ভাই-বোনেরা ! বিয়ের আগে কনডম ব্যবহার করবেন না ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৭ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:২৮:১৯ রাত
কিছু দিন আগে আমার আম্মা আমাকে বল্লেন যে তিনি আমাকে ভীষণ ভয় পান । আগে তিনি আমাকে কোন ভয়ই পেতেন না ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ও আমাকে এবং আমার ভাইদের তার মতের বিরোদ্ধে কোন কাজ করলে প্রচন্ডভাবে শাসন করতেন । প্রয়োজনে তিনি আমাদের ঝাঁটা দিয়ে পেটাতেন । আমরা বিন্দুমাত্র রাগ করতাম না । বাঘকে মনে হয় আমরা এতটা ভয় পেতাম না ।
অথচ আম্মা আমাকে ভয় পাচ্ছেন – এই কথা ভেবে আমি মনকষ্টে ভুগছিলাম । কয়েক দিন আগে আমি আমার পরিচিত অনেক মেয়েকে বল্লাম : তোমরা কি আমাকে ভয় পাও ?
তারা বল্লো : আসলে আপনাকে ভয় পাওয়া বলতে যা বোঝানো হয় তার চেয়ে বেশী ভয়ের কিছু থাকলে আমরা তা পেয়ে থাকি । তবে তা আমাদের জন্য তা খারাপ কিছু নয় । কারণ আপনি আমাদের জন্য যা করেন ও বলে থাকেন তা আমাদের মঙ্গলের জন্য, ভালোর জন্য ।
সম্পূর্ণ অপরিচিত এক মেয়ের সাথে আমি কথা বলা শুরু করলাম । পর পর দুই দিন কথা বল্লাম । তারপর আমার মনে হলো কোন মেয়েই আমাকে ভয় পায় না ।
আমি আমাদের মধ্যকার কথোপকথন সবার সাথে শেয়ার করছি ।
১ম দিন
: হ্যালো । আস সালালামু আলাইকুম । নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংঘ ।
: ভাইয়া । আপনি কে বলছেন ?
: পরিচয় পরে দেই । তার আগে আপনার কাছে কথা বলার জন্য মাত্র ৫ মিনিট সময় চাচ্ছি । সময় হবে তো ?
: বলুন ।কি বলতে চান ?
: আপনি তো সাংস্কৃতিক সংঘের সাথে জড়িত ?
: হ্যা ।
: তাহলে তো আপনি ১৯ এপ্রিল হতে ২৪ এপ্রিলের রিহার্সেলের সময় ছিলেন ।
: তো ?
: না । তেমন কিছু না । তবে আপনি তো ভাল করেই জানেন, আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সারা দিন ধরে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে কনডম বিতরণ করা হয়েছে । আপনি কি কনডম পেয়েছেন ?
: আসলে আসলে (তোতলা কন্ঠে ও অনেকটা কাঁদো স্বরে )
: আপনি আগেই বলেছিলেন, আপনি ক্যাম্পাসে ছিলেন । সুতরাং আপনি কনডম পেয়েছেন ? (জোড় গলায় । )
: দে-খু-ন । ভা-ই-ই -য়া ।
: তার মানে বলতে চাচ্ছেন, আপনি পাননি ?
: আসলে । ভাইয়া । বিষয়টা হলো জনসচেনতামূলক । "এইডস আর এইচআইভি ভাইরাস কতটা ক্ষতিকর" - তার উপর একটা প্রোগ্রাম ।
: প্রোগ্রাম হতেই পারে । তার মানে বিয়ের আগেই ছেলে – মেয়েরা যৌনতা করার জন্য কনডম সংগ্রহ করবে বা অনৈতিক যৌনতা করবে - তা কতটুকু নৈতিক মূল্যবোধের সাথে খাপ খায় ?
: আসলে । ভাইয়া ! এসম্পর্কে আমি কিছুই জানি না ।
: দেখুন । আপনি বলেছেন, আপনি ক্যাম্পাসে ছিলেন । আবার বলছেন : জনসচেতনতামূলক প্রোগ্রাম ।
: তার মানে আপনি আপনার আগের কথা অস্বীকার করছেন ?
: না । আসলে তা না ।
: তাহলে কি ? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক ? বাংলাদেশটা তো আমেরিকা না ।
: আমেরিকার কথা বলছেন কেন ? ভাইয়া ।
: বলছি । এজন্য বাংলাদেশে থেকে আমেরিকার মতো সংস্কৃতি ধারণ করে আপনারা চলাফেরা করেন । ওড়না ছাড়া টাইট গেঞ্জি পড়ে ক্লাস করতে আসেন । আর ছেলেরাও কম যায় না । ওড়না ছাড়া টাইট গেঞ্জি পড়ে ক্লাস করতে আসা মেয়েদের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে ছেলেরা তাকিয়ে থাকে । কেহ এসে এসব মেয়েদের গায়ের উপর হামলে পড়ে । কেহ পিছু নেয় ।
: ভাইয়া । এসব কি বলছেন ? আপনাকে আমি চিনি না । আর আপনিও আমাকে চিনেন না ।
: দেখুন । আপনাকে চিনি বলেই আমি আপনার মোবাইলে কল দিয়েছি । আর আপনি কথাও বলে যাচ্ছেন । সুতরাং চিনার ব্যাপারটা তো হয়েই গেলো ।
: আপনি আসলে কে ?
: অনলাইন একটিভিস্ট ।
: কি ?
: অনলাইন একটিভিস্ট ।
: ওহ । আপনি অনলাইন একটিভিস্ট ।
: হ্যা । আচ্ছা । ধরুন । আপনার কোন বান্ধবী আপনার সাথে গ্রাজুয়েশন শেষ করলো । তারপর সে পতিতা হলো – এতে আপনার খারাপ লাগবে, না ভাল লাগবে ?
: খারাপ লাগবে ।
: তাহলে বিয়ের আগে অনৈতিক যৌনতা করা বা কনডম ব্যবহার করলে আপনার কেমন লাগবে ?
: আ-স-লে । আ-স-লে ।
: আসলে আসলে করছেন কেন ? বাংলাদেশের আসপেক্টে এই ধরনের কনডম বিতরণ প্রোগ্রাম কতটুকু যৌক্তিক ।
: বাংলাদেশের কথা বিবেচনা করলে তো অনেক কিছু করা যাবে না ।
: কেন ? তাহলে আমেরিকার কথা বিবেচনা করতে হবে । কারণ আমেরিকা আমাদের খাওয়ায় আর পড়ায় । তাই না ?
: আমেরিকার কথা বলছেন কেন ?
: আপনি বাংলাদেশকে আমলে নিতে চাচ্ছেন না কেন ? বাংলাদেশের কথা বিবেচনা করতে চাচ্ছেন না কেন ? বাংলাদেশ তো চাষা-ভুষার দেশ । তাই এতো অবজ্ঞা । এজন্য বলছেন,বাংলাদেশর কথা বিবেচনা করলে অনেক কিছু করা যাবে না ।
হ্যা । বাংলাদেশের কথা বিবেচনা সঠিকভাবে করলে ৩৮ ডবল ডি সাইজ ব্রেস্ট নাচিয়ে ফ্লাস মবে নর্তন কুর্দন করা যাবে না আর ছেলেদের উপর হামলে পড়া যাবে না । আর ওড়না ছাড়া বুকটা দেখানো যাবে না । (জোড়ে চিৎকার করে )
: ভাইয়া । আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন ?
: এভাবে কথা বলবো না তো কীভাবে বলবো ? আপনার করতে পারবেন । আর আমরা বলতে পারবো না । যাক । আমি আপনার কাছে ৫ মিনিট সময় চেয়েছিলাম । ৫ মিনিট শেষ হতে ৩০ সেকেন্ড বাকি । একটা কথা বলছি, আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনৈতিক অনেক কাজের বিরোদ্ধে যদি আমরা মামলা করি । তাতে কি আমরা আপনাকে স্বাক্ষী হিসেবে পেতে পারি ।
: ভাইয়া । আপনি এসব কি বলছেন ?
: আমি শুধু । হ্যা অথবা না – শুনতে চাচ্ছি ।
: আ-মি-মি-মি (তোতলানো কন্ঠে)
: দেখুন । আমার আর আপনার সব কথা কিন্তু রেকর্ড করা হয়ে গেছে ।
(এই সময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলো )
[ প্রথম দিন কথা বলার পর আমার মনে হতে লাগলো । প্রতিটা মানুষের মধ্যে অনেক দুর্বল দিক থাকে । সেসব দুর্বল দিকে আঘাত করে কথা বল্লে কেহই সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে না । আর কাউকে নিজের মতের দিকে নিয়ে আসলে হলে তাকে আগে হা বলাতে হবে ।
আর কথা বলার ক্ষেত্রে বিশেষত এই নীতিগুলো কাজে লাগাতে হবে :
1. Intensity is rather then technique.
2. Do not run form intensity.
3. Observe unconsciously.
4. Professionalism.
5. সর্বোত্তম কথা বলতে হবে ।
6. যুক্তির সাথে কথা বলতে হবে ।
7. অশ্লীল কোন বিষয় অবতারণা করলে তা মার্জিতভাবে প্রাসঙ্গিকতার সাথে তুলে ধরতে হবে ।
8. প্রতিপক্ষের জ্ঞানের পরিধীর চেয়েও বেশী জ্ঞান বা তথ্য আয়ত্ব করে কথা বলতে হবে ।
সম্পূর্ণ একটা অপরিচিত মেয়ের সাথে অনেক স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কথা বলা তো দুরে থাক , কথা বলাই আমাদের সমাজে দোষনীয় কাজ । এই ক্ষেত্রে ইভটিজিং-এর দায়ে সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায় । তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে সমস্যা নেই । কারণ দেশে এডামটিজিং সম্পর্কে কোন আইন নেই । সুতরাং আমার মতো কেহ কিছু করার চেষ্টা করবেন না ।
দ্বিতীয় দিন কথা বলতে বাধ্য হলাম । কারণ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জোড় দিয়ে বলে যাচ্ছেন তারা এভাবে কনডম বিতরণ করে সঠিক কাজ করেছেন ।
প্রথম দিন সন্ধ্যায় ফোন করেছিলাম । কারণ এই সময়ে ফোন করার অনেক সুবিধা আছে (এই দিকটা কৌশলগত কারণে গোপন রাখলাম । ) দ্বিতীয় দিন ফোন করার জন্য রাত সাড়ে নয়টাকে বেছে নিলাম (এই সময় কেন বেছে নিলাম তাও বলছি না । )
কথা বলার আগে সিদ্ধান্ত নিলাম কোন কোন বিষয় কথা বলবো এবং কীভাবে কথা বলা শুরু করবো ।
তাহলে দেখুন আমাদের কথোপকথন : ]
২য় দিন
: হ্যালো। আস সালামু আলাইকুম ।
: কে বলছেন ?
: কাল আপনার সাথে আমার কথা হয়েছিলো । আমি সেই লোক । কাল আমি ৫ মিনিট কথা বলেছিলাম । আজ কি আপনার সময় হবে । মাত্র ৩ মিনিট সময় নিবো ।
: দেখুন । ভাইয়া । এটা প্রচন্ড এমব্রেসিং । আমিও আপনাকে চিনি না । আর আপনিও আমাকে চিনেন না ।
: আসলেই এমব্রেসিং । আমিও আপনাকে কখনো দেখি নাই । আপনিও না । তবে যে উদ্দেশ্যে কথা বলছি সে উদ্দেশ্য সফল হলেই আমি আর আপনার সাথে কথা বলবো না ।
: কি সেই উদ্দেশ্য ? ঐ যে কাল জানতে চেয়েছিলাম : বিয়ের আগে কনডম ব্যবহার করা ধর্মীয়ভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য ?
: দেখুন । ভাইয়া । আমি রিলিজিয়নের লোক না । আমি ড্রামার লোক ।
: আপনি কি মুসলিম ?
: হ্যা ।
: তাহলে বলছি, " প্রতিটা মুসলিম পরস্পর ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ ", কুরআনে আল্লাহ বলেছেন ।
সুতরাং আমরা গঠণমুলকভাবে কথা বলে যাবো । এবার তাহলে বলছি : নাটকে কি রিলিজয়ন নেই ? আপনারা সেক্সপিয়ারের মার্চেন্ট অব ভেনিস, মেকব্যাথ , সিফোক্লিকাসের ইদিপাস রেক্স, দস্তয়ভস্কির ইডিয়ট নিয়ে কাজ করেন এবং এগুলো মঞ্চস্হ করেন । এগুলোতে কি রিলিজিয়ন নেই ? মার্চেন্ট অব ভেনিসে ইহুদী ধর্ম আর সুদের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা আছে । ইদিপাস রেক্সে নৈতিক মূল্যবোধের কথা আছে এবং প্যাগান ধর্মের লোকাচার আছে । তাহলে কি আমরা বলতে পারি না ড্রামার মধ্যে রিলিজিয়ন আছে ? রিলিজিনের বাহিরে আমরা কেহ না ।
: ওহ । আচ্ছা ।
: হ্যা । তা-ই । আপনি তো মুসলিম । মুসলিম হিসেবে আপনার পোষাকের কিছু কোড ও কন্ডাক্ট আছে । যেমন আমারও আছে । কিছু মনে করবেন না । আপনাকে একটা অনুরোদ করবো । অনুরোদটা অবশ্যই রাখবেন । অনুরোদটা হলো : আপনি ওড়না পড়বেন । আর ওড়না মাথা ও বুকে ভালভাবে দিয়ে ক্লাস করবেন এবং চলাফেরা করবেন ।
: হ্যা ।( হাসি )
: ওড়না না পড়লে কি হয় তা তো জানেন ? আজ ইউটিউব, ডেইলিমোশান, এক্সভিডিওজ ইত্যাদি সাইটগুলোতে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের বাজে অবস্হা দেখলাম । সেগুলো কি আপনি দেখেছেন ?
: না । আমি ওসব দেখি না ।
: ওহ । আপনি ওসব দেখেন না । আপনি তো ভীষণ ভাল মেয়ে !
আমি দেখলাম, ইউটিউবের এক ভিডিওতে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছেলে বলছে : “ইউনিতে অনেক নতুন মাল এসেছে । মালগুলো ব্রেস্টগুলো ভীষণ খাড়া খাড়া । কতকগুলোর তো ৩৮ ডবল ডি ।“ দেখুন, আপনি ওড়না পড়ুন । নামাজ পড়ুন । তাহলে আপনাকে সবাই ভাল মেয়ে বলবে । বাবা-মা ভাল বলবে । এক সময় বিয়ে করবেন । আপনার মেয়ে হলে মেয়েটা আপনার মতো ভাল মেয়ে হবে । আর ছেলে হলে প্রচন্ড ভাল ছেলে হবে যে মেয়েদের দেখলে বাজে কথা বলবে না, আপনার প্রচন্ড ভক্ত হবে এবং ও সব সময মা মা করে আপনাকে বতিব্যস্ত রাখবে । …. কি ওড়না পড়বেন তো ?
: হ্যা । ভাইয়া পড়বো ? আপনি তো দেখি সোসাল ওয়ার্কার ।
: হ্যা । আমাদের সবারই উচিত সোসাল ওয়ার্কারের ভুমিকা নেওয়া । কারণ আমাদের সবারই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে ।
তিন মিনিটের কথা বলে ৫ মিনিট কথা বল্লাম । আর কথা বলছি না ।
আমাকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
: ভাইয়া । আপনাকেও (হাসি) ।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে আমার অভিমত :
আমাদের এই কথোপকথন কাল্পনিক নয় । বাস্তব । যদি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কনডম বিতরন কার্যক্রম না চালাতো তাহলে আমাকে হয়ত এই বোনের সাথে কথা বলার আগ্রহই জন্মাতো না । এই ঘটনা আমাকে নতুনভাবে চিন্তা করতে এবং নতুনভাবে উদ্যমী হতে সাহায্য করলো ।
আমি বুঝতে পারলাম : "বাংলাদেশের মেয়েরা যতটাই না আধুনিকতার নামে নগ্ন হতে চাক না কেন বা তাকে আধুনিকতার নামে ফ্লাস মবের মতো নর্তন কুর্দনের ভিডিওতে অংশ অংশগ্রহণকারিনী হিসেবে উপস্হাপন করা হোক না কেন – তাদের হৃদয়ের গহীণ কোন লুকায়িত আছে বাংলার চিরায়ত লাজুক নারীর মাতৃরূপ । যদি আধুনিকতার নামে বা আধুনিক সভ্যতার নামে বা প্রগতিশীলতার নামে বাংলাদেশের নারী সমাজের এই রূপটি ধ্বংস করে দেওয়া হয় তাহলে আমাদের দেশের পরিবারগুলো হতে মায়া-মহব্বত দুর হযে যাবে । স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে থাকবে না বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধ এবং পাস্পরিক আস্হা । ছেলে-মেয়েরাও তাদের বাবা-মাকে শ্রদ্ধার নজরে দেখবে না । আমাদের সমাজটা হবে তখন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভঙ্গুর ও নৈতিকতাহীন সমাজ । "
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এইডস আর এইচআইভি সচেতনার নামে কনডম বিতরণ করার অর্থ হলো : বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিবাহ না করে তাদের যৌনমিলনকে উত্সাহিত করছেন ।
অথচ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করা, মেয়েদের বাংলাদেশর মূল্যবোধের সাথে খাপ খায় এমন পোষাক পড়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদান করা এবং বিয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলা । এই কাজটা করলে কনডম বিতরণ করার প্রয়োজন হতো না । আর বিতরণের প্রয়োজন হলে সেটা বিয়ের পর ।
এইডস একটি মারাত্মক ব্যাধি । রোগ নয় । রোগের লক্ষ্মণ । অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে এইডস রোগী মৃত্যুবরণ করে । সচেতনতার আড়ালে আপনারা কি আমাদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন না ? আমাদের নৈতিক মূল্যবোধকে আপনারা কি স্খলন ঘটাচ্ছেন না ? তাহলে এ কেমন বিদ্যাপীঠ ?
বিবাহ না করে শারীরিক সম্পর্ক জঘন্য একটি অন্যায় কাজ । একটি মানুষ গড়ার কারখানাই এখন এ অন্যায় কাজকে সমর্থন করছে ।
আপনাদের মতে এখন মেয়েরা বাইরে এসেছে, তাই তাদের অনৈতিক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে অবশ্যই একটি কনডম ব্যবহার দ্বারা ।
কথা হচ্ছে হ্যাঁ, আমরা একত্রে বিছানায় শোব কিন্তু তোমার দেহ থেকে কিছু আমার এখানে আসতে পারবে না । আপনারা সচেতন করছেন কিভাবে secured অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করা যায় । বলার ভাষা আর জানা নেই । খুবই ভালো আপনাদের এই সচেতনতা ।
আর বেশীদিন বাকি নেই নৈতিকতা হারানোর । আমরা অতি শীঘ্রই স্মার্ট, গ্র্যাজুয়েট আর secured যৌনকর্মী পেতে চলেছি । এটাই হল সভ্যতা । সচেতনতা ।
যদি আপনারা নিজেদের ধার্মিক মনে করেন তাহলে সামান্য একটু ওয়াজ করবো । এখন তো ওয়াজ করলে মানবতাবিরোধী বলা হয় আর রাজাকার বলা হয় । তারপরও একটু ঝুকি নিলাম ।
ইসলাম ধর্মে সবচেয়ে মারাত্মক নিষিদ্ধ কাজ সমূহের মধ্যে একটা হল ব্যভিচার।
আল্লাহ্ তাআ’লা বলেন,
তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তি হয়ো না । কেননা এটি অশ্লীল কর্ম ও নিকৃষ্টতম পথ ।
(সুরা বনি ইসরাইল -৩২)
আল্লাহ্ আরো বলেন ,
ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর । আল্লাহ্র বিধান কার্যকর –করনে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহ্র প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক । মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে । ( সুরা আন্-নূর ,- ২ )
ব্যভিচারিকারী ও ব্যভিচারিণী সম্পর্কে রাসুল (সা) বলেন :
হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত , রাসুল (সা) বলেছেন , ব্যভিচারী জেনাকারী যখন ব্যভিচার ও জেনায় লিপ্ত হয় তখন সে পূর্ণ মুমিন থেকে বা ঈমানের প্রতি স্বীয় লক্ষ উপস্থিত রেখে ব্যভিচার ও জেনায় লিপ্ত হতে পারে না । অর্থাৎ যে ব্যক্তি ব্যভিচার লিপ্ত হয় , সে পূর্ণ মুমিন থাকেনা । এবং মদ্য পাঙ্কারী যখন মদ্য পান করে তখন সে পূর্ণ মুমিন থাকে না । এবং চোর যখন চুরি করে তখন সে পূর্ণ মুমিন থাকে না । এবং কোন ব্যক্তি যখন সর্ব সমক্ষে প্রকাশ্য দিবা লোকে ডাকাতি করার ন্যায় মহা পাপে লিপ্ত হয় তখন সে পূর্ণ মুমিন থাকে না ।
( বোখারী– ২৫৪৬ )
ব্যভিচার সমাজকে বিপর্যয় ও বংশানুক্রমকে সংমিশ্রিত করার দিকে ঠেলে দেয় । তা অনুরুপভাবে নারী পুরুষের লজ্জাশীলতাকে হত্যা করে , শরীরকে দুর্বলতা এবং শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন প্রকার রোগে আক্রান্ত হওয়ার দিকে নিয়ে যায় । এর সব চেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে এটি আল্লাহকে রাগান্বিত করে ।
এজন্য আল্লাহ বলেছেন :
“নিশ্চয় যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে অশ্লীলতা, ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়ুক, তাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি রয়েছে । “
(সুরা নুর : ১৯)
যারা এরপর তওবা করে এবং সংশোধিত হয়, আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু আচরণ করবেন ।
(সুরা নুর : ৫ )
কৃতজ্ঞতা স্বীকার :
১. ওড়না পড়ার সঠিক পদ্ধতি
http://facebook.com/WrapOrnaInProperWay
২. আমরা প্রেম করবো না বিয়ে করবো তাড়াতাড়ি
http://facebook.com/WeWillMarryEarly
৩. Prof. Dr. Abdur Rab
http://abdurrab.com/
৪. ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল
৫. আমার আম্মু
( চলবে )
বিষয়: বিবিধ
৬৫৬৮৩ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পাগলদের স্হান হয় পাগলা গারদে । তাদের ভাল-মন্দ জ্ঞান থাকে না ।
আর ছাগল মাঠে ঘাস খায় আর ভ্যা ভ্যা করে ডাকে । এই দুই কাজ ছাড়া ছাগলের আর কোন কাজ থাকে না ।
আমাদের সবার উচিত নিজের ক্ষুদ্র মাণষিকতাকে দুর করার চেষ্টা করা । ক্ষুদ্র মাণষিকতা এবং হীনমন্যতাবোধ মানুষকে কখনো মহৎ ও বড় ধরনের ভাল কাজ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে না । ক্ষুদ্র মাণষিকতা এবং হীনমন্যতাবোধ হলো প্রতিক্রীয়াশীলদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য । আমাদের উচিত অন্যের মত ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা ।
আমার লেখা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
আমার লেখা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
আশা করি আমার বাকি লেখাগুলোও পড়বেন ।
বিষয়টা তো এক জনের না । সুতরাং দু্ই জনের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে যা হয়, তা-ই আমি করবো ।
হ্যা । এই জিনিসটা ব্যবহার করতে যারা চান, তাদের ব্যবহার করার কৌশল ভাল ভাবে জানা উচিত । আমি এই বিষয়ে আলাদা লেখা লিখবো । তবে এই বিষয়ে একটা লেখার ১ম পর্ব লিখেছি । আপনি এই লিংক যেয়ে লেখাটা পড়তে পারেন :
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/28561 লেখাটার শিরোনাম হলো : যৌনতা, যৌনবোধ এবং সুস্হ-সাভাবিক-নিরাপদ যৌনতা উপভোগের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা (১ম পর্ব )
আশা করি আমার সাথেই থাকবেন । আমার বাকি লেখাগুলো পড়ার আমন্ত্রন রইল ।
ধন্যবাদ ।
খুবই সাহসের পরিচয় দিয়েছেন একটা অপরিচিত মেয়ের সাথে এ রকম একটি বিষয়ে সাবলীলভাবে কথা বলে।
পশ্চিমা খৃষ্টান এদেশের লোকরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি জানে। ছোট বেলা থেকে যৌন বিষয়ক জ্ঞান পায় । তারপরেও তারা বাঁচতে পারেনি।
ভাই । আমার পরিবার হতে আমাকে এমনভাবেই গড়ে তোলা হয়েছে যে, আমি কখনোই অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে পারি না । অনৈতিক কাজকে সহজে ছাড় দেই না ।
আমি আল্লাহকে ছাড়া কাউকে ভয় করি না ।
সুতরাং আমি আগে ও পরে হোক না কেন বাংলাদেশের প্রায় সব এমন অনৈতিক কার্যক্রম হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে ওড়না এবং নৈতিকতা বিষয়ক বই বিতরন করবো । ইনশাআল্লাহ ।
আমি আজ একা । আমি সাধারণ মুসলিম হিসেবে সেখানে ওড়না এবং নৈতিকতা বিষয়ক বই বিতরণ করতে যাবো । আমি লক্ষ্য করেছি, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ৬০ % মেয়ে ওড়না ব্যবহার করে না । তাদের পোষাকও বাংলাদেশের সংস্কৃতি,মূল্যবোধ ও নৈতিকতার সাথে খাপ খায় না । আর এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলেদের উল্লেখযোগ্য অংশই উশৃঙ্খল এবং মেয়েদের যৌন নিগ্রহ করে থাকে । তাদের অনেকেই সহপাঠিনীদের সাথে যৌনতা করে এবং এর অনৈতিক ভিডিও নেটে দিয়ে দেয় । এর ফলে আমাদের সমাজে অনৈতিকতা ছড়িয়ে পড়ছে । বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সূত্র ধরেই আমাদের দেশে অনলাইন পর্ণগ্রাফীর বিস্তার ঘটেছে । প্রক্ষ্যাত নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দীনও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র । তার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ইন্ডিপেন্ডন্ট বিশ্ববিদ্যালয় । এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মেয়ে আত্মহত্যা করেছিলো । কারণ তার মা তাকে জিন্সের প্যান্টে পড়ে ইন্ডিপেন্ডন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করার পক্ষপাতী ছিল না । যে বিশ্ববিদ্যালয় মায়ের ভাল কথাকে গ্রহণ করতে শেখায় না আর সমস্যার সমাধান হিসেবে আত্মহত্যা করতে শেখায় , আদতে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় নয় ।
আমার এই উদ্যোগের কথা আমার পরিচিত অনেকের সাথে শেয়ার করেছি । তারা আমাকে পাগল বলে অভিহিত করেছে ।
আমি অনেক গণ্য মান্য ব্যক্তি ইসলামী স্কলার ও ইসলাম প্রচারকদের সাথে কথা বলেছি । টাকাটা বড় ফ্যাক্টর । উদ্যোক্তা হিসেবে কেহ সামনে থাকতে চাচ্ছে না । ড. এম শমসের আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। ইসলামী ফাউন্ডেশনের কিছু লোকের সাথে যোগাযোগ করেছি ।
২৯ জুন ২০১৪ তারিখ রোজা শুরু হবে । রোজা শুরুর আগে রমজানের রোজা রাখার উপকারিতা, ওড়না পড়ার উপকারীতিতা. বিয়ের আগে যৌনতা কেন ক্ষতিকর, আগে আগে বিয়ে করার কি উপকারিতা, নৈতিকবোধ সম্পন্ন মানুষ হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধর্ম কেন দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকে এবং মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কি ? - এমন লিফলেট এবং কয়েক হাজার ওড়না নিয়ে আমরা নর্থ সাউথ এবং আই ইউ বি- র সামনে উপস্হিত হওয়ার চেষ্টা করবো । আমি অসমর্থিত সূত্র জানতে পেরেছি, আমাদের এই উদ্যোগকে কোনভাবে এসব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ স্বাগত জানাবে না । কিন্তু আমাদের কার্যক্রমের সফলতা ভবিষ্যত পেক্ষ্যাপটই বলে দিবে । কারণ আমরা সবাই ভবিষ্যতে কি হবে তা জানি না । এই উদ্যোগের সাথে ড, এম শমসের আলীর মতো লোককে রাখার চেষ্টা করছি । যদি তাকে বা তার মতো লোকদের পাওয়া যায় , তাহলে আমি বা আমরা অগ্রসর হবো ।
ওড়না কীভাবে যোগাড় হবে ? সে চিন্তা আমার । আর লিফলেট লেখা আমি লিখতে পারবো । কিন্তু ৫ হাজার লিফলেট ৭ টা বিষয়ে ছাপতে টাকা খরচ হবে - এসব কীভাবে যোগাড় হবে ? হাতে আছে ৪৫ দিন । আর পত্রিকা আর মিডিয়া কভারজও গুরুত্বপূর্ণ ।
সহজভাষায় ৩০০ শব্দের মাধ্যমে বিষয়গুলো উপস্হাপন করার চেষ্টা করবে । জানি না পারবো কি না । এই উদ্যোগ একা করা সম্ভব নয় । এজন্য আমাকে অনেকেই একটা সংগঠণ দাড় করতে পরামর্শ দিলো । সবার পরামর্শ ক্রমে এর নাম দেওয়া হলো : Muhammadiyah Mission, Bangladesh ফেসবুক পেজ : https://www.facebook.com/pages/Muhammadiyah-Mission-Bangladesh/288830894619402
আশা করি আপনারা আমাদের এই মহতী উদ্যোগের সাথে সম্পৃত্ত হবে ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
তবে কি বিয়ের আগে ওসব ব্যাবহার করতে নিষেধ করছেন...
টাইটেল টা "বিবাহপূর্ব যৌনতা এবং অনৈতিকতা পরিহার করুন"...হলে ভাল হতো(লিখা পড়ে তাই মনে হল)।
আমি বিবাহপূর্ব যৌনতা এবং অনৈতিকতা নিয়ে আমি অনেক লেখা লিখেছি ।
উপরন্তু এই লেখাটা কোন নিবন্ধ বা প্রবন্ধ নয় । এটা ব্লগ পোস্ট । ব্লগ পোস্টের সাথে নিবন্ধ বা প্রবন্ধ - এর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে ।
ব্লগ পোস্ট অনেকটা রোজনামচা বা ডায়েরি লেখার মতো ব্যাপার । এই ক্ষেত্রে বিভুতিভুষণ বন্দোপাধ্যায়ের তৃণাঙ্কুর একটা শ্রেষ্ঠ উদাহরণ ।
"আসলেই এমব্রেসিং ।"
ফখরুল ভাইয়া কি উনাকে এমব্যারাস করতে যেয়ে এমব্রেস করতে পেরেছিলেন? জাতি জানতে চায়
সুতরাং এমব্যারাস করার মতো অবস্হা কখনোই হবে না । আর এমব্যারাস করার ব্যাপারটা দুই জনের ব্যাপার । সুতরাং আমি নিজে এমব্যারাসের চিন্তা করছি না । তাহলে এমব্যারাসের প্রশ্ন আসে কি করে ? উপরন্তু আমি আমার পরিবারের পরিমন্ডলে এমন শিক্ষা বা মূল্যবোধ পাইনি যে মেয়েদের অনৈতিকভাবে এমব্যারাস করতে যাবো ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
আশা করি, আমার সাথেই থাকবেন ।
এতে অনেকে লজ্জিত হয়েছে এবং অনেকে বলেছে, আমি আপনার ওড়না নিবো কেন ?
অদ্ভুত অভিজ্ঞতা । তবে আমাদের মতো ছেলেদের আরো সাহসী হতে হবে । আমি আমার মতো কাজ করতে চায়, এমন ২০ টা ছেলে ও ২০ টা মেয়েকে নিয়ে নর্থ সাউথে ওড়না বিতরণ অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করছি । আর বিয়ের আগে যৌনতার খারাপ দিক এবং আগে আগে বিয়ে করার গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি ইসলামী জ্ঞান অর্জন করার উপর বয়ান করার আগ্রহ পোষন করছি ।
আর এজন্য আমি Islamic Learning Testing System (ILTS)চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি । এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ছেলে মেয়েরা মোবাইল এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রতি দিন ১০ মিনিট করে ইসলামী জ্ঞান অর্জন করার পাশাপাশি পরীক্ষাও দিয়ে সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারবে । ২৪ঘন্টার মধ্যে ১০ মিনিট খুবই কম সময় ।
আল্লাহ চাহেত এমন উদ্যোগ কোন না কোন সময় সফল হবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন