নজরুল-ভাবনায় সবার উর্ধ্বে মানুষ ।

লিখেছেন লিখেছেন মহি১১মাসুম ২৬ মে, ২০১৪, ০১:৩৬:২৭ রাত



















নজরুল-ভাবনায় সবার উর্ধ্বে মানুষঃ ধর্ম-বর্ণ, নর-নারী ও ধনী-গরীবের ভেদাভেদ ও রেষারেষিকে ঘৃণা ও ধিক্কার জানিয়েছেন, অথচ এক শ্রেনীর কূপমুন্ডুকদের দল কাজী নজরুলকে শুধুই মুসলমানদের কবি বানিয়ে নজরুলকে খন্ডিতকরন করছে ।

কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) বিস্ময়কর প্রতিভা । নজরুলের ধর্মীয় সম্প্রীতির দৃষ্টিভঙ্গি, গণতান্ত্রিক জীবন-ব্যবস্থার জন্য তাঁর আকাঙ্ক্ষা, গভীর জীবনবোধ বাঙালীত্বের শক্তিতে বলীয়ান ।

‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নেই, নহে কিছু মহীয়ান’


জাতি-ধর্মের পারস্পরিক সম্প্রীতি নজরুল-ভাবনার এক অনবদ্য আলোকশিখা । তাঁর আদর্শ ছিল এমন এক সমাজ, যেখানে হিন্দু-মুসলমান বিভেদ থাকবে না । শ্রেণীবিভাজনের উর্ধ্বে সকলের পরিচয় হবে অভিন্ন । ‘মানুষ’ হিশেবে পরিচিত হবে সবাই । তিনি বাঙালিকে শুধু বাঙালি বলে চিহ্নিত করতে চেয়েছিলেন । নজরুল বুঝতে পেরেছিলেন এ দেশের সম্প্রদায়িকতা বিষয়টি হিনদু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের আধা-শিক্ষিত মধ্যবিত্তের অশুভ প্রতিদ্বন্দ্বিতা । আর তাই তিনি নিজের সম্প্রদায়ের ভিতরে খুব স্পষ্ট অবস্থানে থেকেই ধর্ম সম্প্রীতির চেতনাকে লালন ও প্রকাশ করতে পেরেছিলেন ।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন- ‘ধর্ম আমাদের ইসলাম । কিন্তু প্রাণের ধর্ম আমাদের তারুণ্য, যৌবন । আমরা সকল দেশের, সকল জাতির, সকল ধর্মের, সকল কালের ।’


তিনি কাব্য-জীবনের প্রারম্ভ থেকেই হিন্দু-মুসমানের সংসৃকতি ও ঐতিহ্যকে অভিন্ন বলয়ে স্থাপন করতে পেরেছিলেন । নজরুল তখন বাঙালি জাতির সামনে নিয়ে এলেন মানবতাবাদের শাশ্বত বারতা ।
‘হিন্দু না ওরা মুসলিম ওই জিজ্ঞাসে কোন জন ?/কারী! ডুবছে মানুষ, সন্তান মোর মা’র ।’
সাম্প্রদায়িক বিবাদ প্রসঙ্গে তিনি ছিলেন নিরপেক্ষ । দাঙ্গায় যে উভয় সম্প্রদায়েরই দায় রয়েছে তা তিনি পক্ষপাতহীন দৃষ্টিতে অবলোকন ও উপলদ্ধি করেছেন । কুসংস্কার আর সঙ্কীর্ণ মানসিকতায় আচ্ছন্ন উগ্রপন্থী সাম্প্রদায়িকরা তাঁকে তাঁর সৃষ্টির পথে বার বার বাধা দিয়েছে । দৃঢ়চেতা কবি তখনও থেকেছেন আপোসহীন, প্রবল প্রতিবাদী । প্রসঙ্গত, ১৯২৯ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেয়া তাঁর ভাষণের কিছু অংশ উদ্ধৃত করছি:
‘কেউ বলেন আমার বাণী যবন, কেউ বলেন কাফের । আমি বলি ও দুটো কিছুই নয় । আমি মাত্র, হিন্দু-মুসলমানকে এক জায়গায় ধরে এনে হ্যান্ডশেক করাবার চেষ্টা করেছি । গালাগালিকে গলাগলিতে পরিণত করার চেষ্টা করেছি ।’


জাগ্রত হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে কোনো প্রকার ধর্মবিদ্বেষ দৃষ্টিগোচর হয়নি তাঁর । দেখাননি জাতিবিদ্বেষও ।
তিনি লিখেছেন- ‘আমাদের মধ্যে ধর্মবিদ্বেষ নাই, জাতিবিদ্বেষ নাই, বর্ণবিদ্বেষ নাই, আভিজাত্যের অভিমান নাই । পরস্পরকে ভাই বলিয়া একই অবিচ্ছিন্ন মহাত্মার অংশ বলিয়া অন্তরের দিক হইতে চিনিয়াছি ।’


আর এ প্রসঙ্গেই তাঁর উদাত্ত আহবান-
‘এস ভাই হিন্দু । এস মুসলমান । এস বৌদ্ধ । এস ক্রিশ্চিয়ান । আজ আমরা সব গন্ডি কাটাইয়া, সব সংকীর্ণতা, সব মিথ্যা, সব স্বার্থ চিরতরে পরিহার করিয়া প্রাণ ভরিয়া ভাইকে ভাই বলিয়া ডাকি । আজ আমরা আর কলহ করিব না । চাহিয়া দেখ, পাশে তোমাদের মহাশয়নে শায়িত ঐ বীর ভ্রাতৃগণের শব । ঐ গোরস্থান-ঐ শ্মশাণভূমিতে শোন শোন তাহাদের তরুণ আত্মার অতৃপ্ত ক্রন্দন ।’


নজরুলের কাছে মানুষের মূল্য এত বেশি যে ধর্মবেত্তাদের একই সারিতে সহজে সাজাতে পারার ঔদার্য ও সাহস দেখিয়েছেন এবং বলতে চেয়েছেন
‘বুদ্ধ-কৃষ্ণ-মোহাম্মদ-রাম’ ধর্মবিশেষের ভাষ্যকার হিশেবে পরিচিত হলেও বিসত্মৃত অর্থে তাঁরা মানুষেরই বন্ধু । নজরুল ওই মহামানবের মানবতাবোধ সম্পর্কে লিখেছেন- ‘চিনেছিলেন খ্রীষ্ট বুদ্ধ/কৃষ্ণ মোহাম্মদ ও রাম /মানুষ কী আর কী তার দাম ।’


নজরুল তাঁর সাহিত্য ভাবনার অন্যতম প্রধান সুর হিন্দু-মুসলমানের মিলন প্রয়াস । ‘মন্দির ও মসজিদ’ নামক প্রবন্ধে নজরুল লিখেছেন:
‘মানুষের কল্যাণের জন্য ঐ-সব ভজনালয়ের সৃষ্টি, ভজনালয়ের মঙ্গলের জন্য মানুষ সৃষ্টি হয় নাই । আজ যদি আমাদের মাতলামির দরুণ ঐ ভজনালয়ই মানুষের অকল্যাণের হেতু হইয়া উঠে, যাহার হওয়া উচিৎ ছিল স্বর্গসত্যের সেতু- তবে ভাঙ্গিয়া ফেল ঐ মন্দির-মসজিদ ! সকল মানুষ আসিয়া দাঁড়াইয়া বাঁচুক এক আকাশের ছত্রতলে, এক চন্দ্র-সূর্য-তারা-জ্বলা মহামন্দিরের আঙ্গিনাতলে ।’
নজরুল চেয়েছিলেন হিন্দু-মুসলমানের সহাবস্থান ।

আজ সভ্যতার অগ্রগতির এ আলোয় এবং প্রযুক্তির প্রবল উৎকর্ষের দিনে আবারও যেন ধ্বনিত হতে শুনি নজরুলের সেই ক্ষমা-প্রার্থনা ও শান্তি ভিক্ষা:
‘শান্তি দাও, শান্তি দাও হে ক্ষমাময়, ক্ষমা কর/হে অভেদ ! এই ভেদ ভুলাইয়া উদার বক্ষে ধর ।/ বাংলার এই হিংসালীলা ঢেকে দাও, ভেঙ্গে দাও ! চির সুন্দর ! ক্ষমা প্রসন্ন নয়নে আবার দাও ।’
(ঢাকার দাঙ্গা)

গদ্যেও আমরা তাঁর কবিতার মতোই জীবনসত্যের স্পষ্ট, রাখ-ঢাকহীন বিবরণ পাই:
‘সেই রুদ্র আসিতেছেন, যিনি ধর্ম-মাতালদের আড্ডা ঐ মন্দির-মসজিদ-গির্জা ভাঙিয়া সকল মানুষকে এক আকাশের গম্বুজ তলে লইয়া আসিবেন ।’


আর্থিক অনটন- উপার্জনের নিরন্তর চেষ্টায় ক্লান্ত নজরুলের কষ্ট এবং প্রত্যয়ের পরিচয় পাই ১৯২৭-এ এক তরুণকে লেখা চিঠিতে:
‘আমি অর্থ উপার্জন ছাড়া বোধ হয় জগতে সবকিছু করতে পারি । ঐ জিনিসটের মালিক হতে হলে যতটা নিচে নামতে হয়, ততটা নামবার দুঃসাহস আমার নেই ।’


ভারতের চিরপরিচিত দারিদ্র্যকে পাশ কাটিয়ে যে ধর্মান্ধ মাতালরা কেবল নিজেদের মুসলমানিত্ব বা হিন্দুত্ব প্রকাশ ও প্রমাণের চেষ্টায় নিয়োজিত ছিল, তাদের বিপক্ষে সোচ্চার ছিলেন এই বিদ্রোহী কবি । লাখ লাখ লোক যখন না খেয়ে মরছে প্রতিবছর, তখন মন্দির ও মসজিদের ইট-কাঠ নিয়ে ব্যস্ত থাকা লেবাসধারী ধার্মিকদের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন তিনি । সমাজ-পরিপ্রেক্ষেতের বাস্তবতায় তাদের মূর্খতাকে সচেতন মানুষের কাছে উপস্থাপন করতে চেয়েছেন । ‘মন্দির ও মসজিদ’ প্রবন্ধে লিখছেন তিনি: ‘মুহম্মদকে যাহারা মারিয়াছিল, ঈসা-মুসাকে যে-সব ধর্ম-মাতাল প্রহার করিয়াছিল, তাহাদেরই বংশধর আবার মারিতেছে মানুষকে- ঈসা-মুসা-মুহম্মদের মত মানুষকে ।’


মানুষের অকল্যাণ সৃষ্টিকারী এইসব ‘মাতাল পশু’র জন্য তিনি যেন করুণা প্রকাশ করতেও কুণ্ঠাবোধ করেছেন । নজরুল দেখেছেন অর্থনৈতিক অসাম্য আর শ্রেণিগত বৈষম্যের কারণে মানুষের মৌলিক অধিকার বিপন্ন হয়েছে, নারীর মর্যাদা ও সম্ভ্রম ধুলায় লুটিয়ে পড়েছে ।

টাকার জন্য, সন্তানের মুখে দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য নারীকে তার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ- ইজ্জত হারাতে হয়েছে । খাবারের অভাবে মরতে হয়েছে শিশু-বৃদ্ধ-যুবা ও যুবতীকে । এমন সব অমানবিক ঘটনায় নজরুল যেন ক্ষেপে উঠেছিলেন । মানুষ কীভাবে মানুষকে মেরে ফেলে ধর্ম-প্রতিষ্ঠার জন্য অন্ধের মতো কেবল ছুটতে পারে, তা তিনি বুঝতে পারেননি । অথবা বুঝেছেন তাদের বোকামি ও লালসার তাৎপর্য । লিখেছেন: ‘মানুষের পশু-প্রবৃত্তির সুবিধা লইয়া ধর্ম-মদান্ধদের নাচাইয়া কত কাপুরুষই না আজ মহাপুরুষ হইয়া গেল ।’


সকল কালে সকল দেশে সকল লাভ-লোভকে জয় করিয়াছে তরুণ । ওগো বাঙলার তরুণের দল- ওগো আমার আগুন খেলার নির্ভিক ভাইরা, ঐ দশ লক্ষ অকাল মৃতের লাশ তোমাদের দুয়ারে দাঁড়াইয়া ! তারা প্রতিকার চায় !

তোমরা ঐ শকুনির দলের নও, তোমরা আগুনের শিখা, তোমাদের জাতি নাই । তোমরা আলোর, তোমরা গানের, তোমরা কল্যাণের । তোমরা বাহিরে এস, এই দুর্দিনে তাড়াও ঐ গো-ভাগারের পড়া শকুনির দলকে ।


আমি শুনিতেছি মসজিদের আজান আর মন্দিরের শঙ্খধ্বনি। তাহা একসাথে উত্থিত হইতেছে ঊর্ধ্বে- স্রষ্টার সিংহাসনের পানে । আমি দেখিতেছি, সারা আকাশ যেন খুশি হইয়া উঠিতেছে ।


প্রকৃতঅর্থে নজরুল বস্ত্তগত ধর্মবিশ্বাসকে দূর করে সত্যিকারের প্রীতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন । সমাজে ধর্মের নামে যাবতীয় অধর্মের যে বিকাশ, তার বিনাশ সাধনও ছিল নজরুলের আরাধ্য । ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা তাঁর ওই অভিলক্ষের একটি দিক মাত্র । অসংখ্য কবিতা, বক্তৃতার মতো তাঁর ‘মন্দির ও মসজিদ’ নামক প্রবন্ধটি মানবতাবোধ ও সামাজিক ইতিবাচকতার পাঠ ও পর্যবেক্ষণে পরিপূর্ণ এক শৈল্পিক পরিবেশনা ।

বিষয়: সাহিত্য

৪৩৮৯ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

226269
২৬ মে ২০১৪ রাত ০১:৪০
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো পিলাচ
২৬ মে ২০১৪ রাত ০১:৪৩
173236
মহি১১মাসুম লিখেছেন : সুশীল ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
226293
২৬ মে ২০১৪ রাত ০৩:২৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো
২৬ মে ২০১৪ রাত ০৯:২৭
173592
মহি১১মাসুম লিখেছেন : সন্ধাতারা আপনার অনুপ্রেরনাদায়ক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
226297
২৬ মে ২০১৪ রাত ০৪:৪১
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : লেখাটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। খুবই ভালো লেগেছে। পিলাচ দেয়া গেলো।
২৬ মে ২০১৪ রাত ০৯:২৮
173595
মহি১১মাসুম লিখেছেন : বরাবরের মতই প্যারিসী ভাইয়ের অনুপ্রেরনাদায়ক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
226365
২৬ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
egypt12 লিখেছেন : Rose Rose Rose
২৬ মে ২০১৪ রাত ০৯:৩০
173597
মহি১১মাসুম লিখেছেন : ইজিপ্ট আপনার প্রতিও ধন্যবাদ ও ফুলেল শুভেচ্ছা রইলো।
226389
২৬ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০৮
শাহ আলম বাদশা লিখেছেন : চমৎকার লেখা, সরাসরি প্রিয়তে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
২৬ মে ২০১৪ রাত ০৯:৩১
173598
মহি১১মাসুম লিখেছেন : শাহ আলম বাদশা ভাই আপনার অনুপ্রেরনাদায়ক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ।
226409
২৬ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৫৯
আমীর আজম লিখেছেন : গবেষণাধর্মী অসাধারণ একটি লেখা।
২৬ মে ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
173600
মহি১১মাসুম লিখেছেন : আমীর আজম ভাই এই লিখাটিকে গবেষনাধর্মী লিখার স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।
226717
২৬ মে ২০১৪ রাত ১০:২৬
নিশা৩ লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো। Good Luck Rose
২৬ মে ২০১৪ রাত ১১:১৮
173629
মহি১১মাসুম লিখেছেন : নিশা আপনার ভালো লেগেছে জেনে আরো ভালো লিখার জন্য অনুপ্রানিত হয়েছি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
226976
২৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:২৮
Medha লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো
২৭ মে ২০১৪ রাত ০৮:১৮
174006
মহি১১মাসুম লিখেছেন : বিশাল নজরুলকে তুলে ধরার ক্ষুদ্র প্রয়াস টুকু আপনার ভালো লেগেছে জেনে নিজেকে ধন্য মনে করছি ।
মেধা আপনার প্রতি রইলো অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
227234
২৮ মে ২০১৪ রাত ০২:৩৮
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই। দারুণ একটা পোষ্ট। কবি নজরুল মানে্ই আমাদের হৃৎপিন্ড। অবহেলিত সেই চেতনার মানুষটিকে স্মরণ করার জন্য ধন্যবাদ।
২৮ মে ২০১৪ রাত ১০:৪৮
174492
মহি১১মাসুম লিখেছেন : ভালো লেগেছে জেনে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
মতামত শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১০
227271
২৮ মে ২০১৪ সকাল ০৮:০৪
Sada Kalo Mon লিখেছেন : অসাধারণ হয়েছে, আসলে তিনি কখনও বিদ্রোহী, কখনও প্রেমিক, কখন মানবতাবাদী আমি কিছু বলতে পারছিনা, আসলে তিনি বহুমুখী একজন মানুষ! অনেক অনেক ভালো লাগলো
২৮ মে ২০১৪ রাত ১০:৪৫
174490
মহি১১মাসুম লিখেছেন : বিশাল নজরুলকে আমার সীমিত জ্ঞানে যথোপযুক্তভাবে তুলে আনা দুঃসাহস বৈ কিছুই নয়,
আপনার প্রশংসাসূচক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১১
227305
২৮ মে ২০১৪ সকাল ১০:২৫
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : বর্তমান সময়ে বিদ্রোহী এবং দুঃখ মিয়াদের বড়ই প্রয়োজন দেশ ও জাতির কন্ঠস্বর হয়ে অধিকার আদায়ের জোড়ালো ভূমিকা রাখতে।
২৮ মে ২০১৪ রাত ১০:৪৩
174489
মহি১১মাসুম লিখেছেন : শতভাগ সহমত রইলো। ধন্যবাদ।
১২
227332
২৮ মে ২০১৪ সকাল ১১:৪০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : একহন প্রকৃত কবি বা সাহিত্যিক সবসময় স্থান কালের উর্দ্ধে মানবতার কথা বলেন।
ধন্যবাদ পরিশ্রমি পোষ্টটির জন্য।
২৮ মে ২০১৪ রাত ১০:৪২
174488
মহি১১মাসুম লিখেছেন : পরিশ্রমের স্বীকৃতির জন্য সবুজ আপনার প্রতি রইলো অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
১৩
227373
২৮ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : নজরুলকে বামপন্থী প্রমাণের কি জোরালো প্রচেষ্টা। আহম্মকের দল। নজরুলের দর্শনের একটি দিকই মাত্র উঠে এসেছে এখানে। কোনভাবেই নজরুলের পূর্ণাঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়নি এখানে। নষ্ট বামরা শেষ পর্যন্ত নজরুলকে নিয়েও টানাটানি করতে বাদ রাখলোনা।
২৮ মে ২০১৪ রাত ১০:২৯
174481
মহি১১মাসুম লিখেছেন : কাজী নজরুল ইসলাম বহুমুখী প্রতিভায় উদ্ভাসিত একজন মহানায়ক,সকল জরাজীর্ণতাকে পদদলিত করে সত্য ন্যায় ও মানবতাকে উর্ধ্বে তুলে ধরেছেন,হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যকার উন্মাদসম ধর্মীয় কূপমূন্ডক মানুষকে ধিক্কার জানিয়েছেন । আবার মুসলমানদের জন্য ইসলামিক সংগীত ও হিন্দুদের জন্য শ্যামা সংগীতও রচনা করেছেন।
প্রেসিডেন্ট আমি নিশ্চিত আপনি একজন জ্ঞানী ও সভ্য মানুষ। অনুরোধ থাকবে ভুল ধরিয়ে দিয়ে সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিবেন, আহাম্মক,নষ্ট বাম এইসব বিশেষন ব্যবহার করে দুরে সরিয়ে দিবেন না ।
দুঃখিত,কাজী নজরুলকে নিয়ে আমার সীমিত জ্ঞানে পর্যালোচনাধর্মী লিখা তৈরীর দুঃসাহস দেখানোর জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪
227416
২৮ মে ২০১৪ দুপুর ০২:২১
আতিকুর রহমান ফরায়েজী লিখেছেন : নজরুলকে নিয়ে অসাধারণ একটি ফিচার পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
২৮ মে ২০১৪ রাত ১০:৪০
174487
মহি১১মাসুম লিখেছেন : বিশাল নজরুলকে আমার সীমিত জ্ঞানে যথোপযুক্তভাবে তুলে আনা দুঃসাহস বৈ কিছুই নয়,তবুও আতিক আপনার প্রশংসাসূচক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৫
228235
৩০ মে ২০১৪ সকাল ০৯:০৭
০৫ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৫৮
177855
মহি১১মাসুম লিখেছেন : ধন্যবাদ।
১৬
228557
৩১ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৩৪
টাংসু ফকীর লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ জনাব নজরুল আমার প্রাণ আমার ভালবাসা,আমার ধ্বমনীতে নজরুলের সেই গান আল্লাতে যার পূর্ণ ঈমান কোথা সে ‍মুসলমান?
০৫ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৫৮
177854
মহি১১মাসুম লিখেছেন : চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৭
230849
০৫ জুন ২০১৪ সকাল ১১:০০
আহ জীবন লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো
০৫ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৫৭
177853
মহি১১মাসুম লিখেছেন : জীবন আপনার ভালো লেগেছে জেনে লিখাটির স্বার্থকতা খুঁজে পেলাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File