ধর্ষণ হতে রক্ষা পাওয়ার উপায় ( ৩য় পর্ব )

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ০২:৩৬:৪৭ রাত



পটভুমি :

আপুবৃন্দ !আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ১৬ ই ডিসেম্বর ২০১২ তারিখ একজন ২৩ বছর বয়সী তরুণী নৃশংসভাবে গণধর্ষণের শিকার হয়ে মারা গেছেন । চিকিৎসা বিদ্যার ছাত্রী এই তরুণী রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ী ফেরার সময় এই নির্মম ঘটনার শিকার হন । তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে সাথে বয়ফ্রেন্ডও ধর্ষকদের দ্বারা প্রহৃত হন । তারা দুইজনকেই লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে এক পর্যায়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় বাস থেকে রাস্তায় ফেলে দেয় । এই ঘটনার ভয়াবহতা এতই প্রকট যে সার্জনরা কয়েকবার অপারেশন করার পর ভিক্টিমকে বাঁচাতে তার অন্ত্রের বেশিরভাগ অংশ ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন । এই ঘটনার পর সারা ইন্ডিয়ায় তোলপাড় হয়েছিলো । ধর্ষক বলে অভিযুক্ত রাম সিং, মুখেশ সিং, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তা, রাজু এনং অক্ষয় ঠাকুর সবাইকেই গ্রেফতার করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে । আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় মূলত ভারতের এই ঘটনাকে বিস্তারিত বর্ণণা করা নয় ।

সূচনা :

আজকের আলোচনা মূলত বয়ফ্রেন্ডের ধর্ষণ হতে বা বয়ফ্রেন্ডের খামখেয়ালী হতে নিজেকে কীভাবে রক্ষা করা যায় । আজকের আলোচনায় শুরুটা লক্ষ্য করলে আপনারা দেখতে পাবেন, ধর্ষিতা তরুণীর সাথে তার বয়ফ্রেন্ড ছিল । কিন্তু বয়ফ্রেন্ড পর্যন্ত তাকে রক্ষা করা তো দূরে থাক, সে নিজে পর্যন্ত আহত হয়েছে ।

আজ আমরা একটা আড়াই মিনিটের সর্ট ফ্লিমের মাধ্যমে বোঝাতে চেষ্টা করবো :

১. বয়ফ্রেন্ড, প্রেমিক, স্টাডি পার্টনার, ল্যাব পার্টনার বা কলিগের সাথে রাতে বা নির্জন স্হানে কোন গল্প গুজব করা সঠিক কাজ নয় । অন্যথায় আপনাদেরও ভারতের এই তরুণীর মতো অবস্হা হতে পারে । (উল্লেখ্য, বয়ফ্রেন্ড, প্রেমিক, স্টাডি পার্টনার ও ল্যাব পার্টনার এসব সম্পর্ক ইসলাম ধর্ম অনুমোদন করে না ।)

২. নির্জনে বা অন্ধকারময় এলাকায় গল্পে মেতে থাকলে এসব বয়ফ্রেন্ড, প্রেমিক, স্টাডি পার্টনার, ল্যাব পার্টনার বা কলিগ ঘাতক বা ধর্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে ।

যেমন : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র ও বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ১৯৯৮ সালে এভাবে তার বান্ধবীদের নির্জনে বা অন্ধকারময় নিয়ে ধর্ষণ করতো এবং ধর্ষণ করার পর তার হলে এসে ডায়রীতে এই অপকর্মের বিবরণ বিস্তারিতভাবে লিখতো । সে প্রথমে রূপা গোমেজকে ধর্ষণ করে নির্জন স্হানে । পরবর্তীতে তার সাহস বেড়ে যায় । কারণ তার সাথে ছিল রাষ্ট্র । ধর্ষিতারা পড়তে পারেনি, কিন্তু তার কিছুই হয়নি । তাকে সরকার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী দিয়ে পুরস্কুত করে, জাপানে পড়তে পাঠায় এবং পরবর্তীতে সে ইটালির মিলান শহরে বিলাস বহুল জীবন যাপন করছে । তাকে এক সুন্দর মেয়ে বিয়ে করছে । হায়রে ! এই মহিলার নারী জীবন । (আসলে এধরনের নারী কি চায় ???)

ধর্ষণের শিকার হলে কেহ কি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে ? :

আপুবৃন্দ ! আপনারা ধর্ষিতা হলে আপনাদের সহায়তা করার জন্য কেহ এগিয়ে আসবে না ।

১. ইতোপূর্বে আমরা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন মানিকের ধর্ষণের সেঞ্চুরীর সময় আমরা দেখেছি । এখনও দেখছি । আমি একটা বই লিখেছিলেন আজ থেকে পাচ বছর আগে ধর্ষণের কারণ নিয়ে । এটা ছিল উপন্যাস । কেহ ছাপতে সাহায্য সাহস করেনি । গল্পটা এমন এক থানায় ধর্ষণ ও নারী হত্যার ঘটনার বিষয়গুলো বার বার আসতে থাকে ।কিন্তু তা নথিভুক্ত হয় না । এক সময় দেখা যায় থানার কর্তা ব্যক্তির মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করে । মেয়ের মা তখন বাবাকে এই আত্মহত্যার জন্য দায়ী করে । সবারই এক কথা এই বই ছাপলে আমরা তো জেলে যাবো তো যাবোই । কিন্তু আমার কথা সত্যি । এধরনে ঘটনা বাস্তবে অনেক ঘটছে । যেমন : ডা. সাজিয়া আফরিন ইভার বাবা ছিলেন পুলিশের এসআই । বাকিটা আপনারা আমার এই বিষয়ের উপর লেখা প্রথম পর্ব হতে জেনে নিবেন । উল্লেখ্য উপন্যাসটার নাম ছিল : “হত্যা না আত্মহত্যা“ ।

http://www.karatoa.com.bd/details.php?pub_no=1139&menu_id=1&val=145970&view=archiev&arch_date=30-12-2012





২.আমরা দেখেছি, ব্রাক এনজিও-র হাসপাতালে দায়িত্বরতা অবস্হায় ব্রাক এনজিও-র কর্মীরা ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে পর্দানশীন ও ইসলামপন্হী ডা. সাজিয়া আফরিন ইভা আপুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করে । তার পক্ষে তার সতীর্থরা পর্যন্ত প্রতিবাদ করেনি, এমন কি তার গ্রামের বাড়িতে জানাজার নামাজে অংশ নেয়নি ।

এই সপ্তাহ চারেক আগের এই ঘটনার কথা মনে ছিল এবং কয়জন এই ঘটনার কথা আগে থেকে জানতেন ? জানি এই সংখ্যাটা তেমন বেশি হবে না, কারণ নামী দামী পেপারগুলোতে এব্যাপারে ফলোআপ করা হয়নি যে! নিভৃতচারী মেধাবী ডাক্তার যে নীরবেই করুণভাবে মৃত্যুবরণ করতে বাধ্য হলেন ।

সাংবাদিকদের কাছে থেকে সাড়া না পেয়ে ডাক্তারেরাই আয়োজন করলেন মানববন্ধনের, সেখানে কি হল একজনের কাছ থেকে শুনুন-

আজকের মানব বন্ধনে ইন্ডিপেনডেন্ট ও এটিএন এর সাংবাদিকরা আসে কিন্তু আমরা তাদের বিশেষ করে ইন্ডিপেনডেন্টের স্মার্ট নারী সাংবাদিকের কথা শুনে অবাক হয়ে যাই। তিনি বলেন- "আমরা শুনে এসেছি এখানে এক চিকিৎসক আরেক চিকিৎসককে ভুল চিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেলেছে, তাই সকলে তার বিচার চায়।"

আমরা হতবাক হই তার এই কথা শুনে। পরে ইভা আপুর (ডাঃ সাজিয়া আফরিন) মৃত্যুর বিষয়ে জানাই ও নিউজ করতে বলি। তার উত্তরে সেই সাংবাদিক বলেন "কোন ডাক্তার মরলে নিউজ এজেন্সির কিছু যায় আসেনা, এটা কোন খবর না তবে ডাক্তারের হাতে কেউ মারা গেলে সেটা ইম্পরট্যান্ট।" আমরা তারপরেও তাকে ব্যাপারটা বোঝাতে চেষ্টা করলে তিনি আমাদের নাম জানতে চান। আমরা কয়েকজন পরিস্থিতি খারাপ হবার ভয়ে ইজ্জত নিয়ে সরে পড়ি।

একটা সাংবাদিকের আঙ্গুল কাটলে ব্রেকিং নিউজ দেয় কিন্তু নাইট ডিউটি অবস্থায় একজন চিকিৎসক নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে খুন হলে সেটা নাকি ইম্পরট্যান্ট না।

৩.ধর্ষিতা হলে আইনগত সহায়তা পেতে আপনার সমস্যা হবে । কারণ আপনি নির্যাতিতা হয়েছেন – এই বিষয়টি আগেই পরিবারের সদস্যরা লুকাতে চেষ্টা করবে ।



৪.আপনি ধর্ষিতা হলে ইসলামপন্হীরা আর এক শ্রেণীর পুরুষ আপনার দোষ খুজে বের করবে । আপনি পোষাকের ব্যাপারে ফ্যাশনপ্রিয় হলে তারা মন্তব্য করবে আপনার জন্য ধর্ষণ অবধারিত ছিল । আর আপনি যদি বোরকা বা হিজাব করা মেয়ে হোন – তাহলে তারা বলবে আপনি পতিতা ।

৫.আপনি ধর্ষিতা হলে সমাজের লোকেরা আপনার দিকে বাকা চোখে তাকাবে । আর রাষ্ট্র আপনাকে সাহায্য করবে না । কয়েকটা দৃষ্টান্ত তুলে ধরছি :

গত বছর সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নাচতে এসে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নাজমূল হুদা পলাশের ধর্ষণের শিকার হয়েছিলো খুলনার এক নৃত্যশিল্পী। সবাই বোধ হয় ঘটনাটা ভুলেই গেছি। নেতারা অনেক আগেই মুক্ত হয়ে এখন উন্নয়নের জোয়ারে দেশকে ভাসাচ্ছেন।

গত ২৪ অক্টোবর২০১২ চট্টগ্রামের রাউজানের হলদিয়া রাবার বাগান এলাকায় স্বামীকে বেঁধে এক মারমা গর্ভবতী মহিলাকে পালাক্রমে ধর্ষণকারী যুবলীগের ৪ সন্ত্রাসীর কথা, জ্বি উনারাও এখন মুক্ত।

শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক; বর্তমানে শরীয়তপুর জজকোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) রাশেদুল বেপারীর বিরুদ্ধে চার্জশীট দায়ের হওয়া ধর্ষনেরর মামলাটিও আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ৩০তম সভায় প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে !

আজকের পোস্ট হতে যা শিক্ষণীয়:

১.আপুবৃন্দ আজকের ভিডিও দেখে সিদ্ধান্ত নিন, ভুলেও বয়ফ্রেন্ড, প্রেমিক, স্টাডি পার্টনার, ল্যাব পার্টনার বা কলিগের সাথে রাতে বা নির্জন স্হানে কোন গল্প গুজব করবো না ।

অন্যথায় কি হতে পারে মাত্র আড়াই মিনিটের এই সর্ট ফ্লিমে দেওয়া হয়েছে: https://www.youtube.com/watch?v=jbCcSfc1QIQ

২.যদি আপনার বয়ফ্রেন্ড থেকে থাকে বা তাকে ছাড়তে পারছেন না, তাহলে আপনার

ডেটিং করতে যাবার সময় যে বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবেঃ

১.নির্জন কোন স্থানে না প্রেমিক, স্টাডি পার্টনার, ল্যাব পার্টনার বা কলিগের

সাথে না যাওয়াই উত্তম। দল বেঁধে ঘুরতে যেতে পারেন।

২.তাদের সাথে অবস্হান করার সময় নেশা জাতীয় কোন কিছু বা এলকোহল জাতীয় কোন কিছু পান করবেন না।

৩.আপনার প্রেমিককে তার সীমা কতটুকু তা বুঝিয়ে/বুঝতে দিন।যেমন : কোনভাবেই আপনি আপনার শরীরের কোন অংশ স্পর্শ করা তো দুরে থাক মাথায় হাত দিতে দিবেন না । এব্যাপারে আপনি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করুন ।

মেয়েরা তাদের কথিত ভালবাসার মানুষটির দ্বারাও হয়ে থাকে নির্যাতিত হয়ে থাকে । মনে রাখতে হবে, ধর্ষক যেই হোক তাকে কখনো ক্ষমা করা চলবে না।

একটা মেয়ের স্টাডি পার্টনার, ল্যাব পার্টনার বা কলিগ -দের সাথে সম্পর্ক বা বিশ্বাস থাকতে পারে । তবে অবশ্যই সেই সম্পর্ক বা বিশ্বাসের একটা সীমা থাকা উচিত । সেই সম্পর্ক বা বিশ্বাসের সীমাকে অতিক্রম করে অন্য কিছুতে জড়িয়ে পড়া মেয়েদের জন্য মোটেও মঙ্গলজনক নয়।

আমি মনে করি, বয়ফ্রেন্ড বা প্রেমিক -রা সাক্ষাত যমের আরেক রূপ ।

আমি যেসব লোকের কথা বল্লাম ইদানিং তাদের দ্বারা মেয়েদের নিগ্রহ হওয়ার হার আশংকাজনক বেড়েছে এবং তাদের খামখেয়ালীপূর্ণ আচরণের জন্য মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের বিপদে পড়ছে । আর আপুদের বুঝতে হবে, এসব লোক তাদের এই সম্পর্কের কারণে তাদের উপর মাত্রাতিরীক্ত অধিকার খাটাচ্ছে কি না ।

যেমন : এই শর্ট ফ্লিমটাতে লক্ষ্য করুন, শুরু হতেই নায়িকা চিন্তিত মনে এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন । আর ওদিকে নায়কের ভাব অনেকটা : " আরেকটু বসি না । জায়গাটা তো ভালই । লোকজন নেই । নিশ্চিন্ত মনে কথা বলতে পারছি ।" কিন্তু সে নায়িকার কথা একটুও ভাবছেন না । বাড়িতে যেয়ে নায়িকা কি বলবে বাবা-মা-র কাছে - তাও নায়ক ভাবছেন না । আর একারণেই শর্ট ফ্লিমটার নাম দেওয়া হয়েছে Why you should avoid and beware of boyfriend ?

শর্ট ফিল্মটার বিষয়বস্তু :

Once we will see that one of our beloved sisters will be a gang rape victim in this short film. But her boyfriend will not take any necessary steps for her safety. Why our beloved sisters are dependable on such kinds of boyfriends or persons?

আমার অভিমত :

আমি যেসব লোকদের কথা বলেছি তারা বেশীর ভাগই দায়িত্ব জ্ঞানহীন । কারণ তাদের সম্পর্কটার কোন আইনগত ভিত্তি নেই বা তারা নিজেরাই আস্হাহীন তাদের এধরণের সম্পর্ক কত দিন টিকবে । যেমন একজন কলিগের কথা চিন্তা করুন । তিনি তত দিনই কলিগ যত দিন আপনি এক সাথে চাকুরী করেন । পরবর্তীতে নতুন কর্মক্ষেত্রে যান, আপনাকে হয়ত সেই কলিগ মনেই রাখবে না । কারণ চলমান ও ব্যস্ত জীবনে অনেক লোকের সাথেই আমাদের মিথস্ক্রীয়া হয় বা মানবীয় যোগাযোগ হয় । আমরা শুধু অপরিহার্য লোকদেরই মনে রাখি বা গুরুত্ব দেই এই নাগরিক জীবনে । তাহলে কেন আপুবৃন্দ এমন লোকদের কথায় চলবেন বা তারা কেন তাদের উপর এসব লোকদের অন্যায় অধিকার খাটানোকে মেনে নিবেন ?

আজকের নিরাপত্ত কৌশল হলো :

১.সদা সবর্দা নিজের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিতে হবে । কারোর খামখেয়ালীপূর্ণ আচরণকে গুরুত্ব দেওয়া যাবে না । এবং কারোর উপর নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে মাত্রাতিরীক্ত নির্ভরশীল হওয়া যাবে না ।



২.ফেসবুকের “মেয়েদের জন্য আত্মরক্ষা কৌশল” http://www.facebook.com/SelfdefenseTechniquesForFemales পেজটার ১ হতে ৩৪ পর্যন্ত আত্মরক্ষা কৌশলগুলো আয়ত্ব করতে হবে ।

আপুদের বিনীত অনুরোদ করছি এসব কৌশল আয়ত্ব করার জন্য এবং এব্যাপারে কোন প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে করার জন্য অনুরোদ করছি ।

৩.আর মেয়েদের একটাই বয়ফ্রেন্ড বা প্রেমিক থাকা উচিত। সেটা হচ্ছে তার বিয়ে করা স্বামী। কারন এখানে একটা ছেলের সাথে একটা মেয়ের যে সম্পর্ক হচ্ছে তাতে দেশের আইন, সমাজ আর ধর্ম সবার স্বীকৃতি আছে । যদি আপু ! আপনার বয়স ২০ উর্ধ্ব হয়ে যায়, তাহলে নিজের লজ্জা বিসর্জন দিয়ে বিয়ের ব্যাপারে বাবা-মার সাথে আলোচনা করতে পারেন । এব্যাপারে বিস্তারিত আজ বলছি না ।

মনে রাখবেন :

১.প্রতি ২ মিনিটে ১ টা মেয়ে সম্ভ্রম হারায় ।

২.সম্ভ্রম হারানোর ফল খুবই খারাপ । আপনি মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়বেন । পোস্ট স্ট্রোমাটিক স্টেস ডিসঅডার ছাড়াও সেক্সচুয়াল্লি ট্রান্সমিডেট ডিজিজ ছাড়াও আপনার মনে পুরুষদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা বদ্ধমূল হয়ে যাবে ।

৩.৭৫% সম্ভ্রমহারা মেয়ের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয় ।

৪.৪৫ % ধর্ষকের আছে মারাত্মক সব রোগ । আপনি তাদের দ্বারা সম্ভ্রম হারালে সেসব রোগে আপনি আক্রান্ত হবেন ।

৫.৬২ % সম্ভ্রমহানীর ঘটনা কখনোই সম্ভবহারারা সারা জীবন কারো কাছেই প্রকাশ করেন না ।

সুতরাং ধর্ষণ হতে বাঁচুন । আত্মরক্ষা কৌশল শিখুন । কারণ : বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত

Women who learn self-defense have higher self-esteem.

তাহলে Stand and speak out.



উপসংহার :

ধর্ষণের স্বীকার নারীর প্রধান কর্তব্য হলো : তার ধর্ষণের ঘটনাকে যথাসম্ভব পরিচিত কারো কাছে প্রকাশ করা এবং যত দ্রুত সম্ভব আইনের দ্বারস্হ হওয়া । ধর্ষণ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য আত্মরক্ষা কৌশল আয়ত্ব করার সাথে সাথে নিজেকে সদা সতর্ক অবস্হায় রাখতে হবে । আর ধর্ষণের শিকার হয়ে গেলে নিজেকে কোন ভাবে গুটিয়ে রাখা যাবে না । প্রতিটি মেয়েরই উচিত বাংলাদেশের নারি নির্যাতন ও মুসলিম পারিবারিক আইনের সাথে সম্পৃত্ত আইনের ধারা ও উপধারা সম্পর্কে ধারণা রাখা । কারণ আইন ও সচেতনতাই একটা মেয়েকে ক্যারিয়ারিস্ট হয়ে উঠতে সাহায্য করে ।

লেখক : মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম http://www.facebook.com/fakhrul78

বিষয়: বিবিধ

২০৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File