কেন এক তরফা নির্বাচন ? কতদিন টিকবে ? এবং কীভাবে টিকার চেষ্টা করবে ? মতামত দিন ।।
লিখেছেন লিখেছেন মহি১১মাসুম ০৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৩৫:২১ রাত
[u]৫ জানুয়ারী নির্বাচনোত্তর আওয়ামীলীগ সরকারটি কতদিন টিকবে এবং কীভাবে টিকে থাকার চেষ্টা করবে । রাজনীতির গতি প্রকৃতি ও দলগুলোর শক্তি ও রাজনীতির কৌশলকে বিচার বিশ্লেষন করে আপনার দ্বিমত বা মতামত দিন ।
একজন রাজনীতি সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনার দূরদর্শীতাকে ঝাছাই বা শেয়ার করুনঃ
প্রশ্নঃ আওয়ামীলীগ কেন এক তরফা নির্বাচনী চ্যালেঞ্জে গিয়েছে ?
গনতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের ঐতিহ্যের অধিকারী গনভিত্তি সম্পন্ন এই দলটি বেশ কয়েকটি মিশন ও ভিশনকে টার্গেট করে ব্যাপক সমালোচিত অনেকটা একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের চ্যালেঞ্জ নিয়েছে, এই ধরনের নির্বাচনে যাওয়ার কারনগুলো হচ্ছে- এক) যুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার হাতে নিয়ে জামাতের সাথে সৃষ্টি হওয়া সহিংস বিরোধপূর্ণ অবস্থানের ঝুঁকি এড়ানো । দুই) বিএনপি-জামাত জোটগত অবস্থানে ক্ষমতায় আসলে আওয়ামীলীগ সারা দেশে প্রচন্ড চাপে পড়ার আশংকার ঝুঁকি এড়ানো। তিন) চারটি সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের ব্যাপক ভরাডুবি থেকে সৃষ্ট পরাজয়ের শংকা ।
এছাড়া আন্দোলনের মাঠে বিএনপির স্পষ্ট দূর্বলতা এবং সংলাপের ক্ষেত্রে বিএনপির কৌশলের ক্যারিশমার দূর্বলতা । তদুপরী সুশীলদের একাংশ ও বিএনপি নেতারা মিডিয়ায় বলেই যাচ্ছিলেন শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য যে কাউকে মেনে নিবেন, এহেন বক্তব্য শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগকে জেদী ও একগুয়ে পর্যায়ে নিয়ে আসে এবং বিএনপি বিহীন নির্বাচনে যেতে উৎসাহিত করে ।
এর প্রেক্ষিতে আপনার দ্বিমত অথবা মতামত কি ?
প্রশ্নঃ দশম জাতীয় সংসদ কত দিন টিকতে পারে এবং কীভাবে ?
আওয়ামীলীগ দশম জাতীয় সংসদের পুরো মেয়াদ থাকতে না পারলেও অন্ততঃ দুই/তিন বৎসর টিকে থাকার চেষ্টা করবে এবং এই সময় কালে যে কাজগুলি করার মাধ্যমে টিকে থাকার চেষ্টা করবে, তা হচ্ছে-এক) একাদশ সংসদ নির্বাচনে সবার অংশ গ্রহন নিশ্চিত করতে বিদেশীদের তত্ত্বাবধানে বিএনপির সাথে ম্যারাথন সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার কৌশল গ্রহন । দুই) জামাত-শিবিরকে সরকারী শক্তি ও দলীয় শক্তি ব্যবহার করে কোনঠাসা পর্যায়ে এনে রাজপথের আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার কৌশল গ্রহন । তিন) দশম সংসদীয় সরকারে বিভিন্ন এ্যাংগেলের ব্যাক্তিত্বকে মন্ত্রীত্ব দিয়ে জাতীয় সরকারের আবহ তৈরী করার কৌশল গ্রহন । চার) যুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করন এবং জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধকরন এবং বিএনপির সাথে জামাতের দূরত্ব তৈরী করার মাধ্যমে-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রত্যাশীদের জনমত অর্জনের কৌশল গ্রহন । পাঁচ) জামাতের বর্তমান ও অতীতের সমস্ত সহিংসতার ভিডিও চিত্র ও তথ্যাবলীকে জঙ্গীবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং শক্তিধর উন্নত বিশ্বের নজরে এনে সরকারের স্বীকৃতি ও গ্রহনযোগ্যতা অর্জনের কৌশল গ্রহন । ছয়) উন্নত বিশ্বের মাধ্যমে চাপ তৈরী করে বিএনপিকে জামাত বিচ্ছেদে বাধ্য করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ঘটিত ট্রাইব্যুনালকে চালিয়ে নিবার অঙ্গীকার আদায় করার কৌশল গ্রহন ।
এর প্রেক্ষিতে আপনার দ্বিমত অথবা মতামত কি ?
বিষয়: রাজনীতি
৩১৭৪ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাকশাল,১৫ ফেব্রঃ,এরশাদ কেউ স্বেচ্ছায় ক্ষমতার মসনদ ছাড়েননি। কীভাবে ভাবলেন শেখ হাসিনা স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দিবেন।
তবে চোথাবাজ ভাইয়ের অনুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
আর সংসদটি তিন সাড়ে তিন বৎসরও টিকে যেতে পারে।।
আপনার মন্তব্যটি- সংসদটি তিন সাড়ে তিন বৎসরও টিকে যেতে পারে।।-যৌক্তিকতাটি জানার আগ্রহবোধ করছি।
বিরোধী দলই তা নিশ্চিত করাতে হবে। নচেৎ প্রশাসনের পা চাটা অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্যদানের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন সিকদার ভাই।।
আমাকে এতোটা অপছন্দ কেন সিকদার ভাই।।
এভাবে বললে কেউ কী সরে দাঁড়ায়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
কবি কী ফুলের জলসায়
নাকী বারুদের জলসায়!
ধন্যবাদ আপনাকে।।
আপাত দৃষ্টিতে বর্তমানে আওয়ামীদের সবাই শেখ হাসিনার অনুগত দেখাচ্ছে প্রকাশ্যে। এমনকি মন্ত্রী সভার অনেককে শেখ হাসিনার পা চুয়ে আনুগত্যে প্রকাশ করতে দেখেছে দেশবাসী। কিন্তু কথা হচ্ছে এসব সুযোগ সন্ধানী লুটেরারা কতক্ষণ পর্যন্ত বে-ঈমানীতে ইমানদারীর পরিচয় দিয়ে থাকবে? এরই মধ্যে তৃতীয় কোন পক্ষ ভেতরে ভেতরে কোন কাংখিত অঘঠন সফলভাবে ঘটিয়ে ফেলে তবে তা আগাম কোন সময়সূচী নির্ধারণ করে প্রকাশ্যে ঘোষণা নাও দিতে পারেন।
সুতরাং বলা যায় ভবিষ্যৎ সময়টা আমাদের দেশের করুণ পরিনতি রহস্যঘেরা অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে।
একমত আপনার সাথে- অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকেই যাচ্ছে রাষ্ট্র ও রাজনীতি।।
পড়েছি-আমার মন্তব্য দিয়েছি।
আপনার চিন্তাশীল বিশ্লেষনটি প্রশংসার দাবী রাখে।
কীভাবে ভোট দিব। অসাংবিধান কাজে কেন উৎসাহিত করছেন।
ধন্যবাদ।।
ধন্যবাদ আপনাকে।।
ধন্যবাদ।
কারন আঠারো দল মূলতঃ যা করছে তা হল - দেশের মধ্যে অবৈধ যে শক্তিগুলো এবং দেশের বাহিরের আগ্রাসী যে শক্তিগুলো - তাদের মধ্যে এক ধরনের 'আশা' জাগিয়ে রাখছে - ফলে তারা পূর্ন্যদ্যমে এ্যাকশানে নামছেনা। যেই আঠারো দল সরকারের কার্যক্রমের বিপরীতে প্রতিক্রিয়া দেখানো বন্ধ করবে - ঠিক তখন সরকারের সব অপকর্মের প্রতিশোধ নিতে অবৈধ শক্তি - আগ্রাসী শক্তির সাপোর্ট পাবে এবং সব কিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে দিবে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করিনা - এতটা চরিত্র হারিয়ে, এতটা জাত মান সন্মান খুইয়ে, এতটা অজাত কুজাতকে জন্ম দিয়ে, এতটা মানুষের জীবন যৌবন নিয়ে - শেখ হাসিনা ও তার মনিবেরা নিজে থেকে নিজেকে উইথড্র করে - এ্যাজ ইফ ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে যেতে পারবে। ধন্যবাদ সুন্দর বিষয়ে ক্রিয়েটিভ আলোচনা উপস্থাপনা করার জন্য।
আপনার সাথে একমত পোষন করে বলছি-বিএনপি আন্দোলন না করলেও বিদেশী শক্তি অর্থাৎ কূটনীতিকরা সরকারকে মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাধ্য করবে। কারন ওরা এই নির্বাচনের শতভাগ স্বীকৃতি দেননি। ওরাই বিএনপি ও সরকারকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করবে। বিএনপির উচিত হবে অতীত ভুলত্রুটিকে মূল্যায়নে নিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত ও গঠনমূলক সমালোচনাকে প্রাধান্য দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যতিক্রমধর্মী রুপরেখা তুলে ধরা।
বিএনপি দাবী করা তত্ত্বাবধায়কটি আলীগ জামাতের আবার এর পরিবর্তনে আলীগ সংবিধানে নতুন একটি রূপরেখা এনেছে। বিএনপির রাজনীতিতে গবেষণাধর্মী বা উদ্ভাবনীধর্মী ক্ষেত্র কোথায়!
যে নেতৃত্ব ডিপেন্ডেবল বলতে পারে পরগাছার মত - সে নেতৃত্ব উদ্ভাবনী হবে কি ভাবে?
যে মানুষের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ আছে - সে বিদেশীদের ইন্টারফেয়ার কে ভাল ভাবে নিচ্ছেনা। আর যে মানুষ দু নেত্রীর উপর বিরক্ত - সে চাইছে খালেদা অফ যাক - এবং তার পরিনতিতে ডেসপারেট কিছু হোক। আস্তে আস্তে একটা দেশকে ডুবতে দেখার চেয়ে - দ্রুত ডুবতে দেওয়া ভাল। এমন একটা বোধ অবচেতনে তৈরী হয়।
পরবর্তী প্রয়াসটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করব জামাতের কৌশলগত দূর্বলতা প্রসঙ্গে । যদিও জামাতের রাজনীতি সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন