খন্দকারের বই ১৯৭১ : ভেতরে বাইরে
লিখেছেন লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০১:০১:২৬ দুপুর
এ লেখার শিরোনামটি ধার করা। মূল লেখক বদরউদ্দীন উমর। আওয়ামী ও বাম ঘরানার একজন প্রবীণ বুদ্ধিজীবি। ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বইটি নিয়ে তাঁর লেখার চুম্বক অংশঃ
১। ৭ মার্চের বক্তৃতা শেখ মুজিব যে ‘জয় পাকিস্তান’ বলে শেষ করেছিলেন এটা আমিও শুনেছিলাম। এটা কোনো ‘কানকথা’ নয়।
২। আওয়ামী লীগওয়ালাদের এক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে যে, তখনকার দিনে কোনো টেপরেকর্ডার বা মোবাইল ফোন ছিল না। রেডিও পাকিস্তানে বক্তৃতার যে টেপ ছিল, সেটা সে সময় আওয়ামী লীগের লোকদের হাতে থাকায় ‘জয় পাকিস্তান’ শব্দ কেটে দিয়ে তারা এই কথার বস্তুগত ভিত্তি চিরতরে নষ্ট করেছিল।
৩। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর ’৭১-এর জানুয়ারিতে পল্টন ময়দানের এক জনসভা বক্তৃতায় শেখ মুজিব যে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছিলেন, এটা আজ পর্যন্ত কেউ অস্বীকার করেননি। তিনি একজন পাকিস্তানি ছিলেন এবং নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়া ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে তার কোনো সংশয় ছিল না। পরবর্তী সময়ে এক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও এবং চারদিকে স্বাধীনতার আওয়াজ উঠতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত শেখ মুজিব এ বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন।
৪। তথ্য-প্রমাণাদির অভাব এবং circumstantial evidence-এর ভিত্তিতে আমি দেখিয়েছি, শেখ মুজিব কর্তৃক ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার বিষয়টি সর্বৈব মিথ্যা এবং আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যপূর্ণ প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
৫। এ.কে. খন্দকার অনেক রকম বাস্তব ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা ২৬ মার্চ শেখ মুজিব কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার যে কথা প্রচার করে থাকেন, তার মধ্যে কোনো সত্যতা নেই। এসব কথা তিনি ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় শোনেননি। তাজউদ্দীনসহ অন্য কোনো আওয়ামী লীগ নেতাও একথা বলেননি। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব নিহত হওয়ার আগে পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো কথাবার্তা অথবা বিতর্ক হয়নি। এটা হল পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগওয়ালাদের তথ্যবিহীন রাজনৈতিক প্রচারণা।
বিষয়: রাজনীতি
১৩০৯ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটা কোন রাজনৈতিক দল নয়...
মিথ্যাবাদীর দল।
কিন্তু আওয়ামীলীগ কি কোনো যুক্তি-প্রমাণের ধার ধারে?
সহমত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন