ন্যাংটার নেই বাটপারের ভয়, তাইতো সে আবোল তাবোল কয়।

লিখেছেন লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ২৩ জুন, ২০১৩, ১২:১৮:২৬ দুপুর

অপু উকিল ভালো করেই জানতেন তাঁর এইসব অশ্লীল খিস্তিখেউড় আর মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে আক্রমণের জবাব দিতেও প্রতিপক্ষের রুচিতে বাঁধবে। আর এই বিষয়টিরই সুযোগ নিয়েছেন সরকারি দলের সংরক্ষিত আসনের সাংসদ অপু উকিল।

ন্যাংটা কখনো বাটপারকে ভয় পায়না। কারণ নির্লজ্জতার সর্বনিম্ন স্তরে তাঁর অবস্থান। গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায়, বস্তিতে অনেক সময় দেখা যায় কিছু মহিলা অশ্লীল খিস্তিখেউড় সহকারে প্রতিপক্ষকে গালাগালি করেন। প্রতিপক্ষ যদি একটু সম্মানী শ্রেণীর হন তবে দাঁতে দাঁত চেপে সেই অশ্লীল ও মিথ্যা গালাগাল হজম করেন। প্রতি উত্তরে কিছু বলেননা, পাছে সম্মান নষ্ট হয়। এমনকি সম্মানহানির ভয়ে কারো কাছে নালিশও করেননা।

মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বহুমুখী গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তাঁর পরিবারকে জড়িয়ে যে চরম নোংরা, ডাহা মিথ্যা ও বানোয়াট কাহিনীর অবতারণা করেছেন তিনি সেটি প্রমাণ করতে খুব ঘাঁটাঘাটিরও প্রয়োজন নেই। আমি স্রেফ দুইটি পয়েন্ট দিয়ে প্রমাণ করবো তাঁর বক্তব্য নির্জলা মিথ্যা।

১। তিনি সিদ্দিক সালিকের 'Indo-Pakistan war of 1965' নামক বইয়ের রেফারেন্স উল্লেখ করেছেন। অথচ এই নামে উক্ত ব্যক্তির কোন বই ই নেই। রেফারেন্স এর নামে কি ভয়ংকর মিথ্যা আর চাপাবাজি।

২। অপু উকিল তাঁর বক্তব্যে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানজুয়ার সাথে বেগম জিয়াকে জড়িয়ে নোংরা ও অশ্লীল বিষয় উল্লেখ করেছেন। অথচ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন ব্যক্তিমাত্রই জানেন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জানজুয়ার অস্তিত্বই ছিলনা। ২৬ শে মার্চেই তিনি চট্টগ্রামের সেনাবিদ্রোহে গ্রেফতার হয়ে মারা যান। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামে ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানজুয়া বিদ্রোহের প্রথমেই জিয়াউর রহমান এর নেতৃত্বে বন্দী হন এবং পরদিনই নিহত হন। উল্লেখ্য যে, তখন মেজর জিয়ার রহমান ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানজুয়া এর ডেপুটি এবং ক্যাপ্টেন অলি আহমেদ (বর্তমানে এলডিপির সভাপতি ড. কর্ণেল (অব) অলি আহমেদ বীর বিক্রম) ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান এর অধঃস্তন।

বিষয়: বিবিধ

২২১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File