আপনার পরিচিত কেউ কি জ্বিনে আসরগ্রস্ত রোগী? জেনে নিন কিভাবে জ্বিন তাড়াবেন
লিখেছেন লিখেছেন ইসমাইল একেবি ২৮ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:৪৭:০৩ সকাল
অনেকদিন ব্লগে আসা হয়না। মাঝে মাঝে নীরবে ব্লগ পড়ে চলে যাই। অনেকদিন পর আজকে আবার লিখতে আসলাম।
যাহোক, আপনাদের পরিচিত এমন হয়ত কেউ কেউ আছে যে জ্বিনে আসরগ্রস্ত। হয়ত জ্বিনের আসর থাকার কারণে, ব্যক্তি হিতাহিত জ্ঞান শুন্য হয়ে একেবারে পাগলের মত হয়ে গেছে।
মাতাল হয়ে গেলে যেমন ব্যক্তি ভালো মন্দের পার্থক্য করতে পারে না তার অবস্থাও হয়ত তেমনি হয়ে গেছে। অথবা, সর্বদা এমনটি না হলেও মাঝে মাঝে সে জিনের দ্বারা আসরগ্রস্ত হয়। জ্বিনের আসরের কারণে হয়ত রাত্রে কিংবা দিনের বেলায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয় বা ভয় পায়। ইত্যাদি।
যদি এমন কেউ আপনার পরিচিত থেকে থাকে তাহলে-----তার ঔষধটা জেনে নিন। ইনশাআল্লাহ দ্রুতই দুষ্ট জ্বিন তাকে ছেড়ে চলে যাবে এবং আল্লাহ তায়ালা চাইলে আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা নিকটজন সুস্থ হয়ে উঠবে।
১। তাকে দিনেরাতে যতবেশি সম্ভব দীর্ঘসময় ধরে কুরআন তেলাওয়াত করা কিংবা শুনানোর ব্যবস্থা করুন। তাকে দিনে অন্ততঃ ৬-৭ ঘন্টা কুরআন শুনাতে পারলেই যথেষ্ঠ। সে যেকোন কাজ করুক বা যাই করুক না কেন জোর সাউন্ডে কুরআন তেলাওয়াত স্টার্ট করে দিন। যেন সেটা জোর সাউন্ডে তার কানে পৌঁছে যায়।
২। সহনীয় পর্যায়ে যত জোর সাউন্ডে তাকে কুরআন শুনাবেন ততই ভালো। পারলে তার কানে বেশকিছু সময় ধরে কুরআন তেলাওয়াত চালিয়ে দিতে পারেন। সুরা বাকারা বারবার শুনানো হলেও চলবে।
৩। মোবাইলের মেমোরি কার্ডে পবিত্র কুরআন সম্পূর্ণ ভরে রেখে দিন। এক্ষেত্রে
http://aswatalislam.net/FilesList.aspx?T=Audio&C=Quran&T1=Quran%20-%20Abdul%20Rahman%20Alsudais%20-%20mp3
অথবা
http://aswatalislam.net/FilesList.aspx?T=Audio&C=Quran&T1=Quran%20-%20Saod%20Shureem%20-%20mp3
লিংক দুইটার যেকোনটা (আপনার পছন্দ মত সিলেক্ট করুন) থেকে সম্পূর্ণ কুরআন ডাউনলোড করে নিয়ে মেমোরিতে ভরে ফেলুন। প্রয়োজনমত যখন খুশী প্লে করুন।
৪। রোগী নিজের ইচ্ছায় কুরআন শুনতে না চাইলে তাকে জোর করে বসিয়ে রেখে কুরআন শুনাবেন।
৪। বেশি বেশি সময় ধরে তাকে এটা শুনানো কন্টিনিউ করুন। ২ দিন/ ৫দিন/১ সপ্তাহ/১৫ দিন/ ১ মাস/২ মাস এভাবে কন্টিনিউ করুন।
পারলে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা বাসায় কুরআন তেলাওয়াত স্টার্ট করে রাখুন। যেন বাসার সর্বত্র কুরআনের সাউন্ড ছড়িয়ে পড়ে।
দেখবেন- যত বড় শক্তিশালী কিংবা দুষ্ট বেহায়া জ্বিনই হোক না কেন দ্রুত তাকে ছেড়ে যেতে ভুলবে না ইনশাআল্লাহ।
কারণ, দুষ্ট জ্বিনদের সবচেয়ে বড় শত্রু হল আল কুরআন।
ভয় নেই, আপনি তাকে কুরআন শুনানোর ব্যবস্থা করলে জ্বিন আপনাকে ক্ষতি করবে না। কারণ, তখন তার অবস্থা হবে-ছেড়ে দে মা কেন্দে বাঁচি স্টাইলের।
বেশি বেশি কুরআন শুনালে জ্বিন হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করে দিতে পারে। আপনার কাছে মাফও চাইতে পারে। কান্নাকাটি করলেও তাকে নিস্তার দিবেন না। কুরআন শুনানো কন্টিনিউ করবেন। প্রয়োজনে সাউন্ড আরও বাড়িয়ে দিবেন। একসময় হয়ত নীরবে সে পালিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
অতএব, আজকেই জ্বিনে ধরা রোগীর চিকিৎসা শুরু করে দিন। ভয়ের কিছু নেই। প্রয়োজন একটু সাহস।
আরব দেশের বেশ কিছু আলেমের জ্বিনের চিকিৎসা করা দেখলাম ভিডিওতে। সবারই ক্ষেত্রে দেখলাম কিছুক্ষন রোগীর সামনে কিংবা কানে কুরআন তিলাওয়াত করার পর জ্বিন কাদতে লাগল। এক পর্যায়ে জ্বিনদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন যে,কেন সে তার কাছে এসেছে?এরপর তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের প্রস্তাব করলেন।কেউ কেউ অস্বীকার করল আবার কেউ ইসলাম গ্রহণ করল।সবাই রোগীর কাছ থেকে চলে যেতে রাজী হল।জ্বিন চলে গেলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেল।এরপর রোগীকে বলা হল- ফরজ,ওয়াজিব ইত্যাদি সুষ্ঠুভাবে আদায় করতে এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়তে।
এ লেখাটি যতবেশি সম্ভব ফ্রেন্ডদের সাথে শেয়ার করুন। আর মানুষকে জানিয়ে দিন। এরপরে আর কারও জ্বিন তাড়াতে অন্য কারও কাছে যেতে হবে না ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১৬০৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বর্তমানে জ্বিনের চেয়ে মানুষই মানুষের জন্য বেশী ক্ষতিকর
খুবই সুন্দর পোস্ট- ভালো লাগলো অনেক যাজাকাল্লাহু খাইর
অনেক ধন্যবাদ
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
আসলেই অনেক দিন পর!
ভাবী ভালো আছেন?
পোস্টের জন্য শুকরিয়া! জাযাকাল্লাহু খাইর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন