আওয়ামীলীগ-বিএনপির রাজনীতিতে দাবার গুটি জামাত ।
লিখেছেন লিখেছেন মহি১১মাসুম ১৫ নভেম্বর, ২০১৪, ০৩:৪৬:৫২ রাত
বর্তমান রাজনীতিতে দাবার গুটি হচ্ছে জামাত । আওয়ামী গুটির চালে জামাত রীতিমত মহা-গ্যারাকলে পড়েছে । দুই দলের নীরব-সরব চালে জামাত তাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময় পাড়ি দিচ্ছে । একই সাথে দল ও নেতাদের গলায় ঝুলছে ফাঁসির রশি । আতংকগ্রস্ত নেতাদের আত্ম-চিৎকার জেলের দেয়াল ভেদ করে জোটমিত্রের কানে পৌঁছছেনা, কারন জোটমিত্র বিএনপি অগ্রিম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কানে তুলো দিয়ে রেখেছে আর অন্যরা বললেও বিএনপি না শোনার ভাণ করছে ।
এতো বর্তমান অবস্থা । চলুন কল্পণা শক্তিকে প্রখর করে আওয়ামীলীগ-বিএনপির পরবর্তী চালের ভবিষ্যতবাণী দিই । যদিও এসব সবারই জানা, তবুও মিলাতে চাই অন্যসব বিচক্ষণ ব্লগারদের সাথে ।
বিএনপিঃ বিএনপি নেত্রী ইতিমধ্যে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বসেছেন, পরিকল্পনা করছেন জানুয়ারী-ফেব্রয়ারীতে ফুল গিয়ারে মাঠে নামবেন এবং সরকারের পতন ঘটাবেন । আর এই মাঠের স্বপ্নও জামাত শিবিরকে ঘিরে, কারন জামাত শিবির কর্মীরা সরকারের উপর মহাক্ষ্যাপা, ফাঁসির রশি উপড়িয়ে ফেলতে ওরা মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে, শুধুমাত্র ধৈর্য্য ধরে ওদেরকে নেতৃত্ব দিতে পারলেই ক্ষমতা, ঠেকায় কে !
আওয়ামীলীগঃ নভেম্বরটা আওয়ামীলীগের জন্য কুফা, তাই নভেম্বরে নয় বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে দু-একজনকে ঝুলাবে । এতে বেশী বাড়া-বাড়ি করলে জঙ্গীবাদী আচরণ ও একাত্তরের দায়ে দলের গলায় রশিটা দিবে জানুয়ারীতে ।
এখন প্রশ্ন আপনাদের কাছেঃ
এক) বিএনপি নেত্রীর এই স্বপ্ন কতটা সফল হবে ?
দুই) আর সফল না হলে কোন দল বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে ?
তিন) একাত্তরের দায়ে জামাতকে নিষিদ্ধ করলে বিএনপি কী নীরবই থাকবে ?
চার) জামাতকে নিষিদ্ধ করে আওয়ামীলীগ কী বিএনপির আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে পারবে ?
বিষয়: রাজনীতি
১৮০৮ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিএনপির এই সব অলিক স্বপ্নে কোন বিশেষ লাভ না হলেও দলের চুড়ান্ত ক্ষতিই হচ্ছে, আরো হবে!
জামাতের সমর্থন-সহযোগীতা বিএনপি একক ভাবে জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে না! জামাতের ব্যাপারে সরকারের যে কোন পদক্ষেপের বিষয়ে বিএনপির নিরবতা থাকবে দলীয় ভাবে!
আকস্মিক কোন শক্তি না আসলে আওয়ামী সরকারের মেয়াদ পুর্ণতার দিকেই যাবে!!!
বলাতো যায়না কোন না কোন নেতামন্ত্রীর বেঁফাস কথায় হেফাজত জামাত বিএনপি কোমর বেঁধে নামে। যাহোক এটা কাল্পনিক।
ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য।
কারণ ইতিমধ্যেই এনআইএ একটা অজুহাতে দেশে ঢুকে পড়েছে ।
একজন বাংলাদেশী হয়ে বিষয়টা আমাকে আতন্ক গ্রস্থ করে তোলে ।
আর যারা এখনও এটাকে মনে করে দলের সাফল্য , দল দীর্ঘস্থায়ী ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে - তারা আসলে নিজেদের কামড়াকামড়িটাকে সামনে এনে এই মহা আশংকাজনক ব্যাপারটাকে ব্যাপারটাকে ধামাচাপা দিতে চাচ্ছেন ।
প্রলয় আসলে সবাইকে গ্রাস করে ফেলবে । অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ থাকবে না ।
নিরবিচ্ছিন ক্ষমতা মানুষকে স্বৈরাচারী বানিয়ে দেয় । জনপ্রিয় দলও মানুষের রোষে পড়ে যায় ।
আসলে দুই দলের ক্ষমতার কামড়িতে ওতপেতে থাকা সুবিধাবাদীরা ঢুকে পড়ছে।
ধন্যবাদ।
আমার সোজা কথা, বিএনপি'র কোন ভবিষ্যৎ আছে বলে দেখিনা। আর জামায়াত? এই দলটিকে ঘিরেই চলতে থাকবে ভারত, আওয়ামী এবং বাম ঐক্যের মহড়া। হয়তো জামায়াত নামে কোনো দলই থাকবে না কিন্তু এঁরাই হবে রাজনীতির ফুয়েল। ভারত, আওয়ামী এবং বাম ঐক্যে যদি চীড় ধরে তবে ভিন্ন কথা। না হলে তারাই রাজত্ব করবে আরো কিছুদিন। এর পরে নিজেদের মাঝেই শুরু হবে পরস্পর খুনাখুনি। এর পরে যারাই টিকে থাকুক, আওয়ামী লীগের নাম আর কক্ষনওই কেউ নেবেনা।
রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তাল হবে-তাও সত্য। কিন্তু গতবারের মত জোটগত আন্দোলন ব্যর্থ হলে জামাতের অস্তিত্বই আওয়ামীলীগ শেষ করে দিতে চাইবে।
বিএনপির উপর ভরসা না থাকলে জামাত ভিন্ন কৌশলে এগুনোটাই উচিত।
ধন্যবাদ মূল্যবান মতামতের জন্য।
আর দ্বিতীয় অংশে যে পরাধীনতার শিকল বলছেন,তা পুরনো রাজনীতি,বর্তমানে অচল।
খেয়াল করে দেখুন বিএনপি জামাত একটা সময় জুজুর ভয় দেখাতো-আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে দেশ ইন্ডিয়া হয়ে যাবে,বিএনপি-জামাতও এখন আর এই বক্তব্য রাখে না। কারন মানুষ এখন তা ভালো ভাবে নেয়না। কারন বর্তমান বিশ্বে তা অসম্ভব। শিক্ষিত সচেতন জনগোষ্টীও তা বিশ্বাস করে।
ধন্যবাদ।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা গেলেও নিমূর্ল করতে পারবে না।
আওয়ামীলীগ একদিকে জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করবে,অন্যদিকে চাইবে জামাত যেন তড়িৎগতিতে আবারো নতুন নামে রাজনীতি ফিরে আসে। না হয় আওয়ামীলীগেরই ক্ষতি। কারন ভোটগুলি বিএনপির বাক্সে পড়বে।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন