নিকাবী সম্প্রদায়ভুক্ত মেয়েদের এই মেয়ের কাহিনী হতে অনেক কিছু শিক্ষনীয় আছে । দয়া করে কেহ কি এই মেয়েকে অনুসরণ করবেন ? যদি করেন আমি তাকে সহযোগিতা করবো ।

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ৩০ মার্চ, ২০১৪, ১০:৩৬:৩৫ রাত



ইভটিজারকে ছুড়ি দিয়ে হত্যা করে কলিজা বেরকারী বীরাঙ্গনা ফাতেমা ।

হে বোন । তোমাকে বিপ্লবী লাল সালাম ।

যুগ যুগ জীয়ে ।

ফাতেমা জিন্দাবাদ ।

তোমাকে আমার পক্ষ হতে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা ।




শাহবাগী নাস্তিক ও গোপালী পুলিশের হাতে নির্যাতিত আলেম ও ইসলাম প্রচারক, মৌলভীবাজারের জননেতা ও বিসমিল্লাহ হেফাজত কমিটির প্রধান এবং হেফাজতে ইসলামী লন্ডন শাখার নেতা মাওলানা নুরে আলম হামিদী ( damat barakatuhum : May his/their blessings/barakah ever endure/continue)



http://ukbdnews.com/country/1244-2013-02-22-16-58-06.html



http://m.facebook.com/noorealomhamidi?v=feed

প্রথমে ফেসবুকের একটা স্যাটাস দিয়ে শুরু করছি ।

ফেসবুকের একটা স্যাটাস হতে জানা যায় :

https://www.facebook.com/photo.php?v=488215021252162

মাওলানা নুরে আলম হামিদী ব্রিটিশ নাগরিক। ডিবি অফিসে কিভাবে চল্লিশটারও বেশি পুলিশ নরপশু একজন হিজাব পরিহিতা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে, তার চাক্ষুষ স্বাক্ষী তিনি।

ভদ্রলোককে বাইশ ফেব্রুয়ারী কাঁটাবন মসজিদ থেকে জুমার পর পুলিশ তাকে পিটিয়ে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে শাহবাগিদের হাতে তুলে দেয়, শাহবাগিরা তাকে যথেচ্ছ পেটায়। বিভিন্ন পত্রিকা ও শাহবাগিরা তাকে গ্রেফতারের ছবি দেখিয়ে প্রচার করে, পাকিস্তানী জঙ্গি গ্রেফতার!

লম্বাচওড়া ও ফর্সা টাইপের হওয়াতে হীনমন্য বাঙালীরা এসব বিশ্বাসও করে অনেকে।

কারাগারে ডাক্তার কুন্ডু তাকে ঠিকমতো চিকিৎসা করেনি, ফার্মাসিষ্ট প্রাণকৃষ্ণ ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলো।

নুরে আলম হামিদীকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিলো ডিবি অফিসে।

ওখানে নিজ চোখে দেখা এক বর্বর ঘটনার কথা তিনি বলেছেন এ ভিডিওতে। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী তিনি।

তিনি https://www.facebook.com/photo.php?v=488215021252162 ফেসবুকের এই ভিডিওটাতেবল্লেন : এই মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী । আর এই মেয়ে নাকি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্হার নিকাব পরিহিতা কর্মী ।

এবার আসছি ফাতেমার কাহিনীতে :

বুক ফেড়ে শিপনের কলিজা দেখলো ফাতেমা

খুলনা : ও আমাকে টিজ করতো। অনেক সহ্য করেছি। সহ্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ওকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেই। ওর বাসায় যাই। গিয়ে আরসির বোতলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে ফেলি।

তারপর হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে খুন করি। এরপর ছুরি দিয়ে বুক ফেরে কলিজা বের করে দেখি, ওর কত বড় কলিজা, সাহস কতো। আমার মতো মেয়ের সঙ্গে ও টিস করে কোন সাহসে।’

এভাবেই কথা বলেন গৃহকর্মী ফাতেমা আক্তার (১৭)। শনিবার দুপুরে সোনাডাঙ্গা থানায় সাংবাদিকদের কাছে কথাগুরো বলেন তিনি। খুলনায় লিফটম্যান শিপন হত্যাকাণ্ডে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় ফাতেমাকে।

সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ওইদিন দিবাগত রাতে জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার কৈয়া জয়খালী থেকে ফাতেমাকে গ্রেপ্তার করে।

এসময় হত্যাকান্ডৈ ব্যবহৃত একটি ছুরি, নিহতের ল্যাপটপ বিক্রির ২২ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খুলনার পুলিশ লাইন পূর্বগলি থেকে হত্যাকাণ্ডে সহযোগী অনিক (২২) নামের আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফাতেমা জানায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার মা ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে মার কাছে গেলে শিপন নিয়মিত টিস করতো আমাকে। অনেক দিন সহ্য করেছি। অসহ্য হয়ে শিপনের সঙ্গে ভাব করি। ভাব জমিয়ে সর্বশেষ তাকে খুন করি।

সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে ফাতেমা ক্ষিপ্ত হয়ে বলে, মেকাপ দিয়ে সেজে-গুজে আসবো? বেশি বেশি করে লেখেন আমার কথা। আমি কোনোদিন বের হলে আবার কোন ছেলে যদি এ ধরনের কাজ করে তাকেও খুন করবো।

সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাবুদ্দিন আজাদ জানান, মেয়েটির মা নূরজাহান বেগম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে যাতায়াতের একপর্যায়ে লিফটম্যান শিপনের সঙ্গে ফামেতা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। শিপনের নূরনগরের বাসায়ও মেয়েটি কয়েকবার গিয়েছে বলে জানান তিনি।

ওসি বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় বুক ফাড়া ও কলিজা বের করা দেখা গেছে। এ হত্যাকা- মেয়েলি ঘটনা বলে ধারণা করা হয়েছিল।

নিহত শিপন খুলনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী আবু বক্কারের ভাগ্নে। সে বয়রায় মামার সঙ্গে গণপূর্ত বিভাগের কোয়ার্টারে থাকতো।

ফাতেমা ঢাকার একটি বাসায় কাজ করতো। মার অসুস্থতার খবর পেয়ে বাড়িতে আসে।

গত ৮ মার্চ রাতে নগরীর নূরনগর গণপূর্ত বিভাগের আবাসিক কোয়ার্টারের বাসায় খুন হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটম্যান ও খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এমদাদুল হক শিপন (২৫)।

- See more at: http://news.zoombangla.com/khulna/2014-03-29-14-45-45-11-3169#sthash.rvMdnypS.dpuf

http://news.zoombangla.com/khulna/2014-03-29-14-45-45-11-3169

পরিশেষে আমি নিকাবী সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে প্রশ্ন রাখছি :

১। আপনাদের থেকে বাংলাদেশের নারী সমাজের কি শিক্ষণীয় আছে ?

২। বাংলাদেশের উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতি-তে নিকাবী সম্প্রদায়ের অবদান কতটুকু ?

৩। বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিকাব কতটা গুরুত্বপূর্ণ ?

৪। নিকাব কি বাংলাদেশের সংস্কৃতির অংশ ?

৫। নিকাব কি ধর্মের অপরিহার্য বিষয় ?



বিশিষ্ট নিকাবী ও বিতার্কিক আনকোরা ওরফে এরিস্টোকেট শিমু ( দুইটাই ছদ্দনাম । নিকাবীদের মতে নিজের নাম নেট ও বাস্তব জীবনে প্রকাশ করা গুনাহের কাজ । )

আমার সাথে এসব বিষয়ে যে কোন নিকাবীকে প্রকাশ্যে বিতর্কে অংশ নেওয়ার অনুরোদ করা হলো । কেহ কি আছেন আমাকে চ্যালেঞ্জ করবেন ? যদি না থাকেন, তবে কেন ?

বিষয়: বিবিধ

৪৬৯৭ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

200521
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:১৮
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:২৩
150297
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ।
200535
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৩৯
ইকুইকবাল লিখেছেন : কষ্টকর ঘটনা। বিশ্লেষণটি ভাল লাগল। ধন্যবাদ নিয়মিত আপনার লেখা চাই
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:২৭
150336
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ । ইনশাআল্লাহ কুসংস্কার-কুপমন্ডুকতা-অন্যায়-অবিচারের বিরোদ্ধে লিখে যাবোই ।
200553
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:০০
মুই অমপুরী লিখেছেন : অহংকারী বোকারাই বাহাসের ডাক দেয় যাদের কিছুটা পাগলামীও থাকে।
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:২৯
150337
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : যারা কুরআনের নিয়ম নীতি অনুসরণ করে এবং বিবেকবান তারাই সবার সাথে সংলাপ চায় এবং তারা সব কিছুতেই আলাপ-আলোচনার ডাক দেয় ।কারণ আল্লাহ বলেছেন :
[125] ادعُ إِلىٰ سَبيلِ رَبِّكَ بِالحِكمَةِ وَالمَوعِظَةِ الحَسَنَةِ ۖ وَجٰدِلهُم بِالَّتى هِىَ أَحسَنُ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبيلِهِ ۖ وَهُوَ أَعلَمُ بِالمُهتَدينَ
[125] আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে। সুরা আন নাহল : ১২৫ ।
আর যারা আহম্মক ও গোয়ার-কুসংস্কারাচ্ছন্ন-মানব সভ্যতা-সংস্কৃতি-অগ্রগতি প্রগতির দুষমন তারাই নিজেকে আড়াল করে রাখে এবং তারা কোন বিষয়ের গভীরে যেতে চায় না ও কোনক্রমেই আলোচনা-সংলাপ-বাহাসে অংশ নেয় না । তারা তাদের মত জোড় করে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয় এবং তাদের মতটাই একমাত্র সঠিক মত বলে মনে করে আত্মতুস্টিতে ভুগে থাকে ।
200571
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:১৮
ভিশু লিখেছেন : আপনি এই নৃশংস ঘটনার সাথে বৃটিশ হামিদী, শাহবাগ, ছাত্রীসংস্থা, পুলিশকে এনে তারপর নেকাবের ওপর কেন এত চড়াও হলেন বুঝতে পারলাম না! আবার কিসের চ্যালেঞ্জও দিলেন! আপনার কাছে কোনো একটা জিনিস যেন অসহ্য মনে হচ্ছে দেখতে পেলাম! একটু খোলাসা করুন তো দেখি!
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৫:১৫
150332
অনুরণন লিখেছেন : কিছুদিন পরপর ফখরুল ভাইয়ার মাথায় মাল উঠে যায়, তখন তিনি এগুলি লিখে মাথায় উঠে যাওয়া মাল নামান। এগুলি নিয়ে দয়া করে কম্প্লেইন করে আবার মাথায় উঠার ব্যাবস্থা করবেন না দয়া করে।
বরং উৎসাহ দিন। ব্লগের আপুদের নকীব কে হেয় করে কিছু না লেখার অনুরোধ রইল।
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:২১
150334
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : জনাব । ভিশু । আমি এখন অফিসে যাবো । তাই আপনার মন্তব্যের বিস্তারিত ব্যাখ্যা এখন দিতে পারছি না ।

তবে এতটুকু বলছি :

নিকাব ও নগ্নতা দুইটাই সভ্যতার জন্য ক্ষতিকর । নিকাব মেয়েদের হীনমন্যতা বৃদ্ধি করে আর বুঝতে শেখায় : হে মেয়ে । তুমি মেয়ে হয়েছো । তোমার চেহারা পুরুষদের দেখা গুনাহের কাজ । তুমি হারাম । তুমি নিষিদ্ধ । তোমার জন্য পৃথিবীতে আদম সন্তানদের আসতে হয়েছে । (নাউজুবিল্লাহ ) ।

অপর দিকে মেয়েদের নগ্নতা ও বেহায়াপনাকে কামক্ষুধায় আক্রন্ত ও অতিষ্ঠ মহিলা কুকুরের সাথেই তুলনা করা যায় ।

আর মেয়েদের ইভটিজিং, যৌন হয়রানী, যৌন নিগ্রহ ইত্যাদি শব্দ তো মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব - কথাটাকে ভুলুন্ঠিত করে । এসব যারা করে তাদের আমি হিজড়া বানানোর পক্ষপাতি বা অপারেশন করে তাদের মেয়ে বানানোর পক্ষপাতি ।


আমার কাছে শুধুমাত্র একটা দুইটা জিনিসই অসহ্য নয় । যারা বিবেকবান ও সভ্য তাদের কাছে অনেক বিষয়ই অসহ্য মনে হবে । এই লেখার মধ্যে একটা জিনিস নিয়ে আলোচনা করা হয়নি । অনেকগুলো জিনিস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । যাদের মাথায় গিলু আছে তারা সহজেই সেসব বিষয় ধরতে পারবে । তারা শুধুমাত্র একটা বিষয়কেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসবে না ।

অফিস থেকে এসে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিবো ।
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:২২
150335
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : অনুরণন : আমি দিন-ক্ষণ হিসেব করে লেখালেখি করি না । আমি অফিসে যাবো । আপনার মন্তব্যের উত্তর অফিস হতে এসে বিস্তারিতভাবে দিবো ।
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৪৪
150358
টাংসু ফকীর লিখেছেন : ফকরুল ভাইয়ের মাল আসলেই মাথায় উঠে গেছে অনুরণন ভাই৤ নাকি কি কোন পক্ষ থেকে ভাল একটা অংকের মালের অফার পাইছে আল্লাহই ভাল জানেন৤
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
150458
ভিশু লিখেছেন : Surprised নিকাব মেয়েদের হীনমন্যতা বৃদ্ধি করে?!?!? কি বলছেন আপনি এসব? যে সমস্ত সম্ভ্রান্ত উচ্চশিক্ষিত নারীরা খুব ভালো করে জেনে-শুনে-বুঝে কোনো চাপে না পড়ে শুধুমাত্র মহান আল্লাহর জন্য নিজ উদ্যোগে তৃপ্তির সাথে নিকাব করছেন - তাঁদের অবস্থান তাহলে কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো?! এ কার সাথে কথা বলছি আমি?! আমি খুব দুঃখিত ভাইয়া? ভালো থাকুন! আল্লাহ হাফেজ...Happy Good Luck
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩৫
150692
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : @ টাংসু ফকীর : আমি কোন গোষ্ঠী-দল-মত-পথের পক্ষ হয়ে লেখালেখি করি না । আমি স্পষ্টভাবে আমার প্রোফাইলে উল্লেখ করেছি, আমি আমার ভাবনাগুলো শেয়ার করার জন্য এই ব্লগ সাইটে এসেছি ।


কোন রাজনৈতিক দল - মত ও পথের গোষ্ঠীর থেকে টাকা পেয়ে লেখালেখি করলে আমাকে চাকুরীর পেছনে ছুটতে হতো না । আর আপনার মন্তব্যের জবাব ১৪ ঘন্টা পর দেওয়ার প্রয়োজন হতো না ।

ব্লগ আর ফেসবুকে এক শ্রেণীর লোক ২৪ ঘন্টা বসে থাকে আর তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির প্রচার করে থাকে । কারণ তাদের এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অঢেল টাকা - পয়সা ও দুনিয়াবী সুযোগ সুবিধা সরবরাহ করার মাধ্যমে । যেমন : অভিজিৎ রায় , আসিফ মহিউদ্দীন, অমি রহমান পিয়াল, আরিফ জেবতিক , সৈয়দা গুলশান আরা জানা, অরিল, অন্যমনস্ক শরৎ ..... ইত্যাদি ।


আপনি যদি আমার লেখা পড়ে থাকেন, তাহলে আপনার উচিত আমার লেখার ভুলগুলো যুক্তি ও প্রমাণের মাধ্যমে খন্ডন করা ।

আপনাকে শুধু এতটুকু বলবো । দয়া করে কুরআনের এই আয়াতটা পড়ুন :
يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنُوا اجتَنِبوا كَثيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعضَ الظَّنِّ إِثمٌ ۖ وَلا تَجَسَّسوا وَلا يَغتَب بَعضُكُم بَعضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُم أَن يَأكُلَ لَحمَ أَخيهِ مَيتًا فَكَرِهتُموهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوّابٌ رَحيمٌ
[12] মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। সুরা হুজরাত : ১২ নং আয়াত ।


০১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৪৯
150710
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : @ভিশু : আপনার মন্তব্যের উত্তরে বলছি : অবশ্যই, নিকাব মেয়েদের হীনমন্যতা বৃদ্ধি করে । তাদের কাজ ও মেধা-প্রতিভা-যোগ্যতার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ।

হ্যা । কিছু সম্ভ্রান্ত উচ্চশিক্ষিত মেয়েরাও নিকাব পড়ছে । তাদের সংখ্যা খুবই কম । তবে তাদের অনেকেই কর্মক্ষেত্রে যেয়ে নিকাব পড়া ত্যাগ করেন ।

বাস্তবে নিকাব নিচের কাজগুলো করার জন্য পড়া হয় :
১.এই নেকাব অনেক অপরাধমূলক কাজ করার সহায়ক ।

২.চোরাকারবারীরা নেকাব ব্যবহার করে ।

৩.পতিতারা নিজেদের খারাপ কাজ করার সময় ধরা না পড়ে এজন্য নেকাব পড়ে রাস্তায় আর হোটেলে অবস্হান করে ।

৪.বখাটে ছেলে ও অবৈধ প্রেমিকের সাথে খারাপ কাজ করার জন্য স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদ্রাসার মেয়েরা নেকাব ব্যবহার করে ।

৫. স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদ্রাসার এমন সব মেয়ে যা সৌখিন পতিতা তারাও নেকাব পড়ে থাকেন ।এজন্য আমরা প্রায়ই এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মৌসুমে কিছু মেয়েকে নেকাব ও বোরকা পড়তে দেখি ।

৬. পরীক্ষার হলে নকল করার জন্য কিছু মেয়ে নেকাব পড়ে থাকে ।

নকল করার জন্য নেকাব পড়া মেয়েরা প্রচন্ড সুযোগ নেয় । যারা শিক্ষকরা এবিষয়টি লক্ষ্য করে থাকেন ।

৬. অনেক মেয়ে জিনা করা জন্য নেকাব ব্যবহার করে থাকে ।

http://www.youtube.com/watch?v=Vh4cLS7Ja24&feature=player_embedded

৭. ভাল পরিবারের অনেক মেয়ে বাড়ির থেকে পালিয়ে সিনেমা দেখার জন্য নেকাব পড়ে



৮. পার্কে ও হোটেলে অবৈধ প্রেম করার জন্য অনেক মেয়ে নেকাব করে ।

দয়া করে বোঝার চেষ্টা করুন ও দেখুন :

http://youtu.be/Vh4cLS7Ja24

http://youtu.be/Y4TQ24SXni4

http://youtu.be/diJb7b_84rs

৯. চুরি করার সুবিধার জন্য অনেক মেয়ে নেকাব পড়ে থাকে ।

১০. অনেক মেয়ে নিজেকে অসুন্দর মনে করে নিজেকে আড়াল করার জন্য নেকাব পড়ে ।

১১. অনেক বড় মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রব্যবসায়ী নেকাব ব্যবহার করে থাকেন ।

১২.সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নেকাব ব্যবহার করে থাকে ।

১৩.অনেক ধার্মিক লোক ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে নেকাব পড়ে থাকেন । যদিও এটা ধর্মের অবিচ্ছেদ্য বিষয় নয় ।
বিস্তারিত জানতে আমার এই লেখাগুলো পড়তে পারেন :
নিকাব সুস্হ জীবনবোধের পরিপন্হী (পর্ব : ১)

http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27911


নিকাব সুস্হ জীবনবোধের পরিপন্হী (পর্ব :২)

http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27990

নিকাব ও সুস্হ জীবনবোধ ( পর্ব : ৩ )


http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/28893

বোরকা ও নিকাব কীভাবে স্বাস্থ্যগত ও ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষতি ঢেকে আনে ? (১ম পর্ব)


http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/33215

200610
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৪১
টাংসু ফকীর লিখেছেন : আপনে যে একাধারে এত বড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, চলচিত্র নির্মাতা, ঠেলিভিশনের পরিছালক তা জানা চিলনা৤ বাপরে সবই আপনি একাই পিনিষ করতে ছান তা হলে অন্য মানুষেরা কি করবে? আবার প্রেম সম্পর্কেও লেখতে ছান বাইজান যে কোন একটা ধরে নিগূঢ় তথ্য ও তত্ত্ব নিয়ে পড়াশুনা করেন তার পরে সিদ্ধান্ত দেওয়ার সাহস করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে৤ আল্লাহ আমাদের সত্য পথে অবিচল থাকার তৌফিক দান করুন৤
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৪০
150695
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি : আমি ডাক্তার নই । আমার এক ভাই ডাক্তার ছিলেন । আল্লাহ তাকে কম বয়সে তার কাছে নিয়ে গেছেন । তবে তার বইপত্রগুলো আমার কাছে রয়েছে । প্রায়ই আমি তার বইগুলো মনযোগ দিয়ে পড়ি । আমার অনেক ছাত্র চিকিৎসাবিদ্যায় পড়াশোনা করে । প্রায়শই চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক জটিল বিষয় নিয়ে তারা আমার সাথে আলোচনা করে থাকে ।


আমার শখের শেষ নেই । তবে আল্লাহ চাহেত আমার এসব শখের মধ্যে বেশ কয়েকটাতে আমি সফলতা অর্জন করতে পারবো । কারণ আমি মনে করি, আল্লাহ আমাকে সে ধরনের যোগ্যতা ও মেধা দিয়েছেন । তাছাড়া আমি কোন বাজে নেশার সাথে যুক্ত হয়নি এবং আমার প্রতিটি ক্ষণ ও মুহুর্তকে ইতিবাচকভাবে ব্যয় করার জন্য সচেষ্ট থাকি ।

আমি যাতে ইসলাম ও মুসলিমদের সেবা করতে পারি এবং ইসলামের পথে অবিচল থাকতে পারি - এজন্য দুয়া করবেন ।
200617
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৪৯
সাফওয়ান লিখেছেন : ফখরুল ভাই, আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং অনেক ক্ষেত্রেই বিকৃত মনের লোক তা লোকজনকেও বলতে শুনেছি, অনেক লেখাতেই দেখে ধারণাও ছিলো। আমি কখনো আপনার সাথে কিছু বলতে আসিনি।

এই লেখা, তার নিচে আবার নিকাবী প্রসঙ্গ এবং একজন বোনের ছবি দিয়ে তাতে যেই ক্যাপশন দিয়েছেন -- তা কতটুকু সুস্থ লোকের কাজ তা আপনার বোঝা সম্ভব নয়। আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দান করুন। একজন নিকাবী বোনের ছবি বিনা অনুমতিতে এইভাবে পাবলিশ করা অনুচিত, সেটুকু আশা করি বুঝেন (আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনি অনুমতি নেন নাই, আপনি সেই কাজ করার মতন মানসিকতা রাখেন না, সেটাও আমার একীন)

আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দান করুন। কীবোর্ডে ঝড় তুললেই লেখা হয় না। শব্দ লেখলেই যে জ্ঞান প্রকাশ পায় না, সেইটা বুঝার তাওফিক আল্লাহ আপনাকে দান করুন। আপনার আগ্রহটা প্রশংসনীয়, আপনি অনেক কিছুই করতে চান। আপনার চিন্তা আর কাজকর্ম খুবই বিচিত্র-- সেটাও আপনার বোঝা উচিত।

কমেন্ট পছন্দ না হলে ডিলিট করে দিয়েন। আপনাকে কথাগুলো বলার ইচ্ছে পোষণ করছিলাম তাই লিখলাম। আসসালামু আলাইকুম।
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:২৬
150702
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : সাফওয়ান ভাই । ওয়া আলাইকুমুস সালাম ।
আপনি লিখেছেন : “আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং অনেক ক্ষেত্রেই বিকৃত মনের লোক তা লোকজনকেও বলতে শুনেছি, অনেক লেখাতেই দেখে ধারণাও ছিলো।“

উত্তরে বলছি : আমি আপনার এই কথার উত্তরে শুধু এতটুকু বলছি, দয়া করে কুরআনের এই দু্ইটা আয়াত ভাল করে স্বরণ করুন :
يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنُوا اجتَنِبوا كَثيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعضَ الظَّنِّ إِثمٌ ۖ وَلا تَجَسَّسوا وَلا يَغتَب بَعضُكُم بَعضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُم أَن يَأكُلَ لَحمَ أَخيهِ مَيتًا فَكَرِهتُموهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوّابٌ رَحيمٌ
[12] মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। সুরা হুজরাত : ১২ নং আয়াত ।


يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا إِن جاءَكُم فاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنوا أَن تُصيبوا قَومًا بِجَهٰلَةٍ فَتُصبِحوا عَلىٰ ما فَعَلتُم نٰدِمينَ
[6] মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও। সুরা হুজরাত : ৬ নং আয়াত ।

আপনি লিখেছেন :

আমি কখনো আপনার সাথে কিছু বলতে আসিনি।

উত্তরে বলছি : মানুষ প্রয়োজনে ও জ্ঞান অর্জনের জন্য যোগাযোগ করে । এবং এই ক্ষেত্রে যোগাযোগ করাটা দোষনীয় নয় । আপনাকে আপনি প্রয়োজন বোধ করলে আমার সাথে দেখা করতে পারেন এবং আমার সম্পর্কে সরাসরি প্রশ্ন করে জানতে পারেন । এর ফলে শোনা কথায় কান দিয়ে গুনাহের অংশীদার হওয়ার সুযোগও আপনার কমে যাবে ।


আপনি লিখেছেন :

এই লেখা, তার নিচে আবার নিকাবী প্রসঙ্গ এবং একজন বোনের ছবি দিয়ে তাতে যেই ক্যাপশন দিয়েছেন -- তা কতটুকু সুস্থ লোকের কাজ তা আপনার বোঝা সম্ভব নয়। আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দান করুন। একজন নিকাবী বোনের ছবি বিনা অনুমতিতে এইভাবে পাবলিশ করা অনুচিত, সেটুকু আশা করি বুঝেন (আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনি অনুমতি নেন নাই, আপনি সেই কাজ করার মতন মানসিকতা রাখেন না, সেটাও আমার একীন)


উত্তরে বলছি : পোস্টটা ভাল করে পড়লেই বোঝবেন আমি কেন তার ছবি দিয়েছি । আমি চাই আলোচিত ব্যক্তি এই বিষয়ে গঠণমূলক আলোচনায় অংশ নিন ।

আপনি অনুমতির প্রসঙ্গ এনেছেন । আমি বিনীতভাবে বলছি : বিনা অনুমতিতে কোন প্রসঙ্গ ছাড়াই অনেক নিকাবী অন্য মেয়েদের ছবি তাদের পোস্ট ও স্যাটাসে ব্যবহার করে থাকেন । অনেক শিবিরের নিষ্ঠাবান কর্মীও অন্য মেয়েদের ছবি ব্যবহার করে থাকে । আমার এক আত্মীয়রা ছবিও বেশ কিছু শিবির কর্মী ব্যবহার করেছিলো । এর প্রতিবাদ আমার আত্মীয়া করেছিলেন । কিন্তু তার কোন সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে তারা গালি গালাজের রাস্তাকে বেছে নেয় ।

আমি যে উদ্দেশ্যে ছবি ব্যবহার করেছি , সেই উদ্দেশ্য আংশিক সফল হয়েছে । কারণ এর মাধ্যমে আমি অনেক অজানা বিষয় ও তথ্য সংগ্রহ করতে পারবো । এর ফলে আমি নিকাব যারা পড়েন তাদের মনোজগতের অবস্হা সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার পাশাপাশি তাদের মানষিক অবস্হা সম্পর্কে জানতে পারবো । আর এভাবেই আমি উপসংহারে পৌছতে পারবো ।

আপনি লিখেছেন :

”আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দান করুন। কীবোর্ডে ঝড় তুললেই লেখা হয় না। শব্দ লেখলেই যে জ্ঞান প্রকাশ পায় না, সেইটা বুঝার তাওফিক আল্লাহ আপনাকে দান করুন। আপনার আগ্রহটা প্রশংসনীয়, আপনি অনেক কিছুই করতে চান। আপনার চিন্তা আর কাজকর্ম খুবই বিচিত্র-- সেটাও আপনার বোঝা উচিত।“

আপনার এই কথার উত্তরে বলছি :
“আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সুস্হ রাখুন এবং দ্বীনি কাজে সদাতৎপড় হওয়ার জন্য তৌফিক দান করুন ।” আমি আমার ভাবনাগুলোকে শেয়ার করার জন্য লেখা প্রকাশ করে থাকি । কীবোর্ড হলো লেখালেখির মাধ্যমে । আমি মনে করি কীবোর্ডে ঝড় তুল্লেই ভাল লেখা তৈরী না হলেও অন্তত লেখার নতুন বিষয় ও ধারণা প্রকাশ পায় । পরবর্তীতে সেগুলোই ভাল লেখা সৃষ্টি করে । এর উদাহরণ আমার নিজের মধ্যেই আছে ।


আমার শখের শেষ নেই । তবে আল্লাহ চাহেত আমার শখ এবং কাজগুলোর মধ্যে কয়েকটাতে আমি সফল হতে পারবো । কারণ আমি প্রতিটা মুহুর্ত ইতিবাচকভাবে ব্যয় করি এবং কোন বাজে নেশা আর কাজের সাথে আমি যুক্ত নই ।

আপনি লিখেছেন :

”কমেন্ট পছন্দ না হলে ডিলিট করে দিয়েন। আপনাকে কথাগুলো বলার ইচ্ছে পোষণ করছিলাম তাই লিখলাম। আসসালামু আলাইকুম।“
উত্তরে বলছি : আমি মন্তব্যে অশালীন কিছু থাকলেই ডিলিট করি । আপনি ভদ্র ও অমায়িক লোক । সুতরাং আপনি কখনোই বাজে শব্দ ব্যবহার করা তো দুরে থাক, মানুষদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা করেন বলে মনে করি না । কারণ আমি আপনার লেখাগুলো মনযোগ দিয়ে পড়ে থাকি । তবে সময় স্বল্পতার কারণে আপনার লেখাগুলো মন্তব্য খুব কম করি থাকি । আপনাকে আল্লাহ উত্তর প্রতিদান দান করুন এবং হায়াতুত তায়্যিবা দান করুন ।
200820
৩১ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:০১
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : শাহবাগে যারা মেয়েদের টিজ করল সেটা কোন দৃস্টিতে দেখবো। সেদিন গ্রিনিচ বুকে নাম লিখানোর জন্য জাতীয় সংগীতের যে আয়োজন ছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক প্রফেসরের নেতৃত্বে যাওয়া ৩৪টি মেয়ে জানে বেচে আসার করুণ দৃশ্য পড়ে আহত হয়েছি। আহত হয়েছি, সভ্যতার ধারকরা মিলে গণহারে মেয়েদের ইজ্জত নিয়ে চিনিমিনি খেলতে দেখে।
এসব কখনও দোষারোপ দিয়ে চলেনা। মানুষ শতভাগ ধর্ম মানলেও এধরনের ঘটনা ঘটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এটিকে যতটুকু রোধ করা যায় এটাই বড় বিষয়। আজ সারা দেশে সোনার ছেলেদের দিবালোকে যখন ধর্ষন সেঞ্চুরী করতে দেখি, তখন কি বলা যায়, এ দেশে কোন সরকার আছে এসব দেখার জন্য?

আপনার লিখাটিতে সমাধানের কথা আসা উচিত ছিল। ধন্যবাদ।
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৪৭
150705
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : প্রবাসী মজুমদার :
আপনার মন্তব্যের শেষের কথাগুলো হলো :

:আজ সারা দেশে সোনার ছেলেদের দিবালোকে যখন ধর্ষন সেঞ্চুরী করতে দেখি, তখন কি বলা যায়, এ দেশে কোন সরকার আছে এসব দেখার জন্য?

আপনার লিখাটিতে সমাধানের কথা আসা উচিত ছিল।“

আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি : আমি ধর্মনিরোপেক্ষবাদ, শাহবাগী নাস্তিক সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশের অস্তিত্ববিনাসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত অমুসলিম অশুভ শক্তির বিরোদ্ধে আমি বরাবরই সোচ্চার । আপনি হয়তো আমার লেখার সাথে পরিচিত নন । আমি সামহোয়ার ইন ব্লগ ও সোনার বাংলাদেশ ব্লগে এসব শক্তির অশুভ তৎপড়তা নিয়ে আমি বরাবরই লিখতাম । কিন্তু বর্তমানে এসব সাইট বন্ধ নয়তো আমাকে নাস্তিকদের তাবেদাররা ব্যান করেছে ।

আমার আজকের লেখাতে এই বিষয়ে কোন তথ্য না থাকলেও আমার ব্যক্তিগত এই ব্লগে অনেক তথ্য পাবেন : ছাত্র লীগের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ চর্চা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড : ১ম পর্ব
http://fakhrul78.blogspot.com/2012/07/blog-post_12.html

আশা করি, আমার সাথেই থাকবেন ।
০১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:২৭
150840
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ।
আমি এমনটি বুঝাতে চাইনি যেমনটি ভাবা হয়েছে। আপনার ব্লগে মন্তব্য করে এসেছি। ভাল লাগল।
201230
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমার কলিগ একজনের বর্ণনা শুনে আমি ঘটনাটি লিখছি:

মহিলারা সিড়ি কিংবা লিফট বেয়ে উঠার সময় এক প্রকার দালাল সেখানে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। হাজার মানুষের চোখের সামনে দশ, বিশ টাকা দিলে উপরে যাবার সুযোগ মিলে। সেখানে মহিলাদের এক বিরাট জটলা, সবাই উপরে উঠতে চায় কিন্তু সম্ভ্রমের ভয়ে সামনে যাচ্ছেন না। এক বয়স্ক মহিলা স্বামীর জরুরী ঔষধের জন্য নিচে গেলেন, এখন তাকে উপরে উঠতে দিবেন না। স্বামীর জন্য তাঁর উপরে উঠতেই হবে। তিনি বারবার টাকা দিতে দিতে পকেট খালি, অনুনয় করছেন কতবার দিয়েছি এইবার ফ্রি যেতে দাও।

একজন বলল পকেট খালি বুক তো আর খালি নয়। উপস্থিত অনেক মহিলার সামনে দাড়ানো যুবকেরা সেই মাযের বয়সি সেই মহিলার বুকে হাত দিল। অন্যরা এসব দেখেই উঠতে চাচ্ছেন না।

এই মেয়ের ঘটনাটি যেদিন আমি পড়ি, সেদিন আমার এই ঘটনাটি মনে পড়ে গেল, গৃহিনীকে বললাম মনে হয় মেয়েটা সঠিক করেছে। কতটুকু উত্ত্যক্ত হলে পরে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তার কথায় কোন ভয় ভীতি ছিলনা, জড়তা ছিলনা। অনেক ধন্যবাদ।
206189
১১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:২৪
আহ জীবন লিখেছেন : আপনি নিকাবি সম্প্রদায় বলে আবার ভাগ করছেন কেন হিজাবের ব্যাপারকে?
১১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৪৮
154956
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : নিকাব যারা বাধ্যতামূলক মনে করে এবং সবচেয়ে বেশী বোরকা ও নিকাবকে যারা গুরুত্বপূর্ণ মনে করে তারাই হলো নিকাবী সম্প্রদায়ভুক্ত মুসলিম । এই বিষয়টা আমার নজরে এসেছে এই লেখা দুইটা পড়ার পর : ১. http://lokmanbinyousuf.blogspot.com/2013/07/blog-post_2270.html
নেকাব একটি অপ্রয়োজনীয় বিষয়...

২. ছাত্রী সংস্থার অনেক আচরন বিকলাঙ্গ মনমানসিকতার http://lokmanbinyousuf.blogspot.com/2013/07/blog-post_6683.html

নিকাব পড়ার কোন প্রয়োজন নেই । যে বা যারা নিকাব পড়ে তাদের এটা বর্জন করার জন্য উৎসাহ-অণুপ্রেরণা দিতে হবে । মেয়েরা ১. ফুলহাতা ঢিলা কামিজ ও ঢোলা শেলোয়ার এবং চাদর জাতীয় ওড়না অথবা ২. মোটা কাপড়ের শাড়ি, ফুল হাতা ব্লাউজ ও ওড়না পড়েই ইসলামের আলোকে পোষাক পড়তে পারেন । এজন্য তাদের আর অতিরীক্ত পোষাক পড়ার প্রয়োজন নেই ।


হিজাব শব্দের অর্থ পর্দা । আর পর্দা করার জন্য বিশেষ কোন পোষাক পড়ার প্রয়োজন নেই । তবে ইদানিং হিজাব শব্দটা পশ্চিমা দেশগুলোতে হেডস্কার্ফ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ।


নিকাবী সম্প্রদায় বলে একটা স্বার্থপর দল আছে বলেই এই প্রসঙ্গ এনেছি । লোকমান বিন ইউসুপের ভাষায় বলছি :
১.চলমান নারী সমাজের সমস্যা সমাধানে তাদের ভূমিকা চোখে পড়েনা।বর্তমান সমাজের নারী নির্যাতন নিয়ে তাদের বক্তব্য নেগলেজিবল। কোন প্রতিবাদ চোখে পড়েনি । এসিড , যৌতুক সমস্যা নিয়ে তাদের প্রতিবাদী হতে দেখা যায়না।

২. নারী সমাজের কাছে সহজ করে কিভাবে ইসলামের দাওয়াত পৌছানো যায় সে ব্যপারে কোন গবেষনা নাই।
৩.ফরজ পর্দার চেয়েও নেকাবের উপর জোর বেশী দিয়েছে। বাধ্যতামূলক ড্রেসকোড তাদের নেকাব।
৪.সহনীয়ভাবে কর্মজীবী নারীর কর্মঘন্টা কত হবে ? নারী কর্মসংস্থানের ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জোরালো নয়। নারীর ক্ষমতায়নকে তারা কিভাবে দেখছে ক্লিয়ার করেনি। আপনার চিকিৎসা বিষয়ক ক্যাপাবিলিটি ইউজ করলে নেতৃত্ব হবে না সেবা হবে এ ব্যাপারে তাদের মতামত ক্লিয়ার না। কম যোগ্যতার নারী ও উচ্চশিক্ষিত নারী শুধু সন্তান লালন পালন করে বসে থাকবে? না আর কোন জায়গায় তাদের ক্যাপাবিলিটি ইউজ করে জাতির সেবা করতে পারবে কিনা তারা নারী সমাজ বা জাতির কাছে ক্লিয়ার করেনি।
৫. তারা মেয়েদের শুধু গাম্ভীর্যতা রক্ষার সবক দেয় অথচ এটি মেয়েদের জন্য ন্যাচারালী বেমানান এই জন্য যে তারা সন্তান লালন পালনের গুরুদায়িত্ব পালন করে । আর সন্তান পালনের সময় তারা হাসি , খুশি ও হালকা স্বভাবই প্রদর্শন করে শিশুকে কনভিন্স করার জন্য যা স্বাভাবিক।
৬. কঠোর ভাবে কর্মীদের নিয়ন্ত্রনই তাদের ইচ্ছা। মোটিভেটেড নয় আরোপিত ইবাদাত ই বেশী ।
৭. একজন উপযুক্ত মেয়েকে অনেকেই বিয়ের প্রস্তাব দেয় কিন্তু ছেলেদের জীবনে চাকরী হওয়া পরে এটি কদাচিৎ হয়। অথচ এই স্বাভাবিকতাতেই তারা চরম রিয়েক্ট করে।
৮. অতিরিক্ত সন্দেহ প্রবন।
৯.স্বাধীন নয় পরনির্ভর একটি সংগঠন।যাদের কোন স্বাতন্ত্র্য নেই । সিদ্ধান্ত অন্য জায়গা থেকে নাজিল হয়। তাদের আচার আচরনে বিপ্লবের গন্ধ নাই।

১০.বাস্তবতার সাথে অসামঞ্জস্যশীল অনেকগুলো অদ্ভূত আচরন তাদের মধ্যে আছে যে গুলো তারা ইসলাম মনে করছে। আনসোস্যাল নেতাকর্মীর সংগঠন ছাত্রী সংস্থা।সাধারন মানুষ ও বেশীরভাগ ইসলামিষ্ট এদের অদ্ভূত মনে করে। এরা সহানুভূতি পায় ঠিকই কিন্তু কোন দায়িত্বপূর্ন কাজের জন্য এদেরকে নির্বাচিত করতে ইসলামিষ্টরা সহ অনেকে ভয় পায়। তাবলিগ জামাত সর্ম্পকে সাধারন মানুষের যা অনুভূতি সেইম ছাত্রী সংস্থা সম্পর্কেও। ওদের কাজকর্ম দেখে বুঝা যায় না যে ওরা ইসলামী আন্দোলন করার জন্য মাঠে নেমেছে।
১১. সাধারন নারীদের আগ্রহ জন্মাতে পারে এইরকম কোন কর্মসূচী ওদের নেই।ওদের দেখলেই ছাত্রীরা পালায়। কই শিবির দেখলে তো ব্যাতিক্রম বাদে ছাত্র পালায় না।
১২. সংগঠন করাকালীন অভ্যাস হয়ে যাওয়া বসগিরি বিয়ের পরেও নাকি ওরা করতে ওস্তাদ তাই তাদের নিয়ে ইসলামী ছেলেদেরও আগ্রহ কম।
১৩.চরম গতানুগতিক একটি সংগঠন যার ৯৫% সিস্টেমের রিভাইস প্রয়োজন। Crying



নিকাবী সম্প্রদায়ের মধ্যে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান । এগুলো কোন ভাল লক্ষণ নয় ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File