বাংলাদেশে ইসলামী টিভি চ্যানেল ও পত্রিকা চালু করার কৌশল, সমস্যা ও সম্ভাবনা (১ম পর্ব )
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:৫৪:২৩ রাত
লেখার শিরোনামটা বিশেষ অনুরোধে পরিবর্তন করেছি । আগে লেখাটার শিরোনাম ছিল : পরিবারের সকলের সামনে পড়া যায় এমন পত্রিকা আমি বানাতে চাই এবং পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে দেখা যায় এমন টিভি চ্যানেল আমি বানাতে চাই (১ম পর্ব )
লেখাটা সংক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করেছি । যদিও লেখাটা অনেক বড় । তারপরও আমি মনে করি সচেতন লোক মাত্রই এই লেখাটা পড়া উচিত । লেখাটা ভাল না লাগলে আমাকে আপনারা ফেসবুকের ইনবক্সে জানাতে পারেন । ভাল লাগলে অন্তত আপনাদের অনুভতি অন্তত প্রকাশ করুন ।
পটভুমি :
যে সব কারণে এই লেখাটা লিখছি :
১. ১৭ অগাস্ট ২০১২ শুক্রবার আমার আব্বা ইত্তিকাফে মসজিদে ছিলেন । তিনি এদিনের নয়া দিগন্ত পত্রিকাটা চেয়ে ছিলেন । আমি দেইনি ।
আমি যুক্তি দেখিয়েছি : ইত্তিকাফের সময় শুধু আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকতে হবে ।
তিনি বলেছেন, "বড় হুজুর বলেছেন,যদি পত্রিকাটা ইসলামী হয়, তাহলে পড়া যাবে" ।
আমি তাকে বলেছিলাম : আপনি কোন পত্রিকাই পড়তে পারবেন না । ইত্তিকাফ শেষ করবেন, তারপর যা খুশি তাই পড়ুন ।
তিনি বল্লেন, তোমার ইসলামী বইগুলো পড়তে পড়তে অস্বস্হি বোধ করছি । এই বইগুলো তোমার মতো ছেলেদের উপযোগি ।
আমরা কি সামান্য খবরও পড়তে পারবো না ইত্তেকাফের সময় ? তোমরা আমাদের মোবাইলও নিয়ে গিয়েছো । আশে পাশে ইত্তেকাফ করতে আসা চাচ্চুরাও তা-ই বল্লেন ।
আমি তাদের উত্তরে কিছুই বল্লাম না ।
কারণ পত্রিকাটার সাতরং অংশটা সহ প্রায় প্রতিটা পৃষ্ঠাতে কম বেশী অশ্লীলতা ছিল । যা পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখা ও পড়া সম্ভব নয় ।
তার নমুনা আমি নিচে ছবির আকারে প্রদর্শন করলাম ।
২. জামায়াতে ইসলামীর কিছু বলে যাচ্ছেন তারা নাকি ১০ রেডিও-টেভিশন চালু করবেন । এই বিষয়টি আমার কাছে যুক্তি সংঘতকারণে অসম্ভব মনে হয়েছে ।
৩. ইসলামপন্হী লোকগুলো সব কিছু নিয়ে ব্যবসা করে । ধর্ম নিয়ে তো ব্যবসা তারা কম-বেশী করেনই । এমন কোন কিছুই নেই যা নিয়ে তারা ব্যবসা করেন না । তারা ব্যবসা করেন বলেই ঢাকা স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ৪০ % ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্হায় পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান । তাদের অবস্হা কখনোই খারাপের দিকে যায়নি । কিন্তু ইসলামপন্হী বলে পরিচিত লোকরা মিডিয়াকে কখনোই গুরুত্ব দেয়নি । এমন কি তারা কখনোই সংবাদ সম্বেলন করে সব মত পথের সাংবাদিকদের দাওয়াত করে এক টেবিলে বসিয়ে ভাল ভাল খাবার পরিবেশন করে আপ্যায়ন করেননি । অথচ তারা খাবারের পেছনে অনেক টাকা ব্যয় করেন । ইসলামে ইফতার মাহফিলকে অগ্রহণযোগ্য বলে থাকলেও তারা এর পেছনে অনেক টাকা ব্যয় করেন ।
তারা জায়গা-জমির ব্যবস্যা করেন । বিশ্ববিদ্যালয় বানান যাতে ইসলামবিরোধী লোকদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন এবং অকল্পনীয় অর্থ তারা উপার্জন করেন । কিন্তু তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশ স্টাডিজ, ফ্লিম এন্ড মিডিয়া, ভিউজুয়াল মিডিয়া, গ্রাফিক্স এন্ড এনিমেশন, কমিউনিকেশন ম্যানেজম্যান নামক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ খুলেন না । তারা ফামের্সী, বিবিএ, কমিউটার সাইন্স, বাংলা সাহিত্য, ইংরেজী সাহিত্য, ইসলামিক স্টাডিজ- এর মতো বাজারমূল্য বেশী এমন সব বিষয় পড়াচ্ছেন । তারা সৃজনশীলতার সাথে সম্পৃত্ত কোন বিষয়ের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না ।
এসব বিষয়ের কারণ অনুসন্ধান করতে যেয়ে আমি বুঝতে পারলাম : এই ব্যাপারে আমাকেই উদ্যোগ নিতে হবে বা এই বিষয়ে আমাকেই জনমত গঠণ করতে হবে । কারণ কথায় আছে না : যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে ।
আসলে বাস্তবতা হলো : কোন লোকের কঠিন বিষয় যখন সফল হতে শুরু করে তখন সেই উদ্যোগে সবাই শামিল হতে আগ্রহ পোষণ করে । এমন কি অনেকেই এই উদ্যোগের কৃতিত্বের অন্যতম অংশীদার দাবি করে ।
সূচনা :
১৭ অগাস্ট ২০১২ শুক্রবার তারিখের নয়া দিগন্ত পত্রিকাটা সকাল বেলায় দেখে আমার মন খারাপ হয়ে গেলো । কারণ এই পত্রিকাটার গ্রাহক ইসলামপন্হীরা । অথচ এই পত্রিকা জন্মলগ্ন হতে ইসলামী ফ্যাশনকে গুরুত্ব দেয়নি । আপনারা যদি আজকের নয়াদিগন্তের সাতরঙ দেখেন, তাহলে আপনারাও আমার সাথে একমত হবেন ।
আমার অভিমত, এই পত্রিকায় যেসব ছবি আছে সেসব ছবি দেখে একটা হিজাবি মেয়ের মনেও আধ একটু বেআব্রু হওয়ার ইচ্ছা জাগবে ।
কারণ ইসলাম সম্পর্ক কম জানা লোকরা বা সাধারণ লোকরা এসব ছবি দেখে বিভ্রান্ত হয় এবং ভাবে মা, বোন, স্ত্রী , মেয়েরাও এভাবে সাজবে বা এভাবেই পোষাক পড়বে । কারণ নয়া দিগন্তের মতো পত্রিকাও এধরণের সাজ পোষাককে গুরুত্ব দেয় ।
অনেকে বলে থাকবেন :
১.নিজেদের নিরপেক্ষ প্রমাণ করার জন্য নযাদিগন্ত এইসব করছে।
২.পাঠক বৃদ্ধির জন্য নযাদিগন্ত এইসব করছে ।
৩.এসবই আমাদের ঐতিহ্য-কৃষ্টি-সংস্কৃতি ।
আমার অভিমত:
১.আপনারা দেখে থাকবেন ইসলাম নিয়ে অসাধারণ লেখাগুলো সেখানে প্রকাশ কমই হয় ।
২. বেশ কিছু পাতায় আগডুম বাগডুম টাইপ লেখা নিয়মিত ছাপা হয় যাতে বিন্দুমাত্র শিক্ষণীয় বিষয় থাকে না । এসব লেখা খুবই হাস্যকর । আর এগুলো লেখেও ইসলামবিরোধীরা । এখানে তারা হাত পাকিয়ে পরে অন্য ইসরামবিরোধী পত্রিকায় লেখে ।
৩.বিভিন্ন মিডিয়া যেমন: চ্যানেল আলো, প্রথম আলো, সামু ইত্যাদি তো দেখি না নিজেদের আদর্শ অর্থাৎ আধুনিকতার নামে নগ্নতা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, ইসলামবিরোধীতা ও অমুসলিমপ্রভাবাধীন পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ তোষণ নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগে না ।
তাহলে কেন ইসলামপন্হী বলে পরিচিত মিডিয়া হীনমন্যতায় ভুগবে বা নিজেদের আদর্শ প্রচার করতে ভয় পাবে?
ইসলাম পছন্দ বলে পরিচিত মিডিয়া সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা :
এক দল ধর্ম ব্যবসায়ী দ্বারা পরিচালিত দৈনিক ইনকিলাব নামক ইসলাম পছন্দ বলে পরিচিত পত্রিকা প্রথমে এধরণের আজে বাজে মেয়েদের ছবি দিতো না । তাদের ভালই সার্কুলেশন ছিল ।
পরে যখন জনকন্ঠ আসলো, তখন তিনজন ভারতের চর পরামর্শ দিলো সাকুলেশন টিকেয়ে রাখতে হলে এবং আরো পাঠক টানতে হলে নিন্মোক্ত কাজ করতে হবে । কাজগুলো হলো :
১. আজে বাজে মেয়েদের ছবি দিতে হবে । প্রয়োজনে উপরে এক চিলতে কাপড় আর নিচে যৎসামন্য কাপড় পড়া মেয়েদের ছবিওয়ালা বিজ্ঞাপন দিতে হবে । দেওয়া হয়েছেও । আমার মতো সিরিয়াস পাঠক এই পত্রিকাতে যেয়ে প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও দেওয়া অব্যহত ছিল ।
২.প্রয়োজনে ইসলামবিরোধীদের পণ্য সামগ্রীর বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে । আমার মতো সিরিয়াস পাঠকএই পত্রিকাতে যেয়ে প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও দেওয়া অব্যহত ছিল ।
৩.প্রয়োজনে মদের বিজ্ঞাপনও দিতে হবে । দেওয়া হয়েছেও ।আমার মতো সিরিয়াস পাঠক যেয়ে এই পত্রিকাতে প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও দেওয়া অব্যহত ছিল ।
৪. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো ইসলামবিরোধী ভারতীয় লেখকদের লেখা বিভিন্ন সময় ছাপতে হবে । তাদের সাক্ষাৎকারও গুরুত্ব সহকারের ছাপতে হবে । আর আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সরাসরি সম্পর্ক রাখে বা ইসরাইল সমর্থক ইহুদী নিয়ন্তনাধীন পেন নামক লেখক সংগঠণের সদস্যদের লেখা ছাপতে হবে বা তাকে পীরের মর্যাদায় নিয়ে যেতে হবে । যেমন : সৈয়দ আলী আহসান ।
৫. নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা নামধারী কিছু অপবিত্র লোকদের সাক্ষাৎকার ও তাদের অপবিত্র জীবন যাপনের বিষয়গুলো নিয়মিত প্রকাশ করার জন্য বিনোদন ও বিনোদন প্রতিদিন নামক দুইটা পৃষ্ঠা চালূ করতে হবে ।
৬. আদিগন্ত নামক পৃষ্ঠা খুলতে হবে যাতে ইসলামবিরোধী বু্দ্ধিজীবিরা লিখবে এবং মাঝে মধ্যে ড. আব্দুর রব-সহ বেশ কিছু ইসলামপন্হী বুদ্ধিজীবির লেখাও নামকাওয়াস্তে ছাপা হবে ।
৭. এমন সব তথ্য দিতে হবে যা দিলে পত্রিকার প্রতি মানুষের মনোযোগ বেড়ে যায় । যেমন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের যোগাযোগ নামক জার্নালের গবেষণা মতে আগে ধর্ষণের খবর ছাপাতে প্রথম ছিল জনকণ্ঠ এবং ২য় ইনকিলাব । তবে জনকণ্ঠ এক্ষেত্রে একটু ভদ্র ছিল । কারণ ধর্ষিতার ছবি ছাপতো না । এবং ক্ষেত্রবিশেষে ধর্ষকের ছবি ছাপতো । কিন্তু ইনকিলাব প্রায়ই এর ব্যতিক্রম করতো ।
দেখুন, ইনকিলাবের আজ কি অবস্হা ? ওখানে তো আলেমরাই হর্তা-কর্তা ছিলেন ।
আলেমরা মেয়েদের প্রচলিত পোষাককে ইসলামীকরণ করতে পারতেন :
আলেমরা চাইলে ইনকিলাবে ইসলামী সংস্কৃতি নির্ভর মেয়েদের পোষাককে জনপ্রিয় করতে পারতেন । কিন্তু তাদের মধ্যে ছিল হীনমন্যতাবোধ আর কৌশলের অভাব । ইনকিলাব পত্রিকার মালিক মাওলানা মান্নানের (মাদ্রাসার হুজররা এটার মালিক নন ) এই পত্রিকার মালিকের ছেলের জুতার ব্যবসা ছিল বা আছে । কিন্তু তার ফ্যাশন হাউজের ব্যবসা ছিল না । তিনি চাইলে ফ্যাশন হাউজের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামী ফ্যাশনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারতেন । কিন্তু তিনি তা করেননি ।
বেশ কিছু হুজুর শাড়ীর ব্যবসা করেন । তাদের ফ্যাক্টরীর বানানো শাড়ীগুলো ভীষণ পাতলা । উপরন্তু তারা পীর । আবার মাঝে মধ্যে মাদ্রাসাতেও তারা পড়ান । তারা "আদর্শ নারী" নামক ম্যাগাজিন একটা শাড়ী বিক্রি করার সময় মেয়েদের বিনা পয়সায় দিচ্ছেন । যেসব মেয়ে শাড়ীর সাথে "আদর্শ নারী" ম্যাগাজিনটা পাচ্ছেন, তারা ইসলাম সম্পর্কে কি সঠিক শিক্ষা পেলো ? ( মেয়েরা শিক্ষা পেলো পাতলা কাপড়ের শাড়ি পড়া জায়েজ । নাউজুবিল্লাহ )
যদি এসব হুজুর ঢোলা শেলোয়ার , ফুলহাতা কামিজ এবং মোটা কাপড়ের ওড়নার সাথে”ইসলামী নারী “ ম্যাগাজিনটা মেয়েদের দিতেন আর তার সাথে হিজাবের গুরুত্ব ও মেয়েদের ইসলামী পোষাক শিরোনামের দুইটা পুস্তিকা দিতেন, তাহলে এসব মেয়ে ইসলাম সম্পর্কে ভালভাবে শিখতে ও জানতে পারতো
ইসলামী নিয়ম মেনে শাড়ি পড়ার দু্ইটা পদ্ধতি
আমাদের পরিবারের সকলের সামনে পড়া যায় এমন পত্রিকা চালু করতে হবে :
বর্তমান অবস্হা খুবই নাজুক । আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও জীবনবোধ উপেক্ষিত । এজন্য আমাদের আলাদা মিডিয়া বানাতে হবে । আমরা ক্ষুদ্র থেকে শুরু করবো । তারপরও আমরা ইসলামী সংস্কৃতির বিরোদ্ধে আপোষ করবো না । আমরা আমাদের জীবনবোধ ও সংস্কৃতির ব্যাপারে আপোষ করবো না । আমরা অশালীন ও সামান্যত হলে অশালীনতা প্রকাশ পায় এমন ছবি আমরা মিডিয়াতে কোনক্রমেই প্রকাশ করবো না । আমরা বিজাতীয় সংস্কৃতি ও ফ্যাশন কোন ক্রমেই জনপ্রিয় করার দিকে মননিবেশ করবো না । ইসলামবিরোধীদের পন্য প্রচার করবো না ।
ইসলামী বলে পরিচিত মিডিয়াগুলোর বাজে অবস্হা কেন ? :
নয়া দিগন্তের কিছু নীতি নির্ধারণী উচ্চপদে ইসলামী আদর্শের জনবল থাকলেও অন্যান্য পদে অধিকাংশই চালাতে হচ্ছে বাম তথা আওয়ামীপন্থীদের মাধ্যমে। পত্রিকাটির ফিচার চিফ থেকে শুরু করে অধিকাংশই জনকন্ঠ থেকে আসা। তাদের কাছ থেকে কি আশা করতে পারেন ? লেবু গাছের কাছে কি আম আশা করা যায় ? কয়জন ইসলামপন্থী তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে মিডিয়াকে বেছে নিয়েছেন ? মিডিয়ার ওপরে কোন কর্মশালা আয়োজন করা হলে শিবিরের লক্ষ লক্ষ জনশক্তি থেকে হাতে গোনা ২০ জনও জোগার করা কঠিন হয়ে পড়ে ! আসল সমস্যা নয়া দিগন্তের নয়, সমস্যা ইসলামপন্থীদের মধ্যে যোগ্যতার অভাব।
বাংলাদেশের ইসলামপন্থী মিডিয়াকর্মীর সংখ্যা কম কেন? :
বাংলাদেশের ইসলামপন্থীর তারা দুনিয়াবী চিন্তা করে । ১৯৯৭ সালে ঢা.বি-র গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হওয়া ছেলেদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ টা ছেলে ছিল ইসলামী ভাবাপন্ন । তারা কেহই অনিশ্চয়তা আর আতংকের জগৎ মিডিয়াতে যায়নি । তার বদলে তারা ব্যাংক আর বিসিএস প্রশাসনকে বেছে নিয়েছে । তাদের একজনের মত, পড়াশোনা করেছি সমৃদ্ধশালী ও সুখী জীবন যাপন করার জন্য । আর এদের একজন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হয়েছেন ।
তাহলে আপনি ইসলামপন্থী মিডিয়াকর্মী পাবেন কীভাবে ? ইসলামপন্হীদের নেতারা মিডিয়ার গুরুত্ব বোঝেন না । সুতরাং এমনই চলতে থাকবে, যতক্ষণ না আমরা নিজেরা বা ইসলাম পছন্দ লোকরা সতর্ক বা সচেতন না হবো ।
নয়া দিগন্তের কিছু নীতি নির্ধারণী উচ্চপদে ইসলামী আদর্শের জনবল থাকলেও অন্যান্য পদে অধিকাংশই চালাতে হচ্ছে বাম তথা আওয়ামীপন্থীদের মাধ্যমে। এই যদি ইসলামপন্হীদের একটা পত্রিকার চিত্র হয়, তাহলে বলবো বাংলাদেশে এসব ইসলামপন্হী সংগঠণের কোন প্রয়োজন নেই । এসব সংগঠণ বিলীন হলে অন্য কোন সংগঠণ আসবে । প্রকৃতিতে কোন কিছুই খালি থাকে না। কেহই অপরিহার্য নয়। শূণ্যতা পূরণ হয়ই। হয়ত ভাল কিছুই আসবে। নয়তো খারাপ কিছু আসবে, যদি আমরা সচেতন ও যোগ্য না হই।"
কেন ইসলামপন্থীরা ক্যারিয়ার হিসেবে মিডিয়াকে বেছে নিয়েছে না ? :
কারণ অনেক । যেমন :
১. ৭ হাজার টাকা বেতনের কথা শুনলে কেহই আসবে না, তিনটা ছাত্র পড়ালে এই ঢাকা শহরে নয় হাজার টাকা পাওয়া যায় ।
২. যেই ছেলেটা ডিগ্রী পাশ করে দুইটা বিখ্যাত লোকের স্বাক্ষরের জোড়ে খুব সহজেই ইসলামী ব্যাংকে চাকুরী পেয়ে যায়, তার কাছে আতংক, অনিচ্চয়তা জগৎ আর অগাদ পড়াশোনার বা জানা-শোনার স্হান মিডিয়া তার কাছে কঠিন জায়গা । এসব ছেলেদের এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে, "আরে বাপু। আধ একটু মিছিল মিটিং কর, মাঝে মধ্যে জেলে যাও । তারপর তোমার জন্য তো আরামের চাকুরী তো আছেই । তার বিয়ের ব্যবস্হা তো আমরাই করবো ।" আর বিশেষ কিছু বল্লাম না ।
৩. আদর্শ প্রচারের জন্য মিডিয়া একটা বড় বিষয় এজিনিসটা আপনার আলোচিত লোকরা বুঝেন না । আপনি ছাত্রসংবাদ আর শিবির লিখে সার্চ দেন । কি পান দেখেন? অথচ বিদেশে ইসলামে কীভাবে নিয়ে আসতে হবে এনিয়ে অনেক দেশের পাড়ায় মহল্লায় সংগঠণ আর ওয়েব সাইট আর ম্যাগাজিনের কারখানা । আমাদের এখানে দেখবেন, কত সহজে সাথী সদস্য হওয়া যায় আর কীভাবে নিকাব পড়া ও কালো বোরকা পড়া সতী-স্বাধ্বী সুশ্রী লম্বা চুলওয়ালা চোখে মাশকারা লাগানো জামায়াতী মেয়ে বিয়ে করা যায় । তার তালিম চলছে । এসবের জন্য কোন পড়াশোনারও এখন প্রয়োজন নেই । এখন শুধু তেল মারার যুগ চলছে । বেশ কিছু হুজুরকে তেল মেরে যাও । আর ইসলামের বিপ্লবের মিথ্যা স্বপ্ন দেখো । এসবই এখন চলছে ।
৪. গণমাধ্যমে ইসকন, আনন্দমার্গ, বজরং, জাগরনী সেনা, দুর্গা বাহিনী, বঙ্গসেনার লোকরা ঢুকে পড়েছে । বলা বাহুল্য এরা সবাই হিন্দুই না বিজেপি- র মতো মুসলিম নিধনে বিশ্বাসী । আমি এদের দুই-একটাকে কাছ থেকে দেখেছি । এরা মিডিয়ার চাকরীটাকে একটা যুদ্ধ হিসেবে নিয়েছে । আর দেখুন, আপনার আলোচিত ছেলেদের কাছে যু্দ্ধের বিপরীতে লাঠিয়াল বাহিনী সাজার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে । কিছু বল্লে বলে, আমরা জিহাদ করছি । আরে জিহাদ অর্থ জোড় প্রচেষ্টা । ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য যে সব কাজ করবি, তাই জিহাদ । জিহাদ মানে কি লাঠিয়াল হওয়া, পড়া বাদ দিয়ে নোট মুখস্হ করে পরীক্ষা দেওয়া আর কিছু গৎবাধা স্লোগান আওড়ানো ।
পত্রিকা ও টেলিভিশনগুলো কেমন হওয়া উচিত :
শিক্ষা ও বিনোদনের সাথে সাথে টিভি চ্যানেল ও পত্রিকা জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হওয়া উচিত । যেসব জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিষয়ে ইসলামের সম্পৃত্তা নেই সে ক্ষেত্রে তারা Islamization of knowledge -এর আশ্রয় নিবে । কিন্তু তা না করে বর্তমান মিডিয়াগুলো যা করছে তা বড় ধরণের অপরাদ ।
ইসলামী মিডিয়াগুলো কি করবে ?:
বর্তমানে ইসলামী লোকদের দ্বারা পরিচালিত মিডিয়াগুলো সামান্য হলেও হীনমন্যতায় আক্রান্ত । আলোচিত নয়া দিগন্তের সাত রং কি পড়তো না এসব মেয়েদের সাথে দুই একটা হিজাবী মেয়েদের ছবি দিতে ? আমাদর হিজাবী মেযেরা কি সাজ-গোজ করবে না এবারের ঈদে ? আমরা ছেলেরাও কি সাজ-গোজ করবো না ?
এসব তারা করছে হীনমন্যতার কারণেই না, বরং তাদের ইসলাম সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতা আছে ।
তারা বিজাতীয় সভ্যতার মধ্যে সম্মান খুঁজছে, অথচ সম্মান তো রয়েছে কেবল মাত্র মহান আল্লাহর হাতে।
এজন্য অনেক ইসলামপন্হী অনেক সময় ইচ্ছা থাকলেও ঐ পত্রিকাটা কিনে না, কারণ, ঐ তা নিয়ে পরিবারের সকলের সামনে খোলা যায় না।
I am so optimistic. Because:
1. Islamic people like a newspaper without vulgarism, nudity and rough models.
2. Women of Bangladesh are fond of ornaments and dress up. But they are modest and caring. They do not like vulgarism.
For this reason, Islamic newspapers and magazines will begin popularity. Such as: Mahjuba (Iran), Ala (Turkey), Hijabistiya (Indonesia).
But we have to do more field work in all areas for these kinds of areas. We have to go to Alims of Madrasha, universities and mosques. We boldly express about these are free from vulgarism, nudity and rough models. And some of the periodicals are free from pictures.
Few years ago, I operate a feasibility work for this work. The result was positive. So I am optimistic.
কীভাবে ইসলামপন্হীরা মিডিয়ার ক্ষেত্রে স্হান করে নিতে পারবে :
সাতরং অংশ-টার যে সব ছবি আমি দিলাম , প্রত্যেকটা ফ্যাশন হাউজের মালিক ছাত্র ইউনিয়ন আর ছাত্র লীগের ছেলে-মেয়েরা । এরা ব্লক বাটিকের কাজ শিখেই ছাত্র জীবনে আয় রোজগার শুরু করেছে । অনেকে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়েছে বা ফ্যাশন হাউজে কাজ করেছেন ।
আলোচিত ইসলামী ছাত্র সংগঠনের ছেলে-মেয়েদের ফ্যাশন হাউজের বিজ্ঞাপনও দিতে পারতেন এই সাতরঙ-এ । আমার প্রশ্ন হলো : জামায়াতের লোকদের মেয়েরা কি কালো বোরকা আর মুখ ঢাকার জন্য নিকাব পড়েই থাকে ?
তারা কি বাড়িতেও কি অন্য পোষাক পড়েন না ?
তাদেরও কি সাজগোজের প্রয়োজন হয় না ?
সাজগোজ করা কি হারাম ?
আপনারা কি জামা কাপড় পড়েন না ?
কিছু দিন আগে আপনারা হাসপাতাল বানানোর ব্যবসা করতেন । সহজ কথায় চিকিৎসা নিয়ে ব্যবসা । এখন শুরু করেছেন, জায়গা জমির ব্যবসা । আপনারা এখন জায়গা জমির ব্যবসা বাদ দিয়ে বেশী করে ফ্যাশন হাউজ বানান ।
কি একটা সিলেবাস বানিয়েছেন ! তা নিয়ে নাড়াচাড়া কম করে প্যাক্টিক্যাল হোন । আল্লাহর রাসুল (সা.) এবং তার সাহাবী(রা.) -রা ছিলেন প্রাক্টিক্যাল । তারা এসব বইপত্র নিয়ে চলা-ফেরা করেন নাই । আর যাদের পড়াশোনার দরকার হতো, তাদের একজনই ছয় মাসের মধ্যেই ছয়-সাতটা ভাষা শিখে ফেলতেন । মিসরের রাষ্ট্রদুত হযরত হাতিব বিন আবী বিলতায় (রা.) তার নিজের প্রয়েজনেই ৪-৫টা ভাষা শিখেছেন । তার জন্য আল্লাহর নবী আলাদা সিলেবাস বানিয়ে দেননি ।
আমি আমার বাবাকে মসজিদে ইত্তিকাফ অবস্হায় একটা ইসলামী দৈনিক পত্রিকা দিতে পারি নাই । সব হুজুর বলেছেন, ইত্তেকাফ করার সময় পত্রিকা পড়া যাবে, তবে তা ইসলামী পত্রিকা হতে হবে ।
আগে ইসলামী জনতার প্রয়োজন বুঝতে শিখেন ।
তারপর ইসলামী বিপ্লবের স্লোগান ধরেন । সবাই শুনবে ।
আমি পরনিন্দা আর পরচর্চায় বিশ্বাসী নই । গঠণমুলক সমালোচনায় বিশ্বাসী । গঠণমুলক সমালোচনা গ্রহণ করে এগিয়ে গেলেই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া যাবে ।
আমার মতে ইসলামী দলের নিষ্ঠাবান কর্মী হওয়াটা গর্বের বিষয়ই না, বরং জান্নাতে যাওয়ার অন্যতম পথ । কিন্তু দুনিয়াবী সুবিধা আদায়ের জন্য ইসলামী দলভুক্ত হওয়া অবশ্যই নিন্দনীয় এবং এতে ইসলামী সংগঠণগুলোর কোন উপকার তো দুরে থাক, বরং এতে মুসলিম সমাজেরই ক্ষতি হয় ।
(আমি এই ছবি দেওয়ার জন্য দু:ক্ষিত । আশা করি ছবির সাথে সম্পৃত্ত সবাই আমার এই বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । ছবিটার একটা বড় ধরনের তাৎপর্য আছে বলেই দিয়েছি । যদি কেহ আপত্তি করেন এবং যুক্তিসংঘত কারণ দেখান তাহলে ছবিটা মুছে দেওয়া হবে । )
ইসলামী আদর্শের লোক দিয়েও যদি ইসলামী মিডিয়া পরিচালনা করতে হয়, তাহলে ইসলামী লোকদের মিডিয়া সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে । আর এজন্য ইসলামী লোকদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন স্টাডিজ, ফ্লিম এন্ড মিডিয়া এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা চালু করতে হবে এবং এগুলোতে ইসলামী ছাত্রদের পড়ার সুযোগ করে দিতে হবে । তারপর নতুন ইসলামী চ্যানেল বানালে তা টিকে থাকবে । আর নিকাবকে বাদ দিতে হবে । কারণ নিকাবের ব্যবহার করে মিডিয়ায় কাজ করা যায় না ।
জামায়াতের ধর্মব্যবসায়ীরা ১৫ টা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় চালায় । সেগুলোতে বাংলা সাহিত্য এবং ইসলামিক স্টাডিজ পড়ানো হলেও মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন স্টাডিজ, ফ্লিম এন্ড মিডিয়া এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা পড়ানো হয় না । কারণ তাদের মতে এসব পড়ানো কুফরী । যেমন : কামালুদ্দীন জাফরীর পরিচালনাধীন অথবা আংশিক শেয়ার দ্বারা পরিচালিত গ্রীন ইউনিভার্সিটি । অবশ্য তার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞাপনটাই কুফরীতে পরিপূর্ণ ।
আন্তজার্তিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম আর বাংলাদেশ ইসলামী ইউনিভার্সিটি-র ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য ।
নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় আর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া কিছু নয় ।
আপনি যে বলেছেন টিভি খুলবে । চালাবে কি প্রথম আলো আর জনকন্ঠের লোকরা । দিগন্তের প্রায় সব লোকই তো জনকন্ঠ হতে এসেছে ।
মিডিয়াতে বামপন্হীদের অবস্হা কেমন ? :
বামদের অবস্হা আগের চেয়ে অনেক ভাল । তারা সব জায়গায় আছে । বিএনপি-র শীর্ষ নেতাদের অধিকাংশই বাম ব্যাকগ্রাউন্ডের । শিক্ষামন্ত্রী পর্যন্ত বাম ব্যাকগ্রাউন্ডের ।পত্রিকার অধিকাংশ ভাল সাংবাদিকই বাম ব্যাকগ্রাউন্ডের ।বেশীর ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাল শিক্ষকরাও পর্যন্ত বাম ব্যাকগ্রাউন্ডের । তারা শুধু বাম ব্যাকগ্রাউন্ডেরই না, তারা প্রচন্ড পড়াশোনা করা লোক এবং ঠান্ডা মাথায় সব কিছু করেন ।
শাহ আব্দুল হান্নান স্যারদের মতো মূল সংগঠনের ভেতরে থেকেই ধীরে ধীরে করার প্রসঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি । কারণ আমাদের সব কিছু বাংলাদেশের মতো করেই দেখতে হবে । মাঠ পর্যায়ের লোকদের নিয়ে কাজ করতে হবে ।পাঠচক্র আর শুধু বই পড়ে এযুগে বিপ্লবাত্মক কিছু করা যায় না ।
প্রথম আলোর নাস্তিক সম্পাদক "মতিউর রহমান"দের মৃত্যুর পরে মতিউর রহমানের চেয়ে ভয়ানক কিছু উপস্হিত হবে ।
তাদের নিয়মিত নার্সিং করা হচ্ছে । পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে । যেমন : আশিফ মহিউদ্দীন......... অমি রহমান পিয়াল ওরফে চটি পিয়াল
মিডিয়ায় ফেসভেলুর গুরুত্ব :
এখানে নয়া দিগন্তের কথা এসেছে । আমাদের এলাকায় যারা নয়া দিগন্ত রাখে তারা বেশীরভাগই ধর্মীয় ব্যাকগ্রাউন্ডের । সুতরাং তাদের চাওয়া পাওয়াকে গুরুত্ব দিতে হবে । আমাদের এখানে একে বারে সাধারন লোকরা প্রথমআলো, বাংলাদেশ প্রতি দিন আর যুগান্তর পড়ে । আর ছাত্ররা ইত্তেফাক কিনে ।
আমি মনে করি, নয়া দিগন্তের বা ইসলামপন্হীদের মালিকানাধীন মিডিয়াগুলোর জড়িপ চালানো উচিত তাদের বর্তমান পাঠকরা কোন শ্রেণীর এবং তারা নয়া দিগন্ত হতে কি চায় ?
অনেকে বলেন :
যে কোন কিছুতে face value এর একটা ব্যাপার আছে । আর মিডিয়ার প্রসারই হয় face এর উপর depend করে । যারা যত আকর্ষনীয় face নিয়ে আসতে পারবে তাদের কাটতি তত বেশী । এবং এজন্য এই face ধারীদের demand সব সময়েই বেশী আর ঈদের সময় তো কথাই নেই । আর যারা অন্তত ঈদের এই প্রাক্কালে face valueএর মাজেজা বুঝতে পারলো না তারা ব্যবসায় মার খেতে থাকে । পরে ২ টাকার রগরগে পত্রিকাতে পরিনত হয় । বর্তমানে মিডিয়ার ব্যবসা খুব প্রতিযোগিতা সম্পন্ন এবং এর costing ও খুব বেশী । তাই সব পত্রিকাকেই বিজ্ঞাপনের ট্রেন ধরতে হয়, না হলে তাকে পিছিয়েই থাকতে হবে । আর বিজ্ঞাপন মানেই চমতকার চমতকার সব face এর সমাহার ।
মানুষ সুন্দর সুন্দর চেহারা ,জিনিস দেখতে পছন্দ করে । যেসব পত্রিকা বা মিডিয়া এটা বুঝতে পারে ধরে নিবেন টিকে থাকার জন্য তাদের রসদ তারা পেয়ে গেছে , এখন শুধু জায়গা মত apply করলেই হয় ।
একবিংশ শতকে এসে আমরা যদি এখনও এগুলো নিয়ে রক্ষণশীল মনোভাব দেখাই তাহলে আমরা কিভাবে নিজেদের সভ্য হয়েছি বলবো আর কিভাবেই বা নিজেদের আধুনিকতার শিখরে নিয়ে যেতে পারবো ? “
এই কথার সাথে আমি একমত নই । কারণ :
১. মিডিয়ার প্রসারই হয় face এর উপর depend করে নয় । সার্কুলেশনের উপর নির্ভর করে । সাকুলেশন সৃষ্টি করার বিষয় । face value দিয়ে সার্কুলেশণ হয় না । face value দিয়ে Playboy এর মতো কিছু সৃষ্টি করা যায় ।
২. আকর্ষনীয় face ধারীদের demand সব সময়েই বেশী আর ঈদের সময় তো কথাই নেই । আপনি আংশিক সঠিক বলেছেন ।আকর্ষনীয় face নাম করে ইসলামের আদর্শ Mahjuba (Iran), Ala (Turkey), Hijabistiya (Indonesia) বিসর্জন দেয়নি ।
৩. বর্তমানে মিডিয়ার ব্যবসা খুব প্রতিযোগিতা সম্পন্ন এবং এর costing ও খুব বেশী ।
কারণ সত্যিকার মিডিয়া কিন্তু নেই । এখানে মালিকরা জায়গা জমি আর নিজেদের কাজ কারবারকে জায়েজ করার জন্য পত্রিকা আর টিভি চ্যানেলের মালিক হয় । সুতরাং গ্রামার মেনে যেসব পত্রিকা চলবে তারা পিছিয়ে পড়বে । তবে বিলীন হয়ে যাবে না । আচ্ছা বলুন জনকন্ঠ, ইনকিলাব, ভোরের কাগজের সার্কুলেশণ এখন কোথায় গেলো ? উত্তর খোজার চেষ্টা করেন । উত্তর পাবেন ।
৪. বিজ্ঞাপন মানেই চমতকার চমৎকার সব face এর সমাহার । এটা গতানুগতিক ধারনা । নেভিয়ার বেশ কিছু এড আছে কোন মডেল বা মানুষ ছাড়াই । ভাবা যায় শরীর রং ফর্সা করা ক্রীমের এডে কোন মানুষ নেই ।
৫.মানুষ সুন্দর সুন্দর চেহারা ,জিনিস দেখতে পছন্দ করে । ঠিক আছ । A Thing of beauty is joy forever তো কবি এমনি এমনি বলেননি । তবে এজন্য তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়ার অনেক পত্রিকা ইসলামী নীতিমালা বাদ দেয়নি ।
৬. একবিংশ শতকে এসে আমরা যদি এখনও এগুলো নিয়ে রক্ষণশীল মনোভাব দেখাই তাহলে আমরা কিভাবে নিজেদের সভ্য হয়েছি বলবো আর কিভাবেই বা নিজেদের আধুনিকতার শিখরে নিয়ে যেতে পারবো ?
উত্তর : ইসলাম সভ্যতাকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলে । ইসলাম উন্নায়ন ও অগ্রগতির বাধা নয় । রাসুল (সা.) এবং তার সাহাবীরা (রা.) ছিলেন আধুনিক এবং তারা তাদের সময়কে অস্বীকার করেননি । তারা আমাদের বলে গেছেন বা নীতিমালা দিয়ে গেছেন কীভাবে ইসলামের আলোকে সাতরঙ ডিজাইন করতে হয় আর পত্রিকায় লিখতে হয় ।
বর্তমানে মিডিয়াগুলো কেমন ?:
১. জায়গা জমি আর নিজেদের কাজ কারবারকে জায়েজ করার জন্য পত্রিকা আর টিভি চ্যানেলের মালিক হয় ।
আমার কথা কি ভুল ? আপনি পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় কি দেখেন কি পিংক সিটি জঙ্গীদের আস্তানা শিরোনামের খবর । অথচ বিষয়টা সম্পূর্ণ ভিন্ন । আমরা পাঠকরা কি মালিকদের জায়গা জমির ঝগড়া বিবাদ দেখার জন্য পত্রিকা কিনি । আর এসব খবর কি প্রথম পৃষ্ঠায় আসার মতো খবর ?
এধরনের খবর দেওয়া কি সত্যিকার মিডিয়ার কাজ ?
২. জনকন্ঠ ও ইনকিলাব -এর সার্কুলেশন এখন কোথায় পৌছেছে । ইনিকিলাব বিএনপি এখন ক্ষমতায় থাকলে নিলামে উঠতো । আর মসজিদে গাউসুল আজম তার ইনকিলাবের ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাছ হতে হাত ছাড়া হতো ।
অথচ একটা সময় তাদের সার্কুলেশন ছিল প্রথম পাচটা পত্রিকার মধ্যে ।
৩. আমি বলতে চাচ্ছি,Nivea -র মতো ব্যান্ডেও মানুষের অনুপস্হিতি ছাড়া এড বানাতে পারে ।
৪.'' face value দিয়ে সার্কুলেশণ হয় না ।'' কারণ তার সাথে পণ্যের গুণগত মান, মার্কেটিং পলিসি এবং প্রচারও গুরুত্বপূর্ণ ।
৫. '' face value দিয়ে Playboy এর মতো কিছু সৃষ্টি করা যায় ।''
মিডিয়া জগতে '' আগে দর্শনধারী , পরে গুন বিচারি '' - এই জিনিসটা মনে হয় আপনি জানেন না । অরুন সাহেবের ভিডিও গত বছরে বেশ হিট হয়েছিল । ব্লগেও তো কেউ কেউ ইউটিউব লিংক দিয়েছিল
যাতে আমরা দেখেছি বাপের বয়সী প্রখম আলোর এক হিন্দু সংবাদকর্মী এক মডেলকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছেন । এই বিষয়টা হতে বোঝা যায়,বাংলাদেশের মিডিয়াতে ভাল লোক খুবই কম । এখানে পড়াশোনা না করা লোকও চলচিত্রের পরিচালক হয় । সুতরাং ভাল লোকদের মিডিয়ায় আসতে হবে ।
৬. মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা , যেখানে অংশ নেওয়া কিছু মেয়ের আজন্ম লালিত স্বপ্ন । ইরান , তুরষ্ক , ইন্দোনেশিয়া কি প্রস্তুত করেছে তাদের ফোর্সকে ?
উত্তরে বলছি : বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে পু্জিবাদী পশ্চিমা বিশ্ব । তবে আমি এধরণের একটা ছোট প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলাম । এক্ষেত্রে আমার ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আছে । দেখুন :
এই লিংকে মিস ফ্রেন্ড সার্কেল প্রতিযোগিতায় আমি বিচারক ছিলাম । প্রতিযোগিতার নাম ছিল মিস ব্যাস্ট পার্সোনালিটি । আমি নামটা পরে বদল করি । এখানে অশালিন কিছু ছিল না । তবে যারা সামান্য হলেও সুন্দর তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে । রং মেখে সং না সেজেও মেয়েরা এপ্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ছিলো । কালো বা শ্যামলা মেয়েরাও অংশ নিয়ে ছিলো । ছেলেদের মধ্যেও এমন প্রতিযোগিতা হয়েছিলো ।
নাস্তিক ও ধর্মনিরোপেক্ষদের কখনোই আলোর পথে আনা যাবে না বা তারা আসবে না :
মতিউর রহমান-মোজাম্মেল বাবুদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা সুদুর পরাহত ।
এজন্য আমাদেরই এদের মতো লোক বানাতে হবে । বানানোর জন্য পরিবেশ তৈরী করতে হবে এবং বিভিন্ন নিয়ামক ও প্রয়োজনকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে । এজন্য সব দিকে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে ।
যেমন দেখুন, এই কয়েকটা পৃষ্ঠার জন্য দরকার ছিল :
১. কিছু হিজাবী মডেল ।
২.কিছু ইসলামপন্হী নিয়ন্ত্রনাধীন ফ্যাশন হাউজ ।
৩.কিছু যুগোপযুগি প্রবন্ধ ।
৪.কিছু ফটোগ্রাফার ।
৫.কিছু গ্রাফিক ডিজাইনার ।
আমার মনে হয়, আমরা চেষ্টা করলে আগামী এক বছরের মধ্যে এই পৃষ্ঠাগুলো ইসলামের আলোকে উপস্হাপন করতে পারবো । এবং জনগণও তা সদরে গ্রহণ করবে ।
তবে আমাদের মতো লোকদের চেষ্টা করতে হবে বা একাজে যাপিয়ে পড়তে হবে ।
এখন মিডিয়ার সাথে সম্পৃত্ত বিষয়ে পড়াশোনা করা অনেকটা ফরজের পর্যায়ে চলে গেছে । আমার এই কথাকে অনেকে ফতোয়াবাজি বলতে পারেন । কিন্তু একটা ব্যাপার চিন্তা করুন । দুর্ভিক্ষের সময় সবচেয়ে ভাল কাজ হলো মানুষকে খাবার দেওয়া । এখন মিডিয়ায় নৈতিকতার মহামারি শুরু হয়েছে । এই মুহুর্তে ভাল কাজ হবে মিডিয়া নিয়ে আর ফ্যাশন হাউজ নিয়ে কাজ করা ।
গণমাধ্যগুলোতে ইসলামবিদ্বেষী অমুসলিমদের শক্তিশালী অবস্হান কেন ?
গণমাধ্যমে অনেক অমুসলিম স্হান করে নিয়েছে,তাদের যোগ্যতা বলে । কারণ মিডিয়াকে তারা ধ্যান-জ্ঞান-সাধনা হিসেবে নিয়েছেন । তারা মনে করেন, এর মাধ্যমে তারা তাদের সম্প্রদায়ের উপর নিপীড়ণ-নির্যাতনকে বর্হিবিশ্বে প্রচার করতে পারবেন । এবং তাদের লক্ষ্য হলো এসমাজ ও মিডিয়া যাতে কোনভাবে ইসলামপন্হীদের দখলে না যায় বা দেশের মানুষ যাতে ইসলামী ভাবাপন্ন না হয় ।
একটা উদাহরণ দিচ্ছি : ১৪০০ বঙ্গাব্দ পালনের ব্যাপারটিকে জনপ্রিয় করার জন্য সম্পৃত্ত লোকরা ছিল অমুসলিম ও ধর্মনিরোপেক্ষ বলে দাবিদার কিছু মসলিম । হিন্দুয়ানী পদ্ধতিতে পহেলা বৈশাখ পালনে অমুসলিম ও ধর্মনিরোপেক্ষ বলে দাবিদার কিছু মসলিমের অবদান অনস্বীকার্য । আমরা দেখেছি, মঙ্গল প্রদীপ, মঙ্গল শোভা যাত্রা-কে কীভাবে জনপ্রিয় করা হয়েছে । কিন্তু তার বিকল্প ইসলাম প্রিয়রা বের করেননি । আমাদের এসব ভাবার সময় এসেছে ।
মিডিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক বিষয় ভাবতে হবে ।
কারণ -
১. বাংলাদেশের মিডিয়াতে দেশী-বিদেশী অমুসলিম শক্তির প্রভাব ।
২. ইসলামপন্হীদের মিডিয়ার প্রতি অনগ্রসরতা ।
৩.মিডিয়ার কর্মক্ষেত্রগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশ মুসলিম অস্তিত্ত্ববিনাসী ও ইসলামী সংস্কৃতিবিরোধী হিন্দুরা দখল করে নিয়েছে । যদি কেহ ব্যাখ্যা চান, তাহলে আমি পোস্ট দিতে প্রস্তত আছি । যা লিখবো সত্য কথা লিখবো ।
৪.ধর্ম ব্যবসায়ীরা মিডিয়াকে হারাম মনে করে । তারা মিডিয়া সম্পর্কিত পড়াশোনাকে হারাম মনে করে, সিনেমা বানানো বা এতে অভিনয় করা হারাম মনে করে এবং ধর্ম ব্যবসায়ীরা তাদের দুনিয়াবী স্বার্থে বাংলাদেশে ইসলামী শক্তি প্রবলতর হোক তা চায় না ।
৫. বাংলাদেশের ইসলামবিরোধীদের বিদেশী শক্তি প্রকাশ্যে মদদ দেয় ।
ইসলাম প্রিয়দের মিডিয়াতে গুরুত্বপূর্ণ স্হান দখল করে নিতে হলে তাদের যে সব করতে হবে :
১. ইসলাম প্রিয় তরুণ মিডিয়া কর্মীদের বা মিডিয়া কর্মী হতে উৎসাহীদের নিজেদেরই কিছু করার জন্য যাপিয়ে পড়তে হবে । দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে হবে । নিজের সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হবে । ত্যাগ স্বীকার করতে হবে ।
আপাতত আমি মনে করি, আমরা একটা চ্যানেল এবং পত্রিকা খুলার চিন্তা করতে পারি বা স্বপ্ন দেখতে পারি । তবে সময় লাগবে এবং এজন্য আমাদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে । এব্যাপারে আমি যথেষ্ঠ চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছি, এসব মিডিয়া মানুষ সাদরে গ্রহণ করবে ।
পত্রিকার ক্ষেত্রে প্রথমে সার্কুলেশন বেশী হওয়ার প্রয়োজন নেই । প্রথমে ছাপতে হবে মাত্র এক হাজার কপি। প্রাথমিক গ্রাহক হবে নির্বাচিত লোকরা ।
আর টিভি চ্যানেলের ব্যাপারে বলছি, ভীষণ ব্যয়বহুল । তবে ইন্টারনেট টিভি চ্যানেল করা যেতে পারে । কিন্তু তাও যথেষ্ট ব্যয়বহুল ।
আমি মনে করি, টেলিভিশন বা মিডিয়াকে ইসলামীকরণ করতে আগ্রহী ইসলাম প্রিয় ব্লগাররা নিজেদেরকে মিডিয়ার কোন না কোন বিষয়কে ইসলামীকরণ করার জন্য মনোযোগী হতে পারেন ।
যেমন : কারোর টিভি নাটক বা তথ্যচিত্র বানানোর ইচ্ছা । এক্ষেত্রে তার করণীয় হলো এবিষয়ে তিন থেকে এক বছরের একটা কোর্স করার পর বেশ কয়েক জন বন্ধু মিলে একটা ভালো টিভি নাটক বানানোর উপযোগী মধ্যম মানের ক্যামেরা কিনে টিভি নাটক বানানোর জন্য কাজে নেমে পড়া । টিভি নাটকের ব্যাপারে ইরান এবং আফ্রিকার বেশ কিছু দেশের দৃষ্টিভঙ্গী বা নীতিমালা ব্যবহার করলেই যথেষ্ঠ হবে । অভিনেতা ও অভিনেত্রী হবে ইসলাম পছন্দ লোকরাই । কারণ তারাই বুঝতে পারবে কোন দৃশ্যে কীভাবে ইসলামের নীতিমালা প্রয়োগ করা যাবে । এর জন্য প্রচলিত মিডিয়া কর্মী বা অভিনেতাদের প্রয়োজন বোধ না করাই যথেষ্ঠ হবে ।
২. ইসলামপন্হীদের জায়গা জমির কারবার না করে অসংখ্য মিডিয়া বানাতে হবে । অসংখ্য ফ্যাসন হাউজ বানাতে হবে । অসংখ্য ফ্যাসন ম্যাগাজিন বের করতে হবে । চলুক আর না চলুক । তবে এসব জোড় করে বাংলাদেশের লোকদের খাওয়াতে হবে । ব্রিটিশরা আমাদের চা জোড় করে খাইয়েছে বলে আমারা চা খাই ।
৩. মিডিয়ায় কর্মরত উগ্র ও ভারতপন্হী হিন্দুদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখতে হবে । যেমন : মুন্নী সাহা । সে ইডেন কলেজ হতে পাশ করার পর পত্রিকাতে শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত কি লিখেছে এবং কি উপস্হাপনা করেছে তা নখদর্পনে রাখতে হবে । আর এটাও দেখতে হবে এরা অন্য লোভনীয় পেশাতে সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও কেন তারা মিডিয়ার অনিশ্চয়তা ও আতংকের চাকরীকে বেছে নিচ্ছে । নিশ্চয়ই তাদের কোন অসৎ উদ্দেশ্য আছে । কি সেই অসৎ উদ্দেশ্য তা আমাদের খুজে বের করতে হবে । কারণ তাদের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ ।
৪. ইসলামবিরোধী শক্তিকে বিদেশী অমুসলিম শক্তি যাতে মদদ দিতে না পারে সেজন্য ইসলামবিরোধী শক্তিকে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে । যেমন : আমাদের এলাকায় ইসলামবিরোধী শক্তি ঈদগাহ মাঠ দখল করতে এসেছিলো । আমরা তাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি এরা পালিয়ে না গেলেও দখল করতে পারেনি । এজন্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও ধর্ম ব্যবসায়ীদের সম্পৃত্ত করতে হবে ।
ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী পূর্নাঙ্গ ইসলামী পত্রিকা ও টিভি পতিষ্ঠার জন্য গভীরভাবে চিন্তা করার জন্য ইসলাম প্রিয় বাংলাদেশীদের বিনীত অনুরোদ করছি ।
পত্রিকা বা টিভি ছয়টা লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত হতে পারে :
১. সহণশীল ও পরমত সহিষ্ণু সমাজ গঠণ (কোন সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ প্রচার করবে না) ।
২. দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য দিক নির্দেশনা দেওয়া ।
৩. বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্ত্বিতে শক্তিশালী সমাজ গঠণ করার জন্য অণুপ্রেরণা দেওয়া ।
৪. ইসলামের সাম্য ও মৈত্রী-র আদর্শ প্রচার ।
৫. বতর্মান বিশ্বে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে উপস্হান করার চেষ্টা চালানো ।
৬. অন্ধভাবে কোন দল বা গোষ্ঠীকে সমর্থন করবে না।
কিছু করা বলতে যদি সমাজের পরিবর্তনের কথা বলে থাকেন বা সমাজকে ইসলামীকরণের কথা বলে থাকেন, তাহলে আমি বলবো এই মহৎ কাজ করতে গেলে :
১. আদর্শ সম্পর্কে অগাদ জ্ঞান থাকতে হবে ।
২. নিজের আদর্শ প্রচার করতে গেলে কোন হীনমন্যতাকে প্রশয় দেওয়া যাবে না । নিজের আদর্শকে জোড়ালোভাবে প্রচার করতে হবে । এজন্য কোন আপোষ না করা ।
৩. নিজের আদর্শের পক্ষ্যে জনমত তৈরী করতে হবে ।
৪. বিজ্ঞাপন ও প্রচারণার ক্ষেত্রে নিজের আদর্শের নীতিমালা মেনে চলতে হবে । এবং এব্যাপারে কোন আদর্শকে বিসর্জন দেওয়া যাবে না । এই সাইটে অনেকে মিডিয়ায় আগে দর্শনদারী পরে গুণ বিচারী -র কথা বলে আলোচিত পত্রিকার এসব ছবিকে গ্রহণযোগ্য বলার চেষ্টা করবে ।
দেখুন, ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী যদি এ পৃষ্ঠাগুলোকে তৈরী করা হতো আর বলা হতো আমরা আগে দর্শনদারী পরে গুণ বিচারী এ নীতিকেও কাজে লাগিয়েছি । তাহলে তাদের কথা গ্রহণযোগ্য হতো । কিন্তু তারা তা করেননি ।
আমি মনে করি, এই কয়েকটা পৃষ্ঠার জন্য দরকার ছিল :
১. কিছু হিজাবী মডেল ।
২.কিছু ইসলামপন্হী নিয়ন্ত্রনাধীন ফ্যাশন হাউজ ।
৩.কিছু যুগোপযুগি প্রবন্ধ ।
৪. ইসলাম প্রিয় কিছু ফটোগ্রাফার ।
৫.ইসলাম প্রিয় কিছু গ্রাফিক ডিজাইনার ।
উপসংহার :
বাংলাদেশে এখন হিজাবী আপু-র অভাব নেই । তাদের মধ্যে অনেকেই মডেল হতে আগ্রহী বা মিডিয়ায় কাজ করতে উৎসাহী । কিন্তু ইসলামপন্হীরা তাদেরকে মিডিয়ায় আনতে পারেনি । এসব তাদের বড় ধরণের ব্যর্থতা ।
হিজাবী মেয়েরা আর ইসলাম প্রিয় ছেলেরা মিডিয়ায় সক্রিয় হলে অরুণ চৌধুরীর মতো ধর্ষক আর প্রভা আর চৈত্রী-র মতো মেয়েরা আমাদের মিডিয়া হতে বিদায় নিতে বাধ্য হবে ।
ইসলামে জিহাদ ফরজ । মিডিয়ায় হিজাবী মেয়ে আর ইসলাম প্রিয় ছেলেদের জিহাদের জন্য যাপিয়ে পড়তে হবে । এখানে জিহাদ হবে মিডিয়াকে ইসলামীকরণ করার জিহাদ ।
আগে দেশ দখলের জন্য অশ্র গোলা-বারুদ দিয়ে যুদ্ধ হতো । এখন দেশ দখল করার জন্য মিডিয়ার আশ্রয় নেওয়া হয় । মিডিয়া অমুসলিমদের হাতে তাই অমুসলিমরা বিশ্বে রাজত্ব করেছে ।
অশ্র - গোলা বারুদ কিছু সময়ের জন্য ব্যবহার হয় ।
অতএব ইসলামী পত্রিকা বলে পরিচয় দিয়েও এই পত্রিকা মিডিয়ার মধ্যে জিহাদ করছে না । এজন্য আপনি তাদের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না ।
বিষয়টি দু:খজনক । আল্লাহ তাদের সঠিক জ্ঞান দান করুন ।
বিষয়: বিবিধ
৪১৪১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইসলামে ভ্রু-প্লাক করার হুকুম কি???
পোস্টে ছবিগুলো দেওয়া হয়েছে পোস্টের সাথে সম্পৃত্ত বিষয় বোঝার জন্য ।
আপনি যে সব ছবির কথা বল্লেন সে সম্পর্কে আমি বিস্তারিত তথ্য দিয়েছি এই দুই লেখায় :
1. বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনে উপেক্ষিত ইসলামী মূল্যবোধ ( ১ম পর্ব )
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/16181
2. আমরা একটি ব্যতিক্রমধর্মী টিভি বিজ্ঞাপন বানিয়েছিলাম
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/15367
গণমাধ্যম (পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যানেল, সিনেমা-নাটক ইত্যাদি) -কে কীভাবে ইসলামীকরণ করা যায় এবং জীবনমুখী করা যায় - সে সম্পর্কে কিছু বলুন । কারণ আমি আপনাদের কাছে লেখার শুরুতেই এই বিষয়েই অভিমত জানতে চেয়েছি ।
ইসলামকে আধুনিক জাহেলিয়াতের পোষাক পরিয়ে ইসলামাইজ করার কোন মানে হয় না।
ইসলাম পরিপূর্ন, যেভাবে স্বর্ণ যুগে ছিলো সেভাবেই থাকবে। নতুন করে এড করার কোন মানে নাই।
সবাই যাদি ১০০ ভাগ খাটি পন্য বানাতো তাহলে কোন বিজ্ঞাপনের প্রয়োজনই হতো না। মানুষ নিশ্চিন্ত মনে ক্রয় করতো। পণ্য বানাবেন ভেজাল আর তাকে প্রচার করতে নারিদের ব্যাবহার করবেন ইসলামাইজড ভাবে এটা একটা নতুন জাহেলিয়াত।
তাই, বেকার সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না।
আপনি সহিহ আল বুখারীর কোন হাদিসকে কি অস্বিকার করেন সহিহ নয় মনে করে??
যে জিনিসটা নেই তাকেই ইসলামাইজ করার প্রশ্ন আসে ।
আপনি বলেছেন : "সবাই যাদি ১০০ ভাগ খাটি পন্য বানাতো তাহলে কোন বিজ্ঞাপনের প্রয়োজনই হতো না। মানুষ নিশ্চিন্ত মনে ক্রয় করতো। পণ্য বানাবেন ভেজাল আর তাকে প্রচার করতে নারিদের ব্যাবহার করবেন ইসলামাইজড ভাবে এটা একটা নতুন জাহেলিয়াত।"
আপনাকে বলছি : "আমি নিজে একটা কোম্পানীতে কমার্শিয়াল এবং প্রযুক্তি বিভাগে চাকুরী করি । আমাদের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের এবং বিদেশের বিভিন্ন কল-কারখানার সব ধরনের যন্ত্রাংশ সরবারাহ করে । যেমন : আপনি যদি আমের রসের ফ্যাক্টরি দিতে চান বা প্রাণ ম্যাগো জুসের মতো কিছু বানিয়ে বিক্রি করতে চান - তাহলে আমাদের প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে ।
আমি কেন আমার কোন মতো কেহই বলি না যে আমরা ১০০% শুদ্ধ জিনিস আমরা সরবরাহ করি । কিন্তু তারপরও কোম্পানীর মালিকরা সন্তুষ্ট চিত্তে আসেন ।
আপনার নারী সম্পর্কিত কথায় বলছি :
নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে না । প্রয়োজনে সবাই সভ্যতার সব কার্যক্রমে অংশ নিবে ।
ইসলামের স্বর্ণযুগ সম্পর্কে বলছি : ইসলামে স্বর্ণযুগ বলে কিছু ছিল না । আপনি স্বর্ণযুগ বলে কি বোঝাতে চান তা আমার কাছে স্পষ্ট নয় ।
আর যদি বলেন ১৪০০ আগে মানুষ যেভাবে চলাফেরা করতো আমরাও সেভাবে চলবো । তাহলে আমি বলবো : আপনার কথা কেহ-ই মানবে না । আমরা আগের চেয়ে অনেক সভ্য হয়েছি । ১৪০০ আগে ছেলেরা দাসীদের সাথে যৌনতায় অংশ নিতে পারতো । এমন কি এই বিষয়টি ইসলামের অনেক গ্রন্হেই সঠিক কাজ বলা হয়েছিলো । কিন্তু বর্তমানে তা মুসলিম সমাজ হতে বিলীন হয়ে গেছে বল্লেই চলে । কারণ এখন দাস-দাসী প্রথা নেই । আপনি যদি বলেন এটা ইসলামী কাজ । কারণ বুখারী-সহ বিভিন্ন সহিহ হাদিসে দাসীদের সাথে যৌনতার কথা আছে । সুতরাং আমিও তা করবো । এই ক্ষেত্রে আমি আপনাকেই নয়, আপনাদের মতো লোকদের বাধা দিবো ।"
মন্তব্য করতে লগইন করুন