নিকাবী মেয়েরা কীভাবে ধর্ষণ হতে রক্ষা পাবে (১ম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৫৬:৪৮ রাত
পটভুমি :
প্রতিপক্ষ দলের লোকদের দ্বারা জামায়াতী ও বিএনপি দলভুক্ত পরিবারের মহিলারা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন । অপর দিকে আমরা অহরহ রাজনৈতিক দলের কর্মীদের লাশ বন বাদাড়ের বন্য জীব-জন্ত্তদের মতো পড়ে থাকার ছবি পত্রিকায় দেখতে পাচ্ছি । পত্রিকায় মেয়েদের ধর্ষনের খবর না আসলেও যে মেয়েদের ধর্ষণ করা হচ্ছে না – এই বিষয়টি চাপা থাকছে না অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে । নিকাবী মেয়ে শিরোনামে উল্লেখ করার কারণ হলো নিকাব জামায়াতের লোকদের কাছে অপরিহার্য বিষয় ।
নিকাবী মেয়েরাই কি শুধু ধর্ষিতা হয়েছে ? তাহলে শিরোনাম এমন কেন ?
উত্তর হলো : আমি এই শিরোনামে লেখা লিখতাম না । কিন্তু তারপরও লিখতে বসেছি ।
মুখ ঢাকার জন্য যে পোষাক বা কাপড় ব্যবহার করা হয় তাকে নিকাব বলা হয় । আর নিকাব পড়ে সাধারণত মেয়েরা । নিকাব পড়া মেয়েকে নিকাবী মেয়ে বলা হয় ।
নিকাব পড়া মওদুদী দর্শন, ওহাবি মতবাদ, দেওবন্দী ধর্ষন, বার ইমামপন্হী শিয়া মতবাদ, ইবাদি বা খারিজী মতবাদ, ইলিয়াসী তাবলীগি মতবাদ, সৌদি রাজতান্ত্রিক ধর্ম ব্যবসায়ীদের মতবাদ এবং সালাফী বা আহলে হাদাসী মতবাদ অনুযায়ী মেয়েদের জন্য অপরিহার্য । কিন্তু ইসলামের সত্যিকার দৃষ্টিভঙ্গি হলো : নিকাব অপরিহার্য কোন বিষয় নয় ।
কয়েক মাস আগে নিকাবী মেয়েকে ধর্ষন করার একটা ভিডিও আমার হস্তগত হয় । বিষয়টি নিয়ে ভাবতে লাগলাম ।
( তার আগে বলে নেই । আমাকে আমার সম্পর্কে ধারণা করে বসতে পারেন, ইসলামবিষয়ক লেখক সে কি না ধর্ষণের ভিডিও উপভোগ করে । না জানি লোকটা কত খারাপ ? তার উত্তরে বলে নিচ্ছি, কোন বিষয়ের গভীরে পৌছতে গেলে সব বিষয়ের উপরই স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে । এজন্য প্রয়োজনে লেখকে ধর্ষিতার সাথে কথা বলতে হবে । কারণ যারা এর শিকার তাদের সাথে কথা না বলে কোন কিছু লেখা সঠিক হবে না । )
ভিডিওটা ভালভাবে লক্ষ্য করলাম : ধর্ষককে কাবু করা বা দুর্বল করার ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্হাই ধর্ষিতা নিচ্ছিলো না । বার বার আল্লাহর সাহায্য কামনা করছিলো । আমি এই বিষয় অভিজ্ঞদের সাথে কথা বল্লাম ।
তারা বল্লেন যে সেই সময়ে কোন কৌশলই কাজে আসে না । আমি তাদের সাথে একমত হলাম না । আমি আইনের বই নিয়ে নাড়াচাড়া করলাম । হতাশ হলাম । কারণ ধর্ষিতা অনেক কারণে ন্যায্য বিচার হতে বঞ্চিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে এবং আইনের মারপ্যাচে ধর্ষিতাকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে । এমন কি ইসলামের কথিত শরিয়া আইনে ধর্ষিতা কোন বিচার পাবে না এবং ধর্ষক নির্দোষ প্রমাণিত হবে । বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তা করলাম এবং নিকাবীদের সাথে কথা বলবো ।
এজন্য আমি সাহস করে বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে অবস্হান করা নিকাবীদের সাথে কথা বল্লাম । এক কথা দুই কথা বলে জানতে চেয়েছি : "আপু । নিকাব কেন পড়েছেন বা মুখ কেন ঢেকে রেখেছেন ? অন্য মেয়েরা তো ঢেকে রাখেনি । আর এটা কি আমাদের ধর্মের বিষয় ?"
নিকাবীরা নিকাব পড়ার কারণ হিসেবে উত্তরে যা বলেন :
১. অনাকাঙ্খিত অবস্হা হতে নিজেকে রক্ষা করার জন্য নিকাব পড়েছি । নিকাব আমাকে সুরক্ষা দেয় । কিন্তু বাস্তব অবস্হা মাঝে মধ্যে অনেক বাজে কথা শুনতে পাই । (যেমন : গেট লক । পতিতা । দাম কত ? ঢেকে রাখো কেন দেখতে পাই না তো । এটা কি আমাদের ভাবী না ?! ইত্যাদি )
২. মেজেরোটি স্কলার বলেছেন, “মেয়েদের চেহারা ঢেকে রাখাই ধর্মের বিধান ।“ - এই অভিমত ব্যক্ত করা মেয়েটি হলেন একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ।
৩. আমার বাবা ও ভাই চরমোনাই পীরের মুরিদ এবং বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের সাথে সাথে যুক্ত । আমার বয়স যখন ৮ তখন আমাকে বাবা এভাবেই পোষাক পড়িয়ে দেন । আর আমার মা আমাকে এভাবে পোষাক পড়তে উৎসাহিত করে থাকেন । অন্যরা কীভাবে পোষাক পড়লো কি পড়লো না তা নিয়ে আমরা মোটেও ভাবি না । (মহিলা মাদ্রাসার দুই ছাত্রীর উত্তর)
৪. আমার মা তাবলীগ জামায়াত করেন । আমিও আমার মা-কে অনুসরণ ও অনুকরণ করে এই পোষাকে অভ্যস্হ হয়েছি । কিন্তু স্কুলে গেলে এই বোরকা ও নিকাব ওড়না খুলে ফেলি । স্কুল হতে বের হওয়ার আগে আবার এই পোষাক পড়ি । আমি মনে করি সব মেয়েরই এমন পোষাক পড়া উচিত । ( মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রীর মন্তব্য )
৫. অধিকাংশ সৌখিন ও শিক্ষিত পতিতা নিকাব পড়েন । তাদের একজনের মন্তব্য : নিকাব আর বোরকার মাধ্যমে নিজেকে সহজে আড়াল করা যায় । ( এই কথা যিনি বলেছিলেন : তিনি ইডেন কলেজের ছাত্রী । সৌজন্যে : পাক্ষিক পূর্ণিমা , দৈনিক ইনকিলাব : বেলাল মাহমুদ )
[ এসব প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করার জন্য আমাকে যারা সাহায্য করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করছি না । ]
অনাকাঙ্খিত অবস্হা হতে নিজেকে রক্ষা করার জন্য নিকাব পড়েছি বা নিজেকে সুরক্ষার জন্য নিকাব পড়েছি । এই কথা ভিত্তিহীন । বাস্তব অবস্হা হলো নিকাবীরাই বেশী ধর্ষিতা ও ইভটিজিং-এর স্বীকার হয় ।
ধর্ষণের সংগাকে যদি আরো বর্ধিত করা হয় - "স্বামী যদি ইচ্ছা বিরোদ্ধে তার স্ত্রীকে যৌনতায় বাধ্য করা" তাহলে নিকাবী মেয়েদের সবাই-ই কম বেশী নিয়ম মাফিক ধর্ষনের স্বীকার হন । কারণ মওদুদী আর ওহাবী মতে স্বামী যা খুশি তা-ই করতে পারবে ।
বাস্তব ও আইনগত দিক হলো :
যৌনতা পুরুষের যেমন প্রয়োজন আছে, ঠিক তেমনি নারীও । কিন্তু বিষয়টা যখন জোড় জবড়দস্তির বিষয় হয়ে দাড়ায় তখন তা বড় ধরণের ফৌজদারী অপরাধের বিষয় হয়ে দাড়ায় ।
আমি অনেক দিন ধরে ভাবতে লাগলাম : কীভাবে মেয়েরা চরম খারাপ অবস্হায় পড়েও নিজেদের সুরক্ষা করতে পারে ? এই বিষয়ে অনেক পড়াশোনা করলাম । এই বিষয়ে বেশ কিছু নিবন্ধও লেখলাম । কিন্তু সহজ সমাধান পাচ্ছিলাম না ।
কয়েক বছর আগে "টিভি ফাইভ মনডে" চ্যানেলে এক মুভিতে : “কম বষস্ক এক ধর্ষণ প্রচেষ্টাকারী (দেখতে বিশ্বজিতকে রামদা দিয়ে কোপানো ছেলেটার মতো । তবে তার খোচা খোচা দাড়ি আছে ) । এক মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছে । তাকে সাহায্য করে সম বয়সী এক মহিলা এবং আরেকটা তার বয়সী পুরুষ লোক । নায়ককে দেখে ধর্ষণ প্রচেষ্টাকারীর এই দুই সাহায্যকারী পালিয়ে গেলো এবং নায়ক ধর্ষণের চেষ্টাকারী মহিলাকে সাহায্য করতে এগিয়ে গেলো । হঠাৎ নায়কের উপর ধর্ষনের চেষ্টাকারী ঝাপিয়ে পড়লো ।
কিন্তু ধর্ষণের চেষ্টাকারী লোকটি হঠাৎ নায়ককে ধারাল এক বিশেষ অস্ত্র (যা শুধু মাত্র আংটির মধ্যেই লুকিয়ে রাখা সম্ভব) দিয়ে হাতে আঘাত করে । তাতে নায়কের ডান হাতের নিচের অংশে লম্বাভাবে কেটে যায় ।( বিষয়টি একটা ভিডিওর মাধ্যমে উপস্হাপন করলে বিষয়টি সবার স্পষ্ট হবে । তবে এই মুহুর্তে আমার কাছে ভিডিওটি নেই । সুতরাং বিষয়টি ভিডিও-র মাধ্যমে উপস্হাপন করতে পারছি না । ) নায়ক তার সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধে প্রায় হেরে যাচ্ছিলো । কিন্তু এক পর্যায়ে নায়ক এই পেজের বেশ কয়েকটা কৌশল ব্যবহার করে । [ ফেসবুকের এই পেজটার বিষয়বস্তুর সাথে "মেয়েদের-জন্য-আত্মরক্ষা-কৌশল" । http://www.facebook.com/SelfdefenseTechniquesForFemales আশা করি এই পেজটা মেয়েরা সবাই ভিজিট করবেন । ]
পুলিশ হেফাজতে নিকাবী ধর্ষণের ঘটনা :
বাংলাদেশে এমন ঘটনা শোনা যায় । দিনাজপুরে ইয়াসমিন নামক এক মেয়ের ঘটনা আমরা হয়তো জানি । ঘটনাটি ১৯৯১ সালে নির্বাচিত বিএনপি সরকারের আমলের । তখন জামায়াতীরা আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ বন্ধ ছিল । তখন ধর্ষিতা ইয়াসমিনের জন্য জামায়াত আওয়ামী লীগের সাথে মিলে টানা ৩ দিন হরতাল করে ।
কয়েক বছর আগে আদালত পাড়ায় পুলিশ আইনের দারস্হ হওয়া এক মেয়ে ও মা-কে কি করে তাই আমরা জানি । ফেসবুকের কল্যাণে আমরা অনেক ঘটনার সাথে পরিচিত হয়েছি । সাতক্ষীরা হতে ফেসবুকে চিঠি আকারে একটা স্যাটাস নজরে পড়ছে প্রায় সবারই । তাতে এক নিকাবী ধর্ষিতা লিখেছেন :
হঠাত করেই আমাদের পাশের বাড়ির চাচা এসে আব্বাকে বলছিলেন, আর্মি আসছে জামাতিদের ধরতে। আব্বা তেমন কোন গুরুত্ব না দিয়ে আলোচনা করতে লাগ্লেন ওই চাচার সাথে। এর কিছুক্ষন পরেই শুনতে পেলাম গুলির শব্দ, চেচামেচি, আল্লাহু আকবর, গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দ, মহিলাদের কান্না, কেমন যেন একটা অবস্থা! আমরা প্রথমে ভেবেছি কোথাও ডাকাত পরেছে কিংবা আগুন লেগেছে। চাচা আর আব্বার সাথে আমার ১২ বছরের ভাইটিও এক্সাইটেড হয়ে গিয়ে দৌড়ে উঠান ছেড়ে বাইরে বেড়িয়ে গেল। কিন্তু আমাদের কার্নিশ থেকে দেখা যাচ্ছে প্রচুর মানুষ জন এদিক সেদিক পালাচ্ছে। আমরা মেয়েরা ভয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম। তখনও জানিনা ব্যাপারটি কি। সাথে সাথেই দরজায় টোকা পড়তে লাগলো, না খোলাতে এবার ধাম ধাম করে বারি শুরু হল! আমি আর আমার সন্তান সম্ভবা ছোট খালা খাটের নিচে ঢুকে গেলাম। আল্লাহ তায়ালা মনে হয় মেয়েদের সিক্সথ সেন্স অনেক স্ট্রং করে পাঠান। আমার ৫ বছরের খালাতো ভাই ভয় পেয়ে কাঁদতে শুরু করল। আম্মা ওকে ধরে দাঁড়িয়ে আছেন, কিংকর্তব্যবিমুঢ় অবস্থায়। আমাদের কাঠের দরজা ভাঙতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি ওদের।
আমি চোখ বন্ধ করেছিলাম না কি হয়েছিলো তা আর আমার মনে নেই। শুধু ভাংচুরের শব্দ, কান্না, আর আমার মায়ের কণ্ঠ ভেসে আসছিলো, বাবারে পায়ে ধরি , বাবা পায়ে ধরি, বাবা আমরা নিরীহ, এইসব কথার আর্তনাদ। খালাতো ভাইটাকে ধাক্কা মেরে দেয়ালে ঠেলে দেয়ার পর আর কোন সাড়া শব্দ নেই ওর। একজনের কণ্ঠ শুনলাম, ধুর ব্যাডা কি করস? দশ বারোজন লোক কারও গায়েই ইউনিফর্ম ছিলোনা। ওরা খাটের তোষক উল্টে ফেলে দেয়। খালা আর আমি ভয়ে চিৎকার করে উঠি। ওরা এবার খাটের নিচে উঁকি দিয়ে দেখে আমরা! খালাটা ইতিমধ্যে অজ্ঞ্যান হয়ে পড়ে আছেন। আমাকে ওরা টেনে বের করে আমার কামিজ ধরে। আমি বলি, প্লিজ ভাইয়া। আপনারা আমার ধর্মের ভাই লাগেন, ভাইয়া প্লিজ। একজন বলে, "এল্লা পিলিজ *দাইতাসে। খা** মা** বান্ধ।" এই কথা বলেই চড় লাগিয়ে দেয়, আমার মা দৌড়ে আসেন, তাকে চুলের মুঠি ধরে চড় থাপ্পড় দেয়া হয়। বাজে গালি দেয়া হয়। আমি ওদের চড় খেয়ে দরজার কাছে ছিটকে পড়ি। সাথে সাথেই এক দৌড় দিয়ে বাইরে চলে আসি। কে আমার পেছনে আসছে নাকি আমি কোথায় যাচ্ছি তা বুঝতে পারিনি, কেবল একটা কথাই মনে ছিল, দৌড়াতে হবে। আমি একটা গয়াল ঘরের পেছনে আশ্রয় নেই। চার ঘণ্টা আমি ওখানেই ছিলাম। পড়ে আস্তে আস্তে বের হয়ে আসি সব কিছু ঠান্ডা হয়ে এলে। আমাদের বাড়ি আমি চিনতে পারছিলামনা। কাঠের স্তূপ হয়ে পড়ে আছে। মহিলারা বিলাপ করে কাঁদছে। বাবা তখনও বাসায় ফেরেনি। আমার মাকে জড়ো করে অনেক মহিলারা দাঁড়ানো। মা নিথর বসে আছেন খালার লাশের সামনে। রক্তে খালার শাড়ী ভিজে চুপচুপা। একটা বাড়িতেও কোন পুরুষ ছিলোনা, কেউ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়নি খালাকে, সবার বাড়িই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, লুটপাট করে নিয়ে গিয়েছে সব কিছু। সব কিছু। অন্তত পক্ষে ৯ জন মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ থেকে আসা একটি কাজের মেয়ে সহ একি পরিবারের তিনজন আছে এবং তারা ধর্ষিত হয়েছে পুলিশ দ্বারা। আমাদের বাসায় যারা এসেছিলো তারা পুলিশ ছিলোনা। খাটো ও বখাটে ধাঁচের ছিল।
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=201402763393177&set=a.141440926056028.1073741828.140693046130816&type=1
ফেসবুকের আরেকটা স্যাটাস হতে জানা যায় :
https://www.facebook.com/photo.php?v=488215021252162
মাওলানা নুরে আলম হামিদী ব্রিটিশ নাগরিক। ডিবি অফিসে কিভাবে চল্লিশটারও বেশি পুলিশ নরপশু একজন হিজাব পরিহিতা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে, তার চাক্ষুষ স্বাক্ষী তিনি।
ভদ্রলোককে বাইশ ফেব্রুয়ারী কাঁটাবন মসজিদ থেকে জুমার পর পুলিশ তাকে পিটিয়ে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে শাহবাগিদের হাতে তুলে দেয়, শাহবাগিরা তাকে যথেচ্ছ পেটায়। বিভিন্ন পত্রিকা ও শাহবাগিরা তাকে গ্রেফতারের ছবি দেখিয়ে প্রচার করে, পাকিস্তানী জঙ্গি গ্রেফতার!
লম্বাচওড়া ও ফর্সা টাইপের হওয়াতে হীনমন্য বাঙালীরা এসব বিশ্বাসও করে অনেকে।
কারাগারে ডাক্তার কুন্ডু তাকে ঠিকমতো চিকিৎসা করেনি, ফার্মাসিষ্ট প্রাণকৃষ্ণ ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলো।
নুরে আলম হামিদীকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিলো ডিবি অফিসে।
ওখানে নিজ চোখে দেখা এক বর্বর ঘটনার কথা তিনি বলেছেন এ ভিডিওতে। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী তিনি।
তিনি https://www.facebook.com/photo.php?v=488215021252162 ফেসবুকের এই ভিডিওটাতেবল্লেন : এই মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী । আর এই মেয়ে নাকি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্হার কর্মী ।
এ সম্পর্কে আমার অভিমত :
কয়েক মাসে আগে ফেসবুক স্যাটাসে দেখলাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা নামক সংগঠণ উদয়ন স্কুলে মেয়েদের জামার হাতা কেটে দেওয়ার বিষয়টিকে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে । তারা কি মানব বন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ বা প্রতিবাদ মিছিল বা স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পারেন না ? এগুলো কি মেয়েদের জন্য নাজায়েজ কাজ ?
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা-র মহিলারা তো ফেসবুকও ব্যবহার করে । তারা আসলেই কি ছাত্রী না পাত্রী ? যদি ছাত্রী হয় ছাত্রীদের আর মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তাদের অবদান কি ? তাদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ কি ? তারা কোন বিষয়ে আমাদের সমাজকে সচেতন করছেন ? তারা দেশের জন্যই বা কি অবদান রেখেছেন ?
আমার মনে হয়, ভাল বর যোগাড় করার জন্য তারা পর্দা করার নামে মুখ ডাকে । তাদের সমাজের প্রতি বিন্দুমাত্র দায়বদ্ধতা নেই । থাকলে আমরা বাংলাদেশের সব ইসুতে প্রতিবাদী ভুমিকায় তাদের দেখতাম ।
আরেকটা কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি, “ অনেকে হয়তো বলে যাচ্ছেন : আল্লাহ্ রব্বুল আ'লামিন ধর্ষিতা নিকাবী আপুদের মনোবল ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করুন, তার দুনিয়ার বাকি জীবন আর আখিরাত সৌন্দর্যমণ্ডিত করুন।“ - এসব কথা বলে আপনারা অন্যায়কে মেনে নেন বা পশ্রয় দেন । এধরনের ঘটনা সাধারন লোকের ক্ষেত্রে হলে দেশে তোলপাড় হতো ।
আমি আবারও বলছি অন্যায়কে পশ্রয় দিচ্ছেন : শ্লীলতাহানির খবর প্রচারিত হলে তার জীবনকে আরো দূর্বিসহ করে তোলা হবে । আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ সা. -এর যুগে মেয়ে নিজে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন । হাদিসগ্রন্হগুলোতে তার বিবরণ আছে ।
পরিশেষে বলছি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা নামক মেয়েদের দেখতাম স্কুল আর কলেজে পড়ার সময় মুখ ডেকে চলাফেরা করতে । তারা প্রথম প্রথম যুক্তি দেখাতো এভাবে মুখ ডেকে চল্লে ইভটিজিং হতে রক্ষা পাওয়া যায় । বাস্তব অবস্হা হলো উল্টো । মুখ ডেকে চলা মেয়েরা বরং ইভটিজিং-এর শিকার হতো বেশী । ইভটিজিং এর বাক্যগুলো উল্লেখ করছি না । একটা সময় দেখলাম তাদের মুখ ঢাকার ব্যাপারে পর্দা ও ইসলাম বইয়ের রেফারেন্স দিতে ।
ইসলাম কি এত কঠিন জীবন বিধান ? নির্যাতিত হলেও নিরব থাকার কথা ইসলাম ধর্মের কোন বিধানে আছে ।
অথচ মিসরেই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্হার মেয়েরা নিকাব ছাড়াই মুখ না ঢেকেই চলাফেরা করে থাকে । বাংলাদেশে কি তাদের জন্য আলাদা নিয়ম । আর এই নিয়ম কে প্রবর্তন করেছে ?
বাংলাদেশে জামায়াতের একটা ছাত্রী সংগঠণ আছে যার নাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্হা । এসংগঠণের মেয়েরা মুখ ঢেকে চলাফেরা করে আর কাল রংয়ের বোরকা পড়ে এবং তারা ছেলেদের সাথে কথা বলে না ।(অবশ্য অনেকে অন্য রংয়েরও পড়ে) । আজব হলেও সত্য, ছাত্রী সংস্হার মেয়েরা বিদেশ গেলে মুখ ঢেকে রাখে না এবং তারা বিভিন্ন শপিং মলে এড জব করে ও অমুসলিম ছেলেদের সাথে কথা বলে । তাদের এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন : দেশের নিয়ম বিদেশে চলে না । https://www.facebook.com/photo.php?fbid=670720922957869&set=a.141166265913340.24874.100000599018799&type=1
আজ রাবেয়া স্কয়ারে শেষ ইফতার। পরেই ঈদ কর্মসুচী। ফলে মুরসি সমর্থক ও এলাকাবাসীর মধ্যে নিজেদের তৈরী বিস্কুট ও পিঠা বিতরণ করছে ছাত্রীসংস্থার কর্মীরা। [সৌজন্যে : মিসরে অবস্হানরত জামায়াতী ব্লগার ও ফেসবকু একটিভিস্ট আজাদ সাইমুম ]
নিকাব ও মওদুদী দর্শণ :
মওদুদী দর্শনে বিশ্বাসী জামায়াতী সম্প্রদায়, ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসী আহলে হাদিস সম্প্রদায়ের এবং দেওবন্দি মতবাদে বিশ্বাসী তেতুল হুজুরী সম্প্রদায়ের অনেক সদস্য আমার বেশ কিছু দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে প্রায়ই আপত্তি করে থাকেন । তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজও করে থাকেন । কারণ আমি আমার অনেক লেখায় ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত মেয়েদের পড়ানোর বিরোধীতা করার পাশাপাশি, মেয়েদের ক্ষ্যাত বানিয়ে ঘরে বন্দি করা রাখা এবং মেয়েদের নিকাব পড়া ( বা মুখ ঢেকে রাখা) মুসলিমদের উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতিবিরোধী বলে অভিমত ব্যক্ত করে থাকি ।
বাস্তব অবস্হা হলো নিকাব পড়ানোর সাথে তারা মেয়েদের চিন্তা-চেতনাকে জড় পর্দাথের মতো করে ফেলে ।
http://www.youtube.com/watch?v=bbquVouGQCo
আপনারা এই নিকাবী বোনের কথা শুনুন ।এই নিকাবী বোনকে আমি কখনোই নিকাব ছাড়তে বলবো না । তার নিকাব তাকে তার মুসলিম ভাইদের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার অনুপ্রেরণা যোগিয়েছে (বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিচ্ছি না এই মুহুর্তে) ।
এসব ক্ষ্যাত ধরনের লোকরা বাংলাদেশের মেয়েদের জড় পদার্থ বানানোর জন্য আর তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য ,শুধুমাত্র তাদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের কিছু মেয়েদের নিকাব পড়াতে বাধ্য করে । তাদের ধারণা তাকে মেয়েরা নিরাপদ থাকবে এবং সতিত্ব বজায় রেখে তাদের জন্য পুত-পবিত্র হয়ে থাকবে । বাস্তব অবস্হা হলো নিকাব বাংলাদেশের মেয়ের জড় পদার্থের মতো বানাচ্ছে ও তাদের প্রতিভা-মেধা-যোগ্যতা বিকাশের অন্তরায় হয়ে দেখা দিচ্ছে ।
আপাতত এতটুকু বলুন : গোলাম আজম-নিজামী-সাইদীর প্রিয় পাত্র-পাত্রীরা জবাব দিন : " আপনাদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব, মিসরের জয়নাব আল গাজালী নামক মহিলা যিনি মিসরে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে যেয়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কারা বরণ করেছেন । সারা জীবন চেষ্টা করে হলেও কি আপনারা তার নিকাব পড়া একটা ছবি কি আমাকে দেখাতে পারবেন ?
মেয়েদের খারাপ পরিস্থিতি ধর্ষণএড়ানো ও বিপদে পড়লে আত্নরক্ষার জন্য কিছু টিপস :
* ব্যাগে গুঁড়ো মরিচ বা পিপার স্প্রে রাখবেন
* নির্জন রাস্তায় সন্ধ্যা/রাতে হাঁটার সময় কানে হেডফোন লাগাবেন না বা মোবাইলে নেট চালাতে চালাতে চলবেন না। এতে কেও আপনাকে দেখলে ভাববে যে আপনি রিল্যাক্সড,তাই ঝোপ বুঝে আক্রমণ করতে পারে।
* কেও পিছু নিয়েছে বলে মনে হলে ঝটপট মোবাইল বের করে কারো সাথে কথা বলা শুরু করুন,টাকা বা নেটউয়ার্ক না থাকলে কথা বলার ভান করুন। চেষ্টা করবেন সিরিয়াস মুডে সিনিয়র কারো সাথে কথা বলছেন এমন ভান করতে। আক্রমণকারী সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে কিছু করেনা যেখানে সাক্ষী থাকে।
* পিছু নিয়েছে এমন সময় মোবাইলে কথা বললে বা কথা বলার ভান করলে এমনভাবে বলবেন যেন আপনি কিছুক্ষণের মধ্যেই কারো সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন। নির্দিষ্ট করে '৫ মিনিট' বা '১০ মিনিট' বলবেন না। এভাবে বলবেন ''এইতো এসে গিয়েছি''।
* অন্ধকারে একা পথ চলার সময় ঝোপ,কবরস্থান,গ্যারেজ,বন্ধ মার্কেট,বন্ধ বাজার,বন্ধ স্টেশন এজাতীয় জায়গা এড়িয়ে চলবেন। অর্থাৎ যেসব জায়গায় উঁৎ পেতে থাকা ও সাধারণের চোখের আড়ালে থাকা যায় এমন জায়গা দিয়ে যাবেন না।
* আপনাকে যদি রাতের বেলা চলাচল করতে হয় তাহলে পেটিকোট,স্কার্ট জাতীয় কাপড় পরবেন না যা আপনাকে দৌড়াতে বাধার সৃষ্টি করে। স্যালোয়ার জাতীয় পোষাক পরা যেতে পারে।
* কোমরে ইলাস্টিক,রাবার দেয়া স্যালোয়ার/পাজামা পরবেন না যা জোর করে সহজে টেনে খুলা যায়।
* রেডিমেড প্যান্ট পরলে বেল্ট পরতে পারেন,বিপদের সময় বেল্ট অস্ত্র হিসেবে কাজে আসতে পারে।
* অন্ধকারে কেও পিছু নিয়েছে এবং অবশ্যই বিপদে পড়তে যাচ্ছেন মনে হলে আচমকা তীব্র চিৎকার করবেন।
* বাসায় পোষা কুকুর থাকলে সাথে নিতে পারেন সবখানে।
* লম্বা দড়িওয়ালা ভ্যানিটি ব্যাগ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তাছাড়া ভ্যানিটি ব্যাগ দ্বারা আক্রমণকারীর গলায় ফাঁস দিয়ে বিপাকে ফেলা যেতে পারে।
* নির্জন অন্ধকারে হাঁটার সময় মাইক্রোবাস জাতীয় দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহন এড়িয়ে চলুন।
* কোন এলাকায় প্রতিদিন যদি কেও বা কয়েকজন উত্যক্ত বা অনুসরণ করছে বলে মনে হয়,তাহলে অবশ্যই কাওকে জানানো উচিৎ…প্রয়োজনে জিডি করা যেতে পারে।
* রাতের বেলা সিএনজির চেয়ে রিকশায় ভ্রমণ করা উত্তম। আর রিকশাওয়ালা যদি অপরিচিত রাস্তা দিয়ে যাবার চেষ্টা করে তাহলে জোরে কথা বলে নির্দেশ দিন মূল সড়ক দিয়ে যেতে। ভয় পেয়েছেন এমন দেখাবেন না,দেখাবেন যেন আপনি রেগে গিয়েছেন।
* যদি একা সিএনজি নেন তাহলে ড্রাইভার দেখে এমনভাবে সিএনজির নাম্বারটা চেক করবেন এবং কাওকে মেসেজ করে পাঠিয়ে দেবেন। পরে সিএনজি চলার সময় ড্রাইভারকে শুনিয়ে শুনিয়ে তাকে এভাবে বলা যেতে পারে ''আপনাকে একটা সিএনজির নাম্বার দিয়েছি,আমি অমুক জায়গা থেকে এই মুহুর্তে উঠলাম''
* একা অন্ধকারে হাঁটার সময় আত্নবিশ্বাসের সাথে হাঁটবেন,এমন ভাব করবেন না যাতে আপনাকে দেখে কেও ভাবে যে আপনি আতঙ্কিত অথবা ভীত।
* রাতে চলাফেরা নিয়মিত করলে যথাসম্ভব সাজসজ্জা ও অলঙ্কার বর্জন করুন।
* পাবলিক বাসে লোক কম হলে,কয়েকজন লোক; সন্দেহজনক মনে হলে উঠবেন না।
* সবসময় এক রাস্তা দিয়ে যাতায়াত না করে ভিন্ন রাস্তা দিয়ে চলুন
* কেও আপনার পিছু নিলে তার সাথে আই কন্ট্যাক্ট করুন। চোখে চোখ রাখলে অনেক ক্ষেত্রে আক্রমণকারী পিছু হটে।
--যদি আক্রমণের শিকার হনঃ-
* অণ্ডকোষ বরাবর লাথি দেবার চেষ্টা করুন।
* চোখে আঙ্গুল ঢুকানোর বা মরিচের গুঁড়ো মারার চেষ্টা করুন।
* যত সম্ভব অপরাধীর শরীরে চিণ্হ রেখে দিন যাতে তাকে পরে শণাক্ত করা সহজ হয়। যেমন চোখ গেলে দেয়া,গালে কামড়,ঘুষি মেরে নাক থেঁতলে দেয়া ইত্যাদি
* আক্রমণ করতে আসলে যেভাবে পারুন বাঁচার চেষ্টা করুন,যদি এমন ও হয় যে বাঁচার চেষ্টা করলে আহত হবেন তাও…কেননা ধর্ষক সাক্ষী বিলুপ্ত করতে আপনাকে মেরে ফেলতেও পারে।
* আপনার চুলে চপস্টিক,ক্লিপ বা ব্যাগে ছুঁচালো কিছু থাকলে তা দিয়ে আক্রমণকারীর তলপেট,গোপনাঙ্গ,চোখ ইত্যাদি সংবেদনশীল অঙ্গে আঘাত করুন।
* কখনো পালিয়ে কোন বন্ধ রুম,বাথরুম,গাড়ির দিকে যাবেন না…খোলা রাস্তায় থাকার চেষ্টা করবেন।
* পেছন থেকে জাপটে ধরলে কনুই দিয়ে তলপেটে গুঁতো দিন,পেছনে লাথি দিয়ে গোপনাঙ্গে লাগানোর চেষ্টা করুন।
* যদি কয়েকজন মিলে আপনাকে ধরে ফেলে তাহলে তাদেরকে আপনার কোন গোপন/ছোঁয়াছে রোগ আছে,যেমন ঘা,গনোরিয়া,হাঁপানি,হুপিং কফ ইত্যাদির কথা বলতে পারেন। হয়তো তারা পিছু হটবে ভাগ্য ভালো হলে।
* গোপনাঙ্গ ধরে হেঁচকা টান দেয়া যেতে পারে। শক্ত অবস্থায় এমনটি করলে গোড়া থেকে আলগা হয়ে যায় স্থায়ীভাবে।
ধর্ষিতা মেয়েরা এই দুই লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হতে পারে :
http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1440
http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/1864/aynashah/27049
আমি ধর্ষিতা নিকাবীদের উদ্দেশ্য করে বলছি :
বোন ! উঠে দাড়াও । জোড় গলায় বলো । আমি ধর্ষিতা । আমাকে অমুক তুমুকে ধর্ষণ করেছে । তুমি নিজেই এর প্রতিকার খুজে বের করো ।
সৌদি আরব ও পাকিস্তানে কেন নারী সমাজ পিছিয়ে আছে তার কারণ বহুবিধ । বোরকা ও নিকাব যে মুসলিম নারী সমাজকে পিছিয়ে রাখার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান কারণ তা বর্তমান কালের কিছু গবেষণা জোড় দিয়ে তা উপস্হাপন করেছে :
http://www.pewresearch.org/fact-tank/2014/01/08/what-is-appropriate-attire-for-women-in-muslim-countries/#utm_source=mostpopularft&utm_medium=internal&utm_campaign=PR
http://blog.foreignpolicy.com/posts/2014/01/08/survey_says_muslim_women_should_cover_their_hair_but_not_their_faces#sthash.ZamGCFvg.UYEh1ytC.dpbs
আরো জানতে পড়ুন :
১. ধর্ষণ হতে রক্ষা পাওয়ার উপায় ( ১ম পর্ব )
http://www.bdtomorrow.com/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/30023
২. ধর্ষণ হতে রক্ষা পাওয়ার উপায় ( ২য় পর্ব )
http://www.onbangladesh.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/30276#.UukjEPuIa1s
মেয়েরা মনে রাখবেন :
১.প্রতি ২ মিনিটে ১ টা মেয়ে সম্ভ্রম হারায় ।
২.সম্ভ্রম হারানোর ফল খুবই খারাপ । আপনি মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়বেন । পোস্ট স্ট্রোমাটিক স্টেস ডিসঅডার ছাড়াও সেক্সচুয়াল্লি ট্রান্সমিডেট ডিজিজ ছাড়াও আপনার মনে পুরুষদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা বদ্ধমূল হয়ে যাবে ।
৩.৭৫% সম্ভ্রমহারা মেয়ের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয় ।
৪.৪৫ % ধর্ষকের আছে মারাত্মক সব রোগ । আপনি তাদের দ্বারা সম্ভ্রম হারালে সেসব রোগে আপনি আক্রান্ত হবেন ।
৫.৬২ % সম্ভ্রমহানীর ঘটনা কখনোই সম্ভবহারারা সারা জীবন কারো কাছেই প্রকাশ করেন না ।
সুতরাং ধর্ষণ হতে বাঁচুন । আত্মরক্ষা কৌশল শিখুন । কারণ : বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত
Women who learn self-defense have higher self-esteem.
তাহলে Stand and speak out.
আমরা আপনাদের সাথে আছি । আজই আমাদের এই পেজে লাইক করুন এবং আমাদের সাথেই থাকুন ।
উপসংহার :
ধর্ষণের স্বীকার নারীর প্রধান কর্তব্য হলো : তার ধর্ষণের ঘটনাকে যথাসম্ভব পরিচিত কারো কাছে প্রকাশ করা এবং যত দ্রুত সম্ভব আইনের দ্বারস্হ হওয়া । ধর্ষণ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য আত্মরক্ষা কৌশল আয়ত্ব করার সাথে সাথে নিজেকে সদা সতর্ক অবস্হায় রাখতে হবে । আর ধর্ষণের শিকার হয়ে গেলে নিজেকে কোন ভাবে গুটিয়ে রাখা যাবে না । প্রতিটি মেয়েরই উচিত বাংলাদেশের নারি নির্যাতন ও মুসলিম পারিবারিক আইনের সাথে সম্পৃত্ত আইনের ধারা ও উপধারা সম্পর্কে ধারণা রাখা । কারণ আইন ও সচেতনতাই একটা মেয়েকে ক্যারিয়ারিস্ট হয়ে উঠতে সাহায্য করে ।
আরো তথ্য জানতে পড়ুন :
1. ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় পরিমলের শুনানি ১৪ সেপ্টেম্বর http://www.redtimesbd.com/details.php?id=19435
2. সাড়ে চার বছর যেমন ছিলেন মা-বোনেরা
http://www.somewhereinblog.net/blog/rneyamulhoque/29849920
3. কুষ্টিয়ায় দেড় শতাধিক ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের যৌন কেলেঙ্কারি
http://istiqur.blogspot.com/2013/07/blog-post_2043.html
4. একজন পরিমলই হোক দৃষ্টান্তমূলক সাজার অনন্য উদাহরণ..আসুন ছোট এই বোনদের পাশে দাঁড়াই।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Masudbestbest/29407871
5. প্রাণবন্ত উচ্ছ্বল কিশোরীদের পাশে দাঁড়ান
http://www.nagorikblog.com/node/5348
6. দেড় শতাধিক ছাত্রীর সর্বনাশ করেছেন পান্না মাস্টার
http://probasebangladesh.com/2013.08.05.4498.html
বিষয়: বিবিধ
৭৪৩৪ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আত্নরক্ষার জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার করা যেতে পারে এবং করাও উচিৎ। যেমন প্রিকোশোনারী মানি – সব সময়ই প্রয়োজনের অতিরিক্ত এবং সবাই তা হোল্ড করে প্রয়োজন না থাকলেও।
রাসূল(সাঃ) এর নিরাপত্তার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছিলেন বলে, উনি তার পাহাড়াদার হিসেবে সাহাবীদের আর রাখেন নাই; কিন্তু সম্ভবত ওহুদ যুদ্ধে – রাসূল(সাঃ) কি করলেন? একটার জায়গায় বর্ম লাগাইলেন দুইটা? একটা বর্ম কি নরমাল না? কিন্তু উনি লাগাইছিলেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত আরও একটা; আত্নরক্ষা কি হইছিল? এটা আল্লাহর ডিসিশন ছিল তাই প্রয়োজনের অতিরিক্তও সুরক্ষা আনে নাই। ঘটনাটা কোন যুদ্ধের জানলে জানাবেন আমার যা মনে পড়ছে তার উল্লেখ করলাম।
তো এখন যে পরিবেশ – তাতে নারীরাও তাদের প্রয়োজনীয় পর্দার চাইতে অতিরিক্ত করলেও দোষের কিছু নাই এবং করাই উচিৎ বলে মনে করি।
আর এর আগে কোন এক জায়গায় আমি বলছিলাম আপনাকে – সংবাদ মাধ্যমে উপস্থাপিত ষ্টাটিস্টিক্স প্রমাণ করে ঘরের বাইরে ধর্ষন বেশী হয় এবং বেশী হয় সেগুলা যাদেরকে দেখলে ধর্ষন করতে মনে চায়। এরকম মনে চাওয়া যৌক্তিক এবং অস্বীকারকারী মূলত সত্য গোপনকারী, ইসলামের কোথায় আছে না - কোন নারীকে দেখে কামনা বাসনা জাগলে স্ত্রীর কাছে যাও? খেয়াল করেন এখানে দেখলে ঐটা করতে মনে চায় – তাইলে না দেখাইলে কি এর থেকে বিরত রাখা যায় না? সব কথা কি আল্লাহ বলে দিছে ব্যাখ্যা কইরা? পৃথিবীতেই তো ব্যাখ্যার জায়গা হবে না – এখানে চিন্তা করেই সমাধান করতে হবে – আবেগ দিয়ে হবে না। যে ভাবলাম - হায় নারী তুমি আমার অর্ধেক হেন-তেন, তোমার জন্যই সব আমার যা অধিকার তোমারও তা – এসব যুক্তিহীন আবেগ বর্জন করতে হবে আমাদের।
ছিনতাই এড়াতে সময়-অসময় আমরা চলাচলে নিজেরা নিজেদের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারি আর ধর্ষন এড়াতে কেন আমরা পুরুষদের বাধতে চাই নিজেরা কৌশলে সেফ এ থাকা বাদ দিয়ে? যদি প্রয়োজন না থাকে এবং নারীরা এরপরেও যদি আজাইরা ঘুরতে ঘরের বাইরে যেতেই চায় – তবেতো তারা তথ্য-প্রমাণ-শিক্ষাকেই কাজে লাগাতে ইচ্ছুক না, এক্ষেত্রে তাদেরকে অথর্বই বলতে হবে – এবং বিহ্যাভিয়ারিয়াল ষ্ট্যাট এর ট্রেন্ড বলে - এ ধরনের অথর্বদের আরও বেশী হারে ধর্ষন করা হবে!
আপনাকে অনুরোদ করছি : আমার পোস্টে অপ্রাসঙ্গিক কোন কথা লিখবেন না । আপনার নিকাব ভাল লাগলে - সারা বাংলাদেশের মেয়েদের নিকাব পড়ার জন্য আর বোরকা পড়ার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলুন, তাতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি থাকবে না ।
আপনি বলেছেন :
"এখন যে পরিবেশ – তাতে নারীরাও তাদের প্রয়োজনীয় পর্দার চাইতে অতিরিক্ত করলেও দোষের কিছু নাই এবং করাই উচিৎ বলে মনে করি। "
আমি আপনার সাথে একমত নই । কারণ :
যারা তাদের বোনদের বা স্ত্রীদের বোরকা, নিকাব ও হাত মোজা- পা মোজা পড়ার কারণ হিসেবে বলেন : বর্তমান দুনিয়ার অবস্থা খারাপ । যতই দিন যাচ্ছে বিপর্যয় ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা ইভটিজিং বেড়ে যাচ্ছে । ধর্ষণ বেড়ে গেছে । শিক্ষাঙ্গনে পরিমল ছাত্রীধর , পান্না মাস্টার, মালু সম্প্রদায় ও ধর্ষক লীগ । নোংড়ামীর চিত্রায়ন । তাই মেয়েদের বেশী বেশী পর্দা করাতে হবে ।
তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে, মেয়েরা বাড়ির ভিতরে থাকলেই পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসবে । তাদের প্রতিভা বিকাশের প্রয়োজন নেই । মানুষ সভ্যতায় কোন অবদানের প্রয়োজন নেই ।বড় জোড় সন্তান জন্ম দান আর স্বামীর সেবা করাই যথেষ্ঠ ।
জামানা খারাপের দোহাই দিয়ে বোরকা, নিকাব ও হাত মোজা- পা মোজা পড়তে বোন ও স্ত্রীদের পড়ানো কতটা গ্রহণযোগ্য ?
জামানা খারাপের দোহাই দিয়ে বোরকা, নিকাব ও হাত মোজা- পা মোজা পড়তে বোন ও স্ত্রীদের পড়ানো গ্রহণযোগ্য নয় । কারণ :
১. পৃথিবী কখন কোন অবস্থায় যাবে তা আল্লাহ ছাড়া আর কেহ জানেন না ।
এই রকম বোরখা, নিকাব, হাত মোজা ও পা মোজা পড়ার পরিস্থিতি আসার কথা কি আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করে দিতেন না ? কারণ আল্লাহ বলেছেন :
আমরা এই গ্রন্হে কোন কিছুই বাদ দেই নাই…..
( সুরা আনয়াম :৩৮)
আর সত্য ও ন্যায়ের দিকে তোমার প্রতিপালকের বাণী সম্পূর্ণ । আর তার আয়াত পরিবর্তনকারী কেহ নেই । তিনি সব শোনেন সব জানেন । (সুরা আনয়াম : ১১৫ )
এটি করুণাময় দয়ালু কাছ থেকে অবতীর্ণ একটি গ্রন্হ যার আয়াতগুলো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে । (সুরা হামীম আস সিজদা : ২ )
অথচ আমরা কুরআনে দেখছি একটা ওড়না দিয়ে মাথা, বুক ঢাকতে বলা হয়েছে । অথচ হাতমোজা, পা মোজা সহ মুখ ঢাকা-র উপযোগী বোরকার পড়ার জন্য বাধ্য করা বা জনমত গঠণ করা কি সীমালংঘন নয় ?
২. আল্লাহ সব কিছু জানেন । ইসলাম সহজ ও যুক্তির ধর্ম । ইসলামে এমন কিছু নাই যা মানুষের জন্য কষ্টকর । আমরা ওযু করতে না পারলে অন্য বিকল্প ব্যবস্হার আশ্রয় নেই । অসুস্হ থাকলে বা সফরে থাকলে রোজা কাজা করি । এজন্যই আল্লাহ বলেছেন :
আল্লাহ তোমাদের বিশেষভাবে নির্বাচিত করেছেন, আর তোমাদের প্রতি ধর্ম সম্পর্কে কোন প্রকার কাঠিন্য করেন নাই ।( সুরা হজ্জ: ৭৮ )
৩. কিছু লোক তাদের বিশেষ উদ্দেশ্যে বা ব্যক্তিস্বার্থে ভুল ব্যাখ্যা উপস্হাপন করছে ।অথচ আল্লাহ বলেছেন,
হে আদম সন্তান ! আমি তোমাদের জন্য অবতীর্ণ করেছি পোশাক । যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে । আর অবর্তীণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র । আল্লাহভীতির পোশাক সর্বোত্তম । (সুরা আরাফ : ২৬)
৪. ইসলাম বিবেক বুদ্ধি প্রয়োগের ধর্ম । এজন্য সুরা মূলকের প্রথম দিকে জান্নাত যাওয়ার জন্য বিবেক বুদ্ধি খাটানোর কথা বলা আছে । এজন্য মানুষের সাভাবিক বিবেক বুদ্ধিকে ব্যব হার করতে বলে ইসলাম । যে মেয়েটা সাংবাদিক, যে মেয়েটা সিভিল ইন্জিনিয়ার তার জন্য অবশ্যই বোরখা, নিকাব, হাত মোজা ও পা মোজা কতটুকু পরিধেয় পোষাক হতে পারে ?
৫. ইসলাম নৈতিকতাকে গুরুত্ব দেয় ।আমরা দেখি, কুরআনের আয়াতকে বিকৃত করা হচ্ছে অনুবাদের মাধ্যমে বা ব্যাকেট দিয়ে বেশ কিছু শব্দ অনুবাদে ঢুকিয়ে বিশ্লেষন মুলক অর্থ দেয়া হয় । আর কুরআনের অর্থকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য রাসুল সা. ও তার সাহাবীদের বানী ও কর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে ।তাদের এই অধিকার কোরআনের আয়াতের অর্থ নিজেদের মত করে করার কে দিয়েছে ?
এজন্য আল্লাহ বলেছেন :
যারা আমার আয়াতগুলোকে বিকৃত করে তারা আমার অগোচর নয় । শ্রেষ্ঠ কে ? যাকে জাহান্নামে ফেলা হবে সে, না যে কিয়ামতের দিন নিরাপদ থাকবে সে ? তোমাদের যা ইচ্ছা কর, তোমরা যা কর তিনি তা দেখেন । (সুরা হামীম আস সিজদা : ৪০-৪১)
কাউকে তো মাতাব্বরি করতে বলা হয়নাই ধর্মের ব্যপারে।
একটা ওড়না দিয়ে মাথা, বুক বলা হয়েছে যেখানে ,সেখানে হাতমোজা-পা মোজা স হ চোখের উপর ২ পার্টের বোরকার ফতোয়া দেয়া কি সীমালংঘন নয় ?
এ দায়িত্ব কি ওলামাদের দেয়া হয়েছে? পর্দার ব্যপারে এসব বাড়তি পোষাক চাপিয়ে দেয়া দূঃসাহসিক সীমালংঘন।
আল্লাহ তায়ালা সর্ববিষয়ে জ্ঞাত আছেন। ইসলাম সহজ-সুন্দর ধর্ম। ইসলামে এমন কিছু নাই যা মানুষের জন্য বহন করতে কষ্টকর হবে।
তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে কোন জটিলতা করেননি ।
সুরা হজ্জ :৭৮
মানুষের সাভাবিক বিবেক বুদ্ধিকে ব্যবহার করতে বলে ইসলাম। নৈতিকতাই প্রধান ব্যপার। ইন্টার্নেটের ওয়েব সাইট ও প্রকাশিত বইগুলোতে কোরআনের আয়াত গুলোতে দেখা যায় ব্রাকেটের ভিতর বিশ্লেষণ মুলক অর্থ (বোরকা, হাত মুজা, পা মুজা, মুখ ঢাকা ) দেয়া হয় । তাদের এই অধিকার কে দিয়েছে কোরআনের আয়াতের অর্থ নিজেদের মত করে করার ?
পোষাকের ব্যপারে কোরআনের মূল নীতি হচ্ছে মার্জিত থাকা। একজন সুস্থ মানুষ কিভাবে মার্জিত থাকতে হয় ভালো ভাবেই জানেন। এ জন্য কোরআনের আয়াতের অতিরীক্ত ব্যখ্যা দেয়া কোন প্রয়োজন নেই।
কুরআনের আয়াত অনুযায়ী হাতের পাতা, পায়ের পাতা এবং চেহারা বের হলে কোন অসুবিধা নেই। পর্দা রক্ষার জন্য বোরখা পরিধান করতে হবে এমন কোন ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। বোরখার রং বা হুল কতটুকু হবে সে ব্যপারেও কিছু বলা হয়নি।
কিন্তু কিন্তু কিছু লোক বোরখা পড়ে পর্দা করতে হবে নিম্ন রুপ:
বাইরে বের হতে বোরখা পরিধান করতে হবে। সে বোরখা হবে পা পর্যন্ত লম্বা এবং কালো কাপড়ের । নিচের পার্ট ঢোলা-ঢালা পায়ের পাতা পর্যন্ত। উপরের পার্ট প্রায় হাটুর নিচে চলে যায় ঝুল। এরপর মুখ ঢাকার জন্য নেকাব। বাকি থাকে চোখ। চোখ ঢাকার জন্য জরজেটের ২টা পার্ট, ঝুল প্রায় বুক পর্যন্ত। ( ইলিয়াসী তাবলিগ আর তেতুল হুজুরীদের প্রবর্তিত নিয়ম )
আর এজন্য তারা সাহাবী আব্দুল ইবনে আব্বাস-সহ বেশ কিছু সাহাবীর ব্যক্তিগত অভিমতকে প্রয়োগ করার জন্য গুরুত্ব দেন । এমন কি শুধুমাত্র এক চোখ খুলে চলাফেরা করার কথাও বলেন । ইবনে আববাস রা-এর বাণী" ويبدين عينا واحدا ‘কেবল একটা চোখ খোলা রাখবে। কেবল পথ দেখার যরূরী প্রয়োজনে। (তেতুল হুজুরী মতবাদের বইয়ে বলা আছে । )"
অর্থাৎ মেয়েদের বোরকা পড়লেই চলছে না । নিজের ভাল একটা চোখকে অন্ধ করে ফেলতে হবে ।
এপ্রসঙ্গে জাকির নায়েক এই ভিডিওতে সুন্দর একটা কথা বলেছেন । আপনার তা দেখতে পারেন : http://www.youtube.com/watch?v=5PkeQ_9XBO8
আল্লাহ তায়ালা সব বিষয়ে জ্ঞাত। যুগের অবস্থা কখন কেমন হবে তা আল্লাহ তায়ালা ভালো করেই জানেন। যদি এমন করে বোরখা পড়ার প্রয়োজন হতো তাহলে তিনি কুরআনে উল্লেখ করেই দিতেন।
কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি ইসলামের হুকুম বানানোর : যে এটা অপরিহার্য বা ফরজ । এটি সীমালংঘনেরই নামান্তর।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে অনেক কিছুই তো দেয়া নেই কুরআনে। কথা হলো সারা কোরআন বহুবার রয়েছে আল্লাহ মানুষকে সবচেয়ে বুদ্ধিমান বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তৈরি করছেন। এজন্য মানুষকে স্বাভাবিক বিবেক বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে বলা হয়েছে। স্বাভাবিক বুদ্ধি সম্পন্ন লোক কখনও উপরোক্ত ফর্মুলায় পর্দা করার কথা বলবেন না।
এবার আসি কুরআন অনুযায়ি মহিলা কীভাবে পর্দা রক্ষা করতে পারে। এ ব্যপারটা অনেকটা ব্যক্তিগত। কে কীভাবে পর্দা রক্ষা করবেন তা নিজের ব্যপার। ব্যপারটা জায়গা ভেদে আলাদা হয়।
প্রথম কথা হচ্ছে ” ইন্নামাল আ’মালু বিন্নিয়াত”। সব কিছু নিয়তের উপর নির্ভর করে ।
অর্থাৎ, ইচ্ছেটা ঠিক হতে হবে। আমি এমন ভাবে পোষাক পরিধান করবো বা বডি ল্যাংগুয়াজ আমার এমন হবে যাতে করে অনর্থক বিশৃংখলা সৃষ্টি না হয় সমাজে।
মূল কথা হলো যে কোন পোষাক পড়েই মার্জিতভাবে থাকা। এবং একজন সুস্থ মানুষ জানেন কিভাবে মার্জিত থাকতে হয়।
আগা থেকে মাথা পর্যন্ত বোরখা জড়িয়ে যদি নিয়ত খারাপ হয় তাহলে কোন ফায়দা নেই । ইদানিং বড় ধরণের অপরাধীরা বোরকা পড়ে অপরাধ করে থাকেন ।
নিজেদের যোগ্যতা ও মেধাকে বিকষিত করার চেয়ে কিছু সংগঠণ যদি পর্দা করার জন্য বোরখা পরা আর ছেলেদের সাথে সাভাবিক কাজের সময়ও বিকৃত স্বরে কথা বলা বা বাপের বয়সি শিক্ষকের সাথেও কথা বলা হতে বিরত থাকতে বলে, তাহলে বলছি :
কোন দরকার নেই ঐ রকম পর্দার যা একটা মেয়ের প্রতিদিনের চলা ফেরা কে ব্যঘাত ঘটায় এবং দুর্বল করে দেয় মানসিক, শাররিক ভাবে এবং তার প্রতিভাব বিকাশকে রুদ্ধ করে ।
নিয়ত কে শক্ত করতে হবে। পর্দার দায়িত্ব কেবল মেয়েদের নয়। কিছু সংগঠণ ও কিছু লোক বলেছেন : মেয়েরা বেশী বেশী কাপড় পড়লে বা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাকলে দুনিয়ায় শান্তি মিলবে। কারণ খারাপ ছেলেরা প্রবলতর । খারাপ ছেলে তো রাসুলের (সা.) যুগেও ছিল । স্বয়ং রাসুল (সা.) -এর যুগে মসজিদে নববী-তে নামাজ পড়তে যেয়ে মহিলা ধর্ষিত হয়েছে এমন ঘটনাও ঘটছে । তারপর রাসুল (সা.) মসজিদে মহিলাদের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করেননি ।
ইসলামটাকে নষ্ট করে ফেলছে এ ধরনের সংগঠণ ও লোকরা । ইসলামটাকে পুরুষদের জন্য বানিয়ে ফেলছে।
আপনাদেরকে একটা অনুরোধ করবো:
কোন সংগঠন, লোক বা তাদের বই পড়ে ইসলামকে চিনবেন না । নিজেরা অনেক পড়াশোনা করুন । গবেষণা করুন । কুরআন পড়ুন । কুরআন নিয়ে গবেষণা করুন । ইসলাম কারো বাপ-দাদার সম্পত্তি না যে , যা মন চায় তাই ফতোয়া দিবে।
আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে :
মুসলিম মেয়েদের মুখ ও হাতের তালু ছাড়া সমগ্র শরীর ঢেকে রাখতে হয় । অন্যথায় অপবিত্রা মেয়েদের মতো পেটের অধিকাংশ স্হান অনাবৃত রেখে ও চুল অনাবৃত রেখে শাড়ি পড়লে বা বুক ও মাথা অনাবৃত রেখে ওড়না পড়লে কবিরা গুনাহ হবে ।
ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়ার জন্য এই পেজগুলো ভিজিট করা যেতে পারে :
http://www.facebook.com/SalwarKameezHijab
https://www.facebook.com/SareeHijab
"মেয়েদের-জন্য-আত্মরক্ষা-কৌশল" । http://www.facebook.com/SelfdefenseTechniquesForFemales
ফেসবুকের শেষ পেজে মেয়েরা কীভাবে আত্মরক্ষা করবে - তার অনেক কৌশল দেওয়া আছে । মেয়েদের সবাইকে এই পেজ ভিজিট করার জন্য অনুরোদ করছি ।
আর জনাব বুড়া মিয়া-কে বলছি : সুস্হ জীবনবোধ সম্পন্ন মানুষের মতো চিন্তা-ভাবনা করতে শিখুন ।
কুর’আন নিয়ে আরও গবেষনা করে দেখেন সেখানে কোথায় বলা আছে যে আল্লাহ সব কিছু প্রকাশ করবার নন এবং করেনও না! চোখ বন্ধ করে এক আয়াত দেখাইয়া একবারে তামাম দুনিয়ার জ্ঞান ঢেল দেয়া হয় নাই!
সীমালঙ্ঘন কি তা আপনি বুঝার চেষ্টা করুন, প্রয়োজন পড়লে দুনিয়াদারী বাদ দিয়া বকরী নিয়া পাহাড়ে যাওয়া সীমালঙ্ঘন না হলে আপনি এখানে কি করেন? সীমালঙ্ঘন করে ফিতনার দুনিয়ায় থেকে আরও গ্যাঞ্জাম বিস্তার তো মুসলিমদের ঐশী বিধান? এজন্য? আর অসুস্থ চিন্তা নিজে বাদ দিয়ে জীবন কি তাই আগে বোঝার চেষ্টা করেন!
কোন দরকার নাই ঐ ধরনের নারীর সিক্যুরিটির যার প্রয়োজন না থাকলেও বের হতে হয় প্রতিভা-মেধা-জ্ঞান বিকাশের! জ্ঞান-মেধাতো খালি নারীর উপর ঢেলে দেয়া হয় আর পুরুষরা বেকুব আর আপনার মতন।
সর্বোপরি আপনি হাফ-লেডী এর মতো নারীদের ফাও কামে রাস্তায় নামানোর দালালী বাদ দিয়ে সুস্থ বিবেক সম্পন্ন পুরুষ হওয়ার চেষ্টা করুন।
কথাবার্তা পছন্দ না হলে ব্লক করে রাখেন!
মেয়েরা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয় এবং সরাসরি কর্মক্ষেত্রে যুক্ত । পরিসংখ্যান মতে ৪ কোটি মহিলা প্রতি দিন ঘর হতে বের হয় । আর ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের কারণ এক গ্রামীণ ব্যাংকে ৮০ লাখ মহিলা যাতায়াত করে ।
আমি মেয়েদের ঘর হতে বের করতে যাবো কেন ? তারাই প্রয়োজনে বের হবেন ।
কিন্তু আপনার মতো কিছু মানষিক বিকারগ্রস্হ বাংলাদেশের অনেক নারিকে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখেন । সমস্যাটা এখানেই । আমরা সুস্হ জীবনবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে এই অমানবিক ও সভ্যতাবিরোধী বিষয়টার প্রতিবাদ করছি মাত্র । আশার কথা হলো, যত দিন যাচ্ছে, আপনাদের মতো লোকদের পায়ের তলার মাটি ক্রমশ নাই হয়ে যাচ্ছে । কিন্তু তারপরও মাঝে মধ্যে আপনাদের অশুভ ছায়া দেখা যায় । যেমন : কখনো আপনার তেতুল তত্ব প্রচার করেন । কখনো ফিতনা তত্ব প্রচার করেন । ব্যাপারখানা এমন যে পুরুষ মাত্র নারীদের মৃত্যুই নয়, জীবনের হুমকি ।
হায় রে ! আপনাদের ধর্মবোধ, ধর্মীয় চেতনা !
দেশ একটা ম্যাক্রো অর্গানাইজেশন অ্যাজ এ হোল, প্রত্যেকটা পরিবার একেকটা মাইক্রো অর্গানাইজেশন। প্রত্যেকটা অর্গানাইজেশন এর টিকে থাকার জন্য তার কিছু নিয়মনীতি আছে যা ফলো করতে হয় সেটার কর্মী এবং মালিকদের; না হয় শো-কজ করা হয় অথবা অর্গানাইজেশন থেক স্যাক করা হয় – অর্গানাইজেশন সিষ্টেম টিকিয়ে রাখতে।
পরিবার এমন এক অর্গানাইজেশন যেখানে স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেকেরই দায়িত্ব আছে। সেখানে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, উপার্জন অক্ষম এবং লেখা-পড়া চালিয়ে যাওয়া মেম্বার এবং শিশুরা থাকে। একসাথে স্বামী স্ত্রী প্রত্যেক ঘর থেকে অফিসে গেলে পরিবার নামক অর্গানাইজেশনের সে দায়িত্ব কে নিবে? কাজের ছেলে মেয়ে? নাকি নতুন কোন হোম ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান লাগবে যুগের তাগিদে? এভাবে কাজের ছেলে-মেয়ে বা হোম ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী দিয়ে ম্যানেজ করে পরিবার টিকিয়ে রাখলে পরিবার নামক মাইক্রো অর্গানাইজেশন এর কি অবস্থা হবে? মমত্ববোধ, দায়িত্ববোধ এরকম হতে হবে মানুষের? এটা সুস্থ চিন্তা? এরকম আচরণ সামাজিকতা?
সামান্য একটা মাইক্রো অর্গানাইজেশন ম্যানেজমেন্ট কিভাবে করতে হয় তা বোঝার যোগ্যতা রাখেন না আবার সমাজ নিয়ে চিন্তা করেন?
মানসিক বিকারগ্রস্থ আপনি, আর লজ্জাবোধ করেন নিজেদের চিন্তার অদূরদর্শীতার!
আপনার মতো চিন্তার ফলে পরিবার নামক অর্গানাইজেশনতো ধ্বংস হবে, প্রমাণ করেনতো – নারী-পুরুষ কেউ বাসায় নাই – ছেলে-মেয়েরা ভালোভাবে গড়ে উঠবে, পারবেনই তো না!
নাকি আপনাদের চেতনাই পরিবার নামক অর্গানাইজেশন ধ্বংস করা?
খাবার এবং সবকিছু স্বামী দিতে পারলে কোন প্রয়োজনেই নাই বাইরে বের হবার।
আপনাকে ++++
বর্তমানে ছেলেদের একটা বড় অংশ বিয়ের জন্য কর্মজীবি মেয়েকে পছন্দ করে থাকে । এর বড় কারণ হিসেবে তারা বলেন : ঢাকা শহরে দুই রুমের একটা ফ্লাটের মাসিক ভাড়া ১২ হতে ৩০ হাজার টাকা । আমি নিজে বেতন পাই ২০ হাজার টাকা । যদি বৌ চাকরী করে তাহলে দুই জনে মিলে আমরা ভালভাবে চলতে পারবো ।
... এই ব্যাপারে আমি আর কিছু বলছি না । যারা বুদ্ধিমান ও বিবেক আছে , তাদের জন্য ইশারাই যথেষ্ঠ ।
ছেলের যোগ্যতা কম থাকলে কম দামের জায়গায় না থেকে, এতো ভালো জায়গার থাকার লোভ কেন? এই লোভের জন্য বৌ নামায় রাস্তায় আর বাজারে? পরিবার নিশ্চয়ই নাই তাদের, তাই এর দায়িত্ববোধের প্রশ্নই তাদের আসেনা – আর তাই এভাবে ছুটে বেড়াতে পারে! পরিবারবিহীন মানুষ সামান্য কুকুর-বিড়ালের মতো প্রাণীর ক্লাসের হতে পারে – মানুষ নামক সামাজিক জীব কখনই নয়!
মাইক্রো-ক্রেডিট অর্গানাইজেশনের খুটি-নাটি পরীক্ষা করে দেখার অভিজ্ঞতা আছে আমার অ্যাজ থেকে আরও ৭/৮ বছর আগেই। তারা লোন নিয়ে দিনের জাগ্রত ১৬ ঘন্টার ১২ ঘন্টা চলতে পথে আর অফিসে ব্যয় করে না পরিবার বিসর্জন দিয়ে মাত্রারিতিরিক্ত টাকা উপার্জনকারী মেধাবী সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নারীর মতন!
এখন এমন হয়েছে যে, গ্রহীতা মাইক্রো-ক্রেডিট অর্গানাইজেশন ছারতে চাইলেও অর্গানাইজেশন বিভিন্ন কৌশলে তাদেরকে ছারতে চায় না।
ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষতিকর দিক রয়েছে । যেমন : ঋণকে সঠিকভাবে ব্যবহার না করা এবং ক্ষেত্র বিশেষে মাত্রারিক্ত সুদ ও সার্ভিস চার্জ ।
ক্ষুদ্র ঋণ বাংলাদেশের নারী সমাজের মধ্যে বড় ধরণের পরিবর্তন এনেছে । এই ব্যবস্হা মেয়েদের ভয়েস-কে শক্তিশালী করেছে । নারী ক্ষমতায়নে বড় ধরনের ভুমিকা রেখেছে । নারীকে ক্ষমতাহীন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অকার্যকর করে রাখলে একটা পরিবার শক্তিশালী হতে পারে না । ঠিক তেমনি রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যেও নারীর ক্ষমতায়ন ও পদায়ন না হলে সেই দেশ অগ্রসর হতে পারবে না ।
নারীর ভয়েস রেইজ করে করতে সারা বিশ্বকে মাইগ্যা জাতি উপহার দিছেন না? বিশ্বে কি বাংলাদেশের মতন দীর্ঘদিন মাগীশাসিত দেশ আর একটাও আছে? আর এর পরেও বলেন এ দেশের মেয়েদের অধিকার নাই? সারা বিশ্বের মধ্যে নিজেদের মাইগ্যা জাতির তকমা লাগার পরেও লজ্জাবোধ করার বদলে আবার তা আরও উস্কে দিতে গর্ব করেন? আপনাদের মতন গুলাকে হাফ-লেডী বলা কি অযৌক্তিক?
আর ইঞ্জিনিয়ারিং কেন স্বাভাবিক যে কোন ক্ষেত্রেই মেয়েদের যোগ্যতা – সেতো ৯০% কোটার জোড়ে সাতরে বেড়ায় বাজারে!
আর সারা বিশ্বে – টোটাল মানুষের অবদান এর মধ্যে মেয়েদের প্রোপোর্শোন কত তা হিসেব করছেন? যার যে ক্ষেত্রে তাকে সেখানেই মানায় – কাকের পাছায় লেঞ্জা লাগাইয়া ময়ূর বানানো যায় না!
ইউ.এস.এ তে মানায় নারীদের রাস্তায় নামা – তাদের বিশাল এলাকা এবং বিশাল ক্ষেত্র ইউটিলাইজ করতে হলে তাদের নামাটা স্বাভাবিক, না নামলেও তারা পারে। আমাদের এখানে কি এমন? এখানে তো নারীকে প্রাধান্য দিলে আরেকটা একই যোগ্যতার পুরুষ বঞ্চিত হচ্ছে। এমন না যে সেই নারীরও অভাব আছে সব ক্ষেত্রে।
একান্ত প্রয়োজন হলে অবশ্যই নারী আসবে বাইরে, কিন্তু পুরুষকে বঞ্চিত করার জন্য বিশৃংখলা তৈরী করতে কেন চাকরী করবে প্রয়োজন না থাকলেও?
একই যোগ্যতাসম্পন্ন যে পুরুষ কর্মহীন অথবা অযাচিত কাজ করছে – তার মেধা মূল্যহীন আর নারীরটা একদম মূল্যবান হয়ে গেছে? এখানে প্রতিযোগীতার ব্যাপার ভাবলে ভুল করবেন – এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাধান্য দিয়ে বিশৃংখল অবস্থা তৈরী করছে। ভেবে দেখেন ভালো মতন!
মেধা ও যোগ্যতার গুণে যে বা যারা সফল হবে তারাই টিকে থাকবে । কোন নারী যোগ্য হলে পুরুষকে বঞ্চিত করার প্রশ্ন কেন আসবে ।
বাংলাদেশে নারীরা একেবারেই মেধাহীন বা মূল্যহীন নয় । তারা যোগ্যতার সাথে দেশ-বিদেশে সর্বক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন । https://www.facebook.com/pages/Bangladeshi-Women/141698479361216 - ফেসবুকের এই পেজে বাংলাদেশি কিছু মেয়ের সফলতার কথা জানতে পারবেন । তা শুধুমাত্র সফল মেয়েদের ক্ষুদ্র অংশ মাত্র ।
আর যদি নারী তার পোষাক এমন পরিধান করে যা ধর্ষনের উদ্রেক করে – তবে ধর্ষনই তার প্রাপ্য। এর কোন বিচার আমি চাই না – এবং চাই এরা আর বেশী ধর্ষন হোক!
তাহলে কি আপনি বিচার চাইবেন না ?
আপনার বোন যদি বাজে পোষাক পড়ে, তার জন্য আপনিও কি দায়ি নন । সব মেয়েকে বোন ভাবতে আপনার সমস্যা কোথায় ? এটা কি আমাদের ধর্ম ভাবতে নিষেধ করেছেন ?
"আর যদি নারী তার পোষাক এমন পরিধান করে যা ধর্ষনের উদ্রেক করে – তবে ধর্ষনই তার প্রাপ্য। এর কোন বিচার আমি চাই না – এবং চাই এরা আর বেশী ধর্ষন হোক!" - এই বাক্যটা দিয়ে আপনি আপনার মনুষ্যত্বের ধরণকে প্রকাশ করলেন । তাহলে মানুষ আর পশুর মধ্যে কি পার্থক্য থাকলো ?
আপনার অবস্হা বর্তমান সৌদি বিচারকের মতো । এক মেয়ে বাবা-ভাই-আর স্বামী ছাড়া বাহিরে গেছে এবং ৭ জন পুরুষ দ্বারা গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন । এজন্য সৌদি বিচারক কোন ধর্ষকদের শাস্তি দেননি । উপরন্তু মেয়েকে শাস্তি হিসেবে দিয়েছেন ২০০ বেত্রাগাত এবং ৬ মাসের জেল ।
মেয়েটার ছবিটা দিলাম । তার কান্না যদি আপনার হৃদয়ে বিন্দুমাত্র আলোড়িত করে, তাহলে আমি মনে করবো আপনি মানুষ ।
পাশবিক কিছু বলা হয় নাই!
http://www.onbangladesh.net/blog/blogdetail/detail/3069/partition/17935
আশা করি আমার সাথেই থাকবেন । আপনাকে ধন্যবাদ ।
১)পর্দার মতো আরো অনেক বিষয় (স্ত্রীর অনীহা সত্ত্বেও স্বামীর মিলন)যেগুলোতে স্কলাররা ডিফেরেন্ট মত দিয়েছেন। মুখ খোলা রাখা (নিকাব) নিয়ে আপনার লেখার অংশগুলো আক্রমণাত্নক। সত্যের আনুসারী একজন লেখকের এমনটি করা অবাঞ্চনীয়।
আপনার ব্যক্তিগত মতামত অবশ্যয় প্রকাশ করবেন, কিন্তু আক্রমণাত্নক হওয়া বা কোন মতের অনুসারীদের আপনার খারাপ ভাবে ডাকা নিন্দনীয়।
২) লেখার টাইটেল এবং মূল অংশে আপনার বক্তব্য থেকে বুঝা যায়, আপনি বলতে চাচ্ছেন নিকাব পড়ার কারণে বেশি 'বিরোধী আক্রমণ' (চূড়ান্তরূপ হল ধর্ষণ)এর শিকার হতে হয়! এটা সম্পূর্ণ ভুল। বিপর্যয়ের সময় (যেমন, যৌথবাহিনীর অভিযান) নিকাব থাকা না থাকা বা পর্দাহীন থাকার কোন সম্পর্ক নাই। আর স্বাভাবিক সময় ইসলামের বিরোধীরা ইসলাম পালনকারীদের মন্দ নামে ডাকবে বা টিজ করবে, এটা কি স্বাভাবিক নয়? সেজন্য কি ষ্কলারদের একটি অংশের অনুসারীরা অন্য অংশের অনুসারীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন?
৩) বিপদের সময় আত্নরক্ষার কৌশল সবাইকে নিতে হবে। এর সাথে পর্দা পালন করা বা না করার কোন সম্পর্ক নেই।
৪) আর একটি বিষয়, স্ত্রীর অনীহা সত্ত্বেও স্বামীর মিলন। আমার মনে হয় এটা নিয়েও ডিফেরেন্ট অপিনিওন আছে।
তাই আমার অনুরোধ এসব বিষয়ে আপনি আপনার মতামত অবশ্যই জানাবেন, কিন্তু আক্রমণাত্নক নয়। আল্লাহর বাণী, তোমরা একদল আরেক দলকে খারাপ বলোনা, হতে পারে এক দল আরেক দল অপেক্ষা উত্তম। আর এতে ইসলাম বিরোধীরা আরো শক্তিশালী হবে।
ধন্যবাদ।
আপনার উত্তরে বলছি : আমি শুধু মুসলিম উম্মাহই মানব জাতির বৃহত্তর কল্যাণের কথা চিন্তা করেই লেখালেখি করে থাকি । এবার আপনার পয়েন্টগুলোর জবাব দিচ্ছি :
১.পর্দা এবং স্ত্রীর অনীহা সত্ত্বেও যৌনতা সংগঠণেনর বিষয়ে মানবতাবোধ বর্জিত কথিত স্কলাররা কি বল্লেন কি বল্লেন না তা কোন মানবিকবোধ সম্পন্ন মানুষ বিন্দুমাত্র ভেবে সময় নষ্ট করতে পারে না ।
নিকাব বা মেয়েদের মুখ ঢেকে রাখা শুধু মানব জাতির জন্য অপমানই নয়, বরং জীব জগতের জন্য অপমানকর বিষয় । নিকাব মুসলিম দেশগুলোর উন্নায়ন অগ্রগতি প্রগতির প্রতিবন্ধকই নয়, তা মুসলিম দেশগুলোর এবং মুসলিম জাতির মধ্যে একটি সভ্যতাবিরোধী উপাদান হিসেবে ক্ষীণতর ভাবে যুগের পর যুগ টিকে আছে ।
আমি চোরদের চোর বলা আর ডাকাতদের ডাকাত বলায় পক্ষপাতি । এসব শব্দ যদি আমরা ব্যবহার না করি, তাহলে অভিধানে এসব শব্দ অকার্যকর হয়ে যাবে ।
মুসলিম মাত্রই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসারী । আর মুসলিম দাবি করেও যে বা যারা অন্য দল বা মতের অনুসারী বলে দাবি করে তাদেরকে তাদের প্রধান গুরুর নামে ডাকাই উচিত । যেমন : তেতুল তত্বের অনুসারীদের তেতুল হুজুরী । মওদুদীর অনুসারিদের মওদুদী সম্প্রদায় বা জামায়াতী সম্প্রদায় । শাহবাগি চেতনায় যারা বিশ্বাসী তাদের শাহাবাগী । … ইত্যাদি ।
২.নিকাব উন্নায়ন অগ্রগতি প্রগতির প্রতিবন্ধক এবং এধরনের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের উপাদান । সুতরাং দেশের উন্নায়ন অগ্রগতি প্রগতির স্বার্থে এবং দেশজ সংস্কৃতিকে রক্ষার স্বার্থে নিকাব-কে নিরুৎসাহীত করতে হবে ।
নিকাব যে এলাকায় বেশী ব্যবহার হয় – সে সব এলাকা জামায়াতী এলাকা । ধর্ষিতারা জামায়াতী সম্প্রদায়ভুক্ত এবং মওদুদী মতবাদে বিশ্বাসী । এজন্য আমি আমার লেখার শিরোনামটা এভাবে দিয়েছি ।
নিকাব পড়ার কারণে মেয়েরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়, তা আমার লেখায়ই আছে । আমি অদুর ভবিষ্যতে তাদের সাক্ষাৎকার তাদের অনুমতি সাপেক্ষে প্রকাশ করবো ।
আমি কাউকে অবজ্ঞা করছি না । আমি বাস্তব অবস্হা তুলে ধরছি মাত্র । আর আপনি যাদের মন্দ নামে ডাকার প্রসঙ্গ তুলেছেন, সেই সম্পর্কে বলছি : আমি মনে করি আলোচিত সম্প্রদায়গুলোর নাম এমনই হওয়া উচিত ।
৩) আপনি বলেছেন : বিপদের সময় আত্নরক্ষার কৌশল সবাইকে নিতে হবে। এর সাথে পর্দা পালন করা বা না করার কোন সম্পর্ক নেই।
এর উত্তরে বলছি : পর্দা করার নামে বোরকা ও নিকাব পড়লে মেয়েরা বরং আরো বেশী অনিরাপদ হয়ে পড়ে । এধরনের পোষাক পড়ে দৌড়ানো যায় না । দ্রুত হাটা যায় না । মেয়েদের অনেকটাই তাবুর মতো জড় বস্তুতে এসব পোষাক পরিনত করে । সুতরাং এসব পোষাক পড়ে আত্মহত্যার চিন্তা করাও অচিন্তনীয় ।
৪) আপনি বলেছেন : স্ত্রীর অনীহা সত্ত্বেও স্বামীর মিলন। আমার মনে হয় এটা নিয়েও ডিফেরেন্ট অপিনিওন আছে।
এর উত্তরে বলেছি : আপনি কি ভাবছেন না ভাবছেন আর কথিত স্কলাররা কি ভাবছেন – তাও আমার বিবেচ্য নয় । আমাদের ভাবতে হবে আইনগত দিক এবং মানবতাবোধ এবং সুস্হ সাভাবিক যৌনতা উপভোগের বিষয়টিকে । যৌনতা নারী পুরুষ উভয়ের জন্য প্রয়োজনীয় । তবে তা উপভোগ্য হবে তখনই যখন তা দ্বিপাক্ষিক হয় ।
আপনি বলেছেন : আমার অভিমত জানাতে । আমি জানালাম ।
আপনি বলেছেন : “ আল্লাহর বাণী, তোমরা একদল আরেক দলকে খারাপ বলোনা, হতে পারে এক দল আরেক দল অপেক্ষা উত্তম। আর এতে ইসলাম বিরোধীরা আরো শক্তিশালী হবে।“
আপনি যাদের ইসলামের শক্তি বলছেন – তাদের ইসলামের শক্তি মনে করি না । তবে তারা ইসলামের শক্তি বলে নিজেদের দাবি করে থাকে । বাস্তব অবস্হা হলো : তারা ধর্ম ব্যবসায়ী, মানবতাবিরোধী, সৌদি রাজতন্ত্রীপন্হী , সন্ত্রাসী , যুদ্ধাংদেহী ওহাবী এবং মওদুদী দর্শনে বিশ্বাসী এবং বাংলাদেশের উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতিবিরোধী । তারা মেয়েদের তিন তালাক বলে তালাক দিয়ে অসংখ্য নারীকে বিয়ে করার পক্ষের লোক । যেমন : মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাইদি । শুনুন তার তিন তালাকের ফতোয়া : http://www.youtube.com/watch?v=YgaMhMu6nXI&hd=1
আর মতিউর রহমান মাদানীর মতে," মেয়েদের কেনই বা তালাক দিলো তা জানা যাবে । কারণ তা ধর্মবিরোধী । পুরুষ তালাক দিতেই পারে " :যাদের জ্ঞান পরিচ্ছন্ন ও বিবেক পরিচ্ছন্ন তারা মতিউর রহমান মাদানীর এই বক্তব্যটা শুনুন। >> http://www.youtube.com/watch?v=OIeXj91BQtA
আরেক ব্যাপার লক্ষ্য করুন, অত্যাচারী শাসকদের অনুসরণ করা মতিউর রহমান শয়তানীদের মতে ফরজ : https://www.facebook.com/photo.php?fbid=195600460633812&set=a.108300892697103.1073741828.100005515774681&type=1&theater;
আমি নিজের কানে শুনেছি তেতুল হুজুর বলেছেন : তার মাদ্রাসায় কোন ছেলে শিবির করে শুনলেই সেই ছেলেকে মাদ্রাসা হতে বহিস্কার করা হয় । এই কথা তেতুল হুজুর নিজে শেখ হাসিনার সাথে বলেছেন । তেতুল হুজুর নিজেই বলেছিলেন যে তার সাথে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার সাথে তিনি বৈঠক করেছিলেন । আমি তার এই কথা শুনেছি মিরপুর ১০ নং ওয়ার্ডের ( সিনেমার ভিলেন ডিপজল এই এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার ) ঈদগাহ মাঠে জামেয়া হোসেনিযা আজরাবাদের আন্তজার্তিক সিরাত সম্বেলন ২০১১ এর সমাবেশে ।
আরো অনেক কথা বলেছিলেন যা আমি সোনার বাংলাদেশে ব্লগে তার নাম উল্লেখ না করে শেয়ার করেছিলাম । এই সমাবেশে জাকির নায়েকের ওয়াজ শুনা গুনাহ বলা হয়েছিলো । তিন তালাক দিলে বিবি তালাক হয়ে যায় বলা হযেছিল । আহলে হাদিসদ আর জামাযাতী বা মওদুদিদের পেছনে নামাজ পড়া যাবে না বলা হয়েছিলো ।
শেখ হাসিনার বিরোদ্ধে একটা শব্দও কওমী মাদ্রাসার তেতুলী হুজুরর বলেননি । সেই ওয়াজে শিবিরকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করা হয় ।
আমি সেই ওয়াজের হুজুরদের শেখ হাসিনা সরকার স্কুল কলেজে বোরকা ও ওড়না নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো - সে সম্পর্কে কিছু বলতে বলি । তারা বলেননি । সেই ওয়াজের কোন হুজুর যদি ফেসবুকে থাকেন বা আমার এই মন্তব্য ও লেখা পড়ে থাকেন, তাহলে আমাকে চিনতে পারবেন । রহমতে এলাহী আরমান নামক এক মুহাদ্দিসের সাথে আমার ঝগড়াও হয় এনিয়ে । তিনি জামেয়া হোসেনিয়া আজরাবাদের শিক্ষক ও গোলারটেক মসজিদের খতিব ।
সেই ওয়াজ মাহফিলে কতক্ষণ কি বলা হয়েছিলো তা জানতে এই লেখা দুইটা পড়তে পারেন :
১. ধর্ম ব্যবসায়ী ও আলেম, জাকির নায়েক এবং বেশরম ও জাহান্নামী মেয়ে প্রসঙ্গ
https://web.archive.org/web/20120623125807/http://www.sonarbangladesh.com/blog/fakhrul/115455
২. কওমি মাদ্রাসা পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ তোষণের সুতিকাগার এবং দেওবন্দ
https://web.archive.org/web/20120702024520/http://sonarbangladesh.com/blog/fakhrul/115748
অথচ ইদানিং শিবিরের ছেলেদের দেখি : ইদানিং তেতুল হুজুর ও কওমী মাদ্রাসার স্বপক্ষে কথা বলতে । শাহবাগীদের কিছু কার্যক্রমের কারণে আর জামায়াতের টাকা খেয়ে কওমী মাদ্রাসার নারীবিদ্বেষী ও উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতির শত্রু ধর্মব্যবসায়ীরা হেফাজতে ইসলামীর ব্যানারে খুব হৈচৈ করেছিলো । এখন আওয়ামী লীগের টাকা খেয়ে তেতুল নিয়ে ব্যস্ত আছে ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
ইউরোপ-আমেরিকায় নারীরা ঘর থেকে কেন বের হয়েছে তা কি আপনি জানেন? আপনি কি জানেন কিভাবে নারীদের বাধ্য করা হয়েছে ঘর থেকে বের হতে? সেটা অবশ্যই তাদের প্রয়োজন – সেজন্যই তারা বের হয়, কিন্তু প্রয়োজনটার উৎপত্তি কি সেটা জানেন? রোগের মূল কারণ জানা আবশ্যক সমাধানের জন্য, রোগের জায়গা ছাড়া অন্যস্থানে ব্যান্ডেজ বেধে সমাধান হয় না!
মানুষের বেচে থাকার জন্য কিছু মৌলিক প্রয়োজন রয়েছে এবং তার সাথে আরও আছে তার কিছু আকাঙ্খা – এ দুই মিলে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে কিছু করতে। একটা সময় – একজন পুরুষ বিশ্বের সবখানেই একটা পরিবার মেইন্টেইন করতে পারতো সহজেই – মানুষগুলোও আরেকজনের প্রয়োজনের মর্যাদা দিতো – তাই একজন মানুষকে খাটালে, যারা খাটাতো তারা তার প্রয়োজন, আকাঙ্খা, পরিবারের কথাও ভাবতো। এ চরিত্র কেন পরিবর্তন হয়েছে – সেটা আমাদের জানতে হবে। যারা খাটাতো তারা যখন খেটে খাওয়া লোকের প্রয়োজন, আকাঙ্খা বাদ দিয়ে নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করেছে – তখন তারা হিসাব-নিকাশ করে বের করেছে – যতো বেশী তারা কাষ্টমারকে বা লেবারদের ঠকাবে ততোবেশী তাদের স্বার্থ হাসিল হবে।
যেমন – একজন ব্যবসায়ী ৫ জন লোক খাটিয়ে থাকে, সে নিজে জাষ্ট তার টাকা ইনভেষ্ট করে; তার লাভ অর্জনের জন্য যা কাজ করতে হয় – সেটা করে দেয় তার লেবাররা, সে শুধু তাদের দেখাশুনা করে, লাভ অর্জনের জন্য তাদের খাটানো ছাড়া আর কোন কাজ করে না। এই যে সে লাভ গুলো পেলো – তা অর্জন করে দিয়েছে সেই লেবারগুলো – সেটা সংখ্যায় কম হোক বা বেশী, মেকানাইজড হোক বা ম্যানুয়াল। এই লাভের টাকা দিয়ে ঐ ৫ জনগোষ্ঠি পুরোটাই চলে যেতে পারতো ভালোভাবে। কিন্তু ব্যবসায়ী কি করে? – সে লেবারদের লাভ থেকে বঞ্চিত করে (অন্য অর্থে তাদের প্রয়োজনের ব্যবস্থা করতে সচেষ্ট হয় না) নিজে বিলাসিতা করে বেড়ায়। এভাবে এক পর্যায়ে এসব লেবারদের কতো কম দামে খাটানো যায় তার জন্য রাষ্ট্রীয় সাপোর্ট নিয়ে তারা ঝাপিয়ে পড়েছে – লেবারকে বেতন দিয়েছে শুধু ২/৩ জনের পেট চালানোর, বাকী পরিবার না খেয়ে থেকেছে, মরেছে! বাধ্য হয়ে শুধু বাচার জন্য তারা রাস্তায় নেমে এসেছে। স্বার্থ হাসিলের পথ আরও সুগম হয়েছে – লেবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে মানে লেবার সাপ্লাই বেড়ে গিয়েছে – পেটের ক্ষুধায় লেবারের রেট তারাই কমিয়ে নিয়েছে এবং তাদের লাভের রেটও বেড়ে গেছে, লেবার পরিবারের সবাই কাজ করে – শুধু এখন লেবারদের যার যার পেটের দাম দিলেই হয় ২/৩ জনেরটা দেয়াও লাগেনা – সবাই বেচেও আছে খেয়ে পড়ে এবং এটাই নাকি তাদের যোগ্যতার সর্বোচ্চ প্রতিফল! – আর এদের শ্রমের ফলে যে লাভ হচ্ছে তা নিয়ে ফূর্তি করে যাচ্ছে স্বার্থবাদীরা! এ নিয়ে তারা প্রতিবাদও করেছে – মার খেয়েছে, মার দিয়েছে, এখনও চলছে এভাবেই।
আমি সংক্ষেপে বোঝানোর চেষ্টা করলাম, জানিনা বোঝাতে সমর্থ হয়েছি কি না! এসবের ইতিহাস – অনেক ইতিহাসবিদই সবিস্তারে বর্ণনা করে গেছেন এবং সোশাল আনরেষ্টের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন যুক্তিসঙ্গতভাবে।
তো কিভাবে পরিচালনা করলে – সমাজটা ভালো চলে তার জন্য সঠিক দাবী করা বাদ দিয়ে এখন এমন বিষয়ের অবতারনা করি আমরা, যা আসলেই ভিত্তিহীন!
নারীদের যে অবদানের দাবী করেন, সেটার জন্য নারীর যে অবশ্যই রাস্তায় নামতে হবে তা না, তারা ঘরে বসেও পারে, আমাদের নারী-পুরুষরা ঘরে বসে হ্যান্ডলুমে বিশ্বের সেরা কাপড় বানায় নাই? সেই হ্যান্ডলুম নামক যন্ত্র বানানোর অবদান কাদের ছিলো? এ দেশের মানুষেরই। এখন ম্যাশিন বানানোর ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে না? – সেটা না পারলে তবে লেবার কন্ট্রিবিউট করা কি অবদান বলবো? সেটাতো গরু-ছাগল-ঘোড়াও পারে। এখন যদি তারা বিদেশ থেকে ইম্পোর্ট করে ম্যাশিন এনে গরু-ছাগল-ঘোড়ার মতো খেটে বিদেশিদের জন্য কাপড় বানিয়ে চারটা ভাত খায়, তবে তো মানুষ হিসেবে তাদের কোন অবদান নাই! ম্যাশিন বানায় বিদেশিরা – কামলাও খাটে বিদেশীদের জন্যই, এখানেও সেই স্বার্থবাদী – সে নিজে ভোগের জন্য এতোগুলো মানুষকে অন্যের জন্য খাটায় যদিও তারা তার জ্ঞাতি ভাই! এখনোতো আমরা খাই বলতে গেলে আমাদের ক্ষেতের গুলো, আমাদের ক্ষেতেরগুলো আমরা খেয়ে বেচে থাকতে পারলে – নিজেদের সক্ষমতার উন্নয়নের জন্য না খেটে পরের কাপড় বানানোর জন্য খাটা কি যুক্তিসঙ্গত? আপনি যদি উন্নয়নের কথা বলেন তবে এখানে আপনার শ্রম বিনিয়োগ করতে হবে – কেন আপনি বিদেশ থেকে ২ টাকা কিভাবে ইনকাম করতে হবে তা শিখতে যাবেন – যেখানে আপনি খান ঘরেরটা! এভাবে পরের টাকায় নিজের খেয়ে পরের গোলামী করা উন্নয়ন? নিজেদের ম্যানেজমেন্ট ঠিক করলেই তো আমরা উন্নয়নে মনোনিবেশ করতে পারি – কেন আপনি ম্যানেজমেন্টের উন্নয়নের আন্দোলনের বদলে আরো বেশী লেবার হিসেবে নারীদের নামিয়ে নিজের সুবিধা হাসিল করার জন্য অন্দোলন করবেন এবং কোন যুক্তিতে?
খাটান নারীদের – তাদের জন্য যেখানে নিরাপদ স্থান সেখানে – বের করেন তাদের অবদান সেখান থেকেই- বের তো হবেই! ইকোনোমিক্স এর অন্যতম সূত্রই তো – Where there is resource there is development, where there is no resource – there is no development.
রিসোর্স ঘরে থাকলে সেখান থেকেই ডেভলপ হবে, তাদের থেকে আরো বেশী সিনার্জিক বেনিফিট এর জন্য তাদের নিরাপদ স্থান দেন, তার জন্য আন্দোলন করেন। যেখানে কনফিডেন্টলী বলা যায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেদিকে টানেন কেন – মানে এমন জায়গায় এমনভাবে নারী-পুরুষ মিশ্রিত করতে চাবেন না, যেখানে সৃষ্টিগতভাবেই প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হয়।
আপনারা হোয়াইট হাউজে পাঠিয়েছিলেন মেয়ে মানুষ – সেখানকার প্রেসিডেন্ট তাকে কি করেছে? মণিক্কা ... ও মাই ডার্লিং .... বলছে আর ওমনেই গিয়ে কোলে মুখ লুকিয়ে লল্লিপপ খেয়েছে তাই না? আপনারা রাশিয়ায় বের করেছেন এথলেট – সেখানকার প্রেসিডেন্ট কি করেছে? জুডো কারাতে প্রেসিডেন্ট এথলেটকে পরাজিত করে কোমল দুই রানের মাঝে ভোতা দাও দিয়া কুপিয়েছে? আপনারা ইটালীতে বের করেছেন কিশোরী তার প্রেসিডেন্ট কি করেছে? বেলী ড্যান্সের ট্রেইনার সেজেছে? আপনারা ইউ.এস হোটেলে নিয়োগ দিয়েছেন ওয়েট্রেস – আই.আম.এফ চীফ সেখানে কি করেছে? আপনারা চার্চ এ ফাদারদের চোখের সামনে পাঠিয়েছে নান – তারা কি করেছে? আপনারা মন্দিরে পাঠিয়েছেন সরসবতীদের তার পুরোহিতরা কি করেছে? এরকম হাই প্রোফাইল ইন্সট্যান্স মিডিয়াতে ঘটে দেখেন তো কতো বড় ইতিহাস হয়? এগুলোকে এক্সেপশনাল ইন্সট্যান্স বলবেন – তবে জ্ঞানীরা বলে গেছেন – Exceptions are always the clearest.
এগুলো তো বললাম কিছু সংখ্যক – এরা ন্যাশনাল আইকন! তাদের যদি এই অবস্থা হয় তবে নেশনগুলার কি অবস্থা? তাদের এরকম উদ্রেক কেন হয়েছে? তাদের দেশগুলার ধর্ষনের পাবলিশড হার এবাভ-এভারেজ। ধরি ১০% বাকী ৯০% কি করে? তাদের ৮০-৮৫% স্বেচ্ছায় তা বরণ করে – কেন? নইলে ধর্ষন করা হবে তাই স্বচ্ছায় বরণ করাই শরীরের জন্য ভালো, বাকী ৫-১০% ভালো। এবং এর জন্য তাদের দেশগুলোয় রাষ্ট্রীয়ভাবেই সেক্স একদম ফ্রী অফ কষ্ট!
এগুলো কেনো হয়েছে? নারীদের ঘরের ভেতর আটকিয়ে রাখার জন্য? নাকি ওদের তেতুল পাদ্রী-পুরোহিতরা বলেছে তেতুল এর স্বাদ নিতে? নাকি এমন আচরণের উদ্রেক করে এমন কিছু হয়েছে? উদ্রেক এর কারণেই হয়েছে – তাই বেশী বেশী হতে হতে এখন গা সওয়া!
বাস্তবতা এটাই – চেতনা ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্ত হলে - বাস্তবতাকে ধৃষ্টতা বলে প্রফিট স্যাংচুয়ারী (সস্তা চেতনায় চেইত্যা উঠে যারা) ছাড়া যেখানে সেখানে বাজারজাত করতে চান কেন? নাকি ভুলে বলে ফেলেছিলেন? ভুলে বলে ফেললে একজন শিক্ষানবীশ অ্যানালিষ্ট হিসেবে মাফ পেতে পারেন।
বুঝেছেন আপনার দৃষ্টিতে আমার ধৃষ্টতার উৎপত্তিস্থল?
মন্তব্য করতে লগইন করুন