মেয়েদের পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যেসব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:৩৮:৫৪ রাত



সূচনা :

খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর চালু করেন পহেলা বৈশাখের। সেই থেকে এদিনটি পালন করা শুরু হয় । বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে শহর, নগর, গ্রাম-গঞ্জে নানা আয়োজন হয়ে থাকে ।

বর্জনীয় দিক :

এদিন মেয়েদের আনন্দে উদ্বেল হওয়ার আগে কিছু বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন বা কিছু বিষয় হতে বিরত থাকা প্রয়োজন । যেমন :

১.উৎসবে বাঁধনহারা হয়ে যাওয়া যাবে না ।

২. অতিরিক্ত রোদে থাকবেন না। কিংবা আপনার শিশুকে রোদে ছেড়ে দেবেন না। এতে আপনি, আপনার শিশু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

৩. মুখে ট্যাটু বা আলপনা লাগাবেন না । কারণ :

ক. যে কোনো উৎসবেই মুখে বা হাতে ট্যাটু অথবা আলপনা লাগানো ঠিক না। কারণ ট্যাটু বা আলপনার কাঁচামালে যেসব উপাদান থাকে তা আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। সাময়িক আনন্দের জন্য দীর্ঘস্থায়ী ত্বক সমস্যা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

খ. এটা মুসলিমদের সংস্কৃতি নয় ।

৩. বাহিরে পান্তা-ইলিশ খাওয়া হতে বিরত থাকতে হবে । কারণ :

ক. বাহিরের এসব খাবারের গুণগত মান খারাপ ।

খ. এটা এক ধরনের নির্বোধের মতোর কাজ ।

গ. এটা মুসলিমদের সংস্কৃতি নয় ।

৪. ভিড়ের মধ্যে অবস্হান করবেন না । ছেলে মেয়েদের মধ্যে অবাধ মেলামেশা হয় এমন অপবিত্র স্হান হতে দুরে থাকবেন । যেসব স্থানে নববর্ষ অনুষ্ঠান হয় সেখানে অপবিত্র লোকরা ভিড়ের মধ্যে অবস্হান করে । তারা আপনার সম্মানহানি করতে পারে । আপনাকে নিরাপত্তা বাহিনী সুরক্ষা দিবে না । অতএব সাবধান ।

ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী শাড়ি পড়ার নিয়ম হলো এমনই । আপনি সব সময় এভাবেই শাড়ি পড়তে অভ্যস্হ হোন ।

৫. যদি আপনি যেতেই চান, তাহলে ভিড়ের মধ্যে আপনার মোবাইল, গহনা, সাজ কিংবা অন্য যা কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয় সেরকম অনেক কিছু হারাতে পারেন। এজন্য সতর্ক থাকতে হবে । সাথে আপনার ছোট ছেলে-মেয়ে থাকলে আরো বেশী সতর্ক থাকতে হবে ।

করণীয় দিক :

বাংলা নববর্ষের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বেশ কিছু ভাল কাজ করতে পারেন :

১. আপনি যদি স্টার জলসা, ইটিভি বাংলা, BAL tv, মুরতাদ চ্যানেল, মরদুদ নেটওয়ার্ক ও দাইয়ুস টিভি দেখে অভ্যস্হ হোন, তাহলে আজই এগুলোকে তালাক দিন । কারণ এগুলোর অপবিত্র অনুষ্ঠান আপনার নিজের মনের অজান্তে আপনাকে অপবিত্রা বানিয়ে ফেলছে । আজই এগুলোর বিকল্প খুজে বের করুন ।

২. বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আপনি আপনার প্রিয় মানুষকে উপহার দিতে পারেন। যেমন :

আপনি যদি বিবাহিতা হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার স্বামীকে “দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে স্বস্তি” নামের বই উপহার দিতে পারেন । এবং আপনি নিজেও নিয়মিত এধরনের বই তাকে সাথে নিয়ে একত্রে পড়ার জন্য নববর্ষের প্রথম দিন হতেই সিদ্ধান্ত নিন ।

বিষয়: বিবিধ

৩২০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File