ডিয়ার মুসলিমস, ইসলাম ইজ নট অ্যা ম্যাটার অব জোকস (পর্ব পাঁচ)
লিখেছেন লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ০৭ আগস্ট, ২০১৪, ১২:৩২:১১ দুপুর
পূর্ববর্তী পর্বের লিংকঃ
ডিয়ার মুসলিমস, ইসলাম ইজ নট অ্যা ম্যাটার অব জোকস (পর্ব চার)
প্রিয় বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? দীর্ঘ ব্যস্ততা কাটিয়ে চলমান সিরিজের পঞ্চম পর্ব নিয়ে উপস্থিত হলাম। ইতিপূর্বে আমার আলোচনার বিষয় ছিল কুফর ও নিফাক। আজ নতুন আলোচনায় যাওয়ার পূর্বে আগের আলোচনার উপসংহার টানতে চাইঃ
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوا عَن سَبِيلِ اللَّهِ وَشَاقُّوا الرَّسُولَ مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْهُدَىٰ لَن يَضُرُّوا اللَّهَ شَيْئًا وَسَيُحْبِطُ أَعْمَالَهُمْ [٤٧:٣٢]
Those who reject Allah, hinder (men) from the Path of Allah, and resist the Messenger, after Guidance has been clearly shown to them, will not injure Allah in the least, but He will make their deeds of no effect.
-যারা কুফরী করে এবং আল্লাহর পথে আসা হতে বিরত রাখে এবং তাদের কাছে হেদায়াত এর পথ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পরও যারা আল্লাহর রাসূলের বিরোধিতা করে, তারা কখনো আল্লাহ তায়ালার কোনো ক্ষতি সাধন সক্ষম হবেনা; অচিরেই আল্লাহ তায়ালা তাদের যাবতীয় কর্ম নিষ্ফল করে দিবেন।(সূরা মুহাম্মাদঃ ৩২)।
এটি সুস্পষ্ট অর্থবোধক আয়াত। একটু খোলা মনে চিন্তা করলেই এ আয়াতের অর্থ সুস্পষ্ট হয়ে ধরা দিবে, বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।
এখানে ‘কর্ম নিষ্ফল করে দিবেন’ এর ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, এর অর্থ হচ্ছে- কুফরীর কারণে নেক আমলগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
তারা যেসব কাজকে নেকীর কাজ মনে করে আঞ্জাম দিয়েছে, মুসলমান হিসেবে যেসব কাজ তারা নামায, রোযা, হজ্জ্ব, যাকাত -এসব ইবাদত বন্দেগী এর সব ফযীলতই ধ্বংস করে দিবেন এজন্য যে, তারা মুসলমান হয়েও আল্লাহ,তাঁর দ্বীন ও ইসলামী মিল্লাতের সাথে আন্তরিকতা ও বিশ্বস্ততার সাথে আচরণ করেনি। উপরন্তু দুনিয়াবী স্বার্থের জন্য লোভ লালসায় জড়িয়ে দ্বীনের দুশমনদের সাথে হাত মিলিয়ে দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টায় নিয়োজিত লোকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
আপনি মাশাল্লাহ সাড়ে তিন হাত শরীরে ইসলাম কায়েম (!) করেছেন। আপনি অনেক বড় পীর বুযুর্গ(??), দাঁড়ি, টুপি, পাগড়ীতে নূরানী চেহারায় লাবণ্য ঠিকরে বেরুচ্ছে। আপনি কদু/লাউয়ের তরকারী খেয়ে সুন্নাত আদায় করছেন ভেবে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদে আপনার মুখে কোনো শব্দ বের হয় না। পাছে এ আরামের জীবনে বিঘ্ন ঘটে! বরং যারা প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতিত নিপীড়িত হচ্ছেন তাদের আপনি আহম্মক ঠাওড়াচ্ছেন, সুযোগ পেলে তাদের গালিও দিচ্ছেন, আপনার অবস্থান, বক্তব্য কুফরী শক্তির সহায়ক ও ইসলামের স্বার্থের বিপরীত হচ্ছে।
এবার ক্যালকুলেশন করুন -কুরআন ও হাদীসের আলোকে। আপনার ইবাদত কবুল হচ্ছেতো? আদৌ কি কোনো সুযোগ আছে? আপনার ঈমান কি আদৌ অবশিষ্ট আছে? কুরআনের ঘোষণা অনুযায়ী কি আপনি কুফরী করেন নি?
কুফর ও ইসলামের দ্বন্ধে যে ব্যক্তির সমবেদনা, সমর্থন ইসলামের স্বার্থের অনুকুল নয়, আল্লাহর কাছে তার কোনো আমল গ্রহণযোগ্য হওয়া তো দূরের কথা, তার ঈমানই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
এবারের বিষয়ঃ তাওহীদ
তাওহীদ হচ্ছে ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয়। তাওহীদে পরিপূর্ণ বিশ্বাস ব্যতীত কোনো ব্যক্তিই ঈমান বা ইসলামে প্রবেশ করতে পারে না। ইসলামের সকল শিক্ষা ও আদর্শই তাওহীদের উপর প্রতিষ্ঠিত।
তাওহীদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ। তাওহীদ এর মূল কথা হলোঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বা আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই।
আল্লাহ তাআলা এক ও অদ্বিতীয়। তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে অদ্বিতীয়। তিনিই প্রশংসা ও ইবাদতের একমাত্র মালিক। তাঁর তুলনীয় কেউ নেই।
কুরআন মজীদের সূরা ইখলাসে আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ [١١٢:١] اللَّهُ الصَّمَدُ [١١٢:٢] لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ [١١٢:٣] وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ [١١٢:٤]
-বলুন(হে নবী!) তিনিই আল্লাহ। একক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ কারও মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেন নি। এবং তাঁকেও জন্ম দেওয়া হয় নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।(সূরা ইখলাসঃ ১-৪)।
সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াতে(আয়াতুল কুরসী) এ বিষয়টি আল্লাহ তাআলা বর্ণনা করেছেন এভাবে-
اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ [٢:٢٥٥]
-তিনি আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও সর্বসত্তার ধারক। তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে কখনোই স্পর্শ করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে সবই তাঁর অধীন। কে আছে এমন যে বিনা অনুমতিতে তাঁর দরবারে কিছু পেশ করবে? তাদের বর্তমান ভবিষ্যতের সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জানা বিষয়ের কোনো কিছুই(তাঁর সৃষ্টির) কারো জ্ঞানের সীমা পরিসীমার আয়ত্তাধীন হতে পারে না, তবে কিছু জ্ঞান যদি তিনি কাউকে দান করেন(তবে তা ভিন্ন কথা), তাঁর বিশাল সাম্রাজ্য আসমান জমিনের সব কিছুই পরিবেষ্টন করে আছে। এ উভয়টির হেফাজত করার কাজ কখনো তাঁকে পরিশ্রান্ত করে না, তিনি পরাক্রমশালী ও অসীম মর্যাদাবান।
কুরআন কারীমের আরো কিছু প্রাসঙ্গিক আয়াত এর রেফারেন্সঃ
সূরা ১১২/১-৪, সূরা ৯৬/১৭-১৯, সূরা ৮৮/২৫-২৬, সূরা ৮৭/২-৩, সূরা ৮৫/১৩, সূরা ৬৫/১২, সূরা ৪৩/৭৯-৮৯, সূরা ২১/২২, সূরা ১৭/৪২, সূরা ১৫/১৯-২৫, সূরা ১০/৫৬, সূরা ৮/৩০, সূরা ৬/৬৩-৬৪, সূরা ৫৭/১-৬।
তাওহীদের শ্রেণীবিভাগঃ
উল্লেখ্য যে, রাসূলুল্লাহ(সা) ও তাঁর সাহাবাগণ তাওহীদকে বিভিন্নভাগে শ্রেণীবিভাগ করে নি। তবে কুরআন, রাসূল(সা) ও সাহাবাগণের ব্যাখ্যামূলক বর্ণনা দ্বারা তাওহীদের শ্রেণীবিভাগগুলির ভিত্তিমূল দৃঢ়ভাবে স্থাপিত হয়েছে।
তাওহীদের বিশ্বাসটি মূলত এরকম যে, আল্লাহ তাআলা এক, তাঁর কর্তৃত্বে ও প্রভুত্বে(রবুবিয়্যাত), কোন শরীক বা অংশীদার নেই তাঁর যাত, সত্তা ও গুণাবলীতে (আসমা ওয়াস সিফাত), কোনই সদৃশ নেই তথা তিনি একক ও অতুলনীয় এবং ইলাহরূপে সকল প্রকার ইবাদত পাওয়ার যোগ্য হিসেবে তথা ইলাহ হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্ধী নেই(উলূহিয়্যাত)। এ তিনটি মূল বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে তাওহীদকে ঐতিহ্যগতভাবে শ্রেণীবিন্যস্ত করা হয়েছে তিনভাগে। এ তিনটি শ্রেণী একে অপরকে এমনভাবে সম্পৃক্ত করে রেখেছে যে এগুলো অবিচ্ছেদ্য একটি মূল বিষয়ে পরিণত হয়েছে, ফলে কেউ যদি এর একটি বিষয়কে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে তাহলে সে তাওহীদের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হল। তাওহীদের তিনটি শ্রেণীর যে কোন একটিকে বর্জন করার অর্থই হচ্ছে শিরকে লিপ্ত হওয়া অর্থাৎ আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপনের মাধ্যমে নিজেকে মুশরিকে পরিণত করা। মূলত ইসলামী দৃষ্টিতে তাওহীদের বিপরীত সবকিছুই পৌত্তলিকতা বলে গণ্য হয়।
তাহলে তাওহীদের যে তিনটি শ্রেণী আমরা পাচ্ছি, তা হচ্ছে-
১। তাওহীদ আর-রবূবীয়্যাহ (আক্ষরিক অর্থে-কর্তৃত্ব ও ক্ষমতায় আল্লাহর একত্ব বজায় রাখা) অর্থাৎ দৃঢ়তার সাথে এ কথা নিশ্চিতভাবে ঘোষণা করা যে, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং তাঁর কর্তৃত্ব ও ক্ষমতায় কোন অংশীদার নেই।
রবূবীয়্যাহ সম্পর্কে কুরআনে অনেক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।
اللَّهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ ۖ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ [٣٩:٦٢]
- আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা আর তিনি সবকিছুর অভিভাবক এবং কর্ম সম্পাদনকারী। [সূরা আয-যুমার(৩৯): আয়াত ৬২]।
وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ [٣٧:٩٦]
-আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে আর তোমরা যা তৈরি কর সেগুলিকেও। [সূরা আস সাফফাত(৩৭): আয়াত ৯৬]।
২। তাওহীদ আল আসমা ওয়াছ ছিফাত (আক্ষরিক অর্থে আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা) অর্থাৎ দৃঢ়তার সাথে একথা নিশ্চিতভাবে ঘোষণা করা যে, নাম, শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ত্ব ও সৌন্দর্য্যসহ যাবতীয় গুণাবলীতে আল্লাহ তা‘আলা এক, একক এবং নিরংকুশভাবে পূর্ণতার অধিকারী। এ ক্ষেত্রে কোনক্রমেই কেউ তাঁর অংশীদার হতে পারে না।
-لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ ۖ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ [٤٢:١١]
-কোন কিছু্ই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সব শোনেন, সব দেখেন।[সূরা শু’আরা(৪২): আয়াত ১১]।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশের প্রতি অত্যধিক ভালবাসার কারণে অঙ্কন, খোদাই ও ঢালাই করে খ্রিস্টানরা অসংখ্য মানবীয় প্রতিকৃতি গড়ে তুলে সেগুলিকে স্রষ্টার প্রতিচ্ছবি বলে আখ্যায়িত করেছে (নাউজুবিল্লাহ)।
৩। তাওহীদ আল ইবাদাহ (আক্ষরিক অর্থে-ইবাদতে আল্লাহর একত্ব বজায় রাখা) অর্থাৎ দৃঢ়তার সাথে এ কথা নিশ্চিতভাবে ঘোষণা করা যে, একমাত্র আল্লাহই ইবাদত পাওয়ার যোগ্য।
এ সম্পর্কিত কুরআন কারীমের আয়াতগুলি অত্যন্ত সুস্পষ্ট।
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ [٥١:٥٦
] -আমি জ্বীন ও মানবকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র এ কারণে যে, তারা আমারই ইবাদত করবে।[সূরা আয-যারিয়্যাত(৫১): ৫৬]।
إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ عِبَادٌ أَمْثَالُكُمْ ۖ
- আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে তোমরা ডাক, তাঁরা তো তোমাদের মতই বান্দাহ।[সূরা আল আরাফ (৭): আয়াত ১৯৪)।
اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِّن دُونِ اللَّهِ
-আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা তাদের আলিম আর দরবেশদের রব বানিয়ে নিয়েছে...[সূরা তাওবাহ(৯): আয়াত ৩১]।
وَإِن يَمْسَسْكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ ۖ
-আল্লাহ তোমার কোন ক্ষতি করতে চাইলে তিনি ছাড়া কেউ তা সরাতে পারবে না......।[সূরা আল আনআম(৬): আয়াত ১৭]।
أَفَتَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنفَعُكُمْ شَيْئًا وَلَا يَضُرُّكُمْ [٢١:٦٦.....
-.....তাহলে তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদত কর যা না পারে তোমাদের কোন উপকার করতে, আর না পারে তোমাদের ক্ষতি করতে। [সূরা আল আম্বিয়া(২১): আয়াত ৬৬]।
আল্লাহ ব্যতীত অন্যের ইবাদত করা বা আল্লাহর সঙ্গে অন্যের ইবাদত করা হচ্ছে সর্ববৃহৎ পাপ যা শিরক বলে গণ্য।
মক্কার মুশরিকরা আল্লাহকে সর্বশক্তিমান, সৃষ্টিকর্তা ও তাদের রিযিকদাতা হিসেবে মানত কিন্তু পাশাপাশি মূর্তিপূজাও করত। এজন্য তারা আল্লাহর নিকট মুসলিম হতে পারে নি। পৌত্তলিকদের বলার জন্য আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে রাসূলুল্লাহ(সা) কে বলেনঃ
......وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّنْ خَلَقَهُمْ لَيَقُولُنَّ اللَّهُ ۖ
-তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর-তাদেরকে কে সৃষ্টি করেছে, তাহলে তারা অবশ্যই অবশ্যই বলবে, আল্লাহ।...।[সূরা আয-যুররুখ(৪৩): আয়াত ৮৭]।
وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّن نَّزَّلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَحْيَا بِهِ الْأَرْضَ مِن بَعْدِ مَوْتِهَا لَيَقُولُنَّ اللَّهُ.......
-যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর-আকাশ হতে কে পানি বর্ষণ করে যমীনকে তার মৃত্যুর পর আবার সঞ্জীবিত করেন? তারা অবশ্যই অবশ্যই বলবে-আল্লাহ।....[সূরা আনকাবূত(২৯): আয়াত ৬৩]।
প্রকৃত সত্য হচ্ছে এই যে, আল্লাহ বলেনঃ
وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُم بِاللَّهِ إِلَّا وَهُم مُّشْرِكُونَ [١٢:١٠٦]
-অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত।[সূরা ইউসূফ(১২): আয়াত ১০৬]।
বস্তুত আল্লাহ তাআলা তাঁর সত্তা ও গুণাবলীতে এক ও অতুলনীয়। তাঁর কোনো শরীক নেই। সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য, ইবাদতের যোগ্য সত্তা একমাত্র তিনিই।
তথ্যসূত্রঃ
১। তাফসীর ইবনে কাসির;
২। তাফহীমুল কুরআন, মাওলানা মওদূদী(রহ);
৩। Fundamentals of Tawheed, Dr. Abu Ameenah Billal Phillips;
৪। নিদর্শন, খোন্দকার এমদাদুল করীম।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৭ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
-আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা তাদের আলিম আর দরবেশদের রব বানিয়ে নিয়েছে...[সূরা তাওবাহ(৯): আয়াত ৩১]।
وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُم بِاللَّهِ إِلَّا وَهُم مُّشْرِكُونَ [١٢:١٠٦]
-অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত।[সূরা ইউসূফ(১২): আয়াত ১০৬]।
اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِّن دُونِ اللَّهِ
-আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা তাদের আলিম আর দরবেশদের রব বানিয়ে নিয়েছে...[সূরা তাওবাহ(৯): আয়াত ৩১]।
وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُم بِاللَّهِ إِلَّا وَهُم مُّشْرِكُونَ [١٢:١٠٦]
-অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত।[সূরা ইউসূফ(১২): আয়াত ১০৬]।
আল্লাহ সকলকে নেক হায়াত ও জ্ঞান,বুজ দিন এবং সকলকে হেদায়াত করে সঠিক পথে আনুন- আমিন।
১০০% সহমত
-আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা তাদের আলিম আর দরবেশদের রব বানিয়ে নিয়েছে...[সূরা তাওবাহ(৯): আয়াত ৩১]।
وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُم بِاللَّهِ إِلَّا وَهُم مُّشْرِكُونَ [١٢:١٠٦]
-অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত।[সূরা ইউসূফ(১২): আয়াত ১০৬]।
অফটপিকঃ ব্লগে বিশিষ্ট ফিতনাবাজ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম উদ্দেশ্যমূলকভাবে গীবত ও ফিতনা ছড়াচ্ছে। ইসলামকে বিকৃত ব্যাখ্যা করছে। পর্দাপ্রথা নিয়েও সে বিকৃত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। মডুদের কোন বিকার নেই। এ বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ফেসবুকে দুটি নারী নিক খুলেছে যে ফিতনা ছড়ানোর জন্য। আমার তথ্য প্রমাণসমৃদ্ধ যৌক্তিক কমেন্ট সে কয়েকবার মুছে দিয়েছে। এ বিষয়ে সকল হকপন্থী ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন