মুসলিমদের এগিয়ে যেতে হবে মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৩ জানুয়ারি, ২০১৩, ০২:৩০:৩৫ রাত
ইউরোপ ও আমেরিকার মুসলিমদের এখন শুধু প্রয়োজন বেশী পড়াশোনা করা, যোগ্যতা অর্জন করা এবং সাংগঠনিক দক্ষতা অর্জন করা । কারণ আগামী ৫০ বছরের মধ্যে ইউরোপের অনেক দেশে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি বা প্রভাবশালী অবস্হানে চলে যাবে । যেমন : ফ্রান্সে পঞ্চাশের দশকে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল এক শতাংশের নিচে । আর এখন বিভিন্ন পরিসংখ্যানে ৮ হতে ১৫ শতাংশ দেখানো হয় ।
মুসলিমরা প্রভাবশালী হচ্ছে বলেই হিজাব, নিকাব আর মসজিদ নিয়ে অমুসলিমরা এত হৈ চৈ করছে । ইউরোপে অমুসলিমরা পরিকল্পিতভাবে মুসলিমদের অস্তিত্তবিনাসের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিল সেই সপ্তম শতাব্দী হতেই । খ্রীষ্টানরাই তিন তিন বার বড় ধরনের ক্রসেড পরিচালনা করেছিল । মুসলিমদের এজন্য কৌশলী হতে হবে ।
আর মুসলিম প্রাধান্য দেশগুলোতে মুসলিমদের অবশ্যই ইসলামীকরণের মাধ্যমে তাদের দেশগুলোতে ইসলামী আদর্শের আলোকে গড়ে তোলতে হবে । মুসলিমদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে : তাদের উন্নায়ন ও অগ্রগতি ইসলামকে আকড়ে ধরার উপরই নিহিত । এর কারণ হিসেবে আমি অনেক কিছুই বলতে পারি । আমি শুধু আপনাদের বেশ কিছু উদৃতি পড়ার অনুরোদ করছি ।
সামুয়েল হান্টিংটনের এই উদৃতিটা ভাল করে পড়ুন :
"স্নায়ু যুদ্ধ পরর্বতী সংঘাত আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কোনটি থেকেই বের হবে না । সভ্যতার সংঘাতই মূলত এখন প্রধান ভুমিকা পালন করবে ।"
এবার দেখুন ফরেন পলিশি ম্যাগাজিন সভ্যতার সংঘাতটা কি ব্যাখ্যা করতে যেয়ে বলেছে : স্নায়ু যুদ্ধ শেষ । পশ্চিমা কৌশলীরা পশ্চিমাদের নতুন শত্রু চিহ্নিত করছেন , তাহলো ইসলাম ।
নিচের এ উদৃতি দেখুন :
ইসলাম আর আধুনিক পশ্চিমা বিশ্ব আজ পরস্পরের মুখোমুখি হয়ে একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করছে। আর অন্য কোন ধর্মই পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি এমন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়ায়নি। খ্রীষ্টধর্মের চ্যালেঞ্জের প্রশ্নই আসে না। কারণ খ্রষ্টধর্মের পশ্চিমা বিশ্বের অংশ আর এই খ্রীষ্টধর্মকে আধুনিকতার মোহ-মায়া তিলে তিলে শেষ করে ফেলেছে। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্ম ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়ানোর প্রশ্ন আসে না। কারণ এগুলো কল্পিত দার্শনিক চিন্তা ও সংস্কার ছাড়া কিচু নয়। ইহুদী ধর্ম ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়ানোর অবস্থায় নেই। কারণ এটি ক্ষুদ্র একটি গোত্রের দর্শ। পশ্চিমা বিশ্বে খলিফা ইমামুল মেহেদী, আয়াতুল্লাহ শব্দের যে প্রভাব অথবা মোল্লাদের পরিচালিত জিহাদ (ইসলাম বিনাশী সব শক্তির বিরুদ্ধে তৎপরতা) পশ্চিমী চিন্তাধারাকে যেভাবে আলোড়িত করে সে তুলনায় শুরু স্বামী লাম্বা রাব্বীর কোন গুরুত্বই বহন করে না।
( Toady Islam and the Modern World confront and challenge each ether. No other matter religion possesses such a challenge to the west. Not Christianity. Which sis a part of the western world and which has been eaten up from within by the acids of the modernity. Not Hinduism and Buddhism, because their rediation the west has been and is on high, eternal plane, and not Judaism, which is too small and tribal a faith. Not guru, no swami. no lama, no rabbi has had any impact on the west comparable to that exited by the caliph the Mahdi and the. Ayatollah or by that stereotype haunting the western imagination the mullah leaders the jihad. )
উৎস: The Economist , Godfreus gansen , International Islam ৩ জানুয়ারী ১৯৮১
এবার এ উদৃতিটা দেখুন:
“ভারতের অহিন্দু জনগণকে অবশ্যই হিন্দু সংস্কৃতি ও ভাষা গ্রহণ করতে হবে, অথবা সম্মান করা শিখতে হবে এবং বাস্তব জীবনে হিনউদ ধর্মকে সম্মান করতে হবে। ভারতের প্রতি অনুদারতা ও অকৃর্তিজ্ঞতামূলক ধারণা ত্যাগ করতে হবে। যাতে ভারতের গৌরবোজ্জ্বল হিন্দু জাতি ও সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ভালবাসা ও আত্মত্যাগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করতে হবে। অহিন্দুদের অবশ্যই বিদেশেী বা অস্থায়ীভাবে অবস্থানকারী হিসেবে বারতে বসবাস করতে হবে, পুরোপুরি হিনউদ জাতির অধীনে হয়ে থাকতে হবে। কোন বিশেষ সুবিধা, উপযুক্ত প্রতিবিধান অগ্রাধিকার, সদাচরণ প্রভৃতি দাবি করা তো দুরের কথা সামান্যতম নাগরিক সুযোগ সুবিধাও অহিন্দু জনগণ দাবী করতে পারবে না।"
(The non Hindu peoples in Hindustan must adopt Hindu culture and language, must either learn to respect and role in reverence Hindu religion, must entertain no ideas but those of glorification of the Hindu race and culture, (i.e.) they must not only give up their attitude of intolerance and ungratefulness forwards this land and its age long traditions but must also cultivate the positive attained of love and must cease to be foreigners or may stay in the country, whole sub ordinate to the Hindu Nation, claiming nothing, deserving no privileges, fearless any preferential treatment no even citizen’s right.” )
( উৎস: ভারতীয় জনতা পার্টির গুরু , এম. এস. গোলওয়ালকর -এর লেখা We as our Nationhood defined. 1th edition, Nagpur, India, Bharat Prekash 1947. page 55-50)
এই উদৃতি ভারতের মুসলিমদের জন্য সতর্ক সংকেতই নয়, সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য সতর্ক সংকেত । কারণ ২০৩০ সালে ভারতের মুসলিমরাই হবে বিশ্বের শীর্ষ স্হানীয় মুসলিম জনগোষ্ঠী আর বাংলাদেশের মুসলিমরা হবেন বিশ্বের ৪র্থ বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠী । বিশ্বের মুসলিমদের অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশের মুসলিমদের ভারত ও বার্মার মুসলিমদের কথা সবার আগে চিন্তা করতে হবে ।
উৎস : http://www.pewforum.org/The-Future-of-the-Global-Muslim-Population.aspx
বসনিয়ার স্বাধীনতার সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন : ইউরোপের বুকে কোন মুসলিম রাস্ট্র সহ্য করা হবে না । আমি মনে করি, এই উদৃতিটাকে ইউরোপের মুসলিমদের হৃদয়ে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে ।
মুসলিম দেশগুলো স্বাধীনতা পেয়েছে মাত্র কয়েক দশক হলো । ১৯৪৫ সালে মাত্র ৩টা স্বাধীন মুসলিম দেশ ছিল । জীবন ঘনিষ্ঠ শিক্ষা ব্যবস্হায় মুসলিমদের যেতে অনেক দিন লেগে যাবে । কারণ ধর্ম ব্যবসায়ী, নাস্তিক্যবাদ ও অমুসলিমদের অশুভ তৎপড়তা বাধাহীনভাবে চলছে । কোন কিছু রাতারাতি হয় না । একটা সন্তান জন্ম দিতে একটা মেয়ের ৯ মাস ১০ দিন ( ২৮০ দিন ) সময় লাগে । আর ১৭৫ কোটি মুসলিমের সমস্যার পাহাড় এক দিনে সমাধান করা সম্ভব নয় । এজন্য আমাদের মতো নগণ্য মুসলিমদের মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : https://www.youtube.com/watch?v=CrA_9SoCitk&feature=related এই ভিডিও দেখার অনুরোদ করছি ।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
২৫৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন