সরকারদলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান কর্তৃক হিন্দু গৃহবধূকে ধর্ষণ এবং দেশত্যাগে বাধ্য করা হল। আমাদের নারীনেত্রী আর মানবাধিকার কর্মীরা কোথায়?

লিখেছেন লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ০৫ জানুয়ারি, ২০১৩, ১২:০৭:৫২ দুপুর

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শেখ মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পর বিষয়টি যেন জানাজানি না হয় এ জন্য ওই গৃহবধূর পুরো পরিবারকে দেশছাড়া করেছেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসী দাবি করেছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য হওয়ায় তাদের মধ্য আতঙ্ক আরও বেশি। চেয়ারম্যানের হুমকিতে গৃহবধূর পুরো পরিবার ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গোটা বাগেরহাটে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ওই জনপ্রতিনিধির ভয়ে গোটা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এখন চরম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে প্রশাসন, মানবাধিকার সংগঠন, কমিউনিটি লিডার বা নারীবাদী সংগঠনের কোনো কর্তাব্যক্তি টুঁশব্দটিও উচ্চারণ করেননি। তবে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার খোন্দকার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তিনি জানতে পেয়ে কচুয়া থানার ওসিকে নির্যাতনের শিকার পরিবারটিকে খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। কচুয়া থানার ওসি জি জি বিশ্বাস জানান, তিনি পুলিশ সুপারের নির্দেশ পেয়েছেন। পরিবারটিকে খুঁজে পাচ্ছেন না। পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এদিকে, বাগেরহাটের কয়েকজন সংবাদকর্মী গতকাল বিকালে কচুয়ার রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়নের চরকাঠি গ্রামের দাসপাড়ায় গিয়ে আমজনতার সঙ্গে কথা বলে ধর্ষণ ও দেশছাড়া হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এক ওষুধ ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে শেখ মাহফুজুর রহমান বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করেন। এ সময় গৃহবধূ হাত-পায়ে ধরেও চিৎকার করেন। বিষয়টি আশপাশের লোকজন আঁচ করতে পারলেও তার ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। আর বিষয়টি মানুষ বুঝতে পেরেছে এ কারণে পুরো পরিবারকে এলাকা থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। নতুবা জীবননাশের হুমকি দেন। বাধ্য হয়ে পরিবারটি (স্বামী, স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে) ভারতে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের দুটি মোবাইল ফোন নম্বরে অনেকবার কল করা হলে সেগুলো বন্ধ পাওয়া গেছে। উপজেলা পরিষদে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মু. শুকুর আলী জানান, এরূপ ঘটনা ঘটলে তিনি যতই ক্ষমতাবান হোন তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ধর্ষণের পর পরিবারটিকে দেশছাড়া করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান!

বিষয়: বিবিধ

১৪১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য