বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে মেয়েদের পদচারণা (পর্ব : ১ )

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১০ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:১২:০৭ রাত





মেয়ের জন্য মা গর্বিতা :


আমাদের মেয়ের জন্য আমরা গর্বিত। সে এখন সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। আশা করছি, আগামী দেড় বছরের মধ্যেই সে মেজর হবে। কিছুদিন আগে চীনে প্রশিক্ষণ নিয়ে এল। এখন আইভরি কোস্টে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।' কথাগুলো বললেন ঢাকার উত্তর শাহজাহানপুরে বসবাসরত ফেরদৌসী ইসলাম নামের এক মা। ২০০০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়মিত কমিশনে নারী কর্মকর্তা নিয়োগের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের আগে তিনি কখনো কল্পনাও করেননি তাঁদের পাঁচ মেয়ের মধ্যে বড় মেয়েটি এ ধরনের একটি সাহসী পেশায় নিজের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাবেন ।



বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে মেয়েদের অবস্হান :

ফেরদৌসী ইসলাম একা নন। বাংলাদেশে আরো অনেক মায়ের বুক গর্বে ভরে দিয়েছেন মিলিটারি একাডেমির দীর্ঘমেয়াদি কঠোর প্রশিক্ষণ শেষে কমিশনপ্রাপ্ত তাঁদের সামরিক কর্মকর্তা মেয়েরা। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গত ১ মার্চ ২০১৩ তারিখ কালের কণ্ঠকে জানায়, সেনাবাহিনীতে নিয়মিত কোর্সের নারী কর্মকর্তার সংখ্যা এখন ১৫৬। ৮৮ জন ক্যাপ্টেন আর ৬৮ জন লেফটেন্যান্ট ও সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট।



সেনাবাহিনীর বিভিন্ন শাখায় পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে সমান মর্যাদা ও যোগ্যতা নিয়ে কঠোর নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। আর্টিলারিতে রয়েছেন ২১, ইঞ্জিনিয়ার্সে ২২, সিগন্যালসে ১৮, এএসসিতে ৩০, অর্ডন্যান্সে ৩৩, ইএমইতে ১৯, এইসিতে ১২ ও আরভিএফসিতে একজন নারী।

দীর্ঘমেয়াদি কোর্স ছাড়াও স্বল্পমেয়াদি কোর্সে সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরে নারী অফিসারের সংখ্যা ৫০২। এঁদের মধ্যে এএমসি ১৯৪, এডিসি ১৪ ও এএফএনএসে (আর্মড ফোর্সেস নার্সেস সার্ভিস) ২৪৯ জন।





সেনা বাহিনীর মেডিক্যালে কোরে মেয়েদের অবস্হান :


মেডিক্যাল কোরে নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসিনা সুলতানা (স্ত্রী ও ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ) ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেহেনা বেগম চৌধুরী (শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ)। এসব মিলিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নারী কর্মকর্তার সংখ্যা ৬৫৮



বাংলাদেশ নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনীতে মেয়েদের অবস্হান :

বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ৪৮ জন এবং বিমানবাহিনীতে ৮৪ জন নারী কর্মকর্তা বর্তমানে কর্মরত। এ হিসাবে সর্বমোট ৭৯০ জন নারী সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন শাখায় নেতৃত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

নৌবাহিনী :

নৌবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ বাহিনীতে দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি কোর্স মিলিয়ে মোট ৪৮ জন নারী কর্মকর্তা রয়েছেন। তিন বাহিনীর মধ্যে নৌবাহিনীতে সর্বপ্রথম ২০০০ সালের ১২ জানুয়ারি নারী ক্যাডেট/অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে নিয়মিত কোর্সে রয়েছেন বিভিন্ন পদবির মোট ৩৪ জন নারী কর্মকর্তা। বাকি ১০ জন রয়েছেন স্বল্পমেয়াদি কোর্সের। সর্বোচ্চ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (সেনাবাহিনীর মেজর পদের সমতুল্য) পদে রয়েছেন ১৩ জন, লেফটেন্যান্ট (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পদের সমতুল্য) পদে রয়েছেন ১৫ জন এবং সাব লেফটেন্যান্ট (সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদের সমতুল্য) পদে রয়েছেন ২০ জন। এঁদের মধ্যে সাতজন নৌবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায়, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ১৩ জন, সরবরাহ শাখায় ১৪ জন এবং শিক্ষা শাখায় ১৪ জন দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে নৌবাহিনীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী কর্মকর্তা সাফল্যের সঙ্গে কোর্স সম্পন্ন করেছেন



বিমানবাহিনী :

বিমানবাহিনীর স্বল্পমেয়াদি কোর্সের ৮৪ জন নারী কর্মকর্তার মধ্যে কয়েকজন সর্বোচ্চ স্কোয়াড্রন লিডার (সেনাবাহিনীর মেজর পদের সমতুল্য) পদে দায়িত্ব পালন করছেন। বিমানবাহিনীতে এখনো পর্যন্ত জিডি (জেনারেল ডিউটিস) পাইলট ও জিডি নেভিগেটর পদে নারী কর্মকর্তা নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এ বাহিনীতে তাঁরা রয়েছেন বিভিন্ন গ্রাউন্ড ব্রাঞ্চে।



মেয়েদের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ মতামত :


সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে মেয়েদের সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়মিত কমিশনপ্রাপ্তি এ উপমহাদেশের ক্ষেত্রে ছিল ব্যতিক্রমী ঘটনা।

দেশে এর আগে থেকেই মেডিক্যাল কোরে নারীরা নিয়োগ পেয়ে আসছেন। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের মাধ্যমে নারীদের নিয়মিত কমিশনপ্রাপ্তি একটি বড় ধরনের অর্জন। মেজর জেনারেল (অব.) জামিল ডি আহসান কালের কণ্ঠের কাছে এ মতই প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে সে সময়ের সরকারের সিদ্ধান্ত অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু আরো একটি প্রশংসার বিষয় হচ্ছে, আমাদের মেয়েরা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নিজেদের জড়তা ও সামাজিক বাধা ভেঙেছেন।'

জামিল ডি আহসান জানান, সেনাবাহিনীতে এখনো কিছু ক্ষেত্রে নারী কর্মকর্তা নিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। পদাতিক, আর্মড-এ দুটি বিভাগে এখনো নারী কর্মকর্তা নিয়োগ হয়নি।





তা ছাড়া প্রতিবছর নারী কর্মকর্তার সংখ্যা যে অনুপাতে বাড়বে আশা করা হয়েছিল, সেভাবে বাড়েনি। বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, কিন্তু প্রথম কয়েকটি বছরের মতো নয়।



মেয়েদের সশস্ত্র বাহিনীতে অবস্হান :


শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১০ বছর আগের অর্থাৎ ২০০০ সালের ঘটনা। ওই সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের একটি সিদ্ধান্ত দেশের তরুণীদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। সেনাবাহিনীর নিয়মিত কমিশনে যোগ দিতে আবেদন করেন ১৪ হাজার ৯৬০ তরুণী। তার আগেই নৌবাহিনীতে নারী কর্মকর্তা নিয়োগ শুরু হলেও সেনাবাহিনীর এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি বেশি প্রচার পায়। আবেদনকারী তরুণীদের মধ্যে প্রাথমিক নির্বাচনী পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা, আইএসএসবি (ইন্টার সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ড) ও মেডিক্যাল পরীক্ষা শেষে ৪৭ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের জন্য মনোনীত হন ৩০ জন। দুই বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু হয় ২০০১ সালের জানুয়ারি থেকে।

এদের মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে সোফিয়া জেরিন তামান্না রহমানও ছিলেন। তিনি এখন ক্যাপ্টেন, তবে সম্প্রতি ক্যাপ্টেন থেকে মেজর পদে পদোন্নতির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তাঁর মতো আরো কমপক্ষে ৩০ জন নারী ক্যাপ্টেন এখন মেজর হওয়ার অপেক্ষায়। জানা যায়, এই নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে কমপক্ষে দুজনের ব্রিটেনের রয়েল মিলিটারি একাডেমি স্ট্যান্ডহার্স্টে প্রশিক্ষণ রয়েছে।

জানা যায়, ৪৭ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স সম্পন্ন করে ২০০২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম ২০ জন তরুণী নিয়মিত কমিশন লাভ করেন। ওই কোর্সের বাকি ১০ জনের মধ্যে কয়েকজন ৪৮ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে অংশ নিয়ে প্রশিক্ষণ শেষ করার সুযোগ পান। দ্বিতীয় এ কোর্স শেষে ২০০৩ সালের জুলাইয়ে আরো ২১ জন নারী কমিশন লাভ করেন।

এরপর ৪৯ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স শেষে ২২ জন এবং ৫০ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স শেষে এ বছর আরো ১৩ জন নারী কমিশন লাভ করেন। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপরই সেনাবাহিনীতে নারী কর্মকর্তার সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেনাবাহিনী ছাড়াও নারী কর্মকর্তাদের সংখ্যা বাড়ছে নৌ ও বিমানবাহিনীতেও ।



বিএমএর দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে নারীদের প্রশিক্ষণ শুরু হলে সে সময় বিষয়টি উন্নত দেশগুলোর সামরিক কর্তৃপক্ষেরও মনোযোগ আকর্ষণ করে। ব্রিটেনের একজন নারী সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে সে দেশের একটি সেনা প্রতিনিধিদল তখন অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য বিএমএ পরিদর্শন করে।

আইএসপিআর জানায়, ২০০০ সালে ৪৭ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে প্রথমে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় শুধু পুরুষ প্রার্থী নিয়োগের জন্য। পরে এ কোর্সে নারী কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পুনঃবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ৪৮ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স থেকে একই সঙ্গে পুরুষ ও নারী নিয়োগের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কিছু ছাড় রয়েছে কেবল শারীরিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে।



মেয়েদের সশস্ত্র বাহিনীতে চাকুরীর ক্ষেত্রে উদ্ভুত সমস্যাসমূহ :



বিয়ে : ২০০৪ সালের প্রথম দিকের ঘটনা। একজন নারী সেনা কর্মকর্তার বাবা এই সমস্যার কথা উত্থাপন করেন যে, তাঁর মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। ছেলেও সেনা কর্মকর্তা। কিন্তু কত বছর বয়সে মেয়ে বিয়ে করতে পারবেন, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বিধিবিধানের তথ্য তিনি পাচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে সে সময় আইএসপিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো জবাব মেলেনি।



কিন্তু ২০০০ সালে প্রাথমিক নির্বাচন, লিখিত পরীক্ষা, আইএসএসবির পরীক্ষার পর ৫৮ জন তরুণী যখন মেডিক্যাল পরীক্ষার অপেক্ষায়, তখন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছিল ২২ বছর পেরোলে নারী কর্মকর্তারা বিয়ে করতে পারবেন। বিএমএ প্রশিক্ষণের সময় এবং কমিশনপ্রাপ্তির পর কর্মক্ষেত্রেও তাঁরা কিছু নিয়ম-নীতির ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন। কিন্তু তা হয়নি। বিয়ে সংক্রান্ত বিধান প্রণয়নেও কয়েক বছর পার হয়ে যায়। গত ১ মার্চ এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আইএসপিআর জানায়, ২০০৪ সালের ২০ জুলাই এ সংক্রান্ত বিধান প্রণয়ন করা হয়। সেনাবাহিনীর নিয়মিত কমিশনে মহিলা কমকর্তাদের বিয়ের ক্ষেত্রে ২৩ বছর বয়স বা তিন বছর চাকরি (যেটা আগে আসে) পার করতে হবে। পুরুষ কর্মকর্তাদের এ ক্ষেত্রে ২৬ বছর বয়স বা ছয় বছর চাকরি পার করতে হবে। তবে নৌবাহিনী থেকে জানানো হয়, এ বাহিনীতে নারী কর্মকর্তারা ২২ বছর বয়স অথবা দুই বছর কমিশন চাকরির পর বিয়ের অনুমতি পেয়ে থাকেন।

( চলবে ..... )

কৃতজ্ঞতা :

১.দৈনিক কালের কন্ঠ

২.http://www.militaryimages.net/photopost/army/p17672-lady-officer-in-a-command-post-briefing.html

৩.http://www.bangladeshnavy.org/ladytrg.html

বিষয়: বিবিধ

৯১০৩ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

205435
১০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:২২
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৫৭
154374
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ।
205445
১০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:০৫
বেদনা মধুর লিখেছেন : জঙ্গিলীগের সদস্য না হলে ভারতপ্রেমী নাহলে ইসলাম বিদ্ধেষী না হলে চাকরি দেবে না লীগেরা।
১০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১০
154377
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমাদের সবার উচিত আমাদের মনটাকে উদার করা । আমাদের বাংলাদেশি হিসেবে গর্ববোধ করা উচিত । আমাদের দেশকে মেধা ও যোগ্যতাই সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে । এই বিষয়টা আমাদের বুঝতে হবে ।

যাদের মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতা নেই তারা কখনোই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে পারবে না । হয়ত তারা সাময়িকভাবে কিছু সময়ের জন্য লাভবান হতে পারে ।
205514
১০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:০১
ইমরান ভাই লিখেছেন : ইসলামে মেয়েদের শসস্ত্র বাহীনিতে চাকরী করার কোন বিধান নাই।
১০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
154682
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ইসলামে মেয়েদের সশস্ত্র বাহিনীতে চাকুরী করার অধিকার আছে এবং ইসলামের জিহাদ বা সশস্ত্র লড়াই করার বিধান নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য প্রযোজ্য ।

বিস্তারিত জানতে দেখুন : যুগে যুগে মুসলিম নারী যোদ্ধা ( পর্ব -১ ) http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1440

যুগে যুগে মুসলিম নারী যোদ্ধা ( ২য় পর্ব ) : চাঁদ সুলতানা http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27049

১১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৪১
154854
ইমরান ভাই লিখেছেন : Ruling on appointing women to positions of high public office
১১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:১৩
154861
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনি লিংক না করে বাংলা ভাষায় মন্তব্য করুন - তাতে সবাই আপনার অভিমত ভালভাবে বুঝতে পারবেন । আর আমিও আপনার মন্তব্যের উত্তর দিবো ।


আমি আমার নিজের গবেষণা নির্ভর লেখার লিংক দিয়েছি । এই ক্ষেত্রে আপনি নিজে কিছু লিখে থাকলে তার লিংক দিতে পারেন ।
১১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৬
154914
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমার লিংকে আপনার গবেষনার উত্তর আছে পড়ে দেখুন। যারা বোঝার তারা বুঝবে ইনশাআল্লাহ।
১১ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৮
154921
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : যারা বোঝার তারা বুঝবে -কথাটা তো সঠিক হলো না । আপনি বরং সেই লেখাটা বাংলা অনুবাদ করে এই সাইটেই দিন । আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি, আমি এই লেখার যুক্তি খন্ডন করে মন্তব্য করবো এবং আরো কতকগুলো লেখা লিখবো । ব্লগ সাইটে লেখালেখি করার উদ্দেশ্য তো এটা নয় । চিন্তা ও গবেষণাকে মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া এবং সর্বোত্তম ও কল্যাণকর বিষয়টা গ্রহণ করার মানষিকাও ব্লগপোস্টের লেখার প্রধান উদ্দেশ্য । অন্যথায় এসব লেখা বড়জোড় নিজস্ব অভিমত হয়ে থাকবে ।

ভাই । আপনার এই লেখাটাই নয়, সৌদি আরবের ওহাবী আলেম এবং দেওবন্দী আলেমদের এজাতীয় লেখা ২০০০ সাল হতে পড়ে এসেছি । এখনও পড়ছি ।


আশা করি, আপনার লিংকের লেখাটা বাংলায় অনুবাদ করে এই সাইটেই দিবেন ।
205538
১০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:৫৬
ফেরারী মন লিখেছেন : ভালো লাগলো মেয়েরা আজ এগিয়ে যাচ্ছে
১০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
154681
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : হা, মেয়েরা সর্বক্ষেত্রে তাদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন ।
206064
১১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
গেরিলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:০২
154877
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ধন্যবাদ ।
208588
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৫:৫২
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : বাংলাদেশের কোনার মধ্যে আছেন। বিশ্বের ঘটনা
সম্পর্কে কোন ধারনা নেই। আমেরিকায় কত
পার্সেন্ট মহিলা সৈনিক আছে। কত পার্সেন্ট মহিলা সৈনিকা ধর্ষিতা হয় বলেন দেখি। কংগ্রেস আইন
করেও ধর্ষন বন্ধ করতে পেরেছে। মনে হয় না।
ফালতু পোষ্ট।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:০৪
157554
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমেরিকা দিয়ে বাংলাদেশকে যাচাই করেন কেন ? বাংলাদেশ কি আমেরিকার অঙ্গরাজ্য । বাংলাদেশ আর আমেরিকার সময়ের ব্যবধান তো ১২ ঘন্টা ।

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বিশ্বের তামাম সেনাবাহিনীর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠস্থান অর্জন করেছে । আপনি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ টানলেন । এই দেশের সাথে আমাদের দেশের সমাজ-সংস্কৃতির আকাশ পাতাল তফাৎ রয়েছে । আমাদের দেশের সেনাবাহিনী বিদেশে যথেষ্ঠ সুনাম অর্জন করেছে । তবে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের অদক্ষতা ও রেশারেশির কারণে সেনাবাহিনীকে দেশের রাজনীতিতে বেশ কয়েক বার দেশের স্বার্থেই হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে ।

আমাদের দেশের সশস্ত্র বাহিনী নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং দেশপ্রেম দ্বারা পরিচালিত হয় । এজন্য সশস্ত্র বাহিনীতে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে যা হয় তার ছিটে ফাটাও হয় না ।


আপনি যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীতে ধর্ষণ হয়, সেই অজুহাত দেখিয়ে আমাদের দেশের মেয়েদের মুসলিম মেয়েদের মেধা-যোগ্যতা-দেশপ্রেম-প্রতিভা প্রকাশের জন্য সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে বাধা দেন , তাহলে কিন্তু আমাদের দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য খুব একটা ভাল অবস্হা অদুর ভবিষ্যতে অপেক্ষা করবে না । কারণ মুসলিম মেয়েরা এসব লোভনীয় চাকুরীতে অংশ না নিলে এসব লোভনীয় চাকুরী কারা দখল করবে তা জানার জন্য এসব লেখা মনযোগ দিয়ে পডুন ।

পরিশেষে শুধু এতটুকু বলছি, মেয়েদের মেধা-যোগ্যতা-প্রতিভা-দক্ষতা প্রকাশের নীতি আমাদের সংবিধান, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আইন দ্বারা স্বীকৃত । আপনি কি এই নিয়মের বিরোধীতা করে কি বাংলাদেশের সংবিধান, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আইনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখাচ্ছেন না তো – দয়া করে এক বার ভাবুন ।


আশা করি , নিচের লেখাগুলো বার বার পড়বেন :

গোয়েন্দাবাহিনী ও বিচারক পদে গণহারে হিন্দু নিয়োগ (নিয়োগ পর্ব-৩)
https://www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-একাদশ-নোট-গোয়েন্দাবাহিনী-ও-বিচারক-পদে-গণহারে-হিন্দু-নিয়োগ-নিয়োগ-পর্ব-৩/417653668364079


প্রশাসনে হিন্দুদের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি, বেখবর সাধারণ জনগণ (নিয়োগ পর্ব-১)
https://www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-নবম-নোট-প্রশাসনে-হিন্দুদের-মাত্রাতিরিক্ত-উপস্থিতি-বেখবর-সাধারণ-জনগণ-নিয়োগ-প/414138512048928


আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে গণহারে হিন্দু নিয়োগ (নিয়োগ পর্ব-২)

https://www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-দশম-নোট-আইন-শৃঙ্খলা-বাহিনীতে-গণহারে-হিন্দু-নিয়োগ-নিয়োগ-পর্ব-২/415292678600178



এবার তিন মুসলিম শিশুকে জবাই করলো হিন্দু সন্ত্রাসীরা, আমরা কি বাংলাদেশে আছি না ভারতে?
https://www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-দ্বাদশ-নোট-এবার-তিন-মুসলিম-শিশুকে-জবাই-করলো-হিন্দু-সন্ত্রাসীরা-আমরা-কি-বাংল/418307641632015





এই লেখাগুলোতে দেখা যাচ্ছে অনেক বড় বড় পদে হিন্দু ছেলেদের পাশাপাশি হিন্দু মেয়েরা কাজ করছে । তাহলে মুসলিম মেয়েরা নয় কেন ? মুসলিম মেয়েরা ইসলাম ধর্ম পালন করে বলে তারা অলস-অথর্ব-অকর্মণ্য হয়ে থাকবে - এটা ইসলাম ধর্মের বিধান বলে ?


আর এভাবে হিন্দু আর উপজাতী মেয়েরা নারী কোঠাগুলো গ্রহণ করতে থাকে, তাহলে আমাদের দেশের ক্ষেত্রে কি অবস্হা ঘটবে - এক বার ভেবে দেখেছেন কি ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File