খবরের নানান রোপ

লিখেছেন লিখেছেন গরমিল ০৫ মার্চ, ২০১৩, ০৩:৩২:৩৩ দুপুর

শিবির ককটেল চার্জ করল ৫ তলায়, কত পাওয়ারফুল ককটেল ওরা বানাতে পারে!!!"

লিখেছেন লিখেছেন সান জোসেপ ০৪ মার্চ, ২০১৩, ০২:৫০:৫৫ দুপুর





রাজধানীর মতিঝিলে হরতাল চলাকালীন সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে নিজ বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা এক স্কুলছাত্র।

আহতের নাম জুনায়েদুল হক তন্ময় (১৩)। পিতা শাহীনুল হক। বাসার ঠিকানা ১২৪, দক্ষিণ কমলাপুর, মতিঝিল। সে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র।

তন্ময়ের মা নূরজাহান আক্তার বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সকাল ১১টার দিকে তার ছেলে বাসার পাঁচতলার বারান্দায় দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ এলাকায় পুলিশ ঢোকে ও বিকট দুটি শব্দ শোনা যায়। আওয়াজের পর পর তন্ময় চিৎকার দিয়ে ওঠে এবং তার মুখ, ডান হাত ও গলা থেকে রক্ত বের হতে থাকে।

মা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমানও তাদের সঙ্গে ঢামেকে আসেন।

জামায়াত-শিবিরের ছোঁড়া ককটেলে তন্ময় আহত হয়েছে বলে জানান এসআই।

Click this link

link গিয়ে পেলাম

বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা স্কুলছাত্র গুলিবিদ্ধ

মেডিকেল করেসপন্ডেন্ট

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম



ছবি: রুবেল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিলে হরতাল চলাকালীন সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে নিজ বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা এক স্কুলছাত্র।

আহতের নাম জুনায়েদুল হক তন্ময় (১৩)। পিতা শাহীনুল হক। বাসার ঠিকানা ১২৪, দক্ষিণ কমলাপুর, মতিঝিল। সে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র।

তন্ময়ের মা নূরজাহান আক্তার বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সকাল ১১টার দিকে তার ছেলে বাসার পাঁচতলার বারান্দায় দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ এলাকায় পুলিশ ঢোকে ও বিকট দুটি শব্দ শোনা যায়। আওয়াজের পর পর তন্ময় চিৎকার দিয়ে ওঠে এবং তার মুখ, ডান হাত ও গলা থেকে রক্ত বের হতে থাকে।

মা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমানও তাদের সঙ্গে ঢামেকে আসেন।

জামায়াত-শিবিরের ছোঁড়া ককটেলে তন্ময় আহত হয়েছে বলে জানান এসআই।

অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পুলিশের ছোঁড়া গুলিতেই সে আহত হয়েছে।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা হায়াতুজ্জামান মোবাইলে বাংলানিউজকে জানান, জামায়াত-শিবির বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করলে তারা ফাঁকা গুলি করেন। তবে তাদের গুলিতে নয়, ককটেলের আঘাতে তন্ময় আহত হয়েছে।

তন্ময়ের মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “ঘরের মধ্যেও নিরাপত্তা নেই, কোথায় যাবো আমরা?”

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৩

এজেডএস/ সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর

আর প্রথম আলো লিখেছে :

পুলিশের ছররা গুলি, আহত পাঁচতলায় থাকা স্কুলছাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৫-০৩-২০১৩



"

আহত স্কুলছাত্র জুনায়েদুল হক

রাজধানীর দক্ষিণ কমলাপুরে গতকাল সোমবার হরতাল-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের ছোড়া ফাঁকা ছররা গুলিতে বাড়ির পাঁচতলার বারান্দায় থাকা স্কুলছাত্র জুনায়েদুল হক ওরফে তন্ময় (১৩) আহত হয়েছে। সে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, জুনায়েদুল বেলা ১১টার দিকে পাঁচতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ বাড়ির সামনের গলিতে বিস্ফোরণের একটি শব্দ হয়। তখন গলির মুখে দায়িত্বরত কয়েকজন পুলিশ সদস্য গলিতে গিয়ে ফাঁকা ছররা গুলি ছোড়েন। এ সময় জুনায়েদুলের হাত, মুখ, গলায় ছররা গুলি বিদ্ধ হয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

দুপুরে বাসায় গিয়ে দেখা যায়, ঘরে খাটে বসে থাকা জুনায়েদুলের ডান হাত, মুখের বাঁ পাশ ও গলায় ছররা গুলির অসংখ্য দাগ। সে বলে, ‘বারান্দা থেকে দেখলাম, কয়েকটা ছেলে দৌড়াচ্ছে। কয়েকটা শব্দ শুনলাম। এরপর দেখি আমার হাত-মুখ জ্বালা করছে, রক্ত পড়ছে।’

জুনায়েদুলের বাবা ব্যবসায়ী শাহিনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি পত্রিকা পড়ছিলাম। হঠাৎ কয়েকটা শব্দ শুনি। কয়েক মিনিট পর চিৎকার শুনে বারান্দায় গিয়ে দেখি, জুনায়েদুলের মুখ, হাত ও গলা থেকে রক্ত ঝরছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হায়াতুজ্জামান মোল্লা জানান, ওই গলিতে জামায়াত-শিবির কর্মীরা দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। পুলিশ তাঁদের প্রতিহত করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তবে পুলিশের গুলিতেই ওই ছাত্র আহত হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থল থেকে দুটি হাতবোমাসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে, ককটেল বিস্ফোরণে ওই ছাত্র আহত হয়েছে। পাঁচতলায় কীভাবে ককটেলের স্প্লিন্টার গেল—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাব দেয়নি পুলিশ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন হরিদাস সাহা প্রতাপ বলেন, ‘জুনায়েদুলের হাত থেকে বেশ কয়েকটি স্প্লিন্টার বের করা হয়েছে। মুখে ও গলায় এখনো অনেক স্প্লিন্টার আছে। তবে এতে কোনো সমস্যা হবে না। সে সুস্থ আছে।’

বিষয়: বিবিধ

৯৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File