নির্মম রাজনীতির অদ্ভূত দেশ-বাংলাদেশ । মুক্তিযোদ্ধা বনাম রাজাকার (জয়-মুক্তিযোদ্ধার,ক্রেষ্ট-রাজাকারও দাবিদার,অভিযোগ-ট্রাইব্যুনালে,সাক্ষী-বিবেক,ফলাফল-অপেক্ষমান)

লিখেছেন লিখেছেন মহি১১মাসুম ১১ জানুয়ারি, ২০১৩, ০২:৩৩:১৪ রাত



নীতির রাজা হচ্ছে রাজনীতি । ভিন্ন ভিন্ন রাজনীতির মধ্যে সেরা রাজনীতিটা দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয় । কোন রাজনীতিটা দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হবে, তা নির্ধারনের দায়িত্ব জনগনের ওপর । আর জনগনকে সেরা রাজনীতিটা গ্রহনীয় করানোর দায়িত্বে থাকেন ভিন্ন ভিন্ন নীতির রাজনীতিবিদদের ওপর । রাজনীতিবিদদের মেধা মনন ও উপস্থাপনার যোগ্যতাই নির্ধারন করে দেয় কোন রাজনীতিটা সেরা বলে বিবেচনায় আনবেন জনগন ।

সমাজ রাষ্ট্র প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল, পরিবর্তিত পরিবেশে রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজনীতিও পরিবর্তিত হয় । সময়ের সাথে রাজনীতি অপরিবর্তিত থাকলে রাষ্ট্র পিছিয়ে পরে এবং সমাজ থেকে নতুন রাজনীতির উম্মেষ ঘটে । বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা একটা সফল রাজনীতির ফসল । পৃথিবী বিখ্যাত সুসজ্জিত প্রশিক্ষিত পাকিস্থান আর্মি এবং ধর্মীয় সহানুভূতির মোড়কের রাজনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম হয়েছিল তৎকালিন ভাসানী বঙ্গবন্ধু সহ অন্যান্য বিভিন্ন দলের জাতীয় নেতাদের মেধাবী যুক্তিনির্ভর ত্যাগী রাজনীতি । যে জাতির অতীত এতোটা গৌরব গাঁথায় সমৃ্দ্ধ, সে জাতির প্রতিদিনকার পত্রিকার খবর গুলো ব্যাথিত করে, তবে বিশ্বাস করি ষড়যন্ত্র ভয় ভীতি কূটকৌশল মোকাবেলা করার মত মানুষ ও তার রাজনীতি এখানে ওঠে আসবেই । শহীদদের রক্তের ঋন ও মা বোনের সম্ভ্রমের সম্মান রক্ষায় শিক্ষিত যুব সমাজের মাঝ থেকে বেরিয়ে আসবে ভবিষ্যতের রাজনীতি ।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিটা নীতির অর্থে,যুক্তির বিচারে সঠিক ভাবে এগুচ্ছে, এমনটা ক্ষমতাশীন এবং বিরোধী সারির কেউ অস্বীকার করবেন বলে মনে করছি না । তবুও আন্দোলন আছে, রাজনীতি আছ, নেতা আছে,কর্মী আছে, সমর্থক আছে কিন্তু নাই নীতির রাজা যুক্তির রাজনীতি । খেয়াল করে দেখবেন রাজনীতির মাঠের বক্তৃতা বা টক শোতে নেতাদের আলোচনায় যুক্তির চাইতে আওয়াজটাই বেশী । আমাদের রাজনীতির অসাড়তা স্পষ্ট বুঝা যায়- টক শোতে উপস্থাপন যখন বলেন আজকের সরকারী দল যা বলছেন অতীত সরকারী দল একই কথা বলেছেন অথবা আজকের বিরোধী যা বলছেন অতীতের বিরোধী দল একই কথা বলেছেন । কখনও কখনও উপস্থাপক বলেন চেয়ারের ভাষা এক এবং অভিন্ন । চেয়ার সব সময় একই কথা বলে । ভাবুনতো, নেতা না এসে টেপরেকর্ডার চেয়ারে বসিয়ে দিলেই তো হয় । বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশে এখন মেধাবী ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন রাজনীতিবিদরা সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন না । তাই বাংলাদেশ ভোগ করছে রাজনৈতিক দূরাবস্থার ।

বর্তমানে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি, সরকারের সফলতা ব্যর্থতা, দূর্ণীতি ও যুদ্ধের সময়ে মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সর্বত্র । যুদ্ধের সময়ে মানবতা বিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধকে নিয়ে একটি আলোচনার সময় উত্তাপিত যুক্তি তর্ক শুনে অবাক ও বিস্মিত হয়েছি । কথার মার -প্যাচে সবাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় আবার সুকৌশলে ঐ অপরাধীদের মুক্তি দাবীও করেন, যা হাস্যকর । বিতর্কটির প্রেক্ষিতে আমার ভাবনা তুলে ধরার চেষ্টা করছিঃ

এক) বিএনপি এবং জামাতে ইসলামী বলছে সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে রাজনীতি করছে । আমার বিবেচনায় বিষয়টা হাস্যকর । কারন যারা যুদ্ধের সময় অপরাধ করেছে তারা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই করেছে আবার মুক্তিযুদ্ধারা যে পাক সেনা ও এদের দোসড় রাজাকারদের মেরেছে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই মেরেছে । তাই বিচারের মধ্যে রাজনীতি থাকবেই । বরং বিচারের মধ্যে রাজনীতি না থাকলে প্রশ্ন ওঠতে পারে । এ ধরনের বিচারের মধ্য দিয়ে জাতির আত্ম মর্যাদা বলুন আর জাতিয়তাবোধ বলুন ও রাষ্ট্র সৃষ্টির সময়ে শহীদ ও সম্ভ্রম হারাদের ত্যাগের প্রতি সম্মান বলুন এবং রাষ্ট্র সৃষ্ট্রির যৌক্তিকতা বলুন সবই প্রতিষ্ঠিত হয় । এসব কি রাজনীতি নয় ? যদি রাজনীতি হয় । সে রাজনীতিটা করাই উচিত ।

দুই) যুদ্ধাপরাধীদের তো বঙ্গবন্ধু সাধারণ ক্ষমা করেছেন, এত বৎসর পর কেন আবার জাতিকে বিভক্ত করা । গোলাম আযম টিভি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমার বিষয়টা উল্লেখ করেন । অবাক হয়েছি গোলাম আযম সাধারণ ক্ষমার আওতায় নিজেকে উল্লেখ করায় । অন্যরা কম বেশী নাও জানতে পারে কিন্তু আমি নিশ্চিত গোলাম আযম জানেন সাধারণ ক্ষমতার আওতায় গোলাম আযম নিজামীরা পড়েন না । তারপরও মিথ্যা ,বিভ্রান্ত মূলক তথ্যটি দিয়ে নিজেকে মুক্ত রাখার কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন । ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ফোরাম ও ট্রাইব্যুনালে বিচারটি চলার কারনে বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি আগে যারা জানতেন না, এখন তারাও জানেন- যারা শুধু অখন্ডিত পাকিস্থানকে সমর্থণ করেছেন কিন্তু হত্যা খুন লুটতরাজ জ্বালাও পোড়াও নারী নির্যাতনের সাথে যুক্ত ছিলেন না তাদের পাকিস্থান সমর্থনের অপরাধটা ক্ষমা করা হল । যারা বলেন বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমার ফলে সবাই মাফ পেয়েছেন, তারা অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির চেষ্টা করছেন । কারন তখন দালাল আইনে বিচারের কারনে কেউ জেলখানায় আবার কেউ কেউ পলাতক ছিল । মাফই যদি হয় বিচার চলছিল কাদের ? মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান সরকার দালাল আইন প্রত্যাহার করে ওদের ছেড়ে দিতে হল কেন ।

কেউ কেউ বলছেন এত বৎসর পর কেন আবার জাতিকে বিভক্ত করা । যারা এই বিভক্তির কথা বলছেন, তাদেরকে বলছি যুদ্ধকালিন মানবতার অপরাধীদের বিচারটি না করলে ঐ অপরাধীদের রাজনৈতিক আদর্শের দলের সাথে অপরাপর যুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলের আদর্শের সমন্বয়ে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে ওঠা সম্ভব কি ? নিশ্চয় না, বরং স্বাধীনতা যুদ্ধে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির পরাজয়ের ফলে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ধর্ম-বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের সূত্রপাত হয় । যা মেজর জেনরেল জিয়াউর রহমান সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতিকে পুনরায় ফিরিয়ে এনে ধর্ম ভিত্তিক বিভক্তির জায়গায় ঠেলে দেন ।

যুদ্ধকালিন মানবতা বিরোধী অপরাধকে রাষ্ট্র বা সমাজের অন্য সাধারন অপরাধের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যুক্তিতর্ক করা অনৈতিক । যারা প্রশ্ন তুলছেন বিচারের খুঁটি নাটি নিয়ে তাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি । নৈতিক বিবেচনায় বিচারটি কামনা করেন কি ? নৈতিক মতধৈততা বা ভিন্নতা থাকলে আপনার সব প্রশ্নের উত্তরে আপনি সন্তোষজনক জবাব পাবেন না, কারন এই ধরনের অপরাধে অনেক দেশে আত্মপক্ষ সমর্থনেরই সুযোগ দেয়নি, আমাদের রাষ্ট্র কতটুকু দিবে বা না দিবে তা জয়ী রাষ্ট্রই সিদ্ধান্ত নিবে, অপরাধী বা অপরাধীর দল বা গোষ্টী নয় । তবে সতর্কতার বিষয় হচ্ছে অপরাধী চিহ্নিত করনে যেন ভুল ভ্রান্তি না হয় । শাস্তির তীব্রতা মৃদু নাকি নির্মম হবে তা নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই, কারন এটা সাধারন অপরাধ নয় ।

তারপরও ট্রাইব্যুনালের বিচারকে নিয়ে কথা হচ্ছে চারিদিকে,কেউ বলছেন দেরীতে হলেও দায় মুক্ত হচ্ছি আমরা, আবার কেউ বলছেন বিচারটি শুধু শুধু দেশের বিভক্তি বাড়াবে । তারপরও যা শুনছি, তা হচ্ছে নিন্মরুপঃ

ক) বিচারকের যোগ্যতা । খ) আন্তর্জাতিক আইনে বিচার করা, না করা । গ) কোন বিশেষ দলকে বিচারের টার্গেটে পরিণত করা । ঘ) সরকারী দলের সাথে সম্পর্কিত যুদ্ধাপরাধীদের ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি না করা । ঙ) সরকার বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে । চ) বিবাদীকে আন্তর্জাতিক আইনজীবির সুবিধা বঞ্চিত করা । ছ) রাজনৈতিক হিসাব নিকাশে বিচারের গতিকে দ্রুত বা মন্থর করা । জ) বিচারকের অনৈতিক স্কাইপি সংলাপ । ঝ) সরকারের মন্ত্রী এমপিদের বক্তব্যে বিচারের রায় সম্পর্কিত নির্দেশনা । ঞ) ট্রাইব্যুনালের প্রধান বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগে নতুন নিযুক্ত বিচারপতি পুনরায় বিচারটি প্রথম থেকে শুরু করা না করা ইত্যাদি ইত্যাদি দাবী পরামর্শ অভিযোগ অনুযোগ ।

দাবী, পরামর্শ, জিজ্ঞাসা, অভিযোগ-অনুযোগ গুলি নিয়ে আমরা যে যার মত কথা বলছি । কোন দাবী বা জিজ্ঞাসাটির গুরুত্ব দিব, সে ক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে মতামত প্রদান করাই শ্রেয় । যেহেতু মামলাটি বিচারাধীন, তাই বিচারিক ট্রাইব্যুনালকে বিব্রত করা, প্রভাবিত করা বা বিচারকে প্রশ্ন বিদ্য করার মত কাজ থেকে বিরত থাকাটা বাঞ্চনীয় ।

আমার বিবেচনায় বিচারের দাবিটি বিভিন্ন পর্যায়ে তুলে ধরে আজকের এই পর্যায়ে নিয়ে আসার দাবিদার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি ও পরবর্তি পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ফোরাম, এবং দলীয় পর্যায়ে সিপিবি বাসদ সহ বাম সংগঠন গুলি ও আওয়ামী লীগ । বর্তমানে দাবিটি জাতিয় দাবিতে পরিণত হয়েছে । বিচারটি আওয়ামী লীগ সরকার আমলে শুরু হওয়াতে আওয়ামী লীগ এক ধরনের কৃতিত্ব নিবে এবং ভোটের রাজনীতিতেও আওয়ামী লীগ ব্যবহার করবে বিচারের প্রসঙ্গটি । কিন্তু ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি যেহেতু ভোটের রাজনীতির সাথে যুক্ত নয় এবং দাবিটি প্রথমে ওনারা তুলেছিলেন, তাই প্রশ্ন করা বা উত্তর দেয়ার নৈতিক অবস্থানটা ওনাদেরই বেশী । তাই রায় নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথা না বলার জন্য ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সম্বয়ক শাহরিয়ার কবীর সরকারের মন্ত্রী এমপি ও নেতাদের অনুরোধ করেছেন ।

অন্যদিকে মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের দলীয় অবস্থান বিবেচনায় দেখা যাচ্ছে এই পর্যন্ত এ্যরেষ্টকৃত অভিযুক্তদের মধ্যে বিএনপির দুজন ব্যতিত বাকি সবাই জামাতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে জড়িত । বিএনপি স্পষ্ট জানিয়েছে সাকা চৌধুরী ও আবদুল আলিমের দায় দায়িত্ব বিএনপি নিবেন না, কারন অভিযুক্তরা ঐ সময়ে অন্য রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন । জামাতে ইসলামী তাদের দলীয় অভিযুক্তদের রক্ষা করার জন্য সক্রীয় অবস্থান নিয়েছে । একাত্তরে যেমনি হার্ড লাইনে দাঁড়িয়ে হত্যা খুন রাহাজানি লুটপাট মা বোনের সম্ভ্রমহানি থেকে শুরু করে স্বাধীনতার সূর্য্যোদয়ের দুদিন পূর্বেও বুদ্ধিজীবি হত্যার মত জঘণ্য সব অপরাধ করেছে । এখনও ঠিক তেমনি বিচারিক ট্রাইব্যুনালকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে পুলিশের ওপর চোরা গুপ্তা হামলা, হরতাল, গাড়ী ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ, টাকা ছিটিয়ে দেশী বিদেশী চক্রান্ত রেখেছে অব্যাহত ।

কিন্তু বিএনপির লেজে গোবরে অবস্থা, শাঁকের করাত বা শ্যাম রাখি না কুল রাখির মত, একদিকে নির্বাচনী জোটের শরীক জামাতে ইসলামীর সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা ও নিজেদের দলের দুই নেতা সাকা চৌধুরী, আবদুল আলীমকে রক্ষা করা এবং অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মত জাতীয় দাবী অস্বীকার করতে না পারা । তাই বিএনপি ট্রাইব্যুনালের স্বচ্ছতা, বিচারের মান, বিচারকে দলীয়করন, পক্ষপাতদুষ্ট বিচার, স্কাইপি ষড়যন্ত্র ইত্যাদি অভিযোগ তুলে পুনরায় স্বচ্ছতার সাথে বিচারটি শুরু করার দাবি করছে ।(Justice delayed is justice denied)কৌশলটি মেধার স্বাক্ষর বহন করে কিন্তু এক্ষেত্রে অনৈতিক । বিএনপি কথায় কথায় বলছে আমরা বিচার চাই , আমরা বিচারের বিপক্ষে নই , তবে বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে । বিএনপির স্বচ্ছ শব্দটার মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে এবং অভিযোগের পর অভিযোগে সাচ্ছা বিচার প্রার্থী না বউ তাড়ানো শাশুড়ীর ভূমিকায় আছেন সচেতন মহল ঠিকই বুঝতে পারছেন, বেশী বেশী বা কথায় কথায় খুঁত ধরলে যেমনি বউ টিকেনা, ঠিক তেমনি বিএনপি স্বচ্ছতার খুঁত ধরে ধরে বিচারটি ঠেকাতে চাচ্ছেন । বিএনপি সম্ভবতঃ বুঝছে না তাদের কথা বার্তা জনগন বুঝতেছে । কাক নাকি কোন কিছু লুকানোর সময় চোখ বন্ধ করে লুকায়, কাক ভাবে কেউ দেখেনি । বিএনপি ভাবছে কথার ধুম্রজালে নিজেকে লুকাতে পারছে আবার জামাতকেও বুঝাতে পারছে । যাহোক, বিএনপিকে জনগন স্পষ্ট অবস্থানে দেখতে চায় । বিএনপির বুঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আরেকটা ইতিহাস তৈরী করছে, যা অন্যান্য দেশের মত উদাহরনের জায়গায় যাচ্ছে বাংলাদেশ । যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশ উদাহরন হিসেবে দেখবে ন্যুরেমবার্গ, ভিয়েতনাম বাংলাদেশ--------ইত্যাদি । বিএনপিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিএনপি ইতিহাসটির কোন ভূমিকাটিতে শেষ পর্যন্ত অবস্থান করবে । বিএনপি জনগনের আবেগ আকাংখা অনুভূতি অর্থাৎ নার্ভ না বুঝলে বাংলার রাজাকার বিরোধী যুব সমাজের সমর্থন আবারও হারাবে ।

আসুন, রাষ্ট্র সৃষ্টির সময়কার ঘৃণ্য পাপিষ্ট মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচারে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াই । মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্ত ও মা বোনের সম্ভ্রমের ঋণ মুক্তির সংগ্রামে গর্বিত সৈনিকের ভূমিকা রাখি ।

মোঃ মহিউদ্দিন মজুমদার মাসুম ।

প্রবাসী, জাপান ।

২০১৩ ০১ ০৯ ।

বিষয়: রাজনীতি

১২৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File