাহিরে কাজ করছে । প্রতি দিনই মহিলারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন । শুধুমাত্র কিছু পীরের সমর্থক ছাড়া বাংলাদেশের সব পরিবারের মেয়েরাই ঘরের বাহিরে যায় ।
তাছাড়া ক্ষুদ্র ঋণ ও অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি মহিলাকে ঘরের বাহিরে যেতে হয় । এমন কি তারা ধান গাছ লাগায় , পাট গাছ কাটে ।
বাংলাদেশের মেয়েরা ধর্ম সম্পর্কে একে বারেই অজ্ঞ । তার উপর কিছু আজে বাজে ধর্মীয় বইয়ে বাজার সয়লাব । তা পড়ে মেয়েরা ইসলাম সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করে । মেয়েরা মসজিদমুখী হলে তারা অনেক বিষয় জানবে এবং আমল করতে পারবে ।
বাংলাদেশের মেয়েরা কেন মসজিদে যাবে এবং ঈদের নামাজসহ সব নামাজ মসজিদে পড়বে :
অনেক মহিলা সাহাবি খোদ রাসুল সা-এর সাথে জামাতে সালাত আদায় করেছেন বলে বহু হাদিসে বর্ণিত আছে। জামাতে উপস্থিত সব শ্রেণীর মুসল্লিদের কাতার কিভাবে হওয়া উচিত, এ ব্যাপারে হাদিস ও ফিকহের গ্রন্থাবলিতে বিশদ আলোচনা রয়েছে। মহিলাদের পর্দা রক্ষার্থে তাদের কাতার সবার পেছনে রাখা হয়েছে। ফরজ সালাত শেষে ঘরে ফেরার সময় যাতে মহিলাদের মুখোমুখি না হতে হয় সে জন্য পুরুষদের একটু বিলম্বে বের হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ কথাগুলো প্রমাণ করে যে, মহিলারা জামাতে সালাত আদায় করতেন।
রাসুল সা-এর যুগে মহিলারা যে জামাতে সালাত আদায় করতেন, এ ব্যাপারেও কোনো ভিন্নমত নেই। রাসুর (সা) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর বাঁদিদের মসজিদে আগমন করা হতে বাধা দিয়ো না (বুখারি শরিফ প্রথম খণ্ড ও মুসলিম শরিফ প্রথম খণ্ড)। আমরা হাদিস পড়ে জানতে পারছি,ঈদের জামাতে মহিলাদের উপস্থিতিকে রাসুল (সা) গুরুত্ব দিতেন । কারো পর্দার জন্য বড় ওড়না না থাকলে অন্যেরটি পরেও উপস্থিত হওয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দিতেন। এমনকি ঋতুবতী মহিলা যারা সালাত আদায়ের অনুপযুক্ত তাদেরও ঈদগাহে উপস্থিত হয়ে খুতবা ও দোয়ায় শরিক হওয়ার কথা বলতেন (বুখারি শরিফ প্রথম খণ্ড ১৩৩, মুসলিম শরিফ প্রথম খণ্ড ২৯০)। একটি হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, মহিলারা সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে যাবে না। (মুসলিম শরিফ প্রথম খণ্ড ১৮৩)।
এই হাদিস এবং এ ধরনের হাদিসগুলোর আলোকে ইমাম নাওয়ারি বলেন, মহিলাদের মসজিদে যেতে বাধা দেয়া যাবে না। তবে এ ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরাম কিছু শর্ত আরোপ করেছেন। তা হলো মহিলা কোনো ধরনের উগ্র গন্ধযুক্ত পারফিউম ব্যবহার করে মসজিদে যাবে না, সাজগোজ করে নয়, এমন চুড়ি পরে নয়, যা থেকে ধ্বনির সৃষ্টি হয়। পুরুষদের সাথে মিলেমিশে মসজিদে উপস্থিতি নয় বা এ ধরনের যেকোনো আচরণ যা ইসলামি শালীনতা ও সংস্কৃতির পরিপন্থী হয়। (সহি মুসলিম প্রথম খণ্ড ১৮৩)।
সার্বিক আলোচনা থেকে যা বেরিয়ে আসে তা হলো আমরা যেভাবে মহিলাদের মসজিদের ধারে কাছে যেতে দিই না, তা হাদিসের আলোকে যথার্থ নয়।
আমরা হাদিস পড়ে দেখতে পাচ্ছি,
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা) একদা রাসূলুল্লাহ সাঃ-এর হাদিস বর্ণনা করছিলেন যে, মহিলাদেরকে রাতে মসজিদে যেতে দিয়ো। তাঁর এক ছেলে বেলাল তখন বলে উঠল, আমি যেতে দেব না। আবদুল্লাহ রাঃ তখন তার বুকে আঘাত করে বললেন, আমি বর্ণনা করছি রাসূলল্লাহ সাঃ বাধা না দিতে বলেছেন আর তুমি বলো বাধা দেবে (মুসলিম প্রাগুক্ত)।
মহিলাদের মসজিদে যাওয়া না যাওয়ার বিতর্ক হতে যে বিষয়টি বের হয়ে আসে তাহলো জামাতে তাদের সালাত আদায় করার অবকাশ রয়েছে। হয়তো স্থান, কাল, পাত্র ভেদে এতে দ্বিমতেরও অবকাশ রয়েছে।
মা আয়েশা (রা) নিজেই রাসুল (সা)-এর সাথে মসজিদে জামাতে সালাত আদায় করতেন। ফজরের ওয়াক্ত সম্পর্কে তিনি বর্ণনা করেছেন, মুমিন মহিলারা রাসুল (সা)-এর সাথে ফজরের সালাত এমন সময় আদায় করে ঘরে ফিরতেন অন্ধকারের কারণে তাদেরকে চেনা যেত না (বুখারি শরিফ প্রথম খণ্ড ১২০, মুসলিম শরিফ প্রথম খণ্ড ২৩০)।
এই আয়েশা (রা) শেষ জীবনে মহিলাদের চাল-চলনের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, রাসুল (সা) মহিলাদের এখনকার অবস্থা দেখলে তাদের মসজিদে আসা থেকে নিষেধ করতেন। (সহিহ মুসলিম প্রথম খণ্ড ১৮৩)। এ থেকে বুঝা যায়, তার এ অভিমতটি ছিল কালের সাথে সম্পর্কিত।
এ যুগে মহিলারা অফিস করছেন, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় যাচ্ছেন, স্বামীর সাথে বাজার করছেন। সালাতের সময় হলে তারা তা আদায় করবেন কোথায়। তাদের জন্য মসজিদে উপস্থিত হয়ে সালাত আদায় করলে অন্যায় হবে?
বয়স্ক মহিলারা মসজিদে উপস্থিত হয়ে ওয়াজ-নসিহত ও খুতবা শুনলে ভালো ছাড়া মন্দ কোথায়? মসজিদে মহিলাদের স্বতন্ত্র সালাতের স্থান থাকলে এবং পুরুষরা রাস্তায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে জামাতে সালাতই তো উত্তম হয়।
শত শত এমনকি হাজার হাজার মহিলা মাদ্রাসা, কলেজ ও ভার্সিটির হলে বাস করছেন। তারা যদি নির্দিষ্ট সময়ে এক সাথে জামাতে সালাত আদায় করেন তাহলে তাদের জীবনে নিয়মানুবর্তিতা অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে। অফিসের মহিলা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জামাতে সালাতের আওতায় আনা যায় তাহলে নামাজির সংখ্যা বাড়বে বৈ কমবে না। জামাতে সালাত এমন একটি পন্থা যা মানুষের জীবনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম।
কোনো কোনো কল-কারখানায় দেখা যায় পুরুষদের জন্য জামাতে সালাতের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু মহিলাদের একত্রিত করে সালাত আদায়ের ব্যবস্থা নেই। এটি হওয়া উচিত নয়।
অনেকে বলেন এক হাদিসে বর্ণিত আছে, মহিলাদের জন্য উত্তম হলো তাদের গৃহে সালাত আদায় করা। এটি সেইসব মহিলার জন্য প্রযোজ্য, যারা নিজ বাসগৃহের বাইরে আসেন না বা তাদের আসার প্রয়োজন হয় না। জাগতিক শিক্ষার এই চরম উৎকর্ষতার যুগে মহিলাদের ইসলামের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত করা ইসলামি ধ্যান-ধারণার প্রতি উজ্জীবিত করা উলামায়ে কেরামের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে অগ্রসর হওয়া সমাজ আশা করে।
উপসংহার :
১.আমাদের দেশে বেশী বেশী মুসলিম নারিদেরকে সঠিকভাবে ইসলামী জ্ঞানে স্বয়ংসম্পুর্ন করে গড়ে তুলে তাদের মাধ্যমে এ শুন্যস্থান পুরণ করা যেতে পারে।
২.বাংলাদেশের ইমাম ও খতীবদের প্রশিক্ষণ দেয়া দরকার যেন তারা তথ্যপুর্ণভাবে ও যৌক্তিকতার সাথে কুরআন ও হাদীসের আলোকে জুমুয়ার খুতবায় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
৩.প্রত্যেক মসজিদ ও ঈদগাহে মহিলাদের জন্য আলাদা স্থান তৈরি করে তাদের অন্তত জুমুয়া ও ঈদের নামাজে আনার ব্যবস্থা করা দরকার। তবেই, আমাদের মুসলিম নারীসমাজ কুরআনের জ্ঞানে সমৃদ্ধ ও বলীয়ান হয়ে উঠতে পারবে ইনশাল্লাহ।
( বিস্তারিত তথ্য জানতে দেখুন :
https://www.facebook.com/WomenWillPrayInTheMosquesRegularly : আমরা বাংলাদেশী নারীরা বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে নিয়মিত নামাজ পড়তে চাই )
বিষয়: বিবিধ
৪৬৪১ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নারী পুরুষ সকলের জন্য ঈদের সালাত বাধ্যতামূলকঃ
ঈদের সালাত ফরয/ওয়াজিব এবং সুন্নাতে মুয়াক্কাদা - এই দুই রকম মত পাওয়া যায়। তবে সত্য সন্ধানী যেই সমস্ত আলেম মনে করেন যে, ঈদের সালাত পড়া প্রত্যেক মুসলমান নর ও নারীর উপর ‘ফরয’ তাদের মধ্যে রয়েছেনঃ
১. ইমাম আবু হানীফা
২. ইমাম আহমাদ থেকে একটি ফতোয়া
৩. ইমাম শাওকানী
তাদের দলীল হচ্ছে বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত একটি হাদীস, যেখানে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নারীদেরকে ঈদের সালাত পড়তে আদেশ করেছেন। আর আল্লাহর রাসুল যদি তার উম্মতকে কোনো আদেশ করেন সেটা পালন করা আমাদের জন্য ফরয।
উম্মে আতিয়্যা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) আমাদেরকে (অর্থাৎ নারীদেরকে) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাতে সালাতের জন্য ঘর থেকে বের হতে বলেছেন। এমনকি ঋতুবতী নারীদেরকেও। ঋতুবতী নারীগণ সালাতে অংশগ্রহণ করবেনা। ঈদগাহের একপাশে থাকবে এবং (খুতবার মাঝে) দুয়ায় শরীক হবে। উম্মে আতিয়্যা বলেন, আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের প্রত্যেকের পর্দা করার মতো চাদর নাই। রাসুল (সাঃ) উত্তর দিলেন, সে তার বোনের চাদর নিয়ে হলেও ঈদের সালাতে শরীক হবে। বুখারী ৩২৪, মুসলিম ৮৯০।
এই হাদীস থেকে স্পষ্ট, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নারীদের জন্য এটা বাধ্যতামূলক করেছেন যে, অবশ্যই তারা ঈদের সালাতে উপস্থিত হবে। নারীদের জন্যই যদি এই সালাতে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক হয়, তাহলে পুরুষের জন্য তো কোনো প্রশ্নই আসেনা।
আমাদের দেশে বিভিন্ন অযুহাতে নারীদের ঈদগাহ থেকে দূরে রাখা হয়। অথচ হাদীসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নারীদের ঈদগাহে উপস্থিত হওয়ার জন্য কতো জোর দিয়েছেন, এমনকি ঋতুবতী নারীরা সালাত না পড়লেও তাদেরকে ঈদগাহের দোয়ায় শরীক হতে আদেশ করেছেন।
আজকে মুসলমানদের ঘরের নারীরা ঈদের নামায পড়তে বাইরে যায় না । কিন্তু বেহায়াপনা করতে মার্কেট, পার্কে ঠিকই যায়। ঈদে, জুমাতে, ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাতে নারীদের জন্য ইসলাম শেখার কোন জায়গা নাই, ক্বুরান হাদীস শেখার সুযোগ নেই, বেশিরভাগ নারীই ইসলাম সম্পর্ক অজ্ঞ হয়ে বড় হয়ে উঠে। পরবর্তীতে ঈমান ও ইলমের ব্যপারে দুর্বল এই নারীগুলো বড় হয়ে পাপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে। নিজে বিপথগামী হয়, তার আশেপাশের পুরুষদের জন্যও ফেতনা সৃষ্টি করে বেড়ায়, যার ফলে আজকে সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রেই নারী জাতির ফেতনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
দ্বীনদার বোনদের এই ব্যপারে সচেতন হওয়া উচিত, প্রতিকূল অবস্থার মাঝে থেকেও, ফেতনা এড়িয়ে সঠিক ইসলাম শিক্ষা করার জন্য আত্মনিয়োগ করা উচিত। একটা মেয়ে ইসলামের আলোয় আলোকিত হওয়া মানে একটা পরিবার ইসলামের ছায়ায় প্রবেশ করা।
সচেতন মুসলিম বোনদের মধ্যে যাদের ঈদগাহে যাওয়ার সুযোগ নেই বা ভাইদের মধ্যে অনিবার্য কারণবশত যাদের জামাত মিস হবে, তাদের উচিত বাসায় জামাতে বা একা ঈদের সালাত আদায় করে নেয়া। আর এরকম ঘটনা সাহাবাদের থেকে বর্ণিত হয়েছে। দেখুন - বুখারী ১৯৫, মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ ৫৮০২।
ভাল করে পড়ে দেখুন, এই লেখায় কোন শাহবাগী মেয়ের কথা নেই । কোন শাহবাগী ছেলে কি নামাজ কালাম নিয়ে জোড়ালোভাবে আলোচনা করে ?
আপনার অনুরোদে পরের লেখাগুলোতে নিয়মিত জামায়াত-শিবিরের পাবলিসিটি করার জন্য কিছু অনুচ্ছেদ রাখা হবে । তবে এজন্য আপনি কি আমাকে কোন প্রকার সম্মানি দিতে প্রস্তুত আছেন ?
তবে কাল ইহুদী ও ভারতীয় পন্য যাতে বেশী করে মুসলিমরা কিনে এজন্য কিছু লেখার জন্য বলা হয়েছিলো । আর যারা এই কাজ করতে বলেছেন তারা বলেছেন, আমাকে এজন্য সম্মানিত করা হবে ।
ভাই রে ! আমি যা লেখি ঈমানের তাদিগে লিখি । আজ যদি মারা যাই । তাহলে অন্তত বেইমান ও মুনাফিক হয়ে না মরি, প্রতি মুহুর্তে সেই যুদ্ধ করছি । আমি কি করি সেটা যদি আপনারা নাও দেখেন , তাবে আমি আমার হৃদয়ে এতটুকু বদ্ধমূল রাখি যে আল্লাহ স্বয়ং আমাকে দেখছেন ।
জামায়াত-শিবিরের লোকরা যা ভাল কাজ করে তার কথা আমি লিখি । আর খারাপ কাজ যদি আওয়ামী লীগও যদি করে, বিএনপি-ও যদি করে, এরশাদ চাচাও যদি করে - তাহলে আমি লিখতে বিন্দুমাত্র পিছ পা হই না । আর সব সময় সব কিছু লিখতে হবে - এমনও নয় । কারণ লেখার জন্য সময়-সুযোগ-পরিস্হিতি থাকারও প্রয়োজন আছে ।
১. ঢাকা নিউ মার্কেট মসজিদ
২. রাইফেলস স্কয়ার (জিগাতলা)
৩. ইস্টার্ন মল্লিকার ছাদে
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ
...
৫. রাপা প্লাজার ৫ম তলায় জয়ীতার শো-রুম ও মার্কেটের ছাদ (ধানমন্ডি ২৭)
৬. সোবহানবাগ জামে মসজিদ (ধানমন্ডি ২৭)
৭. গাউছিয়া মার্কেটের নিচ তলায় (ধানমন্ডি হকারস এর উল্টোদিকে)
৮. চাঁদনি চকের ৩য় তলায় (নিউমার্কেটের উল্টোদিকে)
৯. তাকওয়া মসজিদ (ধানমন্ডি ১২/এ লেকের সাথে)
১০. বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, পান্থপথ (৪র্থ তলায়)
১১. বায়তুল মামুর মসজিদ, সায়েন্সল্যাব (২য় তলা)
১২. ফেরদৌসি মসজিদ, মিরপুর-১
১৩. মৌচাক মার্কেট (৪র্থ তলা)
১৪. জেনেটিক প্লাজা ১ম তলা (ধানমন্ডি ২৭)
১৫. বায়তুল আমান মসজিদ (ধানমন্ডি ৮)
১৬. উত্তরা ৪ নং, ৬ নং, ৭ নং সেক্টর মসজিদ
১৭. স্কয়ার হসপিটাল
১৮. ডিসিসি সুপার মার্কেট (গুলশান ১)
১৯. উত্তরা হাউস বিল্ডিং, নর্থ টাওয়ার (মার্কেট) ৯বম তলা
২০.রমনা থানা জামে মসজিদ
২১. ইউনাইটেড হসপিটাল (৩য় তলা)
২২. এপলো হসপিটাল (৫ম তলা)
২৩. পিঙ্ক সিটি (বেইজমেন্ট)
২৪. মোহাম্মদপুর এ স্যার সৈয়দ রোড এর আল আমিন মসজিদ
২৫. আযাদ মসজিদ (গুলশান ২)
২৬. নায়েম ভবন মসজিদ (ঢাকা কলেজের পেছনে)
২৭. ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক হসপিটাল (১.৫ তলা)
২৮. টুইন টাওয়ার শপিং সেন্টার (৪র্থ তলা)
২৯. ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ধানমণ্ডি (বেইজমেন্ট)
৩০) North Tower (Market) 8th floor, Uttara House Building
অনুগ্রহ করে আপনার জানা তথ্য শেয়ার করুন। ধন্যবাদ ।
এই পেজে যেয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোদ করা হলো :
https://www.facebook.com/WomenWillPrayInTheMosquesRegularly
( আমরা বাংলাদেশী নারীরা বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে নিয়মিত নামাজ পড়তে চাই )
ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশীদের মাঝে মুসলিম উষ্মা
মহিলা শাখা ভাল কাজ করছে। বাংলাদেশী নারীদের
জন্য সব মসজিদের দরজা খুলে দেওয়া দরকার।
এখানে অনেক সিসটার দাওয়ার কাজে জড়িত। কনভারটেট সিসটার মনে করে,মসজিদ তাদের প্রাণ।
আমি যতটুকু জেনেছি, এখনো আমেরিকার সব মসজিদে মেয়েদের যথাযথভাবে স্হান দেওয়া হয়নি । এজন্য এক মহিলা ফেসবুকে একটা বড় লেখাও লিখেছেন । এই মুহুর্তে লেখাটা শেয়ার করতে পারছি না । পরে এই লেখাটার উপর একটা লেখা লিখবো ।
আমেরিকাতে যেসব বাংলাদেশি অবস্হান করছেন তাদের উচিত -
১. বাংলাদেশের রাজনীতি হতে দুরে থাকা ।
২. আমেরিকাতে অবস্হানরত বাংলাদেশির আমেরিকান হয়ে গিয়ে আমেরিকাকে ইসলামীকরণ করা তাদের ঈমানি দায়িত্ব । তাদের বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা করার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই ।
৩. বাংলাদেশি অামেরিকানদের ছেলে-মেয়েদের ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে গড়ে তোলতে হবে যাতে তারা আগামী দিনে আমেরিকার রাজনীতি ও অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে ।
৪. আমেরিকাতে অবস্হানরত বাংলাদেশিদের আমেরিকার স্হানীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করতে হবে । তাদের মুসলিম উম্মা ইন আমেরিকা নামক মৌলবাদী বা ওহাবী সংগঠণ হতে দুরে থাকতে হবে ।
৫. ইসলামের আধ্যত্মবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে আমেরিকান সমাজে বাংলাদেশি আমেরিকানদের তুলে ধরা উচিত । ইসলামের আধ্যাত্মবাদ প্রেম-ভালবাসার উপর প্রতিষ্ঠিত । শাহ শাহজালাল প্রেম-ভালবাসা-সাম্য-মৈত্রী-শোষিতদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করেছেন ।
ইসলামের মৌলবাদী ধ্যান ধারণা ওহাবী মতবাদ বা ইমাম ইবনে তাইমিয়া হতে আগত । এর সাথে ইসলামের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই ।
আমেরিকা সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
পরিশেষে আপনাকে অনুরোদ করছি, বাংলাদেশের নোংড়া রাজনীতি নিয়ে মাথা না ঘামানোর জন্য । আমেরিকাতে আছেন, এই দেশকে বলা হয় ল্যান্ড অব অপর্চুনিটি । আপনার উচিত সেখান আপনার পেশায় সেরাদের সেরা হওয়া । আর আপনার ছেলেমেয়েদের সেই দেশের জন্য ইসলামের সৈনিক ও প্রচারক হিসেবে গড়ে তোলা ।
আমি অত্যন্ত দু:খিত হই , যখন দেখি বিদেশে অবস্হানরত বাংলাদেশিরা বাংলদেশের নোংড়া রাজনীতি নিয়ে ব্লগ ও ফেসবুকে সক্রীয় থাকে ।
আমার মন্তব্য হয়ত আপনার ভাল নাও লাগতে পারে । তারপরও আমি আমার অভিমত ব্যক্ত করলাম ।
হয়তো বা এভাবে চিন্তা করেন।
২*বাংলদেশের নোংড়া রাজনীতি নিয়ে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি বিভিন্ন ষ্টেটে নীজেদের মধ্যে মারামারি করে। অনেক সময় জেলেও গিয়েছে। ৩*যেহেতু সরকারী প্রতিষ্ঠানে রয়েছি। তাই কোথায়্ যাওয়া হয়না।
৪* মৌলবাদী ধ্যান ধারণা ওহাবী মতবাদ বা ইমাম ইবনে তাইমিয়া হতে আগত। উত্তর:এ ব্যাপার একমত না। যাদের মৌলবাদী বলেছেন,ওরা ক্ষমতার লোভী নয়। ওরা ক্ষুদ্র হলেও ঈমানী দিক থেকে শক্তিশালী।
৫*আপনার লেখা থেকে:আপনার ছেলেমেয়েদের সেই দেশের জন্য ইসলামের সৈনিক ও প্রচারক হিসেবে গড়ে তোলা উত্তর: এ ব্যাপারে একমত।সরাসরি কোরান থেকে জ্ঞান অর্জন করা উচিৎ। এখানে কোন পীরের খবর পাইনি।
৬*বাংলাদেশ থেকে আগত অনেক পরিবার,যারা
লিবারেল ছিল, তাদের ছেলেমেয়েদেরা ৫০% হারিয়ে গেছে।
৭*বাংলাদেশী অথবা পাকিস্তানী তাবলীগী মসজিদে
মহিলাদের ঢোকা নিষেধ। সংখ্যায় খুবই কম।
আমার ষ্টেটে ৪০টির বেশী মসজিদ রয়েছে। এ সম্যসা নেই। মহিলাদের জন্য নামাজের জায়গা রয়েছে।
ওহাবী মতবাদ কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে তা ইতিহাসের বইয়ের কয়েকটা পৃষ্ঠা পড়লেই জানা যায় ।
ইসলাম জানার জন্য পীরের কাছে যাওয়া বর্তমান যুগে মোটেও প্রয়োজন নেই ।
হযরত শাহজালাল রহ. সেই যুগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছিলেন । তাকে আমরা পীর হিসেবে তুলে ধরি । তবে সেই যুগে সবাই ছিলেন ইসলাম প্রচারক ।
আপনাকে অনুরোদ করছি, আমেরিকায় থেকে আমেরিকার সরকারী চাকুরী করে নেটে মওদুদি মতবাদ প্রচার করবেন না এবং বাংলাদেশের নোংড়া রাজনীতিতে জড়াবেন না ।
আমি গভীরভাবে লক্ষ্য করছি, আপনি প্রায়ই মানবতাবিরোধী জামায়াতের নেতাদের পক্ষে জনমত গঠণ করেন । এই ব্যাপারটি নিন্দনীয় ও গর্হিত ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
আমেরিকায় জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ নয় । এর অর্থ জামায়াতের স্বার্থ আর আমেরিকার স্বার্থ এক ও অভিন্ন । আমেরিকা বিন্দুমাত্র সত্যিকার ইসলামী সংগঠণ ও তাদের কার্যক্রমকে সাভাবিকভাবে দেখে না । তবে তাবেদার সংগঠণগুলোকে আমেরিকা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে ।
ইসনা আর ইকনার উপর অনেক সময় খড়গ নেমে আসলেও সেখানকার জামায়াত বা মুনা-র উপর কখনোই আমেরিকার খড়গহস্ত নেমে আসবে না । কারণ মওদুদী ছিলেন আমেরিকার চর ।
আমেরিকা এবং সাউত আমেরিকার কোন লাইব্রেরীতে আপনার কোন বই নাই। এমন কি
নিজে একটা ব্লগ চালানোর ক্ষমতা রাখেন না।
আপনার ধারনা আপনার সাথে বিরাট
জন গোষ্ঠি রয়েছে। বাই বাই।
আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি । আমার তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে কম করে হলেও তিনটা ইকমার্স সাইট চালু হবে । তার কাজ এখনও চলছে । আমি ব্যবসায়িক কারণে তাদের নাম উল্লেখ করবো না ।
আমার নিজস্ব সাইটের কাজও শেষ পর্যায়ে । সেখানে আমার সব লেখা থাকবে ।
ইসলামিক লার্নিং টেস্টিং সিস্টেম (আই এল টি এস ) বিষয়ক সাইটও বানাচ্ছি । এই সাইটে ইসলামি জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি নামমাত্র পরীক্ষা দিয়ে সনদপত্র সংগ্রহ করা যাবে ।
ব্লগ সাইটও তৈরী হবে ।
ইনশাআল্লাহ আগামী বছর আইএসবিএন নম্বর সহ আমার বই বাজারে আসবে তা আমাজন ও ইবে এর মতো ইকমার্স সাইটগুলোতেও বিক্রি হবে ।
আমি অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা-অসচ্ছতাকে ভাল চোখে দেখি না । নেটে ও বাস্তব জীবনে জামায়াত-শিবিরের লোকদের প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রম দেখে মর্মাহত হই । এজন্য মাঝে মধ্য আমি মৃদুভাবে প্রতিবাদ করি মাত্র ।
কিন্তু তার বিপরীতে জামায়াত-শিবিরের লোকরা আমাকে গালিগালাজ করে থাকে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন