বিএনপি প্রতারণা করেছে হেফাজতের হুজুরদের সাথে এবং বিএনপির নেতাদের জীবন দর্শন

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৮ মে, ২০১৩, ০৪:৩৩:২১ রাত



আজ আমাদের বাসায় ঢাকার মতিঝিলে ৬ তারিখে হেফাজতের হুজুরদের রাতের আধারে হত্যা করার ব্যাপারে কথা হচ্ছিলো । আমি সবাইকে বলাম : বিএনপি প্রতারণা করেছে হেফাজতের সাথে । বিএনপি মানে ব্যাসিক্যাল্লি নো পার্টি । বিএনপি কখনোই বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি ছিল না । যদিও তার বিএনপি-র পূর্ণরূপ এমনই ।



আমি বল্লাম :

বিএনপি-র জন্য হেফাজতের লোকরা সমস্যায় পড়েছে । কারণ

১.হেফাজতের হুজুরদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি বেগম জিয়ার আহ্বান

জানিয়ে বিএনপির কোন নেতাকেই হেফাজতের সমাবেশ পাঠাননি ।

২.উপরন্তু হৃদয়ের অন্তস্হল হতে নেতারা হেফাজতের হুজুরদের পছন্দ করেন না ।কারণ বেশীর ভাগ নেতা বিএনপি-র আদর্শে বিশ্বাস করেন না । তারা হৃদয়ে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্হা ও বিশ্বাস রাখেন না ।



৩.বিএনপি মানে ব্যাসিক্যাল্লি নো পার্টি । কারণ হিসেবে বলতে বাধ্য হচ্ছি : এই দলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা মুলত নাস্তিক, বেনামাজি, বেরোজদার ও সুবিধাবাদী ।



নাস্তিক কথাটা এজন্য বলছি ঢাকা মহানগরীর বিএনপি প্রধান সাদেক হোসেন খোকা আগে কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্র সংগঠণ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগরীর নেতা ছিলেন । এভাবে খোজ নিয়ে আপনারা দেখেন অনেক নেতা বিএনপিতে এসেছেন প্রথম জীবনে কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ, ইউপিপি, সাম্যবাদী দল, জাসদ নামক কমিউনিস্ট বা সমাজতন্ত্রী সংগঠণ থেকে । এদের সংখ্যাটাই বিএনপি গঠণের সময় সবচেয়ে বেশী ছিল ।

তারপর বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলো মুসলিম লীগের কিছু নেতা । যেমন : শাহ আজিজুর রহমান । তারপরের ক্ষুদ্র অংশ জামায়াত ও নেজামী ইসলামী আগত নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগ দেয় । বিএনপি হলো বিভিন্ন দল-মত-পথের লোকদের চিড়িয়াখানা । .

অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে এসব প্রাক্তন কমিউনিস্ট নেতা নামাজ কালামের কিছুই জানে না । অথচ তারা আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্হা ও বিশ্বাসের কথা বলে ।

৪. বিএনপি-র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত ১৯ দফা কর্মসূচীর একটাও বলতে পারে না এমন নেতার সংখ্যা ৯৯.৯৯% । এটা আমার নিজস্ব জড়িপ । এমন কি বেশীরভাগ নেতাদের তাদের দলের গঠণতন্ত্র সম্পর্কে ধারণা নেই । বিস্তারিত জানতে দেখুন :

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির গঠনতন্ত্র

http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/11007

বিএনপি-তে নাস্তিক-কমিউনিস্ট-সমাজতন্ত্রীরা যেভাবে শক্তিশালী হয় :

বিএনপি মুলত একটি দক্ষিণপন্থি দল হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও একদল নিবেদিতপ্রাণ প্রগতিশীল কর্মীর পদচারণায় দলটি কিছুটা হলেও সেকুলার দল হিসেবে বাংলাদেশে আসন করে নিয়েছে। বিএনপির সাবেক প্রতিস্টাতা সাধারণ সম্পাদক (সেক্রেটারী) ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছাত্র জীবনে ঢাকা মেডিকেল কলেছে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। সদ্যবিদায়ী সেক্রেটারী আব্দুল মান্নান ভুইয়া ছিলেন এক কালে তুখোর বাম নেতা। বলতে গেলে মান্নান ভুইয়ার প্রেচেষ্টায় বিএনপি কিছুটা হলেও ডান ভাবাদর্শ থেকে মুক্ত থাকে। তার কারনেই বার বার ব্যাহত হয় বিএনপি-জামায়াত মাখামাখি। মান্নান ভুইয়ার আমলে বিএনপিতে দক্ষিণ পন্থী হিসেবে পরিচিত গ্রুপটি কোনঠাসা হয়ে পড়ে।

বিএনপির ঢাকা মহানগরী সভাপতি ও ঢাকার মেয়র বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন এখনও বিএনপিতে বেশ প্রভাবশালী। খোকা ১৯৭০-১৯৭১ ঢাকা মহানগরী ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে প্রগতিশীল আন্দোলনের অনেক তরুনের অংশগ্রহন নিশ্চিত হয় বলতে গেলে খোকার একক প্রচেষ্টায়। এছাড়াও আব্দুল্লাহ আল নোমান, তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিনু সহ আরও অনেক প্রভাবশালী নেতা ছাত্র ইউনিয়ন থেকে আসা।

অন্যান্য দলে নাস্তিক-কমিউনিস্ট-সমাজতন্ত্রীদের অবস্হান :



আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তো বটেই বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও বাম ছাত্র সংগঠন তথা ছাত্র ইউনিয়নের প্রভাব ব্যাপক। ধারনা করা হয়, নব্বইয়ের দশকের শেষ পর্যন্ত ছাত্র দলেও মুল নেতৃতের অনেকটা ছিল ছাত্র ইউনিয়ন থেকে ইনফিট্রেট বা অনুপ্রবেশ করা। এর মধ্যে ছাত্র দলের এক সময়ের তুখোড় ছাত্র নেতা, এরশাদ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বলিষ্ট ভুমিকা পালনকারী পরবর্তীতে ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি (পরে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন) ড. আসাদুজ্জামান রিপন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এমপি, ইলিয়াস আলী, রিজভী আহমেদ ( রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এককালের তুখোর নেতা, সাবেক রাকসু ভিপি, বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক) সহ অনেকেই ছাত্র ইউনিয়ের হাতে গড়া কর্মী। এদের প্রভাবেই মুলত ছাত্র দল জামায়াতের ছাত্র সংগঠন মৌলবাদী ছাত্র শিবিরের প্রভাব থেকে অনেকটাই মুক্ত ছিল।

কমিউনিস্ট ও সমাজতন্ত্রীদের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে একটা লেখা পেলাম নেটে । আপনারা দেখতে পারেন :

নাস্তিকরা কীভাবে ও কেন ইসলাম ধর্মে আঘাত হানে ? (১ম পর্ব)

http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/4858

সুতরাং যে বা যারা বিএনপি-কে ইসলামপন্হী দল বা ইসলাম বান্ধব দল বলে থাকেন, তাদের এসব দিকে সামান্য হলেও নজর দিতে হবে ।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার : বাংলাদেশে বাম আন্দোলনের সাফল্য ও ব্যর্থতা- ২ (রাজনৈতিক সাফল্য) :: সুদীপ্ত সেন

যেভাবে বিএনপি ইসলামপন্হী ইমেজ বাড়ানোর মাধ্যমে সাফল্য পৌছতে পারে :

এতক্ষণ বিএনপি-কে গালি দিলাম । তাই ব্যালেন্স করার জন্য কিছু পরামর্শ বা উপদেশ দিচ্ছি ।

১. বিএনপি-র বিরোধীরা প্রায়ই টিভি চ্যানেলের টক শো-তে বলে থাকেন :” বিএনপি-র নেতাদের থেকে তারা বেশী নামাজ কালাম পড়েন । তাদের সকাল শুরু হয় কুরআন তেলোয়াত ও ফজর নামাজ পড়ার মাধ্যমে । অপরদিকে বিএনপি-র নেতারা নামাজ পড়া তো দুরে থাক রমজান মাসে রোজা রাখেন না । (উৎস : বিভিন্ন টেলিভিশনের টক শো) ।

২. বিএনপি-র সব সদস্য-সদস্যাকে ইসলামী নীতিমালা মেনে পোষাক পড়তে হবে । কারণ

কথায় আছে : আগে দর্শনধারী পরে গুণ বিচারী । আপনারা বলছেন : আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্হা ও বিশ্বাস সংবিধানে স্হাপনের কথা । অথচ আপনাদের পোষাকে সেই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না ।

আল্লাহ কুরআনে বলেছেন :

“ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেনো তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অন্ঙের হেফাযত করে। তারা যেনো যা সাধারনত: প্রকাশ মান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে এবং তারা যেনো তাদের মাথার উড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে । সুরা নুর, আয়াত-৩১

সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের এই অংশে

وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا”

“তারা যেনো যা সাধরনত: প্রকাশমান তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।”

প্রকাশমান বলতে বোঝানা হয়েছে হাতের তালু, মুখ-মন্ডল, পায়ের পাতা অর্থাৎ যে সব অঙ্গ সাধারন কাজ কর্মে বের হয়ে যায়।

এব্যাপারে হাদিসে প্রমান পাওয়া যায় :

عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها أَنَّ أَسْمَاءَ بِنْتَ أَبِىْ بَكْرٍ دَخَلَتْ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهَا ثِيَابٌ رِقَاقٌ فَأَعْرَضَ عَنْهَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ يَا أَسْمَاءُ إِنَّ الْمَرْأَةَ إِذَا بَلَغَتِ الْمَحِيْضَ لَمْ تَصْلُحْ أَنْ يُرَى مِنْهَا إِلاَّ هَذَا وَهَذَا. وَأَشَارَ إِلَى وَجْهِهِ وَكَفَّيْهِ-

আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, আসমা বিনতে আবী বকর (রাঃ) পাতলা কাপড় পরিহিত অবস্থায় রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট প্রবেশ করলেন। রাসূল (ছাঃ) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বললেন, হে আসমা! নারী যখন যৌবনে পদার্পণ করে তখন তার এটা ওটা ব্যতীত প্রকাশ করা বৈধ নয়। তিনি চেহারা ও দু’কব্জির দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন।

[ আবু দাঊদ হা/৪১০৬;মিশকাত হা/৪৩৭২, সনদ ছহীহ। ]

কুরআন আর হাদিস মতে আমরা পাচ্ছি মেয়েদের পোষাক পড়তে হবে এমনভাবে যাতে মুসলিম মেয়েদের মুখ ও হাতের তালু ছাড়া সমগ্র শরীর ঢেকে রাখতে হয় । দৃষ্টিকে নত করা। এমন ভাবে হাটা, চলা ফেরা যাতে তার দৌহিক সৌন্দর্য্য প্রকাশ না পায় অন্য পুরুষের সামনে।

অর্থাৎ সমাজে কোন বিশৃংখলা সৃষ্টি না হয় পোষাকের কারণে । আর এজন্য আল্লাহ বলেছেন :

يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاء الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا9

“হে নবি! আপনি আপনার পত্নিগনকে ও কন্যগনকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগনকে বলুন, তারা যেনো তাদের চাদরের (বড় ওড়না) কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে । ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবেনা। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।”

কুরআনে বা হাদিসের কোথাও বোরখার কথা বলা হয়নি । সুতরাং আমরা কেহই আপনাদের বোরকা পড়তে বা নিকাব দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতে বলছি না । আমরা শুধু এতটুকু বলছি, আপনারা যে কোন পোষাক দিয়ে অন্তত মুখ ও হাতের তালু ছাড়া সমগ্র শরীর ঢেকে রাখুন, দৃষ্টিকে নত করুন, এমন ভাবে হাটা- চলা ফেরা করুন যাতে আপনার দৌহিক সৌন্দর্য্য প্রকাশ না পায় অন্য পুরুষের সামনে । কারণ আমরা এই উপদেশ বা অনুরোদ করছি, আপনাদের বাংলাদেশের মেয়েরা অনুসরণ ও অনুকরণ করে ।

ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়ার জন্য এই পেজগুলো ভিজিট করা যেতে পারে :

http://www.facebook.com/SalwarKameezHijab

https://www.facebook.com/SareeHijab

http://www.facebook.com/pages/%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6/506620052704626

https://www.facebook.com/WeWillMarryEarly

বাংলাদেশের মেয়েদের এভাবে পোষাক পড়লে তাদের পোষাক পড়ার ক্ষেত্রে নুন্যতম ইসলামের নীতিমালা রক্ষিত হবে । আশা করি বাংলাদেশের মুসলিম মহিলারা এভাবে পোষাক পড়তে অভ্যস্হ হবেন । কারণ এভাবে পোষাক পড়া বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি-ঐতিহ্য-ফ্যাশনকে রক্ষিত করেই না,বরং ধর্মের নির্দেশকে পালন করতে সাহায্য করে ।

বিএনপি-র উচিত প্রতিটা মসজিদে মেয়েদের জন্য নামাজ পড়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্হা করা । মেয়েদের মসজিদে নামাজ পড়ার কথা হাদিস গ্রন্হসমূহে রয়েছে । কারণ মসজিদে শুধু নামাজ পড়াই হয় না । ইসলামীর বিধি বিধান শেখার কেন্দ্র মসজিদ । উপরন্তু মুসলিমদের সকল কাজের কেন্দ্রবিন্দু মসজিদ । এমনকি মসজিদের মধ্য বিয়ের অনুষ্ঠান করার কথা হাদিস গ্রন্হে রয়েছে ।

সুতরাং বিএনপি-র যদি সত্যি আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্হা ও বিশ্বাস হৃদয়ে ধারণ করে তাহলে তাদের পোষাক আষাকে তার প্রতিফলন দেখাতে হবে ।

৩. মুসলিম বিশ্বের সাথে সম্পর্ককে জোড়দার করতে হবে । মুসলিম বিশ্বের ইসলামপন্হী দলগুলোর সাথে সুদৃঢ় সম্পর্ক সৃষ্টি করতে হবে ।

কারণ পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশ হতে মুখ ফিরিয়ে নিবে । তার কিছু লক্ষণ আমরা দেখেছি । ১০০ কোটি রোমান ক্যাথলিক খৃষ্টানদের নেতা ভ্যাটিকানের পোপ রানা প্লাজা ধ্বসের পর বাংলাদেশ সম্পর্কে অশোভন মন্তব্য করেছেন । উপরন্তু বাংলাদেশ ইসলামী সম্বলেন সংস্হাভুক্ত দেশগুলোর সাথে এখনই কোন প্রায় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই রপ্তানী ও আমদানী বাণিজ্যের ২৪ % করে থাকে । যদি মুসলিম বিশ্বের সাথে আমাদের সম্পর্ক জোড়ালো হয়, তাহলে আফ্রিকার মুসলিম দেশ ও ইন্দোনেশিয়াতে আমাদের বড় বাজার সৃষ্টি হবে ।

৪. ছাত্র ও যুব সংগঠণের মধ্যে অধ্যাত্মিক ও নৈতিকতার চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে । এজন্য সিলেবাস বানাতে হবে । ছাত্র ও যুব সংগঠণে মেধা ও যোগ্যতা অর্জনকে গুরুত্ব দিতে হবে ।

৫. স্লোগানবাজি বাদ দিয়ে সুনিদিষ্ট লক্ষ উদ্দেশ্য ও কর্মপদ্ধতি নিয়ে অগ্রসর হতে হবে । এব্যাপারে তুরস্কের শাসক দলের কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে ।

৬. দলের সুবিধাবাদী লোকদের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে । কারণ ১-১১ এর বিএনপি এজন্য সমস্যায় পড়েছিলো ।

৭. জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বের পরিবর্তনের ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে । যদিও বিষয়টা অনৈতিক । কারণ যুদ্ধাপরাধী ও মানবতারিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত নেতৃত্ব নির্ভর এই দলের সাথে জোট করার কারণে বিএনপি-কে ২০০৮ সালের নির্বাচনে চরম মূল্য দিতে হয়েছে । উপরন্তু এই দলের বিবেকবান নেতাদেরও বিষয়টি আমলে নিতে হবে ।

৭. আল্লাহর উপর ভরসা রেখে আপসহীন ভুমিকা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে ।

উপসংহার :

আমি মনে করি, বিএনপি তার বর্তমান অবস্হা কাটিয়ে ওঠে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হিসেবে গড়ে উঠুক – এটাই অভিজ্ঞ মহল মনে করে । পরিশেষে হেফাজতের হুজুরদের বলছি : দয়া করে আপনারা ধৈর্য ধারণ করুন । কারণ আল্লাহ এই বাণীটাকে স্মরণ করে অগ্রসর হোন :

" যদি তোমাদের কোন কল্যান হয় তারা দু:খ করে । আর তোমাদের অকল্যান হলে তারা আনন্দ করে । আর যদি তোমরা ধৈর্য ধর ও সাবধান হয়ে চল, তবে তোমাদের তাদের ষড়যন্ত্র কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না । তারা যা করে আল্লাহ তা তো ঘিরে রয়েছেন ।সুরা ইমরান : ১১৮-১২০"

আর আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বলছি : ভাই রে । আপনারাই বলেছেন আপনাদের সকাল শুরু হয় কুরআন তেলোয়াত ও ফজর নামাজ পড়ার মাধ্যমে ।সুতরাং আপনারা মুসলিম । আর আপনাদের প্রতিপক্ষ মুসলিম । দয়া করে কুরআনের এই আয়াতটা মনে রাখুন : শত্রুতার অতিসহ্যে বিহ্বল হয়ো না । (আমি সুরা ও আয়াতের রেফারেন্স এই মুহুর্তে দিতে পারছি না । কারণ সব কিছু সব সময় মনে থাকে না । পরবর্তীতে মনে আসলে লিখবো ) ।

পরিশেষে সবাইকে “কর কুরবানী, কর কুরবানী” শিরোনামের এই গানটি শোনার জন্য অনুরোদ করছি : http://www.dailymotion.com/video/xaf3up_hasan-shihabi-qurbani-www-mytunebd_music

https://www.youtube.com/watch?v=Cc0HIafonUU

আশা করি, আপনার সবাই এই গানের কথাগুলোর মতোই হৃদয়কে পদ্মপাতার উপর শিশির বিন্দুর মতো স্বচ্ছ-শুচী-পবিত্র-আলোকিত করবেন ।

ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুন মুবীন ।

বিষয়: বিবিধ

৫০০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File