পতাকার মিছিলে আপনাকে চাই ।
লিখেছেন লিখেছেন মহি১১মাসুম ১২ জানুয়ারি, ২০১৩, ১২:৩৬:১০ রাত
আর কত রক্ত ক্ষরণ হলে মরব, জানিনা আমি । কষ্ট পাই প্রতিদিন টকশো, টিভি খবর আর পত্রিকায় ওদের ছবি দেখে । ওদের পক্ষে যুক্তিতর্ক, রাজনীতি করার যৌক্তিকতা সাংবিধানিক অধিকার ইত্যাদি ইত্যাদি আলোচনা শুনে । ওরা কারা ? ওদের জন্য কেন এতো মায়া কান্না । বীর শ্রেষ্ট মতিউরের কবরে এই সেইদিন পর্যন্ত থুথু দিয়ে ঘৃণা জানাত যারা । আমার বেঁচে থাকার ধমনী অহংকার জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের ঘৃণা জানাতে থুথু দেয়ার জন্য ওদের যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না । আমি কেন যুক্তি খুঁজবো ওদের শাস্তি দিতে, আমি কেন ক্ষমতা দিব আমাকে শাসন করতে, আমি কেন ঘৃণিত শক্তিকে স্যালুট দিব, আমি কেন ওদের শহীদ মিনার জাতীয় স্মৃতিসৌধে উপহাসের ফুল দিতে দিব, আমি কেন রক্ত খচিত লাল সবুজের পতাকা ওদের গাড়ীতে ওড়াতে দিব । জানিনা, জানতে চাই না ।
আমার দেশটা যুক্তিতে স্বাধীন হয়নি । রক্তে স্বাধীন হয়েছে । ইজ্জত সম্ভ্রম লুটেছে ওরা । এখনো বিদ্রুপ মিশানো পরামর্শ শুনতে হয় আমার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে । অতীত ভুলে সামনে তাকাতে বলছে ওরা । আমার দেশের টিভি সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে গার্দ্দার বুড়ো গোলাম আযম বলেছে অতীতে ভুল করেননি, অনুশোচনার প্রশ্নই ওঠে না । যত প্রশ্ন, যত পরামর্শ সবই কি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য । ঐ হায়েনা গার্দ্দারদের বিচারে যুক্তিতর্ক তুলে রাখ । আমার বাবা হত্যাকারী আমার মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠনকারী ওরা । বাবা স্বপ্নে আসেন এখনও, কখনও হাসতে দেখিনি বাবাকে, ঘুম ভাঙ্গলে দেখি আমারও চোখের কোনেও জল । অথচ চিহ্নিত হত্যাকারীরা তখনও লুটেছে, এখনও লুটছে, আছে বহাল তবিয়তে ।
ডিসেম্বর ও মার্চ মাস আসলে জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের স্মৃতিচারণমূলক টিভি অনুষ্ঠান গুলো পীড়া দেয় আমাকে । জীর্ণ শীর্ণ মানুষ গুলো তাঁদের ৭১ এর সেই দিন গুলোর কথা বলতে বলতে কন্ঠ জড়িয়ে যায়, চোখ মুছতে মুছতে অনুষ্ঠান শেষ করেন । আমার ইতিহাসের শ্রেষ্ট সন্তানের চোখে পানি কেন ? জবাব চাইব কার কাছে ? জবাব চাইতে গেলে পরামর্শ দেন অতীত ভুলে যাওয়ার, দম্ভোক্তি করে বলেন ভুল করেননি বলে । কতটা গার্দ্দার হলে বলা যায়-অনুশোচনার প্রশ্নই ওঠে না, জানিনা আমি ।
একদিকে ক্ষমতার রশি টানা করছি আমরা । অন্য দিকে হায়েনারা আমার স্বাধীন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও শান্তি শৃংখলা বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে আক্রমনের মাধ্যমে । টাকা ছড়িয়ে বিচারিক ট্রাইব্যুনালকে করছে উপহাস । ক্ষমতার সহযোগী হবার আশ্বাস পেয়ে করছি যুক্তিতর্ক ওদের পক্ষে । বিশ্বাস করো আর নাইবা করো ওরা পিচাশ, ওরা সুযোগ পেলে তোমাকেও ছাড়বে না, এটাই ওদের অতীত ইতিহাস ।
ভয় পেয়েছিলাম যুদ্ধাপোরাধীদের বিচার ও ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবীতে সিপিবি বাসদের ঢাকা হরতালে । হরতাল সফল হবে কি গাড়ী ভংচুর ও অগ্নি সংযোগে আতংক না ছড়ালে । আবারো প্রমান করেছে বাঙ্গালী ঘৃণা করে যু্দ্ধাপোরাধী রাজাকারদের । তাই সাংগঠনিক শক্তির ভিত দূর্বল হওয়া সত্ত্বেও জনতা সফল করেছে হরতালকে ।
তাই বলছি ভাই, হায়েনা ঠেকাতে শপথ করি শক্ত হাতে পতাকা ধরি । খড় কুটোর মত বানের জলে ভেসে যাবে যত সব কুলাঙ্গার গোলাম আযম নিজামীর আলবদর রাজাকারের দল । আসুন, শক্তি চেতনায় বলিয়ান হয়ে মু্ক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের সামনে রেখে সারা দেশে পতাকার মিছিল নিয়ে মার্চ করালে রাজাকারের দল পালাবে বাংলা ছেড়ে ।
মোঃ মহিউদ্দিন মজুমদার মাসুম ।
প্রবাসী, জাপান ।
বিষয়: রাজনীতি
১২৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন