জামাতে ইসলামী কী তাদের কৌশলগত দূর্বলতার শিকার, নাকী---!!!
লিখেছেন লিখেছেন মহি১১মাসুম ২৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:৪০:৩৩ বিকাল
জামাতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মওদূদী সাহেবের দেশ পাকিস্তানেও জামাতের উত্থান বা বিকাশ এতোটা ঘটেনি, যতোটা হয়েছে বাংলাদেশে । উল্লেখ্য, রাষ্ট্র জন্মের সময়কালে বিরোধীতা করে নিষিদ্ধ হয়ে ১৯৭৭ এ পুনরায় রাজনীতি করার অধীকার ফিরে পেয়ে এই অল্প সময়কালে যাদের হাত ধরে সংগঠনটির বিকাশ ঘটে তাদের অন্যতম হচ্ছেন প্রজ্ঞাবান দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ক্যারিশম্যাটিক সংগঠক অধ্যাপক গোলাম আযম, আব্বাস আলী খান,নিজামীসহ অন্যরা । গোলাম আযম থিংকট্যাংক হিসেবে জামাতের রাজনীতিতে অদ্বিতীয় । উনার নেতৃত্বেই জামাত একটি ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী ভীত পেয়েছিল । অন্যদের অস্বীকার করছিনা, সবার সম্মিলিত প্রয়াস ছাড়া এতোটুকু সফলতা আসতো না । মূল নেতৃত্ব হিসেবে অধ্যাপক গোলাম আযমই জামাতের বিকাশের রুপকার, তা হয়তঃ আপনিও অস্বীকার করবেন না ।
জামাত স্বাধীনতার বিরোধী করায় স্বাধীনতার পর স্বাভাবিক ভাবেই নিষিদ্ধ করা হয় । বিশ্বের কোথাও স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারনকারী দল ঐ দেশে স্বনামে রাজনীতি করার অধীকার পায়নি । যেভাবেই হোক জামাত স্বাধীনতার বিরোধীতাকারীদল হিসেবে নিষিদ্ধ দল হয়েও ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বদৌলতে আবারো রাজনীতি করার অধীকার ফিরে পায় । দেশের স্বাধীনতানার বিরোধীতার কারনে নাগরিত্ব বাতিল হওয়া গোলাম আযম মায়ের অসুস্থ্যতার অজুহাতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমল ১৯৭৮ সালে পাকিস্তানী পার্সপোটে দেশে ফিরেন । গোলাম আযম ৭৮ থেকে ৯৪ পর্যন্ত আইনী দৃষ্টিতে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে থাকেন এবং ৭৭ থেকে ৯২ সালের পূর্ব সময়ে ভারপ্রাপ্ত আমীর হিসেবে আব্বাস আলী খান হলেও পর্দার অন্তরালে প্রকৃত আমীর গোলাম আযমই ছিলেন । মূলতঃ নাগরিত্ব বিহীন গোলাম আযমকে দেশের একটি সংবিধিবদ্ধ রাজনৈতিক দলের আমীর বানানো রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করার সামিল, তাই জামাত ৯২ সালের পূর্বে এই সাহস করেননি, ৯২ সালে নাগরিত্ব বিহীন অবস্থায় অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমীর ঘোষনা করেন । কারন ঐ ৯১ সালের বিএনপির সরকারটি মূলতঃ জামাতের সমর্থন নিয়েই গঠিত হয়েছিল ।
যাহোক, আমি বরাবরই জামাতের রাজনীতির ঘোর বিরোধীতাকারী,জামাতের কোন ধরনের সফলতা আমি কামনা করিনা, ইতিপূর্বে আমার লিখনীতে তা স্পষ্ট । আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নিয়েই জামাতের কতিপয় কৌশলগত দূর্বলতা তুলে ধরব । যার সাথে আপনার দ্বিমত থাকতেই পারে ।
আমরা সবাই জানি, আওয়ামীলীগ বিএনপি জাতীয় পার্টি পরিবারের বন্ধনীযুক্ত আর জামাত নেতৃত্ব নির্ধারনে যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করে এবং সুদূর প্রসারী দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যে রাজনীতিটা করেন অর্থাৎ ব্যক্তির প্রয়োজন নয় দলের প্রয়োজনে দলের নেতৃত্ব ও মন্ত্রীত্ব নির্ধারিত । কোন নেতা তার জীবদ্দশায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী হতেই হবে তার চর্চা জামাতে হওয়ার কথা নয় ।
জামাত যে কাজগুলো করলে দল ও দলের নেতা-কর্মীরা এতোটা সংকটে পরতেন না ।
এক) রাজনীতি করার অধীকার পাওয়ার পর ছাত্রসংঘ যেমনি শিবির নামধারন করেছে, জামাতও নাম পরিবর্তন করতে পারতেন । এতে রাজনীতিটা সহজ হত এবং যারা ৭১ এ নেগেটিভ রোল প্লে করেছেন অর্থাৎ স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছেন ওনারা সরাসরি নেতৃত্ব না নিয়ে পাশে থেকে দলকে চালাতে পারতেন এবং সামনে আনা উচিত ছিল ফ্রেশ ইমেজধারীদের ।
দুই) অধ্যাপক গোলাম আযমকে নাগরিত্বহীন অবস্থায় আমীর ঘোষনা কোন ভাবেই ঠিক হয়নি । খেয়াল করুন, গোলাম আযমের আমীর ঘোষনার পর বিক্ষুব্ধ নাগরিকরা (মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ) জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির মাধ্যমে আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান, তারই ধারাবাহিকতা বর্তমান রূপ ট্রাইব্যুনাল বিচার ইত্যাদি ইত্যাদি । গোলাম আযমকে প্রকাশ্যে আমীর ঘোষনা না করলে আজকের বাস্তবতা এইভাবে ঘটতো কিনা, আমি সন্দিহান ।
তিন) বিএনপি সম্পর্কে গোলাম আযম ও জামাত নেতৃত্বের ধারনাগত ত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা । অধ্যাপক গোলাম আযম এ্যারেষ্ট হওয়ার পূর্বের ভিডিও ক্লিপগুলো দেখবেন, উনার ভাবনায় ছিল বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ থাকলে আওয়ামীলীগ জামাতকে এতোটা চাপে ফেলতে পারবেন না, তাই উনি প্রত্যেকটি সাক্ষাতকারে বলার চেষ্টা করেছেন-জামাত বিএনপির ভোটের হিসাবই আওয়ামীলীগ সরকারের গাত্রদাহের কারন । অর্থাৎ উনি বিএনপিকে পাশে চেয়েছেন কিন্তু বাস্তবে কতোটা পেয়েছেন, তা মাঠের কর্মীরা ভালো জানেন । আমার বিবেচনায় জামাত বিএনপিকে সাথে নিয়েও যা, ছাড়লেও তা । তাই ছেড়ে দেয়াই উচিত ছিল,তাহলে আওয়ামীলীগ এতোটা আগ্রাসী হতো কিনা, আমি সন্দিহান ।
তাছাড়া তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে যেমনি সংসদে ও সংসদের বাহিরে আওয়ামীলীগের সাথে জামাত যুগপৎ আন্দোলন করেছে,তেমনি আরো কিছু ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলনে আওয়ামীলীগকে ব্যবহার করলে আওয়ামী নেতা-কর্মীদের ম্যোরালিটির স্তর দূর্বল হতো । এতে আওয়ামী রাজনীতিও প্রশ্নবিদ্য হতো । যা জামাতের রাজনীতিকে পরোক্ষভাবে গ্রহনযোগ্যতা দান করতো ।
তাছাড়া ৭১ এ জামাত যে ভূমিকা নিয়েছিল, তা তাদের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক ভুল বলে স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করলে এবং পৈচাশিক বর্বরতার জন্য পাক হানাদার ও পশ্চিম পাকিস্তানী নেতাদের উপর চাপিয়ে নিজেদের হালকা করতে পারতেন ।
আমার যুক্তির সাথে আপনার দ্বিমত থাকতেই পারে, তবে তা যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করবেন প্লীজ ।
বিষয়: রাজনীতি
২৪৭৬ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জামাতের মধ্যেও ঘুরে ফিরে বুড়োরাই নেতা।
গেরিলা আপনাকে ধন্যবাদ।
াআপনার লেখার ষেশের পারার ব্যপারে জবাব দেওয়ার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু কী বোর্ড়ের সম্যসা হচ্ছে লেখতে পারছিনা
যাযাকাল্লাহ খায়ের
কোন দল দাত মুখ বা জিহব্বা তা টিকে থেকেই প্রমান করতে হবে।
ধন্যবাদ পরবর্তীতেও আপনাকে পাশে পাওয়ার প্রত্যাশা রাখছি।
যে হুজুরেরা রাজনিতির দারে কাছে ছিল না তাদেরকে কেন রাত্রের আঁন্ধারে গন হত্যা করা হলো?
রাজনীতি বিজ্ঞান কে বুঝার জন্য আমাদেরকে প্ররিশ্রম করে একটু গভিরে যেতে হবে, এটা আন্চলিক নয় আন্তর্জাতিক বিষয়, মাসুম খলিলী লিখেছেন "হান্টিংটনের সভ্যতার দ্বন্দ্ব তত্ত্বটি এ ধরনের একটি পরিস্থিতি সৃষ্টির তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়ে থাকতে পারে। "
"বাংলাদেশে ইসলামিক শক্তির বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে, তার সাথে মিসরীয় দমনাভিযানের অদ্ভুত মিল রয়েছে। এতে বোঝা যায় যে, ইসলামিক শক্তির বিরুদ্ধে এখন যে অভিযান চলছে, তা মূলত একই সূত্রে গাঁথা এবং একই পরিকল্পনার অংশ। এ ব্যাপারে যেখানে যে ইস্যুকে ব্যবহার করার প্রয়োজন মনে করা হয়, সেটিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। "বলার অপেক্ষা রাখে না, আজ মুসলিম বিশ্বে যা চালানো হচ্ছে, তার তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে সভ্যতার দ্বন্দ্ব তত্ত্ব। "মুসলিম দেশ ও ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এ অভিযানের মূল কারণ হলো ইসলামিক সভ্যতার মূল চেতনা ও আদর্শকে দুর্বল করা। ধর্মীয় আদর্শগত ভিত্তিহীন মুসলিম জীবনাচরণের সাথে পাশ্চাত্য আদর্শ বা মূল্যবোধের কোনো দ্বন্দ্ব মূলত নেই। সঙ্ঘাত ধর্মীয় বিশ্বাস উৎসারিত বলেই ইসলামিক ভাবধারাকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে। ইসলামি আদর্শের নির্মূলের কথা বলে এর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক শেকড় কেটে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। " বাংলাদেশে যা ঘটছে তার পেছনেও এক প্রতিবেশী দেশের সাথে সক্রিয় ছায়া দেখা যাচ্ছে সেই ইসরাইলের। "
লেখাটির লিংক দিলাম পুরাটা পড়ে দেখতে পারেন,ধন্যবাদ
Click this link
আপনি যা বললেন ক্ষমা চাইলেও আঃলীগ অন্য ঝাপি খুলতো। একমত পোষন করেই বলছি-
আপনি একাধীক ঝাপির মুখ খোলা রাখলে আপনার প্রতিপক্ষ প্রথমে বেশী সংবেদনশীল ঝাপি ধরে ঝাঁকাবে,তাই বলছিলাম আপনারা বর্তমানে যে ঝাপির কারনে চাপে পড়েছেন,অন্য ঝাপি হলে এতোটা চাপে রাখতে পারতো কী?
বাংলাদেশে সংবেদনশীল ঝাপির মুখটি খোলা থাকায় রাজনৈতিক সরকার আপনাদের চাপে রেখে ফাঁসিও দিচ্ছে কিন্তু অন্য দেশে কিন্তু সামরিক বাহিনী ঐ দেশগুলোতে দাঁড়াতে হয়েছে।
সবদেশে একভাবে হচ্ছে এটা অতিরিক্ত সরলীকরন।
দয়া করে বিশ্লেষন করে দেখবেন-ঝাপি গুলো ভিন্ন ভিন্ন এবং প্রতিপক্ষ বা দমনকারী পক্ষ বাংলাদেশের সাথে প্রাসঙ্গিক নয়।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
পাকিস্তানের পক্ষালম্বনটা জামাতের ঐতিহাসিক ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল। দ্বিমত থাকলে যৌক্তিকভাবে বুঝিয়ে দিন।
হারুন ভাই পাকিস্তানকে দেখুন,ওদের অবস্থা কী? আমরা স্বাধীন না হলে ভারত-পাকিস্তানের লড়াইয়ের কুরুক্ষেত্র হতো এই পূর্ব বাংলা(বাংলাদেশ)। এখন যা কাস্মির কেন্দ্রিক।
ধন্যবাদ।
সবাই একমত পোষন করবে-এমনটা কোন ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। আর একমতের ভালোবাসাও একপেশে,যাতে ভালোবাসার সৌন্দর্য্যও নাই।
ধন্যবাদ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে আদর্শিক বিরোধ আছে এবং থাকবে,এ থেকে যে আদর্শ জনগন মেনে নিবে,সে দলই প্রতিষ্ঠা পাবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।।
পড়লাম।
একলা চল নীতি জামাতকে আওয়ামীলীগের আক্রমন থেকে বাঁচাতে পারত।
ধন্যবাদ আপনাকে।।
-বিচার, নিষিদ্ধ -এসব পাকিস্তানীদের সাথে পাছে থেকে সহযোগীতার দায়ে। যার সাথে অর্থাৎ পাকিস্তান রক্ষার নামে যা হয়েছে তার সাথে আল্লার রিজিক আলো বাতাস বা অক্সিজেনের নূন্যতম সম্পর্ক নাই। আর ন্যায্যকথা বলেছেন-মুসলিমলীগকেও নিষিদ্ধ করা উচিত।
মুসলিমলীগ এখন বহুধাবিভক্ত,উল্লেখযোগ্য জীবিত রাজাকার অথবা মুসলীগ লীগ করছে একজনও খুঁজে পাবেন না। সবাই অন্যান্য দলে ঢুকে পড়েছে। বিএনপির জন্ম না হলেও বিএনপিতে অথবা আঃলীগে রাজাকার পাওয়া যাচ্ছে মুসলীমলীগ মাইক্রোস্কোপিক হওয়াতে।
ধন্যবাদ শেখ ভাই।।
জামাতের ও অন্যান্ন দরের তা বোঝা উচিত।
ইমরান ভাইকে ধন্যবাদ।
যার জন্য ৪৭ এ তারা ভারতের সাথে থাকতে চেয়েছিল, ভাগ চায়নি, একই রকম ৭১ এ ও তারা পাকিস্থানের সাথে থাকতে চেয়েছিল, ভাগ হতে চায়নি। আগামীতে যদি সিলেট কিংবা চিটাগাং কিংবা যমুনার ঐ পাড়ের বাংলা ভাগ হতে চায় - তারা তার ও বিরোধিতা করবে।
তার উপর তাদের যুক্তি হবার কথা ছিল, মুসলিম বিদ্বেষীরাই এক মুসলিম জাতিকে একের পর এক ভাগ করছিল যা ধর্মীয় ভাবে নিষিদ্ধ ছিল, জামাত ইসলামকে রাজনীতিতে লালন করে বলেই বিরোধীতা করেছে এবং আগামীতে ভাগ করতে গেলেও বিরোধীতা করবে।
আপনি জানেন কিনা জানিনা,না জানা থাকলে বিগত বিএনপি জামাত সরকার বা তারও আগের সংগ্রাম পত্রিকায় অবশ্যই পাবেন।
জামাত দলীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয় । একাত্তরে জামাতের স্ট্যান্ড ও এখন মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার ব্যাখাটি কী? জানাবেন প্লীজ।
ধন্যবাদ আপনাকে।।
আমি সিম্পলী আমার জাজমেন্ট টা আপনি অমন সুন্দর করে এ জাতীয় বিষয়ে লিখার কারনে শেয়ার করতে পারছি মাত্র।
আপনার প্রতিউত্তরের কারনে আবার শেয়ার করতে ইচ্ছা করছে,
১। সাধারন মানুষের চোখে ফেরাস্তার মত এমন কোন মানুষ যদি চুরিডাকাতি করতে গিয়ে কিংবা খুন খারাবি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ে, কিংবা ফেয়ার ট্রায়ালে দোষী সাব্যস্থ হয় - আমি কখনো ঐ ব্যক্তিকে তার ইতোপূর্বেকার ফেরাস্তা সুলভ পরিচিতি কিংবা আচরনের জন্য ছেড়ে দেবনা বা দেবার পক্ষে থাকতে পারবোনা।
ঠিক একইভাবে কোন মানুষ সাধারনের চোখে ৩০/৪০ বছর আগে খুনী ধর্ষক ছিল বলে প্রতিপন্ন হলেই - বিচার বিবেচনা যুক্তি প্রমান ছাড়াই তাকে খুনী ধর্ষক বলে ফাঁসী দিতে যাবনা কিংবা ফাঁসী দেবার পক্ষে থাকতে পারবোনা।
একাত্তরে জামাতের স্ট্যান্ড ও এখন মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার ব্যাখা নিয়ে আমার অতিরিক্ত মতামতটি এমন যে - সংগঠনটি উত্থাপিত কোন একটি ইস্যুতে নিজের ভাষাভাষি মুক্তিযোদ্ধাদের বিরোধীতা করেছে - সময়ের পরিক্রমায় বুঝতে পারছে - তাদের কাছে তারা আজকের অবস্থানের জন্য, আজকের স্বাধীনতার জন্য, আজকের সাফল্যের জন্য ঋনীও। এবং সে অনুভব হতে সংবর্ধনাও দিতে পারে। যেমন করে ইনডিভিজ্যুয়াল বাংগালী ও বাংলাদেশের পলিটিক্যাল দলগুলো একে অপরের সাথে কোন ইস্যুতে ঘোর বিরোধীতায় থেকে ও আন্দোলন সংগ্রাম করে গদীচ্যুত করেও আবার মিলে মিশে থাকতে পারে - ঠিক তেমনি জামাত ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে পারে, তাদের আত্মত্যাগের গল্প শুনে কাদতে পারে।
তার উপর জামাত যদি সত্যি তাই করে - তবে আমি বলবো তারা মহানবীর এই একটা সুন্নত পালন করছে - যেখানে শত্রুকে ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখে সহাবস্থান নিশ্চিত করেছে।
আমি ষুস্থ মাথায় সুন্দর চিন্তা ধারন করা কালীন এভাবে ভাবতে চাই - আগামীতে কোন একসময় যদি জামাত সুযোগ পায় তাদের মানুষদের ধরে নিয়ে যৌথবাহিনীর নামে খুন যারা করছে - তাদেরকে ও তারা মাপ করে দিক এবং তাদের সাথে মিলে মিশে থাকুক, যেমন করে মোহাম্মদ সঃ শিখিয়েছিলেন। ধন্যবাদ।
আওয়ামীলীগের কৌশলকে জামাত কৌশলের সাহার্য্যে মোকাবেলা না করে,যে পন্থায় এগুচ্ছে এতে দলের কর্মীদের অমূল্য জীবন যাচ্ছে।
এই জীবনদানে জামাত রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে তাও মানাত। জীবন যাচ্ছে জামাতের আর সফল হলেও রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে বিএনপি।
অবশ্যই সময় হলে মতামত বিনিময় হবে।।
মন্তব্য করতে লগইন করুন