[b]জয় বাংলা, সস্তা নাটক সামলা।[/b] ^^ ^^
লিখেছেন লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ০৮ অক্টোবর, ২০১৩, ১১:২৮:৪৬ সকাল
একদলীয় নির্বাচনে বর্হিবিশ্বের সমর্থন আদায়ের জন্য নতুন নতুন নাটকের প্রয়োজন হবে। বিশেষ করে বিরোধী জোট কে জঙ্গি প্রমাণের সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। নাটকের সফল মঞ্চায়নের জন্য কয়েক ডজন হলুদ মিডিয়া্ও তৈরি।
চট্টগ্রামের লালখানবাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদরাসার ঘটনাও এমনই এক সাজানো নাটক। নাস্তিক মিডিয়াগুলো এ নিয়ে বেশ আগডুম বাগডুম প্রচারণা চালালে ও এই নাটকের বেশ কিছু দূর্বলতা চোখে পড়ার মত।
1। সময় হচ্ছে এ নাটকের সবচেয়ে দূর্বলতা। এমন সময় নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে যখন দেশের প্রায় 90% নাগরিক নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক মহলও সমঝোতা বিহীন কোন নির্বাচন মেনে নিবেনা ও পর্যবেক্ষক পাঠাবেনা বলে স্রেফ জানিয়ে দিয়েছে। এ প্রেক্ষিতে ইসলামফোবিয়ায় আক্রান্ত আন্তর্জাতিক মহলকে এ বার্তা দেয়া হচ্ছে যে- বাংলাদেশ এ ইসলামিস্টরা সন্ত্রাসী এবং এদের দমন করতে ইসলামবিরোধী আওয়ামীলীগকে প্রয়োজন।
2। ঘটনা ঘটলো বেলা ১১টার আর অভিযান চালানো হয়েছে সন্ধ্যায়। কেউ যদি নাশকতা করেই থাকে, তাহলে ১১ টার সময় বিস্ফোরন ঘটার পর এতো লম্বা সময় এইসব ভয়ংকর জিনিস পুলিশের জন্য ফেলে রাখবে??? ঘটনা ঘটার পর 7-8 ঘন্টা পর্যন্ত কি পরিকল্পনা করা হল নাটকের ছক আাঁকার জন্য?
3। ফায়ার সার্ভিস আগ্রাবাদ স্টেশনের স্টেশন অফিসার মোনায়েম বিল্লাহ ঘটনাস্থল থেকে বলেন, সকাল সাড়ে ১১টায় লালখান বাজার মাদরাসায় আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছি। উপস্থিত ছাত্র ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইপিএস বিস্ফোরণে কক্ষের ভেতর আগুন ধরে যায়।’
কী কারণে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। তবে বিস্ফোরণস্থলে কোনো ধরনের বারুদ বা বিস্ফোরকের গন্ধ পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস যেখানে তাৎক্ষণিকভাবে কোন বিষ্ফোরণ দ্রব্যের গন্ধ পায়নি, সেখানে 7-8 ঘন্টা পর পুলিশের বোমা, গ্রেনেড ও বিষ্ফোরক উদ্ধারের ঘটনা কি অতি সস্থা নাটক নয়?
চট্টগ্রামে ইজহারুলের মাদরাসায় অগ্নিকাণ্ড নিয়ে দিনভর ‘নাটক’ : দুর্ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর গ্রেনেড উদ্ধারের দাবি পুলিশের : ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বললেন, ‘বিস্ফোরণস্থলে কোনো ধরনের বারুদ বা বিস্ফোরকের গন্ধ পাওয়া যায়নি’
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/10/08/219933#.UlOIycjLcZM
4। ঘটনার কিছুক্ষণ পরপরই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু নেতাকর্মী মাদরাসার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে মাদরাসায় বোমা আছে বলে প্রচার চালাতে থাকে। তারা বোমা উদ্ধারের দাবি জানিয়ে মিছিলও করে। এ সময় তাদের হাতে দেখা যায়, ডিজিটাল ব্যানার। এত দ্রুত তারা ডিজিটাল ব্যানার কীভাবে পেল তাও একটি বড় ধরণের রহস্য বটে!
জয় বাংলা,
সস্তা নাটক সামলা। ^^ ^^
বিষয়: বিবিধ
১৮৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন