একটি অপ্রকাশিত সত্য
লিখেছেন লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ০৬ আগস্ট, ২০১৪, ০৩:৪৯:৩৯ দুপুর
যারা ফেসবুকে নিয়মিত লেখালেখি করে থাকেন, উপরের ছবিটির সাথে কমবেশি পরিচিত। জনপ্রিয় ইতিহাস বিশ্লেষক ও অনেক সাড়া জাগানো ঘটনার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষী তিনি যিনি ‘জাতির নানা’ নাম নিয়ে লেখালেখি করেন। বেদনাদায়ক বিডিআর হত্যাকান্ডের অনেক অজানা ঘটনা তথ্য-প্রমাণ ও বিশ্লেষণসহ তুলে ধরেছিলেন তিনি। জাতির নানাকে আমি কখনো অন্তত বোগাস খবর বিলোতে দেখবে না।
৭২ হতে ৭৫ এ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে ঘটে যাওয়া হাজারো কদর্য্য ঘটনার একটি উঠে এসেছে ‘জাতির নানার’ কালির আঁচড়ে। পড়ুন এবং সত্যকে নতুন করে জানুন।
https://www.facebook.com/jatir.nana3?fref=nf
জাতির নানার লেখাটি হুবহু তুলে ধরলাম পাঠকদের জন্য-
১৯৭৪ সালের এক বিকেল। মিতু নিউমার্কেট গেল শপিং করতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাত্র অনার্স শেষ করেছে। বয়স ২৩/২৪। অসাধারন সুন্দরী। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। মিতুর বাবা ৪৭ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশে মাইগ্রেট করেন। খুব ধনী পরিবার। শিপিং বিজনেস। জুট এক্সপোর্ট তাদের মেইন বিজনেস। একজন সত্যিকার বাংলাদেশি। স্বাধীনতা চাইতেন মন থেকেই। সেই সময় আওয়ামী লীগকে ২ কোটি টাকা ডোনেটও করেন।
মিতুর দিকে দৃষ্টি পড়ে শেখ কামালের। শেখ কামাল তখন পরিচিত ছিল 'কিং কোবরা' হিসেবে। rape was very common factor for him। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রুম বরাদ্ধ ছিল শুধু এই কাজের জন্য। মেয়েরা বাধ্য হত সেই রুমে ঢুকতে। কে চায় মারা যেতে ? কে চায় তার পরিবারকে ধংস হতে দেখতে? শেখ কামালের একটি গ্যাং ছিল এই কাজের জন্য। সেই সময় এই গ্যাং ফেমাস ছিল। তাদের ফান করার স্হান ছিল আবাহনী ক্লাব। কারা ছিল গ্যাং এ ? বর্তমানের বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমান, এসপি মাহবুব ছিল এই গ্যাং এর কী পারসন। মাহবুব মুন্সিগন্জের and he was the head of killer force.
মিতুকে শেখ কামাল এবং তার গ্যাং তুলে নেয় নিউমার্কেট থেকে। প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পরে আবাহনী ক্লাব। মিতু গ্যাং রেপের শিকার হয়।
এই ঘটনা শুনে শেখ মুজিবের মন্তব্য ছিল "that is why i have made BAKSAL"
ঘটনার পর মিতু এবং তার পরিবার সমস্ত বাংলাদেশিকেই ঘৃনা করতে শুরু করে। কানাডাতে চলে যায় তারা। মন্ট্রিলে আছে বর্তমানে। মিতু বিয়ে করে একজন পাকিস্হানীকে। তারা আর কখনোই বাংলাদেশে ফিরে আসেনি। কোন বাংলাদেশির সাথে যোগাযোগও রাখেনি।
শেখ মুজিব তার ছেলের বিচার করেনি। বাংলাদেশের জনগন সেই বিচার করেছে ১৫ আগষ্ট। আর সালমান এফ রহমানের বিচার করেছে আল্লাহ। তার একমাত্র মেয়ে প্রায় ৮ বছর আগে ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করত যখন, মাতাল অবস্হায় গ্যাং রেপ হয় তারপর বাঁচতে গিয়ে ৮তলা থেকে লাফ দিয়ে মারা যায়।
উপরে শেখ কামালের একটি মাত্র ঘটনা জানা গেল। আরো কত এমন ঘটনা লোকচক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে আছে.....!!
বিঃদ্রঃ 'মিতু' ছদ্ম নাম হিসাবে দিলাম। আসল নাম দিলে বাংলাদেশের অনেকেই চিনে ফেলবে কারন মিতু বাংলাদেশের এক বনেদী পরিবারের সন্তান। বর্তমানে তিনি বৃদ্ধা, পুত্র-কন্যা নাতি নাত্নিদের নিয়ে প্রবাসে দিন পার করছেন। কিছু সময় সোস্যাল মিডিয়াতে লেখালেখি করেন। তার সাথে আমার ইনবক্সের দীর্ঘ আলাপের আংশিক হুবুহু এবং কিছু অংশ এডিট করে দিলাম। লেখাটা তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রকাশ করলাম।
বিষয়: রাজনীতি
১৮১৭ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাহলেতো ১৫ আগষ্ট শোক দিবস না করে আনন্দ দিবস করা উচিত।
কারণটা কি তোমরা আমায় বলতে পার কেউ?
দারুন লাগলো কবিতাটি তাই দিলুম...
আমার মনে হয় আগষ্ট মাসকেই সব চেয়ে গুরুত্ব দিয়ে এ মাসের ফজিলত, এ মাসেই জাতিকে ইতিহাসের নব্য নমরুদের কবল থেকে মুক্তির বিষয়াদি নিয়ে গোড়া মাসব্যাপি আলোচনা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ইত্যাদি চালু রাখা উচিত।
ওনার এই মাহাত্মের কৃতি তো ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। কিন্তু গতকাল এক বন্ধুর দেয়া লিঙ্কে দেখলাম আমু তে একজন খ্যাতনামা ব্লগার ওনার নিজ কর্ণ বিভাজনীত বর্ণনা দিয়ে বলেছেন- "শেখ কামালের নামে প্রচলিত এ সব কথাই ভূয়া। উনি নাকি এগুলোর ধারে কাছেও ছিলেন না।" এবং উনি নাকি নিজে স্বয়ং মেজর ডালিম ও গং দের কাছ থেকে শেখ কামালের চারিত্রিক সনদ হাসিল করেছেন!
আমার মা অপারেসন থিয়েটারে !!
প্লিজ ভাইয়া বেশি কিছু আপনার কাছে চাইবনা ,শুধু চাইব একটু দুআ!!
আমার মায়ের জন্য একটু আল্লাহ্'র কাছে দুআ করুন ।
জানেন এই ব্লগের উপর সবসময়ই একটা খড়গ ঝুলে থাকে । কিছু দিন একটু ঝামেলামুক্তভাবে ব্লগিং করতেছিলাম , তাও আপনাদের হাউ কাউতে আর পারা যাবে বলে মনে হয় না ।
ঐ দিকে তথ্য মন্ত্রনালয় আবার কি সব নিয়ন্ত্রন আইন বাইর করতেছে ....
ভাইরে , একটু রয়ে সয়ে ব্লগিং কইরেন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন