সংখ্যালঘু ট্যাবলেট
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল মান্নান ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:৫০:৪৬ দুপুর
আমাদের দেশে ধর্ম ভিত্তিক দলগুলির মধ্যে ইসলামী কয়েকটি দলের কার্যক্রম চালু আছে। স্বাভাবিক ভাবেই সংখ্যালঘু জাতি-গোষ্ঠির লোকেরা ধর্ম বিশ্বাসের কারণে নিজেদেরকে ইসলামী দল থেকে দূরে রাখবেন। এটা তাঁদের অপরাধ নয়। কিন্তু ইসলামী দলের নেতা ও কর্মীগণ কি কখনও তাঁদেরকে আস্থায় নেয়ার চেষ্টা করেছেন? ধর্ম বিশ্বাসের বাইরেও বিরাট একটা ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে সকল ধর্মের লোকেরা সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে একসাথে কাজ করতে পারেন। সে ব্যাপারে কি ইসলামী দলেগুলির নেতৃবৃন্দ কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন? অপর পক্ষে সেক্যুলার (ধর্মনিরপেক্ষ) রাজনীতির ধারকগণ খুব ভাল ভাবে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন ইসলামী দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে সংখ্যালঘুদের জোর করে মুসলমান বানাবে, তাদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে ইত্যাদি।
সত্যিকার অর্থেই যদি ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ সংখ্যালঘু তথা অমুসলিমদেরকে আস্থায় নিতে চান তাহলে তাঁদের জন্য ইসলামে যে সুন্দর ব্যবস্থা আছে তা দক্ষাতার সাথে তুলে ধরতে হবে। আরো বুঝাতে হবে জোর করে মুসলমান বানানো অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই না। জোর করে ধর্ম বিশ্বাসকে পরিবর্তন করা যায়না। সাথে সাথে নিজেদের কথা-বার্তা, কাজ-কর্ম, আচার-আচরণ ইত্যাদি দিয়েও প্রমাণ করতে হবে তাঁরা দেশের অন্যান্য জনগণের সাথে সাথে সংখ্যালঘুদেরও হিতাকাঙ্খী। এর অর্থ এই নয় যে সংখ্যালঘুদের সমর্থন ছাড়া ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। সংখ্যালঘু বা অমুসলিমগণও দেশের নাগরিক সে জন্যে তাঁদের অধিকার নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কুরআনে তথা ইসলামে তাঁদের অধিকার সংরক্ষণের কথা স্পষ্টভাবে বলা আছে। বর্তমান প্রেক্ষাপট পরিবর্তন না হলে ইসলামী দলগুলিকে কোণঠাসা করে রাখার জন্য মোক্ষম হাতিয়ার হিশাবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ‘সংখ্যালঘু ট্যাবলেট’ ব্যহবহার হতেই থাকবে।
বিষয়: বিবিধ
১৪২৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন