আল্লামা শফীর তেঁতুল তত্ত্ব ও সুশীলদের চুলকানি

লিখেছেন লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ১৪ জুলাই, ২০১৩, ০২:৫৫:১৫ দুপুর

প্রথমেই বলে রাখি- আল্লামা শফী সাহেব এর সকল বক্তব্যের সাথে আমি পুরোপুরি একমত নই। যুক্তিগ্রাহ্য (১০০% নয়) হলেও উনার ইমেজ এর সাথে এমন বক্তব্য সাংঘর্ষিক।

স্বীকার করুণ আর নাই করুন- কওমী আলেমদের দূরদর্শিতার অভাব রয়েছে। গত নির্বাচনে তাঁরা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। অথচ আওয়ামীলীগের মূলনীতি-ধর্মনিরপেক্ষতা একটি কুফরী মতবাদ, সরাসরি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক।এরাই একসময় ইংরেজী শিক্ষা হারাম বলে মুসলমানদের একটি অনগ্রসরমান জাতিতে পরিণত করেছেন। আল্লামা শফী সাহেবকে শ্রদ্ধা করি তবে অন্ধ অনুকরণ নয়। উনারা উনাদের ভুলসমূহ হতে শিক্ষা লাভ করুন, এটাই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।

তবে এটা ঠিক যে-আল্লামা শফী'র পুরনো এই বক্তব্যের ভিডিও উদ্দেশ্যমূলকভাবে নেটে ছড়িয়েছে ইসলামের শত্রুরা।

তবে তাঁর বক্তব্যকে কুরুচিপূর্ণ বলারও সুযোগ নেই। তাঁর বক্তব্যের সমালোচনায় যে স্ল্যাং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়েছে সেটা কতটা রুচিশীল সেটা বিবেচনার দাবি রাখে বৈকি। আর যেসকল চুশীল এটাকে অরুচিকর আর বিকৃত মানসিকতার বলে বিবৃতি দিচ্ছে সেই দোপেয়ে জানোয়ারদের পরিচয় আর তাঁদের কুটিল মানসিকতার কথা কে না জানে? চালুনি বলে সুঁই তোর পাছায় কেন ফুটো-একেবারে টাটকা বিনোদন ছাড়া আর কিছুই নয়।



যুবলীগকর্মী যখন ৪র্থ শ্রেণীর মেয়েকে ধর্ষণ করে তখন আমাদের চেতনাধারীদের চেতনা কোথায় লুকায়িত থাকে? কোথায় থাকে চেতনা যখন সৈয়দ কামচুল হক এর মত বিশিষ্ট লুইচ্চা চটিভাষায় কাব্য রচনা করে?

যখন জাহাংগীর নগরে ধর্ষণের সেঞ্চুরী উৎসব করেছিল ছাত্রলীগ নেতা, তখন কি এই দলকানা চেতনাব্যবসায়ী সুশীলরা কোন বিবৃতি দিয়েছিলেন? ধর্ষক পরিমল যখন ছাত্রী ধর্ষণ করেছিল তখন কেন তাঁরা নিশ্চুপ ছিল?

রুচিশীলতার সবক দেয়া বিশিষ্ট চটি সাহিত্যিক সৈয়দ কামচুল হক এর কবিতা দেখুন (নিজ দায়িত্বে পড়বেন, কবিতার কোন শব্দ বা বক্তব্যে জন্য সেই চটি লেখকই দায়ী)-

যখন দু’স্তন মেলে ডেকে নিলে বুকের ওপরে,

স্বর্গের জঘন খুলে দেখালে যে-দীপ্তির প্রকাশ,

তখন কী হলো আমি কোন্ ভাষে বলবো কী করে?

মুহূর্তেই ঘুচে গেলো তৃষিতের অপেক্ষার ত্রাস।

(‘ভালোবাসার রাতে-২’)

----------------------------------------------

বৃষ্টিও বৃষ্টি তো নয় - জরায়ুর রক্তিম ক্রন্দন।

আজ তিনদিন থেকে অবিরাম, ক্ষান্তি নেই তার।

নিষেধ পতাকা লাল, পতাকায় শরীরী স্পন্দন

তবুও তবুও জাগে, জাগে ইচ্ছা সেখানে যাবার।

শত বাধা সত্ত্বেও থামতে পারে না কামুক পুরুষ। দুজনের দেহ ছিঁড়ে বের হয় দুধ-পূর্ণিমা। আর তা নেমে আসে স্তনের চূড়ায়। বাড়তে থাকে কামনার জ্বর। আর জ্বরতপ্ত হাত কুড়ায় কামনার ফুল। এ টান শুধু এক পক্ষের নয়। সমানতালে দুজনের। অবশেষ ভেঙে যায় বাঁধ -

তবে ভিজে যাক সব, বৃষ্টি থাক, এসো ভিজে যাই -

জ্বরের আগুনে দেহ লাল বৃষ্টিধারায় ভেজাই॥

(‘ভালোবাসার রাতে-২৯’)

-----------------------------------

আমি তোমার যতটা দেখি, তা ভালো;

যা দেখি না, সম্ভবত তা আরো ভালো।

এবং মাঝরাতে ইচ্ছার আলো

ঐ সব ভেবে হয় ভীষণ জোরালো॥

(‘এক আশ্চর্য সঙ্গমের স্মৃতি-৮’)



জয় বাংলা,

চুশীল সামলা।


বিষয়: বিবিধ

২৩২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File