একজন আগাছা চৌধুরীঃ হাম্বাদিকদের প্রতিমূর্তি
লিখেছেন লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ০৬ জানুয়ারি, ২০১৫, ১১:৪১:১১ সকাল
হাম্বাদিক কাহাকে বলে তা বোধ করি নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। মিথ্যা কাহাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি এবং কি উপায়ে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় তাহাতে হাম্বাদিকরা এত দক্ষ যে খোদ গোয়েবলস বাঁচিয়া থাকিলে ব্যাপক লজ্জা পাইতো। আর আমাদের দেশের হাম্বাদিকদের একজন গুরু আছে। সে হলো -আগাছা চৌধুরী।
এ বদমাইশ লন্ডনে বসে বাংলা মদ আর বিলাতী মদ মিশিয়ে ককটেল বানিয়ে সেবন করে এবং হাম্বাদিকদের পত্রিকায় ‘কলাম’ নামের আগাছা প্রসব করে। তার সেসব আগাছা এতটাই অখাদ্য যে, নিরীহ আবাল গরুরও বমির উদ্রেক হয়। গাঁজাখুরী গল্প রচনায় এ আহাম্মক মৃত মানুষের রেফারেন্স টানে যাতে বক্তব্য চ্যালেঞ্জ করার মত কেউ না থাকে। কিন্তু তার সচতুর মিথ্যা সহজেই ধরা পড়ে যায় অনুসন্ধানী পাঠকের জহুরী চোখে।
এই আগাছা চৌধুরী কয়দিন গাঁজাখুরি এক গল্প প্রসব করিয়াছিল। গল্পটি এইঃ
‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে একবার একটা কাজে জিয়াউর রহমানের বাড়িতে গিয়েছিলাম, সেখানে গিয়ে দেখলাম জিয়াউর রহমান কোমরের বেল্ট দিয়ে একটা বালককে বেধড়ক পেটাচ্ছেন, পেছনে খালেদা জিয়া দাঁড়িয়ে আছেন। জানতে চাইলাম, মেজর সাহেব তাকে এত পেটাচ্ছেন কেন? সে তো মারা যাবে, তখন জিয়াউর রহমান আমাকে বললেন, বদমাশটা স্কুল থেকে বহিষ্কার হয়েছে। পরে জানলাম ওই বালক জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান। মেয়েদের চুমু খাওয়ার অপরাধে বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এই সেই তারেক রহমান।”
গল্পটি যে কতটা গাঁজাখুরি তার প্রমাণ দিচ্ছি।
১। তারেক রহমান বিএএফ শাহীন কলেজ এ ভর্তি হন ১৯৮০ সালে ক্লাস নাইনে। আগাছা চৌধুরীর বাপ তখন কবরের তলা হতে তারে ক্যামনে জিয়াউর রহমানের বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন তা আমার অনুর্বর মস্তিষ্ক বুঝতে অক্ষম।
২। আহাম্মক আগাছা চৌধুরীর বোধহয় স্বপ্নদোষের ব্যারাম আছিল কিংবা এখনো আছে। কি একটা স্বপ্ন দেখছিল আর স্বপ্ন থেকে জেগে ককটেল আর গাঞ্জা সেবন করিয়া গাঞ্জাখুরী েএকটি গল্প লিখলো আর কি!
কারণ ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমান অলরেডি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। আগাছা চৌধুরী তখন লন্ডন পলাতক। শেখ মুজিব টুঙ্গিপাড়ায় শায়িত। তাহলে ক্যামনে কি?
জয় বাংলা
হাম্বাদিক সামলা।
বিষয়: রাজনীতি
১৪৯৮ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বউ হয়ে যায় শালিরে...
এই হলো আমাদের আগাছা দি গ্রেট। আর শেখ মুজিবুর রহমান কোন ভা্বেই মেজর জিয়ার কাছে তাকে পাঠাতে পারেন না কারন জিয়াউর রহমান ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই পূর্নাঙ্গ কর্নেল র্যাংক এর অধিকারি ছিলেন।
আপনাকে ধন্যবাদ।
জ্বি, তা ঠিক বলেছেন। তৈলবাজি আর বেফাঁস গল্প বলে নেত্রীকে খুশি করতে পারাই তাদের একমাত্র যোগ্যতা।
লেখায় ইতিহাসবিদের মুখোশ উন্মোচনের চেয়ে সাহিত্যের ছোঁয়া বেশি ।হাঃ হাঃ হাঃ
মন্তব্য করতে লগইন করুন