নয়া মোরল এসেছে বিএনপি কে নসিহত করতে !!!!

লিখেছেন লিখেছেন গরমিল ০৬ মার্চ, ২০১৩, ০২:৫২:৩০ দুপুর

ক্ষতি বিএনপিরই’

05 Mar, 2013

জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ নিলে বিএনপি নিজেই ডুববে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর সাম্প্রতিক তাণ্ডবের প্রেক্ষাপটে ভারতের এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই মত প্রকাশ করেন তিনি, যাকে সচরাচর রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায় না।

যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের তাণ্ডব শুরু হয়। সংঘাতে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি মারা গেছে।

যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে দেশব্যাপী গণজাগরণের মধ্যে সাঈদীর ফাঁসির রায় হয়।

শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে বিএনপির অবস্থান নিয়ে সজীব বলেন, “বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ‘নির্বাচনটি (ফলাফল) আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। কারণ জনমত বিএনপির বিপক্ষে যাচ্ছে।”

জামায়াতে ইসলামী শুরু থেকে শাহবাগ আন্দোলনের বিরোধী হলেও তাদের জোটসঙ্গী বিএনপির বিভিন্ন বক্তব্যে দোটানা অবস্থানের প্রকাশ ঘটে।

শুরুর দিকে বিএনপি শাহবাগের তরুণদের ‘সম্মান’ জানালেও সর্বশেষ গত ১ মার্চ খালেদা জিয়া এই আন্দোলনকে ‘উস্কানিমূলক’ ও ‘বেআইনি’ আখ্যায়িত করেন।

সজীব বলেন, “ভোটের হিসাবে জামায়াত খুব বড় দল নয়, গত নির্বাচনে তারা এক শতাংশের চেয়ে কম ভোট পেয়েছিল।

“প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে জামায়াতের প্রতি ঘৃণা রয়েছে। বিএনপি তাদের পক্ষ নিলে তাতে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করবে। এতে আমাদের ক্ষতি হবে না।”

সোমবার নেয়া ওই সাক্ষাৎকারটি ছিল শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে। তবে যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের পর জামায়াতের সহিংসতার বিষয়টিও আলোচনায় আসে।

সাম্প্রতিক সহিংসতায় অনেক মানুষ নিহত হওয়ায় দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেন, “আপনারা বাইরে থেকে যেমন দেখছেন, দেশের পরিস্থিতি তেমন অস্থিতিশীল নয়।

“জামায়াত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা সম্মিলিতভাবে গণহত্যা চালায় এবং বর্তমানে পুরো দেশ তাদের বিরুদ্ধে। তাই আমি মনে করি, এতে শাহবাগের আন্দোলনকারীরা ও সরকার বিচলিত নয়।”

শাহবাগের আন্দোলনকে সমর্থন করে শেখ হাসিনা ‘রাজনৈতিক ফায়দা’ নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে বিরোধী দলের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় সজীব বলেন, “আমরা এ থেকে সুবিধা নিতে চাইছি- বিষয়টি তেমন নয়।

“তারা যে দাবি তুলেছেন, আমরাও তা চাই। আমাদের একই লক্ষ্য, আমরা মুক্তিযুদ্ধের দল, আমাদের দলের নেতৃত্বেই স্বাধীনতা এসেছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করি।”

“তাই এ আন্দোলনে আমাদের মনোবল বেড়েছে। আমরা সুবিধা নিচ্ছি বিষয়টি সে রকম নয়, কঠোর পদক্ষেপ নিতে এই আন্দোলন আমাদের আত্মবিশ্বাসী করেছে। আমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি, আর দেশের মানুষ বিশেষত তরুণরা তাতেই পুরোপুরি সমর্থন জানাচ্ছে।”

যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচার প্রক্রিয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেন, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হচ্ছে।

“আমাদের সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটি ছিল, যুদ্ধাপরাধের বিচার করা। প্রকৃতপক্ষে সম্ভাব্য সবচেয়ে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর জন্য আমরা সময় নিয়েছিলাম।”

“যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ধীরগতিতে চলছে বলে গত চার বছর ধরে এই তরুণরা ও সাধারণ মানুষ আমাদের সমালোচনা করেছে। তাই বলা যায়, এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে।”

বিচারের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, পুরো বিচার প্রক্রিয়াই বাংলাদেশের গণমাধ্যমে উঠে আসছে। সবকিছুরই তথ্য রয়েছে। এখানে কোনো কিছুই গোপন নেই। সব তথ্য-প্রমাণও সংরক্ষিত রয়েছে।

উৎসঃ বিডিনিউজ২৪

বিষয়: বিবিধ

১০৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File