টকশোর উত্তেজনায় জয় বাংলা । আরাফাত বনাম আখতারুজ্জামান।
লিখেছেন লিখেছেন মহি১১মাসুম ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৫:২১:০০ সকাল
Click this link
জয় পরাজয়ে -জয় শব্দ ব্যবহারে আপত্তি নেই কারো, এছাড়াও বাংলা সাহিত্যের গদ্য-পদ্য, এমনকী আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে জয় সংযুক্ত অনেক শব্দমালাই আমরা ব্যবহার করি ।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে জয়বাংলা ধ্বনিত হতো সকল মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠে, যুদ্ধকালিন সময়ে জয়বাংলা স্লোগানটি সকল মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি মনোবল প্রেরনা সাহস ও ঐক্য সঞ্চারে টনিকের ন্যায় কাজ করত । মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গন থেকে শুরু করে পঁচাত্তর পর্যন্ত এই জয়বাংলা স্লোগানটি স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বজনীন স্লোগান ছিল ।
পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ভাবে জয়বাংলা শব্দটিকে কলুষিত বা নিগৃহীত বা অবধমিত করা হল, তাই এখন একাংশের মুক্তিযোদ্ধারাও শব্দটি ব্যবহারে উৎসাহী নয়, বলা যায় রীতিমত অনীহা প্রকাশেও কার্পণ্যবোধ করেন না । এটা ঠিক, স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বজনীন স্লোগান- জয়বাংলা শব্দটির ব্যবহারিক বিবর্তন নিয়ে গবেষনা করলে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত দেশ জাতির চেতনাগত স্খলনটাও নিশ্চিত ভাবেই বেরিয়ে আসবে ।
যাহোক আজকের জিটিভির টকশোর উত্তেজনাকর পরিস্থিতিটি যারা দেখেছেন, তাদের মধ্যে কেউ হয়তো আলোচক এ আরাফাত সাহেবকে আবার কেউ হয়তো আলোচক মুক্তিযোদ্ধা অবসর প্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান সাহেবকে সমর্থন করবেন । দুঃখজনক ভাবে আমি এই দুজনকেই অযৌক্তিক মনে হয়েছে, যদিও এ আরাফাত অনেক বিনয়ী শব্দের ব্যবহার করে যে বক্তব্যটি
(আরাফাতঃ - আমি সুস্পষ্টভাবে বিনয়ের সাথে, কাউকে হার্ট করার জন্য নয়, আমার বিশ্বাসের জায়গা থেকে বলি-আমি সুস্পষ্টভাবে মনে করি জয়বাংলাকে যারা আলিঙ্গন করতে পারেনা, কষ্ট হয় ভাবতে তারা মুক্তিযোদ্ধা ! - কেউ ব্যক্তিগতভাবে নিবেন না, আমি ক্ষমা চাচ্ছি যদি কারো কষ্ট লাগে ।)দিয়ে মূলতঃ মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান সাহেবকেই আঘাত করেছেন ।
এ আরাফাত সাহেব যেভাবে জয়বাংলা বললেন- জয়বাংলাকে যারা আলিঙ্গন করতে পারেনা, কষ্ট হয় ভাবতে তারা মুক্তিযোদ্ধা ! এই ভাবে বলাটা আমারও পছন্দ হয়নি, তবে যদি বলতেন-আপনি মুক্তিযুদ্ধের সময় যে জয়বাংলা স্লোগানে উজ্জীবিত হতেন, এখন সে একই স্লোগানে কেন অনীহা । তাহলে হয়তঃ ভালো উত্তর আসত এবং অসম্মানবোধ করতেন না ।
আবার অন্যদিকে, আরাফাত সাহেব যে ভাবে শেষাংশে বলেছেন-কেউ ব্যক্তিগতভাবে নিবেন না, আমি ক্ষমা চাচ্ছি যদি কারো কষ্ট লাগে । এরপর আখতারুজ্জামান সাহেব না ক্ষ্যাপে মুক্তিযোদ্ধা ও একজন প্রবীন আলোচক হিসেবে জয়বাংলাকে একাত্তরে আলিঙ্গন করলেও এখন কেন করেন না, অথবা এখন জয়বাংলাকে আলিঙ্গন করতে না পারায় মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি মুছে যাবার নয়,তার ব্যাখ্যা দিতে পারতেন ।
প্রিয় ব্লগার ভাইদের কাছে জানতে চাই-মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত সার্বজনীন জয়বাংলা স্লোগানটি কেন এখন একাংশের মুক্তিযোদ্ধারা ব্যবহার করেন এবং অন্য অংশের মুক্তিযোদ্ধারা জয়বাংলায় অনীহা দেখান ?
বিষয়: রাজনীতি
৩৮০০ বার পঠিত, ৬৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
থ্যান্কস ভাই।
শটই হবে
ধন্যবাদ।।
জিয়া - আখতারুজ্জামান- অলি - শওকত -ওসমানী এরা মুখে নয় , কাজে নেমে পড়েছেন । যাদের যুদ্ধের ফলেই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আর আরাফাতরা চেতনার ফেরী করে বেড়াচ্ছেন ।
দেশের সবাই যদি আরাফাতদের মত পালিয়ে গিয়ে শুধু অন্তরে চেতনা নিয়ে বিশাল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি হতে চাইতো তাহলে বাংলাদেশ আজও স্বাধীন হতে পারতো না ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা সরাসরি যুদ্ধে গেছে তাদের মধ্যে চেতনা এই আরাফাতদের চেয়ে বেশী ছিল বলেই জানের মায়া ত্যাগ করতে পেরেছে । আরাফাতরা তা পারে নি ।
এখন যে বড় বড় কথা উনারা আমাদের শোনান জাফর - আরাফাতরা , তখন কেন তারা যুদ্ধে যান নি ? তখন কোন চেতনা তাদেরকে সরাসরি যুদ্ধে আংশগ্রহন করা থেকে বিরত রেখেছিল ? যেখানে আখতারুজ্জামানরা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তাদের চেয়ে আরাফাতের মত '' দেওয়াল টপকে পালিয়ে যাওয়া বাচাল '' রা বড় মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেল ?
আজ যত গুলো সুশীল(!)কে চেতনা নিয়ে খুব বড় বড় কথা বলতে দেখা যায় তাদের কয়জন যুদ্ধের সময় সরাসরি মাঠে নেমেছিল ? তখন তো তাদের বয়স , সামর্থ্য ও সময় সবই ছিল , কিসের জন্য তারা তখন মাঠে নামেনি এখন যে খুব গলা ফাটাচ্ছে চেতনা নিয়ে?
যতদিন আরাফাতদের মত এসব আকাইম্যার ধাড়ি বাচালগুলো বাংলাদেশে আছে বাংলাদেশ এগুবে তো নাইই , প্রতি মুহূর্তে পিছিয়ে পড়বে ।
যুদ্ধকালিন সময়ে যোদ্ধা ও যুদ্ধের সংগঠক পরষ্পর সহায়ক শক্তি ছিল। এখন কেন বিতর্ক তুলছি ।
এরকম অকালপক্ক , বাচালকে সাপোর্ট করা কি কোন সুস্থ মস্তিস্কের লক্ষণ ?
ভারতের ভূমি যারা ব্যবহার করেছে প্রশিক্ষণের জন্য তারা দেশে ফিরে এসে যুদ্ধে যোগ দিয়েছে । তাজুদ্দিনের মত যারা ছিলেন তারা সংগঠনের কাজ করেছেন । এগুলো তো ঠিকই আছে ।
কিন্তু তখন এসব সংগঠক ছিল হাতে গোনা । যারা ৭১ এর আগে অনেক গরম গরম কথা বলে চেতনা জাগাতেন তারা ভারতে চলে গিয়ে এসবের কিছুই করেন নি ।
আরাফাতদের মত যারা বয়স থাকা সত্ত্বেও মাঠে নামে নি , কিন্তু এখন ধুমছে কথাবাজি করছে তাদের নিয়েই তো পোস্টের অবতারণা করেছেন । তাদের মুখে তো এই সব মুক্তিযুদ্ধের ছবক শুনতে মোটেই ভাল লাগে না । পালিয়ে যারা ছিল বা মিউচ্যুয়াল করে যারা সেফ থেকে ছিল তাদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন ছবক শুনতে আমি নারাজ ।
এসব ছবক শুনতে ভাল লাগবে তাদের কাছ থেকে যারা সন্মুখ সমরে লড়েছে । তারা যে চেতনা নিয়ে যুদ্ধ করেছে সেটাই আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা । যারা মানুষকে উদ্ভুত করতে পারলেও নিজেই কনফিউজড হয়ে গিয়েছিল - এরকম লোক কখনও ভাল কিছু করতে আসলেই সক্ষম না ।
জয় বাংলা স্লোগানটা আমার কখনই ভাল লাগে নি । আমরা তো বাংলা না , আমরা বাংলাদেশ , বাংলাদেশী । আমরা রক্ত দিয়ে ৫২ তে বাংলা ভাষাকে একেবারে নিজেদের করে নিয়েছি এবং ৭১ এ যুদ্ধ করে বাংলাদেশ আদায় করে নিয়েছি ।
পরাধীন থাকা কোন অংশকে আমাদের কৃতিত্বের ভাগ অন্তত আমি দিতে নারাজ ।
যাহোক আমার জিজ্ঞাস্য ছিল একাত্তরে সব মুক্তিযোদ্ধারাই জয়বাংলা স্লোগানে উজ্জীবিত হলেও এখন একাংশের মুক্তিযোদ্ধারা জয়বাংলা স্লোগানে অনীহার কারন কী ?
জয়বাংলা স্লোগানে আপনার অপছন্দ আপনার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু ঐতিহাসিক বাস্তবতা হচ্ছে জয়বাংলা স্লোগান একাত্তরে সব মুক্তিযোদ্ধাই ব্যবহার করেছেন এবং উজ্জীবিত হয়েছেন,ঐ সময়ে এই স্লোগানটি একমাত্র হানাদার ও রাজাকারদের গাত্রদাহ ঘটাত।
আমি আখতারুজজামান সাহেবের মুখেই অন্য টকশোতে শুনেছিলাম-জয়বাংলা স্লোগানে একাত্তরে ওনিসহ সব মুক্তিকামী জনতাই উজ্জীবিত হয়েছিলেন এবং যা পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ দলীয় স্লোগানে পরিনত করায় এখন অনেকে জয়বাংলা স্লোগানটি ব্যবহার করেন না।
ধন্যবাদ।।
ভাই হতভাগা, আমি আপনার সাথে এক মত,
জঙ্গি-আওয়ামীলীগের যারা নিজেরা মুক্তিযুদ্ধ করে নাই,তারাই আজ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ভুয়া গীত গায়,
(জঙ্গি-আওয়ামীলীগের যারা নিজেরা মুক্তিযুদ্ধ করে নাই,তারাই আজ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ভুয়া গীত গায়)-আপনার সাথে দ্বিমত পোষন করে বলছি-আপনার কথানুসারে আওয়ামীলীগের মধ্যে শুধুমাত্র জঙ্গী আওয়ামীলীগাররা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ভুয়া গীত গায়,তার অর্থ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী আওয়ামীলীগাররা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের গীত গায় না। তা ঠিক নয়,সব আওয়ামীলীগারই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের গীত গায়। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ফোরাম ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির গীতের কারনেই আজকে রাজাকাররা কেউ শ্রীঘরে আবার কেউ পরপারে। এদের গীতের সূত্রপাত হয় ৯২ সালে। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ফোরামের গীতকে কী বলবেন নাকী বলবেন ওনারা মুক্তিযুদ্ধ করেননি?
ধন্যবাদ।।
সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম যখন সিমলা চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার রদ করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল ? এখনকার ফোরামের নেতারা তখন কি জীবিত ছিলেন না?
'৯৬ এ যখন জামায়াতকে সাথে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আওয়ামী লীগ আন্দোলন করছিল তখন মুক্তিযুদ্ধের গীত কি আওয়ামী লীগাররা কিছু সময়ের জন্য গাওয়া বন্ধ করে রেখেছিল ?
আপনার দেয়া তথ্যটির(সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম যখন সিমলা চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার রদ করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল ?) সঠিকতা যাচাই করবেন প্লীজ,ইতিহাসের বিকৃত তথ্য সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ায়। আর সেক্টর কমান্ডার ফোরাম গঠিত হয়েছিল ৯২/৯৩ সালের দিকে,মূলতঃ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে।
বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকার যুদ্ধে মানবতা বিরোধীদের বিচারটি করছে,যা তারা নির্বাচনী ইস্তেহারেও আওয়ামীলীগ এনেছিল কিন্তু আন্দোলনের সূত্রপাত আওয়ামীলীগ করেনি,মূলতঃ নাগরিত্বহীন গোলাম আযমকে জামাতের আমীর ঘোষনায় বিক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবার বুদ্ধিজীবি সুশীল ও বামপন্থীদল গুলো জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করেন এবং আন্দোলনটি দানা বাঁধলে আওয়ামীলীগ ক্যাশ করেছে । আমার দৃষ্টিতে-৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ও জামাতের যুগপৎ আন্দোলনের সম্পর্কটি অনৈতিক এবং ঘৃণীত ।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আমি মনে করি আরাফতরা শিক্ষিত নামের কলঙ্ক এজন্যই যে, সামান্য বিষয়টিও তাদের বুঝে আসে না।
এটা পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে পরাজিত শক্তির অপকৌশলের প্রচারনা ।
যাহোক,একই ভাষায় কথা বললে সবাই এক হয়না,এক হলে মধ্যপ্রাচ্যে আরবী ল্যাংগুয়েজ ব্যবহারকারী সবাই এক দেশ হয়ে যেত। যুদ্ধে জয়বাংলা স্লোগানে পশ্চিম বাংলার স্বাধীনতা বুঝালে ভারত যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে দাড়াতো কী ?
ধর্ম ও ভাষাগত মিল থাকলেও আলাদা আলাদা জাতি রাষ্ট্র গড়ে ওঠে,এটাই ঐতিহাসিক সত্য।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ঠিক বলেছেন
ভারতের দালালেরাই জয় বাংলা বলে
ধন্যবাদ।
ভারতের দালালেরাই জয় বাংলা বলে
এটা পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে পরাজিত শক্তির অপকৌশলের প্রচারনা ।
যাহোক,একই ভাষায় কথা বললে সবাই এক হয়না,এক হলে মধ্যপ্রাচ্যে আরবী ল্যাংগুয়েজ ব্যবহারকারী সবাই এক দেশ হয়ে যেত। যুদ্ধে জয়বাংলা স্লোগানে পশ্চিম বাংলার স্বাধীনতা বুঝালে ভারত যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে দাড়াতো কী ?
ধর্ম ও ভাষাগত মিল থাকলেও আলাদা আলাদা জাতি রাষ্ট্র গড়ে ওঠে,এটাই ঐতিহাসিক সত্য।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ধন্যবাদ।।
যতদিন আরাফাতদের মত এসব আকাইম্যার ধাড়ি বাচালগুলো বাংলাদেশে আছে বাংলাদেশ এগুবে তো নাইই , প্রতি মুহূর্তে পিছিয়ে পড়বে ।
ধন্যবাদ।
আপনার সাথে মূল অবস্থানে আমার ভীন্নতা থাকলেও আপনার বক্তব্যটিকে সঠিক এবং নৈতিক মনে করছি । একাত্তর, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার অহংকারের সাথে জয়বাংলা জড়িয়ে আছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত জয়বাংলাকে সরাতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বা বুদ্ধিভিত্তিক অপকৌশল গ্রহন করে কোন একপক্ষের সাময়িক লাভ হলেও তা স্থায়ী হয় না।
যুদ্ধের অর্জনকে মুছে দিতে হলে আরেকটি যুদ্ধই শ্রেয় এবং নৈতিক। আর তা না পারলে মেনে নেয়াই উচিত।।
যারা "জয় বাংলা" বলে আর যাই হোক বর্তমানে পরিপ্রেক্ষিতে তারা মুসলমান হতে পারে না
মুক্তিযোদ্ধা ও জয়বাংলাকে ওরা আপনার মত একই ভাষায় আক্রমন করেছিল। অহেতুক কথায় কথায় ধর্মের দোহাই দিয়ে আক্রমনকারীরা ধর্মে ও রাষ্ট্রে কখনও সফল হয়নি।।
ভালো থাকবেন । ধন্যবাদ।।
ধন্যবাদ।
অন্য অপবাদ দিন।
ধন্যবাদ।
ভাই সঠিক ইতিহাস তো বিকৃত করেছে এই সব ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ,
আসলে এটা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নয় এরা আসলে বাংলার ঘাতক, ভারতের দালাল কমিটি,
এদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করে জঙ্গিবাদের উত্থান ,
সভাপতি = মুরগী—শাহারিয়ার (রাজাকার), ৭১ এ পাকিস্তানিদের মুরগী সাপ্লাই দিয়া যে অর্থ আয় করে,
মুন্তাসির (মুত ছেরছের মামুন ) = গেজেট ভুক্ত রাজাকার পরিবার,
এরাই যদি হয় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি, তবে ভ্রাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হয় ,
বঙ্গবীর—কাদের সিদ্দিকী ঠিকই বলেছিল, আমি যদি রাজাকার হই তবে, শেখ মুজিব রাজাকারের লিডার ।
ধন্যবাদ।
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1663/bibek/38287#128670
ধন্যবাদ।।
জিয়াউর রহমান আওয়ামীলীগের সব অর্জনকে ধূলিস্যাত করার নিমিত্তে রাষ্ট্র ও রাজনীতি গড়ে তুলেন আর এর প্রেক্ষাপটে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল- জামাত ও মুসলিম লীগের মত দলগুলো রাজনীতিতে ফিরে আসে।
মূলতঃ মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান নিজেও যে জয়বাংলা স্লোগান দিয়েছিলেন,সেই স্লোগানকে কবর দেন। আপনি রাজনীতি বুঝলে জিয়াউর রহমানের এই কর্মটি বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়।
তবে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ পাক হানাদার ও এদেশীয় দোসরগনের গাত্রদাহ তখনও হতো এখন হয়।
ধন্যবাদ।।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধোত্তর স্বাধীন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল(মুক্তিযুদ্ধের/স্বাধীনতার বিরুদ্ধ শক্তি) জামাত মুসলিম লীগ নেজামী ইসলামকেও ফিরিয়ে আনেন বাকশালে নিষিদ্ধ দল গুলোর সাথে একই মোড়কে, এর উদ্দেশ্যটা আপনি যৌক্তিক মনে করবেন কী?
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।।
মন্তব্য করতে লগইন করুন