মেয়েরা কেন ছাত্র লীগ, শিক্ষক লীগ, বয়ফ্রেন্ড, প্রেমিক, ছাত্রী সংস্হা এবং হিজবুত তাওহীদ হতে সতর্ক থাকবে ? ( পর্ব : ১ )
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৩ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:৩০:৫৪ রাত
আমার এই নতুন ধারাবাহিক ব্লগ পোস্টে স্বাগতম । আজ আমি শুধু একটা খবর শেয়ার করেই উপসংহার টানবো । আমার লেখা পড়ে মেয়েরা যদি সচেতন হয়, তাহলেই আমি নিজেকে সার্থক মনে করবো ।
খবর :লেডি টিউটর আবশ্যক : ছাত্রীরা সাবধান!
মো. ফয়েজ আলী মাহি (৫০)। ভিজিটিং কার্ডের তথ্য অনুযায়ী তিনি এলএলবি ও এলএলএম ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছেন ইউনির্ভাসিটি অব লন্ডন থেকে। এখন পুলিশের ৩০ তম ব্যাচের সহকারী পুলিশ সুপার পদে কর্মরত। কথিত এই তুখোড় মেধাবী ব্যক্তিটির বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার জোয়ারা গ্রামে। এই মাহি একই সঙ্গে কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো নারী ম্যাজিস্ট্রেটের স্বামী, কখনো বা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। পাশাপাশি ছাত্রলীগ রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত!
সর্বগুণে গুণান্বিত এই ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত আটক হয়েছেন এক তরুণীর দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে। ওই তরুণীকে টিউশনী দেওয়ার নাম করে পরে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ডিভিও দৃশ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায়। পরে ওই তরুণী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকে অভিযোগ দিলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে এবং মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছিল।
হে বোনবৃন্দ । নিজেকে এধরনের বিজ্ঞাপন হতে ১০০ হাত দূরে রাখুন ।
এই বিষয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. বাবুল আক্তার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আটকের পর মাহি বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে। পরে বিভিন্ন সময়ে প্রতারণার বিষয়ে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এ ছাড়া মাহী বর্তমানে নিজকে পুলিশের ৩০তম ব্যাচের সহকারী পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে ফেসবুক আইডিও ব্যবহার করছে। কিন্তু এসবই ভুয়া বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।'
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি লেডি টিউটর আবশ্যক বিজ্ঞাপন সাটিয়ে দেওয়া হয় নগরীর নারী হোস্টেলের সামনে। এরপর ২১ জানুয়ারি এক তরুণী টিউশনী পাওয়ার আশায় বিজ্ঞাপনে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করে। নম্বরটি ব্যবহার করত মাহি। এই সময় মাহি তার নিকটাত্মীয়কে পড়ানোর প্রয়োজন আছে জানিয়ে ওই পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে। একই সঙ্গে টিউশন ফি পাঁচ হাজার টাকা ধরা হয়, সেখান থেকে দুই হাজার টাকা মাহীকে দিয়ে দিতে হবে বলে শর্ত জুড়ে দেয়। এতে ওই তরুণী রাজি হয়। পরের দিন ২২ জানুয়ারি তরুণীকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পূর্ব গেটে এসে সকাল ১০টায় যোগাযোগ করতে বলে মাহি। কথামতো ওই তরুণী নির্দিষ্ট সময়ে মাহির সঙ্গে দেখা করে। ওই দিন পরিচয় ও কথা হয়। এরপর ২৬
জানুয়ারি তরুণীকে মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে আসতে বলে মাহি এবং দুজন সারা দিন ক্যাম্পাসে ঘুরে এবং কথা বলে। শেষে রাতে চকবাজার এলাকায় ফোর স্টার হোটেলে ওই তরুণীকে নিয়ে রাতযাপন করে। শেষে ওই তরুণীর মাকে মাহি এই বলে হুমকি দেয়, 'ইন্টারনেট থেকে আপনার মেয়ের নুড ছবি ডাউনলোড করুণ।' এমন হুমকি শুনে তরুণীর পরিবার ভেঙে পড়ে এবং শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাবুল আক্তার জানান, মাহি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়ে তাদের একটি গ্রুপ আছে। নগরীর বিভিন্ন নারী হোস্টেলের সামনে লেডি টিউটর আবশ্যক বিজ্ঞাপন দেয়। সেখান থেকে কোনো তরুণী টিউশনী পাওয়ার আশায় ফোন করলে ওই তরুণীদের ফাঁদে ফেলে কৌশলে ধর্ষণ করে। আর ধর্ষিতাদের ছবি ইন্টারনেটে আপলোড করার ভয় দেখিয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়া থেকে বিরত রাখার কৌশল অবলম্বন করে।
সূত্রঃ কালেরকন্ঠ
http://www.kalerkantho.com/online/national/2014/04/17/73949
উপসংহার :
১. ছাত্র জীবন মেধা – যোগ্যতা – দক্ষতা অর্জনের জন্য ব্যয় করা উচিত । অতিরীক্ত অর্থ লাভের জন্য বা নিজের জীবনমান উন্নায়নের জন্য যে কোন ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হতে বিরত থাকা উচিত । আর সেটা যদি হয় টিউশনী । তাহলেও মেয়েদের সতর্ক থাকা উচিত ।
এই ক্ষেত্রে নিজের বড় ভাই বা বাবা যদি টিউশনী খুজে দেন বা নিজের জন্য উপযোগী চাকুরী খুজে দেন তাহলে তা করা যেতে পারে । তবে এই ক্ষেত্রে নিজেকে সদা সতর্ক রাখতে হবে ।
ইদানিং বাড়িতে অবস্হান করেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয় উপার্জন করা যায় । এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ । বড় জোড় ছয় মাস প্রশিক্ষণ নিলে টিউশনীর চেয়েও বেশী অর্থ উপার্জন করা সম্ভব । এই ক্ষেত্রে ধারনা পেতে আমার এই লেখাটা দেখা যেতে পারে : http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/28826 (বাংলাদেশি মেয়ে (১ম পর্ব : ফ্রিল্যান্সিং-এ বাংলাদেশী তরুণী)
)
শিক্ষক লীগ, ছাত্র লীগ, হিন্দু লীগ ও বখাটে ও লম্পটদের যৌন নিগ্রহ-ধর্ষণ-অনৈতিক কাজের বিরোদ্ধে সর্বাত্মকভাবে নিজের তৎপড়তা প্রকাশ করুন ।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অর্থ এই নয় যে লম্পট শিক্ষকদের লাম্পট্যকে সহ্য করে যেতে হবে । লম্পট শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের গুন্ডা ও বখাটে সহপাঠিদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে । যদি এই ক্ষেত্রে শিক্ষা জীবন বিপন্ন হয় তারপরও লম্পট শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের ও বখাটে সহপাঠির বিরোদ্ধে সর্বাত্মকভাবে লড়ে যেতে হবে ।
৩. মেয়েদের অবশ্যই আত্মরক্ষা কৌশল ও স্বাস্হ্য সচেতনা সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করা একান্তু কর্তব্য ।
আত্মরক্ষা কৌশল হিসেবেই নয়, নিজের স্বাস্হ্য ও শরীরের গঠণ ঠিক রাখার জন্যই নয় তাইকোয়ান্দো, কম্ফু, নিনজুৎসু ইত্যাদি শেখা মেয়েদের উচিত ।
যদি কারো আত্মরক্ষা কৌশল শেখার সুযোগ না থাকে তাহলে অন্তত মেয়েদের এই পেজের সব কৌশল আপাতত আয়ত্ব করা যথেষ্ঠ হবে বলে মনে করি ।
https://www.facebook.com/SelfdefenseTechniquesForFemales
( মেয়েদের জন্য আত্মরক্ষা কৌশল )
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিমল ছাত্রীধররা হলো সাক্ষাৎ মৃত্যুতুল্য । এই পরিমলরা কিন্তু আইনের মারপ্যাচে বের হয়ে আসে । সুতরাং বোনরা সাবধান । তোমাদের জন্য সমাজ এগিয়ে আসে না । তোমাদের জন্য প্রায় আইনও সহায় হয় না । যদি তোমাদের জন্য আইনের প্রয়োগ থাকতো তাহলে ব্রিটিশ আমল হতে আনোয়ারা - মনোয়ারা - জোহরা - কাশবনের কন্যা - ক নামক উপন্যাস বা আত্মজীবনী লেখা হতো না ।
https://www.facebook.com/culpritporimoljoy
Culprit-Rapist Porimol Joydhor (Malawon) er FASI chai..!
৪. বাংলাদেশের প্রচলিত সামাজিক মূল্যবোধবিরোধী সব ধরনের ধরনের সংগঠণ হতে দুরে রাখতে হবে । কারণ আমাদের সমাজ মেয়েদের মমতাময়ী মা, ভাইয়ের প্রতি দরদি ও অন্তপ্রাণা, স্বামীকে আরাধ্য (এর বিকল্প শব্দ এই মুহুর্তে পাচ্ছি না । যদি কেহ এর বিকল্প শব্দ পান, তাহলে আমি এই শব্দের বদলে অন্য শব্দ ব্যবহার করবো । ) ব্যক্তি হিসেবে সম্মান ও শ্রদ্ধা করার শিক্ষা দেয় এবং সমাজসেবা ও সমাজ কল্যাণের ক্ষেত্রে দরদী অংশীদার হিসেবে গড়ে উঠার মূল্যবোধ ধারণ করে ।
বিষয়: বিবিধ
২২৩৮ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আশা করি আমার সাথেই থাকবেন ।
দুটি বিষয়কে মনে হল আপনি বুঝিবা জোর করে পাঠকের কাছে উপস্থান করেছেনঃ
১। বিষয়বস্তুর সাথে হেডিং এ স্থাপিত ছাত্রী সংস্থা ও হিজবুত তাহরীর নাম দুটি কে খাপছাড়া মনে হয়েছে, মনে হয়েছে আরোপিত।
২। শেষ প্যারায় বলা, 'বাংলাদেশের প্রচলিত সামাজিক মূল্যবোধবিরোধী সব ধরনের ধরনের সংগঠণ হতে দুরে রাখতে হবে'। আমার ধারনা ছিল আপনার জ্ঞানের আলোকে আপনি আহ্বান জানাবেন 'ইসলামী মূল্যবোধ-বিরোধী সংগঠন সমূহ হতে দুরে থাকতে আহ্বান জানাবেন। কারন বাংলাদেশের প্রচলিত মূল্যবোধ অনুযায়ী, সুদ, ঘুষ, মিথ্যাবলা, প্রতারনা, ধর্ষন, টিজিং, গালাগালি ইত্যাদিই মূর্ত হয়ে উঠে। ধন্যবাদ এ্যানিওয়ে।
অপর দিকে হিজবুত তাওহীদ টাঙ্গাইলের বায়জীদ খান পন্নীর প্রতিষ্ঠিত সংগঠণ ।
দেখুন, ছাত্রী সংস্হা ও হিজবুত তাওহিদের মধ্য বাংলাদেশের প্রচলিত সামাজিক মূল্যবোধবিরোধী অনেক বিষয় পাওয়া গেছে যা বাংলাদেশের চিরায়ত সামাজিক প্রথা ও মূল্যবোধের জন্য ক্ষতিকরই নয়, এসব বিষয় আমাদের সমাজে বিচ্ছিন্নতার তুফান ছড়িয়ে দিচ্ছে ।
আমি আমার জ্ঞানের আলোকে ইসলামী মূল্যবোধ-বিরোধী সংগঠন যেমন : ছাত্র লীগ, হিন্দু লীগ (ইসকন, জাগরণী সংস্হা, আর এস এস , দুর্গা বাহিনী, বিজেপি, বজরং, আনন্দ মার্গ, প্রেমরণ ), গণজাগরণ মঞ্চ ইত্যাদি হতে দুরে থাকতে আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি ।
আমি সুদ, ঘুষ, মিথ্যাবলা, প্রতারনা, ধর্ষন, যৌন হয়রানী, ধর্ষণ, ধর্মব্যবসা, তেতুল হুজুরী দৃষ্টিভঙ্গি, মাজার পুজা- কবর পুজা, হুুজুরদের নারী ধর্ষণ এবং মাদ্রাসা ব্যবসা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লিখছি বা লিখে যাবো লোকদের সচেতন করার জন্য ।
বাংলাদেশের প্রচলিত সামাজিক মূল্যবোধবিরোধী সব সংগঠণের বিরোদ্ধে আমি লিখে যাবো , লোকদের সচেতন করে যাবো, জনমত গঠণ করে যাবো । এই ক্ষেত্রে আমি বিন্দুমাত্র আপোষ করবো না ।
আমিত আপনাকে ছাত্রী সংস্থাকে ফেরেস্তাদের সাথে তুলনা করতে বলিনি আপনি কেন এমন অমার্জিত কোথা বললেন আপনি আসলেই যদি লেখাক হতেন আপনার ভীতর নম্রতা থাকত।
আর শুনুন আপনি ছাত্রী সংস্থার কাউকে ছিনেন না যাদেরকে চিনেনে তাড়া আপনার কোন বোন হবেন যারা ছাত্র সংস্থার নামে অপকর্ম করে করছে
ছাত্র শিবির আর ছাত্রী সংস্হা বলতে গেলে একই মায়ের দুই সন্তান । কারণ এই দুইটাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহযোগি সংগঠণ । জামায়াত, ছাত্র শিবির ও ছাত্রী সংস্হা - এই তিন সংগঠনের প্রধান ব্যক্তি হলেন ভারতে জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানী নাগরিক ও রাজনীতিবিদ সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী ।
আমি সদস্য হওয়ার জন্য পড়াশোনা করতে যেয়ে আমি বুঝতে পারি সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী-র দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের মুসলিমদের জন্য ক্ষতিকর । এই ব্যাপারটা বোঝার পর আমি এই সংগঠণ মানষিকভাবে ত্যাগ করি ২০০৪ সালে । তবে তার পরও কয়েক বছর শিবিরের লোকদের সাথে যোগাযোগ ছিল ।
সুতরাং আপনি সহজেই বোঝতে পারছেন, সাংগঠনিক কারণেই আমার সাথে সামান্য হলেও ছাত্রী সংস্হা ও জামায়াতের মহিলা শাখার মহিলাদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ বা জানা-শোনার ক্ষেত্র তৈরী হয়েছিলো । উপরন্তু আমি এক সময় দৈনিক ইনকিলাবে লেখালেখি করতাম । সেখানে খাতুনে জান্নাত কনা - সহ বেশ কিছু ছাত্রী সংস্হার নেত্রী কাজ করতো । তাদের কাছেও ছাত্রী সংস্হার মেয়েরা আসতো । তাদের কথা-বার্তা-চাল-চলন-হাব-ভাব দেখে তো আমার সামান্য হলেও তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কি তা আমি অবশ্যই বুঝতে পেরেছি । তারা যতই কালো বোরকা আর নিকাব দিয়ে তাদেরকে আড়াল করে রাখুক না কেন ? তাদের কালো বোরকা আর নিকাবও তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও মনজগতকে বুঝার ক্ষেত্রে আমাকে বিন্দু মাত্র বাঁধা সৃষ্টি করেনি ।
লেখাটা মাত্র শুরু হলো । সাথে থাকুন । এই সংগঠণের মেয়েদের সম্পর্কে অনেক তথ্যই পাবেন । বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্হার অনেক বিষয় আমাদের সমাজের জন্য ক্ষতিকরই নয়, বরং দেশের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য ক্ষতিকর ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন