তাজউদ্দীন তনয়া শারমিন আহমদ এর জন্য কি পরিণতি অপেক্ষা করছে?
লিখেছেন লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ২২ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:১১:৩৬ দুপুর
★★★ টেপে বিবৃতি দিতে বা স্বাধীনতার ঘোষণায় স্বাক্ষর প্রদানে মুজিব কাকু অস্বীকৃতি জানান ★★★
তাজ উদ্দিন আহম্মেদের বড় মেয়ে শারমিন আহমদ
এ যে একেবারে ইতিহাস বদলে দেয়া।
সরকার কি সইবে এমন ইতিহাস বিকৃতি? (!!??)
প্রয়াত মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এর বড় মেয়ে শারমিন আহমেদ "তাজউদ্দিন আহমেদ- নেতা ও পিতা" নামে একটি বই লিখেন। ঐতিহ্য প্রকাশনী বইটি প্রকাশ করেছে। বইটি রাজধানীর শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে ঐতিহ্যের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে মাসব্যাপী মেলায় পাওয়া যাবে।
বইয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫০ টাকা। তবে যারা মেলা থেকে এই বইটি সংগ্রহ করবেন তারা ৬০০ টাকা পাবেন। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বইয়ের লেখক শারমিন আহমেদ বলেন, মেয়ে হিসাবে বাবাকে নিয়ে লেখা ভীষণ কষ্টকর। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে তুলে আনার প্রয়াস ছিল।আমি যতটুকু পেয়েছি সঠিক ইতিহাস আনার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, পাঠ্যবই থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের আংশিক সত্য শেখানো হচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম এই বইটিতে সঠিক ইতিহাস খুঁজে পাবে।
সে বইয়ের বক্তব্যগুলো নিয়েই সৃষ্টি হচ্ছে সব বিতর্ক। কিছু চুম্বক অংশ।
“পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫ মার্চের ভয়াল কালো রাতে আব্বু গেলেন মুজিব কাকুকে নিতে। মুজিব কাকু আব্বুর সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করবেন সেই ব্যাপারে আব্বু মুজিব কাকুর সাথে আলোচনা করেছিলেন। মুজিব কাকু সে ব্যাপারে সম্মতিও দিয়েছিলেন। সেই
অনুযায়ী আত্মগোপনের জন্য পুরান ঢাকায় একটি বাসাও ঠিক করে রাখা হয়েছিল। বড়
কোনো সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আব্বুর উপদেশ গ্রহণে মুজিব কাকু এর আগে দ্বিধা করেননি।
আব্বুর, সে কারণে বিশ্বাস ছিল যে, ইতিহাসের এই যুগসন্ধিক্ষণে মুজিব কাকু কথা রাখবেন।
মুজিব কাকু, আব্বুর সাথেই যাবেন অথচ শেষ মুহূর্তে মুজিব কাকু অনড় রয়ে গেলেন। তিনি আব্বুকে বললেন, ‘বাড়ি গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকো, পরশুদিন (২৭ মার্চ) হরতাল ডেকেছি।’
মুজিব কাকুর তাৎক্ষণিক এই উক্তিতে আব্বু বিস্ময় ও বেদনায় বিমূঢ় হয়ে পড়লেন। এদিকে বেগম মুজিব ঐ শোবার ঘরেই সুটকেসে মুজিব কাকুর জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখতে শুরু করলেন। ঢোলা পায়জামায় ফিতা ভরলেন। পাকিস্তানি সেনার হাতে মুজিব কাকুর স্বেচ্ছাবন্দি হওয়ার এইসব প্রস্তুতি দেখার পরও আব্বু হাল না ছেড়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক উদাহরণ টেনে মুজিব কাকুকে বোঝাবার চেষ্টা করলেন। তিনি কিংবদন্তি সমতুল্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদাহরণ তুলে ধরলেন, যাঁরা আত্মগোপন করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু মুজিব কাকু তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনড় হয়ে রইলেন। আব্বু বললেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য হলো পূর্ব বাংলাকে সম্পূর্ণ রূপেই নেতৃত্ব-শূন্য করে দেওয়া। এই অবস্থায় মুজিব কাকুর ধরা দেওয়ার অর্থ হলো আত্মহত্যার শামিল। তিনি বললেন, ‘মুজিব ভাই, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হলেন আপনি। আপনার নেতৃত্বের ওপরই তারা সম্পূর্ণ
ভরসা করে রয়েছে।’ মুজিব কাকু বললেন, ‘তোমরা যা করবার কর। আমি কোথাও যাব না।’
আব্বু বললেন, ‘আপনার অবর্তমানে দ্বিতীয় কে নেতৃত্ব দেবে এমন ঘোষণা তো আপনি দিয়ে যাননি। নেতার অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় ব্যক্তি কে হবে, দলকে তো তা জানানো হয়নি। ফলে দ্বিতীয়
কারো নেতৃত্ব প্রদান দুরূহ হবে এবং মুক্তিযুদ্ধকে এক অনিশ্চিত ও জটিল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হবে।’ আব্বুর সেদিনের এই উক্তিটি ছিল এক নির্মম সত্য ভবিষ্যদ্বাণী। পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী আব্বু স্বাধীনতার ঘোষণা লিখে নিয়ে এসেছিলেন এবং টেপ রেকর্ডারও নিয়ে এসেছিলেন।
টেপে বিবৃতি দিতে বা স্বাধীনতার ঘোষণায় স্বাক্ষর প্রদানে মুজিব কাকু অস্বীকৃতি জানান। কথা ছিল যে, মুজিব কাকুর স্বাক্ষরকৃত স্বাধীনতার ঘোষণা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্ হোটেলে (বর্তমানে শেরাটন) অবস্থিত বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে এবং তাঁরা আন্ডারগ্রাউন্ডে
গিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ পরিচালনা করবেন।
আব্বু বলেছিলেন, ‘মুজিব ভাই, এটা আপনাকে বলে যেতেই হবে, কারণ কালকে কী হবে, আমাদের সবাইকে যদি গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়, তাহলে কেউ জানবে না, কী তাদের করতে হবে। এই ঘোষণা কোনো-না- কোনো জায়গা থেকে কপি করে আমরা জানাব। যদি বেতার মারফত কিছু করা যায়, তাহলে সেটাই করা হবে।’
মুজিব কাকু তখন
উত্তর দিয়েছিলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের জন্য বিচার করতে পারবে।’
(পৃষ্ঠা ৫৯) "তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা” স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসের দলিল গ্রন্থ তাজউদ্দিন আহমেদ'র বড় মেয়ে শারমিন আহমদ রচিত।
তাহলে কি শেখ মুজিব স্বাধীনতা চাননি? শারমিন আহমদ সম্ভবত প্রবাসী। দেশে থাকলে এতদিনে গ্রেফতার হয়ে যেতেন হয়তো। অবশ্য তার আরেক বোন সিমিন হোসেন রিমি এ সরকারেরই এমপি। দেখা যাক শারমিন আহমদ এর জন্য কি পরিণতি অপেক্ষা করছে?
(বইটি সহসাই নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার পূর্বেই সংগ্রহ করা উচিত)।
বিষয়: রাজনীতি
৩২৯৩ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
২৭ তারিখের হরতালের ডাকই বলে কোন স্বাধীনতা ঘোষণা হয় নাই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ঠিকই হয়ে গেছে তাকে সর্বাধিনায়ক করে। এটাই বাস্তবতা।
প্রকৃত কথা হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন নিয়ে লিখতে হলে তার আগের তেইশ বছরের পাকিস্তান আমলের শাসন পদ্ধতি এবং তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়গুলো যেমন বিবেচনায় আনতে হবে তেমনি বৃটিশ ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বঞ্চনার বিষয়টিও আনতে হবে যারা অবেহিলত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত অবস্থায় ছিল। তেইশ বছরের পাকিস্তান শাসন আমলের উপর যতটুকু অসন্তুষ সৃষ্টি হয়েছিল অর্থনৈতিক কারণে ততকালিন পূর্ব পাকিস্তানে তার চেয়েও বেশী অসন্তোষ উস্কে দেয়া হয়েছিল একটি সম্ভবনাময় পৃথিবীর বুকে একমাত্র মুসলিম পরাশক্তি হিসেবে মাথা উচু করে যাতে দাড়াতে না পারে সে উদ্দেশ্য মাথায় রেখেই।
হয়তো শেখ মুজিব কিছুটা তা আচ করতে পেরেছিলেন। একারণেই তিনি স্বাধীনতা না চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় ফেডারেল রাষ্ট্র ব্যবস্থার মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ শায়িত্বশাসন চেয়েছিলেন। কিন্তু ততকালীন আন্তর্জাতিক খেলোয়ারদের ডাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার হয়েছে তাজউদ্দীন আহমদসহ মস্কোপন্থী বামঘেষা ছাত্র নেতারা। একটি দেশের স্বাধীনতা চাওয়ার মতো মেকানিজমের দায়িত্ব নিয়েছিল ততকালীন ছাত্র নেতারা যাদের বয়স কিনা ২৩-২৮ বছরের মধ্যে!!!
একাত্তুরের স্বাধীনতা যুদ্ধে যে পরিমাণ নিরাপরাধ মানুষ খুন হয়েছে, যে পরিমাণ ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে যদি নিরেপেক্ষ ট্রাইবুনালে এসবের বিচার করা যেত তবে আজকে যারা বড় গলায় কথা বলে মুক্তিযোদ্ধের চ্যাতনা ব্যবসা করে ফেরি করে বেড়ায় তাদের সবাই যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হতো।
এটাই বাস্তবতা ছিল। কিন্তু যারা ঘোষনা দিয়েছিল তারা বিষয়টা জাতির সামনে আর তুলে ধরতে পারেন নি।
৭ তারিখ যদি স্বাধীনতার সংগ্রামের ঘোষনাই দেওয়া হয় , তাহলে ৮-২৫ তারিখ ইয়াহইয়া-ভূট্টোর সাথে ঢাকা-লাহোর কি নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে ?
এতেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে ।
বইটা কেনার জন্য রকমারিতে ঢুঁ মারছি, কিন্তু রকমারি খুলছেনা। সরকার বাহাদুর হামলা করছে নাকি রকমারিতে?: :
জনগনের ভোটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর কোন নেতা কেন, কোন পাগলেও চাইবে না বাংলাদেশের একটা বিভাগকে নিয়ে স্বাধীন হতে; নতুন দেশ করতে ।
তেমনি ৭০ এর নির্বাচনে জনগনের ভোটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নির্বাচত হওয়ার পর শেখ মুজিবর রহমান পুর্ব পাকিস্থানের স্বাধীনতা চাইবেন না, অখন্ড পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হইতে চাইবেন ইহাই ১। বাস্তবসম্মত ২। যুক্তি সম্মত ৩। নেতৃত্বসম্মত ৪। তখনকার প্রেক্ষাপট সম্মত ।
ফলে উনার সেই সময়ের কথা, আচরণ, সিদান্ত বিশ্লেষন করলে উনার স্বাধীনতা না চেয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চাওয়ার পক্ষেই প্রমান পাওয়া যাবে যৌক্তিক কারণেই। তাই বাস্তবসম্মত ২। যুক্তি সম্মত ৩। নেতৃত্বসম্মত ৪। তখনকার প্রেক্ষাপট সম্মত চাওয়া, অখন্ড পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হতে চাওয়ার জন্য শেখ মুজিবর রহমানকে ক্ষমতালোভী বলার সুযোগ যেমন নাই, তেমনি উনার দল আর ভক্তদের এটা অস্বীকার করার প্রয়োজন নাই।
কিন্তু উনার দল আর ভক্তরা যত দিন বড় গলায় এই প্রশ্নটা উত্থাপন না করতে পারবেন যে, জনগনের ভোটে পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর উনি কোন দুঃখে আর যুক্তিতে পুর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করতে চাইবেন, ক্ষুদ্র একটা অংশ নিয়ে আলাদা হইতে চাইবেন, ইতিহাস নিয়ে জাতির এই বিভক্তি দূর হবে না। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় না নিয়ে " স্বাধীনতা চাইলেই কেউ বড় নেতা, ভাল নেতা আর না চাইলেই খারাপ নেতা " এরকম ভুল বিশ্লেষনই ইতিহাস নিয়ে আমাদের কামড়া কামড়ি কারণ। কবে যে এই থেকে আমাদের মুক্তি মিলবে, কে যে মুক্তি দিবে, আল্লাহই ভাল জানেন।
- কেউ বলেন, শেখ মুজিব কোনদিনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তিনি চাইতাছিলেন প্রধামন্ত্রীর পদ।
- কেউ বলেন তিনি মুক্তিযুদ্ধের ভয়ে গাট্টি বোচকা লইয়া পাকিস্তানে বেড়াইতে গেছেন।
- কেউ বলেন, তিনি নাকি দলের সবাইকে বলছেন, তোরা সবাই কেরানীগঞ্জের ওদিকে লুকাইয়া থাকিস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা হইবে, বহু ছাত্র মইরবে। তখন দেশের মানুষ আন্দোলন কইরবে। আর পরে তোরা সুবিধা মত সময়ে গর্ত থেইকা মুখ বাহির করবি। তোদের মরাও লাগবে না, কষ্টও হইব না, আমি প্রধান মন্ত্রী হইলে, তোরা দেশ টারে যেভাবে পারিস খাইয়া লইবি।
এই সমস্ত কথা হুইনতে হুইনতে কান জ্বালা পোড়া, ইচ্ছা হয় সঠিক ইতিহাস লিখার কাজটা নিজেই লিইখা দিই।
বইয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫০ টাকা। তবে যারা মেলা থেকে এই বইটি সংগ্রহ করবেন তারা ৬০০ টাকা পাবেন।
কিন্তু ৫০বছরের ভিতরেই দেখি শুরু হয়ে গেছে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের আসল ইতিহাস রচনা।
ঐ মাইয়ার বাপ আসলে পাকিস্তানী.....
ঐ জোহরা তাজউদ্দিনকে ধরে ছ্যাচা(হাসিনার ভাষায়) দেয়া হোক....আসল বাপের নাম বাহির হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন