কিছু প্রেম ইতিবাচক ও ইসলামসম্মত ( পর্ব - ১ )
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৯ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:১৭:১৭ রাত
পটভূমি :
অনেকেই প্রেম করা খারাপ কি না - তা আমার কাছে জানতে চান ? আর আমিও এব্যাপারে প্রায়ই বিভ্রান্তিতে পড়তাম । আর এই প্রশ্নের জবাব ব্যক্তির অবস্হা, ব্যক্তিত্ব ও যোগ্যতার উপর নির্ভর করে উত্তর দিতাম । সরাসরি বলতাম না এটা নাজায়েজ কিছু । এমন সব টিপস্ দিতাম যাতে তার উপর হতে প্রেমের প্রভাব দূর হয় বা প্রেমের প্রভাব ইতিবাচক হয়ে দাড়ায় ।
আমার কাছে ইসলামে প্রেম জায়েজ কিনা ? এই ধরণের প্রশ্ন অনেক ক্ষেত্রেই বিভ্রতকর পরিস্হিতি সৃষ্টি করে । আর এজন্য ফেসবুকে আমি একটা পেজ চালু করি : আমরা প্রেম করবো না, বিয়ে করবো তাড়াতাড়ি https://www.facebook.com/WeWillMarryEarly
।
আসলে প্রশ্নটা হওয়া উচিত ছিল : বর্তমান জটিল যুগের প্রেক্ষিতে শারীরিক ও মানসিক ক্ষুধা নিবারণে তরুণ সমাজের কি করনীয় হওয়া উচিত ? তাহলে আলোচনাটা যথার্থ হতো ।
আমার এই ধারাবাহিক লেখা কেন গুরুত্বপূর্ণ :
১.আমার এই লেখা পড়লে প্রেম – ভালবাসা- ভাললাগার সঠিক ও সর্বাধুনিক সংগা জানতে পারবেন ।
২. প্রেমের টানে কেন চিরায়ত বাঙ্গালী নারী স্বামী-সন্তান রেখে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে আসছে । কেন তারা হত্যা করছে নিজ ছেলে-মেয়েদের আর স্বামীদের ।
৩. প্রেম ভালবাসার টানে কেন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা সৌখিন পতিতায় পরিনত হচ্ছে । কেন তারা বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকছে ?
৪. প্রেম ভালবাসায় পতিত হওয়া ছেলে-মেয়ে ও পোষ্যদের কি করণীয় তা জানতে পারবেন ?
৫. প্রেম ভালবাসার কথা বলে কেন বাংলাদেশি ছেলেরা মালয়েশিয়া ও ইউরোপসহ সারা বিশ্বে কেন মেয়েদের প্রতারণা করে থাকে ? তাদের প্রতারণার উৎস কি ?
৬.শিক্ষা পতিষ্ঠানগুলোকে প্রেম ভালবাসা ও যৌনতা সম্পর্কে কোর্স কারিকুলাম চালুর প্রয়োজনীয়তা কি ?
৭. আপনার বাধ্যগত বা বাধ্যগতা স্বামী বা স্ত্রী যদি নতুন কোন প্রেম ভালবাসার অথৈ সাগরে নিমজ্জিত হোন তখন আপনি কি করবেন ?
প্রেম কি ?:
হার্বাট স্পেন্সার প্রেমের স্বরুপ ব্যাখ্যা করতে যেয়ে বলেছেন : প্রেম শরীর ও মনের বহু সূক্ষ উপকরণ নিয়ে গঠিত । সেগুলো হলো :
১.দৈহিক যৌনতা উপভোগ
২.সৌন্দর্য উপভোগবৃত্তি
৩.মায়া-মমতা
৪.সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ
৫.অনুমোদন ভিক্ষা
৬.আত্মসম্মানবোধ
৭.নিজস্ব মনে করা
৮.ব্যক্তিত্বের বাধ ভেঙ্গে যাওয়ার কর্মস্বাধীনতা
৯.সমানুভুতিসূচক মনোবৃত্তিসমূহের উন্নয়ন
আজ প্রেমের স্বরুপ আর রসায়ন নিয়ে আলোচনা করছি না । কারণ এসব বিষয় পরবর্তীতে আলোচনা করবো ।
প্রেম, ভালবাসা, ভাললাগা এসব শব্দের মধ্যে পার্থক্য :
প্রেম, ভালবাসা, ভাললাগা ইত্যাদি শব্দের মধ্যে পার্থক্য আছে । ধরুন : আমি বল্লাম টেলিফ্লিম গার্ল ফ্রম টুমোরা অন্যতম চরিত্র জেনি-কে আমার ভাল লাগে । তার উত্তরে কেহ হয়ত বলবেন কেন ?
উত্তরে বলবো : যখন আমি কলেজে পড়তাম আমরা ভাই-বোনরা এক সাথে বসে টেলিফ্লিম গার্ল ফ্রম টুমোরা দেখতাম । এই ফ্লিমে http://www.youtube.com/watch?v=tzkh0d9ro54 জেনী নামে একটা চরিত্র ছিল । এই চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো মার্জিত, স্বাধীনচেতা, পরিবেশবাদী, কৌশলী, বন্ধুবৎস্যল, শান্ত থাকার সময় শান্ত , প্রতিবাদের সময় প্রতিবাদী মনোভাব, প্রানবন্ত । উপরন্তু ছিল তার আবেগ । সব মিলিয়ে এই টেলিফ্লিমের এই চরিত্রটা আমার ভাল লেগেছিলো । তবে বেশীর ভাগ ছেলের ভাল লেগেছিলো এলেনা চরিত্রটা । যেমন : আমার ভাইদের ভাল লাগতো এলেনা চরিত্রটিকেই বেশী । এই ফ্লিম আমার এতই ভাল লেগেছিলো যে আমি মহাকাশ সৃষ্টিতত্ত্ব এবং জ্যোর্তিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করি । পাঠ্য বইয়ের চেয়ে এসব বিষয়কেই গুরুত্ব দিতে শুরু করলাম । এক সময় মহাকাশে বাংলাদেশ নামক একটা সাইন্স ফিকশনও লিখে ফেল্লাম ।
এটা হলো ভাললাগা ও ভালবাসার চুড়ান্ত বহিপ্রকাশ । এবার আসছি, ভালবাসা প্রসঙ্গে ।
অস্ট্রেলিয়ার টেলিফ্লিম গার্ল ফ্র্ম টুমরোর প্রধান দুই চরিত্র জেনী (হাতের বামে ) এবং এলেনা (হাতের ডানে )
http://en.wikipedia.org/wiki/The_Girl_from_Tomorrow
এই ফ্লিম দেখার এক যুগেরও বেশী সময় পর কোন এক সন্ধ্যায় পাবলিক বসে আছি । গন্তব্য আমার নিজের বাড়ি । আমার মুখোমুখি হঠাৎ এসেই বসলেন এর মতোই দেখতে অবিকল এক মেয়ে । তবে তার পোষাকে ছিল ভিন্নতা । তার মাথায় ছিল মাথায় হেডস্কার্ফ আর প্রচলিত নিয়মে ওড়না বুকে জড়ানো । আমি বিস্ময়ে তাকালাম । সেও আমার দিকে তাকালো । অনেকটা লুকিয়ে লুকিয়ে । আমিও যথাসম্ভ দৃষ্টি আড়াল করার চেষ্টা করতে থাকলাম । ইংরেজরা এই বিষয়টাকে বলে থাকে to facny to each other. ইংরেজরা বলে থাকেন যে মুহুর্তে একজন নর ও নারী পরস্পরকে মিষ্ট মনে করতে শুরু করবে তখন থেকেই ভালবাসার শুরু । ভালবাসা মানে তাদের ভাষায় Love.
(উল্লেখ্য শেষাংশটা কাল্পনিক । বোঝার সুবিধার্থে উপস্হাপন করলাম । )
এই Love বা ভালবাসা মাত্রাভেদে অল্প বা প্রবল হয়ে থাকে । যখন Love বা ভালবাসা যখন ভালবাসার পাত্র বা পাত্রীকে শরীর পর্যন্ত অধিকার করতে চায় বা করার জন্য ভাবতে শুরু করে তখন তা হয় প্রেম বা Lust. ইংরেজী Love শব্দের বাংলা অনুবাদ করা হয় ভালবাসা এবং প্রেম শব্দ ব্যবহার করে । ইংরেজী Lust শব্দের বাংলা অনুবাদ " কাম " হিসেবে উপস্হাপন করা হয় । কাম হলো যৌনতা যা মানুষের ষড়রিপুর প্রথমটা ।
মানুষের ষড়রিপু রয়েছে । এগুলো যে দমন করতে পারে সে হয় মহামানব । এগুলো হলো : ১. কাম ২. ক্রোধ ৩. লোভ ৪. মোহ ৫.মদ ৬. মাৎসয্য । কাম বা যৌনতাকে প্রথম রাখা হয়েছে কারণ যৌনতা সহজে দমনে রাখা যায় না । কারণ এটা শরীর ও মনের সাথে জড়িত । ক্রোধ-লোভ-মোহ-পরশ্রীকাতরতা এসব শরীরের সাথে সম্পর্কিত নয় । এসব সহজে দমন করা যায় । হাজারও মননিয়ন্ত্রন পদ্ধতি বা ধর্মীয় নীতিকথা দিয়ে যৌনতাকে দমানো সম্ভব নয় । যৌনবোধকে দমানো সম্ভব নয় । কাম প্রবৃত্তি বা যৌনবোধ আমাদের শরীরের উপর যতটা কাজ করে । ক্রোধ-লোভ-মোহ-পরশ্রীকাতরতা-মদ ততটা করে না । এক ব্যক্তি ঘন ঘন রাগ করলে বা লোভ করলে তা দিয়ে তার শরীরের উপর যতটা প্রভাব পড়বে, একজন লোক ঘন ঘন কামোত্তেজিত হলে অবথা যৌনতাবৃত্তি চরিতার্থ করলে – তার ফলে শরীরের উপর তা অপেক্ষা অনেক বেশী প্রভাব পড়বে । কারণ মানুষের যৌনবৃত্তি চরিতার্থ হয় প্রধানত যৌন-অঙ্গসমূহের দ্বারা এবং প্রকারান্তরে প্রায় সারা শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, রক্ত-চলাচল, স্মায়ুতন্ত্র ইত্যাদির প্রতিক্রিয়া হয় ।
প্রেম অনেক সময় ইতিবাচক :
প্রেম মিডিয়াতে এমনভাবে মিশে আছে যে, পত্রিকায় প্রেমের কাহিনী না থাকলে পত্রিকার সার্কুলেশন বুঝি কমে যায় । আর মুভিগুলোতে প্রেমের কাহিনী না থাকলে মুভি বা টেলিফ্লিম বা নাটক অপূর্ণ থেকে যায় । এসবে প্রকাশিত প্রেমের অধিকাংশই নেতিবাচক ও চরিত্রহননকারী ।
আজ আমি একটা মুভির কাহিনী শেয়ার করছি যাতে প্রেম একটা দেশের ঘটনাকে অন্য রকমভাবে উপস্হাপন করতে পারে । আমি মনে করি আমাদের বর্তমানে এধরনের প্রেমিক - প্রেমিকা দরকার ।
আলজেরিয়ায় ইসলামীক সালভেশন ফ্রন্ট http://en.wikipedia.org/wiki/Islamic_Salvation_Front নব্বইয়ের দশকে ৮০% ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েও ক্ষমতায় যেতে পারেনি ।
আমি এই ঘটনার উপর একটা মুভি দেখি টিভি ফাইভ মনডে এশিয়া-তে ৪ঠা জুন ২০১০ তারিখে । ছবির নামটা মনে নেই । কিছু দিন আগে তাদের কাছে নামটা জানতে চেয়েছি । মুভিটাতে দেখা যায়, সরকার বিরোধী আন্দোলনে ইসলামী সংগঠণের ছেলে- মেয়েরা রাস্তায় সমাবেশ করছে । এখানে অবলিলায় ছেলে মেয়েরা কথা বলছে । মিছিলে বেশির ভাগই মেয়ে । ছেলে খুবই কম । ছেলেরা সব জেলে । তাদের উপর নির্যাতন হচ্ছে । এই মিছিলে যে ছেলেটা নেতা সে মুলত এক মেয়েকে দেখে ভাল লাগায় সে ইসলামী সংগঠণে যুক্ত হয়েছে ।
ঘটনাচক্রে সে মেয়েটাও নেত্রী এবং দেশের গোয়েন্দা প্রধানের এক মাত্র বোন । দেশের গোয়োন্দা প্রধান জানে না তার বোনই সরকার বিরোধী আন্দোলনের নেতা । এই মেয়ে লক্ষ্য করলো এই ছেলে প্রিকেটিং-এর সময় তার দিকে তাকিয়ে থাকে ।
মেয়ে তাকিয়ে থাকার কারণ জানার জন্য Psychology of men and men personality disorder বই পড়তে থাকে ।
ওদিকে ছেলে সংঘঠণের উপরের দিকে ওঠার জন্য সাংগঠনিক কাজ রাত দিন করতে থাকে । অবসরে সাইয়েদ কুতুব আর আলীয়া আলীজা ইজেতবেগোভিচের বই পড়তে থাকে । অল্প দিনের মধ্যে সে বড় নেতায় পরিনত হয় তরুণদের মধ্যে ।
হঠাৎ একদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ঘেড়াও করার জন্য পরিকল্পনা করা হয় । সেদিন প্রায় পাচ হাজার কর্মি জড়ো হয় । তার অধিকাংশই মেয়ে । সেই সমাবেশে এই ছেলে আর মেয়েটাও উপস্হিত ।
আজ এই মেয়েই ছেলের প্রায় কাছাকাছি এসে উপস্হিত হয় । কিন্তু ছেলে আর মেয়ের দিকে আগের দিকে তাকায় না । হঠাৎ পুলিশের ঘোষণা আজ সবাইকে মৃত্যুর দেশে পাঠানো হবে । এবং পুলিশ প্রচন্ড গুলি বর্ষণ করা শুরু করলো ।
এদিকে ছেলেটা ছিল ভীষণ অসুস্হ । মেয়ে এঅবস্হায় ছেলের হাত ধরলো । ছেলে তার হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করাতে মেয়েটা বল্লো : আমার আর তোমার রাস্তা এক । আমি তোমাকে ভালবাসি । আর আমি জানি তুমিও আমাকে ভালবাসো । আমরা এই সময়ে বিয়ে করবো । কারণ সবাই যদি জেলে চলে যায় । আগামীতে লুটেরাদের রুখবে কারা । আমরা বিয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বংশধর প্রস্তুত করবো । চল পালাই । মেয়ে বলে : আলী বেলহাজ আর আব্বাস মাদানীদের আস্তানায় । কারণ এটা সুরক্ষিত । আমি জানি সেটা কোথায় ।
আলি বেলহাজ : আলজেরিয়ার ইসলামিক সালভেশন ফ্রন্টের নেতা
ছেলে আর মেয়ে এক সাথে দৌড়াতে থাকে । পুলিশ তাদের পিছু নেয় । তারা দৌড়ে আস্তানায় এসের উপস্হিত হয় । সেখানে দুই স্হানীয় নেতাকে পায় ।
তারা গোয়েন্দা প্রধানের আপন বোনকে দেখে অবাক হয় । তারা ছেলেটাকে বলে তুমি কাকে নিয়ে এসেছো । সে তো শত্রু পক্ষের লোক ।
মেয়ে বলে : আমি উমদুরমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নেত্রী । নেতারা বলে : তাহলে তুমি এই কপর্দকহীন ছেলের সাথে কেন ? বলে আমি তাকে ভালবাসি । কারণ সে ইসলামের সৈনিক । আমিও সৈনিক । আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ভালবাসি । আমরা চিরদিনের জন্য এক সাথে থাকবো । জান্নাতেও এক সাথে থাকবো ।
নেতারা বলে : তোমরা বিয়ে করেছো ?
মেয়ে বলে : না ।
নেতারা বলে : তুমি একা বিয়ে করতে পারবে না । তোমার অভিভাবক লাগবে ।
: আপনারা জানেন আমার অভিভাবক একমাত্র ভাই যিনি আমাকে এমন ছেলেদের সাথে বিয়ে দিবেন না ।
নেতারা মুখ চাওয়া চায়ি করতে থাকে । হঠাৎ এক নেতা বিয়ে পড়ানোর দুয়া পড়ে এবং কাগজে রেজিস্ট্রেশন করে (বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার লোক) । মেয়েকে নেতারা কিছু টাকা দেয় দেনমোহর হিসেবে ছেলের পক্ষ হয়ে । মেয়ে নিতে চায়নি যদিও । তারপর বলা হলো তোমরা আজ থেকে স্বামী-স্ত্রী । মেয়েটাকে রান্না ঘরে যেতে বলা হয় কিছু রান্না করর জন্য ।
এদিক নেতারা ছেলেটাকে নিয়ে এই প্রাদেশিক জেলা শহরে নতুন ভাবে বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেয় ।
কিন্তু হঠাৎ পুলিশ আসলে নেতারা ছেলে-মেয়ে দুটাকে পালিয়ে যেতে বলে । মেয়ে ছেলের সাথে দৌড়াতে থাকে । মেয়ে বলে আমার ভাইয়ের বাড়িতে চলো । কারণ ওটা নিরাপদ আপতত ।
ছেলে যেতে না চাইলে মেয়ে ছেলেটা বেশ কয়েকটা থাপড় মারে । ছেলেটা থাপড় খেয়ে তার সাথে এই বাড়িতে চলে ।
বাড়িতে যেয়েই কয়েক মিনিট বিশ্রাম নিয়েই মেয়ে বলে চলো আমরা একান্ত হই । ছেলে অবাক হয় । মেয়ে বলে : আমার কিছুই হবে না ।কারণ আমি গোয়েন্দা প্রধানের মেয়ে । তোমার ফাসি হয়ে যাবে । কিন্তু তার আগে আমরা আমাদের নতুন বংশধর তৈরীর দিকে এগিয়ে যেতে চাই । ছেলে রাজি হয় না । কিন্ত মেয়ে তাকে বাধ্য করে ।
কিছুক্ষণ পর গোয়েন্দা প্রধান এসে তার বোনকে রুমে ব্যতিক্রমধর্মী অবস্হায় দেখে ছেলেটাকে গুলি করতে প্রস্তুত হলে মেয়েটা বলে এই ছেলে আমার স্বামী বলে রেজিস্ট্রশনের কাগজ দেখায় । তাতে ভাই আরো রেগে যায় । এমন অবস্হায় মেয়েটা ছেলেটাকে এমনভাবে জড়িয়ে ধরে মনে হয় তাদের আলাদা করা যাবে না । হঠাৎ গোয়েন্দা প্রধান নিজেই নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করে ।
আমি আর বিস্তারিত বলছি না ।
তবে শেষে এতটুকু বলবো, ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলোতে একটা প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে একটা প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের সাথে সাভাবিকভাবে কথা বলতে পারে না বলে এসব সমম্যা তৈরী হচ্ছে । আর এজন্য এসব দেশে ইভটিজিং ও নারী নির্যাতন বেশী ।
অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, আমার ২০১০ সালের ফেসবুক পর্যবেক্ষণে প্রাপ্ত শিবিরের ১০০ ছেলেদের মধ্যে গায়ক তাহসানের স্ত্রী মিথিলা প্রিয় নায়িকা বা গায়িকা । http://www.somewhereinblog.net/blog/thedarklordblog/28711165
কেন তাদের কাছে ইসলামী কোন মহিলা প্রিয় নায়িকা বা গায়িকা হতে পারলো না ?
না ! ইসলামী মেয়েরা গান গাইবেন না , তারা রিপোর্টার হবেন না বা তারা মুভি বানাবেন না বা মুভিতে অভিনয় হবেন না । ? ! এসব তাহলে গুনাহের কাজ ?
উপসংহার :
প্রেম-ভালবাসা-ভাললাগা যদি ইতিবাচক হয় তাকে খারাপ চোখে দেখা উচিত নয় । অনেক সময় মিডিয়াও প্রেম-ভালবাসা-ভাললাগার পাত্র-পাত্রী সৃষ্টিতে ভুমিকা রাখে ।
আমি মনে করি, ইসলামী ছেলে মেয়েদের এক সাথে চলা ফেরা করা উচিত । এতে তাদের মধ্যে জ্ঞানের আদান প্রদান হবে । ভাব বিনিময় হবে । তবে তাদের সম্পর্ক ধরা ছোয়ার মধ্যে না এলেই হলো । যদি ধরা ছোয়ার মধ্যে তাদের সম্পর্ক আসে তাহলে তা বিয়েতে গড়াক । বিয়ে ইসলামে একটি সহজতর কাজ । অথচ আমাদের সমাজ তা অনেক কঠিন করে ফেলেছে ।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার :
১. https://web.archive.org/web/20130911152643/http://lokmanbinyousuf.blogspot.com/2013/07/blog-post_4115.html
২. http://lokmanbinyousuf.blogspot.com/2013/07/blog-post_2648.html
বিষয়: বিবিধ
৩৭৪৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন