তাসলিমা নাসরিন-সহ সব নাস্তিক, ইসলামবিরোধী-ইসলামবিদ্বেষীদের জন্যে বদ দুয়া করা মুসলিমদের জন্য ওয়াজিব
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৪ মে, ২০১৪, ০৩:৩৯:০৬ রাত
ডঃ আবুল কালাম আজাদ " অসুস্থ তাসলিমা নাসরিনের জন্যে দোয়া করা যাবে " শিরোনামে একটা লেখা লিখেছেন । তাতে তিনি বলেছেন :
“ আজ খবরে দেখলাম, তাসলিমা নাসরিন নাকি তার দেহে ক্যান্সারের আশঙ্কা করছেন।
খবরটা দেখেই আমি- বললাম- আল্লাহ পাক তাকে সুস্থ করে দিন এবং মৃত্যুর আগে হেদায়েত দান করুন।
সাথে সাথে একজন বললেনঃ তার মত একজন সমস্যা সৃষ্টিকারী নাস্তিকের সুস্থতার জন্যে দোয়া করলেন?
আমি বললাম- আমাদের আল্লাহ, ইসলাম ও নবী (স) করুনার আধার। আমরা মুসলমানরা যে কারো সুস্থতার জন্যে ও হেদায়েতের জন্যে দোয়া করতে পারি। আমরা মুসলমান হয়েছি বলে মানবিকতা তো হারাই নি। রাসূলুল্লাহ (স) অসুস্থ অমুসলিমদেরকে দেখতে যেতেন, তাদেরকে হেদায়েতের পথে ডাকতেন। তিনি ও তাঁর প্রচারিত ইসলাম এতো মহান বলেই তো আজো আমরা সুখী ও গর্বিত মুসলমান। ইসলাম আমাদেরকে প্রকৃত ভদ্র ও অনুভূতিশীল মানুষ হতে শেখায়; নির্দয় হতে নয়।
আমি তাকে এ সম্পর্কে আরবিতে দেওয়া এই ভিডিও ক্লিপটা দেখালাম। আপনারা যারা আরবি জানেন দেখে নিন, দয়া করে : http://www.youtube.com/watch?v=LbalQ21osFU
( ইউটিউবের এই লিংক দিয়েছেন যাতে দেখা যাচ্ছে সিরিয়ায় যৌন জিহাদ প্রচলন করার জন্য সর্বপ্রথম অভিমত প্রচারকারী সৌদি আরবের ধর্মব্যবসায়ী আরিফিকে, যিনি মুসলিম নির্যাতনকারী অমুসলিমদের বা তার ভাষায় কথিত আহলে কিতাবদের প্রতি কোমল ব্যবহার করার জন্য মুসলিমদের নসিহত করছেন । )
আমি আবারো দোয়া করি- আল্লাহ পাক জনাবা তাসলিমা নাসরিনকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন এবং মৃত্যুর আগে তাকে খাটি তওবা করে হেদায়েত পাবার সুযোগ দিন। “
সূচনা :
ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান। জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলামের দিক নির্দেশনা রয়েছে । ঠিক তেমনি বাস্তব জীবনে বিভিন্ন ধর্ম ও পেশার লোকদের সাথে আমাদের কীভাবে চলাফেরা ও যোগাযোগ করতে হবে তার দিকনির্দেশনা রয়েছে । ইসলামের বিধানগুলো চারটি বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত : কুরআন-হাদিস-ইজমা-কিয়াস ।
মুরতাদ, মুনাফিক, কাফের , মুশরিকদের সাথে মুসলিমদের আচরনবিধি কি হবে তা সুস্পষ্টভাবে কুরআন-হাদিস-ইজমা-কিয়াসে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে । এব্যাপারে কারো ব্যক্তিগত অভিমত কোন ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয় ।
কিন্তু কিছু ব্যক্তি, সংগঠণ ও প্রতিষ্ঠান তাদের হীনস্বার্থে ইসলামের অনেক বিষয়কে বিকৃতভাবে সমাজে প্রচার করে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে ।
যেমন : ডঃ আবুল কালাম আজাদ তার মিডিয়ার আরেক কুরুচিঃ 'যৌন জিহাদ'
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4038/drazad/27462
লেখায় তিনি যৌন জিহাদের স্বপক্ষে অভিমত ব্যক্ত করে বলেন :
“এই অস্থায়ী বা সাময়িক বিয়ের অনেক নিয়ম কানুন ও বাধা-নিষেধ আছে। এটা শুধু মাত্র একটা যৌন-লেনদেন নয়। “
তার এই লেখায় আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম :
” ১. সেই নিয়ম-কানুন ও বাধা নিষেধগুলো কি কি ?
২. "এটা শুধু মাত্র একটা যৌন-লেনদেন নয়।" এই কথা দিয়ে আপনি প্রমাণ করলেও এতে যোদ্ধা বা সন্ত্রাসীদের সাথে যৌনতা সংঘঠিত হয় । দয়া করে বলুন : যৌন - লেনদেনের বাহিরের আর কি কি বিষয় এই নিকাহুল মুত'আ-য় আর কি কি বিষয় রয়েছে ? “
আজ পর্যন্ত আমার এসব প্রশ্নের তিনি কোন উত্তর দেননি ।
তারপর আজকের আলোচিত আমার নিবন্ধে উল্লেখিত তার লেখায় ( অসুস্থ তাসলিমা নাসরিনের জন্যে দোয়া করা যাবে http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4038/drazad/45011) আমি মন্তব্য করি । মন্তব্যে আমি কুরআন – হাদিসের উদৃতি ব্যবহার করি । তারপরও তিনি আমার কোন প্রশ্নেরই যথাযথ উত্তর দেননি ।
তাসলিমা নাসরীন প্রসঙ্গ :
ইসলামের ইতিহাসে অনেক চরম ইসলাম বিদ্বেষীই আল্লাহ তায়ালার হেদায়াত পেয়ে পরে ইসলামের সেবকে পরিণত হয়েছেন ।
এক বিংশ শতাব্দীতে এখন কেহই এমন কয়েক জনের নাম বলতে পারবেন না যারা তাদের মেধা-যোগ্যতা-লেখুনি ব্যবহার করে ইসলামবিরোধীতা প্রচার করেছে এবং পরে ইসলামের সেবকে পরিনত হয়েছেন ।
তবে এই উদাহরণে সুইজারল্যান্ডে মসজিদের মিনার বানানোর বিরোধীতাকারী ( মিনার ছাড়াও সুন্দুর মসজিদ হয় )এবং নেদারল্যান্ডের ফিতনা ছবির পরিচালকের নাম বাদ যাবে । কারণ তাদের কাজ ও কর্মের মাধ্যমে ইসলামবিরোধীতার তেমন কিছু পাওয়া যায়নি । তারা বড়জোড় উগ্র জাতীয়তাবাদী এবং তাদের জাতীয়তাবাদের স্বার্থে ও দেশের নিজের দেশের সংস্কৃতিকে রক্ষার স্বার্থে ইসলামের কিছু প্রকাশ্য বিষয়কে তারা বিলীন করার চেষ্টা করেছিলো মাত্র । পরে তারা তাদের অবস্হান পরিবর্তন করে তাদের জাতীয়তাবাদী চিন্তা-চেতনা হতে তারা বিরত হন এবং মুসলিম হন । ফিতনা ছবিটা মূলত সন্ত্রাসের উপর । পরিচালকের মতে মুসলিমরা সন্ত্রাস করছে এবং সেই সন্ত্রাসের অণুপ্রেরণা কুরআন হতে এসেছে । বিষয়টি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ । নির্যাতিত কাশ্মীরী, রোহিঙ্গা, থাইল্যান্ডের মুসলিমদের কোনভাবেই সন্ত্রাসীদের কাতারে ফেলা যায় না । ঠিক তেমনি সিরিয়ার ওহাবীদেরও তাদের ওহাবী মতবাদ অনুযায়ী তাদেরও সন্ত্রাসী বলা যায় না । কারণ তাদের মতে ওহাবী মতবাদই হলো আসল ইসলাম । তারা আসল ইসলাম প্রচার ও প্রসার করার জন্য আধ একটু মারামারি করছেন এই আর কি !
অপর দিকে তাসলিমা নাসরিন-সহ বাংলাদেশের সব নাস্তিক ইসলাম ও মুসলিমদের বিরোদ্ধে বরাবরই এমন কোন কাজ নেই তারা করেনি । আমার হিসেবে তাসলিমা নাসরিনের অপরাধ :
১. বাংলাদেশের মেয়েদের বিয়ের আগে বখাটেদের সাথে কীভাবে যৌনতা করতে হয় তার তালিম দেওয়া । যেমন : তিনি বিয়ের আগে কীভাবে সিফিলিস নাম যৌন রোগগ্রস্হ মাতাল কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সাথে কীভাবে যৌনতা করেছেন তার বিবরণ তিনি তার লেখা অন্তত ৫ টা বইয়ে দিয়েছেন ।
২. বাংলাদেশের মেয়েদের বাবা-মা-পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে অভদ্র ও অনারী সুলভ আচরণ করতে হয় তা তার বইগুলোর মাধ্যমে উপস্হাপন করেছেন । ( আমি তার এসব বই হতে কোন উদৃতি দিবো না । কারণ নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষন মানুষের চিরন্তন )
এই বিষয়টা আমাদের দেশের নারী সমাজের জন্য সবচেয়ে বেশী ক্ষতি বয়ে এনেছে । এমনিতেই দিন দিন বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্য হতে মা-সূলভ আচরন কমে যাচ্ছে ।
৩. ইসলামের এমন কোন বিষয় নেই যা নিয়ে তাসলিমা নাসরীন ঠাট্টা-মসকরা করেননি ।
এই ব্যাপারে আলেম সমাজে প্রথমে নিরব ছিল । প্রথম দিকে সিলেট ও নীলফামারী জেলার কিছু অক্ষ্যাত আলেম তার ব্যাপারে মুখ খুলেন । জনগণ যখন জেগে উঠে তখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পেটুয়া বাহিনী জনগণের উপর নির্যাতনের স্টীম রোলার চালায় এবং কম করে হলেও ৩৫ জন লোককে শহীদ করা হয় । এসব লোক শহীদ হওয়ার পেছনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভুমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো । আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে তাসলিমা নাসরীনের পক্ষ অবলম্বন করে ইসলামপ্রিয় জনতার উপর হামলে পড়ে ।
৪. তাসলিমা নাসরিনের কার্যক্রমের কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মুসলিম বিশ্বে ক্ষুন্ন হয়েছে । বাংলাদেশকে মুসলিমরা চিনে তাসলিমা নাসরিনের মতো নাস্তিকের দেশ হিসেবে । ( এখন চিনে ড. ইউনুসের দেশ হিসেবে )
আসুন, আমরা একটু মনযোগ দিয়ে ভাবি, এই মুহুর্তে যদি তাসলিম নাসরীন যদি তওবা করেন, তাহলে কি তিনি ৩৫ জন শহীদের জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবেন । তিনি ইসলামবিরোধীতা করে যে ২৫ টি বই লিখেছেন সেগুলো পড়ে মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছেন, তিনি কি সেসব লোকদের বিভ্রান্তি দুর করতে পারবেন ? আর তিনি নিজেই কি এই ২৫ টি বইয়ের অনুরুপ ২৫ ইসলামী বই লিখে তিনি তার পাপের পায়চিত্ত্ব করতে পারেন ।
যেসব ছেলে তার ফাসি চেয়ে আন্দোলন করলো, পড়াশোনার মূল্যবান সময় নষ্ট করলো, জেল জুলুম হুলিয়া মামলা মোকদ্দমার স্বীকার হলো , তিনি কি পারবেন তাদের ক্ষয়-ক্ষতি দুর করতে ?
তাহলে কেন তার জন্য হিদায়াত বা সত্যপথ পাওয়া বা তার মৃত্যুর আগে তওবা করার প্রশ্ন আসছে ? এমন তওবা করার কথা বা হিদায়াত দানের জন্য মুসলিমদের আকুল হতে কি কুরআন-হাদিস কোন নির্দেশনা দিয়েছে কি ?
উত্তর হবে না । কারণ :
১.আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آَمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ l وَمَا كَانَ اسْتِغْفَارُ إِبْرَاهِيمَ لِأَبِيهِ إِلَّا عَنْ مَوْعِدَةٍ وَعَدَهَا إِيَّاهُ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ أَنَّهُ عَدُوٌّ لِلَّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَأَوَّاهٌ حَلِيمٌ
* আত্মীয়-স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী ও মুমিনদের জন্য সংগত নয় যখন এটা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, নিশ্চিতই ওরা জাহান্নামী। * ইবরাহীম তার পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল, তাকে এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে; অতঃপর যখন এটা তার নিকট স্পষ্ট হল যে, সে আল্লাহর শত্রু তখন ইবরাহীম তার সম্পর্ক ছিন্ন করল। ইবরাহীম তো কোমলহৃদয় ও সহনশীল। ( সুরা আত তাওবা ৯ : ১১৩-১১৪ )
২. إِنَّمَا جَزَاءُ الَّذِينَ يُحَارِبُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَسْعَوْنَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا أَنْ يُقَتَّلُوا أَوْ يُصَلَّبُوا أَوْ تُقَطَّعَ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُمْ مِنْ خِلَافٍ أَوْ يُنْفَوْا مِنَ الْأَرْضِ ذَلِكَ لَهُمْ خِزْيٌ فِي الدُّنْيَا وَلَهُمْ فِي الْآَخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ l إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا مِنْ قَبْلِ أَنْ تَقْدِرُوا عَلَيْهِمْ فَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্য করে বেড়ায় এটাই তাদের শাস্তি যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শুলে চড়ানো হবে অথবা বিপরীত দিক হতে তাদের হাত ও পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদের দেশ হতে নির্বাসিত করা হবে। দুনিয়াতে এটাই তাদের লাঞ্ছনা ও পরকালে তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে। * তবে, তোমাদের আয়ত্তাধীনে আসার পূর্বে যারা তাওবা করবে তাদের জন্য নয়। সুতরাং জেনে রাখ যে, আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ( সুরা মাইদা ৫ : ৩৩-৩৪ )
৩. হাদিসে আছে : একবার মুয়ায রা. আবু মূসা আশআরী রা.-এর সাথে সাক্ষাত করতে এলেন, (তাঁরা উভয়ে ঐ সময় ইয়ামানে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ হতে দায়িত্বশীল হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন) । মুয়ায রা. দেখলেন, এক লোককে তার কাছে বেঁধে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসা করলেন, কী ব্যাপার? আবু মূসা আশআরী রা. বললেন, এ লোক ইহুদী ছিল, ইসলাম গ্রহণ করেছিল, আবার ইহুদী হয়ে গেছে। আপনি বসুন। মুয়ায রা. বললেন, একে হত্যা করার আগ পর্যন্ত আমি বসব না। এটিই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ফয়সালা। তিনি একথা তিনবার বললেন। সেমতে ঐ মুরতাদকে হত্যা করা হল।
( সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬৯২৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৭৩৩ )
বিশেষত যে নাস্তিক বা মুরতাদ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে কটূক্তি করে কিংবা ইসলামের নিদর্শনের অবমাননা করে সে তো সরাসরি ‘মুফসিদ ফিল আরদ’’ (ভূপৃষ্ঠে দুষ্কৃতিকারী)। এ ব্যক্তি রাসূল অবমাননাকারী হিসেবেও ‘‘ওয়াজিবুল কতল’’ (অপরিহার্যভাবে হত্যাযোগ্য) এবং দুষ্কৃতিকারী হিসেবেও।
একারণে প্রত্যেক মুসলিম জনপদের দায়িত্বশীলদের উপর ফরয, উপরোক্ত দন্ড কার্যকর করে নিজেদের ঈমানের পরিচয় দেয়া। যেখানে এ আইন নেই তাদের কর্তব্য, অবিলম্বে এই আইন প্রণয়ন করে তা কার্যকর করা, যদি তারা দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ চান।
ইসলামের দৃষ্টিতে তাসলিমা নাসরীনের মতো মুরতাদদের শাস্তি :
পবিত্র কুরআনুল কারীমে ও হাদীস শরীফে স্পষ্টভাবে মুরতাদের শাস্তির কথা উল্লোখ হয়েছে। আর তা হল, মুরতাদকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রথমে বন্ধি করবে। অতপর বিচারক তকে তাওবা করার সুযোগ দিবে। তাওবা করলে তো ভালো। অন্যথায় তার শাস্তি মৃত্যু দন্ড প্রয়োগ করবে।
তবে সর্বাবস্থায় খেয়াল রাখতে হবে যে, এ শাস্তি একমাত্র বিচারকই প্রয়োগ করবে কোনো ব্যক্তি তা প্রয়োগের অধিকার রাখে না।
সূত্র –সূরা মায়েদা, আয়াতঃ ৩৩। সহীহ বুখারী, জামে তিরমিযী, সুনানে আবু দাউদ।
১. যারা মুমিন হওয়ার পর আল্লার সাথে কুফরী করে এবং কুফরীতে যাদের মন উন্মক্ত হয় ,তাদের উপর আল্লার থেকে গজব পড়ে এবং তাদের জন্য রয়েছে ভয়ঙ্কর শাস্তি ।(সুরা নাহাল ,আয়াত ১০৬) .....
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীর ইবনে কাসীরে মুরতাদের দুনিয়াবী শাস্তিস্বরুপ মৃত্যুদন্ড প্রধানের হাদীসসমুহ বুঝানো হয়েছে যে , মুরতাদেরশাস্তি মৃত্যুদন্ড ।।।
২. হজরত আলী রাঃ একদল ইসলাম ত্যগকারী যিনদীককে মৃত্যুদন্ড প্রধান করলে ,এ সংবাদ শুনে হঝরত ইবনে আব্বাস রা: তাদের এ মৃত্যুদন্ডকে যর্থাথ উল্লেখ করে বলেন ,রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেন ,,যে তার দ্বীন পরিবর্তন করে ,তাকে তোমরা হত্যা কর । (সহীহ বুখারী ,হাদিস নং ৬৪৫৪)
৩.বুখারী শরীফে অপর এক হাদিসে বর্নিত আছে , হঝরতআবু মুসা আশ আরী রাঃ রাসুলুল্লা সাঃ এর নির্দেশে ইয়ামানে শাসনকর্তা নিযুক্ত হন ।এরপর সেই এলাকার আরেক অংশে রাসুলুল্লাহ সাঃ হঝরত মু আয ইবনেজাবাল রাঃ কে পাঠালেন । পথিমধ্যে মু আয রাঃ আবু মুসা রাঃ এর অন্জলে পৌছলে তিনি তার জন্য আসন বিছিয়ে দিয়ে তাকে তাশরীফ গ্রহন করতে বললেন ।ঘটনাক্রমে সেখানে একজন লোক শিকলাবদ্ধ ছিল ।মু আযরাঃ বললেন ,এই লোকটি কে ?আবু মুসা রাঃ বললেন লোকটি প্রথমে ইয়াহুদী ছিল,তারপর মুসুলমান হয়েছিল কিন্তু এখন আবার ইসলাম ত্যাগ করে ইয়াহুদী হয়ে গেছে ।
(মুসনাদে আহমদ এর বর্ননায় এ কথাও রয়েছে আমি তাকে দুমাস ধরে ইসলামের উপর আনার চেষ্টা করছি ।)তা শুনে মু আয রাঃ বললেন ,না বসবনা যতক্কননা তাকে হত্যা করা হবে ।মুরতাদের ব্যাপারে এটাই আল্লাহ ও তার রাসুলের ফায়সালা ।কথাটি তিনি তিনবার বললেন । আবু মুসা রাঃ ইসলাম ত্যগকারী সেই লোকটিকে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন এবং তাকে হত্যা করা হল ।
(দ্রষ্টব্য:সহীহ বুখারী ,হাদিস নং ৬৪৫৫ ,)
তেমনিভাবে সহীহ বুখারী ,সহী মুসলিম ,সুনামে আবু দাউদ , জামিয়ে তিরমিযি ,সুনামে ইবনে মাজাহ ,সুনামে আহমাদ প্রভৃতি হাদিস গ্রন্থে মুরতাদকে মৃত্যদন্ড প্রধান সম্পর্কিত বহু হাদিস বর্নিত হয়েছে ।
সুতরাং তাসলিমা নাসরীন-সহ সব নাস্তিক মুরতাদের জন্য দুয়া করার প্রশ্ন অবান্তর ।
নাস্তিকতা,ইসলামবিরোধীতা ও ইসলামবিদ্বেষ প্রচারের জন্য শাস্তি মৃত্যুদন্ড হওয়ার কারণ :
যে কথার কারণে কারো বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয় সেটাকে মুসলিম স্কলারগণ ‘রিদ্দা’ (ইসলাম-ত্যাগ) হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। কখন ব্যক্তির ‘রিদ্দা’ সাব্যস্ত হয়? এবং মুরতাদ (ইসলাম ত্যাগকারী) ব্যক্তির বিধান কী?
এক: রিদ্দা মানে- ইসলাম গ্রহণ করার পর কুফরিতে ফিরে যাওয়া।
দুই: কখন ব্যক্তির ‘রিদ্দা’ সাব্যস্ত হয়?
যে বিষয়গুলোতে লিপ্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কোন ব্যক্তির ‘রিদ্দা’ সাব্যস্ত হয়-তা চার প্রকার।
১. বিশ্বাসগতভাবে ইসলাম ত্যাগ করা। যেমন- আল্লাহর সাথে শিরক তথা অংশীদার স্থাপন করা, অথবা আল্লাহকে অস্বীকার করা অথবা আল্লাহ তাআলার সাব্যস্ত কোন গুণকে অস্বীকার করা।
২. কোন কথা উচ্চারণ করার মাধ্যমে ইসলাম ত্যাগ। যেমন- আল্লাহ তাআলাকে গালি দেয়া অথবা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গালি দেয়া।
৩. কর্মের মাধ্যমে ধর্মত্যাগ। যেমন-কোন নোংরা স্থানে কুরআন শরিফ নিক্ষেপ করা। এ কাজ আল্লাহর বাণীকে অবমূল্যায়নের নামান্তর। তাই এটি অন্তরে বিশ্বাস না থাকার আলামত। অনুরূপভাবে কোন প্রতিমাকে অথবা সূর্যকে অথবা চন্দ্রকে সিজদা করা।
৪. কোন কর্ম বর্জন করার মাধ্যমে ইসলাম ত্যাগ। যেমন- ইসলামের সকল অনুশাসনকে বর্জন করা এবং এর উপর আমল করা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুখ ফিরিয়ে নেয়া।
যারা রিদ্দা ধরনের কাজ করে তাদের মুরতাদ বলা হয় । সহজ কথায় নাস্তিক, ইসলামবিদ্বেষী ও ইসলামবিরোধীতাকারী হলো মুরতাদ ।
মুরতাদের হুকুম কী?
যদি কোন মুসলিম মুরতাদ হয়ে যায় এবং মুরতাদের সকল শর্ত তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় (সুস্থ- মস্তিস্ক, বালেগ, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অধিকারী হওয়া) তাহলে তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হবে এবং ইমাম তথা মুসলমানদের শাসক অথবা তাঁর প্রতিনিধি যেমন বিচারক তাকে হত্যা করবে। তাকে গোসল করানো হবে না, তার জানাযা-নামায পড়ানো হবে না এবং তাকে মুসলমানদের গোরস্থানে দাফন করা হবে না।
মুরতাদকে হত্যা করার দলিল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী “যে ব্যক্তি ধর্ম ত্যাগ করে তাকে হত্যা কর।” [সহিহ বুখারী (২৭৯৪)]।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “যে মুসলিম ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, ‘আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল’ নিম্নোক্ত তিনটি কারণের কোন একটি ছাড়া তার রক্তপাত করা হারাম: হত্যার বদলে হত্যা, বিবাহিত ব্যভিচারী, দল থেকে বিচ্ছিন্ন-ধর্মত্যাগী।”
[সহিহ বুখারি (৬৮৭৮) সহিহ মুসলিম (১৬৭৬)]।
দেখুন: মাওসুআ ফিকহিয়্যা (ফিকহি বিশ্বকোষ), খণ্ড-২২, পৃষ্ঠা- ১৮০
এর মাধ্যমে আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, মুরতাদকে হত্যা করার বিষয়টি আল্লাহর আদেশেই সংঘটিত হয়ে থাকে। যেহেতু আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর রাসূলের আনুগত্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। “তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃত্বশীল তাদের আনুগত্য কর” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুরতাদকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেমনটি ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে- “যে ব্যক্তি তার ধর্ম পরিবর্তন করেছে তাকে হত্যা কর।”
এ মাসয়ালার প্রতি সন্তুষ্ট হতে আপনার হয়তো কিছু সময় লাগতে পারে, কিছু চিন্তাভাবনার প্রয়োজন হতে পারে।
একটু ভেবে দেখেন তো, একজন মানুষ সত্যকে অনুসরণ করল, সত্যপথে প্রবেশ করল এবং আল্লাহ তার উপর যে ধর্ম গ্রহণ করা আবশ্যক (ফরয) করে দিয়েছেন একমাত্র সে সত্য ধর্ম গ্রহণ করল। এরপর আমরা তাকে এই অবকাশ দিব যে, সে যখন ইচ্ছা অতি সহজে এই ধর্ম ত্যাগ করে চলে যাবে এবং কুফরি কথা উচ্চারণ করবে -যে কথা ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে বহিষ্কার করে দেয়- এভাবে সে আল্লাহ, তাঁর রাসূল, তাঁর কিতাব, তাঁর ধর্মকে অস্বীকার করবে কিন্তু কোন শাস্তির সম্মুখীন হবে না। এই যদি হয় তাহলে তার নিজের উপর এবং অন্য যারা এই ধর্মে প্রবেশ করতে চায় তাদের উপর এর প্রভাব কেমন হবে? আপনার কি মনে হয় না, এ রকম সুযোগ দিলে এই মহান ধর্ম -যা গ্রহণ করা অনিবার্য- একটি উন্মুক্ত দোকানে পরিণত হবে। যে যখন ইচ্ছা এতে প্রবেশ করবে এবং যখন ইচ্ছা বের হয়ে যাবে। হতে পারে সে অন্যকেও ইসলাম ত্যাগে অনুপ্রাণিত করবে।
তাছাড়া এই ব্যক্তি তো এমন কেউ নয় যে সত্যকে জানেনি, ধর্মকর্ম, ইবাদত-বন্দেগি কিছুই করেনি। বরঞ্চ এই ব্যক্তি সত্যকে জেনেছে, ধর্মকর্ম করেছে, ইবাদত-অনুষ্ঠান আদায় করেছে। সুতরাং সে যতটুকু শাস্তি প্রাপ্য এটি তার চেয়ে বেশি নয়। এ ধরনের শাস্তি শুধু এমন এক ব্যক্তির জন্য রাখা হয়েছে যে ব্যক্তির জীবনের কোন মূল্য নেই। কারণ সে ব্যক্তি সত্যকে জেনেছে, ইসলামের অনুসরণ করেছে এরপর তা ছেড়ে দিয়েছে। অতএব এ ব্যক্তির আত্মার চেয়ে মন্দ কোন আত্মা আছে কি?
সারকথা হচ্ছে- আল্লাহ তাআলা এই ধর্ম নাযিল করেছেন এবং তিনি এই ধর্ম গ্রহণ করা অপরিহার্য করেছেন এবং তিনি ইসলাম গ্রহণ করার পর ইসলাম ত্যাগকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছেন। এই শাস্তি মুসলমানদের চিন্তাপ্রসূত নয়, পরামর্শভিত্তিক নয়, ইজতিহাদনির্ভর নয়। বিষয়টি যেহেতু এমনি তাই আমরা যাঁকে রব্ব হিসেবে, ইলাহ হিসেবে মেনে নিয়েছি তাঁর হুকুমের অনুসরণ করতেই হবে।
[এই অংশের জন্য কৃতজ্ঞতা : http://islamqa.info/bn/20327
ইসলাম ত্যাগকারী মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কেন ?
ইসলামে নাস্তিক মুরতাদ ও ইসলাম অস্বীকারকারীদের জন্য দুয়া করার কোন বিধান নেই :
নূহ (আঃ) এর সন্তানের জন্য দোয়া করতে নিষেধ করা হল। পিতা তারপরও দোয়া করতে চাইলেন। আল্লাহ হুমকি দিলেন, দোয়াতো কবুল হবেনা, যদি আবারো দোয়া করো তাহলে নবুয়তি চলে যাবে!
সেই সন্তান পিতার উপর আক্রমনকারী ছিলনা, পিতাকে হেনস্তাকারীও ছিলনা। তাই পিতা হিসেবে ছেলেটির প্রতি মায়া ছিল, তবে এই সন্তান আল্লাহর ব্যাপারে বড় অপরিনামদর্শী ছিল, আর এটাই ছিল তার অপরাধ।
দেখুন , কুরআনে কি আছে এসম্পর্কে :
অতঃপর নির্দেশ দেওয়া হ’ল, হে পৃথিবী! তোমার পানি গিলে ফেল (অর্থাৎ হে প্লাবনের পানি! নেমে যাও)। হে আকাশ! ক্ষান্ত হও (অর্থাৎ তোমার বিরামহীন বৃষ্টি বন্ধ কর)। অতঃপর পানি হরাস পেল ও গযব শেষ হ’ল। ওদিকে জূদী পাহাড়ে গিয়ে নৌকা ভিড়ল এবং ঘোষণা করা হ’ল, যালেমরা নিপাত যাও’ (৪৪)।
‘এ সময় নূহ তার প্রভুকে ডেকে বলল, হে আমার পালনকর্তা! আমার পুত্র তো আমার পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, আর তোমার ওয়াদাও নিঃসন্দেহে সত্য, আর তুমিই সর্বাপেক্ষা বিজ্ঞ ফায়ছালাকারী (৪৫)।
‘আল্লাহ বললেন, হে নূহ! নিশ্চয়ই সে তোমার পরিবারভুক্ত নয়। নিশ্চয়ই সে দুরাচার। তুমি আমার নিকটে এমন বিষয়ে আবেদন কর না, যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই। আমি তোমাকে সতর্ক করে দিচ্ছি যেন জাহিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না’ (৪৬)।
‘নূহ বলল, হে আমার পালনকর্তা! আমার অজানা বিষয়ে আবেদন করা হ’তে আমি তোমার নিকটে পানাহ চাচ্ছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর ও অনুগ্রহ না কর, তাহ’লে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব’ (৪৭)। সুরা হুদ : ( ৪৪ – ৪৭ )
২.সুরা তওবার ৮০ নং আয়াতে আমরা দেখছি মুনাফিক সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের অসুস্হতা হতে আরোগ্যের জন্য আল্লাহর কাছে রাসুল সা. দুয়া করতে গেলে আল্লাহ কঠোর সতর্কবানী উচ্চারণ করছেন :
الَّذينَ يَلمِزونَ المُطَّوِّعينَ مِنَ المُؤمِنينَ فِى الصَّدَقٰتِ وَالَّذينَ لا يَجِدونَ إِلّا جُهدَهُم فَيَسخَرونَ مِنهُم ۙ سَخِرَ اللَّهُ مِنهُم وَلَهُم عَذابٌ أَليمٌ
[79] সে সমস্ত লোক যারা ভৎর্সনা-বিদ্রূপ করে সেসব মুসলমানদের প্রতি যারা মন খুলে দান-খয়রাত করে এবং তাদের প্রতি যাদের কিছুই নেই শুধুমাত্র নিজের পরিশ্রমলব্দ বস্তু ছাড়া। অতঃপর তাদের প্রতি ঠাট্টা করে। আল্লাহ তাদের প্রতি ঠাট্টা করেছেন এবং তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।
[80] استَغفِر لَهُم أَو لا تَستَغفِر لَهُم إِن تَستَغفِر لَهُم سَبعينَ مَرَّةً فَلَن يَغفِرَ اللَّهُ لَهُم ۚ ذٰلِكَ بِأَنَّهُم كَفَروا بِاللَّهِ وَرَسولِهِ ۗ وَاللَّهُ لا يَهدِى القَومَ الفٰسِقينَ
[80] তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর আর না কর। যদি তুমি তাদের জন্য সত্তর বারও ক্ষমাপ্রার্থনা কর, তথাপি কখনোই তাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। তা এজন্য যে, তারা আল্লাহকে এবং তাঁর রসূলকে অস্বীকার করেছে। বস্তুতঃ আল্লাহ না-ফারমানদেরকে পথ দেখান না।
( সুরা তওবা : ৭৯ – ৮০ )
সুরা তওবার এই আয়াতগুলো নাজিল হওয়ার কারণ হলো : “মুনাফিক সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই অসুস্হ হন । তার ছেলে ভাল মুসলিম ছিলেন । তিনি রাসুল সা.- কে তার বাবার জন্য দুয়া করতে বলেন । তখন আল্লাহ রাসুল সা.-কে এই আয়াতগুলো নাজিল করে সতর্ক করেন ।”
বর্তমান জামানার তাসলিমা নাসরীন , নাস্তিক সম্প্রদায় ও ধর্মহীন ধর্মনিরোপেক্ষতাবাদীরাও এই একই দলের । সুতরাং আমরা কোন দু:খে তাদের জন্য দুয়া করতে যাবো । তারা তো কথায় কথায় আমাদের মোল্লা, ক্ষ্যাত, জঙ্গী , সন্ত্রাসী , গেয়ো, পাকি, … ইত্যাদি বরে গাল দেয় । অথচ তারা আমদের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে বাস করছে । আমাদের ট্যাক্সের টাকায় সরকার চলে । গুটি কয়েক নাস্তিক আর ইসলামবিরোধীদের টাকায় দেশ চলে না । আমেরিকা আর সোদি আরবের অনুকম্পায়ও দেশ চলে না ।
কুরআন হাদিসে বদ দুয়া করার বিধান :
কুরআনেই বদ দুয়া করার বিধান আছে । যেমন :
নুহ (আ) চূড়ান্তভাবে বদ দো‘আ করে বললেন,وَقَالَ نُوْحٌ رَّبِّ لاَ تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِيْنَ دَيَّارًا، إِنَّكَ إِنْ تَذَرْهُمْ يُضِلُّوا عِبَادَكَ وَلاَ يَلِدُوْا إِلاَّ فَاجِرًا كَفَّارًا- (نوح ২৬-২৭)- ‘হে প্রভু! পৃথিবীতে একজন কাফের গৃহবাসীকেও তুমি ছেড়ে দিয়ো না’। ‘যদি তুমি ওদের রেহাই দাও, তাহ’লে ওরা তোমার বান্দাদের পথভ্রষ্ট করবে এবং ওরা কোন সন্তান জন্ম দিবে না পাপাচারী ও কাফের ব্যতীত’ (নূহ ৭১/২৬-২৭)।
সুতরাং আমরাও তাসলিমা নাসরিন-সহ সব নাস্তিক, ইসলামবিরোধী-ইসলামবিদ্বেষীদের জন্যে বদ দুয়া করব এবং মুসলিমদের জন্য তা ওয়াজিব ।
ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবিন ।
( চলবে )
বিষয়: বিবিধ
৪৪৫৩ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহ খাইর ।
তসলিমা নাসরিন কারো দোয়ার কাঙ্গাল না। এত এত দোয়া করে দোয়াবাজ মুসলমানরা নিজেদের জন্য কি করতে পেরেছে? আমারা তো দেখি তুরাগ নদীর তীরে মুসলিমদের প্রতি বছরের দোয়া তুরাগ নদীতেই ভেসে যায়।
আমি আমার পোস্টে ওয়াজিব শব্দটা ব্যবহার করেছি । ইবাদতগত বিষয় বলেই গুরুত্বপূর্ণ এই শব্দ ব্যবহার করেছি ।
সুতরাং মুসলিমদের ইবাদতগত বিষয়ে অমুসলিম ও নাস্তিকদের চিন্তা করার আদৌও প্রয়োজন নেই । দুয়া কবুল হলো কি হলো না তা একান্তু মুসলিমদের বিষয় কারণ ।
মুসলিমরা বিশ্বাস করে : "একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করার জন্যই মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে ।"
আমি তাসলিমা নাসরিনের অপরাধ সম্পর্কে আলোচনা করেছি । সুতরাং আমার এই শিরোনামটা অযৌক্তিক কিছু নয় । বিনা অপরাধে ইসলামে কারোর ব্যাপারে আল্লাহর কাছে অভিযোগ বা বদ দোয়া করার নিয়ম বা বিধান ইসলামে দেওয়া হয়নি ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
কিন্তু আপনার ধর্ম বিশ্বাসের জটিবটি দিয়ে এযুগে মানুষকে অপরাধী বানিয়ে দিবেন সেই মূর্খ যুগে মানুষ আর নেই। মানুষ এখন সুসভ্য আইনের শাসনে বসবাস করে। বেশি বাড়াবারি করলে আপনাদেকে সেই আইনের আয়তায় আনা হবে এবং হছ্ছেও তাই। ধন্যবাদ।
সুতরাং মুসলিমদের আইনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই । যে বা যারা নাস্তিকদের অনুকম্পা দেখাবে তাদের পরিনতি কখনোই শুভ হয়নি । এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান ভাল করেই বুঝেছিলেন বলেই দাউদ হায়দারকে জামার্নিতে পাঠিয়ে জনরোষ হতে রক্ষা পেয়েছিলেন । তখন ছিল ১৯৭৪ সাল । আর এখন ২০১৪ সাল ।
আইনের কথা বলছেন তো । সেই আইন অনুযায়ী আপনাকে এবং এই পেজের এডমিনকে জড়িযে দিতে পারি ।
আপনি বরাবর বিভিন্ন নিক ব্যবহার করে ইসলামবিরোধী পোস্ট দিচ্ছেন আর এডমিন আপনাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন ।
আইন হলো মাকড়সার জালের মতো । মাকড়শার জাল সেই জাল হতে ছোট পোকা-মাকড় বের হতে পারে না । আইন আদালতের ব্যাপারটিও তাই ।
আমাদের মতো মতো মুসলিমদের আইনের ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই । আগে নিজের কথা চিন্তা করুন ।
তাসলিমা নাসরিন কতটুকু সভ্য তা বলুন । যে নিজেই বলছে যৌন রোগগ্রস্হ এক লোকের সাথে এইচ এস সি পরীক্ষার পর দিনের দিন যৌনতা করেছে - তাকে আপনি সভ্য লোক মনে করেন । আর তাদের সভ্য মহিলা মানলে বাংলাদেশের সাধারণ মহিলাগুলো আসলে কি ? - দয়া করে বলবেন কি ?
আপনি বলেছেন : "তাসলিমা নাসরিন কতটুকু সভ্য তা বলুন । যে নিজেই বলছে যৌন রোগগ্রস্হ এক লোকের সাথে এইচ এস সি পরীক্ষার পর দিনের দিন যৌনতা করেছে - তাকে আপনি সভ্য লোক মনে করেন । আর তাদের সভ্য মহিলা মানলে বাংলাদেশের সাধারণ মহিলাগুলো আসলে কি ? - দয়া করে বলবেন কি?"
আমারও তো একই প্রশ্ন- আমাদের নবী মোহাম্মদ নিজ ঘরে ৩ হালি বিবি থাকার পরও রাতের বেলা অসহায় অবলা যুদ্ধবন্ধি, দাসী দের পর চড়াও হতেন, এটি আমার কথা না। খোদ কোরাণ-হাদীসের খোলামেলা তথ্য। তো??????
আমার নবী কয়টা বিয়ে করেছেন তা নিয়ে অনেক সুন্দরভাবে ফারাবী নামক ব্লগার বেশ কিছু লেখা লিখেছেন । আমি সে ব্যাপারে বিস্তারিত যাবো না । তবে আপনার উচিত শ্রী কৃষ্ণের বৈবাহিক জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করা । তা করলে আপনার ধর্মবিরোধীতা নিরোপেক্ষ হবে ।
বাবা-মাকে জানিয়ে তাসলিমা নাসরিন বিয়ে করে যৌনতা করতে তাহলে কেহ কিছু বলতো না ।
কিন্তু সভ্যতার ঠেংগানি খেয়ে খোদ সৌদি আরবের বর্বর মুসলমারা আল্লার দেয়া এই অকাট্ট আইন গুলো প্রয়গ করতে ভয় পায়। আপনার জন্য করুনা।
নারী সাক্ষ্য পুরুষের অর্থেক, মেয়েদের প্রকাশ্যে পাথরছুড়ে মারা, ক্রীতদাসীদের সাথে মুমিনের অতিরস্কারযোগ্য যৌনমাস্তি,প্রকাশ্যে কল্লাকাটা, ইহুদী-নাসারা কতল, তাদের সাথে বন্ধুত্যের বন্ধন ছিন্ন. ----- ইত্যাদি প্রসঙ্গ এনেছেন । এসব বিষয়ে অদুর ভবিষ্যতে লিখবো । সে সব লেখায় আপনাকে অগ্রীম আমন্ত্রন ।
তবে এই সাইটে যদি আমার লেখার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায় , তাহলে আমার ব্যক্তিগত সাইটে এসব বিষয়ে লেখা দিবো । কিন্তু আপনাকে মার্জিতভাবে শব্দ চয়ন করার জন্য অনুরোদ করছি ।
হেই মাইয়া কেমন শিক্ষিত ও আকলদার তার লিখিত কাহিনী পইড়া জাইনা লন,
লিঙ্গ সাহিত্যিক সৈয়দ শামশু মিয়া এক রাত্রে তসলিমারে নিজের কণ্যা বানাইয়া রাঙ্গামাটিতে এক লইয়া গেছিল। বাপ-কইন্যা হোটেলের এক কক্ষে রাত্র যাপন করিতে থেকেছিল?
রাতে তসলিমা যখন পত্রিকা পড়ছিল, তখন পিতা লিঙ্গ সাহিত্যিক কন্যাকে আদর করিয়া পিটে হাত রাখিল! কন্যা ভাবিল পিতার মতলব কি?
পিতা আরেকটু পরে কন্যাকে আদর করিতে কাঁধে হাত রাখিল, কন্যা মতলব বুইঝতে চাইল!
আরো পড়ে লিঙ্গ পিতা কন্যা পিটে হাত দিয়া ব্লাউজের বোতাম খুলিল! কন্যা চিন্তা করিল পিতা মনে হয় আদরের নিয়তে ইহা খুলিতেছে।
আরো গভীর রাতে পিতা লিঙ্গ সাহিত্যিক কন্যার খোলা ব্লাউজের ফাঁক দিয়া বুকের উপর হাত ঢূকাইতে যাইতেছিল, তখন কন্যার খেয়াল হইল লিঙ্গ পিতার মতলব আসলেই খারাপ। কন্যা লাফ দিয়া উঠিয়া গেল!!!
লিঙ্গ পিতার কু মতলব বুঝিতে কন্যার কতকিছু খোলা হইল। সে কন্যা জনগনের মতলব কিভবে বুঝিবে।
যেমন লম্পট সাহিত্যিক পিতা, তেমনি বনিতা মার্কা মাইয়া। বিদেশী সাদা চামড়ার লুইচ্ছারা, মাইয়ার শরীরে বাংলাদেশের মানচিত খুইজা বেড়ায়। হে রে যে সমর্থন দেয় সেও এক কাতারের দালাল, কুন সন্দেহ নাই।
যারা তার জন্য দুয়া করা জায়েজ বলছেন তারা কি তাসলিমার ফাসি চেয়ে আন্দোলন করতে যেয়ে শহীদ হয়েছে তাদের কি আবার পৃথিবীতে ফেরত আনতে পারবেন ? তারা কি মুর্খ ছিল । তারা কি বিনা কারণে জীবন দিয়ে শহিদ হয়েছিলো ।
এভাবে যদি খারাপ লোকদের সহানুভতি জানানো হয়, তাহলে সমাজে ভাল কাজ করার এবং ইসলামের পথে থাকার ও ইসলামের জন্য জীবন দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে প্রজ্ঞাবান ও দুরদর্শী হওযার তৌফিক দান করুন ।
আচ্ছা কনছেন দেহি, কুন মুরতাদেরে যদি ফাঁসি কাষ্টে লটকাইল রসি টানার বাকি, হেই মুহুর্তে আমার মত বেআক্কেল একজন যাইয়া যদি দোয়া পড়া শুরু করে, তারে কি চুম্বা দিব নাকি হেরেও পাত্থর মাইরা কাইত কইরব। সোজা হিসেব উল্টা বুঝার কুন সুযোগ নাই।
নাস্তিকের জানাজা পড়া যাবে না -এমন কথা এইসব আলেইম ওলামারা বলতে শুনেছেন?
উত্তর : না আমি কেন কোন লোকই শোনেনি । দুয়া করুন যাতে এই বিষয়ে সুন্দর একটা লেখা তৈরী করে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি ।
ডঃ আবুল কালাম আজাদ ভাই ! আমার কোন প্রশ্নের উত্তরই দিচ্ছেন না । এতে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে ।
বাধ্য হয়ে আমাকে লিখতে হচ্ছে ।
আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করছি, এই সাইটে আহলে হাদিস সম্প্রদায়ের কিছু লোক আমার সম্পর্কে আজে বাজে কথা লিখছে বা মন্তব্য করছে । বিষয়টা ফেসবুক পর্যন্ত এসে পৌছেছে ।
আর আমিও এই মুতা বিয়ে, আহলে হাদিস সম্প্রদায়ের কার্যক্রম, মিশরের চলমান ঘটনায় আহলে হাদিস সম্প্রদায় ও সৌদি আরবের ভুমিকা এবং আহলে হাদিসরা আসলে বাংলাদেশে কি করতে চায় এসব বিষয়ে পড়াশোনা করা শুরু করছি ।
মুতা বিয়ে সুস্পষ্টভাবে জিনা । হিল্লা বিয়ে নামে আরেকটা বিয়ে বাংলাদেশে চালু আছে । এটাও এক ধরনের জিনা ।
এসব বিষয়ে কথা বলার সময় এসেছে । ড. আবুল কালাম আজাদ ভাই ইলম গোপন করছেন । তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে তিউনিসিয়ার আহলে হাদিস বা সালাফী বা ওহাবী সম্প্রদায় তাদের মেয়েদের সিরিয়ায় যৌন জিহাদ করতে পাঠিয়েছেন ।
ইসলাম অন্ধ দলবাজি আর ব্যক্তিপুজার জীবন ব্যবস্হা নয় । এই কথাটা আহলে হাদিসটা কখনোই বিশ্বাস করে না । যেমন : মিশরে তারা অত্যাচারী সেনা বাহিনীর সহায়ক শক্তি হয়েছে । তিউনিসিয়ার আহলে হাদিসরা মেয়েদের সিরিয়ায় যৌন জিহাদ করতে পাঠিয়েছে । বিশ্বাস না হয় তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই কথা শুনুন : http://www.youtube.com/watch?v=Hs5HcvVaH9M
এই ভিডিওটাতে প্রদর্শিত হয়েছে যে তিনি সংসদে তিউনিসিয়ার আহলে হাদিস মেয়েদের যৌন জিহাদ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।
আর আহলে হাদিস ও ওহাবীদের যৌন জিহাদ সম্পর্কে এই লেখাটাও দেখতে পারেন : আর এই লেখাটাও দেখতে পারেন : http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/6252/amin20002000us/27827#.U3TKsHaREvt
ড. আবুল কালাম আজাদ আবার যৌন জিহাদের সমর্থক http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4038/drazad/27462#.U3TKbXaREvs ।
ডঃ আবুল কালাম আজাদ তার মিডিয়ার আরেক কুরুচিঃ 'যৌন জিহাদ'
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4038/drazad/27462
লেখায় তিনি যৌন জিহাদের স্বপক্ষে অভিমত ব্যক্ত করে বলেন :
“এই অস্থায়ী বা সাময়িক বিয়ের অনেক নিয়ম কানুন ও বাধা-নিষেধ আছে। এটা শুধু মাত্র একটা যৌন-লেনদেন নয়। “
তার এই লেখায় আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম :
” ১. সেই নিয়ম-কানুন ও বাধা নিষেধগুলো কি কি ?
২. "এটা শুধু মাত্র একটা যৌন-লেনদেন নয়।" এই কথা দিয়ে আপনি প্রমাণ করলেও এতে যোদ্ধা বা সন্ত্রাসীদের সাথে যৌনতা সংঘঠিত হয় । দয়া করে বলুন : যৌন - লেনদেনের বাহিরের আর কি কি বিষয় এই নিকাহুল মুত'আ-য় আর কি কি বিষয় রয়েছে ? “
আজ পর্যন্ত আমার এসব প্রশ্নের তিনি কোন উত্তর দেননি ।
আজ দেখলাম তিনি আরো বিভ্রান্তিকর কথা লিখেছেন একটা লেখায় ।
সেখানে তিনি বলেছেন : ৪- অন্যের (কাফির মুশরিকদের ) ইমানের ওপর আঘাত করতেন না।
আমি তাকে প্রশ্ন করেছি :
অন্যের ইমানের ওপর আঘাত করতেন না। --- এই কথা দিয়ে আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন ?
মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ যদি কাফির মুশরিকদের ইমানের উপর আঘাত না করেই থাকেন তাহলে তিনি কোন ধর্ম বা জীবন ব্যবস্হা নতুন করে চালু করলেন ?
তিনি কাফির মুশরিকদের ধর্ম ও জীবন ব্যবস্হায় আঘাত দিয়েছেন বলেই তো তার সাথে এত সংঘাত ও সংঘর্ষ হলো । তাকে রক্তাক্ত হতে হলো । অনেকগুলো যুদ্ধ করতে হলো । মক্কা বিজয় করে ৩৬০ টা মুর্তি ভাংতে হলো ।
এসব কাফির মুশরিকদের ইমানে আঘাত দেওয়া নয় কি ?
আর তিনি এসব করেছেন কারণ : هُوَ الَّذى أَرسَلَ رَسولَهُ بِالهُدىٰ وَدينِ الحَقِّ لِيُظهِرَهُ عَلَى الدّينِ كُلِّهِ وَلَو كَرِهَ المُشرِكونَ
তিনি তাঁর রসূলকে পথ নির্দেশ ও সত্যধর্ম নিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে একে সবধর্মের উপর প্রবল করে দেন যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।( সুরা ছফ : ৯ )
যত দিন যাচ্ছে , আমাদের আলেম সসাজের দ্বারা সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ানোর হার বাড়ছে ।
তিনি দুয়া শব্দটা ব্যবহার না করে তিনি যদি বলতেন, আমরা চাই তিনি সুস্হ হোন এবং ইসলামবিরোধি লেখা বাদ দিয়ে ইসলামের সেবকে পরিনত হন - তাহলে আমি এত কিছু লিখতাম না ।
উপরন্তু তিনি সৌদি আরবের একজন বিতর্কিত আলেমের ভিডিও দিয়েছেন যাতে আহলে কিতাবদের কথা আছে । সেখানে নাস্তিক বা ইসলামবিরোধী বা ইসলামবিদ্বেষী শব্দ নেই । আরেকটি কথা বর্তমানে কুরআন বর্ণিত আহলে কিতাবদের অস্তিত্ব নেই । তাহলে এই প্রসঙ্গ আসাও অবান্তর ।
জাজাকাল্লাহ ।
আশা করি আমার সাথেই থাকবেন ।
দেখুন, আমার রাগ ও ক্ষোভ থাকবেই । কারণ আমি নগন্য মানুষ ।
ডঃ আবুল কালাম আজাদ ভাই ! আমার কোন প্রশ্নের উত্তরই দিচ্ছেন না । এতে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে ।
বাধ্য হয়ে আমাকে লিখতে হচ্ছে ।
আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করছি, এই সাইটে আহলে হাদিস সম্প্রদায়ের কিছু লোক আমার সম্পর্কে আজে বাজে কথা লিখছে বা মন্তব্য করছে । বিষয়টা ফেসবুক পর্যন্ত এসে পৌছেছে ।
আর আমিও এই মুতা বিয়ে, আহলে হাদিস সম্প্রদায়ের কার্যক্রম, মিশরের চলমান ঘটনায় আহলে হাদিস সম্প্রদায় ও সৌদি আরবের ভুমিকা এবং আহলে হাদিসরা আসলে বাংলাদেশে কি করতে চায় এসব বিষয়ে পড়াশোনা করা শুরু করছি ।
মুতা বিয়ে সুস্পষ্টভাবে জিনা । হিল্লা বিয়ে নামে আরেকটা বিয়ে বাংলাদেশে চালু আছে । এটাও এক ধরনের জিনা ।
এসব বিষয়ে কথা বলার সময় এসেছে । ড. আবুল কালাম আজাদ ভাই ইলম গোপন করছেন । তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে তিউনিসিয়ার আহলে হাদিস বা সালাফী বা ওহাবী সম্প্রদায় তাদের মেয়েদের সিরিয়ায় যৌন জিহাদ করতে পাঠিয়েছেন ।
ইসলাম অন্ধ দলবাজি আর ব্যক্তিপুজার জীবন ব্যবস্হা নয় । এই কথাটা আহলে হাদিসটা কখনোই বিশ্বাস করে না । যেমন : মিশরে তারা অত্যাচারী সেনা বাহিনীর সহায়ক শক্তি হয়েছে । তিউনিসিয়ার আহলে হাদিসরা মেয়েদের সিরিয়ায় যৌন জিহাদ করতে পাঠিয়েছে । বিশ্বাস না হয় তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই কথা শুনুন : http://www.youtube.com/watch?v=Hs5HcvVaH9M
এই ভিডিওটাতে প্রদর্শিত হয়েছে যে তিনি সংসদে তিউনিসিয়ার আহলে হাদিস মেয়েদের যৌন জিহাদ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।
আর আহলে হাদিস ও ওহাবীদের যৌন জিহাদ সম্পর্কে এই লেখাটাও দেখতে পারেন : আর এই লেখাটাও দেখতে পারেন : http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/6252/amin20002000us/27827#.U3TKsHaREvt
ড. আবুল কালাম আজাদ আবার যৌন জিহাদের সমর্থক http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4038/drazad/27462#.U3TKbXaREvs ।
ডঃ আবুল কালাম আজাদ তার মিডিয়ার আরেক কুরুচিঃ 'যৌন জিহাদ'
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4038/drazad/27462
লেখায় তিনি যৌন জিহাদের স্বপক্ষে অভিমত ব্যক্ত করে বলেন :
“এই অস্থায়ী বা সাময়িক বিয়ের অনেক নিয়ম কানুন ও বাধা-নিষেধ আছে। এটা শুধু মাত্র একটা যৌন-লেনদেন নয়। “
তার এই লেখায় আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম :
” ১. সেই নিয়ম-কানুন ও বাধা নিষেধগুলো কি কি ?
২. "এটা শুধু মাত্র একটা যৌন-লেনদেন নয়।" এই কথা দিয়ে আপনি প্রমাণ করলেও এতে যোদ্ধা বা সন্ত্রাসীদের সাথে যৌনতা সংঘঠিত হয় । দয়া করে বলুন : যৌন - লেনদেনের বাহিরের আর কি কি বিষয় এই নিকাহুল মুত'আ-য় আর কি কি বিষয় রয়েছে ? “
আজ পর্যন্ত আমার এসব প্রশ্নের তিনি কোন উত্তর দেননি ।
মুতায়া বিয়ে রাসুলুল্লাহ [সাঃ] এর সময়ে হারাম করা হয়েছে। কাজেই সিরিয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য কোন বিয়েই ইসলামী শরীয়তের বিয়ের মর্যাদা পাবে না। এটা হচ্ছে তাকওয়ার পরিপন্থী কাজ। নিজের প্রয়োজনের জন্য কোন হারাম জিনিস নিজেই হালাল করে নেয়ার নামান্তর।
বাধ্য হয়ে আমাকে লিখতে হচ্ছে ।
আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করছি, এই সাইটে আহলে হাদিস সম্প্রদায়ের কিছু লোক আমার সম্পর্কে আজে বাজে কথা লিখছে বা মন্তব্য করছে । বিষয়টা ফেসবুক পর্যন্ত এসে পৌছেছে ।
আর আমিও এই মুতা বিয়ে, আহলে হাদিস সম্প্রদায়ের কার্যক্রম, মিশরের চলমান ঘটনায় আহলে হাদিস সম্প্রদায় ও সৌদি আরবের ভুমিকা এবং আহলে হাদিসরা আসলে বাংলাদেশে কি করতে চায় এসব বিষয়ে পড়াশোনা করা শুরু করছি ।
মুতা বিয়ে সুস্পষ্টভাবে জিনা । হিল্লা বিয়ে নামে আরেকটা বিয়ে বাংলাদেশে চালু আছে । এটাও এক ধরনের জিনা ।
এসব বিষয়ে কথা বলার সময় এসেছে । ড. আবুল কালাম আজাদ ভাই ইলম গোপন করছেন । তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে তিউনিসিয়ার আহলে হাদিস বা সালাফী বা ওহাবী সম্প্রদায় তাদের মেয়েদের সিরিয়ায় যৌন জিহাদ করতে পাঠিয়েছেন ।
ইসলাম অন্ধ দলবাজি আর ব্যক্তিপুজার জীবন ব্যবস্হা নয় । এই কথাটা আহলে হাদিসটা কখনোই বিশ্বাস করে না । যেমন : মিশরে তারা অত্যাচারী সেনা বাহিনীর সহায়ক শক্তি হয়েছে । তিউনিসিয়ার আহলে হাদিসরা মেয়েদের সিরিয়ায় যৌন জিহাদ করতে পাঠিয়েছে । বিশ্বাস না হয় তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই কথা শুনুন : http://www.youtube.com/watch?v=Hs5HcvVaH9M
এই ভিডিওটাতে প্রদর্শিত হয়েছে যে তিনি সংসদে তিউনিসিয়ার আহলে হাদিস মেয়েদের যৌন জিহাদ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।
আর আহলে হাদিস ও ওহাবীদের যৌন জিহাদ সম্পর্কে এই লেখাটাও দেখতে পারেন : আর এই লেখাটাও দেখতে পারেন : http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/6252/amin20002000us/27827#.U3TKsHaREvt
ড. আবুল কালাম আজাদ আবার যৌন জিহাদের সমর্থক http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4038/drazad/27462#.U3TKbXaREvs ।
ডঃ আবুল কালাম আজাদ তার মিডিয়ার আরেক কুরুচিঃ 'যৌন জিহাদ'
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4038/drazad/27462
লেখায় তিনি যৌন জিহাদের স্বপক্ষে অভিমত ব্যক্ত করে বলেন :
“এই অস্থায়ী বা সাময়িক বিয়ের অনেক নিয়ম কানুন ও বাধা-নিষেধ আছে। এটা শুধু মাত্র একটা যৌন-লেনদেন নয়। “
তার এই লেখায় আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম :
” ১. সেই নিয়ম-কানুন ও বাধা নিষেধগুলো কি কি ?
২. "এটা শুধু মাত্র একটা যৌন-লেনদেন নয়।" এই কথা দিয়ে আপনি প্রমাণ করলেও এতে যোদ্ধা বা সন্ত্রাসীদের সাথে যৌনতা সংঘঠিত হয় । দয়া করে বলুন : যৌন - লেনদেনের বাহিরের আর কি কি বিষয় এই নিকাহুল মুত'আ-য় আর কি কি বিষয় রয়েছে ? “
আজ পর্যন্ত আমার এসব প্রশ্নের তিনি কোন উত্তর দেননি ।
।
আমার মন্তব্য ৬ নম্বর থেকে ধরে এই মন্তব্য পড়া হবে।
আপনার উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। আমার মন্তব্য ছিল তসলিমার জন্য ‘দোয়া’ করা এবং নাস্তিকদের জানাজা কেন্দ্রিক। যদিও আমি এই থ্রেডে (thread) মন্তব্য করেছি কিন্তু মাওলানা আজাদ সাহেবের নাম উচ্চারণ করে কিছু বলিনি, বরং যেটা আমি সব সময় করে থাকি তাহল ‘এজমালিভাবে’ বক্তব্য রাখি –যাতে ব্যক্তি না হয়ে বক্তব্যই প্রাধান্য পায়। আমরা সবাই ভুল শুদ্ধের সমন্বয়ে সৃষ্ট মানুষ, আমাদের শিক্ষা দীক্ষা যা’ই থাকুক না কেন। তসলিমা নাসরীনের উদাহরণ নবীর (সা.) সমাজের কাফির রোগী দেখতে যাওয়ার মত নয়। সেদিন হেজাজে কোনো নাস্তিক ছিল না, আল্লাহর শানে ওরা অতি হীন কথা বলত না, গালিগালাজ দূরে থাকুক। সেদিনের কাফির ও আজকের নাস্তিক এক নয়। ভারতে বৈদিকযুগে এবং পরবর্তীতে যাদেরকে ‘নাস্তিক’ বলা হত তারাও খোদাতে অস্বীকার করত না। বরং যারা বেদে অস্বীকার করত তাদেরকে নাস্তিক বল হত। আবার যারা ধর্মীয় অঙ্গনে খোদাকে বস্তুজগতের অংশ বা বস্তুতে জড়িত ভাবত তারা যারা বস্তুজগতের ঊর্ধ্বের খোদায় বিশ্বাস করত তাদেরকে নাস্তিক বলত। গত তিন শো বছর ধরে নাস্তিক যে পরিভাষায় আসছে এবং বঙ্গাল-মিলিট্যান্ট নাস্তিকরা যে ইতরি ভাষায় আল্লাহ রাসূলের ইজ্জৎ-হুরমতে আক্রমণ করছে, এবং মুসলমানদের বিপক্ষে যুদ্ধ করছে এবং এমন লোকদের সাথে আমরা যারা যারা দিনরাত যুদ্ধ করে সময় কাটাচ্ছি তাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য আল্লাহ কাছে ‘দোয়া’ করার ধর্মীয় যৌক্তিকতা যারা দেখাতে চান তাদের সাথে আমাদের মতের ভিন্নতা আছে। তাদের এমন কাজের ধর্মীয় প্রয়োজন আছে বলে আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।
আমার জানা মতে মাওলানা আজাদ সাহেব একজন ভাল আলেম। কিন্তু কারও ভিন্ন মতের জন্য নিজেদের মধ্যে তুমুল বিতর্কে যাওয়ার দরকার নেই। যে যতটুকু পারি, করে যাই। খৃষ্টিয়ান ওলামাদের কেউ কেউ বলছেন যে নাস্তিকরাও বেহেস্তে যেতে পারে। সেদিন হয়ত বেশি দূরে নয় যখন আমাদের মধ্যে কেউ কেউ তা বলে ফেলতে পারেন। কিন্তু আমরা কে কি করতে পারব? কিছুই না। আমি বলব, আপনি এই বিতর্ক আর না বাড়িয়ে এখানেই রেখে দেন। তসলিমা সম্পর্কিত ‘দোয়ার’ বাইরে আপনি ও আজাদ সাহেবের বাকী আলোচনা যে কী তা আমি follow করি নি। আপনি লিঙ্ক দিয়েছেন, পড়ে দেখব। তাছাড়া যদি কোনো বিষয়ে একান্ত লিখতে হয় তবে নামধাম ছাড়া theme-oriented কিছু কথা বলতে পারেন, এতে ব্যক্তি সংযুক্ত হন না। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
কিছুক্ষণ আগে এক আলেমের সাথে কথা হলো : তিনি জানালেন কিছু আলেমের কথার কারণে দেশের বিভিন্ন স্হানে বিশৃঙ্খলা সৃস্টি হচ্ছে । তার মধ্যে তিনি একজন।
এসব আলেম বাংলাদেশের প্রচলিত পদ্ধতিতে নামাজ পড়া দোষনীয় মনে করে থাকেন । তারা বিভিন্ন সময় -----
তারাবীহ নামাজ ৮ রাকাত । নামাজে আমীন বলতে হবে । সুরা ফাতেহা পড়তে হবে । ঈদে মিলাদুন্নবী করা কুফরী ও শিরকী । শবে বরাত করা বিদাত । মানুষ ইন্তেকালের পর দুয়ার অনুষ্ঠান (কুলখানি , চল্লিশা ) করা বিদাত । রাজতন্ত্র জায়েজ । শাসক অত্যাচারী হলেও নামাজ কালামের বাধা না দিলে তাকে মানা ওয়াজিব । মুতা বিয়ে জায়েজ । মেয়েদের অবশ্যই মুখ ঢেকে রাস্তায় চলাফেরা করতে হবে । মেয়েদের অবশ্যই পর্দা করার জন্য বোরকা পড়তেই হবে । মেয়েদের পড়াশোনা ও চাকুরী করা গৌন বিষয় । ..... ইত্যাদি টিভি চ্যানেলে আলোচনা করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন ।
তাদের প্রধান উদ্দেশ্য সমাজে নামাজী ও ঈমানদার লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা নয় ।
সুতরাং লোকদের সতর্ক করা এবং এসব আলেমদের আমাদের সমাজের ব্যাপারে ওযাকিবহাল করার পাশাপাশি সত্যিকার ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি কি তা জানানোর জন্য এসব লোকের নাম উল্লেখ করার প্রয়োজন আছে ।
নাস্তিকতা ও ইসলাম অবমাননা সম্পর্কে যা বলেছেন সঠিক বলেছেন ।
আপনি বলেছেন : আপনার জানা মতে ড. আবুল কালাম আজাদ এক জন ভাল আলেম । আমি বেশ কিছু বাংলাদেশি আলেমের সাথে কিছু আলেম সম্পর্কে আলোচনা করেছি । তারা জানিয়েছেন, তারা আলেমের কোন শ্রেনীতেই পড়েন না ।
একটা অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেরেছি, অদুর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রচলিত ইসলামী নিয়ম কানুনের বিরোদ্ধে অবস্হান নেওয়ায় তাদের টিভি চ্যানেলগুলোতে অনুষ্ঠান করার উপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে ।
বিশেষত যে নাস্তিক বা মুরতাদ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে কটূক্তি করে কিংবা ইসলামের নিদর্শনের অবমাননা করে সে তো সরাসরি ‘মুফসিদ ফিল আরদ’’ (ভূপৃষ্ঠে দুষ্কৃতিকারী)। এ ব্যক্তি রাসূল অবমাননাকারী হিসেবেও ‘‘ওয়াজিবুল কতল’’ (অপরিহার্যভাবে হত্যাযোগ্য) এবং দুষ্কৃতিকারী হিসেবেও
নূহ (আঃ) এর সন্তানের জন্য দোয়া করতে নিষেধ করা হল। পিতা তারপরও দোয়া করতে চাইলেন। আল্লাহ হুমকি দিলেন, দোয়াতো কবুল হবেনা, যদি আবারো দোয়া করো তাহলে নবুয়তি চলে যাবে!
""""মুতা বিয়ে সুস্পষ্টভাবে জিনা । হিল্লা বিয়ে নামে আরেকটা বিয়ে বাংলাদেশে চালু আছে । এটাও এক ধরনের জিনা """
ভাই, আমি আপনার পুরা লিখা ও প্রতি মন্তব্য প্রেছি,
দ্বিমত করার ক্ষমতা আমার নেই , কারন আমি আলেম নই,
তবে উপরের আপনার এই মন্তব্যটা কেমন যেন,
অনেক বড় লিখা লিকতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে মনে হচ্ছে নিজের পক্ষ হতে কঠরতার পরিচয় দিলেন,
কারন , এটা আপনার নিজের বিষশ্বাসের মন্তব্য ।
রাগান্বিত হয়ে এমন কট্টর মন্তব্য হতে যদি সবর না করেন , তবে "" সত্য ইসলাম ভাই, ডঃ আবুল কালাম আজাদ ভাই ! সহজেই আপনার ভুল ধরতে পারবে ও আপনাকে নিয়ে মন্তব্য করতে পারবে,
"" আমি আপনার + ডঃ আবুল কালাম আজাদ ভাই +
সত্য ইসলাম ভাই "" এই ৩ জনেরই ভক্ত হতে চাই ,
আপনাদের নিয়ে ১ টি পোস্ট লিখার চিন্তা করছি,
দোয়া করবেন, যেন আল্লাহর ইচ্ছায় সুন্দর ১ টি পোস্ট লিখতে পারি,
আমি আপনার কাছে এক কথায় এর উত্তর জানতে চাচ্ছি ?
আর এটাও জানতে চাচ্ছি, আপনি কি ড আবুল কালাম আজাদ ভাইয়ের মতো ইসলামবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি মনের মধ্যে পোষণ করেন কি না ? ( তিনি যৌন জিহাদ -এর সমর্থক এবং ইসলামবিদ্বেষী ও নাস্তিকদের দুয়া করার প্রতি জনমত সৃষ্টিকারি । )
""" আর এটাও জানতে চাচ্ছি, আপনি কি ড আবুল কালাম আজাদ ভাইয়ের মতো ইসলামবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি মনের মধ্যে পোষণ করেন কি না ?"""
*** এই প্রশ্ন টা খাটি বাংলাভাষায় বলতে গেলে বোকার মত ১ টা প্রশ্ন,
ধরুন কেউ (যেমন - খেলাঘ্র বাধতে এসেছি/ভাংতে এসেছি ) যদি তাই হই তবূও আপনার এই প্রশ্নের উত্তরে বলবে = না ,
*** ""( তিনি যৌন জিহাদ -এর সমর্থক এবং ইসলামবিদ্বেষী ও নাস্তিকদের দুয়া করার প্রতি জনমত সৃষ্টিকারি । )""
ভাই , কেউ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সাময়িক কিছু ভুল করতেই পারে,
আমি + আপনি + আবুল কালাম
কেউ ভুলের উরধে নই,
তাই কারো ভুল কট্টর ভাবে না ধরে
বরং উত্তম পন্থা - কুরাআনের আইয়াত ও হাদিস দিয়া উদাহরণ দেয়া যায়,
যেমন = "" আবুল কালাম ভাই , কুরআনে এই আইয়াত ও হাদিসে এই কথা আছে, কিন্তু আপনি এই কথা কেন বলছেন আবার একটু চিন্তা করে যদি বুজাইয়া দিতেন, .।.। ""
তবে হয়তো আবুল কালাম ভাই নতুন করে তার লিখা কুরআন ও হাদিসের আলোকে চিন্তা করে কিছু ১ টা বলার চেষ্টা করতো,
কিন্তু আপনি + আবুল কালাম ভাই দুই জনেই সারাসরি ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন,
এই ক্ষেত্রে সত্য ইসলাম ভাই তো ১০০ মাইল বেগে আপনাকে আক্রমণ করে আবাল নামে ১ টা পোস্ট দিয়াছে ,
যা ১ জন মুসলমান হিসাবে আমার মোটেই ভাল লাগে নাই,
তিনি কখনোই সৌদি আরবের শাসকদের অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়নের ব্যাপারে প্রতিবাদ সূচক কোন কিছুই বলেননি ও লিখেননি । বরং টিভি চ্যানেল ও ব্লগ সাইটের মাধ্যমে সৌদি আরবের ওহাবী মতবাদ প্রচার করছেন । তিনি তাসলিমা নাসরীন সম্পর্কিত লেখাতে সৌদি আরবের ধর্ম ব্যবসায়ী ও যৌন জিহাদের প্রধান প্রবক্তা আরিফির একটা ভিডিও ফুটেজের লিংক দেন । কিন্তু তিনি তার ইলম গোপনের উদ্দেশ্যে তার আরবী অনুবাদ বাংলায় তুলে ধরেননি ।
আমি তাকে বেশ কয়েক বার প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছি । তিনি আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেননি । আপনি আবার তার লেখাগুলো দেখতে আসলে আমার কথার সত্যতা খুজে পাবেন ।
যারা আমাকে গালি গালাজ করছে, তাদের সবাই অত্যাচারী ও রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের সমর্থক , বিকৃত ইসলামের ধারক ও বাহক সম্প্রদায় আহলে হাদিস এবং মওদুদি মতবাদে বিশ্বাসী জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মী । তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তার সাথে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের কোনই সম্পর্ক নেই । তারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মাত্র । কিন্তু এই ব্লগ সাইটে তাদের যথেষ্ঠ প্রভাব রয়েছে । সুতরাং তারা আমাকে গালি দিলো বা আদর করলো কি না - তাতে আমার কোন আসে যায় না ।
আচ্ছা কনছেন দেহি, কুন মুরতাদেরে যদি ফাঁসি কাষ্টে লটকাইল রসি টানার বাকি, হেই মুহুর্তে আমার মত বেআক্কেল একজন যাইয়া যদি দোয়া পড়া শুরু করে, তারে কি চুম্বা দিব নাকি হেরেও পাত্থর মাইরা কাইত কইরব। সোজা হিসেব উল্টা বুঝার কুন সুযোগ নাই।
এই কাজটাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল মুসলমানের উপর অপরিহার্য বলে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহর রাসূল যা ওয়াজিব করেছেন তা মানতে হবে।
কারণ এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন:
১।
مَن يُطِعِ الرَّسولَ فَقَد أَطاعَ اللَّهَ ۖ وَمَن تَوَلّىٰ فَما أَرسَلنٰكَ عَلَيهِم حَفيظًا
যে রাসূলকে অনুসরণ করল, সে আল্লাহ তাআলাকে অনুসরণ করল। আর সে তা হতে ফিরে রইল (তার সম্পর্কে বলা হয়েছে) আর আপনাকে তাদের প্রতি রক্ষক (প্রহরী) করে প্রেরণ করিনি। (সূরা নিসা, আয়াত ৮০)
২।
وَمَن يُشاقِقِ الرَّسولَ مِن بَعدِ ما تَبَيَّنَ لَهُ الهُدىٰ وَيَتَّبِع غَيرَ سَبيلِ المُؤمِنينَ نُوَلِّهِ ما تَوَلّىٰ وَنُصلِهِ جَهَنَّمَ ۖ وَساءَت مَصيرًا
আর যারা তাদের নিকট হিদায়াত পৌঁছার পরও রাসূলের বিরোধিতা করে এবং মুমিনদের ব্যতীত অন্যদের পথের অনুসরণ করে।
এবং তারা যেভাবে পিছিয়ে রয়েছে আমিও তাদেরকে পিছিয়ে রাখব এবং জাহান্নামে পৌঁছিয়ে দেব। আর ইহা কতই না খারাপ প্রত্যাবর্তন স্থল। (সূরা আন নিসা, আয়াত ১১৫)
৩।
وَما ءاتىٰكُمُ الرَّسولُ فَخُذوهُ وَما نَهىٰكُم عَنهُ فَانتَهوا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَديدُ العِقابِ
তোমাদের রাসূল যা কিছু নিয়ে এসেছেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাক। (সূরা আল হাশর, আয়াত ৭)
কুরআনের ব্যাখ্যা হলো সহীহ হাদিস । কুরআনে যা নেই তা হাদিসে বিস্তারিত রয়েছে । হাদিসে যা নেই তা ইজমা ও কিয়াসে রয়েছে ।
কুরআনে ৮২ বার আমাদের নামাজ পড়ার জন্য তাদিগ দেওয়া হয়েছে । কিন্তু কুরআনে কীভাবে নামাজ পড়তে হবে তা বলা হয়নি । কীভাবে নামাজ পড়তে হবে তা আছে হাদিসের গ্রন্হগুলোতে ।
কুরআনে কীভাবে নামাজ পড়তে বলা হয়ে তা নেই বলে কি কেহ নামাজ পড়া বাদ দিয়েছে কি ? উত্তর দেয়নি । আর আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন, তাহলে বলছি : কুরআনে কীভাবে নামাজ পড়তে হবে তা দেওয়া নেই বলে কি আপনি নামাজ পড়বেন না বা পড়া ছেড়ে দিয়েছেন ? উত্তর : দেননি ও দিবেনও না ।
তাছাড়া আমাদের কুরআন-হাদিস-ইজম-কিয়াস - এসব অবশ্যই মানতে হবে । কারণ এপ্রসঙ্গে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজের ভাষণে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন :
"হে মানুষ । আমি তোমাদের কাছে দুটো আলোকবর্তিকা রেখে যাচ্ছি । যত দিন তোমরা এই দুটোকে অনুসরণ করবে, তত দিন তোমরা সত্য পথে থাকবে । এর একটি হলো আল্লাহর কিতাব (কুরআন) । দ্বিতীয়টি হলো আমার সুন্নাহ (রীতিনীতি বা হাদিস)। "
(বিদায় হজের ভাষণ প্রায় সব হাদিসের বইয়ে গুরুত্ব দিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে । )
সুতরাং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ (রীতিনীতি বা হাদিস)- এ আছে, নাস্তিক, ইসলামবিদ্বেষী ও ইসলাম অবমাননাকারীকে হত্যা করতে হবে বা ফাসি দিতে হবে বা মৃত্যুদন্দ দিতে হবে ।
সুতরাং এই কাজ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসা প্রতিটি মুসলিমের ঈমানী দায়িত্ব ।
এই কাজটাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল মুসলমানের উপর অপরিহার্য বলে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহর রাসূল যা ওয়াজিব করেছেন তা মানতে হবে।
কারণ এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন:
১।
مَن يُطِعِ الرَّسولَ فَقَد أَطاعَ اللَّهَ ۖ وَمَن تَوَلّىٰ فَما أَرسَلنٰكَ عَلَيهِم حَفيظًا
যে রাসূলকে অনুসরণ করল, সে আল্লাহ তাআলাকে অনুসরণ করল। আর সে তা হতে ফিরে রইল (তার সম্পর্কে বলা হয়েছে) আর আপনাকে তাদের প্রতি রক্ষক (প্রহরী) করে প্রেরণ করিনি। (সূরা নিসা, আয়াত ৮০)
২।
وَمَن يُشاقِقِ الرَّسولَ مِن بَعدِ ما تَبَيَّنَ لَهُ الهُدىٰ وَيَتَّبِع غَيرَ سَبيلِ المُؤمِنينَ نُوَلِّهِ ما تَوَلّىٰ وَنُصلِهِ جَهَنَّمَ ۖ وَساءَت مَصيرًا
আর যারা তাদের নিকট হিদায়াত পৌঁছার পরও রাসূলের বিরোধিতা করে এবং মুমিনদের ব্যতীত অন্যদের পথের অনুসরণ করে।
এবং তারা যেভাবে পিছিয়ে রয়েছে আমিও তাদেরকে পিছিয়ে রাখব এবং জাহান্নামে পৌঁছিয়ে দেব। আর ইহা কতই না খারাপ প্রত্যাবর্তন স্থল। (সূরা আন নিসা, আয়াত ১১৫)
৩।
وَما ءاتىٰكُمُ الرَّسولُ فَخُذوهُ وَما نَهىٰكُم عَنهُ فَانتَهوا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَديدُ العِقابِ
তোমাদের রাসূল যা কিছু নিয়ে এসেছেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাক। (সূরা আল হাশর, আয়াত ৭)
কুরআনের ব্যাখ্যা হলো সহীহ হাদিস । কুরআনে যা নেই তা হাদিসে বিস্তারিত রয়েছে । হাদিসে যা নেই তা ইজমা ও কিয়াসে রয়েছে ।
কুরআনে ৮২ বার আমাদের নামাজ পড়ার জন্য তাদিগ দেওয়া হয়েছে । কিন্তু কুরআনে কীভাবে নামাজ পড়তে হবে তা বলা হয়নি । কীভাবে নামাজ পড়তে হবে তা আছে হাদিসের গ্রন্হগুলোতে ।
কুরআনে কীভাবে নামাজ পড়তে বলা হয়ে তা নেই বলে কি কেহ নামাজ পড়া বাদ দিয়েছে কি ? উত্তর দেয়নি । আর আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন, তাহলে বলছি : কুরআনে কীভাবে নামাজ পড়তে হবে তা দেওয়া নেই বলে কি আপনি নামাজ পড়বেন না বা পড়া ছেড়ে দিয়েছেন ? উত্তর : দেননি ও দিবেনও না ।
তাছাড়া আমাদের কুরআন-হাদিস-ইজম-কিয়াস - এসব অবশ্যই মানতে হবে । কারণ এপ্রসঙ্গে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজের ভাষণে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন :
"হে মানুষ । আমি তোমাদের কাছে দুটো আলোকবর্তিকা রেখে যাচ্ছি । যত দিন তোমরা এই দুটোকে অনুসরণ করবে, তত দিন তোমরা সত্য পথে থাকবে । এর একটি হলো আল্লাহর কিতাব (কুরআন) । দ্বিতীয়টি হলো আমার সুন্নাহ (রীতিনীতি বা হাদিস)। "
(বিদায় হজের ভাষণ প্রায় সব হাদিসের বইয়ে গুরুত্ব দিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে । )
সুতরাং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ (রীতিনীতি বা হাদিস)- এ আছে, নাস্তিক, ইসলামবিদ্বেষী ও ইসলাম অবমাননাকারীকে হত্যা করতে হবে বা ফাসি দিতে হবে বা মৃত্যুদন্দ দিতে হবে ।
সুতরাং এই কাজ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসা প্রতিটি মুসলিমের ঈমানী দায়িত্ব ।
আয়াত দিন ।। কোরানের আয়াত আছে যে কোরান হল পরিপুর্ণ ।। আরো দেখতে পারেন >৪৫:৬
হা । ভাই ! কুরআন হলো পরিপূর্ণ । কুরআনে বলা আছে :
১।
وَما مِن غائِبَةٍ فِى السَّماءِ وَالأَرضِ إِلّا فى كِتٰبٍ مُبينٍ
আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।
সুরা নমল : ৭৫
২। وَلَقَد ضَرَبنا لِلنّاسِ فى هٰذَا القُرءانِ مِن كُلِّ مَثَلٍ ۚ وَلَئِن جِئتَهُم بِـٔايَةٍ لَيَقولَنَّ الَّذينَ كَفَروا إِن أَنتُم إِلّا مُبطِلونَ
আমি এই কোরআনে মানুষের জন্য সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি। আপনি যদি তাদের কাছে কোন নিদর্শন উপস্থিত করেন, তবে কাফেররা অবশ্যই বলবে, তোমরা সবাই মিথ্যাপন্থী। সুরা রুম : ৫৮
৩। وَلَقَد ضَرَبنا لِلنّاسِ فى هٰذَا القُرءانِ مِن كُلِّ مَثَلٍ لَعَلَّهُم يَتَذَكَّرونَ
আমি এ কোরআনে মানুষের জন্যে সব দৃষ্টান্তই বর্ণনা করেছি, যাতে তারা অনুধাবন করে;
সুরা যুমার : ২৭
এবার আসছি, আমরা কেন হাদিস বা রাসুল সা. ও তার সাহাবী রা.- দের জীবন ও রীতিনীতি-কর্মপন্হাকে গুরুত্ব দিবো সে প্রসঙ্গে :
নিশ্চয় আমি আপনাকে সত্যধর্মসহ সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারীরূপে পাঠিয়েছি। আপনি দোযখবাসীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন না। সুরা বাকারা -১১৯
আপন পালনকতার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরুপে, এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায় । নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে । সুরা নহল - ১২৫
একজন আল্লাহভক্ত মানুষ কুরানের বাংলা অনুবাদ পড়ল – “আমি এই কিতাবে কিছুই বাদ দেই নাই” – সে বুঝল কুরানেই সব আছে হাদিসের দরকার নাই। সে তাঁর এই মতামত ব্লগের মাধ্যমে প্রচার করল।
ক্ষতিঃ রসুলের কাছে আনীত বিধান অস্বীকার করে সে ইসলামের আওতার বাইরে চলে গেল।
মহাক্ষতিঃ সে আরো কিছু সংগীসাথী সহ বিপথগামী হল।
সঠিক সমাধানঃ শুদ্ধ তাফসীর/প্রকৃত আলিমের কাছ থেকে বুঝে নেয়া বা বোঝার চেষ্টা করা ।
আপাতত সমাধানঃ এই মতবাদ প্রচারকারীকে সত্য বুঝান এবং মিথ্যা প্রচার থেকে বিরত রাখা।
এবার আমরা সুন্নাহর গুরুত্ব বোঝার জন্য কতিপয় কুরআনের আয়াত লক্ষ্য করি :
“হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, এবং নির্দেশ মান্য কর রসূলের….” (সুরা নিসা : ৫৯ সুরা মাইদা : ৯২, সুরা নুর : ৫৪ (
“নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও। ( সুরা নুর : ৫৬ )
“বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।“ ( সুরা ইমরান : ৩১ )
“…তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা’আলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।(সুরা তাওবা : ৭১)
“মুমিনদের বক্তব্য কেবল এ কথাই যখন তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দিকে তাদেরকে আহবান করা হয়, তখন তারা বলেঃ আমরা শুনলাম ও আদেশ মান্য করলাম। তারাই সফলকাম।“( সুরা নুর : ৫১ )
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে মতভেদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।(আন নিসা:৫৯)
“বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।“ (আল-ইমরান:৩১)”
“মুমিনদের বক্তব্য কেবল এ কথাই যখন তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দিকে তাদেরকে আহবান করা হয়, তখন তারা বলেঃ আমরা শুনলাম ও আদেশ মান্য করলাম। তারাই সফলকাম।“(আন নুর:৫১)”
“যদি আল্লাহ তোমাদের সহায়তা করেন, তাহলে কেউ তোমাদের উপর পরাক্রান্ত হতে পারবে না। আর যদি তিনি তোমাদের সাহায্য না করেন, তবে এমন কে আছে, যে তোমাদের সাহায্য করতে পারে? আর আল্লাহর ওপরই মুসলমানগনের ভরসা করা উচিত।“(আল ইমরান:১৬০)
“তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ তাঁর রসূল এবং মুমিনবৃন্দ-যারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং বিনম্র। আর যারা আল্লাহ তাঁর রসূল এবং বিশ্বাসীদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারাই আল্লাহর দল এবং তারাই বিজয়ী।” (সুরা মায়েদা:৫৫-৫৬)
শারঈ পরিভাষায় সুন্নাত হ’ল রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর ঐ সকল বাণী, যা দ্বারা তিনি কোন বিষয়ে আদেশ-নিষেধ, বিশ্লেষণ, মৌন সম্মতি ও সমর্থন দিয়েছেন এবং কথা ও কর্মের মাধ্যমে অনুমোদন করেছেন, যা সঠিকভাবে জানা যায় তাকে সুন্নাহ বলা হয়।
অনুরূপভাবে ছাহাবী, তাবিঈ ও তাবে-তাবিঈদের আছার ও ফৎওয়াসমূহ অর্থাৎ তাদের ইজতেহাদ ও যেসব বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছেন, তাকেও সুন্নাহ বলে অভিহিত করা হয়। যেমন রাসূল (সা.) বলেন, فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِىْ وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْنَ الْمَهْدِيِّيْنَ ‘তোমাদের উপরে অবশ্য পালনীয় হ’ল আমার সুন্নাত ও সুপথ প্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত’।
মুসলিম হা/১০১৭; নাসাঈ হা/২৫৫৪; মিশকাত হা/২১০।
[শাইখ যাকারিয়া আল-আনছারী, ফাতহুল বাকী আলা আলফাযিল ইরাকী (বৈরুত: দারুল কুতুবিাল ইলমিয়্যাহ, তা.বি.), পৃঃ ১২।
হাদীছের অনুসরণ ব্যতীত ইসলামের অনুসরণ কল্পনা করা যায় না। সুতরাং রাসূল (সা.) আমাদের সম্মুখে যে সুন্নাত পেশ করেছেন, তা কোনরূপ বিকৃত ও বিরোধিতা না করে সঠিকভাবে গ্রহণ করা ওয়াজিব। মহান আল্লাহ বলেন, وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا ‘আর রাসূল তোমাদের যা দেন তোমরা তা গ্রহণ কর এবং যা কিছু নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক’ ( সুরা হাশর : ৭)।
মন্তব্য করতে লগইন করুন