বাংলাদেশি মেয়ে (১ম পর্ব : ফ্রিল্যান্সিং-এ বাংলাদেশী তরুণী)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৪ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:৪৬:৪২ রাত
পটভুমি :
আমি অনেক দিন ধরে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নারীর প্রতিভা-মেধা-যোগ্যতা অর্জনের পথে বাঁধাসমূহ ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি-মত-পথ-দর্শন নিয়ে লিখছিলাম । আমি বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলাম : কিছু লোক আমার কাছে বাংলাদেশের কিছু মেয়ের খারাপ চিত্র ও ভিডিও-র লিংক পাঠিয়ে আমাকে অবগত করার চেষ্টা করছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা হলেন ভীষণ খারাপ । তাদের জন্যই নাকি আমাদের দেশের এই খারাপ অবস্হা ।
এধরনের একটা ছবিও তারা ক্যাপসনসহ শেয়ার করেন যাতে বলা হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের কাজই হলো ছেলেদের সাথে একটা পর একটা প্রেম করে যাওয়া ।
কয়েক দিন আগে এক লোক আমাকে বলেই ফেল্লেন, আপনি নারী নেতৃত্ব জায়েজ বলে লেখা লিখতে যেয়ে আপনি সহিহ হাদিসের বিরুদ্ধে অবস্হান নিচ্ছেন। আর আপনার কলেজের এক মেয়ে তো তার অশ্লীল ভিডিও-র জন্য বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছেন । সুতরাং এসব লেখার আগে এসব কিছুই বিবেচনায় নিন ।
আমি বিবেচনায় নিলাম । তাই গুগল সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে বাংলাদেশি মেয়ে, বাংলাদেশি মহিলা, মা, আম্মা , বোন লিখে সার্চ দিলাম । আমি বিশ্ময়ে হতবাক হলাম । এসব কী ওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ দিলে যে সব পেজ বা সাইট বের হচ্ছে - তাতে আমার মনে হয়, বাংলাদেশে যারা নেট ব্যবহার করেন - তাদের সুস্হ জীবনবোধের বড়ই অভাব রয়েছে বলে মনে হলো । এসব পেজে বাংলাদেশের মেয়েদের এত বাজে ভাবে উপস্হাপন করা হয়েছে যা কল্পনারও বাহিরে । এজন্য আমি বাংলাদেশি মেয়েদের ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য উদ্যোগ নিলাম ।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মেয়েদের ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়ানোর পক্ষে প্রকাশ্যেই জনমত গঠণ করা হচ্ছে এবং মেয়েদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে তেতুল তত্ত্ব প্রচার করা হচ্ছে ।
উপরন্তু নারী সমাজের প্রতি সহিংস দৃষ্টিভঙ্গির বিরোদ্ধে আমার বেশ কিছু লেখা ব্লগ সাইটগুলোতে প্রকাশ পাওয়ার পর আমাকে নেটে ও বাস্তব জীবনে আমার মা-বোন তুলে অশালীন গালি-গালাজ করা হচ্ছে ।
আমি বিনীতভাবে সবাইকে বলছি, সবারই মা-বোন আছেন । আমরা যদি অন্যের মা-বোনকে সম্মান করতে না জানি তাহলে আপনি নিজেও সম্মানিতবোধ করতে পারবেন না । কারণ প্রতিটা মহিলাই বা মেয়েই মাতৃস্হানীয় ।
আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন :
১। "নারী পুরুষের সহোদরা । (আবু দাউদ )
২। নিশ্চয়ই নারীরা পুরুষদের মতোই পরস্পর ভাতৃসুলভ মর্যাদার অধিকারিনী ।
আল্লাহ বলেছেন : হে নারী-পুরুষ । তোমরা পরস্পরের অংশ ।( সুরা আলে ইমরান : ১৯৫)
আল্লাহ আমাদের মধ্যমপন্হা অনুসরণ করতে বলেছেন । আর তিনি মুসলিমদের বলেছেন মধ্যমপন্হা অবলম্বলন করা জাতি । আল্লাহ মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন :
"তোমরাই শ্রেষ্ঠতম জাতি । তোমরা মানব জাতিকে সৎকাজের আদেশ দিবে ও অসৎ কাজের নিষেধ করবে । "
হযরত আলী রা বলেছেন : " তোমরা সব সময় মধ্যমপন্হা অবলম্বন করবে । যেন চরমপন্হীরাও তার চরমপন্হা পরিহার করে তোমাদের সাথে একাত্ম হতে পারে এবং নিষ্ক্রীয় ব্যক্তিও তোমাদের সাথে চলতে পারে । "
আমাদের মনে রাখতে হবে এবং হৃদয়ে বদ্ধমূল করতে হবে : মুসলিম নারীর সফলতায়ই মুসলিম জাতি এগিয়ে যাবে । মুসলিম নারী সমাজ নিষ্ক্রীয় ও নির্জীব হয়ে গেলে মুসলিমদের পতন অনিবার্য হয়ে পড়বে । সুতরাং আমাদের চরমপন্হী দৃষ্টিভঙ্গী-মত-পথ-দর্শন-ব্যক্তিবর্গ পরিহার করতে হবে । আমাদের মন-মনন-চিন্তা জগৎকে উদার ও পরিশুদ্ধ করতে হবে ।
সূচনা :
বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই নারী । আগে বাংলাদেশের নারী সমাজ ছিল গৃহের চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ । তাদের ছিল না চোখে পড়ার মতো কোন সাফল্য । বাংলাদেশের মেয়েরা আজ বিশ্বের প্রতিটা ক্ষেত্রেই তাদের সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে পারছেন । তাদের দৃপ্ত পদক্ষেপ হিমালয়ের চুড়া হতে সমুদ্রের গভীরেও প্রবেশ করেছে । তাদের অনেকে বিশাক্ত সাপের কামড় ও সমাজের কটুক্তিকে সহ্য করেও তারা তাদের সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন । অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রও তাদের সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছেন না । রাষ্ট্রও তাদের প্রতিভা-মেধা-যোগ্যতাকে আরো শানিত করার জন্য সাহায্য করছে না ।
আজ আমরা আউটসোসিংয়ে কাজকে সাফল্য অর্জনকারী কিছু মেয়ের সাফল্যগাথা সম্পর্কে জানবো । আমরাও আমাদের সাথে সম্পৃত্ত নারীদের , যারা হতে পরেন আমাদের বোন বা কন্যা বা স্ত্রী বা সহপাঠিণী - তাদের এই কাজে উৎসাহিত করবো । কারণ এটা একটা সম্ভাবনাময় শিল্প ।
বাংলাদেশে আউট সোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং :
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। প্রতিদিন ১ কোটিরও বেশি টাকা আয় করছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেয় নারীরাও। বিশেষ করে তরুণীরা নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বেসিসের হিসাব মতে, গত বছর শুধু ওডেস্ক থেকে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা আয় করেছেন ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি ডলার। বর্তমানে দেশের ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে প্রায় ৯ ভাগই নারী।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে সম্পৃত্ত নারী :
বাংলাদেশে কী পরিমাণ মেয়ে ফ্রিল্যান্সার রয়েছে_ এ সম্পর্কে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সাইদুর মামুন খান বলেন, ইল্যান্সে বাংলাদেশি মোট ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। এর মধ্যে ৬ ভাগ নারী ফ্রিল্যান্সার। এ হিসাবে ইল্যান্সে প্রায় ২ হাজার মেয়ে ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন।
ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে বাংলাদেশি নারীদের অবস্হান :
ইল্যান্সে বাংলাদেশি নারীদের মধ্যে কুষ্টিয়ার এক মেয়ে মাসে ৬ সহস্রাধিক ডলার আয় করছেন। কুষ্টিয়া থেকেই ফ্রিল্যান্সিং করছেন তিনি।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রংপুরের সোনিয়া খানের আয় ৩ হাজার ডলারের বেশি। এর পরে রয়েছেন সুমাইয়া হক ও জামিলা এস। তাদের আয় ২ হাজার ডলারের বেশি। হাজার ডলারের ওপর আয় করছেন এমন বেশ কয়েকজনই আছেন এ সাইটটির শীর্ষ তালিকায়। ওডেস্ক বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাহমুদ হাসান সানি জানান, ওডেস্কে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে তৃতীয়। অনেক মেধাবী তরুণ-তরুণী বর্তমানে ওডেস্কে কাজ করছেন। শুধু গত মাসেই সফটওয়্যার, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং আইটিরোল ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশি ১ হাজার ৮০০ ফ্রিল্যান্সার ৫৭ হাজার ঘণ্টা কাজ করেছেন। ওডেস্কে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ১০ শতাংশের কাছাকাছি। ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সার ডে নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সার্ভে অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী মেয়ে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ। সেক্ষেত্রে বহির্বিশ্বের তুলনায় এ সংখ্যাটি বেশ কমই।
মেয়েদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে আনতে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি ও সুযোগ সৃষ্টি করা। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মুনির হাসান বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে নারীদের এগিয়ে আসার এখনই সময়। ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ থাকায় শিক্ষিত নারীদের বসে থাকার কোনো মানে নেই। এক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে আনার জন্য সরকারি-বেসরকারি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
অন্ধকারে আলোর ঠিকানা আউটসোর্সিং : মারজানা
শৈশব থেকেই বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখেন মারজানা। তবে সেই স্বপ্ন পূরণে প্রতিবন্ধকতা আসে বারবার। অনার্সে পড়া অবস্থায় বাবা মারা যান। পড়াশোনার খরচ চালানোর প্রয়োজনে একটি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধি, টিউশনি ও সর্বশেষ কলসেন্টারে কাজ করেন।
কিন্তু তার স্বপ্ন পড়ে থাকে ক্রিয়েটিভ সেক্টরে। আঁকাআঁকিতে আগ্রহ থাকায় ইংরেজিতে অনার্স করার পাশাপাশি চারুকলায় পড়াশোনা করেন। বন্ধুর মাধ্যমে ইন্টারনেটে কাজ করে আয়ের বিষয়টি জানতে পারেন। গুগল থেকে জেনে নেন কীভাবে কাজ করবেন, কী কাজ করবেন, কাজের পদ্ধতি কী এমন নানা খুঁটিনাটি বিষয়। সাহস নিয়ে ওডেস্ক আর ইল্যান্সে অ্যাকাউন্ট খোলেন।
সুন্দরভাবে প্রোফাইলটাকে সাজান। আঁকাআঁকি করার শখ আর গ্রাফিক্স ডিজাইন জানা থাকায় মার্কেটপ্লেসে এ ধরনের কাজে বিড করা শুরু করেন। প্রথম কাজ পেতে তিন মাস সময় লাগে তার। বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ওডেস্ক ও ইল্যান্সের ছোট-বড় প্রকল্পে দুই হাজার ঘণ্টার বেশি কাজ করেছেন তিনি। আয়ও করছেন বেশ। প্রথমে ঘণ্টাপ্রতি কাজের জন্য পাঁচ ডলার পেতেন তিনি। এখন তার আয় ঘণ্টাপ্রতি প্রায় ২০ ডলার। ইতিমধ্যে দুই হাজার ঘণ্টা কাজ করে ফেলেছেন তিনি। বিয়ে করেছেন ইল্যান্সের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সাইদুর রহমান মামুনকে।
স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সবার কাছ থেকে উৎসাহ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এম রাজিনা। ফ্রিল্যান্সিংয়ে মেয়েদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন এম রাজিনা। তিনি বলেন, এই সেক্টরে মেয়েদের সংখ্যা অনেক কম। অনেক বিবাহিত মেয়ে ঘরে বসে থাকেন। তারাও ঘরের কাজের পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পারেন। তবে এ কাজে পরিবারের সহযোগিতা আর সচেতনতা প্রয়োজন। আর এ কাজে আগ্রহীকে পেশাদার মনোভাবের হতে হবে। তারা নিজের কাজের দক্ষতাকে ইল্যান্স, ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার সাইটগুলোতে লাগাতে পারেন।
ঘরে বসেই তারা গ্রাফিকস ডিজাইন, অনুবাদ, ব্লগ, এসইও প্রভৃতি অনলাইনভিত্তিক নানা কাজ করতে পারেন। এতে তাদের কাজে যেমন দক্ষতা আসবে, তেমনি আর্থিক স্বচ্ছলতাও আসবে। একে পেশা হিসেবেও নিতে পারেন তারা।
ফ্রিল্যান্সিং-এর জন্য ইংরেজি ভালো করে জানতে হবে : নাফিসা হাবিব
আর্টিকেল লিখেই ৭ হাজার ডলারের বেশি আয় করা নাফিসা হাবিবের ফ্রিল্যান্সিং জীবন হুট করেই শুরু। ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়। একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। এ সময় পত্রিকায় অনলাইনে আয় সম্পর্কিত ফিচার দেখে এ বিষয়ে আগ্রহী হন নাফিসা হাবিব।
কৌতূহলবশত ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং ভালোভাবে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো যুক্ত করেন। অফিসে কাজের ফাঁকেই অনলাইনে বিভিন্ন রিসোর্স দেখে মার্কেটপ্লেসে পরীক্ষা দেন। একই সঙ্গে একটি ভালো কাভারলেটার তৈরি করে কাজে বিড করা শুরু করেন। ইংরেজিতে দক্ষতা থাকায় আর্টিকেল লেখাকেই বেছে নেন নাফিজা। মাত্র ৫ দিনের মাথায় ফিফা নিয়ে আমেরিকার একটি নিউজ পোর্টালের কাজ পেয়ে যান। প্রায় দেড় মাস ধরে এই কাজটি করেন। আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজটি শতভাগ সফলভাবে শেষ করেন। সেই থেকেই যাত্রা শুরু। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
কম্পিউটার সায়েন্সে পড়া নাফিজা শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন। তাই ফ্রিল্যান্সিংকে পার্টটাইম হিসেবেই নেন। তবে ২০১১ ও ২০১২ সালে ওডেস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এলে সাক্ষাৎ হয় তার সঙ্গে এবং পার্টটাইম পেশাকে ফুলটাইম হিসেবে নিতে মনস্থির করেন। অবশেষে চাকরি ছেড়ে এ পেশায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন। বড় ধরনের ১৩টি প্রজেক্ট ছাড়াও ছোটখাটো বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট করে ৭ হাজারের ডলারের অধিক আয় করেছেন।
বর্তমানে ওয়েব রিসার্চার হিসেবে কাজ করছেন। কয়েকমাস আগে ডেভসটিম ইনস্টিটিউটে ওয়েব ডিজাইন প্রশিক্ষণে অংশ নেন। ফ্রিল্যান্স ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে শীর্ষ অবস্থানে দেখতে চান নাফিজা। বাঙালি শিক্ষিত নারীদের ঘরে বসে না থেকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
বেসিস অ্যাওয়ার্ড জয়ী মারজান
পুরো নাম মারজান আহমেদ। অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে ধারণা লাভের চেষ্টা করেন। ২০১০ সালের মে মাসে পুরোপুরি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন। ডাটা এন্ট্রি, কনটেন্ট রাইটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ওয়েব ডিজাইনিং, সোশ্যাল মার্কেটিংয়ের কাজ দিয়েই শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং জীবন।
বর্তমান ইন্টারনেট বিপণনে আগ্রহ বেশি মারজানের। মার্কেটপ্লেস হিসেবে ফ্রিল্যান্সার ডট কমকে প্রাধান্য দেন তিনি। আর এই মার্কেটপ্লেসে বিশ্বের নারী ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন মারজান আহমেদ। ফ্রিল্যান্সার ডট কমে কাজ করা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মারজান বিশ্ব র্যাং কিংয়ে ১৩তম। এ পর্যন্ত সফলভাবে ২ হাজার ২৬০টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছেন তিনি।
গত বছর বেসিস আয়োজিত ফ্রিল্যান্সার পুরস্কার জিতেছেন তিনি। যশোর সরকারি এমএম কলেজে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার পাশাপাশি সেখানে থেকেই অনলাইনে কাজ করছেন। কাজের ক্ষেত্রে তিনি সবসময় বায়ারের কাছ থেকে ভালো র্যাং কিং পাওয়ার চেষ্টা করেন।
মারজান জানান, মেয়েদের স্বনির্ভরতার জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটা উন্মুক্ত মাধ্যম। পড়াশোনার পাশাপাশি এখানে কাজ করা সম্ভব। ধৈর্য আর চেষ্টা থাকলে সফলতা আসবেই। আর এজন্য বড় বড় ডিগ্রিধারী হতে হবে এর কোনো মানে নেই। আর কথাটির জ্বলন্ত প্রমাণ তো তিনি নিজেই।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার :
১। Bangladeshi Women : https://www.facebook.com/pages/Bangladeshi-Women/141698479361216?ref=hl
২। জাকারিয়া কাজল - এর ফ্রিল্যান্সার হওয়ার গল্প : http://www.freelancerstory.com/
৩। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল : http://www.bcc.net.bd/indexNewBangla.html
৪। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি : http://www.bcs.org.bd/
৫। প্রিয় ডট কম : http://tech.priyo.com/
৬ । কম্পিউটার জগৎ :
http://www.comjagat.com/
৭। ইটেক কর্ণার : https://www.facebook.com/etechcornerbd/posts/388557921264717
৮। দৈনিক যুগান্তর : http://www.jugantor.com/letters/2013/06/21/6916#
৯। বেসিস : http://www.basis.org.bd/
বিষয়: বিবিধ
৬১৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন