মোবাইল ও টেবে দ্রুতগতিতে বাংলা লেখার কৌশল

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ৩০ মে, ২০১৩, ১০:৪১:৪৯ রাত

সূচনা :



মোবাইলে সাধারণত বাংলা লেখা হয় মায়াবী অথবা পানিনী কীবোর্ড ব্যবহার করে । এসব কীবোর্ড ফোনেটিক লেআউট নির্ভর । অর্থাৎ আমি বই পড়ি – লিখার জন্য আপনি ইংরেজীতে ami boi pori. লিখছেন যা পড়ে বাংলা অক্ষরে রুপান্তরিত হয়ে মোবাইল বা টেবে প্রকাশিত হচ্ছে । এভাবে বাংলা দ্রুতগতিতে লেখা যায় না । আর হাতের আগুল ক্লান্ত হয়ে পড়ে ।



অনেকেই বলে থাকেন, “বিজয় বা ইউনিবিজয় ব্যবহার করে মোবাইলে বা টেব-এ দশ আঙ্গুল ব্যবহার করে লিখলে কতই না সহজ হতো বাংলা লেখা । ডেক্সটপ কম্পিউটারের সামনে বসে ব্লগ আর ফেসবুকের স্যাটাস লেখা হতে মুক্ত পেতাম । সাত ইঞ্চি সিম্ফোনী টেবটাকে বইয়ের মতো করে হাতে নিয়ে বাড়ির ছাদের উপর মৃদু মন্দ ঠান্ডা বাতাসে বসে ব্লগ আর ফেসবুকের স্যাটাস লেখতে পারতাম । “

অর্থাৎ স্মার্টফোন বা টেব সাথে থাকলে মোবাইল, কম্পিউটার, এফ রেডিও-সহ সব এক জায়গায় হয়ে যাচ্ছে । আর বাংলা সাবলিল গতিতে লিখতে পারলে তো এসব ব্লগার আর ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বাড়তি সুবিধা পেত ।

কোন মোবাইল বা টেবগুলোতে ইউনিবিজয় ব্যবহার করা যায় ?:



বাস্তব অবস্হা হলো, ইউনিবিজয় ব্যবহার করে বাংলা লেখার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে শুধুমাত্র এন্ড্রোয়েড ডিভাইসগুলোতে । অর্থাৎ যেসব মোবাইলে বা টেবে এন্ড্রোয়েড অপারেটিং সিস্টেম আছে সেগুলোতেই ইউনিবিজয় ব্যবহার করে লেখা যাচ্ছে ।

Android 4 (Ice-cream Sandwich) অথবা তার পরবর্তী ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেম সমৃদ্ধ মোবাইল বা টেব ব্যবহার করছেন তারা সফলভাবে ইউনিজয় ব্যবহার করে ফেসবুক ও ব্লগ-সহ বিভিন্ন সাইটে দ্রুতগতিতে বাংলা লিখে যাচ্ছেন । এসব মোবাইলকে আমরা স্মার্ট ফোন, এন্ড্রয়েড ফোন বলে থাকি । আর টেবও বলে থাকি । এদের স্ক্রীন বা মনিটর সাধারণ ৪ ইঞ্চি হতে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত হয় । ৪ ইঞ্চি স্ক্রীনের মোবাইলে দশ আঙ্গুল দিয়ে ছুয়ে টাইপ করা না গেলেও ৭ ইঞ্চি স্ক্রীনের মোবাইল বা টেবে ডেক্সটপ কম্পিউটারের মতো দশ আঙ্গুল ব্যবহার করে টাইপ করা যায় ।



symphony-t7i টেব যেগুলো দিয়ে ইউনিবিজয় লেআউট ব্যবহার করে বাংলা লেখা যায় ।

http://www.symphonymobile.org/2013/05/symphony-t7i-vs-t8i.html

http://www.fun2baba.com/symphony-t7i-tab/



Symphony Xplorer W60 মোবাইল যাতে আছে Operating System: Android 4.0 Ice Cream sandwich । এটা দিয়ে ইউনিবিজয় লেআউট ব্যবহার করে বাংলা লেখা যায় । Price: Tk. 8,390.

http://symphony-mobile.com/index.php?route=product/product&path=63&product_id=126

সিম্ফোনী-র এন্ড্রোয়েড মোবাইল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে ভিজিট করুন :

https://www.facebook.com/symphonymobile

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন বা টেবে বাংলা লেখার আগ্রহের কারণ :

১.অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল যা স্মার্ট ফোন নামে পরিচিত এবং টেবগুলো দামী । সাত হাজার টাকার উপরে এগুলোর দাম । যেহেতু দামী জিনিস তাই এসব হতে বেশী সুবিধা লাভের আশা ব্যবহারকারী করতেই পারেন ।



২. ইন্টারনেটে বাংলা ভাষার ব্যবহার জনপ্রিয় হয়েছে । ৩০ লাখ বাংলাদেশি ফেসবুক ব্যবহার করেন । ২ লাখ লোক ব্লগ লিখেন ।

বাংলা ভাষা-ভাষীরা ইন্টারনেটে বাংলা ভাষায় তাদের প্রতিবাদ-সংগ্রামকে সংগঠিত করছেন । তারা ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে এসব ডিভাইস নিয়ে বসে পড়ছেন এবং ইন্টারেনেটে যুক্ত হয়ে প্রতিপক্ষকে বাংলা ভাষার প্রতিবাদী শব্দ ব্যবহার করে ঘায়েল করে যাচ্ছেন । বাড়িতে বসে ফেসবুকে প্রতিবাদী স্যাটাস দিচ্ছেন । সংগ্রামী মন্তব্য করে যাচ্ছেন ।



৩. অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও টেবে বাংলা লেখার আগ্রহ অনেকেরই । তরুণ সমাজ বাংলা টাইপিং নিয়ে অনাগ্রহী ছিল । কিন্তু ব্লগ সাইটগুলো এসে তাদের বাংলা টাইপিং-এর প্রতি আগ্রহী করে তোল্লো। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও টেব ব্যবহার করে সহজেই দ্রুতগতিতে ব্লগ লিখা যায় এবং ব্লগে মন্তব্য করা যায় ।

৪. ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে শুরু করে ব্লগ, ছবির ক্যাপশন ও চ্যাট করার সময় মাতৃ ভাষা বাংলাকেই সবাই গুরুত্ব দিচ্ছে । যে ইংরেজীতে দক্ষ সেও আর আগের মতো ইংরেজীতে স্যাটাস দেয় না । সেও এখন বাংলা অক্ষর ব্যবহার করে বাংলা ভাষায় তার মনের ভাব প্রকাশ করছে । সুতরাং যাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও টেব রয়েছে তারাও চান বাংলা সাবলীলভাবে লিখতে ।

এন্ড্রয়েড নিয়ে সবধরণ তথ্য ও আপডেট জানতে ভিজিট করতে পারেন :

https://www.facebook.com/Android.Somogro

https://www.facebook.com/groups/AndroidSomogroGroup/

৫. অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল বা টেবে বাংলার জন্য একটি ফন্ট দেয়া থাকে। বাংলা ফন্টটি না থাকলে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল বা টেব-এর অপারেটিং সিস্টেম আইসক্রিম স্যান্ডউইচে আপডেট করলে বাংলা ফন্ট পাওয়া যায় ।

এখন অপারেটিং সিস্টেমের নতুন ভার্সন Android 4.1.2 (jelly bean) বাজারে এসে গেছে । এই ভার্সন আইসক্রিম স্যান্ডউইচের চেয়েও অনেক ভাল । সুতরাং মোবাইল কিনার সময় Android 4.1.2 (jelly bean) অপারেটিং সিস্টেমকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ।

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল বা টেবগুলো থেকে বাংলা লেখা ঝকঝকে দেখা গেলেও বাংলা লেখার জন্য কোনো কীবোর্ড লেআউট যুক্ত করা নেই। তবে ব্যবহারকারীরা মায়াবী কীবোর্ড যুক্ত করে এসব অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল বা টেবগুলোতে বাংলা লিখতো ।

কিন্তু এই সাত মাস ধরে (অক্টোবর ২০১২ এর পর হতে) অনেকেই এসব মোবাইল বা টেবে রিদ্মিক কীবোর্ড ব্যবহার করে বাংলা লিখছেন । এই কীবোর্ড অনেকাংশেই মায়াবী কীবোর্ড হতে আকর্ষণীয় ও সুবিধা সমৃদ্ধ ।



রিদ্মিক কীবোর্ড - এর লোগো

রিদ্মিক কীবোর্ড :

রিদ্মিক কীবোর্ড হলো এন্ড্রোয়েড ডিভাইসে (স্মার্টফোন, টেবলেট, এন্ড্রোয়েড মোবাইল) অনস্ক্রীন কীবোর্ড । এই কীবোর্ড ফোনেটিক এবং ইউনিবিজয় লেআউট রয়েছে । আপনি আপনার স্মার্ট ফোনে এটি ইনস্টল করতে পারেন । তাহলে পানিনী কীবোর্ড আর মায়াবী কীবোর্ডের ফোনেটিক লেআউটে বাংলা লেখা হতে মুক্তি পাবেন । ফলে আপনি আপনার স্মার্ট ফোনে সাবলীল ও দ্রুত বাংলা লিখতে পারবেন । রিদ্মিক কীবোর্ড ফ্রিওয়্যার । অর্থাৎ এটি ব্যবহার করার জন্য টাকা – পয়সা খরচ করতে হবে না ।

উল্লেখ্য এজন্য আপনার ডিভাইসটি বাংলা সাপোর্টেড হতে হবে বা আপনার ডিভাইসটিকে বাংলা সাপোর্টেট করে নিতে হবে । আপনি বাংলা সাবলীলভাবে লেখার জন্য skia library হতে বাংলা ফন্ট ইন্সটল এবং কম্পাটিবল করতে পারবেন ।

আপনার ডিভাইসটির অপারেটিং সিস্টেম যাতে আইসক্রিম সেন্ডউইচ হলে আপনি কোন জটিলতা ছাড়াইই ব্যবহার করতে পারবেন ।

রিদ্মীক কীবোর্ড ডিজাইন ও ডেভালপ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার কৌশল বিভাগের ছাত্র শামীম হাসনাত । তাকে আমাদের পক্ষ হতে শুভ কামনা ।

রিদ্মিক কীবোর্ডের বৈশিষ্ট্য :

১. অভ্র কীবোর্ডের মতো বাংলা ফোনেটিক কীবোর্ড আছে ।

২. বাংলা ইউনিবিজয় লেআইট যা বিজয়ের মতোই তা রিদ্মিক কীবোর্ডে আছে ।

৩. দ্রুত লেখার জন্য বাংলা ও ইংরেজী শব্দ প্রিডিকশন ও সাজেশন ব্যবস্হা আছে ।

৪. Gingerbread, ICS & the Ridmik theme সহ সাতটা থিম যুক্ত আছে ।

৫. ইংরেজী-বাংলা-রিদ্মিক মোডে পরিবর্তন করার জন্য সুইপ স্পেস বার রয়েছে ।

৬. টাইপ করার সময় নতুন শব্দ শেখা যাবে । কারণ টাইপ করার সময় সম্ভাব্য নতুন শব্দ উপস্হাপিত হয় ।

৭. gingerbread & ICS কীবোর্ড ডিফল্ট থাকলেও মেসেজ টাইপ করার জন্য নিউ লাইন বাটন রাখা আছে ।

৮. Long press Enter key “সাজেশন বার” লুকানো ও প্রদর্শন করার জন্য রাখা হয়েছে । যদি আপনার ফোনের প্রস্হতা না থাকে, তাহলে মোবাইল বা টেবের দৈর্ঘের দিককে ব্যবহার করার জন্য আপনি ল্যান্ডস্কেপ মোড ব্যবহার করতে পারবেন ।

৯. তিনটা স্ক্রীন রয়েছে ।

১০ সাপোর্ট করে না এমন ডিভাইসে বাংলা লিখতে পারেন । তবে এর জন্য অপারেটিং সিস্টেমকে আপড্রেড করতে হবে । প্রয়োজনীয় বাংলা ফন্ট যুক্ত করতে হবে ।



যেভাবে ইনস্টল করবেন রিদ্মিক কীবোর্ড :


১. নেটের এন্ড্রোয়েড মার্কেট হতে ডাইলোড করুন এবং ইনস্টল শুরু করুন ।

২. Settings > Language & Keyboard – এ যান ।

৩. Ridmik Keyboard এনাবল করুন ( ‘Ridmik Keyboard’ এর পাশের বক্সে টিক মার্ক দিন )

৪. তারপর কোন টাইপিং ফ্লিড খুলুন (তা হতে পারে কোন ম্যাসেজ বক্স বা সার্চ বক্স ). তারপর এর উপর long press করুন ।

৫. Input Medthods ক্লীক করুন ।

৬. তালিকা হতে Ridmik Keyboard সিলেক্ট করুন ।

৭. উপভোগ করুন রিদ্মিক কীবোর্ড ।

ছবির মাধ্যমে পক্রিয়াটি হলো :

প্রথমেই নিচের লিংক বা কিউআর কোড স্ক্যান করে ডিভাইসে ডাউনলোড করে নিন রিদ্মিক কিবোর্ড।



https://play.google.com/store/apps/details?id=net.hasnath.android.keyboard

[ অ্যান্ড্রয়েড থেকে গুগল প্লে স্টোরে ঢুকতে সমস্যা হলে এই পোস্টটি দেখুন : http://www.androidkothon.com/post-id/785 ]

[ কিউআর কোড স্ক্যান করা সম্পর্কে জানতে দেখুন : http://www.androidkothon.com/post-id/212 ]

রিদ্মিক কিবোর্ড ইন্সটল শেষে ডিভাইসের সেটিংস থেকে যান Language & keyboard settings এ। এখান থেকে রিদ্মিক কিবোর্ডের পাশের চেকবক্সটিতে টিক দিন।

উল্লেখ্য, রিদ্মিক কিবোর্ড অ্যাক্টিভেট করার জন্য মায়াবী কিবোর্ড ডিস্যাবল করা জরুরি নয়।



উপরের তালিকার নিচে দেখতে পারছেন রিদ্মিক কিবোর্ডের সেটিংস রয়েছে। এখানে ঢুকে আপনি রিদ্মিক কিবোর্ডের বিভিন্ন সেটিংস ঠিক করে নিতে পারবেন। এখানে রয়েছে কিবোর্ডের বিভিন্ন থিম পছন্দ করার সুবিধা।

থিমের মধ্যে আইসক্রিম স্যান্ডউইচ থিম, জিঞ্জারব্রেড থিম ছাড়াও রিদ্মিকের নিজস্ব কিছু ডিজাইন রয়েছে। সেটিংসে আরও পাবেন ওয়ার্ড সাজেশন ও অটোকমপ্লিট সেটিংস, ক্যাপিটালাইজেশন, ভলিউম কার্সর ও ভাইব্রেশন সেটিংস ইত্যাদি।



এরই মধ্য দিয়ে আপনার ডিভাইসে রিদ্মিক কিবোর্ড অ্যাক্টিভেট হয়ে গেল। কিন্তু কোনো টেক্সট ফিল্ডে লেখার সময় রিদ্মিক কিবোর্ড ব্যবহারের জন্য আরেকটি ধাপ রয়েছে। এ জন্য আপনার ডিভাইসের এসএমএস অপশনে গিয়ে নতুন মেসেজ লেখার স্ক্রিন খুলুন। অথবা ফেসবুকে স্ট্যাটাস লেখার পাতাও খুলতে পারেন। টেক্সট বক্সে খালি জায়গায় লম্বা সময় প্রেস করলে ইনপুট মেথডের মেনুটি পাবেন।



ইনপুট মেথডে ক্লিক করলে ইন্টারন্যাশনাল কীবোর্ডের নিচেই রিদ্মিক কিবোর্ড দেখাবে। সেটি সিলেক্ট করুন। এবার টেক্সট ফিল্ডে কিছু লেখার চেষ্টা করলেই আপনার পুরনো কিবোর্ডের বদলে রিদ্মিক কিবোর্ডের সাক্ষাৎ পাবেন !

তবে প্রথমবার কিন্তু কিবোর্ডটি ইংরেজিতে থাকবে। কেননা, মায়াবী কিবোর্ডের মতো রিদ্মিক কিবোর্ডও কেবল বাংলাই নয়, বরং ইংরেজিতেও টাইপ করার সুবিধা দেয়। ফলে আপনাকে বারবার ইনপুট মেথড পরিবর্তন করতে হবে না। কেবল কিবোর্ড লেআউট পরিবর্তন করলেই হবে। কিবোর্ড লেআউট পরিবর্তন করাও সহজ ।

রিদ্মিক কিবোর্ডে রয়েছে তিন ধরনের কিবোর্ড লেআউট। ডিফল্ট ইংরেজি, ফোনেটিক বাংলা ও ইউনিজয়। এগুলোর মধ্যে পরিবর্তন করতে হলে স্পেস বারে প্রেস করে ডানদিকে বা বামদিকে সোয়াইপ করুন ( অথবা টান দিন ! )। তাহলেই আপনি আপনার পছন্দের কিবোর্ড লেআউটটি যেতে পারবেন।



স্পেসে প্রেস করে ডানে-বামে নিলেই ইংরেজি, বাংলা (ফোনেটিক) ও ইউনিজয়ের মধ্যে পরিবর্তন হবে।

এবার সহজেই কম্পিউটারের মতোই লিখতে পারবেন বাংলায় ইউনিবিজয় (৯৮% বিজয় লেআউট) লেআউটে ।

আর বাড়তি সুবিধা হিসেবে রয়েছে ওয়ার্ড সাজেশন যার মাধ্যমে কোনো শব্দ লেখা শেষ করার আগেই সেই শব্দটি আপনার স্ক্রিনে ফুটে উঠবে। আপনি সেটিতে ক্লিক/টাচ করলেই শব্দটি আপনার টেক্সট ফিল্ডে যোগ হয়ে যাবে।



এখানে উল্লেখ্য যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরোপুরি কম্পিউটারের মতো লেখা যায় না। যেমন ইউনিজয় ব্যবহার করে ‘ই’ লিখতে ্‌ ও ি দিয়ে কম্পিউটারে ‘ই’ লেখা গেলেও রিদ্মিকে এভাবে পারা যাবে না। বরং ি - কী প্রেস করে কিছুক্ষণ ধরে রাখতে হবে।

রিদ্মিক কিবোর্ডে কিছুক্ষণ লেখালেখি করলেই দেখবেন দ্রুত আপনি ইউনিবিজয় লেআউটে দুই হাতেই লিখতে পারছেন আপনার ৭ ইঞ্চি টেবের মাধ্যমে ।



ইউনিবিজয় লেআউট :


স্হান সংকুলানের জন্য বাংলা বর্ণমালার সব বর্ণ দেখানোর জন্য দুইটা স্ক্রীনের প্রয়োজন হয়েছে । যেগুলো বেশী ব্যবহহার হয় সেগুলো প্রথম স্ক্রীনে আছে এবং সিফট বাটন প্রেস করলে অন্য বর্ণগুলো প্রদর্শিত হবে ।





কীভাবে স্বরবর্ণ টাইপ করবেন রিদ্মিক কীবোর্ডে ইউনিজয়ে :

দুইটা স্ক্রীন যথেষ্ঠ নয় বলে অনেক অক্ষরের জন্য সংশ্লিষ্ট কী এর উপর long press করতে হবে । long press হলো একটু সময় নিয়ে কী এর উপর আঙ্গুল চেপে রাখা ।

Long press on to get

ি ই

ী ঈ

ে এ

ৈ ঐ

ো ও

ৌ ঔ

ু উ

ূ ঊ

ৃ ঋ

ৎ ত

অর্থাৎ আপনি ি -এর উপর লং প্রেস করবেন ই পাওয়ার জন্য । আর ঈ পাওয়ার জন্য আগে ি -এর উপর লং প্রেস করবেন, তারপর সিফট চেপে ধরে ি প্রেস করবেন । এভবে বাকি স্বরবর্ণগুলো পাবেন ।

যেসব এড্রোয়েড মোবাইল বা টেবে রিদ্মিক কীবোর্ড বা বাংলা সাপোর্ট করে না সেগুলোকে উপযোগী করতে হলে করণীয় :

যদি আপনার এড্রোয়েড মোবাইল বা টেব বাংলা সাপোর্ট না করে , তাহলে দুই পদ্ধতি আপনি বাংলা লিখতে পারেন ।

১ম পদ্ধতি :

আপনার মোবাইল বা টেবকে রুট করুন । তারপর আপনি বাংলা ফন্ট স্হান করার জন্য \System\fonts\ folder স্হান পাবেন এবং libskia স্হানান্তর করুন ।সুতরাং \System\lib\ folder –এ এটি সামঞ্জস্যপূর্ন হবে ।



২য় পদ্ধতি :


এই পদ্ধতির জন্য রুট করার প্রয়োজন নেই ।

Ridmik Keyboard Settings এ যান ( Settings > Language & Keyboard).

‘Use Keyboard Font’ এনাবল করুন ।

এটা করার পর Bangla suggestions & Bangla alphabets দেখতে পাবেন (Ridmik Mode) –এ ।

তারপর সার্চ ও ইনস্টল করুন গুগল প্লে হতে । তারপর শরু করুন টাইপ ইনপুট ফ্লিডে এবং কপি পেস্ট করুন । এই পক্রিয়ায় যুক্তাক্ষর সমস্যা হতে পারে ।



রিদ্মিক কীবোর্ড সম্পর্কে আরো তথ্য :


http://www.hasnath.net/ridmik-keyboard

গুগল প্লে স্টোর লিংকঃ

https://play.google.com/store/apps/details?id=net.hasnath.android.keyboard

রিদ্মিক কীবোর্ডের রিভিউ :

http://www.androidkothon.com/post-id/803

উপসংহার :

অনেকেই Symphony W5,Sony Ericsson st15i, Sony xperia acro S, HTC ONE V,Samsung Galaxy S3 mini (android 4.1.1 jelly bean) ,Sony Xperia J, archos 70, ওয়ালটন প্রিমো ডি১(এন্ড্রয়েড ২.৩.৬) এসব সেটে ইউনিবিজয় ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে আমাদের আজকের আলোচিত রিদ্মিক কীবোর্ড ব্যবহার করে । অনেকে সফল হয়েছে । আবার অনেকে হননি ।

আমার কথা হলো :

১। আপনি ভাল মানের এবং আইসক্রীম স্যান্ডউইচ বা তার উর্ধ্বের অপারেটিং সিস্টেম আছে এমন মোবাইল বা টেব কিনে তাতে আলোচিত পদ্ধতি ব্যবহার করে ইউনিবিজয়ে বাংলা দ্রুতগতিতে লিখে ব্লগ বা ফেসবুকে লিখুন ।

২।আমি মনে করি, আপনি ৭ ইঞ্চি টেব ব্যবহার করলে ভাল ফল পাবেন । কারণ এর ফলে আপনি ১০ আঙ্গুল ব্যবহার করে টাইপ করতে পারবেন । আপনার এই টেব একাধারে মোবাইল, ব্লগ লেখার জন্য কম্পিউটার এবং গান শোনা-ভিডিও দেখা- ছবি তোলার জন্য অন্যন্য ডিভাইস হবে । উপরন্তু আপনার বাবা-মা আপনার কম্পিউটার, নেটবুক- নোটবুক বাজেয়াপ্ত করলেও আপনি এই ডিভাইস নিয়ে সারাক্ষণ ব্লগ ও ফেসবুকে লেখা ও প্রতিবাদি সমাবেশ পরিচালনা করতে পারবেন বাড়িতে বসেই ।

পরিশেষে সবাইকে বলছি, যারা আলোচিত পক্রিয়া অবলম্বন করার আগে মোবাইলের তথ্য অন্যত্র বেকআপ রাখবেন । কারণ অনেকে উল্টা-পাল্টা নাড়াচাড়া করার কারণে তথ্য ডিলিট হয়ে গেছে । সুতরাং সবাই কম-বেশী অনবিজ্ঞ । উপরন্তু বিষয়টি নতুন । আর পদ্ধতির কোন সমস্যা নেই । সমস্যা ব্যবহারীর বা যন্ত্রের । সুতরাং সতর্কতার সাথে আলোচিত পদ্ধতি অনুসরণ করুন । অন্যথায় পোস্টদাতা এবং সফটওয়্যার ডেভালপারকে দায়ী করা যাবে না ।

অনেক লোক আলোচিত পদ্ধতি ব্যবহার করে বাংলা লিখছেন । আপনি লিখতে পারবেন বলে আমি মনে করি ।

আরো প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারেন :

http://androidnewbies.com/how-to-easily-move-from-pc-to-an-android-tablet

http://www.wired.com/gadgetlab/2010/10/seven-inch-tablets-can-succeed/

http://www.pcworld.idg.com.au/article/460990/lg_lodges_australian_trade_mark_optimus_g_pro/

https://www.youtube.com/watch?v=jskQzBIJ13k

বিষয়: বিবিধ

১৫৪৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File