“কোরআন বিজ্ঞানময় গ্রন্থ একে গবেষনা করে ইসলামী বিজ্ঞানীরা কি কি আবিস্কার করেছে?“

লিখেছেন লিখেছেন সেলিম জাহাঙ্গীর ২৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৫:৪৫:৪২ বিকাল

আমার এমন লেখা দেখে কেউ মনে করবেন না। যে আমি ইসলাম ধর্মকে খাটো করার জন্য একথা গুলো বলছি। অথবা ভাববেন না আমি ইহুদী,খ্রীষ্টিয়ান। আমার কেবলী বলার আকুতি তথাকথিত ধর্মান্ধদের কথার বিরুদ্ধে। অনেকেই বলে থাকেন যে, এই কোরআনে সব আছে। এই কোরআন রিসার্চ করে আজ বিমান, রেল, পানির জাহাজ থেকে শুরু করে সবই নাকি করেছে বিধর্মীরা ! কোরআন বিজ্ঞানময় গ্রন্থ। একে গবেষনা করে ইসলামী বিজ্ঞানীরা কি কি আবিস্কার করেছে?

১। আমার কথা হচ্ছে বিধর্মীরা কোরআন কতটা গবেষনা করেছে?

২। যদি তারা গবেষনা করে সবকিছু আবিস্কার করে থাকে তাহলে তারা কোরআন কিতাবের উপর ইমান আনছে না কেন? কেনইবা বিশ্বাস করছে না ?

৩। কোরআন নিয়ে যারা বড় বড় বাক্য বলে, এই নিয়ে জিহাদ করে তারা গবেষনায় নিরব কেন?

৪। একজন মুসলমানের চেয়ে বিধর্মীরা কি সত্যি কোরআন বেশী বোঝে? যদি বেশী বোঝে তবে তাদের কাছে ইসলামের আলেমদের কোরআনের দিক্ষা নিতে লজ্জা কিশের?

বিষয়: বিবিধ

৪৬৯৯ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

257450
২৩ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৯
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : ঠিক এ কথাগুলোই আমি এ মূহুর্হে আবু জারীর ভাইয়ের পোষ্টে মন্তব্য করে আসলাম ।
২৩ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৩
201150
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : বাহার ভাই, এই ভদ্র লোকের উদ্দেশ্য কিন্তু অন্য কিছু...
২৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:২৯
201189
আবু সাইফ লিখেছেন : @ মোহাম্মদ লোকমান :
এভাবে না বলাই তো সুন্দর হতো-
সুন্নাত থেকে আমরা এমন শিক্ষাই পাই
২৫ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:১১
201800
আহমদ মুসা লিখেছেন : শেষ পর্যন্ত আমাদের মুহতারাম বাহার ভাইও আটকে গেলেন মতলববাজ বর্ণচোরাদের ফাদে!
257461
২৩ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : কোরআন বিজ্ঞানময় গ্রন্থ বলার অর্থ এই নয় যে, কোরআন বিজ্ঞানের কোন বই। এই কথার মূল অর্থই হল বিজ্ঞানের যত আবিষ্কার হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যত আবিষ্কার হবে তার কোনটার সাথে কোরআনের দাবী সাংঘার্ষিক হবেনা। বেদ, বাইবেল, ওল্ড টেষ্টামেন্ট থেকে শুরু করে সকল ধর্মীয় গ্রন্থেই বিজ্ঞানের সাথে সাংঘার্ষিক বক্তব্য আছে, যেটা কোরআনে নেই।

তারপরও কোরআনে বিজ্ঞানের কিছু উৎস ও বক্তব্য দেওয়া আছে। আর সে গুলো দেওয়া আছে মুসলমানদের বিশ্বাসের স্থানটিকে মজবুত করার জন্য। মানুষের জীবনের জন্য জরুরী। কোরআনে বিজ্ঞানের এমন বহু উদাহরন রয়েছে যা তখনও প্রমানিত হয়নি, তবে প্রমান না হলেও তখনকার মানুষ সেটা বিশ্বাস করেছে।

যেমন:
পৃথিবী গোল, মহাবিশ্বের সবই নিজের অক্ষপথে ঘুরছে, চন্দ্র ও সৌর বর্ষের পর্যায়, ব্যাথা ও যন্ত্রনা অনুভবের একমাত্র অঙ্গের নাম চামড়া, সকল কর্মী মৌমাচি গুলো একপ্রকার নারী মৌমাছি, শুক্রানো থেকেই সন্তানের উৎপত্তি। তালাক দেবার পরে তিন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা কেননা ভ্রন কার সেটা নির্ধারনে কমপক্ষে তিন মাস সময়ের প্রয়োজন। প্রাণের উৎপত্তি পানি থেকেই, মহাজগতের সৃষ্টি বায়বীয় পরিস্থিতি থেকে। সকল সৃষ্টির মূলে রয়েছে আলো.......... বহু বহু উদাহরণ দেওয়া যায়। যার কোনটার সাথে বিজ্ঞান দ্বিমত পোষণ করেনি।

উপরের এসব কথাগুলো আবিষ্কারের সাথে সম্পর্কিত নয়, তাই কেউ এগুলো দিয়ে ব্যবসা করে টাকা পয়সা কামিয়ে, সম্পদ অর্জন করে সেরা হয়ে দুনিয়াতে খ্যাতি পাবার জন্য ব্যবহৃত হবে আল্লার উদ্দেশ্য সেটা নয়!

এসব বলার মূল উদেশ্য হল স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির পরিচয় করিয়ে দেওয়া, যাতে মানুষ বিজ্ঞ হয়, জ্ঞানী হয়, চিন্তাশীল হয় কেননা আল্লাহকে চেনার জন্য জ্ঞানী ও চিন্তাশীল হওয়া লাগে। সে জন্যই কোরআনে বিজ্ঞানের কিছু দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে।

মুল কথা হল, মানুষকে সেরা হবার জন্য বিজ্ঞান যথেষ্ট নয়। তাই কোরআনে অর্থনীতির নির্দেশনা, সমাজের নির্দেশনা, রাষ্টের নমুনা, জাতীর পরিচয় এগুলো দেওয়া হয়েছে! কই মানুষ তো এগুলো নিয়ে ভাবেনা।

একদা মুসলমানেরা বিজ্ঞানের জ্ঞান দিয়ে দুনিয়াকে শত শত বছর নেতৃত্ব দিয়েছে। আলজেব্রার আবিস্কারক মুসলিম, অঙ্কের আবিষ্কারক মুসলিম, ত্রিকোণমিতি জ্যামিতির বহু সংজ্ঞার আবিষ্কারক মুসিলম, ইতিহাস, পৌরনীতি, পৌর কর, খাজনা নীতি, ভূগোলের মত বিষয়ের জন্মদাতা মুসলিম! এই সব কথাতো কোরআনে ছিলনা! তাহলে এরা এই সব পেয়েছিল কোথায়?

আসল কথা হল মুসলমানেরা জ্ঞান-বিজ্ঞান থেকে দূরে রয়েছে তাই এত সমস্যা। কিছু মুসলিম দেশ যখন জ্ঞানে-বিজ্ঞানে উন্নীত হতে চাচ্ছে তখনই অমুসলিম দেশ গুলো বিভিন্ন ছুতো নাথা ধরে তাদের আক্রমণ করছে, যাতে তারা দূর্বল হয়ে পড়ে। নতুবা আরব দেশের মত কোন কিছু সৃষ্টি করার পিছনে মন না দিয়ে যাতে গ্রাহক হয়ে বেচে থাকে। এটাই ইরান, পাকিস্থান, ইরাক, লিবিয়ার দোষ ছিল, আর তারা আক্রান্ত হচ্ছে।
২৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:০৬
201181
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : টিপু ভাইয়ের সাথে একমত । Good Luck
২৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:২৬
201187
আবু সাইফ লিখেছেন : মারহাবা! নজরুল ইসলাম টিপু ভাই এসেছেন
Thumbs Up Big Hug

আমার তো কিছু না বলাই ভালো ছিল মনে হয় :Thinking
২৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৪:১৮
201258
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : না টিপু ভাই, আপনার কথায় ঘাপলা আছে।

১। "এই কথার মূল অর্থই হল বিজ্ঞানের যত আবিষ্কার হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যত আবিষ্কার হবে তার কোনটার সাথে কোরআনের দাবী সাংঘার্ষিক হবেনা।"

তার মানে- ভবিষ্যতে আর কী কী আবিস্কার হবে তা আপনার জানা আছে। তা না হলে আপনি কেমন করে বুঝলেন সেটা কোরাণের সাথে সাংঘাষিক হবে কি হবে না? তো, আজ থেকে এক হাজার বছর পর আবিস্কার হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন একটা বস্তুর মান বলবেন কি যেটা কোরানের অনিকুলে যাবে? যাষ্ট একটা উদাহরন দিন তো, শুনি?

২। " বেদ, বাইবেল, ওল্ড টেষ্টামেন্ট থেকে শুরু করে সকল ধর্মীয় গ্রন্থেই বিজ্ঞানের সাথে সাংঘার্ষিক বক্তব্য আছে, যেটা কোরআনে নেই।"

তারমানে- বেদ, বাইবেল, ওল্ডটেষ্টমেন্ট,ত্রিপিটক........ সহ পৃথিবীর তাবত যত ধর্মগ্রন্থমালা আছে তার সবকিছুর উপর আপনি অসীম ওস্তাদ। ঠিক কিনা?

৩। "কোরআনে বিজ্ঞানের এমন বহু উদাহরন রয়েছে যা তখনও প্রমানিত হয়নি, তবে প্রমান না হলেও তখনকার মানুষ সেটা বিশ্বাস করেছে।"

তাহলে "পৃথিবী গোল" এই সাদামাটা কথাটা জনার জন্য কোর্পানিকাস, গ্যাল্যালিও পর্যন্ত আপেক্ষা করতে হবে কেন? তখন আপনার মত কোরাণ বিশেষজ্ঞরা কোথায় ছিলেন?
কোরাণের চন্দ্র, সৌর, আন্ডা, চামড়া/টামরা, মধুমাছি, বিয়ে, তালাক...... প্রসঙ্গে নাই গেলাম।


৪। "এসব বলার মূল উদেশ্য হল স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির পরিচয় করিয়ে দেওয়া, যাতে মানুষ বিজ্ঞ হয়, জ্ঞানী হয়, চিন্তাশীল হয় কেননা আল্লাহকে চেনার জন্য জ্ঞানী ও চিন্তাশীল হওয়া লাগে। সে জন্যই কোরআনে বিজ্ঞানের কিছু দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে।"

হয়তো ঠিক। এ বিষয়ে আপনার সাথে দ্বিমত করবো না। কোরাণ যেহেতু আল্লার কাছ থেকে নাজিল হওয়া অলৌকিক কিতাব, তো সেখানে জ্ঞান, চিন্তা, বিজ্ঞানের নির্দেশনা থাকতেই পারে। ধন্যবাদ।
কিন্তু এরপরও কথা থেকে যায় @ টিপু ভাই। আমারতো মনে হয়- "জ্ঞান, চিন্তা, বিজ্ঞানের নির্দেশনা" র বিচারে প্রাচীন গ্রিক ফিলোসোফি, এরিস্টোলাল, সক্রেটিস, ভারতের শ্রী বিদ্যায়ন, চীনের কনফুসির্য়াস এবং সর্বপরি খ্রীষ্ট বাইবেল, ইহুদী ওল্ডটেষ্টমেন্ট, গৌতুম বুদ্ধের ত্রিপিটক.. ইত্যাদি আল্লার কোরানের চেয়ে শতগুন বেশি অগ্রগামী। তা না হলে পৃথিবীর অর্জন তার ৯০% কেন অমুসলিমদের দখলে থাকবে? আপনি বলছি না যে মুসলিমদের অর্জন নেই। আছে। তবে ১০% হবে কিনা সন্দেহ। বিষয়ি ক্লিয়ার করতে পেরেছি? খুব খেয়াল করে কিন্তু @ টিপু ভাই।

৫। "একদা মুসলমানেরা বিজ্ঞানের জ্ঞান দিয়ে দুনিয়াকে শত শত বছর নেতৃত্ব দিয়েছে। আলজেব্রার আবিস্কারক মুসলিম, অঙ্কের আবিষ্কারক মুসলিম, ত্রিকোণমিতি জ্যামিতির বহু সংজ্ঞার আবিষ্কারক মুসিলম, ইতিহাস, পৌরনীতি, পৌর কর, খাজনা নীতি, ভূগোলের মত বিষয়ের জন্মদাতা মুসলিম! এই সব কথাতো কোরআনে ছিলনা! তাহলে এরা এই সব পেয়েছিল কোথায়"?

দুঃখিত, আপনার কথা যদি সত্য হবে তো হটাৎ ইসলামী জ্ঞান ভান্ডারে কিসের আকাল পরেছে যে সব কিছুতে মুসলমানদের ইউট্রাণ? আগে কোরাণ-হাদীস মূর্খ দাদী-নানীর শুনা কথায় গন্ডিবদ্ধ ছিল। নিরক্ষর মুসলমানের সংখ্যা বেশি ছিল। সংখ্যায় মুসলিমরা কম ছিল। কিন্তু সে অবস্থা নেই। এখন ইসলাম পৃথিবীর Fastest growing religion. শিক্ষিত মুসলিমদের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ইউরোপ/এ্যামেরিকায় ইসলাম গ্রহনের হিরিক পরে গেছে। মুক্ত তথ্যপ্রবাহ, ব্লগ, ফেসবুক, টুইটার......... এর সুবাদে যেকোন দেশে, যেকোন ভাষায় কোরান-হাদীস শিক্ষার সুযোগ হয়েছে। তারচেয়ে বড় কথা আপনার মত ইসলাম জানা বিজ্ঞ সুজনরা এখন মাউসের এক ক্লিকে অনবরত ইসলামের আদিরস বিতরন করেই চলছেন। তাহলে কেন আজকের এই দিনে মুসলিমদের মাঝে কাল্পনিক আরব্য রজনীর হায়হুতাস? চর্বিত চর্বন @ টিপুভাই??

৬। "আসল কথা হল মুসলমানেরা জ্ঞান-বিজ্ঞান থেকে দূরে রয়েছে তাই এত সমস্যা। কিছু মুসলিম দেশ যখন জ্ঞানে-বিজ্ঞানে উন্নীত হতে চাচ্ছে তখনই অমুসলিম দেশ গুলো বিভিন্ন ছুতো নাথা ধরে তাদের আক্রমণ করছে, যাতে তারা দূর্বল হয়ে পড়ে। নতুবা আরব দেশের মত কোন কিছু সৃষ্টি করার পিছনে মন না দিয়ে যাতে গ্রাহক হয়ে বেচে থাকে। এটাই ইরান, পাকিস্থান, ইরাক, লিবিয়ার দোষ ছিল, আর তারা আক্রান্ত হচ্ছে।"

না টিপু ভাই, এগুলো আপনার ধানাইপানাই যুক্তি। ২য় মহাযুদ্ধের ধ্বংস স্তুপ থেকে আজকের জাপান, জার্মানী কোথায় চলে গেছে। ১ম মহাযুদ্ধের পর কামাল আতাতুর্কের ইসলাম নির্বাসিত আধুনিক তুরস্ক সম্ভবতঃ এই সময়ের ৫৬টি মুসলিম মুল্লুকের মাঝে সবচেয়ে বেশি অগ্রগামি। অস্বীকার করবেন?

তাহলে আমরা কি এ সিদ্ধান্তে আসতে পারিনা যে মুসলমানদের পিছিয়ে থাকার মূল কারন ইসলাম? এই ইসলাম, এই কোরাণ, এই হাদীস...... আক্রে থাকার কারনেই মুসলিমরা পিছিয়ে আছে? মুসলমানদের প্রদান শত্রু ধর্ম ইসলাম?

উত্তর দিন????
257494
২৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:২২
আবু সাইফ লিখেছেন : আপনার প্রশ্নমালাকে স্বাগত জানাই

প্রথমতঃ (এই কোরআন রিসার্চ করে আজ বিমান, রেল, পানির জাহাজ থেকে শুরু করে সবই নাকি করেছে বিধর্মীরা) আপনার এ কথাটিই সঠিক নয়, আপনিও নাকি দিয়েই বলেছেন!

বাকি কথা নিচে প্রশ্নের ক্রমানুসারে-

(১)আলকুরআন বলে- ওরা (ইয়াহুদী+খ্রীষ্টান) আলকুরআন ও রাসুল কে তেমনভাবেই সত্য জানে ও চিনে যেমনটা আপন সন্তানকে জানে ও চিনে!
তাই কুরআনের বক্তব্য ও তথ্যসমূহের নির্ভুল হওয়ার ব্যাপারে তাদের মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই!

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রায় সকল শাখায় মুসলিম বিজ্ঞানীদের মৌলিক অবদান ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত!

মুসলিম শাসনব্যবস্থার অধোপতনের কারণে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এক্ষেত্রেও অগ্রগতি থমকে গেছে বা হোঁচট খেয়েছে!

পরবর্তীকালে মুসলমানদের অনেক আবিস্কার অমুসলিমদের (ইয়াহুদী+খ্রীষ্টান) নামে চালিয়ে দেয়া হয়েছে! সেসব আবিস্কারের ধারাবাহিকতা সবই তাদের নামে চলছে- অথচ আধুনিক অনেক আবিস্কারের পেছনেও মুসলিম বিজ্ঞানীদের অপরিসীম অবদান আছে- কিন্তু তাদের নাম নেই!

একটিমাত্র উদাহরণ দিই-
ডায়রিয়া ও কলেরার চিকিতসায় ORT(ORS) আবিস্কার যদি কোন অমুসলিম দেশে হতো তবে হয়তো তাকে নোবেল দেয়া হতো! কিন্তু এটি বাংলাদেশে অবিস্কৃত হওয়ায় এ আবিস্কারের ইতিহাসে BRAC, WHO, UNICEF এবং আরো অনেক অমুসলিমের নাম থাকলেও ICDDRB বা কোন মুসলিমের নাম নেই!
http://en.wikipedia.org/wiki/Oral_rehydration_therapy

(২)এ প্রশ্নের জবাব আলকুরআনেই দেয়া আছে, দয়া করে পড়ে নিবেন!
যেসব কারণে আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও কিছু মানুষ সত্যকে সত্য, অন্যায়কে অন্যায় বলে মেনে নিতে পারেনা, একই কারণে তারা ইসলাম গ্রহন করেনা বা ঈমান আনেনা!
ইসরাইল ও গাজা/ফিলিস্তিন, সন্ত্রাস ও ইসলাম/মুসলিম, মানবাধিকার ও মুসলমানদের অধিকার ইত্যাকার বিষয়ে ইউরোপ-আমেরিকার নির্লজ্জ নীতিহীনতার মাঝেই আপনার প্রশ্নের জবাব বিদ্যমান!


(৩)উপরে ১নং প্রশ্নের জবাবের মধ্যেই এর জবাব আছে!
সংক্ষেপে দুটি কথা-(ক)মুসলমানেরা গবেষণা ও আবিস্কার করেই চলেছে, কিন্তু তাদের নামে প্রকাশ/প্রচার হচ্ছেনা, বরং যারা স্পনসর করছে তাদের নামেই প্রচার হচ্ছে এবং (খ)যারা নিজে কিছু করতে চান তাদের স্পনসর কেউ করেনা, ব্যতিক্রমী দু-চারজন ব্যক্তিগত সামর্থে যা কিছু করেছেন, তাও প্রচার পায়না!


(৪)ব্যক্তিগত মেধার ব্যাপারটা ধর্মনিরপেক্ষ, তাই একটি বিষয় যেমন একজন অমুসলিম অনেক মুসলিমের চেয়ে বেশী/ভালো বুঝতে পারেন, আবার আরেকটি বিষয় একজন মুসলিমও অনেক অমুসলিমের চেয়ে বেশী/ভালো বুঝতে পারেন!

অমুসলিম যারাই আলকুরআনের মৌলিক বিষয়াদি ভালোমত বুঝেছেন তাঁরাই ইসলামকে নিজের জন্য গ্রহন করে নিয়েছেন! অর্থাত ইসলাম গ্রহন করাটাই তাঁর ভালোমত বুঝের প্রমান!


আরেকটি কথা- জ্ঞান শিক্ষার কাজটিও ধর্মনিরপেক্ষ, যে বিষয়ে যিনি বেশী জানেন/বোঝেন তিনি কম জানা/বুঝাদের শিক্ষক হবেন- এতে ইসলামের কোনই আপত্তি নেই!

============================
তাই আসুন, নিরপেক্ষ অনুসন্ধিতসু মন নিয়ে আলকুরআন পড়ুন, আপনিও আলোর মিনার দেখতে পাবেন!
২৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:২০
201222
সজল আহমেদ লিখেছেন :
আবু সাঈফ লিখেছেন:পরবর্তীকালে মুসলমানদের অনেক আবিস্কার অমুসলিমদের (ইয়াহুদী খ্রীষ্টান) নামে চালিয়ে দেয়া হয়েছে! সেসব আবিস্কারের ধারাবাহিকতা সবই তাদের নামে চলছে- অথচ আধুনিক অনেক আবিস্কারের পেছনেও মুসলিম বিজ্ঞানীদের অপরিসীম অবদান আছে- কিন্তু তাদের নাম নেই! কিন্তু তাদের নাম নেই!
একটিমাত্র উদাহরণ দিই-
ডায়রিয়া ও কলেরার চিকিতসায় ORT(ORS) আবিস্কার যদি কোন অমুসলিম দেশে হতো তবে হয়তো তাকে নোবেল দেয়া হতো! কিন্তু এটি বাংলাদেশে অবিস্কৃত হওয়ায় এ আবিস্কারের ইতিহাসে BRAC, WHO, UNICEF এবং আরো অনেক অমুসলিমের নাম থাকলেও ICDDRB বা কোন মুসলিমের নাম নেই!

সাঈফ ভাইয়ের সাথে একমত পোষন করিতেছি ।
খ্রীষ্টান ঐতিহাসিক Michel H Heart তাহার The 100 গ্রন্থে লিখিয়াছেন ,
অনেক বড় বড় আবিষ্কার ছিল মুসলমানদের দখলে কিন্তু ইউরোপিয় পন্ডিতগন ঐ সকল বিজ্ঞানীদের নাম তাহাদের গ্রন্থগুলোতে বিকৃত করিয়া লিখিয়াছে যেমন আল ফারাবীর নাম তাহারা লিখিয়াছেন ফ্যারাবিয়াস(FAERABIAS) !
চিকিত্‍সা বিজ্ঞান হইতে শুরু করিয়া ভূতত্ত্ব,মহাকাশ,রসায়ন,পদার্থ,সমাজ বিজ্ঞান,দর্শন,যুক্তিশাস্ত্র,গণিতশাস্ত্র সবই কিন্তু মুসলমানদের দখলে!
বিশ্বাস না হইলে আমরা একটি নজর দেখিয়া লইতে পারি।
আলফারাবী(Farabi'as):-পদার্থ বিজ্ঞানে তিনিই শূন্যতার অবস্থা প্রমাণ করিয়াছিলেন।দার্শনিক হিসেবে ছিলেন নিয়প্লেটনিস্ট দের পর্যায় বিবেচিত।বিজ্ঞানী আল ফারাবী সমাজ বিজ্ঞান,রাষ্ট্রবিজ্ঞান,দর্শন,যুক্তিশাস্ত্র প্রভৃত বিষয়ে বহু রচনা লিখিয়া গিয়াছেন।তার রচিত"আলা আহলে আল মদীনা আল ফাদিলা(দর্শন ও রাষ্ট্র বিজ্ঞান সম্পর্কিত) গ্রন্থটি সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য।


ইবনুন নাফিসঃ-মানব দেহের রক্তসঞ্চালন পদ্ধতি,শ্বাসনালীর সঠিক গঠন,ফুসফুসে সঠিন গঠন পদ্ধতি,শ্বাসনালী,হৃত্‍পিন্ড,শরীর শিরা উপশিরায় বায় ও রক্তের প্রবাহ ইত্যাদি সর্ব বিষয়ের আবিষ্কারক তিনিই।

জাবির ইবনে হাইয়ানঃ-সর্বপ্রথম সালফিউরিক ও নাইট্রিক এসিড আবিষ্কার করিয়াছিলেন তিনি।তিনিই দেখাইয়াছিলেন কিছু মিশ্র মিশ্র ও যৌগিক পদার্থ,যেগুলোকে অনায়াসে চূর্ণে পরিণত করা যায়।নির্ভেজাল বস্তুর পর্যায়ে তিনি তুলিয়া ধরেন সোনা,রূপা,তামা,লোহা,দস্তা প্রভৃত।নাইট্রিক এসিডে স্বর্ণ গলানো র ফর্মূলা তাহারই আবিষ্কার।নাইট্রিক ও হাইড্রোক্লোরিক এসিডে স্বর্ন গলানো পদার্থটির নাম যে রিজিয়া উহা তারই তাহারই প্রদত্ত নাম।জাবির ইবনে হাইয়ান স্বর্ন ও পরশ পাথর বানাইতে জানিত!অন্য ধাতুর সঙ্গে মিশ্র স্বর্ণকেCupellationপদ্ধতিতে অর্থাত্‍ মীগারের সঙ্গে মিশিয়ে স্বর্ণ বিশুদ্ধ করার পদ্ধতি তিনিই আবিষ্কার করিয়াছেন।তিনি চিকিত্‍সাশাস্ত্র,ইউক্লিড ও আল মাজেস্টের,ভাষ্য,দর্শন,যুদ্ধবিদ্যা,রসায়ন,জ্যামিতি,জ্যোর্তিবিজ্ঞান সম্পর্কে ২০০০এর ও বেশি গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন!

আল বেরুনিঃ-তিনিই সর্বপ্রথম প্রাচ্যের জ্ঞান বিজ্ঞান বিশেষ করে ভারতের জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতি মনীষীদের দৃষ্টি আকর্ষন করিয়াছিলেন।অধ্যাপক মাপা বলিয়াছিলেন,"আল বেরুনী শুধু মুসলিম বিশ্বেরই নয় বরং তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী!"তার লেখা কিতাবুল হিন্দ পড়িয়া অধ্যাপক হামারনেহের লিখিয়াছেন"As a result of his profound and intimate knowladge of the country and its people,the author left us in his writing the welth of information of undying interest on civilization in the sub continent during the first half at the eleventh century.
"আল বেরুনী বহু জ্ঞান বিজ্ঞান সভ্যতার ইতিহাস,মৃত্তিকা তত্ত্ব ,সাগর তত্ত্ব এবং আকাশ তত্ত্ব মানব জাতীর জন্যে অবদান রাখিয়া গিয়াছেন!ইউরোপীয় পন্ডিতগনের মতে বেরুনী নিজেই বিশ্বকোষ।ত্রিকোণমিতিতে তিনি বহু তথ্য আবিষ্কার করিয়াছেন।কোপার্নিকাস বলিয়াছিলেন,পৃথিবী সহ গ্রহগুলো সূর্যকে প্রদক্ষিন করিয়া থাকে।অথচ কোপার্নিকাসের জন্মের ৪২৫ বছর পূর্বেই আল বেরুনী বলিয়াছিলেন,বৃত্তিকা গতিতে পৃথিবী ঘোরে।তিনিই দশমিক অংকের সঠিক গননা ,শব্দের গতির সহিত আলোর গতির পার্থক্য আবিষ্কার,জ্যোর্তিবিদ্যায় পারদর্শী। ও তিনি এরিস্টটলের হেভেন গ্রন্থের ১০০টি ভুল আবিষ্কার করিয়াছিলেন।সুক্ষ গননায়The Formula of Intaraptionতাহারই আবিষ্কার কিন্তু পাশ্চাত্য পন্ডিতগন উহা নিউটনের আবিষ্কার বলিয়া প্রচার চালাইতে চাইছেন।
৫.
ওমর খৈয়ামঃ-বীজগনীতের আবিষ্কারক,বর্তমান বর্ষপঞ্জিকার আবিষ্কারক,বাইনোমিল থিউরিয়ামের প্রথম আবিষ্কারক।এলালিটিক জিওমেট্রি কল্পনা তিনিই সর্বপ্রথম করিয়াছেন।
৬.
ইবনে সিনাঃ-মেনেনজাইটিস রোগের আবিষ্কারক।পানি ও ভুমির মাধ্যমে যেই সকল রোগ ছড়াইয়া থাকে উহা সর্বপ্রথম তিনিই আবিষ্কার করিয়াছিলেন।সময় ও গতির সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্কে কথা তিনিই আবিষ্কার করিয়াছিলেন।

সূত্রঃ "The 100"
লেখক:Michel H Heart
২৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:২২
201236
আবু সাইফ লিখেছেন : @সজল আহমেদ : জাযাকাল্লাহ..

আপনার সংযুক্তি আমার মন্তব্যকে অনেক উচ্চে তুলে দিয়েছে
২৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৬:০৮
201265
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : আরেকটি কথা- জ্ঞান শিক্ষার কাজটিও ধর্মনিরপেক্ষ, যে বিষয়ে যিনি বেশী জানেন/বোঝেন তিনি কম জানা/বুঝাদের শিক্ষক হবেন- এতে ইসলামের কোনই আপত্তি নেই!

বিষন্ন বদনে ইহা আপনি কি বলিলেন!! আঙ্গুর ফল টক নাকি?? ইসলামী জ্ঞানের অলৌকিক শ্রেষ্ঠত্বধারী মুমিনরা ধর্মনিরপেক্ষ জ্ঞানের কাছে ধরাশায়ী হবে ক্যান?

খোদা না করুক- আর্কিমিসিড, ইউটন, গ্যালিলিও, আইনস্টাই তথা রেডিও, টেলিভিশন, বিদুৎ, উরু জাহাজ, সৌর রকেট, এন্টিবাইটিক, কম্পিউটার, সেলফোন, ফেসবুক, টুইটারের.......... ইত্যাকার তাবত আবিস্কারের ৯৯% এর জনক ইহুদী-নাসারা-নাস্তিক দের স্থলে যদি মুমিন মুসলিমরা হইতেন তা হলে এই আপনি আল্লার কোরাণের হুংকারে চিক্কুর দিতেন।
২৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৭:৩২
201266
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : @ সজল সাহেব,

আপনি কোরানের ফুটানি মারতে যেয়ে ফারাবী, ইবনূন নাফিস, জাবির, বিরুনী, খৈয়াম, সিনা...... র মত কিছু মুমিন রতনের তালিকা মওজুত করেছেন। আপনি তা করতেই পারেন। কিন্তু এর বিপরিতে আমি যদি ইহুদী-নাসারা-নাস্তিক বিজ্ঞানীদের ঝুলিতে একটুস টোকা দেই তাহলে কিন্তু আপনার হাবরজাবর কোরাণ-বিজ্ঞানীরা খড় কূটোর মত ভেসে যাবে। বিষয়টি কখনো ভেবে দেখেছেন কি????
257513
২৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৫৪
সজল আহমেদ লিখেছেন : সালাম।
লেখক আপনি জানতে চেয়েছেন ,কোরআন বিজ্ঞানময় কিনা ।
আপনি সেটা
এখানে পাবেন ।অতিচমত্‍কার ভাবে এখানে বোঝানো হয়েছে ।
২৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৫:৩৫
201263
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : কোরান যদি বিজ্ঞানময় হয়ে থাকে তাহলে খ্রীষ্ট বাইবেল, যুদায়ও ওল্ডটেস্টমেন্ট, গ্রীক দর্শন, চৈনিক কনফুসিয়াস, ভারতের বিদ্যায়ন.... এরা কোরাণের বাপ দাদা। অস্বীকার করবেন?
257517
২৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০৪
নিশিকাব্য লিখেছেন : আমার কথাগুলোই নজরুল ইসলাম টিপু ভাইয়ের মুখ দিয়ে বের করে আল্লাহ পাক হয়তো আপনাকে বিষয়টি বোঝার সুযোগ করে দিয়েছেন।এমন এমন কিছু যুক্তি আছে যেগুলোতে মানুষ আটকে পরে চিন্তার সীমাবদ্ধতার কারনে।বার্টান্ড রাসেল তুখোড় যুক্তিবিদ হওয়ায়ও নিজের যুক্তির বৃত্তে নিজেই আটকা পরেছিলেন।আল্লাহ মানুষকে খুব সীমিত ই জ্ঞান দিয়েছেন।অসীম নয়।তাই নিজের চিন্তাশক্তির অপব্যবহার মনে হয় অল্প বিদ্যা ভয়ংকর টাইপের হবে।আমার কথায় কষ্ট পেলে ক্ষমা করবেন।ধন্যবাদ।
২৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৫:৪২
201264
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : দুঃখিত! কোরাণ নয়, অল্প বিদ্যা ভয়ংকর টাইপের মানুষেরাই ৯৯ ভাগ বিজ্ঞান আবিস্কারের জনক। দেইখেন, আবার ইসলামের ইবনেসিনা করিরাজকে ধইরা টানাটানি কইরেন্না। তাহলে কিন্তু আইনস্টাইনদের তাড়া খেয়ে উড়ে যাবেন। ধন্যবাদ।
257600
২৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৫:২৯
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : তাবত মুসলিম বিজ্ঞানীরা তেড়ে এসেছেন। এখনো ইবনে সিনার দাওয়াই।
257670
২৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
বেআক্কেল লিখেছেন : কুন এক কবি কইছিল চালাকের পাছায় নাকি লাল থাকে। এই পোষ্টের মালিক সেলিম জাহাঙ্গির কুথায় গেল? সর্বত্রই দেখছি 'গ্রামের পথে পতে' একখান দুইখান মন্তব্য না। বহুত মন্তব্য। মনে অয় মানসিক প্রস্তুতি নিয়া রাইখাছিলেন। উত্তর তো দেলেনই আবার মন্তব্য যুতসই হইনি মনে কইরা আবারো নয়া মন্তব্য যোগ করিছেন।

আমার মনে অয়, তিনি ভুল করিয়া পুরানা নামে, গ্রাম গঞ্জের পতে পথে, লগ আউট না হইয়া, সেলিম জাহাঙ্গিরে লগ ইন আছে মনে করিয়া একটার পর একটার উত্তর দিয়াছইন।

তিনি ইদানিং কুন মন্তব্য পায় না। তাই দীর্ঘ দিনের হতাশা ঝাড়িয়া, নতুন নামে লইয়া, নতুন শাড়ি-চুড়ি গায়ে দিয়া, নতুন মেকআপ লাগাইয়া, খদ্দেরর আশায় সেলিম জাহাঙ্গীরের পান দোকানের পাশে দাড়াইয়াছেন।
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
201342
ইমরান ভাই লিখেছেন : বেক্কল ভাই গ্রামের পথে পথে দেখেন...Tongue
==================
হিন্দুদের ধর্ম গ্রন্থর বিশ্লেষন দেখুন...
=================
লিঙ্গ পূজাট:- হিন্দুধর্ম গ্রন্থে অশ্লি¬লতা, কামুকতা ও কদর্য লালসার বিভিন্ন রমরমা ঘটনার বর্ননা লক্ষ করা যায় যা অর্থলোলুপ ভালবাসায় পূর্ন। এই পূজার আচার অনুষ্ঠান কুশ্রি উলঙ্গ ছবি ও লিঙ্গ প্রার্থনার নির্দেশ দেয়। ধর্মগ্রন্থ বিচারে কৃষ্ণের অশ্ল¬ীল জীবন, বিষ্ণুর আবতার গ্রহনের বর্ননা অসঙ্গতিপূর্ন।

“কৃষ্ণা তার মামী রাধার সাথে অবৈধ সর্ম্পক ছিল, বিভিন্ন চাকরানির সাথে এছাড়াও তার ছিল ১৬১০৮ জন স্ত্রী এবং সন্তানের সংখ্যা ছিল ১,৮০০০০” [অসনবফশধৎ, জরফফষব ড়ভ জধসধ ধহফ কৎরংযহধ, (ইধহমধষড়ৎব: ১৯৮৮), ঢ়.২৫.]।

হিন্দুদের সর্বোচ্চ সৃষ্টিকর্তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো বিষ্ণু যার অর্থ রিযেকদাতা তিনি জোর করে এক বিবাহিতা সতি মহিলাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন যার নাম ছিল তুলসি।

শিবকে পূজা করেননা হিন্দুগন কিন্তু তার লিঙ্গকে পূজা করেন কারন কোন এক ঋষি তাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। শিব ও তার স্ত্রী পার্বতীর বিভিন্ন অশ্লীল ভঙ্গিমার মূর্তি আজও বিভিন্ন মন্দিরে পরিরক্ষিত হয়।

এধর্মে পতিতাবৃত্তির উৎসাহিত করা হয়েছে যা দেবদাসী ও যোগিনের চরিত্রে লক্ষ্য করা যায়। তারা ছিল শুদ্র। সে মন্দিরে ঋষি ও হিন্দু সৃষ্টিকর্তাদের সাথে পতিতাবৃত্তি করতো ফলে তারা বেজন্মা সন্তানের জন্ম দিতে পারেন যাতে রাম শক্তিশালী সৈন্য পায় ও সংখ্যায় বৃদ্ধি হয়। তাই সৃষ্টিকর্তারা এই অবৈধ সন্তান জন্মদানে অবদান রাখেন। বর্তমানে ভারত নাট্যমের(নাচ) কথা সর্বজনবিদিত।

কোথ্থেকে এর উদ্ভব হয়েছিল? ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলে ভারত নাট্যমের এক্সপার্ট রুকমিনি দেবী বলেছেন-‘মন্দিরের পতিতারা বিশেষ করে দেবদাসীর উদ্ভাবিত নৃত্য র্চচা যা ব্রাহ্মনদের মনোরঞ্জনের জন্য তারা করতো। ব্রাহ্মনরা অত্যন্ত চুুরতার সাথে বর্তমানে আজ তা অন্য হিন্দুদের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে সং®কৃতির নামে অনেক মুসলিমরাও অজ্ঞতাবশত এর ইতিহাস না জেনে তার মেয়ে বা বোনকে এসব শিখিয়ে ষ্টেজে নাচাচ্ছে দর্শকের সামনে।

এটা পতিতার নৃত্যকলা ব্যতিত কিছুই নয় যার র্চচা মন্দিরে হতো। ডঃ অমবিতকার ইন্ডিয়ার সংবিধান প্রনেতা ও সর্বপ্রথম আইন মন্ত্রী তিনি বলেন-‘তাদের পাইকারী যৌনজীবন শুধু অপ্সরী বা পতিতাদের সাথে নয, শুধু অবিবাহিতা কন্যার সাথে নয় (ইয়াকশা,নাা,রুকশা,বিদ্যাহার, গর্ন্ধবা, কিন্না) এমনকি বানরের (ভানারাস) সাথে পর্যন্ত’।
২৫ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:০৮
201799
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : বেআক্কেল মামু! আসলেই আন্নে এক্কান দারুণ বেআক্কেল! আমাগো ব্লগার জগতের সাধাসিধে জ্ঞানী গুনী ব্লগাররা একটু বেশী আক্কেলওয়ালা হওনের কারণে গিরামের পথে ঘাটে, নালা নর্দমা গুলো চিনবার ফুরসৎ নেই। আপনেগো মত দু’চার জন বে আক্কেল না থাইকলে আক্কেলওয়ালারা সব সময় চক চকে, তক তকে, জিক ঝাক জিসিনগুলানকেই আসল সোনা মনে কইরা গলায় পরিধান করা শুরু কইরা দেয়।
257678
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:২০
মাহফুজ আহমেদ লিখেছেন : সব নাস্তিককে আল্লাহ হেদায়েত দান করুক
257697
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
ইমরান ভাই লিখেছেন : হিন্দুদের ধর্ম গ্রন্থর বিশ্লেষন দেখুন...
=================
লিঙ্গ পূজাট:- হিন্দুধর্ম গ্রন্থে অশ্লি¬লতা, কামুকতা ও কদর্য লালসার বিভিন্ন রমরমা ঘটনার বর্ননা লক্ষ করা যায় যা অর্থলোলুপ ভালবাসায় পূর্ন। এই পূজার আচার অনুষ্ঠান কুশ্রি উলঙ্গ ছবি ও লিঙ্গ প্রার্থনার নির্দেশ দেয়। ধর্মগ্রন্থ বিচারে কৃষ্ণের অশ্ল¬ীল জীবন, বিষ্ণুর আবতার গ্রহনের বর্ননা অসঙ্গতিপূর্ন।

“কৃষ্ণা তার মামী রাধার সাথে অবৈধ সর্ম্পক ছিল, বিভিন্ন চাকরানির সাথে এছাড়াও তার ছিল ১৬১০৮ জন স্ত্রী এবং সন্তানের সংখ্যা ছিল ১,৮০০০০” [অসনবফশধৎ, জরফফষব ড়ভ জধসধ ধহফ কৎরংযহধ, (ইধহমধষড়ৎব: ১৯৮৮), ঢ়.২৫.]।

হিন্দুদের সর্বোচ্চ সৃষ্টিকর্তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো বিষ্ণু যার অর্থ রিযেকদাতা তিনি জোর করে এক বিবাহিতা সতি মহিলাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন যার নাম ছিল তুলসি।

শিবকে পূজা করেননা হিন্দুগন কিন্তু তার লিঙ্গকে পূজা করেন কারন কোন এক ঋষি তাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। শিব ও তার স্ত্রী পার্বতীর বিভিন্ন অশ্লীল ভঙ্গিমার মূর্তি আজও বিভিন্ন মন্দিরে পরিরক্ষিত হয়।

এধর্মে পতিতাবৃত্তির উৎসাহিত করা হয়েছে যা দেবদাসী ও যোগিনের চরিত্রে লক্ষ্য করা যায়। তারা ছিল শুদ্র। সে মন্দিরে ঋষি ও হিন্দু সৃষ্টিকর্তাদের সাথে পতিতাবৃত্তি করতো ফলে তারা বেজন্মা সন্তানের জন্ম দিতে পারেন যাতে রাম শক্তিশালী সৈন্য পায় ও সংখ্যায় বৃদ্ধি হয়। তাই সৃষ্টিকর্তারা এই অবৈধ সন্তান জন্মদানে অবদান রাখেন। বর্তমানে ভারত নাট্যমের(নাচ) কথা সর্বজনবিদিত।

কোথ্থেকে এর উদ্ভব হয়েছিল? ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলে ভারত নাট্যমের এক্সপার্ট রুকমিনি দেবী বলেছেন-‘মন্দিরের পতিতারা বিশেষ করে দেবদাসীর উদ্ভাবিত নৃত্য র্চচা যা ব্রাহ্মনদের মনোরঞ্জনের জন্য তারা করতো। ব্রাহ্মনরা অত্যন্ত চুুরতার সাথে বর্তমানে আজ তা অন্য হিন্দুদের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে সং®কৃতির নামে অনেক মুসলিমরাও অজ্ঞতাবশত এর ইতিহাস না জেনে তার মেয়ে বা বোনকে এসব শিখিয়ে ষ্টেজে নাচাচ্ছে দর্শকের সামনে।

এটা পতিতার নৃত্যকলা ব্যতিত কিছুই নয় যার র্চচা মন্দিরে হতো। ডঃ অমবিতকার ইন্ডিয়ার সংবিধান প্রনেতা ও সর্বপ্রথম আইন মন্ত্রী তিনি বলেন-‘তাদের পাইকারী যৌনজীবন শুধু অপ্সরী বা পতিতাদের সাথে নয, শুধু অবিবাহিতা কন্যার সাথে নয় (ইয়াকশা,নাা,রুকশা,বিদ্যাহার, গর্ন্ধবা, কিন্না) এমনকি বানরের (ভানারাস) সাথে পর্যন্ত’।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File