“কোরআনের অর্থ না জেনে পড়া অনেকটা সাপের মন্তর পড়ার মত“

লিখেছেন লিখেছেন সেলিম জাহাঙ্গীর ২১ আগস্ট, ২০১৪, ০৪:২১:৫৯ বিকাল

পবিত্র কোরআনে তিনটি কথা অনেকবার বলেছে যে, এই কোরআন জ্ঞানিদের জন্য, এই কোরআন বোদ্ধাদের জন্য, এই কোরআন চিন্তশীলদের জন্য; এই কোরআন থেকে জ্ঞানিদের জ্ঞান নেয়ার আছে। এখন কথা হলো আরবী অর্থ না জেনে আরবী ভাষায় কোরআন পড়ে যাওয়ায়; জ্ঞানী অজ্ঞানীর বিষয়টি কেন আসবে? আমরা সাধারণত যে সব আলেমদের গাঁ-গ্রামে বিচরণ করতে দেখি তাদের তেমন একটা ডিগ্রী বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাই, অথচ তিনারাই আমাদের ধর্মের ধারক বাহক; ইনারাই ধর্ম নিয়ে নানান বয়ান দিয়ে থাকে যাকে বলে ধর্ম যাজক। একটি জরিপে দেখা গেছে বাড়ির সব চায়তে বখাটে ছেলেটিকে মাদ্রাসা লাইনে পড়তে দেয়া হয়। বাবা মায়ের অবাধ্য ছেলে লিখাপড়া করতে চায় না, এমন ছেলেকে দিয়ে কিছু হবে না ভেবে বাবা মায়ে বলে ওকে মাদ্রসাতে দিয়ে দাও অথবা হাফেজী পড়তে দাও। অবশ্য এই সব বখাটে ছেলেরা এক সময় কোরআনের হাফেজ হয়ে যায়। বেশীর ভাগ ছেলেরাই হাফেজ হয় তবে তারা সাধারণ জ্ঞান বাংলা, ইংরাজী জ্ঞান বিজ্ঞান এমনকি এক কথায় বলা যেতে পারে যে তারা কোরআন হেফজো ছাড়া কিছুই জানে না। কোরআন হেফজো করা অর্থ কোরআন এর জ্ঞান অর্জন করা নয়, বা কোরআন বিশেষজ্ঞ নয়। কোরআনের অর্থ না জেনে কেবল মুখস্ত করলেই আমাদের দৃষ্টিতে সে হাফেজ। আসলে হাফেজ এর নিয়োম নিতি হলো প্রকৃত পক্ষে কোরআন মুখস্ত পড়া এবং ধারণ করে পরে তা লালন করা এটাই ধর্ম। কোরআনের অর্থ নাযেনে পড়া অনেকটা সাপের মন্তর পড়ার মত। অবশ্য সকলেই এমনটি নয় কিছু ভালোও আছে। তবে জানলে ওয়ালা মানুষের চেয়ে নাবুজের সংখ্যাই বেশী। জেনারেল লাইনের এই না জানা ছেলে গুলি এমনিতেই বিভিন্ন মাওলানার ওয়াজ নশিয়ত বয়ান শুনতে শুনতে সেও এক সময় বয়ান বাজ হয়ে গিয়ে বয়ান দেয়া শুরু করে। এক সময় হয়ে উঠে আলেম, তবে স্ব ঘোষিত। কি সত্য কি মিথ্যা এই জ্ঞান সবার না থাকার ফলে এই সব তথা কথিত গড়ে উঠা স্ব ঘোষিত মাওলানার কথা আমাদের বিশ্বাস করতে হয়। কোরআন যে কথা বলেছে সেই জ্ঞান বুদ্ধি কিংবা চিন্তশীল মানুষ কি এই স্ব ঘোষিত আলেমরা? যাদের জন্য এই কোরআন বার বার ঘোষনা দিয়েছে? প্রকৃত কোরআনের সেই সব জ্ঞানি না থাকার ফলে ধর্মের মধ্যে রয়েছে স্ব ঘোষিত মিথ্যাচার, বানোয়াট বয়ান; আর ধর্ম বিরুদ্ধ কথা। প্রকৃত আলেমরা বিষয়টি ভেবে এর কিনারা খুজার চেয়ে অপপ্রাচারই করেছে বেশী। একটি অক্ষর পড়লে এত ছোয়াব, একটি আয়াত পড়লে এ্ত ছোয়াব, হাত বুলিয়ে গেলে এত ছোয়াব, কেবল চোখ বুলিয়ে গেলে এত ছোয়াব। এই সব মিথ্যা চিন্তা, ধ্যান ধারণা আজ আমাদের ইসলাম ধর্মে থেকে অনেক দূরে নিয়ে গেছে। কোরআন তার পাতায় পাতায় কি ম্যাসেচ দিচ্ছে সেটা না জানলেও চলবে এমন মনভাব প্রচার করে আসছে আজও অনকে আলেম ওলামা। কিন্তু আমাদের জানতে হবে কোরআন কোন পথে চলতে বলে, কি করতে বলে। কি করে বুজবো কি করতে হবে আমাদের? এই সব আক্ষরিক অর্থ জ্ঞা্ন আমার আপনার না থাকলে কেবল অন্ধের মত আরবী পড়ে গেলেই কি নাজাত মিলবে? কোরআন সহজ সরল ও প্রাণউজ্জল এটা কোরআনের ভাষা। এই সহজ সরল কোরআনের ভাষা কে জটিল করা মানুষের কাজ নয়। কেবল সহজ হলো এটা পড়ে সকলকে বুজতে হবে, ধারন করতে হবে এবং মানতে হবে; তবেই মুক্তি। আমার কাছে মনে হয় কোরআনের অর্থ না জেনে পড়া অনেকটা সাপের মন্তর পড়ার মত, আপনার অভিমত কি?

বিষয়: বিবিধ

১৯৫২ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

256778
২১ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৩
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আগের মন্তব্যটা মুছে দেন, সাইটের লিঙ্ক করতে ভুলে গিয়েছিলাম

কোর’আনে রুট ওয়ার্ড মনে হয় ২,০০০ ও নাই; ১,৬০০ থেকে ১,৭০০ এর মধ্যে খুব সম্ভবত। আর ডেরাইভড ওয়ার্ড এর সংখ্যাটা মনে পরতেছে না। এ নিয়ে ইংলিশরা গবেষনা করে সুন্দর এ-সাইট করেছে।

বাংলাদেশী আলেমদের কাছেও এরকম একটা সাইট আশা করা যায় আমাদের বোঝার সুবিধার জন্য।

যে সূরাগুলো মুখস্থ আছে সবগুলোরই অর্থ মুখস্ত করেছিলাম, এখনও হয়তো সেগুলোর বেশীরভাগ অর্থ মনে আছে, কিন্তু বেশীরভাগ সময়েই নামাযে দাড়ালে কিরাত এর সময় অর্থ আর মনে করা হয় না, পড়েই যাই।

আর সওয়াব এর ব্যাপার তো আমলনামা না দেখে বোঝা যাওয়ার কথা না!
২২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
200686
সেলিম জাহাঙ্গীর লিখেছেন : বুড়া মিয়া আপনার লিংকটা দেখবো, বেশ ভালো একটা বিষয়। ভালো থাকুন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
256834
২১ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৭
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : চমৎকার বলেছেন। জাজাকাল্লা
২২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
200687
সেলিম জাহাঙ্গীর লিখেছেন : শিশির ভেজা ভোর আল্লাহ্ আমাদের সকলকে হেফাতজ করুন। ভালো থাকুন, আপনার জন্য ধন্যবাদ রইলো।
256869
২১ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৪৪
রিদওয়ান বিন ফয়েজ লিখেছেন : চমৎকার বলেছেন । আপনার সাথে আমিও একমত । ধন্যবাদ.।।
২২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
200688
সেলিম জাহাঙ্গীর লিখেছেন : রিদওয়ান বিন ফয়েজ,
শুভেচ্ছা রইলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
256923
২২ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:৩২
আবু সাইফ লিখেছেন : শিরোনামটা শ্রুতিকটু লাগে-
যদিও কথা ফেলনা নয়,
ওটা বদলানো যায় না??


আলকুরআন তিলাওয়াত এমন এক ইবাদাত যাতে "অনেকটা সাপের মন্তর পড়ার মত" হলেও লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই

সবার যোগ্যতা সমান নয়-
তাই নেতিবাচকতা পরিহার করে ইতিবাচক আলোচনাই অধিক কল্যানকর


বিষয় ও পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ..
২২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
200689
সেলিম জাহাঙ্গীর লিখেছেন : আবু সাইফ আপনার পরামর্শটা ভেবে দেবো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৩:১৭
200964
আবু সাইফ লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও .. জাযাকাল্লাহ

আপনার ভাবনা সুন্দরের দিকে ধাবিত হোক..
256977
২২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৬:৩০
কাহাফ লিখেছেন : একমত হতে পারলাম না বলে দুঃখিত,সব কিছুতেই নেগেটিভ খোজা ঠিক না। জঘন্য উপমা ব্যবহার করেছেন ভাই,দ্বীনি বিষয়ে ফালতু যুক্তি না দিয়ে ভালো করে স্টাডি করুন। কোরআন তেলাওয়াত বিষয়ে হাদিস আছে.......।
257018
২২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
সেলিম জাহাঙ্গীর লিখেছেন : কাহাফ আপনি আমার লিখায় আর কখনোই একমত হতে পারবেন না। কারন আপনার সব কিছুতেই নেগেটিভ খোজা। কোরআন তেলাওয়াত করার বিষয় নয়, কোরআনকে বোঝার বিষয়, অনুধাবনের বিষয়, কোরআন না বুঝলে কোরআনের আলোয় জীবন গোড়বেন কি করে? ভালো থাকুন, আলোতে থাকুন।
257022
২২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:০১
বুড়া মিয়া লিখেছেন : তবে আরেকটা বিষয় সেলিম ভাই, ছোটবেলায় বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া হতো, মাঝে মাঝে কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতাম, সেখানে দেখতাম উচ্চাংগ সংগীতঃ অটায় কিছু নাই আআআ, উউউ, ইইই, এএএ এরকম আর গলা কাপানো ছাড়া, কিন্তু মনে একটা ক্রিয়া হতো সেটা শোনার ফলে। নিজেও সামান্য সময় গানবাজনা করতাম, গীটারের টুং-টাং মনে অন্যরকম ক্রিয়া করে যেতো, গানও মাঝে মাঝে একটা ভাব এনে দিতো; এসবের অনেক কিছুরই কোন ভাষা নেই – বোঝার কিছুই নেই তারপরও একটা অনুভুতি এবং কাজেকর্মে একটা প্রভাব আসতো।

কিছু কিছু তিলওয়াতকারী এতো সুন্দর তিলওয়াত করে, যাতে অন্যরকম একটা অনুভুতি হয় মনে – কিছু না বুঝলেওঃ এভাবে পড়া এবং শোনার ফলে যে ক্রিয়াগুলো হয় মনে তার একটা প্রভাবও ফুটে উঠে কাজে-কর্মে, এর ফলে আসলে কি হয় তা জানি না, এভাবে মানসিক-ক্রিয়ার-মাধ্যমে কোন ফলাফল লাভের সওয়াব হয় কিনা – সেটা নিয়ে মাঝে মাঝে চিন্তা হয়েছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File