জামায়াতের নারী কর্মীদের প্রতিবাদী রূপ
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ৩০ অক্টোবর, ২০১৩, ০২:৪৫:১৬ রাত
সূচনা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মূলত একটি উগ্র ডানপন্হী ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দল । আগে জামায়াতের নারী কর্মীদের প্রতিবাদী কর্মসূচীতে দেখা যেতো না । বাস্তব অবস্হার খাতিরে এই দল দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করেছে ।
জামায়াতের ছাত্রী উইং আছে যার নাম ছাত্রী সংস্হা । এই সংগঠণের মেয়েদের আগে রাস্তায় প্রতিবাদী কোন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করতে দেখা যেতো না । ইদানিং তারা কারাগারে অন্তরীণ জামায়াতের নেতাদের মুক্তির দাবি রাজপথে নেমে এসেছে ।
সন্তানসম্ভবা ছাত্রী সংস্হার কর্মীর উপর পুলিশী নির্যাতন
যে কারণ জামাত নারী কর্মীদের রাস্তায় নামিয়েছে :
১. পুলিশ মহিলাদের গায়ে হাত তুলতে সামান্য হলেও দ্বিধাগ্রস্হ হয় ।
২. মাঠ পর্যায়ে জামাত-শিবিরের পুরুষ কর্মীর স্বল্পতা । কারণ অধিকাংশ নেতা-কর্মী ফেরারী ও কারাগারে অবস্হানরত ।
৩. সংগঠণকে মিশর ও তিউনিসিয়ার ইসলামী দলগুলোর মতো প্রগতিশীল বলে প্রমাণ করে সাধারণ মহিলাদের সংগঠণভুক্ত করার চেষ্টা ।
৪. নারী সমাজের অবাধ বিচরনের কারণে নারী সমাজের দিকে অধিকতর মননিবেশ করা ।
৫. নাস্তিক শাহবাগীদের তৎপড়তা বাঞ্চাল করা । কারণ তারা মনে করে ইসলাম নারী সমাজের অগ্রগতির জন্য অন্তরায় ।
ইসলামের দৃষ্টিতে নারী :
ইসলামে নারী পুরুষ সমান । বরং নারী পুরুষের চেয়েও বেশী মর্যাদাবান । কারণ নারী সন্তান জন্ম দেয় বা ধারণ করে ।
রাসুল (সা.) –এর যুগ হতেই মেয়েরা যুদ্ধ করে আসছে । যুগে যুগে মুসলিম নারীরা বিভিন্ন যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে ।
: http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1440 রাসুল (সা.)- এর মহিলা সাহাবী নুসাইবা বিনতে কাব আল আনসারিয়াহ(রা.) বা উম্মে আমারার যুদ্ধের বীরত্মের কথা জেনেছি ।
নুসাইবা বিনতে কা'ব আল আনসারিয়াহ (রা.) ওরফে উম্মে আমারা (রা.) ইসলামের প্রথম যুগেই মুসলিম হয়েছিলেন। উম্মে আমারা (রা.) । তিনি তার স্বামীর সাথে আকাবার বায়াতে অংশ নেন । ইতিহাসে উল্লেখ আছে ৭৩ জন পুরুষ এবং ২ জন মহিলা এই বায়াতে অংশ নেন । উম্মে আমারা সেই দলে ছিলেন ।
তিনিই প্রথম নারী যিনি ইসলামের জন্য যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে যুদ্ধ করেছেন। প্রথমদিকে যুদ্ধরত সাহাবীদের সেবা-শুশ্রষা করলেও ওহুদের যুদ্ধে যখন পরিস্থিতি পরাজয়ের দিকে চলে যাচ্ছিল, এবং মহানবী (সা)-এর চারপাশে কেউ ছিল না, তখন এই নুসাইবা (রা)ই রাসূল (সা)-কে ঘিরে ধরেন এবং বিপরীত পক্ষের তীরের আঘাত হতে নবীজিকে রক্ষা করেন।
এছাড়াও তিনি হুনায়নের যুদ্ধ, ইয়ামাহার যুদ্ধ, বায়আতে রিদওয়ান, খায়বার, মক্কা বিজয় এবং হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় উপস্থিত ছিলেন।
নারীদের ব্যাপারে বর্তমানে যে দৃষ্টিভঙ্গি আমরা দেখতে পাই তা ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি নয় । এই বিকৃত দৃষ্টিভঙ্গিকে ইসলাম হিসাবে চালিয়ে দেওয়ার কারণে পশ্চিমা প্রভাবাধীন গণমাধ্যমগুলি অপপ্রচার চালাচ্ছে যে ইসলাম নারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে, মানুষের বাক-স্বাধীনতায়, চিন্তার স্বাধীনতায়, চলাফেরার স্বাধীনতায় বিঘ্ন ঘটায় । তাই যে কোনভাবেই হোক এসলামের উত্থানকে রোধ করতে হবে।
ইসলামের নারী অবলা নয় । তারাও প্রচণ্ড দুর্ধর্ষ চরিত্রের অধিকারী। পর্দাপ্রথা ছাড়াও আরও হাজারো রকম ফতোয়ার বেড়াজালে নারীদেরকে আটকে রাখা হয়েছে। এইসব ভ্রান্ত বিষয় কিছু আলেমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এবং প্রচার করেন, যার দ্বারা ইসলাম-বিদ্বেষীদের অপপ্রচারের পালে আরও হাওয়া লাগে। তার দৃষ্টিভঙ্গি সত্যিকার ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি নয় ।
ইসলামের নারীদের অবস্হান কেমন ছিল তা ইতিহাসের পাতায় পাতায় লেখা আছে। যেমন :
১. নারীরা রাসুল (সা) -এর সামনা সামনি বসে আলোচনা শুনতেন, এ সময় মহানবী ও মেয়েদের মাঝে কোনো কাপড় টাঙ্গানো ছিল এই ব্যপারে কেউ কোনো দলিল দেখাতে পারবে না।
২. নারীরা রাসুল (সা) -এর সাথে থেকে যুদ্ধ করেছেন । শত্রুদের হামলা করেছেন । আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন । নিহতদের দাফনে সহায়তা করেছেন। যে যোদ্ধাদেরকে তারা চিকিৎসা ও সেবা দিয়েছেন তারা কিন্তু অধিকাংশই ছিলেন এসব আলেমদের ভাষায় “বেগানা পুরুষ”।
৩. নারীরা রাসুল (সা) -এর সময় যুদ্ধ চলাকালীন সৈন্যদের খাবার, পানীয় ও অন্যান্য রসদ সরবরাহ করেছেন।
৪. মেয়েরা মসজিদের পাঁচ ওয়াক্ত জামাতে, জুমা’র সালাতে, দুই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতেন।
৫. তারা পুরুষের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির মধ্যেও হজ্জ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন যা এখনও চালু আছে।
৬. তারা কৃষিকাজে, শিল্পকাজে অংশগ্রহণ করেছেন, রসুলাল্লাহর প্রথম স্ত্রী আম্মা খাদিজা (রা) সে সময়ের একজন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী ছিলেন
মূল কথা হোচ্ছে, যেখানে সবচাইতে বিপদ সংকুল এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হচ্ছে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সেই যুদ্ধে মেয়েরা পুরুষের সঙ্গে সমানতালে অংশগ্রহণ করে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে । সেখানে চাকুরী, শিক্ষা, ব্যবসায়, বৈষয়িক অন্যান্য কাজে কর্মে নারীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ তো সাধারণ ব্যপার।
তবে এটা অনস্বীকার্র্য্য যে, যেহেতু সন্তান ধারণ নারীর কাজ, নারীর দেহ ও মনকে আল্লাহ সন্তান ধারণ ও পালনের জন্য উপযোগী কোরে তৈরী কোরেছেন, কাজেই সন্তান লালন পালন ও সেবা যত্ম ইত্যাদি তাদের একটা বিশেষ দায়িত্ব । তার মানে এই নয় যে, তারা অন্যান্য ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন কোরবে না।
তাছাড়া ইসলামের বৈধ-অবৈধ নির্দ্ধারণের বেলায় মানদণ্ড হচ্ছে আল্লাহর আদেশ এবং নিষেধ অর্থাৎ কুরআন। রাসুল (সা) জানতেন যে, তাঁর বাণীকে ভবিষ্যতে বিকৃত করা হবে । অনেক বৈধ বিষয়কে অবৈধ ঘোষণার জন্য সেটিকে তাঁর উক্তি বলে চালিয়ে দেওয়া হবে । তাই তিনি বলে গেছেন, আমি তোমাদের জন্য সেটাই হালাল করেছি যেটা আল্লাহ হালাল করেছেন । সেটাই হারাম করেছি যেটা আল্লাহ হারাম করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমার কোন কথা কুরআনের বিধানকে রদ করবে না । তবে কুরআনের বিধান আমার কথাকে রদ করবে (হাদীস)।
সুতরাং অনেক কথাই আমাদের কাছে এই নতুন মনে হবে । কিন্তু কোন কথাই মিথ্যা নয় । সবই ইতিহাসের বইয়ে আছে । হাদিসের বইয়ে আছে ।
এবার আমরা জানবো জামাতী খালাম্মা ও আপু সম্প্রদায় কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলছেন :
http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzAyXzA2LTEwNS0yMTg3Ni0xMjg= লাঠি-ঝাঁটা হাতে জামায়াতের তিনশ নারীকর্মী মাঠে!
Wed, 06 Feb, 2013 07:22 PM
লাঠি-ঝাঁটা হাতে জামায়াতের তিনশ নারীকর্মী মাঠে!
জেলা সংবাদদাতা, বাংলামেইল২৪ডটকম
বগুড়া: হরতালের দ্বিতীয় দিনে বগুড়ায় জামায়াতের শতাধিক নারী কর্মী বোরখা পরে লাঠি সোটা নিয়ে রাজপথে নামার চেষ্টা করেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় শেরপুরের হামছাপুরে হরতালের সমর্থনে বের হওয়া নারী কর্মীদের পুলিশ ধাওয়া করে। এ সময় তারা পালিয়ে যান।
হামছাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর নজরুলের নেতত্বে ওই নারী কর্মীরা মাঠে নামতে চেয়েছিলেন।
তবে হরতালের প্রথমদিন মঙ্গলবার শেরপুরে প্রশিক্ষিত প্রায় তিন শতাধিক নারী কর্মীকে মাঠে নামানো হয়। বেলা ১০টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের মহিপুর এলাকায় লাঠি ও ঝাটা হাতে তারা দলবদ্ধ হয়ে শক্ত অবস্থান নেন।
এমনকি তারা হরতাল কর্মসূচি সফল করতে দলের পুরুষ নেতাকর্মীদের সহযোগিতা দিতে মহাসড়কে বেশ কয়েক দফা মহড়াও দেন।
এর কিছু পরেই জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহিপুর বাজার এলাকায় সমাবেশ করে। এ সময় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের পক্ষ থেকেও সেখানে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলা হয়।
দলের বাছাইকরা তিন শতাধিক নারী কর্মী নানা কৌশলে মহাসড়কের আশপাশে একাধিক পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এরই একটি অংশ প্রকাশ্যে মহাসড়কের অবস্থান নেন।
একই সময় শহরের ধুনট মোড় এলাকায় কয়েকশ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী অনুরূপ কর্মসূচি পালন করে।
তবে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা জামায়াতে সেক্রেটারি আলহাজ্ব দবিবুর রহমান হরতালে নারী কর্মী নামানোর কথা অস্বীকার করেছেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, জামায়াত-শিবিরের হরতালে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নারী কর্মী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু নারী ছিল, তারা জামায়াতের কর্মী কিনা তা জানা নেই।
বাংলামেইল২৪ডটকম/এমএন/১৯২১ঘণ্টা, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
লাঠি-ঝাঁটা হাতে জামায়াতের তিনশ নারীকর্মী মাঠে!জেলা সংবাদদাতা, বাংলামেইল২৪ডটকম বগুড়া: হরতালের দ্বিতীয় দিনে বগুড়ায় জামায়াতের শতাধিক নারী কর্মী বোরখা পরে লাঠি সোটা নিয়ে রাজপথে নামার চেষ্টা করেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় শেরপুরের হামছাপুরে হরতালের সমর্থনে বের হওয়া নারী কর্মীদের পুলিশ ধাওয়া করে। এ সময় তারা পালিয়ে যান।
হামছাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর নজরুলের নেতত্বে ওই নারী কর্মীরা মাঠে নামতে চেয়েছিলেন।
তবে হরতালের প্রথমদিন মঙ্গলবার শেরপুরে প্রশিক্ষিত প্রায় তিন শতাধিক নারী কর্মীকে মাঠে নামানো হয়। বেলা ১০টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের মহিপুর এলাকায় লাঠি ও ঝাটা হাতে তারা দলবদ্ধ হয়ে শক্ত অবস্থান নেন।
এমনকি তারা হরতাল কর্মসূচি সফল করতে দলের পুরুষ নেতাকর্মীদের সহযোগিতা দিতে মহাসড়কে বেশ কয়েক দফা মহড়াও দেন।
এর কিছু পরেই জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহিপুর বাজার এলাকায় সমাবেশ করে। এ সময় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের পক্ষ থেকেও সেখানে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলা হয়।
দলের বাছাইকরা তিন শতাধিক নারী কর্মী নানা কৌশলে মহাসড়কের আশপাশে একাধিক পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এরই একটি অংশ প্রকাশ্যে মহাসড়কের অবস্থান নেন।
একই সময় শহরের ধুনট মোড় এলাকায় কয়েকশ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী অনুরূপ কর্মসূচি পালন করে।
তবে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা জামায়াতে সেক্রেটারি আলহাজ্ব দবিবুর রহমান হরতালে নারী কর্মী নামানোর কথা অস্বীকার করেছেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, জামায়াত-শিবিরের হরতালে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নারী কর্মী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু নারী ছিল, তারা জামায়াতের কর্মী কিনা তা জানা নেই।
মহেশখালীতে রাস্তায় জামায়াতের নারী কর্মী
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাঈদীর ফাঁসির রায় হওয়ার খবর এলাকায় পৌছঁলে জামায়াত এমপি হামিদুর রহমান আযাদের নির্বাচনী এলাকা মহেশখালীতে অস্ত্র ও লাঠিসোটা হাতে জামায়াত ও ছাত্রী সংস্থার নারীরাও নেমে আসে রাস্তায়। বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার পর থেকে জামায়াত-শিবির কর্মী ও সমর্থকরা শাপলাপুরে সড়কে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে সবধরণের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল প্রধান সড়কের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। এ সময় তাদের সঙ্গে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা হাতে রাস্তায় নামে শিবিরের ছাত্রী সংস্থার কর্মী ও মহিলা জামায়াতের নেতাকর্মীরা। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে এরা মোটরসাইকেল, রিকসা, ইজিবাইক, বিভিন্ন মটর যান সহ বহু গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় অনেক গাড়ি চালককে তাদের যানবাহন নিয়ে সড়কের পাশে সাধারণ লোকজনের বাড়িতে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৩টায় খবর পেয়ে চান্দের গাড়ি নিয়ে একদল পুলিশ শাপলা পুরের দিকে রওয়ানা হলে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া খেয়ে পুলিশ পিছু হটে আসে। পরে এখানে পুলিশের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়। অপরদিকে জামায়াত-শিবিরের একটি চক্রকে থানা ও উপজেলা প্রশাসনেরে আশপাশের এলাকায় অবস্থান করে মুঠোফোনে বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের গতিবিধি জানাতে তৎপর দেখা গেছে। উপজেলার দক্ষিণ জামায়াতের এক নেতা জানান, তাঁরা এই রায় মানেন না, মহেশখালীতে বিক্ষোভ চলবে। তাছাড়া এখানে মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর, হিন্দুদের মন্দিরে হামলা, সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। তবে বিকেলে বাজারে ভাঙচুর হওয়ার সংবাদে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা পৌর শহরের চৌরাস্তার মোড়ে অবস্থান নিলে জামায়াত ক্যাডাররা সটকে পড়ে।
http://fairnewsbd.com/details.php?id=742
http://www.samakal.net/2013/09/19/11851
জামায়াতের মহিলা কর্মীরা মাঠে
http://www.dainikcoxsbazar.net/?p=1520
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=a47cc035019e5763c6668b4e6fcd517d&nttl=04032013178779
http://banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzAyXzI4LTEwNS0yNTc5Ng==
জামায়াতের নারী পিকেটাররা সক্রিয়
জামাত-শিবির কর্মীরা সাঈদীর ফাসির রায়ের পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে । তারা সারাদেশে একের পর এক সহিংস কর্মকান্ড চালাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে এসব সহিংস কর্মকান্ডে জামায়াতের পুরুষ পিকেটারদের সাথে মহিলা পিকেটারদের তৎপরতাও ছিল লক্ষণীয়। ভিবিন্ন জেলায় এসব নারী পিকেটাররা গাড়ী ভাংচুড়, আগুন দেয়া সহ ভিবিন্ন সহিংস কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল। এসময় একাধিক নারী কর্মী নিহত হওযার খবর পাওয়া গেছে।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝিনাইদহ, বগুড়া সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পিকেটিংয়ে নারী কর্মীরা অশগ্রহন করেছে। ঝিনাইদহের ভিবিন্ন উপজেলায় হরতালের সমর্থনে সহস্রাধিক মহিলা জুতা, ঝাড়ু ও লাটি নিয়ে বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করে গাড়ী ভাঙচুড় করে, তারা এসময় হরতাল সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকে। বগুড়ায় তিন জন নারী কর্মী নিহত হওয়ার খবর পাওযা গেছে। জানা যায়, এরা সবাই জামায়াতের নারী সংঘঠনের কর্মী। কিশোরী থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত এই দলে রয়েছেন, গত তিন ধরে লাঠি, ঝাড়ু ইত্যাদি নিয়ে ভিবিন্ন জেলায় এসব নারী কর্মীরা সক্রিয় ছিলেন, তারা হরতালের সময় ভিবিন্ন যায়গায় পুলিশের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িযে পড়েন। এসময় পুলিশের হাতে একাধিক নারী গেফতার হন।http://gbanglanews24.com/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B0/
যশোরে হরতালে বাসে আগুন, মহিলা জামায়াতের ঝাটা মিছিল
আরবিনিউজ২৪ ডেক্স : যশোরে হরতালে বাসে আগুনসহ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেছে হরতালকারীরা। এ সময় হরতাল সমর্থনে জামায়াতের নারী কর্মীরা ঝাঁটা মিছিল করেছে। এছাড়া হরতালে পিকেটিংয়ের নামে হামলা ভাঙচুরের চেষ্টাকালে পুলিশ ৩ জন জামায়াত শিবির কর্মীকে আটক করেছে। আটকরা হলেন-যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে ইফতেখার হোসেন (২০), তালবাড়িয়া এলাকার আবু বক্করের ছেলে ওলিউল ইসলাম (৫০) ও বাদিয়াটোলা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে জয়নাল আবেদিন (৫৩)। যশোর কোতায়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ডেইজি খাতুন জানান, হরতালে যশোর-মাগুরা সড়কের হাশিমপুর এলাকায় পিকেটিংকালে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। চুড়ামনকাটি থেকে অপর একজনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে পিকেটিংয়ের নামে জামায়াত শিবির কর্মীরা যশোর-মাগুরা মহাসড়কের হাশিমপুর এলাকায় ২টি নসিমন ভাঙচুর করেছে। সকালে যশোর-খুলনা মহাসড়কের অভয়নগর উপজেলার চেঙ্গুটিয়ায় একে ট্রাভেলসের একটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আব্দুস সালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, হরতালে সমর্থনে সকাল ১১টার দিকে ঝাঁটা মিছিল করেছে জামায়াতের মহিলা কর্মীরা। শহরের শংকরপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় এ মিছিলের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সকাল থেকেই শহরের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। অফিস আদালত দোকান-পাট ব্যাংক খোলা রয়েছে।
http://rbnews24.com/?p=1729
http://www.bdtomorrow.com/blog/bloggeruploadedimage/fakhrul/1383078022.jpg[/img]
মাওলানা সাঈদীর মুক্তি দাবিতে ঝাঁটা-জুতা নিয়ে মাঠে হাজারও নারী
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া, যশোর, বগুড়ার গাবতলী ও চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির প্রখ্যাত আলেম মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক ট্রাব্যুনাল। এরই প্রতিবাদে জামায়াত-শিবির কর্মীরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েকদিনের এই আন্দোলনে শুধু পুরুষরা অংশগ্রহণ করলেও গতকাল থেকে যুক্ত হয়েছে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীভক্ত হাজার হাজার মহিলারা। এ সময় মহিলারা ঝাঁটা-জুতা নিয়ে রাজপথে নেমেছেন। এসব এলাকার মহাসড়কগুলোতে গাছের গুঁড়ি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। এই আন্দোলনে র্যাব-বিজিবি-পুলিশ নির্বিচারে গুলি করছে। এতে দক্ষিণ চট্টগ্রাম এখন অগ্নিগর্ভ রূপ ধারণ করেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
দক্ষিণ চট্টগ্রাম : আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়াসহ পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রাম। কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা চারদিন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দীর্ঘ বিশ কিলোমিটার এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে পর্যটন শহর কক্সবাজার ও পার্বত্য জেলা বান্দরবানকে সারাদেশ থেকে যোগাযাগ বিচ্ছিন্ন করে রাখলেও বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা শত শত রাউন্ড গুলি করে ২ জামায়াত কর্মী ও এক এলডিপি কর্মী মিলিয়ে মোট ৩ জনকে হত্যা ও শত শত আন্দোলনকারীদের আহত করেও ব্যারিকেড তুলে নিতে পারেনি তারা। বরং জনতার প্রতিরোধে পিছু হটে নিরাপদে অবস্থান করছে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ। বিশাল এলাকাজুড়ে প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। রাস্তায় বিক্ষোভ আর বিক্ষোভ। গত কয়েক দিন ধরে শুধু পুরুষরা রাস্তায় আন্দোলন করলেও গতকাল থেকে রাস্তায় নেমেছে শত শত মহিলা। নারী-পুরুষের এহেন প্রতিরোধ স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত কেউ দেখেনি বলেই দাবি করছেন প্রবীণ লোকজন। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির প্রখ্যাত আলেম মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণার পর থেকে জামায়াত-শিবিরের পাশাপাশি স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। সবার একটাই দাবি বিতর্কিত ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায় বাতিল করে আল্লামা সাঈদীসহ সব আলেমকে মুক্তি দিতে হবে।
গতকাল হরতাল চলাকালে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া রাস্তার মাথা, হাসমত আলী সিকদারের দোকান, মিঠাদীঘি, চারা বটতল, ঠাকুরদীঘি, তেওয়ারিহাট, বারআউলিয়া কলেজ এলাকা, রাজঘাটা, আমিরাবাদ মোটরস্টেশন, আধুনগর বাজারসহ আরও কয়েক স্থানে রাস্তায় রাস্তায় টায়ার, গাছের গুঁড়ি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে লোকজন। প্রশাসনের লোকজন এসব এলাকায় টহলও দিতে পারছে না।
সূত্রে প্রকাশ, সাঈদীর রায় ঘোষণার পর থেকে দেয়া ব্যারিকেড তুলতে না পেরে শনিবার পুলিশ র্যাব মিলে সাধারণ জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। এতে নিহত হয় জামায়াতকর্মী আবু তাহের, শহীদুল ইসলাম ও এলডিপি কর্মী ওসমান গনি। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয় আরও ২০ জন। এ ঘটনার পরও গতকাল থেকে হাসমত আলী সিকদারের দোকান, মিঠাদীঘি, ঠাকুরদীঘি, পদুয়া, আমিরাবাদে সাঈদীভক্তরা রাস্তায় এসে হরতাল পালন করছেন। লোহাগাড়ার আমিরাবাদে শত শত মহিলা জড়ো হয়ে সাঈদীর মুক্তি দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছেন। এদিকে গতকালও হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় মাঠে নেমেছেন এতদঞ্চলের জনপ্রিয় জামায়াত নেতা সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী।
এদিকে গতকাল আজিমপুর এলাকায় শত শত মহিলারা সাঈদীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল করেছে। এই উপস্থিতি দেখে ডুকরে কেঁদে ওঠে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী আসমানের দিকে দু-হাত উঁচু করে বলেন, ‘আল্লাহ বাংলার কোটি কোটি মানুষ ফরিয়াদ করছে আল্লাহ তুমি সাঈদী সাহেবকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দাও।’ সরকারের জুলুম-নির্যাতন চরমে পৌঁছেছে উল্লেখ করে জামায়াতের কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, বাঙালিদের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস, বাঙালিরা যুদ্ধ করতে জানে। মাথানত করতে জানে না। মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে। সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হলে আল্লামা সাঈদীসহ কারাগারে আটক শীর্ষ আলেমদের অবশ্যই মুক্তি দেবে।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/03/4/190507
বিষয়: বিবিধ
৪৬৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন