মাওলানা আযাদের 'ফাঁসির রায়' ও জামায়াতের অবস্থান
লিখেছেন লিখেছেন ছোট্টন ২২ জানুয়ারি, ২০১৩, ০২:৫১:১৬ দুপুর
মাওলানা আযাদের 'ফাঁসির রায়' জামায়াতের 'প্রতিবাদ না করা' এসব নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে।জামায়াত মাওলানা আযাদের পক্ষে দাড়ায়নি এর প্রতীবাদে(?)ফেটে যাচ্ছে এমন এমন কিছু লোক , যারা এতদিন মাওলানার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে বেড়িয়েছেন।
মাওলানা আযাদের অনুপস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই আদালতে তাঁর পক্ষে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিলনা। কিছুলোক বাংলানিউজ২৪'এ প্রকাশিত 'ডঃ মাসুদ'র একটি বক্তব্য (মাওলানা আযাদ জামায়াতের কেউ নয়) নিয়ে সমালোচনা করছেন। এটা সর্বজন স্বীকৃত যে 'বাংলানিউজ২৪' জামায়াত শিবির সম্পর্কে সবসময়েই সত্য মিথ্যা মিশ্রিত খবর প্রচার করে।
এটা ঠিক যে মাওলানা আযাদ কৌশলগত বা যে কোন কারনেই হোকনা কেন জামায়াতের সাথে প্রকাশ্য কোন সম্পর্ক ছিলনা। কিন্তু তিনি জামায়াত শিবিরের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সাথে ঠিকই যুক্ত ছিলেন। ছাত্র শিবিরের প্রোগ্রাম সমূহে তিনি ছিলেন নিয়মিত অথিতি। চরমোনাই পীরের একটি বক্তব্যের ( জামায়াত কোন ইসলামী দল নয়) প্রতীবাদে মাওলানা আযাদের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন, যার অডিও রেকর্ড এখন বাজারে পাওয়া যায়।
মূলত মাওলানা আযাদের বিষয়টা গোড়া থেকেই রহস্যজনক। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জামায়াত নেতৃবৃন্দ সহ তাদের টার্গেট কৃত সকলকেই গোয়েন্দা নজরদারীতে রেখেছিল। এই কড়া নজরদারীর মধ্যে মাওলানা আযাদ পালিয়ে যাবেন এটা চিন্তা করাই বোকামি। তাঁর চেয়েও রহস্য জনক বিষয় তাঁর পরিবারের নীরবতা ও নিরুদ্বিগ্ন ভাব। এর কারণ হিসেবে কেউ কেউ বলেন প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা। কিন্তু তাদের এই যুক্তি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ একটি পরিবারের প্রধান হারিয়ে যাবেন বা সরকারের হাতে গুম হয়ে যাবেন তাঁর পরিবার সরকারের ভয়ে মুখ বন্ধ করে রাখবেন এটাও কি সম্ভব ! ।
বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে বুঝা যায়, মাওলানা আযাদের হারিয়ে যাওয়া, তাঁর পরিবারের নীরবতা, এর সবকিছুই হচ্ছে সরকার এবং মাওলানার পরিবারের সমজতার ভিত্তিতে । জামায়াতের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট নয় এমন কারো ব্যাপারে সরকার ইন্টারেস্টেড নয়। জামায়াত নেতৃবৃন্দের গ্রেপ্তারকে বৈধতা দেয়ার জন্য বিএনপির কিছু নেতাকে গ্রেপ্তার কারা হোলেও তাদের মামলা গুলোর কোন অগ্রগতি নেই, বিএনপি নেতা আব্দুল আলিমকে জামিন দিয়ে রেখেছে ট্রাইব্যুনাল। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর এত উল্টাপাল্টা আচারনের পরও তাঁর মামলার ধীরগতি কি প্রমান করে? অথচ নির্যাতনের অভিযোগে যে কজনকে এই পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর মধ্যে সাকা চৌধুরীই একমাত্র ব্যক্তি, যে সরাসরি নির্যাতনকারী হিসেবে স্বীকৃত।মাওলানা আযাদের উপর সরকারের নজর পড়ার একমাত্র কারণ, তাঁর সর্ব মহলে গ্রহণযোগ্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠা। তাকে লুকিয়ে সরকার তাঁর মুখ যেমন বন্ধ করতে পেরেছে একটি রায়ের জন্য পাগল হয়ে যাওয়া বামপন্থী মিডিয়া ও ঘাদানিক নেতাদেরকেও শান্ত করতে পেরেছে।
পূর্ব প্রকাশিত
বিষয়: বিবিধ
১১৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন