মুসলমানরা কোরআনের জন্য জীবন দিতে রাজি, কিন্তু কোরআনের আলোয় জীবন গড়তে রাজিনা।

লিখেছেন লিখেছেন সেলিম জাহাঙ্গীর ০৪ জানুয়ারি, ২০১৩, ১২:০২:১৯ রাত

হায় জাতি কি শিক্ষা নিলে এই ১৪ শত বছর ধরে? মুসলমানরা কোরআনের জন্য জীবন দিতে রাজি অথচ সেই কোরআনের আলোয় জীবন গড়তে তারা নারাজ। যে ধর্মের প্রবর্তক আজ থেকে ১৪ শত বছর পূর্বে তার সুচারু দৃষ্টি দিয়ে মাবুদকে দেখেছেন এবং অন্যকে তার দৃষ্টি দিয়ে সৃষ্টি কর্তাকে দেখাতে চেয়েছেন; বলে দিয়েছেন কোন সে পথে চললে তাঁকে দেখা যায়। সেই সহজ সরল মানুষটিকে অনুসরণ করতে হলে আগে ভালো করে বুজতে হবে মুহাম্মাদ (সাঃ) আসলে কে, কেন ও কেন তার আবির্ভাব। মুহাম্মাদ (সাঃ) যাকে চেনাতে যে বিষয় নিয়ে লড়েছে আমরা আসলে তাঁকে চিনেছি কি? এই "তাঁকে" চিনতে ও চেনাতে পৃথিবীর শুরু থেকে লড়ছে হাজার হাজার আল্লাহ প্রেরিত নবী-রাসুল, গাউস কুতুব। এই পৃথিবীতে যখনি কোন পাগোল, বুদ্ধিহীন মানুষ, মুহাম্মাদ (সাঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গ কার্টুণ, ব্যঙ্গ চিত্র ও কুরুচি পূর্ণ মন্তব্য করেছে সাথে সাথে পৃথিবী জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে । কেন আপনার কি ধারনা তাদের এই সব কারণে ইসলাম বিনিষ্ট হবে? কখনো নয়। যখন কেউ কোরআন কে হেউ করেছে কিংবা পুড়িয়েছে সঙ্গে সঙ্গে রাজপথে নেমেছে এই পাগোলপারা ধর্মান্ধ মানুষগুলো। কেন ধর্মান্ধ মানুষ বললাম? এই কারনে বললাম যে কোরআন রক্ষার জন্য তুমি জীবন বাজি রেখে মরতে রাজি আছো, অথচ সেই কোরআন কে তুমি কতটা মানছো? কেন কোরআন কে মানছো না, জানছো না। কোরআন যদি তোমার রক্ষা কবজ হয়; ভালো লাগা ও ভালো বাসার কিতাব হয়, তাহলে তাকে আঁকড়ে ধরছো না কেন? তুমি কোরআনের জন্য মরবে অথচ কোরআন মানবে না এটা কেমন মুসলমান তুমি ভাবতে হবে। কোন পাগোল আমার এবং তোমার ধর্ম নিয়ে পাগলামী করলো আর তুমি সেই পাগোলের সাথে ঝাপিয়ে পড়লে, নিজের ধর্ম রক্ষা করতে। তোমাদের কি ধারনা কোন পাগোল কারো ধর্ম বিনাশ করতে পারে? পাগোলের প্রতি তোমার ক্ষোভ প্রাকাশ করতে নিজের দেশের সম্পদকে ভাংচুর করলে,জ্বালাউ পুড়াউ করলে এটা কি তোমার ধর্মের আকিদা? এটা কোন ধর্মের শিক্ষা হতে পারে না। কোন দেশে যদি কেউ পাগলামী করে, কোন ধর্মকে কটাক্ষ্য করে সেটা সেই দেশের ভক্তদের দায়ীত্ব প্রতিবাদ করা গণতান্ত্রিক উপায়ে। কোন পাগোলের পলাপে ধর্ম বিনাশ হয় না। ধর্মের শিকড় ভূগর্ভের হার্টপয়েন্টে থেকে উঠে আসে বলেই তাকে ছিড়ে ফেলা যায় না। জ্বালাউ পোড়াও হত্যা ও লুটতরাজ করে স্ব ধর্মের প্রতি ভালো বাসা জাহির করা যায় না, এটা নিতান্ত্যই অনুধাবনের বিষয়। ভালো বাসতে হলে আগে নিজকে চেনো, ধর্মকে জানো তারপর সেই ধর্মকে দেহে লালন করো,তারপর তাকে পালন করো। কোরআন ও নবী-রাসুল রক্ষার জন্য মরবে অথচ কোরআন মানবে না? এটা একটা মূর্খের মত কাজ বইতোনয়। কোরআন ও রাসুল (সাঃ) যদি তোমার মূল আকিদা হয় তাহলে তাকে দেহে ধারন কর। কে কি বললো তা নিয়ে তুমি তোমার নিজের ক্ষতি ডেকে আনবা না। একটি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে আর দশটি অন্যায় তোমরা করোনা। নিজ দেহে হৃদয়ের সাথে মহব্বত স্থাপন করো, জাগ্রত করো বিবেক; আমরা যেন প্রতিবাদ করি ধর্যের সাথে।

মহব্বত সব সময় ধর্য ধরে, দয়া করে, হিংসা করে না, গর্ব করে না,অহংকার করে না, খারাপ ব্যবহার করে না, নিজের সুবিধার চেষ্টা করে না, রাগ করে না, কারও খারাপ ব্যবহারের কথা মনে রাখে না,খারপ কিছু নিয়ে আনন্দ করে না বরং যা সত্য তাতে আনন্দ করে। মহব্বত সব কিছইু সহ্য করে, সকলকেই বিশ্বাস করতে আগ্রহী, সব কিছুতে আশা রাখে আর সব অবস্থায় স্থির থাকে। এই মহব্বত কখনও শেষ হয় না।

#

বিষয়: বিবিধ

১০৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File