ইনাদের উপর আপনি ইমান এনেছেন কি?

লিখেছেন লিখেছেন সেলিম জাহাঙ্গীর ১৬ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:৫৮:২৪ বিকাল

১। সূরা বাক্বারাহ ২:১৩৬ আয়াতঃ

قُولُواْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ

অর্থঃ তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল,ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী।[/u

আমরা মনের অজান্তে অথবা ইচ্ছাকৃত ভাবে ইনাদের থেকে অনেক দূরে সরে গেছি। আমরা তাদের এখন মানিও না বা অনুসরন করি না। আমরা জানি আল্লাহ মুসা (আ) ও ঈশা (আ) এর উপর শরীয়ত দান করেছে সেগুলোও আমরা মানি না। কোরআন সেগুলোও মানতে বলেছে। ঠিক বাকারা সূরা ১৩৬ আয়াতের এই জায়গায় বলছে [u]“এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে তৎসমুদয়ের উপর ঈমান আনতে“


২। সূরা নিসা ৪:১৩৬ আয়াতঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيَ أَنزَلَ مِن قَبْلُ وَمَن يَكْفُرْ بِاللّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلاَلاً بَعِيدًا

অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সেসমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে।

আল্লাহ্ উপরের উল্লেখিত নবীগুলোকে অনুসরণ করতে বলেছেন, তাদের উপর ঈমান আনতে বলেছেন। এবং বলেছে তাদের সাথে যেন আমরা কোন পার্থক্য না করি। অথচ আমরা আজ নিজেরায় তাদের সাথে পার্থক্য করে বসে আছি!! ইসলামের আকিদা কি এই পার্থক্য করার কথা বলে?

বিষয়: বিবিধ

১৫৭৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

275094
১৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:২৭
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

কিন্তু উনাদের শরীয়ত বাতিল হয়ে গেছে মুহাম্মাদীয়া সংশোধনীর পর!

সুতরাং কেউ সেটা অনুসরণ করলে তা বাতিল!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ,
আল্লাহতায়ালা আপনাকে সুপথ ও সুমতি দান করুন, জাযাকাল্লাহ
275105
১৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:৫৮
সেলিম জাহাঙ্গীর লিখেছেন : আবু সাইফ,
আপনিকি দয়া করে বলবেন উনাদের শরীয়ত বাতিল যে হলো তা কোরআনের কোথায় লিখা আছে?
১। উনাদের শরীয়ত যদি বাতিল হয় তাহলে আমরা এখনো কেন লিংগের মাথা কেটে খাতনা নিচ্ছি? খাতনাতো উনাদের বিধান।
২। আমরা কেন কোরআন জুড়ে তাদের কথা‘ই পড়ছি?
৩। আমরা কেন তাদের প্রচলিত হাজ্জ্ব করছি?
৪। আমরা কেন কোরবাণী দিচ্ছি?

দয়া করে বলবেন। আমার জানা মতে কোরআনের সূরা বাকারা ২:১০৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলছেন যে,
مَا نَنسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِّنْهَا أَوْ مِثْلِهَا أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللّهَ عَلَىَ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থ: আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?

আল্লাহ্ কি কোন উত্তম আয়াত দিয়ে সব রহিত করেছে? যদি করে দয়া করে আমায় রেফারেন্স দিবেন।

275112
১৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:৪৮

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File