কলুষিত রাজনীতির সাথে ইসলামকে জড়ানো কি ঠিক?
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল মান্নান ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৮:০১:৩২ রাত
রাজনীতি শব্দটি আমাদের কানের পর্দাকে স্পর্শ করার সাথে সাথে মানস পটে একটি সরকার, রাজনীতিকবৃন্দ এবং তাদের দ্বারা গৃহীত রাজ্যশাসন-প্রণালীর চিত্র ভেসে উঠে। অথবা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নেতিবাচক ভাবে এমন একটা ধারণা দেয়া হয় যার অর্থ দাঁড়ায় রাজনীতি হচ্ছে দুর্নীতি ও নোংরা কৌশলের হাতিয়ার। যেহেতু অধিকাংশ রাজনীতিকরা নিজেদের ¯^v_© রক্ষা করতে রাজনীতির আড়ালে অসৎ পথ অবলম্বন করে থাকে সেহেতু জনসাধরণ খোদ রাজনীতিকেই নোংরা ভাবতে শুরু করেছে। জনসাধারনের এ ধারণাটাকে কাজে লাগিয়ে অসৎ লোকেরা খুব সহজেই তাদেরকে এও বুঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, রাজনীতি ধর্মভীরু ও সৎলোকদের জন্য নয়। তাছাড়া ধর্মকে রাজনীতিতে টেনে আনাও মহা অন্যায়। এ কথাগুলি একজন ধর্মভীরু ও সৎলোকের সামনে উত্থাপন করার সাথে সাথে তিনি নিজের ঈমানকে অটুট রাখার জন্যে রাজনীতি থেকে নিরাপদ দুরে অবস্থান নেয়ার জন্য আকুল হয়ে উঠেন।
আমরা সবাই মিলে যদি রাজনীতিকে অসৎলোকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিই তাহলে তা তো কলুষিত হবেই। পক্ষান্তরে আমাদেরকে বুঝতে হবে রাজনীতিতে সৎলোকের সমাগম ঘটাতে পারলে তা পরিচ্ছন্ন থাকবে। ইসলামের প্রকৃত অনুসারীগণ অবশ্যই সৎ হয়ে থাকেন। কাজেই রাজনীতিকে কলুষমুক্ত রাখার জন্য সৎলোকের অংশ গ্রহণ অত্যাবশ্যক। রাজনীতি নিজেনিজেই কলুষিত বা কলুষমুক্ত হতে পারেনা। আল্লাহ্র দেয়া নীতি দিয়ে শুধু রাজনীতি কেন আমরা যদি আমাদের জীবনের সকল বিভাগকে সজ্জিত করতে পারি তাহলে শান্তির সুবাতাস সর্বত্রই সহজেই প্রবাহিত হবে। ইসলামকে রাজনীতির সাথে জড়ানোর ব্যাপার নয় বরং ইসলামের অনুসারীদের ঈমানি দায়িত্ব প্রচলিত রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করা। আল্লাহ্ বলেন -
আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা অহবান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই সফলকাম। (৩. আলে ইমরানঃ ১০৪)
রাজনীতির নামে যারা অন্যায়কে প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে রাজনীতি দিয়েই ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যেমন আপনি শেষাংশে বললেন, 'রাজনীতির নামে যারা অন্যায়কে প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে রাজনীতি (আপনার উল্লেখিত আয়াত দিয়ে নয়) দিয়েই ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে'।
আপনি রাজনীতি বলতে আপনার লিখার প্রথমে যা বুঝিয়েছেন প্লাস পাবলিক পারসেপশান যা দেখিয়েছেন - তাতে এটা পরিষ্কার যে রাজনীতি পুরোটাই পন্কিলতায় ভরে গেছে এবং সৎ ও ভাল মানুষজন রাজনীতি হতে দুরে সরে গেছেন।
এটাই তো স্বাভাবিক - পন্কিলতায় ভাল মানুষ টিকতে পারে না কিংবা ভাল মানুষ পন্কিল কাজে জড়াবে না। তাই না?
অথচ লিখার শেষাংশে আপনি বলছেন সেই রাজনীতি (যা নষ্ট, ভ্রষ্ট) দিয়েই সৎ ও ভাল লোকসমূহকে - রাজনীতির অন্যায়কে সরিয়ে দিয়ে ন্যায় কে প্রতিষ্টা করতে হবে।
মূলতঃ আমাদের বুঝা দরকার, তথাকথিত ''রাজনীতি'' নামক এই শব্দটার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্কই নেই। স্বভাবতঃই আপনি আর্লি ইসলামে এই শব্দের কোন উল্লেখ কিংবা ব্যাবহার পাবেন না। আপনি দেখবেন সাহাবী রাঃ একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে দ্বীন এর জন্য, শরীয়াহর জন্য - রাজনীতির জন্য নয়।
এই ''রাজনীতি'' হল সমাজ কাঠামো বিনির্মান ও মেনেজমেন্ট এর নিমিত্তে ইসলামের যে ''খেলাফত'' ব্যবস্থা - তার বিকল্প একটা মডেল, একটা ফ্রেম, একটা ব্যবস্থা।
সো আপনি যদি কোন সমাজে খেলাফত ব্যবস্থা চ্যুজ করেন কিংবা চালু করেন (যেখানে স্রষ্টা মূখ্য, মানুষ গৌন) - তবে ফ্রেম কিংবা মডেল কিংবা ব্যবস্থাপনার অপর প্রান্ত দিয়ে একটা সুসভ্য কৃতজ্ঞ জাতিগোষ্টিকে বের হতে দেখবেন - যারা অন্যায়ের প্রতিকার ও শাস্তি চাইবে, ন্যায়ের জয় ও পুরুষ্কার নিশ্চিত করবে।
কিন্তু আপনি যদি কোন সমাজে রাজনীতি চ্যুজ করেন কিংবা চালু করেন (যেখানে মানুষ মূখ্য - স্রষ্টা গৌন) - তবে ফ্রেম কিংবা মডেল কিংবা ব্যবস্থাপনার অপর প্রান্ত দিয়ে একটা অসভ্য, অকৃতজ্ঞ, চোর-বাটপার, প্রতারক জাতিগোষ্টিকে বের হতে দেখবেন - যারা অন্যায়ের জয় ও পুরুষ্কার নিশ্চিত করবে এবং ন্যায়ের প্রতিকার ও শাস্তি চাইবে।
এ্যানীওয়ে আপনার চিন্তা ও ভাবনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ওয়ালাইকুম আস্সালাম ওয়া রহ্মাতুল্লাহ্। মন্তব্য এবং সুন্দর একটা আলোচনার অবতারনা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আলোচনার গভীরে যাওয়ার আগেই একটা বিষয় পরিস্কার করে নিতে চাচ্ছি, আর তা হলো, প্রত্যেক ব্যক্তিই তাঁর নিজস্ব চিন্তা-চেতনা এবং জানা-শোনা থেকেই সব কিছু বিশ্লেষণ করে থাকেন। আমার ও আপনার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কাজেই আমার সীমিত জ্ঞানের মধ্যে থেকেই আমার কথাগুলি উপস্থাপন করেছি।
এবার আপনার মন্তব্যের দিকে নজর দিচ্ছিঃ
সূরা আলে ইমরানের ১০৪ নং আয়াতের দ্বারা আমি রাজনীতি করার ইঙ্গিত বহনের কথা বুঝাইনি। রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়নের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখার যে নির্দেশ তা মানার জন্য প্রচেষ্টা চালু রাখার কথা বুঝেয়েছি।
রাজনীতির মধ্যে একটা গুনগত পরিবর্তন আনতে হলে রাজনীতিতে অবশ্যই সৎ লোকদের অংশ গ্রহণ অপরিহার্য। আমি হয়তো কথাটা সঠিকভাবে বুঝাতে পারিনি।
আপনার শেষ মন্তব্যটির দিকে লক্ষ্য রেখে রাজনীতি এবং খিলাফতের বিষয় সামান্য দৃষ্টি দিচ্ছি -
রাজনীতিঃ Politics is a process by which groups of people make collective decisions. (http://en.wikipedia.org/wiki/Politics ) অর্থাৎ রাজনীতি হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া যার দ্বারা এক বা একাধিক দল সম্মিলিত ভাবে সিদ্ধান্ত সমুহ গ্রহণ করে থাকে। প্লেটোর বর্ণনানুসারে রাজনীতি হচ্ছে একটি আদর্শ রাষ্ট্র এবং তা লাভ করার জন্য পন্থা। তাহলে একটি আদর্শ সমাজ তৈরির উপায় হচ্ছে রাজনীতির অন্তর্নিহিত অর্থ ও মূল কথা। বর্তমান সমাজের চেয়ে আরো উন্নতমানের সমাজ উপহার দেয়ার ব্যাপারে জনগণকে আশান্বিত হওয়ার ইঙ্গিত রাজনীতিই দিয়ে থাকে।
খিলাফতের পারিভাষিক সংজ্ঞাঃ
খিলাফত হল একটি ধর্মীয়,সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। ইসলামী সরকার পদ্বতির নাম হল খিলাফত।
খিলাফতের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে ইবন খালদুন বলেছেন, “আল্লাহর মনোনীত দ্বীন ইসলাম সংরক্ষণ, তা অনুযায়ী সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং সে অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার নাম হল খিলাফত।”
ইমাম গাযযালী বলেন, “খিলাফত এমন একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে নয় বরং আল্লাহ প্রদত্ত বিধান ও রাসূল (সাঃ) এর প্রদর্শিত পথে পরিচালিত হয়।”
রশীদ রিদ্দা বলেন, “ইসলামী সরকার ও রাষ্ট্র এমন এক ধর্মতন্ত্র যা ধর্মীয় ও পার্থিব বিষয়াবলী রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা করে।”
মাজিদ খাদ্দুরী বলেন, “The khilafot means temporal leadership based on religion.”
রাজনীতি এবং খিলাফত পরিভাষা দুটি ব্যবহারের ক্ষেত্র আলাদা আলাদা হলেও রাষ্ট্র গঠন ও পরিচালনার দিক থেকে উভয়েরই দৃষ্টিভঙ্গি একই রকম। তবে আদর্শের জায়গাটাকে অবশ্যই হিশাবে রাখতে হবে। খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে বর্তমানে রাজনীতি ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা না থাকাতে রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করার দায়-দায়িত্ব সৎলোকদেরই। আর কুর’আন সুন্নাহ্র প্রকৃত অনুসারীগণই হচ্ছেন সৎলোক।
আপনি যথার্থই বলেছেন, 'প্রত্যেক ব্যক্তিই তাঁর নিজস্ব চিন্তা-চেতনা এবং জানা-শোনা থেকেই সব কিছু বিশ্লেষণ করে থাকেন। আমার ও আপনার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য'।
ঠিক। কিন্তু এর কারন ভেবে দেখেছেন কি? আমার মনে হয়েছে আমাদের স্যেকুলার শিক্ষাব্যবস্থা আমাদেরকে তাই করতে শিখিয়েছে, প্ররোচিত করেছে। কিন্তু একজন মুসলমান হলে আমাদের নিজস্ব চিন্তা ও চেতনা এবং জানাশোনার পরিবর্তে আমরা কোরান ও হাদীসের আলোকে চিন্তা ও চেতনা এবং জানাশোনাকে প্রাকটিস করতাম। কিন্তু আমরা ১৮ - ২৪ বছর স্যেকুলার শিক্ষা নেই কিন্তু কোরান ও হাদীস শিক্ষা নেই না।
সূরা আলে ইমরানের ১০৪ নং আয়াতটির মাধ্যমে আপনি আপনার মনের ইচ্ছা ও অভিব্যাক্তি ফুটিয়ে তুলেছেন - তা আমি বুঝেছি - শুধু বলতে চেয়েছি - ঐ আয়াতটি 'ইসলাম বহির্ভূত ''রাজনীতি'' যা ইসলাম হতে সৃষ্ট না, যা ইসলামের সাথে কন্ট্রাডিক্টরী এবং যার নিয়ন্ত্রন, পুরুষ্কার ও সার্টিফিকেশান সবই - মুসলমান ভিন্ন অন্য কারো কাছে - তাতে এই আয়াত মুসলমানরা ঐ রাজনীতিতে ব্যবহার করলে কাজ করবে না, করতে পারেনা। এই আয়াতটি তখন ই কাজ করবে - যখন কোন সমাজে স্রষ্টার উপস্থিতি, স্রষ্টার সুপরিওরিটি ইত্যাদি মানা হবে এবং কার্যক্রম সেই নিমিত্তে নেওয়া হয়। আশা করি আমি বোঝাতে পেরেছি আমার থটস্ টা।
ধরুন, ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি প্রচার মেকানিজম এর কথা। আপনি ঐ সব সাইট এ একাউন্ট খুললেন। নাম দিলেন ইসলামিক ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি। আপনি কনটেন্ট আপলোড করলেন ইসলামিক। আপনি কি আসলে তা ইসলামিক বলতে পারবেন, না রাখতে পারবেন? আপনার ঐ সাইটে কি নগ্নতা আসবে না? ঐ সাইটের কারনে আপনি কি লক্ষ লক্ষ মুসলমানের থিংকিং, আবেগ, ছবি ইত্যাদি ইনফরমেশান মুসলমানের শত্রুর হাতে তুলে দিবেন না, ঐ সব ছবি ও ডাটা কি পর্নোসাইটে বিক্রি করে ফেইসবুক টুইটার ইত্যাদি কি বিলিয়নস অব ডলার কামাবে না? অনুরূপভাবে রাজনীতি ও তাদের সৃষ্ট, তাদের নিয়ন্ত্রিত, তাদের দ্বারা সম্প্রসারিত, ইউনিভার্সিটিতে লিখিত পড়িত ইত্যাদি ইত্যাদি - সো দ্যাট আপনি আমি ওর আওতাধীন থাকি এবং ঐ রাজনীতির প্রক্রিয়ায় নিজেকে সাবমিট করি এবং সাবমিট না করলে আপনাকে ঐ রাজনীতির মাধ্যমে জেল জরিমানা ফাসি পয্যন্ত দিয়ে দিতে পারে। সো আপনি রাজনীতির সাথে ফাইট করতে পারেন না, রিফর্ম করতে পারেন না। আপনি তাকেই রিফর্ম করতে পারেন - যা আপনার নিয়ন্ত্রনাধীন। যার জন্য এরদোগানকে - মুসলিম মেরে রাজনীতিতে থাকতে হয়, মুরসীকে কেইজ এর ভিতর থাকতে হয়, নিজামী সাহেবকে ফাঁসির প্রহর গুনতে হয়, শফি সাহেবকে বিতাড়িত, মূক হয়ে যেতে হয়, শাপলা চত্ত্বর হতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপনার পলিটিক্স ও খেলাফত এর যে সংজ্ঞা ও কারেক্টারস্টিক্স পাবেন - তা আবার পড়তে পারেন, পাশাপাশি দুটো বিষয়কে আনুন। আপনি নিজেই বুঝবেন দুটো কম্প্লিটলী অপোজিট। এ টু জেড অবধি অপোজিট। একটি মানুষ দ্বারা সৃষ্ট, মানুষের কল্যান ও উন্নয়ন এ মানুষের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয় অন্যটি মানুষের স্রষ্টা দ্বারা সৃষ্ট, মানুষকে গৌন করে স্রষ্টার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয় (ইমাম গাজ্জালী রঃ এর সংজ্ঞাটাই ইসলামকে অধিকতর রিফ্লেক্ট করেছে)। আর সবচেয়ে বড় কথা রাজনীতি যে রাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত - ইসলাম সেই রাষ্ট্রকেই শিকার করে না - র্যাদার আমাদেরকে ফোর্স করা হয় আল্লাহর পরিবর্তে রাষ্ট্রের ইচ্ছার কাছে সাবমিট করার জন্য। আপনি ইসলামে পাবেন 'ইসলামিক ল্যান্ড' ও 'নন ইসলামিক ল্যান্ড' কনসেপ্ট কিন্তু রাষ্ট্রের কথা পাবেন না। আপনি পাসপোর্ট ভিসার কনসেপ্ট পাবেন না ইসলাম। এসব ই আল্লাহর সৃষ্ট রবকে কাউন্টার দেয়া শক্তির সৃষ্ট এবং আমাদেরকে তার আওতাধীন নিয়ে নেবার এবং ধরে রাখার মেকানিজম। সো ফেরাশতাদের জিজ্ঞাসার কোন উত্তর আপনার আমার কাছে থাকবে না।
Those whose souls the angels take while they had wronged themselves, the angels say (to them), “In what business were you (involved)?” They say, “We were oppressed in the earth.” They say, “Was not the earth of Allah wide enough for you to emigrate to it?” Those people are such that their refuge is Jahannam . It is an evil place to return; (সুরা নাস - 97)
এ আয়াতের কনটেক্স ছিল কোরায়শদের আওতাধীন অবস্থা হতে কেন মুসলিমরা সেদিন বের হয়ে মদীনায় যায় নি তথা ইসলামিক ল্যান্ড এ যায় নি? আজকে ইসলামিক ল্যান্ড নেই, কোথাও যেতে চাইলেও পারবেন না - সো বুঝুন অবস্থা। একজন মুসলমান ও সৎ লোক যখন এতটাই ইনসিগনিফিকেন্ট - তখন আপনি সেই দূর্বল ইনসিগনিফিকেন্ট মানুষকে বলছেন ঐ শক্তির বিরুদ্ধে নেমে রাজনীতিকে ঠিক করতে - যার কাছে সে মশা মাছির চেয়েও নগন্য।
এ্যানীওয়ে আপনার অনেক সময় নষ্ট করে ফেললাম। এর মধ্যে কোন ভুল হলে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন। আল্লাহ আপনার সৎ চিন্তাগুলোতে সাহায্য করুন। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন