হাদীস মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবী, কোরআন মতে নয়
লিখেছেন লিখেছেন সেলিম জাহাঙ্গীর ১৯ আগস্ট, ২০১৪, ০৬:০২:২৬ সন্ধ্যা
কেউ এই লিখা নিয়ে বিরোধিতা করলে অবশ্যই কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে করবেন। অযথা অন্ধদের মত চিল্লাইবেন না।
তর্কটি অতি পুরনো। তবে অবশ্যই মৌলিক। কোরআন ও শরিয়ার সাথে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মতনৈক্য রয়েছে তবুও প্রকৃত আসল তথ্য উদঘাটনের চেষ্ট কেউ করেননী তানয়, তবে এই তথ্য সন্ধানে কেউ বেশী অগ্রসর হয়নি নানান কারনে। এই প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে গোড়াহ্ মৌলবাদী জ্ঞানহীন আলেম ওলামাদের ভয় করেছে বেশীর ভাগ মানুষ, গবেষক, লেখক, কলামিষ্ট। এই ধরনের প্রশ্ন করার জন্য কিংবা লেখার জন্য যখন'ই কেউ এগিয়েছে একটু সাহসে ঠিক সেই কারনে অনেকেই লাঞ্চিত হয়েছেন, আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। কারো কারো বাড়ী লাইব্রেরী পুড়ানো হয়েছে। অনেকের জীবনের অভিশাপ হয়েছে এসব ধরনের প্রশ্ন করার জন্য। যে যেই ধর্মের হোকনা কেন ধর্ম বিষয় নিয়ে জানতে ইচ্ছা হতেই পারে সেইটাকে খর্ব না করে বিষয়টি কে খারাপ অর্থে না দেখে গণতন্ত্রের চর্চায় মৌলিক অর্থে দাড় করিয়ে প্রকৃত সদুত্তর দেয়াই হচ্ছে স্ব স্ব ধর্মের আলেম ওলামাদের কাজ। অনেক আলেম ওলামাদের বলতে শুনেছি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সকল নবীর নবী, জানিনা কোরআন বাদ দিয়ে তারা এটা কিসের ভিত্তিতে এত জোর দিয়ে বলেন। তবে যারা ধর্মের মূল হোতা, ধারক বাহক তারা দু’ একটি কথা বলে থাকেন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে হাদীস থেকে। অবশ্য কোরআনের পরেই সারা পৃথিবী জুড়ে মুসলিমদের কাছে স্থান করে নিয়েছে মানুষের লেখা শরীয়া সুন্নাহ্ নামে খ্যাত হাদীস গ্রন্থ গুলি। হাদীস রাইটাররা যে কোন দরবেশ, অলি, গাউসুল আযম কিংবা পীর ছিলেন না, তাদের উপর কোন আল্লাহ্ প্রদত্ত অহি হতনা তা সকলেরী জানা; সেই কারনে হাদীস সংগ্রহে ভুল হতেই পারে; আর মানুষ কোনক্রমেই ভুলের উর্দ্ধে নয়। কোরআন কেবলী অন্য আর রাসুলের মত রাসুল হিসাবে এবং সতর্ককারী হিসাবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। একটু জানার চেষ্টা করি কোরআনের আলোতে।
সূরা ইমরান ৩:১৪৪ আয়াত
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِن مَّاتَ أَوْ قُتِلَ انقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَن
يَنقَلِبْ عَلَىَ عَقِبَيْهِ فَلَن يَضُرَّ اللّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللّهُ الشَّاكِرِينَ
অর্থঃ আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয়! তাঁর পূর্বেও বহু রসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে কি তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা নিহত হন, তবে তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে? বস্তুতঃ কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে, তবে তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাদের সওয়াব দান করবেন।
সূলা কাহফ্ ১৮:৫৬ আয়াতঃ
وَمَا نُرْسِلُ الْمُرْسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَيُجَادِلُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوا بِهِ الْحَقَّ وَاتَّخَذُوا آيَاتِي وَمَا أُنذِرُوا هُزُوًا
অর্থঃ আমি রাসূলগনকে সুসংবাদ দাতা ও ভয় প্রদর্শন কারীরূপেই প্রেরণ করি এবং কাফেররাই মিথ্যা অবলম্বনে বিতর্ক করে, তা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেয়ার উদ্দেশে এবং তারা আমার নিদর্শনাবলীও যদ্বারা তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করা হয়, সেগুলোকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করেছে।
সূরা কাহফ। ১৮:১১০ আয়াতঃ
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاء رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
অর্থঃবলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।
সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:১০৫ আয়াতঃ
وَبِالْحَقِّ أَنزَلْنَاهُ وَبِالْحَقِّ نَزَلَ وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلاَّ مُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
অর্থঃআমি সত্যসহ এ কোরআন নাযিল করেছি এবং সত্য সহ এটা নাযিল হয়েছে। আমি তো আপনাকে শুধু সুসংবাদাতা ও ভয়প্রদর্শক করেই প্রেরণ করেছি।
সূরা হাজ্জ্ব ২২:৪৯ আয়অতঃ
قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ বলুনঃ হে লোক সকল! আমি তো তোমাদের জন্যে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ককারী।
সূরা আল আনকাবুত ২৯:৫০ আয়াতঃ
الْآيَاتُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আমি তো একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।
সূরা আল আহযাব ৩৩:৪০-৪৫ আয়াত
مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃমুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল, নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
অর্থঃ হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি।
সূরা ফাতির ৩৫:২৩-২৪
إِنْ أَنتَ إِلَّا نَذِيرٌ
অর্থঃ আপনি তো কেবল একজন সতর্ককারী।
إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَإِن مِّنْ أُمَّةٍ إِلَّا خلَا فِيهَا نَذِيرٌ
অর্থঃআমি আপনাকে সত্যধর্মসহ পাঠিয়েছি সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাতে সতর্ককারী আসেনি।
সূরা ইয়াসীন ৩৬:৩৬ আয়াতঃ
لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
অর্থঃ যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল।
সূরা ছোয়াদ ৩৮:৪ আয়াতঃ
وَعَجِبُوا أَن جَاءهُم مُّنذِرٌ مِّنْهُمْ وَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا سَاحِرٌ كَذَّابٌ
অর্থঃ তারা বিস্ময়বোধ করে যে, তাদেরই কাছে তাদের মধ্যে থেকে একজন সতর্ককারী আগমন করেছেন। আর কাফেররা বলে এ-তো এক মিথ্যাচারী যাদুকর।
সূরা ক্বাফ ৫০:২আয়াতঃ
بَلْ عَجِبُوا أَن جَاءهُمْ مُنذِرٌ مِّنْهُمْ فَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا شَيْءٌ عَجِيبٌ
অর্থঃ বরং তারা তাদের মধ্য থেকেই একজন ভয় প্রদর্শনকারী আগমন করেছে দেখে বিস্ময় বোধ করে। অতঃপর কাফেররা বলেঃ এটা আশ্চর্যের ব্যাপার।
সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫১ আয়াতঃ
وَلَا تَجْعَلُوا مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ তোমরা আল্লাহর সাথে কোন উপাস্য সাব্যস্ত করো না। আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
সূরা আল মুলক ৬৭:২৬ আয়াতঃ
قُلْ إِنَّمَا الْعِلْمُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃবলুন, এর জ্ঞান আল্লাহ তা’আলার কাছেই আছে। আমি তো কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী।
সূরা হা-মীম সেজদাহ ৪১:৪৩ আয়াতঃ
مَا يُقَالُ لَكَ إِلَّا مَا قَدْ قِيلَ لِلرُّسُلِ مِن قَبْلِكَ إِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍ وَذُو عِقَابٍ أَلِيمٍ
অর্থঃআপনাকে তো তাই বলা হয়, যা বলা হত পূর্ববর্তী রসূলগনকে। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার কাছে রয়েছে ক্ষমা এবং রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
সূরা আল আহক্বাফ ৪৬:৯ আয়াতঃ
قُلْ مَا كُنتُ بِدْعًا مِّنْ الرُّسُلِ وَمَا أَدْرِي مَا يُفْعَلُ بِي وَلَا بِكُمْ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ وَمَا أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃবলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী বৈ নই।
সূরা নাহল ১৬:৩৫ আয়াতঃ
وَقَالَ الَّذِينَ أَشْرَكُواْ لَوْ شَاء اللّهُ مَا عَبَدْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ نَّحْنُ وَلا آبَاؤُنَا وَلاَ حَرَّمْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ كَذَلِكَ فَعَلَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَهَلْ عَلَى الرُّسُلِ إِلاَّ الْبَلاغُ الْمُبِينُ
অর্থঃমুশরিকরা বললঃ যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে আমরা তাঁকে ছাড়া কারও এবাদত করতাম না এবং আমাদের পিতৃপুরুষেরাও করত না এবং তাঁর নির্দেশ ছাড়া কোন বস্তুই আমরা হারাম করতাম না। তাদের পূর্ববর্তীরা এমনই করেছে। রাসূলের দায়িত্ব তো শুধুমাত্র সুস্পষ্ট বাণী পৌছিয়ে দেয়া।
সূরা আল আনকাবুত ২৯:১৮ আয়াতঃ
وَإِن تُكَذِّبُوا فَقَدْ كَذَّبَ أُمَمٌ مِّن قَبْلِكُمْ وَمَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
অর্থঃতোমরা যদি মিথ্যাবাদী বল, তবে তোমাদের পূর্ববর্তীরাও তো মিথ্যাবাদী বলেছে। স্পষ্টভাবে পয়গাম পৌছে দেয়াই তো রসূলের দায়িত্ব।
সূরা আশ-শুরা ৪২:৭আয়াতঃ
وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ
অর্থঃএমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
আল্লাহ্ কোরআনে কেবলী সতর্ককারী হিসাবেই মুহাম্মাদ (সাঃ) কে সম্বর্ধন করেছে তা উল্লেখিত সূরা ও আয়অত থেকে জানলাম। এমন অনেক আরও আয়াত আছে এই ধরনের । অনেকই বলবে কোরআনে নাই তবে হাদীসে আছে। এখন প্রশ্নআসতেই পারে হাদীস ছাড়া কোরআন অপূর্ণ কিতাব? নিশ্চয় নয়। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা নমল ২৭:৭৫ আয়অতে বলেছেনঃ
وَمَا مِنْ غَائِبَةٍ فِي السَّمَاء وَالْأَرْضِ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
অর্থঃআকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।
মাবুদের এই উল্লেখিত আয়াত গুলো যদি আমরা বিশ্বাস করি তাহলে আয়াত মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) কেবলী অন্য রাসুলের মত একজন সতর্ককারী মাত্র। কোরআনের আয়াত বিশ্বাস করলে মানবেন, আর যদি আয়াত গুলো ঠিক নয় মনে করেন তাহলে সঠিক যুক্তি দিয়ে বলবেন এই আশা কির। যুক্তি হতে হবে কেবল কোরআন থেকে।
বিষয়: বিবিধ
২৯৮৯ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে হাদীসে বর্ণিত অন্যান্য ঘটনার আলোকে হয়তো অনেকে রাসূল(সাঃ) কে বেশী সম্মান দেন।
আমিও ভালো গবেষক না হওয়ার কারণে এ নিয়ে আর কিছু বলা থেকে বিরত থাকলাম।
"বল, ‘হে মানুষ, আমি তোমাদের সবার প্রতি আল্লাহর রাসূল, যার রয়েছে আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব। তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু দেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আন ও তাঁর প্রেরিত উম্মী নবীর প্রতি, যে আল্লাহ ও তাঁর বাণীসমূহের প্রতি ঈমান রাখে। আর তোমরা তার অনুসরণ কর, আশা করা যায়, তোমরা হিদায়াত লাভ করবে।" (সূরা 'আরাফ, আয়াত ১৫৮)
আমার লিখার শিরোনামটা ভালো কর পড়ুন। আমি বলেছি:
“হাদীস মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবী, কোরআন মতে নয়“
আপনি কোরআন মতে দেখান কোন দলিল থাকলে। আপনি আরাফ সূরার ১৫৮ নং আয়াত দিয়েছেন সেখানে কি লিখা আছে ভালো করে দেখুন।
قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي رَسُولُ اللّهِ إِلَيْكُمْ جَمِيعًا الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ يُحْيِـي وَيُمِيتُ فَآمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ النَّبِيِّ الأُمِّيِّ الَّذِي يُؤْمِنُ بِاللّهِ وَكَلِمَاتِهِ وَاتَّبِعُوهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
অর্থ:বলে দাও, হে মানব মন্ডলী। তোমাদের সবার প্রতি আমি আল্লাহ প্রেরিত রসূল, সমগ্র আসমান ও যমীনে তার রাজত্ব। একমাত্র তাঁকে ছাড়া আর কারো উপাসনা নয়। তিনি জীবন ও মৃত্যু দান করেন। সুতরাং তোমরা সবাই বিশ্বাস স্থাপন করো আল্লাহর উপর তাঁর প্রেরিত উম্মী নবীর উপর, যিনি বিশ্বাস রাখেন আল্লাহর এবং তাঁর সমস্ত কালামের উপর। তাঁর অনুসরণ কর যাতে সরল পথপ্রাপ্ত হতে পার।
এই আয়াতে আল্লাহ্ জীবিত মানুষকে বলছে: বলে দাও, হে মানব মন্ডলী তোমাদের সবার প্রতি আমি আল্লাহ প্রেরিত রসূল। আল্লাহ্ সকল মানুষকে বলছে তিনি সকল মানুষের রাসুল। কিনতু আমার বক্তব্য কোরআন মতে মুহাম্মাদ (সা) সকল নবীর নবী নন; তিনি সকল মানুষের নবী ও রাসুল। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন?
বাকারা ২৫৩ আয়াত:
এই রসূলগণ-আমি তাদের কাউকে কারো উপর মর্যাদা দিয়েছি। তাদের মধ্যে কেউ তো হলো তারা যার সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন, আর কারও মর্যাদা উচ্চতর করেছেন এবং আমি মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রকৃষ্ট মু’জেযা দান করেছি এবং তাকে শক্তি দান করেছি ‘রুহূল কুদ্দুস’ অর্থৎ জিবরাঈলের মাধ্যমে।
এই আয়াতে মুহাম্মাদ(সা)আল্লাহ্ যে সকল নবীদের উপর শ্রেষ্টত্ত্ব দিয়েছে এমন কোন কথা নেই।
এবার আসা যাক সূরা নিসার ৪১ আয়অতে চলুন দেখি সেখানে কি আছে:
সূরা নিসা আয়াত: ৪১
“আর তখন কি অবস্থা দাঁড়াবে, যখন আমি ডেকে আনব প্রতিটি উম্মতের মধ্য থেকে অবস্থা বর্ণনাকারী এবং আপনাকে ডাকব তাদের উপর অবস্থা বর্ণনাকারীরূপে।
এই আয়াতে আল্লাহ্ বলছেন আমি ডেকে আনব প্রতিটি উম্মতের। তার মানে কেবল উম্মতদের ব্যাপারে বলছে। আবার বলছে “যখন আমি ডেকে আনব প্রতিটি উম্মতের মধ্য থেকে অবস্থা বর্ণনাকারী এবং আপনাকে ডাকব তাদের উপর অবস্থা বর্ণনাকারীরূপে।“ এখানেও আল্লাহ্ বলছেন উম্মতদের অবস্থা বর্ণনাকারীরূপে রাসুলকে ডাকবে। উম্মত আর নবী রাসুল এক নয়। যদি আল্লাহ্ বলতো সকল নবী রাসুলের উপর আপনাকে ডাকব তাদের উপর অবস্থা বর্ণনাকারীরূপে। তাহলে কথাটি ঠিক ছিলো। কোরআন আরও মনযোগদিয়ে পড়ুন হৃদয়ের সাথে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন? আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
"We make no distinction between one and another of His messengers.
এই আয়াতটি খুব ভালো করে পড়ে দেখুন কি লিখা আছে আরবীটা।
সূরা আহযাব ৩৩:৪০ আয়াতঃ مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অনুবাদটি বাংলাদেশের বেশীর ভাগ কোরআনে ভুল বাখ্য আছে। যেমন বলছেঃ
মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
এই যে “শেষনবী“ বলা হয়েছে। এই “শেষ“ কথাটির আরবী শব্দ কি হবে কখনো দেখেছেন? আসলে এর আরবী শব্দটি হচ্ছে خَاتَمَ খাতম, খাতাম কিংবা খতম। ফার্সী শব্দ খাতাম মানে শেষ,উর্দু শব্দও খাতাম মানে শেষ, হিন্দী শব্দ খাতাম মানে শেষ। বাংলাদেশের মানুষও বলে থাকে খতম করে দিলাম, মানে শেষ
করে দিলাম। "কাহাফ" আসলে আরবী শব্দ খাতাম মানে কি চলুন একটু দেখি। সূরা বাকারা ২:৭ আয়াতঃ
خَتَمَ
اللّهُ عَلَى قُلُوبِهمْ وَعَلَى سَمْعِهِمْ وَعَلَى أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ عظِيمٌ
খাতামাল্লা-হু আলা-কুলুবিহিম------আযা-বুন আজিম।
অর্থঃ আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ (শীল-মোহর) করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় (মোহর) ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।
এই আয়াতেও দেখলেন “খাতাম“ মানে কি? আসলে “খাতাম“ আরবী শব্দ যান মানে শীল,মোহর,অলংকৃত। “খাতাম“ মানে কি এটা কোরআন জুড়ে অনেক জায়গায় আছে। প্লিজ একটু দয়া করে দেখে নিবেন। আমার প্রশ্ন “খাতাম“ মানে কেবল এক জায়গায়'ই হবে শেষ আর অন্য কোথাও খাতাম মানে শেষ কেন হবে না বলুন? এটা কি কেউ তাদের ইচ্ছামত করে নিয়েছে? নাকি আসলে “খাতাম“ মানে আরবী শব্দকে উর্দু,হিন্দী,ফারশী ও বাংলা দিয়ে চালিয়ে দিবে? আমি ইচ্ছা করলে আপনায় আরও আয়াত দিতে পারতাম। কিনতু আপনি একটু কষ্ট করে দেখুন । কোরআনের আর কোথাও “খাতাম“ মানে শেষ লিখা নাই? বরং খাতাম মানে আছে শীল,মোহর,অলংকৃত। কেবল সূরা আহযাবের এই আয়াতেই নিজেদের সার্থ চরিতার্থ করার জন্য খাতাম মানে শেষ লিখা হয়েছে। আসলে এই আহযাবের আসল বাখ্য কি হবে একটু দেখে নেয়।
সূরা আহযাব ৩৩:৪০ আয়াতঃ مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃ মুহাম্মদ কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
এখন আপনি বলতে পারেন যে, শীল মানেইতো শেষ। না মোটেও শীল মানে শেষ নয়।একটু গল্পের আকারে বলি। আমরা সকলে কোথাও চিঠি পাঠাতে চায়লে ডাক বাক্সে গিয়ে চিঠি ফেলে আসি।একটি নিদৃষ্ট সময়ে পিয়ন এসে চিঠি গুলি বের করে নেয়। এবং বের করে সরাসরি সে বিলি করতে যায় না। সে করেকি? তার অফিসে নিয়ে তাতে একটি লোহার শীল প্যাডে কালি নিয়ে চিঠিতে মারে। মানে সত্যায়ন করে। তার মানে শীল অর্থাত শেষ নয়। শীল মানে সত্যায়নকারী। আমরা যখন চিঠিটা পায় তখন খামের উপরের শীল দেখে বুঝি এই চিঠিটা কোথায় থেকে এসেছে। আমরা চিঠির সত্যায়ন শীল দেখে বুঝি এটা ডাক বিভাগ থেকে নাকি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে। তাহলে আমরা বুঝলাম আয়াতের
অর্থঃ
মুহাম্মদ কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
তারমানে সকল নবীর সত্যায়নকারী। হচ্ছে মুহাম্মাদ (সাঃ)। কি বুঝলেন।আপনি বুঝবেন না। ঠিক আছ, না বুঝলে এই কোরআনে খাতাম শব্দ বহু জায়গায় আছে আপনি আর একটি জায়গায় “খাতাম“ মানে শেষ এই অর্থটা দেখাবেন প্লিজ। যদি আর কোথাও “খাতাম“ মানে শেষ দেখাতে পারেন তাহলে আপনাকে গুরু মানবো। অথচ এই “খাতাম“ শব্দ কোরআন জুড়ে অনেক জায়গায় আছে , দয়া করে দেখেনিন এবং আমাকে জানান। আপনি আমার লিখার শিরোনামটি আবারো পড়ুন। মুহাম্মাদ (সা) সকল নবীর নবী এমন কোন আয়াত থাকলে দেখান।
মাওলানা আকরাম খাঁ তার মোস্তফা চরিত বইতে লিখেছেন এই কোরআন মগাদের জন্য নয়। আর আল্লাহ্ কোরআনে বলেছেন ইহা উহাদের জন্য যারা জ্ঞান রাখে। এই কোরআন জ্ঞানীদের জন্য, এই কোরআন বোদ্ধাদের জন্য, এই কোরআন চিন্তশীলদের জন্য। এই কথাগুলি কোরআনের। কোরআন সকলে'ই বুঝেবে এটা ঠিক নয় "কাহাফ" আপনি বলেছেনঃ ৩৩:৪০ আয়াতের অনুবাদ অনুযায়ীও মুহাম্মদ (সাঃ) হচ্ছেন সর্বশেষ নবী বলা হয়েছে।
এই আয়াতটি খুব ভালো করে পড়ে দেখুন কি লিখা আছে আরবীটা।
সূরা আহযাব ৩৩:৪০ আয়াতঃ مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অনুবাদটি বাংলাদেশের বেশীর ভাগ কোরআনে ভুল বাখ্য আছে। যেমন বলছেঃ
মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
এই যে “শেষনবী“ বলা হয়েছে। এই “শেষ“ কথাটির আরবী শব্দ কি হবে কখনো দেখেছেন? আসলে এর আরবী শব্দটি হচ্ছে خَاتَمَ খাতম, খাতাম কিংবা খতম। ফার্সী শব্দ খাতাম মানে শেষ,উর্দু শব্দও খাতাম মানে শেষ, হিন্দী শব্দ খাতাম মানে শেষ। বাংলাদেশের মানুষও বলে থাকে খতম করে দিলাম, মানে শেষ
করে দিলাম। "কাহাফ" আসলে আরবী শব্দ খাতাম মানে কি চলুন একটু দেখি। সূরা বাকারা ২:৭ আয়াতঃ
خَتَمَ
اللّهُ عَلَى قُلُوبِهمْ وَعَلَى سَمْعِهِمْ وَعَلَى أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ عظِيمٌ
খাতামাল্লা-হু আলা-কুলুবিহিম------আযা-বুন আজিম।
অর্থঃ আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ (শীল-মোহর) করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় (মোহর) ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।
এই আয়াতেও দেখলেন “খাতাম“ মানে কি? আসলে “খাতাম“ আরবী শব্দ যান মানে শীল,মোহর,অলংকৃত। “খাতাম“ মানে কি এটা কোরআন জুড়ে অনেক জায়গায় আছে। প্লিজ একটু দয়া করে দেখে নিবেন। আমার প্রশ্ন “খাতাম“ মানে কেবল এক জায়গায়'ই হবে শেষ আর অন্য কোথাও খাতাম মানে শেষ কেন হবে না বলুন? এটা কি কেউ তাদের ইচ্ছামত করে নিয়েছে? নাকি আসলে “খাতাম“ মানে আরবী শব্দকে উর্দু,হিন্দী,ফারশী ও বাংলা দিয়ে চালিয়ে দিবে? আমি ইচ্ছা করলে আপনায় আরও আয়াত দিতে পারতাম। কিনতু আপনি একটু কষ্ট করে দেখুন । কোরআনের আর কোথাও “খাতাম“ মানে শেষ লিখা নাই? বরং খাতাম মানে আছে শীল,মোহর,অলংকৃত। কেবল সূরা আহযাবের এই আয়াতেই নিজেদের সার্থ চরিতার্থ করার জন্য খাতাম মানে শেষ লিখা হয়েছে। আসলে এই আহযাবের আসল বাখ্য কি হবে একটু দেখে নেয়।
সূরা আহযাব ৩৩:৪০ আয়াতঃ مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃ মুহাম্মদ কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
এখন আপনি বলতে পারেন যে, শীল মানেইতো শেষ। না মোটেও শীল মানে শেষ নয়।একটু গল্পের আকারে বলি। আমরা সকলে কোথাও চিঠি পাঠাতে চায়লে ডাক বাক্সে গিয়ে চিঠি ফেলে আসি।একটি নিদৃষ্ট সময়ে পিয়ন এসে চিঠি গুলি বের করে নেয়। এবং বের করে সরাসরি সে বিলি করতে যায় না। সে করেকি? তার অফিসে নিয়ে তাতে একটি লোহার শীল প্যাডে কালি নিয়ে চিঠিতে মারে। মানে সত্যায়ন করে। তার মানে শীল অর্থাত শেষ নয়। শীল মানে সত্যায়নকারী। আমরা যখন চিঠিটা পায় তখন খামের উপরের শীল দেখে বুঝি এই চিঠিটা কোথায় থেকে এসেছে। আমরা চিঠির সত্যায়ন শীল দেখে বুঝি এটা ডাক বিভাগ থেকে নাকি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে। তাহলে আমরা বুঝলাম আয়াতের
অর্থঃ
মুহাম্মদ কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
তারমানে সকল নবীর সত্যায়নকারী। হচ্ছে মুহাম্মাদ (সাঃ)। কি বুঝলেন।আপনি বুঝবেন না। ঠিক আছ, না বুঝলে এই কোরআনে খাতাম শব্দ বহু জায়গায় আছে আপনি আর একটি জায়গায় “খাতাম“ মানে শেষ এই অর্থটা দেখাবেন প্লিজ। যদি আর কোথাও “খাতাম“ মানে শেষ দেখাতে পারেন তাহলে আপনাকে গুরু মানবো। অথচ এই “খাতাম“ শব্দ কোরআন জুড়ে অনেক জায়গায় আছে , দয়া করে দেখেনিন এবং আমাকে জানান। আপনি আমার লিখার শিরোনামটি আবারো পড়ুন। মুহাম্মাদ (সা) সকল নবীর নবী এমন কোন আয়াত থাকলে দেখান।
সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলে
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।
সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।
সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।
আপনি আরও একটি কমেন্টে বলেছের: “নামাজ কয় রাকাত পড়তে হবে তা কি কোরআন দ্বারা প্রমান করা যাবে“ আমার লিখার শিরোম অনুযায়ী আপনার এই কথা কেন আসছে? আমিতো লেখার শিরোনামে বলেছি: “হাদীস মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবী, কোরআন মতে নয়“ আপনি কোরআন দিয়ে দেখান। নামাজ কয় রাকাত এটা বিষয় নয়, বিষয় সালাতের নির্দেশ এটা কোরানিক; এই নির্দেশ হাদীসের নয়। আশা করি বিষয়টি আপনার কাছে ক্লিয়ার?
আপনার মূল বক্তব্যই তো ভুল। সকল নবীর নবী নন মুহাম্মদ (স)। তিনি আল্লাহর নবী কিন্তু শ্রেষ্ঠ নবী। বলবেন যে আপনি সেটা পড়ে লিখেছেন, কিন্তু শিরোনামে আপনি ভুল করেছেন।
আর "খাতাম" নিয়ে যে গবেষনা কপচালেন হাসতে হাসতে আমার জান বেরিয়ে যাবার উপক্রম। ভাই কে বলসে আরেকজনের লেখা পড়ে নিজে পোদ্দারী ফলাতে?!
"খতম" আর "খাতাম" শুনতে একই রকম লাগতে পারে আপনার কাছে, কিন্তু বাংলায় যেমনটা "কপাল" আর "কপোল"। আকাশ-পাতাল তফাৎ দুইটাতে।
মুহাম্মদ(স) শ্রেষ্ঠ হওয়ার জন্য আপনার সাথে তর্ক করার কোনও দরকার নেই। আল্লাহ বলেন-"আপনার স্মরণকে আমি সর্ব-উচুতে করেছি" (৯৪>৪)
"আপনাকে আমি স্তরের উপর স্তরে উন্নীত করবো"(৮৪>১৯)
আপনার কথাবার্তায় কাদীয়ানি কাদীয়ানি গন্ধ কেন বুঝলাম না
এই “খাতাম“ শব্দ কোরআন জুড়ে অনেক জায়গায় আছে , দয়া করে দেখেনিন এবং আমাকে জানান। আপনি আমার লিখার শিরোনামটি আবারো পড়ুন। মুহাম্মাদ (সা) সকল নবীর নবী এমন কোন আয়াত থাকলে দেখান।
“খাতাম“ মানে কেবল কোরআনের এক জায়গায় হবে শেষ আর সব জায়গায় তার মানে অন্য হবে এমন ব্যকারণ কোথায় শিখলেন?
আমি রেফারেন্স দিয়েই প্রমান দিয়েছি মুহাম্মদ (স) শ্রেষ্ঠ।আয়াতগুলো পড়ে দেখুন।
ختمআরخاتم একই শব্দ নয়। ছিটেফোটা আরবীর ইলম থাকলেও সেটা জানার কথা।
আর হাদীস যে ব্যক্তিদের মাধ্যমে আমাদের কাছে এসেছে কোরআনও সেই একই ব্যক্তিদের দ্বারাই আমাদের কাছে পৌছেছে। তাই কোরআন যদি আপনার কাছে গ্রহনযোগ্য হয় তাহলে হাদীসও আপনি মেনে নিতে বাধ্য।
কারন হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা।
নিজেকে জাহির করার আরো পথ আছ, এসব বাদ দিন। এগুলো পাগল হয়ে যাবার লক্ষন।
আর হাদীস যে ব্যক্তিদের মাধ্যমে আমাদের কাছে এসেছে কোরআনও সেই একই ব্যক্তিদের দ্বারাই আমাদের কাছে পৌছেছে।
এই কথাতেই বোঝা যায় আপনার জ্ঞানের পরিধী। আর কি আলাপ করবো আপনার সাথে। আলাপ করতাম যদি আপনার হাদীস আর কোরআন সম্পর্কে কিছুটা ধারনা থাকতো।
“আলোতে থাকুন
ভালোতে থাকুন“
মন্তব্য করতে লগইন করুন