ডিয়ার মুসলিমস, ইসলাম ইজ নট অ্যা ম্যাটার অব জোকস (পর্ব আট)
লিখেছেন লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:০৬:২১ বিকাল
আগের পর্বের লিংকঃ http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/1838/President/53058#.VBf8lldXv2k
শিরক ও বিদআতের চলমান আলোচনায় আপনাদের স্বাগতম। গত দুটি পর্বে কিছু ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আলোচনা করেছিলাম- কিভাবে ধীরে ধীরে ভারতবর্ষের নব দিক্ষীত মুসলমানরা সুলতান হোসেন শাহীর ও পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট আকবরের ইসলাম বিকৃতির শিকার হয়ে শিরক বিদয়াতে লিপ্ত হয়েছিল। একটি বিষয় বলে রাখি- আলোচনার সুবিধার্থে শিরক ও বিদআত একসাথে আলোচনা করা হলেও দুটি এক বিষয় নয়। দুটিই পাপ। তবে শিরক সবচেয়ে বড় পাপ। কিছু বিদআত আবার শিরকও বটে। সোজা কথায় বলা যেতে পারে- সকল শিরকই বিদআত, কিন্তু সকল বিদআত শিরক নয়। ঐতিহাসিক ও মৌলিক আলোচনা শেষে এ বিষয়টি আরো ব্যাখ্যা করার ইচ্ছে আছে।
এ পর্বে ফকীর সন্ন্যাসীদের মাধ্যমে কিভাবে কবরপূজা ও নানা অনাচারের মাধ্যমে শিরক বিদআত ও অনাচার/অজাচার চালু হয় সে প্রসঙ্গে আলোকপাত করবো।
ইসলামের পতন যুগে পীরপূজা ও কবরপূজার ব্যাধি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে মুসলমানদের মাঝে। ঐতিহাসিক এম. টি. টিটাসের মতে এ কুসংস্কার আগত হয় পারস্য, আফগানিস্তান ও ইরাক হতে। ডাঃ জেমস ওয়াইজ মহরম উৎসবকে হিন্দুদের রথযাত্রা উৎসবের সাথে তুলনা করেছেন। মূলত তাই বটে!
পারস্য তথা ইরান এর অধিবাসীরা ছিল একসময় জরাথ্রুস্ট ধর্মের অনুসারী। পরবর্তীতে ইসলামী শাসনাধীনে এলেও সেখানকার বেশিরভাগ মুসলমানের ঈমান আকীদায় জরাথ্রুস্ট ধর্মের প্রভাব থেকে যায়। পারস্য ও ফার্সী ভাষা হতে পরবর্তীতে এ উপমহাদেশে প্রচুর শিরক বিদআতের অনুপ্রবেশ ঘটে।
সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, অতীতে যে সকল নেককার অলী দরবেশ বিশুদ্ধ ইসলামের বাণী প্রচার করেছেন, তাওহীদের আলোয় সকল শিরক বিদআত ও কুসংস্কার উপড়ে ফেলেছেন শক্ত হাতে, মৃত্যুর পর তাঁদেরই কবরকে পূজার কেন্দ্র বানিয়েছে অজ্ঞ মুসলমানেরা।
সিলেটের শাহজালাল, পাঁচপীর সহ শতশত মাজার, ঢাকার মীরপুরের শাহআলী, গুলিস্তানের গোলাপশাহ, চট্টগ্রামের সহস্রাধিক মাজার সহ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে এ ধরনের অগণিত কবর ও দরগাহ বিদ্যমান আছে যেখানে আজো এক শ্রেণীর মুসলমান নিত্য শিরক বিদআত করে যাচ্ছে।
আজমীরে খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর (রহঃ) মাজারের গিলাফ সরিয়ে বেহেশতের দরজা(???) দেখিয়ে মাজারের দালালগণ প্রচুর অর্থ রোজগার করে থাকে। আমাদের দেশের অনেক ধনী ব্যবসায়ী ফরজ হজ্জ্ব পালন না করে আজমীরে জিয়ারত করতে যায়, মানত করে। মূলত জাহান্নামের অগ্নি ক্রয় করে নিচ্ছে তারা!
ভন্ড পীর ফকীরের দল ধর্মের নামে বৈষ্ঞব ও বামাচারী তান্ত্রিকদের অনুকরণে যৌন অনাচারেরও আমদানী করে।
বাউল সম্প্রদায় সম্পর্কে যারা পড়াশোনা করেছেন তাদের কাছে প্রয়াত লেখক আহমদ শরীফের “বাউল তত্ত্ব” এবং লালন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডক্টর আনোয়ারুল করিমের “বাংলাদেশের বাউল- সমাজ, সাহিত্য ও সংগীত” নামের বই দুটো খুবই পরিচিত। “বাউল” শব্দটির উৎস ও এই সম্প্রদায়ের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে ডক্টর আনোয়ারুল করিম তার “বাংলাদেশের বাউল” বইতে যা লিখেছেন তার সারাংশ হল, প্রাচীন প্যালেস্টাইন এর রাসসামরায় বা’আল নামের একজন প্রজনন দেবতার উপাসনা করা হতো। তৌরাত, ইঞ্জিল(বাইবেল), কোরান মজিদসহ সকল ধর্মগ্রন্থেই এই দেবতাকে তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং তার উপাসনা থেকে সকলকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মূলত বা’আল প্রজনন-দেবতা হওয়ায় মৈথুন বা যৌনাচার এই ধর্মের অঙ্গীভূত হয়ে পড়ে। এই বা’আল ধর্ম এক সময় এ উপমদেশীয় অঞ্চলেও ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। পরবর্তীতে এ অঞ্চলে ইসলামের সুফীবাদী মতবাদের প্রচার-প্রসার ঘটার পর সম্ভবত ইসলাম ও পৌত্তলিকতা উভয় মতবাদের সংমিশ্রণে একটি নতুন লোকধর্মের উদ্ভব ঘটেছিল যার উপরিভাগে ছিল মুসলিম সূফীবাদের প্রাধান্য, অভ্যন্তরে ছিল তন্ত্র ও যোগনির্ভর দেহজ সাধনা। তাই তার ধারণা মতে কালক্রমে এই বা’আল লোকধর্মই পরবর্তীতে বাউল লোকধর্মে পরিণত হয়েছে এবং লোকনিরুক্তি অনুসারে বাউল শব্দটি বা’আল>বাওল>বাউল এভাবে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে। (বা.বা পৃষ্ঠা ১৩৩-১৪৫) ডা. আহমদ শরীফ তার “বাউলতত্ত্ব” বইটিতে বাউল ধর্মমত সম্পর্কে বলেন, “ব্রাহ্মণ্য, শৈব ও বৌদ্ধ সহজিয়া মতের সমবায়ে গড়ে উথেছে একটি মিশ্রমত যার নাম নাথপন্থ। …দেহতাত্ত্বিক সাধনাই এদের লক্ষ্য। (নাথপন্থ এবং সহজিয়া) এ দুটো সম্প্রদায়ের লোক একসময় ইসলাম ও বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত হয়, কিন্তু পুরনো বিশ্বাস-সংস্কার বর্জন করা সম্ভব হয়নি বলেই ইসলাম ও বৈষ্ণব ধর্মের আওতায় থেকেও এরা পুরনো প্রথায় ধর্ম সাধনা করে চলে, তার ফলেই হিন্দু-মুসলমানের মিলিত বাউল মতের উদ্ভব। তাই হিন্দু গুরুর মুসলিম সাগরেদ বা মুসলিম গুরুর হিন্দু সাগরেদ গ্রহণে কোন বাধা নেই। তারা ব্রাহ্মণ্য ধর্ম ও শরিয়তী ইসলামের বেড়া ভেঙে নিজের মনের মত করে পথ তৈরি করে নিয়েছে। এজন্য তারা বলে,
“কালী কৃষ্ণ গড খোদা
কোন নামে নাহি বাধা
মন কালী কৃষ্ণ গড খোদা বলো রে।”
(বাউলতত্ত্ব পৃঃ ৫৩-৫৪)।
সাধারণ জনারণ্যে বাউলরা নাড়ার ফকির নামে পরিচিত। ‘নাড়া’ শব্দটির অর্থ হল শাখাহীন অর্থাৎ এদের কোন সন্তান হয়না। তারা নিজেদের হিন্দু মুসলমান কোনকিছু বলেই পরিচয় দেয়না। লালন শাহ ছিলেন বাউলদের গুরু। লালনকে বাউলরা দেবতা জ্ঞানে পূজা করে। তাই তার ‘ওরসে’ তাদের আগমন এবং ভক্তি অর্পণ বাউলদের ধর্মের অঙ্গ। (বা.বা পৃঃ ১৪) লালন শাহের অনুসারীদের একটি অংশ ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের দপ্তরে একজন মুসলমান অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “আমরা বাউল। আমাদের ধর্ম আলাদা। আমরা না-মুসলমান, না-হিন্দু। আমাদের নবী সাঁইজি লালন শাহ। তাঁর গান আমাদের ধর্মীয় শ্লোক। সাঁইজির মাজার আমাদের তীর্থভূমি। আমাদের গুরুই আমাদের রাসুল। …ডক্টর সাহেব [অর্থাৎ উক্ত মুসলিম অধ্যাপক] আমাদের তীর্থভূমিতে ঢুকে আমাদের ধর্মীয় কাজে বাধা দেন। কোরআন তেলাওয়াত করেন, ইসলামের কথা বলেন… এ সবই আমাদের তীর্থভূমিতে আপত্তিকর। আমরা আলাদা একটি জাতি, আমাদের কালেমাও আলাদা –লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লালন রাসুলুল্লাহ।” (দ্রঃ সুধীর চক্রবর্তী, ব্রাত্য লোকায়ত লালন, ২য় সংস্করণ, আগস্ট ১৯৯৮ পৃঃ ৪-৯৫)
বাউল সাধনা মূলত একটি আধ্যাত্বসাধনা, তবে যৌনাচার এই সাধনার অপরিহার্য অঙ্গ। ড. আহমদ শরীফের ভাষায় কামাচার বা মিথুনাত্বক যোগসাধনাই বাউল পদ্ধতি। বাউল সাধনায় পরকীয়া প্রেম এবং গাঁজা সেবন প্রচলিত। বাউলরা বিশ্বাস করে যে, কুমারী মেয়ের রজঃপান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক তৈরী হয়। তাই বাউলদের মধ্যে রজঃপান একটি সাধারন ঘটনা। এছাড়া, তারা রোগমুক্তির জন্য স্বীয় মুত্র ও স্তনদুগ্ধ পান করে। সর্বরোগ থেকে মুক্তির জন্য তারা মল, মুত্র, রজঃ ও বীর্য মিশ্রণে প্রেমভাজা নামক একপ্রকার পদার্থ তৈরি করে তা ভক্ষণ করে। একজন বাউলের একাধিক সেবাদাসী থাকে। এদের অধিকাংশই কমবয়সী মেয়ে। (বা.বা পৃ ৩৫০, ৩৮২)
সর্বজনাব মাওলান আকরাম খাঁ তাঁর ‘মুসলেম বংগের সামাজিক ইতিহাস’ গ্রন্থে এ পীর পূজারী ও নাড়া বাউল ফকীরদের নোংরামি তুলে ধরেছেন এভাবে- “যখন বামাচারীরা ভৈরবী চক্রে (নির্বিচারে অবাদ যৌনসঙ্গমের জন্য মিলিত একটি চক্র) মিলিত হয়, তখন ব্রাহ্মণ-চন্ডালের কোনো ভেদ থাকে না। একদল নরনারী অন্যলোকের অগম্য একটি নির্জন স্থানে মিলিত হইয়া ভৈরবীচক্র নামে একটি চক্র রচনা করিয়া উপবেশন করে অথবা দন্ডায়মান হয়। এই কামুকদের সকল পুরুষ একজন স্ত্রীলোককে বাছিয়া লইয়া তাহাকে উলঙ্গ করিয়া পূজা করে। পূজাপর্ব শেষে শুরু হয় উদ্যাম মদ্যপানের পালা। মদ্যপানের পর যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে পরিধানের সকল বস্ত্র ছুড়িয়া ফেলে সকলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হইয়া পড়ে এবং যাহাকে যাহার ইচ্ছা তাহার সহিত এবং যতজনে সাথে সম্ভব ততজনের সঙ্গে অবাধ যৌন সঙ্গমে মাতিয়া উঠে- যৌনসঙ্গী যদি মাতা, কন্যা অথবা ভগ্নিও হয় তাহাতেও তাহাদের কিছু যায় আসে না। বামাচারীদের তন্কশাস্ত্রে এরূপ বিধান আছে যে, একমাত্র মাতা ব্যতীত যৌন সঙ্গমে অবশ্যই অন্য কোনো নারীকে বাদ দিবে না এবং কন্যা হউক, ভগ্নি হউক আর সকল নারীর সঙ্গেই যৌন কার্য করিবে।(জ্ঞান সংকলনীতন্ত্র, মাতৃং যোনিং পরিত্যাজ্য বিহারেং, সর্বযোনীয়ু)।-এসব বৈষ্ঞবতান্ত্রিক বামাচারীদের আরও এমন জঘন্য অশ্লীল ক্রিয়াকলাপ আছে যে, তা ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়।”
বলাবাহুল্য জঘন্য এসব অজাচার এর বিকাশ লাভ করেছে হিন্দু ধর্ম হতে।
হিন্দু ধর্মগ্রন্থসমূহে অজাচারের প্রচুর কাহিনী আছে। বেদ, মহাভারত, রামায়ণ অজাচারের কাহিনীতে পূর্ণ। ‘দশরথ জাতক’-এ বর্ণিত
আছে যে, রাজা দশরথ ও রানী কৌশল্যার মধ্যে ভাইবোনের সম্পর্ক ছিল, তথাপি তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল। ঋগে¦দ-এ দেখা যায়, দম্ভ
নিজ বোন মায়াকে, লোভ নিজ বোন নিবৃত্তিকে, ক্রোধ নিজ বোন হিংসাকে এবং কলি নিজ বোন নিরুক্তিকে বিয়ে করেছিল।
শুধু ভাইবোন নয়, হিন্দু ধর্মে মা-ছেলে (ইদিপাস কমপ্লেক্স) বা পিতা-কন্যার (ইলেক্ট্রা কমপ্লেক্স)
মধ্যে দৈহিক সম্পর্কের স্বীকৃতিও দেখা যায়। ঋগে¦দ-এ উল্লেখ আছে: পূষণ তার বিধবা মাকে বিয়ে করে দ্বিধিষু অর্থাৎ বিধবার স্বামী হয়েছিল। হিন্দুশাস্ত্র ‘মৎস পুরাণ’-এ বর্ণিত আছে যে, ঈশ্বর ব্রহ্মা নিজ কন্যা শতরূপার
প্রতি প্রণয়াশক্ত হন এবং হিন্দুদের আদি মানব মনুর জন্ম হয় ব্রহ্মা আর শতরূপার মিলন থেকেই। (প্রাসঙ্গিক ক্রমেই এ সত্যি বিষয়গুলি আলোচনায় আনতে হয়েছে। কারো অনুভূতিতে আঘাত লাগলে দুঃখ প্রকাশ করছি)।
আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন-‘আমি কেন ইসলাম গ্রহণ করলাম’-আবুল হোসেন ভট্টাচার্য। প্রাসঙ্গিক ক্রমে উল্ল্যেখ যে, তিনি একজন বিশিষ্ট ব্রাহ্মণ ছিলেন এবং পরবর্তীতে ‘শুধু নিম্নবর্ণের হিন্দুরা ইসলাম গ্রহণ করে’-এ অপপ্রচার খন্ডানোর জন্য নামের শেষে ভট্টাচার্য শব্দটি রেখে দেন।
শ্রদ্ধেয় মাওলানা আকরম খাঁ তাঁর উল্লেখিত গ্রন্থে আরো বলেনঃ “পবিত্র কোরআন মজীদের বিভিন্ন শব্দ ও মূলতত্ত্বের যে ব্যাখ্যা এই সমস্ত শয়তান নেড়ার ফকীরের দল দিয়েছে তাহাও অদ্ভূত! ‘হাউজে কাওসার’ বলিতে তাহারা বেহেশতী সঞ্জীবনী সূধার পরিবর্তে স্ত্রীলোকের রজঃ বা ঋতুস্রাব বুঝে। পূজা পদ্ধতিতে এ ঘৃণ্য ফকীরের দল বীর্য পান করে।”
শ্রদ্ধেয় ঐতিহাসিক মরহুম আব্বাস আলী খানের ‘বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস’ গ্রন্থ হতে উদ্ধৃতি দিয়ে আজকের পর্বের অালোচনার ইতি টানছি।
“যদিও গোটা মুসলিম সমাজের অধঃপতন এতটা হয়েছিল না, কিন্তু সমাজে পৌত্তলিক ও বৈষ্ঞব মতবাদের প্রবল বন্যা-যে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে ভাসিয়ে নিয়ে তাদের সাথে একাকার করে দিচ্ছিল, তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা মুসলিম সমাজের ছিল না। কারণ, তৎকালীন মুসলিম শাসকদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থন ছিল পৌত্তলিকতাবাদ ও বৈষ্ঞববাদের প্রতি। ঊনবিংশ প্রথম ভাগে এসবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ-প্রাচীর গড়ে তুলেছিল সাইয়েদ আহমদ শহীদের (রহঃ) এর ইসলামী আন্দোলন ইতিহাসে যার ভ্রান্ত নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওহাবী আন্দোলন’। সাইয়েদ তিতুমীর ও হাজী শরীয়তউল্লাহও এসবের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তথাপি এসব গোমরাহী ও পথভ্রষ্টতার বিষক্রিয়া বিংশতি শতাব্দীর প্রথক কয়েক দশক পর্যন্ত মুসলিম সমাজের একটা অংশকে জর্জরিত করে রেখেছিল। এ কথার প্রমাণ পাওয়া যায় ১৯১১ সালের আদমশুমারী রিপোর্টে। এ রিপোর্টে বলা হয় যে, লোক গণনার সময় এমন কিছু সম্প্রদায়ের দেখা পাওয়া গেছে, যারা নিজেরা স্বীকারোক্তি করেছে যে, তারা হিন্দুও নয় মুসলমান ও নয়। বরঞ্চ উভয়ের সংমিশ্রণ।” (পৃ. ৬৭)।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
৩৩৯৪ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কত সুক্ষ্ণভাবে আমাদেরকে ঈমান-আমল ধ্বংস করার পায়তারা চলছে।
কতটা বিকৃত এবং জঘণ্য কর্মকান্ডের বর্ণনা আপনার লেখা থেকে জানতে পারলাম। আল্লাহ পাক আমাদেরকে এদব থেকে হেফাজত করুন-আমীন।
অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অাপনার কেক তো শেষই হচ্ছে না ............
বাউল সম্প্রদায় এর তথাকথিত সাধন এর সাথে বৈষ্ঞব দের পুর্ন মিল আছে। টাঙ্গাইল এর সাগরদিঘিতে বৈষ্ঞবদের গুপ্ত বৃন্দাবন নামের আখড়াতে এই ধরনের অনুষ্ঠান হতো। এখনও হতে পারে। এর বিবরন সাহিত্যিক অন্নদাশংকর রায় তার আত্মজৈবনিক "জিবন যেীবন" বই তে দিয়েছেন। মানুষকে অশালিনতা দিয়ে সহজেই আকৃষ্ট করা যায়। একে যখন আধ্যাত্বিক মোড়কে উপস্থাপন করা হয় তখন সহজেই বিপথগামি হয় মানুষ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন