দয়া করে বোল্ড ও আন্ডালাইন করা অংশ পড়েন

লিখেছেন লিখেছেন গরমিল ১২ মার্চ, ২০১৩, ১১:৩৪:৩৮ সকাল

মিরাজ হত্যাকাণ্ড : ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব খতিয়ে দেখছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও গীতিকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ছোট ভাই মিরাজ উদ্দিন আহমেদ হত্যাকাণ্ডের দুই দিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনায় কোনো মামলাও দায়ের করা হয়নি থানায়।

তবে পুলিশ নিজ উদ্যোগে ঘটনার তদন্ত করছে। পুলিশ জানায়, একাধিক বিষয় মাথায় রেখে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। এর মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ব্যবসায়িক কোনো দ্বন্দ্ব আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসাথে হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে স্বজনদের বিভিন্ন সন্দেহগুলোও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মিরাজের পরিবারের দাবি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হোক। রাষ্ট্রীয়ভাবে এ খুনের মামলা দায়ের করার দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার।

এদিকে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের বাসায় রমনা থানার পক্ষ থেকে চারজন পুলিশকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে রমনা থানার ওসি বলেন, সুরকার ও গীতিকার বুলবুল যেহেতু তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত আছেন, তাই তার নিরাপত্তায় বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহতের ভাগ্নে মোহন সাংবাদিকদের জানান, তার মামা (মিরাজ) একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন। তার কোন শত্রু ছিল না। তিনি খুন হওয়ার পরে পরিবারের সদস্যরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। মিরাজ ছোটবেলা থেকে ধানমন্ডি এলাকায় বড় হয়েছেন। পরে তার বোনের বাসা পল্লবী এলাকায় থাকতেন। মিরাজের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে গঠনমুলক অবদান রেখেছে। তাছাড়া যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বড় ভাই সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এজন্য এ খুনের ঘটনায় রাষ্ট্রীয়ভাবে মামলা দায়ের করার দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, তার বড় মামা (আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল) ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ খুনের ঘটনার পর শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের কোনো আন্দোলনকারী বাসায় এসে সহনুভূতি প্রকাশ করেনি। এমনকি সরকারের কোনো উর্ধ্বতন ব্যক্তিও আসেনি। এতে মিরাজের পরিবার দুঃখ পেয়েছেন।

এ ব্যাপারে খিলতে থানার ওসি শামীম হোসেন জানান, মিরাজের খুনের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি এবং কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। রাষ্ট্রীয়ভাবে মামলা দায়ের করার জন্য পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে দাবি করেছে। গত রোববার রাতে ডিবি ও থানা পুলিশ বড়ভাই বুলবুলের বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার মিরাজের ব্যাপারে নানা তথ্য সংগ্রহ করেছে। নিহতের ব্যক্তিজীবন, ব্যবসা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া মিরাজের মোবাইল কললিষ্টও পরীক্ষা করা হচ্ছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। খুব শিগগিরই খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, গত শনিবার গভীর রাতে খিলেেতর কুড়িল বিশ্বরোডে ফাইওভারের নিচে রেললাইনের কাছ থেকে মিরাজ উদ্দিন আহমেদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার নাকে, ঠোঁটে ও বুকে জখমের চিহ্ন পায় পুলিশ। তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

বিষয়: বিবিধ

১০২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File