যুগে যুগে মুসলিম নারী যোদ্ধা ( ২য় পর্ব ) : চাঁদ সুলতানা

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০২:২৯:২৪ রাত

পটভুমি :

রাসুল (সা.) –এর যুগ হতেই মেয়েরা যুদ্ধ করে আসছে । যুগে যুগে মুসলিম নারীরা বিভিন্ন যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে ।

আমরা আগের পর্বে ( http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1440 ) রাসুল (সা.)- এর মহিলা সাহাবী নুসাইবা বিনতে কাব আল আনসারিয়াহ(রা.) বা উম্মে আমারার যুদ্ধের বীরত্মের কথা জেনেছি ।

নুসাইবা বিনতে কা'ব আল আনসারিয়াহ (রা.) ওরফে উম্মে আমারা (রা.) ইসলামের প্রথম যুগেই মুসলিম হয়েছিলেন। উম্মে আমারা (রা.) । তিনি তার স্বামীর সাথে আকাবার বায়াতে অংশ নেন । ইতিহাসে উল্লেখ আছে ৭৩ জন পুরুষ এবং ২ জন মহিলা এই বায়াতে অংশ নেন । উম্মে আমারা সেই দলে ছিলেন ।

তিনিই প্রথম নারী যিনি ইসলামের জন্য যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে যুদ্ধ করেছেন। প্রথমদিকে যুদ্ধরত সাহাবীদের সেবা-শুশ্রষা করলেও ওহুদের যুদ্ধে যখন পরিস্থিতি পরাজয়ের দিকে চলে যাচ্ছিল, এবং মহানবী (সা)-এর চারপাশে কেউ ছিল না, তখন এই নুসাইবা (রা)ই রাসূল (সা)-কে ঘিরে ধরেন এবং বিপরীত পক্ষের তীরের আঘাত হতে নবীজিকে রক্ষা করেন।

এছাড়াও তিনি হুনায়নের যুদ্ধ, ইয়ামাহার যুদ্ধ, বায়আতে রিদওয়ান, খায়বার, মক্কা বিজয় এবং হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় উপস্থিত ছিলেন।

আজকের পর্বে আমরা ভারতের মুসলিম নারী সেনাপতি চাঁদ সুলতানা-র যুদ্ধের বীরত্ব সম্পর্কে জানবো । তার আগে আমরা জানবো কেনই বা আমরা মেয়েদের যুদ্ধ করার গল্প জানার চেষ্টা করছি ।

[ প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে প্রাসঙ্গিক ছবি এখন দিচ্ছি না । আল্লাহ চাহেত পরে দিবো । আপাতত ছবি ছাড়াই লেখাটা পড়ুন । ]

আমরা কেন নারী যোদ্ধাদের গল্প পড়বো ? :

নারীদের ব্যাপারে বর্তমানে যে দৃষ্টিভঙ্গি আমরা দেখতে পাই তা ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি নয় । এই বিকৃত দৃষ্টিভঙ্গিকে ইসলাম হিসাবে চালিয়ে দেওয়ার কারণে পশ্চিমা প্রভাবাধীন গণমাধ্যমগুলি অপপ্রচার চালাচ্ছে যে ইসলাম নারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে, মানুষের বাক-স্বাধীনতায়, চিন্তার স্বাধীনতায়, চলাফেরার স্বাধীনতায় বিঘ্ন ঘটায় । তাই যে কোনভাবেই হোক এসলামের উত্থানকে রোধ করতে হবে।

ইসলামের নারী অবলা নয় । তারাও প্রচণ্ড দুর্ধর্ষ চরিত্রের অধিকারী। পর্দাপ্রথা ছাড়াও আরও হাজারো রকম ফতোয়ার বেড়াজালে নারীদেরকে আটকে রাখা হয়েছে। এইসব ভ্রান্ত বিষয় কিছু আলেমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এবং প্রচার করেন, যার দ্বারা ইসলাম-বিদ্বেষীদের অপপ্রচারের পালে আরও হাওয়া লাগে। তার দৃষ্টিভঙ্গি সত্যিকার ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি নয় ।

ইসলামের নারীদের অবস্হান কেমন ছিল তা ইতিহাসের পাতায় পাতায় লেখা আছে। যেমন :

১. নারীরা রাসুল (সা) -এর সামনা সামনি বসে আলোচনা শুনতেন, এ সময় মহানবী ও মেয়েদের মাঝে কোনো কাপড় টাঙ্গানো ছিল এই ব্যপারে কেউ কোনো দলিল দেখাতে পারবে না।

২. নারীরা রাসুল (সা) -এর সাথে থেকে যুদ্ধ করেছেন । শত্রুদের হামলা করেছেন । আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন । নিহতদের দাফনে সহায়তা করেছেন। যে যোদ্ধাদেরকে তারা চিকিৎসা ও সেবা দিয়েছেন তারা কিন্তু অধিকাংশই ছিলেন এসব আলেমদের ভাষায় “বেগানা পুরুষ”।

৩. নারীরা রাসুল (সা) -এর সময় যুদ্ধ চলাকালীন সৈন্যদের খাবার, পানীয় ও অন্যান্য রসদ সরবরাহ করেছেন।

৪. মেয়েরা মসজিদের পাঁচ ওয়াক্ত জামাতে, জুমা’র সালাতে, দুই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতেন।

৫. তারা পুরুষের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির মধ্যেও হজ্জ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন যা এখনও চালু আছে।

৬. তারা কৃষিকাজে, শিল্পকাজে অংশগ্রহণ করেছেন, রসুলাল্লাহর প্রথম স্ত্রী আম্মা খাদিজা (রা) সে সময়ের একজন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী ছিলেন।

মূল কথা হোচ্ছে, যেখানে সবচাইতে বিপদ সংকুল এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হচ্ছে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সেই যুদ্ধে মেয়েরা পুরুষের সঙ্গে সমানতালে অংশগ্রহণ করে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে । সেখানে চাকুরী, শিক্ষা, ব্যবসায়, বৈষয়িক অন্যান্য কাজে কর্মে নারীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ তো সাধারণ ব্যপার।

তবে এটা অনস্বীকার্র্য্য যে, যেহেতু সন্তান ধারণ নারীর কাজ, নারীর দেহ ও মনকে আল্লাহ সন্তান ধারণ ও পালনের জন্য উপযোগী কোরে তৈরী কোরেছেন, কাজেই সন্তান লালন পালন ও সেবা যত্ম ইত্যাদি তাদের একটা বিশেষ দায়িত্ব । তার মানে এই নয় যে, তারা অন্যান্য ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন কোরবে না।

তাছাড়া ইসলামের বৈধ-অবৈধ নির্দ্ধারণের বেলায় মানদণ্ড হচ্ছে আল্লাহর আদেশ এবং নিষেধ অর্থাৎ কুরআন। রাসুল (সা) জানতেন যে, তাঁর বাণীকে ভবিষ্যতে বিকৃত করা হবে । অনেক বৈধ বিষয়কে অবৈধ ঘোষণার জন্য সেটিকে তাঁর উক্তি বলে চালিয়ে দেওয়া হবে । তাই তিনি বলে গেছেন, আমি তোমাদের জন্য সেটাই হালাল করেছি যেটা আল্লাহ হালাল করেছেন । সেটাই হারাম করেছি যেটা আল্লাহ হারাম করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমার কোন কথা কুরআনের বিধানকে রদ করবে না । তবে কুরআনের বিধান আমার কথাকে রদ করবে (হাদীস)।

সুতরাং অনেক কথাই আমাদের কাছে এই নতুন মনে হবে । কিন্তু কোন কথাই মিথ্যা নয় । সবই ইতিহাসের বইয়ে আছে । হাদিসের বইয়ে আছে ।



যুগে যুগে মুসলিম নারী যোদ্ধা : চাঁদ সুলতানা


মুঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বের সময় (১৫৫৬-১৬০৫ খ্রি) ভারতের দক্ষিণ অঞ্চলের স্বাধীন আহমদনগর রাজ্যের সাধীনতা অক্ষুন্ন রাখার জন্য যুদ্ধ পরিচালনা করেন চাঁদ সুলতানা ।

বীরাঙ্গনা চাঁদ সুলতানার পরিচয় :

বীরাঙ্গনা চাঁদ সুলতানা ছিলেন আহমদনগরের হুসাইন নিজাম শাহের যোগ্য, কন্যা এবং বিজাপুরের প্রথম আলী আদিল শাহের বিধবা পত্নী। চাঁদ সুলতানা প্রতিটি রাজকার্য ও সৈন্য পরিচালনায় দক্ষতা ও সুখ্যাতির অধিকারিণী ছিলেন । চাঁদ সুলতানা নাবালক ভাইয়ের ছেলে বাহাদুর নিজাম শাহের অভিভাবিকা ছিলেন।

আকবরের রাজ্যসীমা বৃদ্ধির পরিকল্পনা :

আকবর ১৫৬১ সাল হতে ১৫৯৫ সাল পর্যন্ত ৩৪ বছর যুদ্ধ করে অন্য দেশ দখল করে আফগানিস্তানের কান্দাহার হতে বাংলাদেশ পর্যন্ত তার রাজসীমা বৃদ্ধি করেন । তারপর আকবর দক্ষিণ ভারতে অভিযান পরিচালনা করে তার রাজ্যটা আরো বড় করার উদ্যোগ নেন ।

আধা হিন্দু আকরবের দক্ষিণ ভারতে অভিযান পরিচালনা করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল :

১.সাম্রাজ্যবাদী সম্প্রসারণবাদের উপর ভিত্তি করে গঠিত আকবরের নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রথমত: বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণে মুঘল সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি।

২.দূরদর্শী আকবর সহজেই উপলব্ধি করেন যে, পর্তুগীজরা সদ্ভাব বজায় রাখলেও ব্যবসা-বাণিজ্য করে তারা শক্তি সঞ্চয় করছে এবং পশ্চিম উপকূলে তাদের উপস্থিতি মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতি হুমকিস্বরূপ। (ভারতবর্ষের ইতিহাস: ড. সৈয়দ মাহমুদুল হাসান)

দক্ষিণ ভারতে যুদ্ধ করে দেশ দখলের ইতিহাস :

১.দক্ষিণ ভারতে প্রথম মুসলিম অভিযান পরিচালিত হয়েছিল সুলতান আলাউদ্দীন খলজীর রাজত্বকালে (১২৯৬-১৩১৬ খ্রি) । ১৩১০ সালে সীমিত আকারের এ অভিযান সফল হয়েছিল।

২. দাক্ষিণ ভারতের হিন্দু রাজ্য বিজয়নগরের পতনের পর আহমদনগর, বিজাপুর, গোলকুন্ডা এবং খান্দেশ ইত্যাদি ছোট ছোট মুসলিম রাজ্য সৃস্টি হয় ।

এগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অরাজকতা লেগে থাকতো । এই সুযোগে সম্রাট আকবর সেখানে মুঘল প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট হন।

এ লক্ষ্যে ১৫৯১ সালে আকবর দক্ষ কূটনীতিবিদদের প্রেরণ করে স্বাধীন রাজ্যগুলোর আনুগত্য লাভের চেষ্টা করেন। এতে আহমদনগর আর খান্দেশ ব্যতীত অন্যান্য রাজ্যগুলো, যেমন- বিজাপুর, বিদর, গোলকুন্ডা সম্রাট আকবরের বশ্যতা স্বীকার করে। এ থেকে আহমদনগর ও খান্দেশের সঙ্গে বিরোধ থেকেই যায়।

আকবরের চাদ সুলতানার রাজ্য দখল করার অভিযান :

সম্রাট সেনাপতি আব্দুর রহমান খান-ই-খানান ও যুবরাজ মুরাদের নেতৃত্বে প্রথমে আহমদনগর অভিযানের জন্য এক বিশাল সৈন্যবাহিনী দাক্ষিণ্যত্যে প্রেরণ করেন। ১৫৯৫ সালে আহমদনগর রাজ্য মুঘল সৈন্যবাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তখন মুঘল বাহিনীর সঙ্গে আহমদনগরের সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে পড়ে।

মুঘল বাহিনীর অবরোধের বিরুদ্ধে আহমদনগর বাহিনী বীরাঙ্গনা চাঁদ সুলতানার যোগ্য নেতৃত্বে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। চাঁদ সুলতানার অসীম বীরত্ব, নির্ভীক দৃঢ়তা আর রণকৌশলে উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত, দক্ষ ও বিশাল মুঘলবাহিনীর অবরোধ কার্যকর হয়নি।



চাদ সুলতানার বীরত্ব :


দুঃসাহসী এই মহিয়সী নারী বিশাল মুঘলবাহিনীর বিরুদ্ধে যে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তা মধ্যযুগের বীরত্ব গাথা হিসেবে আজও অতুলনীয়। যে কারণে তার বীরত্ব গাথা আজও স্মরণীয় :

১.চাঁদ সূলতানা দুর্গ প্রাচীরে দাঁড়িয়ে দক্ষ সেনাপতির মত সৈন্য পরিচালনা করেছিলেন, বর্ম পরিহিত অবস্থায় তরবারি হাতে সৈন্যবাহিনীকে যুদ্ধে উৎসাহিত করেছেন।

২. চাঁদ সূলতানা মাথায় উড়নি দিয়ে তিনি গোলন্দাজ বাহিনীকে কামান বসানোর স্থান নির্ণয় করে দিতেন।

৩.দুর্গ প্রাচীরে দাঁড়িয়ে মুঘল সৈন্যদের উপর পাথর নিক্ষেপ তদারক করতেন।

৪.নৈশকালীন যুদ্ধে তিনি কর্তব্যরত সৈন্যবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দিতেন।

বীরযোদ্ধা কবি নজরুলের ভাষায় বলা যায়, ‘মার হাঁক হৈদরী হাঁক/কাঁধে নে দুন্দুভি ঢাক/ডাক্ ওরে ডাক/মৃত্যুকে ডাক জীবনপানে।’’

৫.শত্রুবাহিনীর অবিরাম গোলাবর্ষণে দুর্গ প্রাচীরে ফাটল সৃষ্টি হলে তিনি নিজে তা মেরামত কাজের তদারক করতেন। এর ফলে অবরোধকারী মুঘল বাহিনী বার বার ব্যর্থতার কারণে হতোদ্যম হয়ে পড়ত।

অবশেষে দীর্ঘদিন অবরোধের পর মুঘলদের সঙ্গে ১৫৯৬ সালে চাঁদ সুলতানার একটি সমঝোতা চুক্তি সম্পাদিত হয়।

চাঁদ সুলতানার রাজ্য যেভাবে মুঘল সম্রাট আকবের দখলে চলে যায় :

চাঁদ সুলতানা ভাইয়ের পুত্র নাবালক বাহাদুর নিজাম শাহের অভিভাবিকা ছিলেন।কিন্তু ষড়যন্ত্রের কারণে পরবর্তীতে বাহাদুর নিজাম শাহ মুঘলদের বশ্যতা স্বীকার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। তার রাজ্যের বেরার প্রদেশ সম্রাট আকবরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

আমীর-ওমরাহ্দের ষড়যন্ত্র আর সীমান্ত সংঘর্ষের কারণে ১৫৯৭ সালে মুঘল বাহিনীর সঙ্গে দ্বিতীয় যুদ্ধ শুরু হয়।

অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বীরাঙ্গনা চাঁদ সুলতানাকে সম্ভবত বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়। ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন )

এরপর আহমদনগর ১৬০০ সালে মুঘল সাম্রাজ্যভুক্ত হয়ে যায়।



উপসংহার :


জন্মভূমি প্রিয় আহমদনগরের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে বীরাঙ্গনা চাঁদ সুলতানা যে সংগ্রাম করে গেছেন সে সম্পর্কে ইতিহাস বিশারদ ঈশ্বরী প্রসাদ বলেন : ‘‘এমনকি মুঘল ইতিহাসেও চাঁদ সুলতানার মত এরূপ বীরত্বপূর্ণ ও আত্মত্যাগের কাহিনী খুবই বিরল।’’

মধ্যযুগীয় বীরগাথায় চাঁদ সুলতানার নাম অমর হয়ে আছে একজন বীরশ্রেষ্ঠ হিসেবে। কঠিন পরিস্থিতিতেও দেশের জন্য যারা কাজ করতে চান বীরাঙ্গনা চাঁদ সুলতানা তাদের জন্য প্রেরণার উৎস হতে পারে।



কৃতজ্ঞতা স্বীকার :


১.http:// http://www.facebook.com/rijuwana93

২. http://en.wikipedia.org/wiki/Chand_Bibi

৩. http://www.avibushistoriae.com/Chand_Bibi.htm

৪. http://en.wikipedia.org/wiki/Bijapur_Sultanate

৫. http://en.wikipedia.org/wiki/Ahmednagar_Sultanate

৬. http://en.wikipedia.org/wiki/History_of_Ahmednagar

৭. http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=31833

৮. http://www-origin.dw-world.de/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE/g-16975686

বিষয়: বিবিধ

৬৩০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File