অন্য দেশের পতাকার টাট্টু আঁকা মুখ, এ লজ্জা কার !
লিখেছেন লিখেছেন মহি১১মাসুম ১৭ মার্চ, ২০১৪, ১২:৪১:৪২ রাত
খেলা-ধূলার আসরে বেশীর ভাগ বিভাগে আমরা পিছিয়ে থাকলেও পিছিয়ে নেই দর্শক হিসেবে কোন না কোন টিমকে সমর্থন ও উৎসাহদানে । আমাদের তুলনা আমরাই, সব কিছুইতেই বেশী-বেশী, ছাড়িয়ে যাই সীমা-পরিসীমা । ম্যারাডোনা মেসি রোনাল্ডো নেইমাররা বাংলাদেশকে না চিনলে কী হবে, বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে আমাদের জাতীয় দলের অবস্থান না থাকলে কী হবে, ভীনদেশী দলকে উৎসাহ দানের প্রতিযোগীতায় আমরা আছি সবার উপরে, বাড়ী-গাড়ী অলি-গলি ছেঁয়ে ফেলি ভীন দেশের পতাকায় । দেখা যায় ভীন দেশীয় পতাকা টাঙানোর প্রতিযোগীতায় নিজ দেশের জাতীয় পতাকার অবস্থান নিয়ে মাথা ব্যথা নেই, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ভীন দেশী পতাকার ভিড়ে আমাদের পতাকা ঠাঁই হয় না, আবার কোথাও কোথাও ঠাঁই হলেও উচ্চতা ও মর্যাদাগত অবস্থানটা রীতিমত অবমাননাকর । আর বর্তমানে বিশ্ব ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশী সমর্থকদের চেহারা ও আচরন রীতিমত ভাবিয়ে তুলছে আমাদের জাতীয়তা ও মর্যাদাবোধ কতটা হাস্যকর ও ঠুনকো পর্যায়ে আছে । আমরা নিজস্বতা ভুলে অন্যদেশ নিয়ে বেশী মাত্রায় উদ্বেলিত । বাংলাদেশের মাঠে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ঐসব রাষ্ট্রের পতাকা এবং পতাকার আদলে মুখে টাট্টু আঁকা বাংলাদেশী নাগরিকদের উপস্থিতিকে কী বলবেন ? উদারচেতা মানুষিকতা নাকী সীমান্তহীন ভালবাসা নাকী জাতীয়তা ও সন্মানবোধের মহা আকাল ।
বিশ্ব ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান বা অন্য দলকে সমর্থনের নামে দেখা যায় অতিশয় উন্মাদসম দৃষ্টিকটু বাড়াবাড়ি । এসব নিয়ে কথা তুললে এক শ্রেনীর মানুষ বলেন- খেলার মধ্যে রাজনীতি আনাটা ঠিক নয়, ভালো খেলুড়ে দলকে সমর্থন দেয়াই যায় । আমার বিবেচনায় ক্রীড়ামোদী দর্শক হিসেবে নিজ দেশের পর অন্য যে কোন দেশীয় দলকে দ্বিতীয়/তৃতীয় পছন্দের দল হিসেবে পরিশালীত সমর্থন সূচক হাততালী দোষের কিছু নয়, আর এই ক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় দলের টুর্ণামেন্টে টিকে থাকার সমীকরনটা প্রধান বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত । কিন্তু আমরা যেভাবে অন্য দেশের জাতীয় পতাকা উর্ধ্বে তুলে ধরে নাচা-নাচী করি, শরীর ও মুখে ভীনদেশের পতাকার আদলে টাট্টু এঁকে এবং ভীন দেশের জার্সি পড়ে মাঠে হাজির হই, তা কী জাতিকে লজ্জা দেয় না ? আমাদের জাতিগত মর্যাদা ও জাতীয়তাবোধকে প্রশ্নবিদ্য করে না ! ভেবে বলুনতো- এক) আমরা কী পৃথিবীতে একটি রাষ্ট্রের উদাহরন দেখাতে পারবো -যেখানকার জনগন আমাদের মত ভীনদেশের খেলা সমর্থনের নামে ভীন দেশের পতাকায় ছেঁয়ে ফেলে পুরো দেশ । দুই) কোন জাতি-রাষ্ট্র কর্তৃক শোষন নির্যাতন-নিপীড়ন ও উপেক্ষার শিকার হওয়া রাষ্ট্রের জনগন নির্যাতনকারী রাষ্ট্রটির খেলা-ধূলায় উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সমর্থন যোগান দেয় এবং সফলতায় গৌরববোধ করেন, এমন জাতির উদাহরন পাওয়া যাবে কী ? তিন) পাকিস্তান কিংবা ভারত কিংবা অন্য যে কোন রাষ্ট্রের একজন নাগরিককে দেখাতে পারবেন কী- অন্য রাষ্ট্রের পতাকা মুখে এঁকে, ঐ দেশের জার্সি গায়ে দিয়ে এবং পতাকা হাতে নিয়ে নাচা-নাচী করে সমর্থন দিতে ? নিশ্চয় স্বীকার করবেন, এ রকম একটি উদাহরনও খুঁজে পাওয়া যাবে না ।
তাহলে আমরা যারা ভীন দেশী দলকে সমর্থনের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে বলি খেলার মধ্যে রাজনীতি আনাটা ঠিক নয়, তাদের কাছে জানতে ইচ্ছে করে রাজনীতি কোথায় নেই ? রাজনীতি সর্বত্রই আছে, খেলার মধ্যেও আছে । যিনি বলেন রাজনীতি আনা ঠিক নয় -স্বজ্ঞানে অজ্ঞানে উনিও কমবেশী রাজনীতি করেন । ক্রিকেটে দল হিসেবে বাংলাদেশের দলটি বর্তমানে ভারত কিংবা পাকিস্তানের চাইতে ভালো খেলুড়ে দলে পরিণত হয়নি, তাই বলে বাংলাদেশ-ভারত বা বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে খেলার সময় আমরা ভালো দল হিসেবে ভারত বা পাকিস্তানকে সমর্থন করি ! নিশ্চয়, তা কিন্তু করিনা । কারন আমার দেশ, আমার পতাকা, আমার রক্তার্জিত স্বাধীন রাজনৈতিক ভূখন্ড বাংলাদেশের সন্মান মর্যাদা সকল প্রকার ভালো-খারাপের উর্ধ্বে । আর এই চেতনাবোধই হচ্ছে রাজনীতি । আর এই রাজনৈতিক চেতনা ধারন করে আমরা ভারত পাকিস্তান সহ অন্য যেই কেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মার্তৃভূমি বাংলাদেশকে সমর্থন যোগাই ।
এছাড়া যারা বলেন-ভালো খেলুড়ে দলকে আমি সমর্থন করি, তাদের কাছে জিজ্ঞাস্য- খেলার সফলতা-ব্যর্থতার উপর ভিত্তি করে প্রতিনিয়ত ভালো খারাপ দলের র্যাংকিং পরিবর্তত হয় । আমরা কী র্যাংকিং এর সাথে সাথে দল পরিবর্তন করি ? তা কিন্তু করি না, তাহলে ভালো খেলুড়ে দলের যুক্তিটা শক্তিশালী যুক্তি নয়, এর মাঝে রাজনীতিও জড়িয়ে আছে । যে লোকটি ভারতীয় বা পাকিস্তানী দলকে সমর্থক করেন, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই করেন, দুই-একটি বিষয়ে ভারত বা অন্য দুই-একটি বিষয়ে পাকিস্তান সমর্থন করেন, তা নয় । দেখা যাবে, আমরা সেই ভীন দেশীয় দলটিকে বেশী পছন্দ করি যে দেশটির সাথে আমার ধর্ম সংস্কৃতি ও রাজনীতিগত বিশ্বাসের সম্পর্ক খুঁজে পাই ।
যাহোক, প্রশ্ন জাগতে পারে সাউথ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলকে সমর্থন নিয়ে আমাদের মধ্যে তর্কযুদ্ধের উত্তেজনা পরিলক্ষিত হয়না । অথচ ভারত-পাকিস্তান সমর্থন নিয়ে আমরা বাড়াবাড়ি রকমের তর্কযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ি । সাউথ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ডের মত দলগুলি নিয়ে তর্কযুদ্ধ বা পাল্টাপাল্টি আক্রমন না করার কারনটাও রাজনৈতিক । এই রাষ্ট্রগুলি যদি আমাদের সীমান্তর্তী হতো বা এদের মধ্যে আমেরিকার মত আধিপত্যবাদী রাজনীতি থাকতো বা আমাদের দেশীয় রাজনীতিতে ওদের প্রভাব থাকতো, ঠিকই আমরা পক্ষে-বিপক্ষে মাতম তুলতাম ।
ক্ষোভ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে- আমাদের পক্ষ থাকতে আমরা কেন ভীনদেশীদের পক্ষে মাতম তুলছি, এতে যে আমাদের জাতীয়তাবোধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সে খবরইবা কজনে রাখছি । ন্যাক্কারজনক এই পরগাছা মানুষিকতার চর্চা পরিহার না করলে আমাদের জাতীয়তাবোধ খর্ব হবে এবং বিকলাঙ্গ জাতিতে পরিণত হব । তাই ভূ-রাজনৈতিক বলয়ে অন্তর্ভূক্ত ভীনদেশী জাতীয় দলের সমর্থক সেজে অতিশয় বাড়াবাড়ি বন্ধে গন সচেতনতা তৈরী এখন সময়ের দাবী ।
খেলা-ধূলার সফলতা যেহেতু একটি দেশকে বিশ্ব দরবারে অল্প সময়ে ব্যাপক পরিচিতি দান করে এবং দেশটি সন্মান-মর্যাদায় উচ্চতর আসনে সমাশীন করে । পাশা পাশি ঐ দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও জীবন ধারার প্রতি বিশ্ববাসীর বাড়তি আকর্ষন ও আগ্রহ তৈরী করে । সেহেতু আমাদের উচিত আমাদের খেলাকে নিয়েই থাকা এবং অন্যদের জার্সি পড়ে জাতীয় পতাকা নিয়ে নাচা-নাচী ও টাট্টু আঁকার লজ্জাস্কর অধ্যায়কে পরিহার করে আত্ম-মর্যাদা বোধ সম্পন্ন জাতীয়তাবাদী চেতনায় জাগ্রত হওয়া । হতে পারে আমার দেশ- এই মুহূর্তে দূর্বল দেশ, তবুও স্বপ্ন দেখি-এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ।
পাদটীকাঃ বাংলাদেশী তরুণ-তরুণীদের পাকিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচে পাকিস্তানী দলের সমর্থণ ও উৎসাহদানে পাকিস্তানী দলের জার্সি পড়ে, মুখে পাকিস্তানী পতাকার টাট্টু এঁকে এবং পতাকা হাতে নিয়ে সরব উপস্থিতি এবং পাকিস্তানের পরাজয়ে বাংলাদেশী তরুণীর কান্না দেখে খটকা লাগে, বিস্ময়াভূত হই, এই দৃশ্য দেখার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে । এই বিসদৃশ দৃশ্য দেখে ভেবেছিলাম ভারতীয় দলের সমর্থক বাংলাদেশী তরুণ-তরুণীরা হয়তঃ অনুরূপ কাজই করেন । তাই ভারতীয় দলের সমর্থকদের আমি সমান ভাবে সমালোচনা করেছি । পরবর্তীতে লিখার সাথে সামঞ্জস্য ছবি সংগ্রহে ইন্টারনেটে গুগলে চার্স করি । কিন্তু ভারতীয় দলের সমর্থক বাংলাদেশী তরুণ-তরুণীদের ভারতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এবং মুখে টাট্টু এঁকে মাঠে এসেছে এমন ছবি খুঁজে পাইনি, যা প্রশংসনীয় । তাই পাকিস্তানী দলের সমর্থক এবং ভারতীয় দলের সমর্থকদের এক পাল্লায় সমলোচনা জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি ।
এতসব পড়ে ভাববেন না-আমরা ক্ষয়ে যাচ্ছি, আশাবাদী হওয়ার কিছু অবশিষ্ট নেই আমাদের । বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে মুশফিকুর রহিম আফ্রিদির ক্যাচটি মিস্ করায় গ্যালারী জুড়ে নীরব বিষন্নতা নেমে আসে এবং দুজন তরুণী পরষ্পরকে জড়িয়ে ধরে হাউ-মাউ করে কেঁদে ওঠে, হয়তঃ ওদের কান্নায় অনেকে কেঁদেছেন । ওদের দেখে আশায় বুক বাঁধি, ওরা বাংলাদেশকে ভালবাসে এবং ধারন করে, ওরাই আমাদের ভবিষ্যত, আগামীর বাংলাদেশ -স্যালুট ওদের ।
বিষয়: রাজনীতি
৩৫২৮ বার পঠিত, ৬০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মুশফিকুর-এর এই মিস্ ক্যাচের দুঃখ কোনদিনও যাবেনা ভাই।
হারতে চাইনা,জিততে চাই-দোদন্ড প্রতাপে।
কম্পিউটারের সামনে বসে ছোট বড় ৭/৮ জন বাংলাদেশী বসে বাংলাদেশ - পাকিস্তানের খেলা দেখার সময় এক কিশোর পাকিস্তান জিতে যাওয়ায় খুশী মুখ দেখে ভীষন কষ্ট পেয়েছিলাম। সেই কষ্ট থেকে লিখাটি।
জানিনা,কবে আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি হবো।
আসুন,জাতিয়তাবোধের স্তর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখি। আমাদেরকে নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবনা বিকাশে অবদান রাখি।।
ছবিগুলান দেইখা তো তাই মনে হইতেছে ।
ভালো কালেকশন করছেন
ধন্যবাদ।
সত্যি কথা বলতে , বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মকে শেখানো হয় যে পাকিস্তান যুদ্ধ করেছে তাই শত্রু এবং ভারত সাহায্য করেছে তাই বন্ধু । এটা আমরা ৭১ পরবর্তী প্রজন্মরা শুনে আসছি এবং সত্য বলে মানছি ।
পাকিস্তানকে শুধু এই কারণে ঘৃনা করে দেশবাসী । আর কোন ব্যাপারে তারা পাকিস্তানকে ঘৃনা করে না । ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে তো ২য় পছন্দের দল হিসেবে বাংলাদেশের ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জনই পাকিস্তানকে সাপোর্ট করে । এটা বাস্তব ।
কারণ একটা তো অবশ্যই মুসলমান কান্ট্রি হিসেবে । আর বন্ধুদেশ ভারতকে সাপোর্ট না করে শত্রু দেশ পাকিস্তানকে এত সাপোর্ট করার কারণ হল - জন্মের পর থেকে ভারতকে বন্ধু হিসেবে জানলেও নতুন প্রজন্ম ভারতের কাছ থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী কোন উপকার তথা বন্ধুত্বের নিদর্শন দেখে নি বাংলাদেশের তরুন প্রজন্ম । বরণ্চ দেখেছে কিভাবে স্বাধীন হতে সহায়তা করেছে এই একটা কারণে বাংলাদেশ হতে সব কিছু নিয়ে যাচ্ছে তারা , বিনিময়ে কিছু দিচ্ছে না ।
ফলে সমর্থনটা রিভার্স হয়ে শত্রুদেশ পাকিস্তানের কাছে চলে গেছে।
ক্রিকেটে ম্যাক্সিমাম বাংলাদেশী ভারতের পরিবর্তে পাকিস্তানকে সাপোর্ট করায় আপনার পেরেশানী প্রমানিত ।
জানতে চাই টি২০ কনসার্ট নিয়ে আপনার কোন পেরেশানী আছে কি না ? বাচ্চু-সাবিনা তাদের পেরেশানীর কথা জানিয়েছেন ।
ধন্যবাদ।
তবে ছবিগুলো একতরফা হয়েছে। এরকম অন্যান্য দেশের ছবিওয়ালা মুখগুলো দেখালে পোস্টটি আরো মান সম্মত হতো।
ধন্যবাদ।।
তাই একতরফা হতে বাধ্য।
আপনি পেলে জুড়ে দিবেন প্লীজ।
ধন্যবাদ।।
ধন্যবাদ।
বাহিরের প্রদর্শনীকে সবাই মিলে নিরৎসাহীত করলে জাতিয়তাবোধ শক্ত মজবুত হবে।
ধন্যবাদ।।
আপনি নিচের দ্বিতীয় লিংকটি দেখুন এতে নীচের দিকে দুটি টিভি ভিডিও আছে। ধন্যবাদ।
কিন্তু ফ্যাক্টস কি এমন নয় যে - বাংলাদেশী কিংবা বাংগালী, এমন জাতীয় জাতীয়তাবোধ - মূলতঃ কৃত্রিম জাতীয়তাবোধ, যার সত্যিকার ব্যবহার মূলতঃ ব্যবসা বানিজ্যের স্বার্থ রক্ষা, মানুষকে শাসন ও শোষন করা এবং ক্ষেত্র বিশেষে ধান্ধা করা ও স্বার্থপরতার বীজ বপন করে মানুষকে নিয়ন্ত্রন করা।
গত পরশু যে ক্রিমিয়ার জনসাধারন ইউক্রেনের পাসপোর্ট ব্যবহার করতো আজ সে রাশিয়ার পাসপোর্ট ই শুধু নয় রাশিয়ার জাতীয় সংগীত গাইবে, ৪৭ এর আগে আমরা আমাদের দাদা কিংবা দাদার বাবা মা - কে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ উসকে দিয়েছিলাম, পাকিস্থানী জাতীয়তাবাদ উসকে দিয়েছিলাম আর ৭১ এ বাংলাদেশী। আমরা ৪৭ হতে ৭১ ২৪/২৫ বছরে তিনবার জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করেছি, লয়ালটি পরিবর্তন করেছি এবং কে জানে আগামী কয়েক বছরে হয়তো আবার ও করবো কিংবা দুটি ধারার জাতীয়তা অর্জন করবো।
স্বভাবতঃই আমি মনে করি আপনি আমি (যদি শাসক শ্রেনীর প্রতিভূ না হই) ঐ জাতীয় আর্টিফিশিয়াল জাতীয়তাবোধ এ জাগ্রত হয়ে বার বার ঠকছি, ঠকবো। তাই ভাল মনে করি সত্যিকার জাতীয়তাবোধ এর সন্ধান করে তার জন্য স্ট্রাগল করা অনেক ভাল।
আর একটি বিষয়, পরপর দুটি বিশ্বযুদ্ধ উপহার দেওয়া জার্মানী যার কারনে কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে - তার সাথে তার বিপক্ষ শক্তিসমূহ এই আংগিকে সম্পর্ক নির্নয় করেনা যে - তারা যুদ্ধ করেছিল। যে আমেরিকা বৃটেন এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছিল - সে আমেরিকা ও বৃটেনের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে কি ঐ যুদ্ধকে সামনে আনে?
কৃত্রিম জাতীয়তাবোধ সৃষ্টি হয় স্বার্থ কেন্দ্রিক আর তার সাকসেস ও ফেইলিওর ও নির্ধারন হয় কতটা স্বার্থ হাসিল হল আর না হল তার উপর, কে গালে সিম্বল লাগালো কিংবা অন্যের ভাষায় কথা বললো ওটা গৌন।
এ নিয়ে আমি একটা লিখা লিখেছিলাম - আপনার মতামত হয়তো আমার চিন্তাধারার দূর্বলতা দেখতে সহায়ক হবে।
ধন্যবাদ।
রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্র গঠনে ভ্রান্ত জাতিয়তাবাদের আশ্রয় নিলে কালক্রমে তা পরিবর্তিত হবেই।
আপনি পেলে তা দিয়ে সমৃদ্ধ করবেন।ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
রইলো।
উপরের দিকে আছে,দেখে নিবেন।
ধন্যবাদ।।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।।
আমার সম্পর্কে আপনার উচ্চ ধারনার ধন্যবাদ। আমার শিক্ষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি জ্ঞান সীমিত,
তবে সমাজ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আমাদের সবারই চেষ্টা করা উচিত।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
পাকিস্তান কিংবা ভারত কিংবা অন্য যে কোন রাষ্ট্রের একজন নাগরিককে দেখাতে পারবেন কী- অন্য রাষ্ট্রের পতাকা মুখে এঁকে, ঐ দেশের জার্সি গায়ে দিয়ে এবং পতাকা হাতে নিয়ে নাচা-নাচী করে সমর্থন দিতে ? নিশ্চয় স্বীকার করবেন, এ রকম একটি উদাহরনও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
Even you look at India, our next door, you can find lots of incident where indian Muslim support Pakistan but not India when India play against Pakistan!!
When I try to find out the reason I got the information below:
one: The teaching of Islam are base on universal brotherhoot.So they support each other.
Two: Islam reject any sort of Nationalism, tribalism, colour or lineage pride
Three: Game is game, many people do not want to take it as a political weapon, specially in western socity.
সম্প্রীতি,কাস্মিরের ৬৪ জন বহিঃস্কৃত ও শাস্তি প্রাপ্ত ছাত্রদের পাকিস্তান সমর্থনটা তাদের রাজনীতি ও আঞ্চলিক স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে সম্পর্কিত,যা সাধারন চিত্র নয় ।
যাহোক,একটি দেশের নাগরিক নিজ দেশের বাহিরে অন্য দেশকে সমর্থন কোন ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
আমার তথ্যকে সত্য নয় বলে যা বললেন,তার সত্যতা আপনার দূরবীন যন্ত্রে ধরা পড়লে সচিত্র ভাবে দেখিয়ে দিবেন প্লীজ।
ইসলাম যদি ইসলামকে টানতো, ঐক্য গড়ত এবং তা যৌক্তিক ও নৈতিক হতো নবী রাসুলদের সময়ে শাসন কেন্দ্রিক মুসলমানদের আলাদা আলাদা শাসন অঞ্চল অর্থাৎ রাষ্ট্র গড়ে ওঠতো না।
ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ মহি১১মাসুম আপনার মতামতের জন্য।
First of all i request you please do not mis understand me. because I just uphold the truth. secondly below I provide you some proof in favour of my comment from my experience and others sources. But again i request you please do not misunderstand me because with this information do not want to tell you that you told us lie rather i do believe the true information do not reach to you.
Some comment from net
Comment
The REAL Aryan H R1a answered 5 years ago
When Pakistan is winning (like this year) they support Pakistan...
when India is doing better...they support India
weird isn't it??
2 Comment
Natarajan S answered 5 years ago
Religion... The Pakistani fellows are completely Muslims whereas Indians have only less number of Muslims in the team..
[i]But I don't think that all Muslims support Pakistan[/i]
1 Comment
8thwonder back with a vengeance answered 5 years ago
you are wrong
not secretly openly
because we are brothers. be it paki or any one if he is Muslim our support is guaranteed for them be it cricket or war.
3 Comment
ninad k answered 5 years ago
no,i donot think as there are almost 40% of muslims in are team
2 Comment
SD answered 5 years ago
Secretly ? When they do, they do it openly ! Though now such cases are much reduced than earlier(possibly an impact of Zaheer, Kaif & Pathan bros). But obviously the 2nd(& possibly the only other, to most of them) team they support is Pakistan. Yes, it's called 'Islamic Brotherhood'.
5 Comment
blobe4539 answered 5 years ago
To be honest I don't give two hoots about who they support India or Pakistan...but what I do know is that the world doesn't revolve around Muslims.
3 Comment
Atheist answered 5 years ago
close minded secularists, who, unfortunately are majority in india, always support minorities, but minorities on the other hand only support muslim brother hood, not india.
What can any one say.....some Muslims are shameless and indian secularists are idio ts.
3 Comment
kalai answered 5 years ago
since Pakistan is a Muslim State, while India is not, and also, Pakistan playing cricket with India is a perceived war , which gives the crickets and supporters , of having waged a war and defeated or won against India.
আমার তথ্যকে সত্য নয় বলে যা বললেন,তার সত্যতা আপনার দূরবীন যন্ত্রে ধরা পড়লে সচিত্র ভাবে দেখিয়ে দিবেন প্লীজ।
From the information above, I think you can clearly understand, we do not need a দূরবীন যন্ত্র to proof this type of information Rather Internet is a good tool to discover that.
Secondly Me myself also live in overseas and lots of Indian Muslim people are my close friends and I know them very well and my experience with them also proved my information was true.
আপনি পাকিস্তানের মুসলমান ও ভারতের মুসলমানের মধ্যে ভাতৃত্ববোধকে তুলে এনেছেন এবং এনিয়ে হয়তঃ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। আপনি যদি দেখেন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার খেলায় বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশকে সমর্থন না করে হিন্দু রাষ্ট্র ভারতকে সমর্থন করছে,তখন আপনি আমি কি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব নাকী এনিয়ে সমালোচনা করব প্রশ্ন তুলব ওদের দেশপ্রেম ও নাগরিত্ব নিয়ে !
Brother this is totally wrong idea about Islam.First of all as a Muslim we should only follow the Quran and the sunnah of Last Messenger Prophet Mohammad().
Secondly as a Muslim we can't follow the others prophets(), their book(which reavel to them) and nor their way of life. Because their DEEN(way of life) are only for the particular people, place and time. Obviously not for us.
Thirdly: Final Messenger() theaches us(which I mention before)
one: The teaching of Islam are base on universal brotherhoot.So they support each other.
Two: Islam reject any sort of Nationalism, tribalism, colour or lineage pride
Three:KHALAFA
If you or anybody else understand the concept of KHALAFA they should definitely understand how wrong you your understanding of final messenger Deen(i.e. Islam is)
May Allah() give us knowledge to understand His Deen.Ameen
আমি যা বলতে চেয়েছি তা হচ্ছে ইসলামেও রাষ্ট্রের অধীন নাগরিকদের আইন-কানুন মানার নির্দেশনা আছে,এমনকি পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে বিনা অনুমতিতে প্রবেশকে অন্যায় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ইসলাম ধর্মের হলে আমি তার দ্বারা শাসিত বা প্রভাবিত হবো, এমনটা যৌক্তিক ও নৈতিক নয় বলতে চেয়েছি।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
যে কোন বিষয়ে সহমত ও দ্বিমত থাকতেই পারে,কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা যুক্তির চাইতে অশালীন ও ব্যক্তিগত আক্রমনে আনন্দ পাই এবং ঐসব নিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ি এবং এক ধরনের বিকৃত আনন্দ বা তৃপ্তি অনুভব করি,যা আমার ক্ষেত্রে আপনার মধ্যে পাইনি। এজন্য আপনার প্রতি আমার ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল।
অবশ্যই মতামত নিয়ে আপনার পোষ্টে হাজির হবো। ভালো থাকবেন।।
এমন কিছু ছবি থাকলে আপনার লেখাটা নিরপেক্ষ ধরা যেত। তবুও মন্দের ভাল হয়েছে লেখাটা।
অন্য যে কোন দেশের পতাকা নিয়ে বাড়াবাড়ি নিন্মরুচি ও দূর্বল জাতীতাবোধের বহিঃপ্রকাশ।
ধন্যবাদ।
যাই হওক যদি সত্যি সত্যি ভাদাকারদের হাতে ভারতিয় পাতাকাওয়ালা ছবি পেতে চান তাহলে কয়েকটি ভাদাকারের (হিন্দুদের) আইডি চেক করলেই পেয়ে যাবেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন