সংখ্যালঘু নয়, গণহত্যার মাধ্যমে সংখ্যাগুরু নির্যাতন হচ্ছে।
লিখেছেন লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ০৪ মার্চ, ২০১৩, ১২:৫৩:১৮ দুপুর
দেশের প্রকৃত চিত্রকে আড়াল করার জন্য সংখ্যালঘু নির্যাতন এর ধুঁয়া তোলা হচ্ছে। এটি যে কত বড় মিথ্যাচার সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
প্রথমেই একটি গাণিতিক বিশ্লেষণ করি। দেশের ৮৭% মানুষ মুসলমান এবং ১৩% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ সংখ্যালঘু। গত কয়েকদিনের গণহত্যায় শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন। এর মাঝে সংখ্যালঘু মাত্র ২ জন। লক্ষ্য করুন, নিহত ১০০ জন এর মাঝে ১৩ জন সংখ্যালঘু থাকলে সেটাকে স্বাভাবিক বলা যেত। আনুপাতিক হিসাব তাই বলে। কিন্তু নিহতের মাঝে ২ জন বাদে বাকি সবাই এইদেশ এর বৃহত্তর ধর্মের অনুসারী, তারা মুসলিম।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাচ্ছিরে কোরআন আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী'র বিরুদ্ধে প্রহসন এর রায়ের প্রতিবাদে সারাদেশ এ রাস্তায় নেমে আসে দেশপ্রেমিক ঈমাণদার মুসলমানরা। আর সেখানে পাখির মত গুলি করে শহীদ করা হয় শতাধিক ইসলামপ্রিয় নারী পুরুষ শিশুকে। পৈশাচিক গণহত্যায় মেতে ওঠে সরকার।
৭১ নয়, ২০১৩ এ সরকারী পুলিশ ও ছাত্রলীগের তান্ডবে সংঘটিত গণহত্যার আংশিক চিত্র এটা।
এই গণহত্যার ঘটনায় এই দেশ এর দলকানা হলুদ মিডিয়া যখন নীরব ভূমিকা নিয়ে উল্টো সরকারের এই পৈশাচিক গণহত্যাকে জামাত শিবিরের তান্ডব বলে প্রচার করছিল তখন বিশ্ব মিডিয়ায় কিন্তু ঠিকই প্রকৃত চিত্র কিছুটা প্রকাশ হচ্ছিল। তাই এই ন্যক্কারজনক পৈশাচিক গণহত্যার ঘটনাকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রলেপ লাগানোর জন্য দুই একটি সংখ্যালঘুর লাশ প্রয়োজন ছিল বৈকি। আরো প্রয়োজন ছিল মন্দির ভাঙ্গার মত হিংসাত্মক ঘটনারও। আর এসবই সরকারের সোনার ছেলেরা তড়িৎ গতিতে সংঘটিত করেছেও বটে। হলুদ মিডিয়াকে এবার আর পায় কে? আর তাঁদের পাশে আবার আছে আন্তর্জাতিক হলুদ মিডিয়া বিবিসি। সারা দেশের কোটি কোটি মানুষের আবেগ অনুভূতির সাথে প্রতারণা করে তাঁরা শতাধিক লাশের ঘটনাকে আড়াল করে সংখ্যালঘু নির্যাতন এর বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করতে লাগলো। তাঁদের ডাহা মিথ্যার জবাব দেয়ার মত মিডিয়ার আজ বড়ই অভাব দেশে। সত্যি কথা সাহস করে প্রকাশ করায় মাহমুদুর রহমান এর মত সম্পাদক প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন