এবার মাঠে নামছে হেফাজতের মহিলা কর্মীরা ( ১০০% নিউজ পোস্ট এবং কপি পেস্ট )

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৬ এপ্রিল, ২০১৩, ১২:২৩:৫৮ রাত



:: সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম ::

১৩ দফা দাবির সমর্থনে এবার মাঠে নামছে হেফাজতে ইসলামের মহিলা কর্মীরা। কওমী ধারার মহিলা মাদ্রাসাগুলোতে মহিলা কর্মীদের সংগঠিত করার কাজ চলছে বলে জানা গেছে।



হেফাজতে ইসলামের সাথে সম্পৃত্ত ঢাকার এক মাদ্রাসার কিছু মহিলাদের একাংশ

দেশের ইসলামী সংগঠনগুলোতে নারীদের কর্মকাণ্ড তেমন না থাকলেও সম্প্রতি হেফাজতের ১৩ দফা বিশেষ করে ৪র্থ দাবিটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। নারী সংগঠনগুলো এ দাবিকে মধ্যযুগীয় বলে আখ্যা দেয়। এ কারণেই হেফাজতের নারী কর্মীরা এ দাবির পক্ষে জনমত ও বিভ্রান্তি দূর করতে মাঠে নামছে বলে জানা গেছে।

হেফাজতের ১৩ দফার ৪র্থ দাবিতে বলা হয়, ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সকল বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্জ্বালনসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।

হেফাজতে ইসলামের প্রচার সচিব মাওলানা মুনীর আহমদ পরিবর্তন ডটকমকে জানিয়েছেন, দেশের মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের সংগঠিত করে ১৩ দফার সমর্থনে জনমত গঠনে নিয়োজিত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “১৩ দফা দাবি নিয়ে বিভিন্ন নারী সংগঠনকে উস্কানি দেয়া হচ্ছে অথচ এইসব নারী সংগঠনগুলোর চেয়েও অনেকগুণ বেশি মহিলা দেশে একটি শরীয়ত (ইসলামী বিধি বিধান) সম্মত পরিবেশ প্রত্যাশা করে।”

গত ৬ এপ্রিল ঢাকার মতিঝিলে মহাসমাবেশে মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবি ঘোষণা করে। এর মধ্যে চার নম্বর দফায় নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা এবং পাঁচ নম্বর দফায় বিদ্যমান নারী নীতিকে ইসলাম বিরোধী আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানানো হয়।

হেফাজতে ইসলামের প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও চট্টগ্রামের জামেয়াতুল উলুম লালখান বাজার মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি হারুন ইজহার পরিবর্তন ডটকমকে জানিয়েছেন, সংগঠনের শীর্ষ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসর পর চট্টগ্রামের মহিলা মাদ্রাসাগুলোতে ১৩ দফার সমর্থনে কাজ শুরু হয়েছে।

শিগগিরই চট্টগ্রাম ও ঢাকায় নারী কর্মীদের নিয়ে একাধিক কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

মুফতি হারুন জানান, দেশের নারী সমাজ যে ধর্মীয় বিধি বিধান মেনে জীবন যাপনে আগ্রহী তা তুলে ধরতে মাদ্রাসার বাইরে ইসলামী জীবন ধারায় অভ্যস্থ মহিলাদেরকে এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত করা হবে। এতে হেফজতে ইসলামের বিরুদ্ধে নারীকে ঘরে বন্দি করে রাখার যে অভিযোগ উঠেছে তা ভুল প্রমাণিত হবে।

হেফাজতে ইসলাম সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে কওমী মাদ্রাসাগুলোর মহিলা শাখাসহ আড়াই হাজার মহিলা মাদ্রাসা আছে। এইসব মাদ্রাসা থেকে ১৩ দফা দাবির সমর্থনে কাজ শুরু হলে দেশের ধর্মপ্রাণ পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদের মধ্যেও হেফাজতে ইসলাম ব্যাপক সমর্থন লাভ করবে বলে আশা করছেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা।

ঢাকার মহাসমাবেশ থেকে ১৩ দফা উত্থাপনের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন নারী সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। হেফাজতে ইসলামও তাদের ১৩ দফার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। যাতে নারী সংক্রান্ত চতুর্থ দফার ব্যাখা দিয়ে বলা হয়েছে, “হিজাব বা শালীনতার সাথে নারীদের নিরাপদ পথ চলাচল, শিক্ষা গ্রহণ ও কর্মক্ষেত্রে যেতে কোন বাধা নেই।”

চতুর্থ দাবি উত্থাপনের কারণ হিসেবে ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আবহমান বাংলার সামাজিক অনুশাসন এবং সংস্কৃতির বিরোধী কর্মকাণ্ড লাগামহীনভাবে চলছে। এতে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক, অনাত্মীয় নারী-পুরুষের দৃষ্টিকটু বিচরণ সামাজিক ও পারিবারিক বিশৃংখলাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।



কপি পেস্টকারীর মন্তব্য :

এই ঘটনা বাস্তবে ঘটলে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোন ইসলামি সংগঠণ প্রকাশ্যে মহিলাদের সমাবেশ ঘটবে ।

উল্লেখ্য বাংলাদেশে মহিলাদের মসজিদে নামাজ পড়াসহ ধর্মীয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন অধিকার প্রদান করার ক্ষেত্রে এক শ্র্রেণীর হুজুর বাঁধা দিয়ে থাকেন । এমনকি তারা মেয়েদের প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে যাওয়াও অপছন্দ করেন । এউদ্যোগ বাস্তবে রূপ লাভ করলে বাংলাদেশ হতে এই প্রবনতা চিরতরে বিলুপ্ত হবে ।

১০০ % কপি পেস্ট : করা হয়েছে http://www.poriborton.com/article_details.php?article_id=17431

বিষয়: বিবিধ

১৭৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File