আমাদের পরিবারপ্রথা, পাশ্চাত্যের লিভটুগেদার ও এদেশীয় লেজকাটা শিয়ালদের হুক্কাহুয়া
লিখেছেন লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ২৪ জুলাই, ২০১৪, ০৬:২৯:২৯ সন্ধ্যা
এ নিয়ে কীবোর্ড চাপবো তা ভাবিনি। আমাদের সমাজে একটি ঐতিহ্যবাহী মজবুত পারিবারিক বন্ধন আছে যেটি ঠুনকো কোনো ব্যাপার নয়। অনেক সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন মূল্যবোধ লালন করি আমরা মুসলমানরা যেটি হচ্ছে ইসলামী মূল্যবোধ। এখানে অশ্লীলতা, অবৈধ যৌনতার মত নোংরা বিষয়গুলিকে ঘৃণার চোখে দেখা হয়। একটি সুস্থ, সুন্দর পারিবারিক জীবন ব্যবস্থার সুন্দর ও ঈর্ষণীয় সমাধান দেয়া আছে ইসলামে।
কিন্তু তা সহ্য হবে কেন লেজকাটা শিয়ালদের? এক কান কাটা লোক নাকি রাস্তার এক পাশ দিয়ে হাঁটে আর যার উভয় কান কাটা সে লজ্জা শরমের থোরাই কেয়ার করে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটে। আর একটু ঘুরিয়ে বললে বলতে হয়- ন্যাংটার নেই বাটপারের ভয়।
আমাদের মূল্যবোধ নষ্ট করার অপপ্রয়াস পাশ্চাত্য দীর্ঘদিন হতেই করে আসছে। বিভিন্ন এনজিও কায্যক্রমের মাধ্যমে এইডস নির্মূলের শ্লোগানের আড়ালে তারা অবৈধ যৌনতাকে প্রমোট করছে। অবৈধ যৌনতাকে তারা বলছে শিল্প, পতিতাকে নাম দিয়েছে যৌনকর্মী। বাহ! বাহ!! এ বিষয়টিও একদিনে ঘটেনি। লুল পুরুষের মনোরঞ্জনকারী নর্তকীর নাম দেয়া হলো নৃত্যশিল্পী, ছলনাময়ী চরিত্রহীন অভিনেত্রীর নাম দেয়া হল অভিনয়শিল্পী, ব্যভিচারকে বলা হল লিভ টুগেদার। এভাবে শিল্পের আড়ালে সকল প্রকার অপকর্মকে জায়েয করার একটা সুদূরপ্রসারী প্রচেষ্টা। ধীরে ধীরে বেশ্যাবৃত্তির মত কদর্য্য পেশাটিকেও শিল্পে রূপ দেয়া হল। (নাউজুবিল্লাহ)। তাইতো আজ সদর্পে ক্ষমতাসীনরা পতিতাপল্লী উচ্ছেদকারীদের শিরোচ্ছেদ এর হুমকি দেন।
পাঠ্যবইয়ে কী শিখছে শিশুরা-৫ যৌনতায় ভরা বই বিতরণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে
http://www.dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=NTY1NzI%3D&s=MQ%3D%3D
পশ্চিমারা তাদের কাজ করবে। এখানে তাদের স্বার্থ আছে, অর্থ আছে, মুসলমানদের চরিত্র ধ্বংস করে দেয়ার মত আত্মপ্রসাদ, আত্মতৃপ্তি আছে। তবে এ কাছে তারা সহযোগী পেল এদেশীয় কিছু লেজকাটা শিয়ালকে যারা ল্যাংটা হতে হতে এত নিচে নেমে গেছে যাদের আর বাটপারের ভয় নেই।
স্কুলের শিশু কিশোর কিশোরীদের আজ শিখানো হচ্ছে যৌনতার হাতেখড়ি। বইয়ের রগরগে ভাষায় বর্ণনা করা এখানে সম্ভব নয়। স্পর্শকাতর অঙ্গের নাম উল্লেখ করে আদি রসালো ভাষায় বর্ণিত হয়েছে যৌন অনুভূতি প্রকাশের নানা উপায়, কনডম ব্যবহার, পিল ব্যবহার, প্রথম মিলনে রক্ত পড়া সম্পর্কিত নানা বিষয়। অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না যখন কিছুদিন পর শুনবেন- শ্রেণীকক্ষে পর্ণো ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে। পর্নো ছবির নতুন নাম হবে রিক্রিয়েশান মুভি, খালে বিলে রাস্তা ঘাটে পশুর মত যৌনকার্য্যকে বলা হবে সারপ্রাইজ সেক্স, ঘরে ঘরে তৈরি হবে অমি পিয়ালের মতে বদমাঈশ, লাফাঙ্গা আর রিক্রিয়েশান মুভির(পর্ণো ছবি) কারিগর।
কিশোর কিশোরীদের যৌন অনুভূতির বিষয়টি হচ্ছেঃ “একেতো নাচুনে বুড়ি, তার উপর ঢোলের বাড়ি।” এ ধরণের বই কিশোর কিশোরীদের উপর কি ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা বলাই বাহুল্য। আমাদের শিশুদের নষ্টামিতে লিপ্ত করার রসদ জোগানো এসব লেজকাটা শিয়ালদের সময় থাকতে এখনই প্রতিরোধ করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৮১৭ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অজুহাত দেবে এটা তাদের সিলেবাসের অংশ । প্রেকটিক্যাল জিনিস স্বচক্ষে না দেখলে বিষয়টিতে ভাল মার্কস্ পাবে না , ফলে রেজাল্টও খারাপ হবে।
সবই মনে হয় আমাদের কর্মফল; আবার মনে হয় না পরীক্ষা। কি যে অবস্থা মনের ....
এ বিষয় কোমলমতী কিশোর-কিশোরীদের কাছে দেয়ায় আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি।
সচেতনমূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এ নিয়ে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য যার যার অবস্থান হতে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন